Skip to main content

Posts

Showing posts with the label ৭ম সংখ্যা # আশ্বিন ১৪২৫ # "শিক্ষা ও শিক্ষক"

৭ম সংখ্যা # সূচিপত্র

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-ম্যাগ আশ্বিন ১৪২৫ ।। সেপ্টেম্বর ২০১৮ বিষয় ঃ "শিক্ষা ও শিক্ষক" সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা তন্ময় পাল    স্বরূপা রায়    রীনা তালুকদার    মোনালিসা পাহাড়ী    তপন মুখার্জি    সম্পা পাল্    দুলাল সুর    অমৃতা বিশ্বাস সরকার     ফিরোজ আখতার     অদিতি চৌধুরী  কোয়েলী ঘোষ    স্বাতী নাথ    সামসুন্নাহার ফারুক    আবদুস সালাম    অমিত পাল    লিপি ঘোষ হালদার    মৈনাক চক্রবর্ত্তী    বিশ্বজিত দাস    প্রণব কুমার চক্রবর্তী    কালীপদ চক্রবর্ত্তী    - অ-নিরুদ্ধ সুব্রত    রাখী সরদার    শুভাশিস দাশ    তনিমা হাজরা    সুনন্দ মন্ডল    শেফালি সর    দেব শংকর দাস    রণেশ রায়    বিজয়ন্ত সরকার। গল্প দীপক কুমার মাইতি    জয়ন্ত দত্ত    পারিজাত    রিয়া ভ...

স্বাতী নাথের নিবন্ধ

শিক্ষক দিবস ও শিক্ষক আদর্শ শিক্ষক ডঃ সরবপল্লী রাধাষ্ণণের ১৩০তম জন্মদিন উপলক্ষে সকল শিক্ষক কে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। ভারতে ৫ই সেপ্টেম্বর কে শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে ১৯৬২ থেকে। সরবপল্লী রাধাকৃষ্ণণ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর তাঁর গুণগ্রাহীচাত্র ও বন্ধুরা তাঁর জন্মদিন পালন করতে চাইলে তিনি বলেন "জন্মদিনের পরিবরতে৫ই সেপ্টেনবর যদিশিক্ষক দিবিস হিসাবে উদযাপিত হয় তবে আমি বিশষ রুপে অনুগ্রহ লাভ করবো"। ইউনেসকোর মতেবিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ পালন করা হয়১৯৬৩ সালের ৫ই অক্টোবর বিশ্বের ১০০ টি দেশে শিক্ষক দিবিস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। এই দিবস টি পালনে educational international (EI)ও তার সহযোগী ৪০১ টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রাখে। শিক্ষা যদি জাতীর মেরুদন্ড হয় তবে শিক্ষক্ সে মেরুদন্ডের স্রষ্টা। পৃথিবীতে যতগুলো সম্মান জনকপেশা আছে তার মধ্যে শিক্ষকতা সর্বচ্চ সম্মানিত পেশা।আমরা জানি একজন মানুষের সফলতার পিছনে শিক্ষকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একজন আদর্শ শিক্ষক কেবল মাত্র পড়াশুনার ক্কেত্রে নয়, তিনি ছাত্র ছাত্রিকে জ...

