বৃষ্টি থামার শেষে
সঙ্ঘমিত্রা দাস
দমদম নাগেরবাজারে মুখোমুখি মেসবাড়ি। সুতপা অফিস ফেরত চা নিয়ে জানলায় বসলেই সামনের ঘরে বিনয়ের অস্তিত্ব টের পায়। গান চলছে, ল্যপটপে কাজে ব্যস্ত। সুঠাম গড়ন, সুপুরুষ চেহারা। সুতপার মনে প্রেমের জোয়ার। কাজের ফাঁকে আড় চোখে সুতপাকে দেখে বিনয়ও। রোজ একটা অপেক্ষা থাকে, সামনে এলেই পর্দার আড়াল খোঁজে দুজনে। লাজুক চোখ, লুকাই লুকাই ভাব। এভাবে গভীর হয় প্রেম, আগুনে পোড়ে মন। নীরব দুই জোড়া চোখ নিশ্চুপে ভালোবাসে।
অঝোর বৃষ্টিতে দুজনেই আটকে আছে স্টেশনে সেডের নীচে। বারবার চোখে চোখ মিলছে। বৃষ্টিটা কমতেই বিনয় ব্যাগ থেকে ছাতা বের করে,
প্রথম বাক্যালাপ
"মনে হয় তাড়াতাড়ি থামবে না। ছাতা আছে, চলে যাই চলুন"।
সুতপা, বিনয় একছাতায়। মাথা বাঁচলেও শরীর ভিজছে। আরো কাছে ঘেঁষে আসছে ওরা। একে অপরের স্পর্শ অনুভব করছে। বুকের ধুকপুকানি বাড়ছে। দুজনেই রিমঝিম প্রেমে আকুল। সুতপা ব্যাগটা শক্ত করে আড়ালে টেনে রেখেছে। ওর ব্যাগেও যে ছাতা আছে কিছুতেই বিনয় যেন টের না পায়। ছোট মিথ্যার আশ্রয়, ও যে আরো একটু বিনয়ের কাছে থাকতে চায়।
==================
সঙ্ঘমিত্রা দাস
৫২/১, নেতাজী সুভাষ রোড
পোষ্ট : নব বারাকপুর
কোলকাতা ৭০০১৩১
Comments
Post a Comment