রীনা তালুকদারের নিবন্ধ

অমেধাবী ছাত্র     -------------------- শিক্ষক এই শব্দের সাথে নানা রকম মানুষ ও পেশা জড়িত। নবপ্রভাত একটি সাহিত্য সাইট। ৫ সেপ্টেম্বর শিক্ষক দিবস উপলক্ষে একটি সাহিত্য সাইট প্রিয় শিক্ষক সম্পর্কে ভাল মন্দ যেমন হোক লিখতে বলেছেন। আমরা যারা লিখিয়ে তাদের কাছে শিক্ষক সম্পর্কে লেখা চাওয়া হয়েছে। ব্যাপারটা খুব একাডেমিক মনে হলেও ব্যক্তি জীবনের সাথে সম্পর্কযুক্ত। মানুষের অমঙ্গল -মঙ্গলের সব বিষয় ব্যক্তি সম্পর্কিত তো বটেই। কোনো না কোনো ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক অবশ্যই থাকে। নব প্রভাত মেইল পাঠানোর পর প্রথম ভাবলাম একটা সাহিত্য সাইট আবার সেই মাধ্যমিক স্কুলের বিশদ রচনা লেখার মত একজন আদর্শ শিক্ষকের রচনা লেখার আয়োজন করছে কি কারণে। পরে অনেক চিন্তা করলাম না বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। নব প্রভাত না বললে হয়ত এভাবে চিন্তাই মাথায় কাজ করতো না। একটা তাগিদ অনুভব করলাম লেখার। শিক্ষক শব্দের অর্থ কি। অত্যন্ত ব্যাপক সন্দেহাতীত ভাবেই। ছাত্রদের ভেতরের শক্তিকে অনুধাবন করে সেই শক্তিকে এমনভাবে বিকশিত করার চেষ্টা করেন যা তার সমস্ত জড়তাকে ভেঙ্গে স্বপ্নযাত্রার সূচনা ঘটায়। যিনি গন্তব্য নয় বরং পথে হাঁটতে শেখ...

রণেশ রায়ের নিবন্ধ

শিক্ষক দিবসে এক শিক্ষকের প্রতিবেদন আমার জীবন ও জীবিকার প্রধান উপাদান ছিল আনুষ্ঠানিক শিক্ষা যার আধার ছিল প্রধানত শহুরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিছুদিন বিদ্যালয়ে, বেশিরভাগটাই মহাবিদ্যালয়ে। বলতে কুণ্ঠা নেই যে আজীবন শিক্ষা শিক্ষা করলেও প্রকৃত শিক্ষার নাগাল আমি আজও পাইনি। আজ শিক্ষা দিবস উপলক্ষে কিছু বলতে গিয়ে সবচেয়ে আগে আমাকে এই সত্যটা তুলে ধরতে হয়। নইলে সত্যের অপলাপ হয়, বাগাড়ম্বর-এর আড়ালে নিজেকে বৃথা আড়াল করার চেষ্টা হয়। একে আমি বৃথা আড়াল করার চেষ্ঠা বলছি কারণ আমার বিশ্বাস আজ সকলেই এটা বোঝেন। কাজেই আড়াল করার চেষ্টা মানে নিজেকে ফাঁকি দেওয়া। আমার এই উপলব্ধির প্রেক্ষাপটে আমি দু একটা কথা বলব। আমাদের আনুষ্ঠানিক শিক্ষার আধাঁর হলো বিদ্যালয় বা মহাবিদ্যালয়ের মত অনুষ্ঠানগুলো যেখানে একটা আনুগত্যবোধকে কেন্দ্র করে নিজেদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার সুযোগ থাকে। পরীক্ষায় নম্বর পেয়ে ইঁদুর দৌড়ের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার লড়াই বলা চলে এটাকে। মানুষ তৈরির সঙ্গে এই শিক্ষার সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায় না। এরই মধ্যে যতটুকু শেখা হয়। এর খুব সামান্য প্রত্যক্ষ শিক্ষা, বেশিরভাগটাই অপ্রত্যক্ষ। অভিজ্ঞতা ও শ্রমের ভূমিক...

বিজয়ন্ত সরকারের ভাবনা

// ক্রোমোজোম 'Y' / ডিজিটাল জীবনে ক্রমশঃ কমে আসছে বন্ধুত্বের আত্মিক প্রশমন । যৌবনের ট্র্যাক-সিডিউলের সিস্টেমিকস্-এর চাপে চওড়া বিশ্বস্ততায় রোজ জমছে ধূসর যন্ত্রনা । রাস্তার মোড়ে দাঁড়ানো অল্পবয়সীদের হাতেও নজরে আসে বিশ্বায়নের নেশাগ্রস্থতার চ্যাপটার । এরকম একটা সময়ে বিজন, সন্দীপ আর দীপু'র বন্ধুত্বটা একদম আলাদা ছাপ রাখে । বিজন জুওলজিতে এম. এস. সি., সন্দীপ কম্পিউটার সায়েন্সে এম. এস. সি.; দু'জনেই টিউশন পড়িয়ে হাতখরচা চালায় আর চাকরির জন্য পড়াশোনা করছে । দীপু গ্র্যাজুয়েশনের পর প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতায় নিযুক্ত হয়েছে এক বছর হল । বয়সে ফারাক থাকলেও তিনজনের মানসিক যোগ অনন্য । মাঝে মাঝে বিজনের বাড়ির ছাদের ঘরে তিনজনের আড্ডায় হয় দেখা । সে আড্ডায় কখনও নিকোটিন পোড়েনি, ককটেল্ হয়নি উদ্বায়ী তরলে । তবে নেশা একটা আছে, সেটা হল কিছু ভাল কাজের ইচ্ছে । বিজনের ভাললাগার বিষয় নাটক, সন্দীপ বিপ্লবীদের জীবনী নিয়ে নানারকম গবেষণা করে আর সেসব নিয়ে পুরোদস্তুর আলোচনাও হয় তিন বন্ধুতে এবং দীপু চেষ্টা করছে একটা দল গঠন করে দুঃস্থ বাচ্চাদের সাহায্য করার জন্য । আজ ৫ই সেপ্টেম্বর । বিজন ...

মোনালিসা পাহাড়ীর নিবন্ধ

ফিরে দেখা শিক্ষা ও শিক্ষক বিষয়ে কিছু বলতে গেলে প্রথমেই বলা উচিত যে শিক্ষা কী? শিক্ষা হল মানুষের আচরনগত পরিবর্তন এবং সমাজের উপযোগী আচরণ আয়ত্তকরণের পক্রিয়া।দিন যত এগিয়েছে শিক্ষা দানের পদ্ধতিতে কৌশলে বিপুল পরিবর্তন এসেছে।শিখন শিক্ষন প্রনালীর এই পরিবর্তনের জন‍্যেই যুগ বদলানোর সঙ্গে সঙ্গেই শিক্ষার্থীদের আচার আচরণ কার্যকলাপের পরিবর্তন চোখে পড়ছে। আজ থেকে বিশ পঁচিশ বছর আগে শিক্ষা ব‍্যবস্থা ছিল শিক্ষক কেন্দ্রীক। শিক্ষক মুখ‍্য শিক্ষার্থী গৌন।শিক্ষক শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্পর্ক ছিল শ্রদ্ধা ভক্তি ও ভয়ের।শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ভালোবাসতেন, কিন্তু তা নিরবে।শিক্ষার্থীদের ভুল ত্রুটিতে শিক্ষক শাসন করতে পারতেন।অভিভাবকরা ও বিশ্বাস করতেন যে ছাট না পেলে পাঠ হবেনা। বর্তমানে এই মানসিকতার সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটেছে।এখন শিখন শিক্ষন প্রনালী হচ্ছে শিক্ষার্থী কেন্দ্রীক। আনন্দ পাঠের মাধ্যমে শিক্ষা দান।আগেকার শিক্ষকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন কিংবা প্রয়োজন সাপেক্ষে মারধর করা এসব এখন আইনত দণ্ডনীয়। তাই অনেক ক্ষেত্রেই বতর্মান শিক্ষক শিক্ষিকারা অসহায় বোধ করেন শিশুদের হাজার দুষ্টুমি বা অন‍্যায়ের প্রতিবাদে সামান্য মৌ...

তন্ময় পালের মুক্তভাবনা

শিক্ষা সর্বত্র "শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড" এই কথাটা তাৎপর্যবাহী। শিক্ষাই একমাত্র পারে অজ্ঞনতার অন্ধকার দূর করতে, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ সবাইকে এক সুতোয় বাঁধতে। তবে আমার মতে শিক্ষক বলে আলাদা কেউ হয় না, আমরা প্রত্যেকেই এই প্রকৃতির ছাত্র/ছাত্রী আর এই প্রকৃতির প্রত্যেক উপাদান আমাদের শিক্ষক। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষক তার আপন কর্মের মধ্য দিয়ে শিক্ষার আলো বিকিরণ করে চলেছে সবার জন্য, আমাদের শুধু উৎসুক মনে সেগুলো গ্রহণ করতে হবে, নিজেকে এই অবিরাম শিক্ষাধারার থেকে আড়াল করলে জীবন বৃথা। যে তোমার কাছে ভালো তার কাছেও যেমন শেখার আছে তেমনি যে তোমার কাছে খারাপ তার থেকেও তোমার শেখার আছে ; তবে এখানে তুমিই সিদ্ধান্ত নেবে তুমি কি শিখবে ভালো না মন্দ? সবার কাছে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়ে ওঠেননা, তখনি দরকার হয় একজন পথ-প্রদর্শকের যে তোমাকে সঠিক পথ দেখাবে। তবে আমাদের বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় পুথিঁগত শিক্ষা আর পরীক্ষার নম্বরকে শিক্ষার মাপকাঠি হিসেবে ধরা হয়। সেখানে চরিত্র গঠনের জন্য কোনো শিক্ষা দেওয়া হয়না। তাই বর্তমান শিক্ষাপ্রাঙ্গণে পুথিঁগত শিক্ষার পাশাপাশি নৈতিকতার শিক্ষা, আধ্যাত্মিকত...

কালীপদ চক্রবর্ত্তীর স্মৃতিকথা

*পথ প্রদর্শক* আমার জীবনে মা-বাবার পরেই যার স্থান তিনি হলেন আমার গৃহ-শিক্ষক, স্বর্গীয় অজয় মুখার্জি। থাকতেন ত্রিবেণী-র কোনচাটি গ্রামে ফুটবল মাঠের পাশে। আমি তখন ক্লাস এইট থেকে নাইন-এ উঠেছি। কলকাতা রেলওয়ে কোয়ার্টার-এ থাকি, যেহেতু বাবা রেলওয়েতে চাকরী করতেন। একদিন হঠাৎ আমার বাবা অফিস থেকে ফিরে বললেন – এবার তো তুই ক্লাস নাইন-এ উঠেছিস, তাই পড়ার চাপও থাকবে । আমিতো আর তোকে অফিসের কাজের চাপে কিছুই দেখিয়ে দিতে পারিনা। তাই একজন গৃহ-শিক্ষকের ব্যবস্থা করেছি। ছেলেটি খুবই ভাল শুনেছি। পড়াশোনায় ও খুব ভাল । মা জিজ্ঞাসা করলেন – কোথায় পেলে তাকে? বাবা বললেন – আমার অফিসের সহকর্মী রঞ্জিত ব্যানার্জী-র বাড়ির পাশেই থাকে, ত্রিবেনী-তে। বাবা সে সময় পূর্ব-রেলওয়ের উচ্চপদে চাকরী করতেন এবং রঞ্জিত ব্যানার্জী বাবার অধীনে কাজ করতেন। খুবই শিক্ষিত মানুষ। পরে বাবা যখন মা-এ বলছিলেন তখন জানতে পেরেছিলাম যে শ্রীযুক্ত অজয় মুখার্জি ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেটস কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কে অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে চাকরী করেন এবং সকালে হোমিওপ্যাথিক কলেজে ভর্তি হয়েছেন কিন্তু কলকাতায় কোনও থাকার জায়গা নেই বলে রঞ্জিত কাকু বাবাকে জানিয়ে...

-অ-নিরুদ্ধ সুব্রত-র নিবন্ধ

শিক্ষা ও সমকাল: একটি ভগ্নাংশ ----------------------------------------------- সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী স্বতঃস্ফূর্ত উষ্মায় বলে ফেলেছিলেন, শিক্ষাদপ্তর একটা ঘুঘুর বাসা। শুনলে প্রাথমিকভাবে অবাক হতেই হয়। বিশেষত একটা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান যখন এমন প্রতিক্রিয়া দেন,তখন ভাবনা থেকে যায়। বছর দশ আগে কলকাতার ডিরোজিও ভবনে একজন শিক্ষকের একটা অফিসিয়াল সমস্যা নিয়ে নির্দেশ মতো তদবির করতে যাই। প্রথমত ঐ ভবনে দৈনন্দিন অফিসের কাজ যে খানিকটা বেলার দিকে শুরু হয়, তা উপস্থিত কর্মীদের শারীরিক ভাষা বুঝিয়ে দেয়। বেশ কিছু কর্মী অনুপস্থিত থাকাও যেন প্রচলিত রীতি বলে মনে হলো। এক টেবিল থেকে তাড়া খেয়ে অন্য টেবিলে ছুটে ,এবং শেষ পর্যন্ত সঠিক টেবিল খুঁজে পেয়ে যখন সমস্যা সম্পর্কে ভদ্রলোককে জানানো হলো ,তিনি রীতিমতো ধমক দিলেন। তার বক্তব্য, ডি. আই অফিস সমস্যাটা মেটাবে। কাজটা নাকি সেই অফিসের। উত্তরে ভদ্রলোককে জানানো হলো, ডি .আই অফিসে যাওয়া হয়েছিল, সেখান থেকে কাজ মেটেনি। সঙ্গে সঙ্গে ঐ ভদ্রলোক বললেন, 'আরে সেখানে টাকা পয়সা ফেলুন ,তবে তো হবে!' অত এব বিফল হয়ে ভগ্ন মনে সেদিন ফিরতে হয়েছিল। ...

প্রণব কুমার চক্রবর্তীর স্মৃতিকথা

শিক্ষক বিভুতি স্যারের বিভূতি সালটা ১৯৬৪ ৷ অমার বাবা তখন কর্মসুত্রে নৈহাটিতে পুলিশের সার্কেল ইন্সপেক্টার ৷ অামরা তখন নৈহাটিতই কাঁঠালপাড়ায় সি অাই অফিসের কোয়াটারে থাকি ৷ এবং বর্তমান উত্তর চব্বিশ পরগনার ভাটপাড়া হাই ইস্কুলে পড়ি ৷ ক্লাস নাইনে ৷ ওই ইস্কুলে একইক্লাসে পড়ার সুবাদে অামার সাথে প্রখ্যাত সাহিত্যিক সমরশ বসুর ছোট ছেলে নবকুমরের সাথে বন্ধুত্বটা দারুন ভাবে জমে ওঠে ৷ ওরা থাকতো নৈহাটি সিনেমা হলের পিছনটাতে - জর্জেস রোডে ৷ বিভুতি বাবু অমাদের ইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ৷ কাঁঠালপাড়াতেই থাকতেন ৷ ইস্কুলে অামাদের অঙ্ক করাতেন ৷ সরল সাদাসিধে মানুধ ৷ সারাক্ষন খদ্দরের পাঞ্জাবি , হাঁটু পর্যন্ত তোলা খদ্দরের ধুতি অার বগলে একটা দাদু মার্কা ছাতা নিয়ে - কি শীত , কি গ্রীষ্ম কি বর্ধা সব সময়েই চলা ফেরা করতেন ৷ ওনাকে দেখলেই অামাদের চোখের সামনে ফুটে উঠতো - মনোজ কুমার মিত্রের লেখা সেই মানুষ গড়ার একমাত্র কারিগরের একটা চলমান জীবন্ত ছবি ! ভদ্রলোকের চেহাড়ার মধ্যে ছিলো যেমন একটা অাকর্ষন এবং শ্রদ্ধার-ভক্তির ব্যাপার , তেমনি ছিলো একটা সমীহ ও ভীতির ব্যাপার ৷ কোনদিন স্যারের মুখে শুনিনি - কারোও নিন্দ...

রাখী সরদারের স্মৃতি কথা

স্মৃতিকথা ছুঁয়ে স্মৃতির শালুকভাসা জলে পানকৌড়ির মতো নিঃশব্দ ডুব মেরে কিছু স্মৃতি রাঙানো সোনালী মাছ তুলে এনেছি।অনেক দিন ধরেই আপন বোধের কন্দরে একান্ত ভাবে যা লুকিয়ে ছিল। হঠাৎ শিক্ষক দিবসের মতো একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ দিনে আমার সেই প্রিয় শিক্ষিকার কথে মনে পড়ে গেল।যাঁর কথা আমি কোনদিন ভুলতে পারবোনা।মাঝেমধ্যেই তাঁর ভাবনা চিন্তা আমার হৃদয়ে যে চারিয়ে যায় আমি টের পাই। ঠাকুর পুকুর সংলগ্ন আমতলার একটি বালিকা বিদ্যালয়ে পড়তাম। নিয়ম শৃঙ্খলার জ্বলন্ত প্রতিমা ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মাননীয়া বাণী বসু। বেহালা থেকে আসতেন ।আমি আশ্চর্য হয়ে দেখতাম এক অতি আধুনিকা নারী নবীন চিন্তাকে অদ্ভুত ভাবে জড়িয়ে রেখেছে প্রবীণতাকে ছুঁয়ে। বাস থেকে নেমে হাল্কা মাথায় ঘোমটা দিয়ে স্কুলে আসতেন।একদিন জানতে চেয়েছিলাম যে কেন তিনি মাথায় ঘোমটা দিয়ে আসেন।বলেছিলেন ওই স্থান টি তাঁর শ্বশুর বাড়ির এলাকা ঠিকই তবে সেটা বড় কথা নয় সমাজে নারীকে স্বাধীনতা দেওয়া প্রয়োজন,তবে একজন মহিলাকেও দেখতে হবে তিনি কতটা সুন্দর ভাবে তাঁর অর্জিত স্বাধীনতা কে ব্যবহার করছেন।ঘোমটা দেওয়া মানেই কিন্তু পুরুষ সমাজের কাছে পদানত হ‌ওয়া নয়...

সামসুন্নাহার ফারুকের নিবন্ধ

*প্রিয় শিক্ষক* *---------------------------* *প্রিয় শিক্ষক সম্বন্ধে লেখা আসলে বেশ কঠিন ব্যাপার* *অন্ততঃ আমার কাছে। শিক্ষক তো শিক্ষকই। জন্ম থেকে শুরু করে মানুষের জীবনে অনেকগুলো অধ্যায় পার করতে হয়। প্রতি পর্যায়েই সে কারো না কারো কাছে শেখে-----সে ব্যক্তিই হোক আর প্রকৃতিই হোক। যিনি শেখান বা শিখতে সাহায্য করেন তিনিই তো শিক্ষক। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য সে একাডেমিকই হোক আর ননএকাডেমিকই হোক।* *মূলতঃ শিক্ষকের কাজটা হলো* *ছাত্রদের সুপ্ত প্রতিভাগুলোকে জাগিয়ে তোলা, বুদ্ধিবৃত্তিকে বিকশিত করা এবং ভিতরের সম্ভাবনাকে* *সঠিক পথে এগিয়ে দিতে সাহায্য করা।* *এই শিক্ষক বলতে আমি কিন্তু শুধু এ্যকাডেমিক লাইনের শিক্ষকতাকেই বলছি না আরও হাজারো রকমের বিষয় আছে সেগুলোর কথাও বলছি। ব্রডার টার্মসে বলতে গেলে আঁকিয়ে, পটুয়া, সঙগীত, নৃত্যকলা খেলাধূলা সব বিষয়ের কথাই বলছি। সবখানেই একজন শিক্ষক গাইড করেন -----ছাত্র কতটুকু নিতে পারে আর টিচার কতটা দক্ষভাবে তাকে সাহায্য করতে পারেন তা নির্ভর করে সে মানুষগুলোর উপরেও।* *জীবনের প্রতিটি ধাপেই শিক্ষকের কাছে আমরা শিখছি। ছোটবেলা থেকে যে শিক্ষা শুরু হয় ...

মৈনাক চক্রবর্ত্তীর মুক্তকথা

শিক্ষক দিবস শিক্ষকদের হয়তো আলাদা করে কোনো দিবস হয় না। শিক্ষক, শিক্ষার আধার যিনি তিনি শিক্ষক অর্থাৎ তিনি এমন এক ব্যক্তি যার নিকট সমস্ত শিক্ষা কেন্দ্রীভূত আছে। সেই শিক্ষা কেবল পুঁথিগত শিক্ষা নয় সমাজ-সম্পর্ক-নৈতিকতা এই শিক্ষার অন্তর্গত, আর সেই শিক্ষা প্রসারের কেন্দ্র থাকেন শিক্ষক ও শিক্ষিকা। ছাত্র এবং ছাত্রী শুধু ছাত্র-ছাত্রী নয় সমস্ত মানুষ যারা শিক্ষার গন্ডি থেকে পিছিয়ে তারা শিক্ষার আলো পায়। প্রতিদিনই আমাদের মস্তিষ্কের অন্তঃস্থলে হচ্ছে শিক্ষা, আর সেই শিক্ষা রোপন করছেন শিক্ষক, তাই প্রতিটি দিনের শুরুতেই প্রতিটি শিক্ষক হয়ে ওঠেন শিক্ষা রোপনের যন্ত্র, আর সেই কারণেই প্রতিটি দিনের সূচনা হওয়া উচিত শিক্ষক দিবসে। শিক্ষক কথাটির আরো অনেক মানে আছে। শিক্ষা পাওয়া য়ার থেকে তিনি শিক্ষক তবে শিক্ষক কি কেবল স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় থাকেন? তা নয়। আমরা অনেকেই "বিদ্যে বোঝাই বাবু মশাই" এর কথা জানি কিন্তু সেই বাবুমশাই জীবনের শিক্ষা পেয়েছিলেন শিক্ষার আলো থেকে অনেক দূরে থাকা এক মাঝির থেকে। তাই এই দিনটি আজ সেই মাঝিটিও। সেই সব মানুষদের যারা আমাদের শিখতে শিখিয়েছেন, যে আমাদে...

শুভাশিস দাশের মুক্তভাবনা

দেশের জন্যও চাই আদর্শ শিক্ষক ------------------------------------------------ আর একটা শিক্ষক দিবস l সর্বপল্লী ড:রাধা কৃষণ এর জন্মদিনটিকে আমাদের দেশ শিক্ষক দিবস রূপে পালন করে আসছে l প্রতি বছর ৫সেপ্টেম্বর আসে ঘটা করে পালন হয় এই দিনটি l কোথাও সেমিনার আবার কোথাও সংবর্ধনা অনুষ্ঠান l শিক্ষক কথাটির মধ্যেই যে তাঁর মর্মার্থ লুকিয়ে এটা আমরা কত জন উপলব্ধি করি ? শিষ্টাচার ,ক্ষমাশীল এবং কর্তব্যপরায়ণতা নিয়ে এই শিক্ষক l আমরা সে সব ভুলেই যেতে বসেছি l আজ চারিদিকে যে মারণ খেলা শুরু হয়েছে তা কিসের অশনি সংকেত ? স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে কী দেখছি আমরা ? শিক্ষক -এই নামের মহিমা অনেক l শিক্ষকরা সেই মহান কারিগর যাঁদের হাতে তৈরি হয় দেশের কর্ণধার সমাজের কর্ণধার আমরা প্রকৃত অর্থেই ভুলে যাই সে সব যুক্তি ! প্রতিটি ক্ষেত্র পরিচালিত শিক্ষক দ্বারা l আর এই শিক্ষক তাঁর নিজ গুনে গড়ে তোলেন ছাত্র কে I কী শিক্ষা ,কী রাজনীতি সর্ব ক্ষেত্রেই শিক্ষককে হতে হবে মরমী তবেই সমাজটা সুশিক্ষিত হবে l আছে তেমন শিক্ষক যে নেই তা বলবনা ,যাঁর সংখ্যা সমাজে অত্যন্ত নগণ্য l শিক্ষক দিবসে একটি কথা না বললে বোধহয় অসম্পূর্...

বিশ্বজিত দাসের নিবন্ধ

।। শিক্ষক দিবস ।। আজ শিক্ষক দিবস । না কেন ,কি জন্য পালন করা হয় সেসব কথা নয় নাই বললাম আজ । একটু অন্য দিকে চলুন ঘুরে আসি । অনেকেই বলবেন যে আমার স্কুলের বা কলেজের বা ইউনিভার্সিটির শিক্ষক আমাকে অামাদের অনেক কিছুই শিখিয়েছেন । বা পাড়ার সেই দাদা বা দিদির কাছে টিউশনি পড়তাম তারা অনেককিছু শিখিয়েছেন । কেউ আবার বলবেন ,না ,আসল শিক্ষা তো আমরা বাবা মার কাছ থেকে শিখেছি , আবার অনেকে বলে আমার সবচেয়ে বড় শিক্ষক হল 'সময়',কাউর কাছে সেটা আবার অভিজ্ঞতা বা সমস্যা গুলো । তবে এখনকার ছেলেমেয়েদের কে বললে ওরা অনায়াসেই বলে দেয় আমার সাধের মোবাইল টি ,Google ,Youtube , Quora , Facebook , Screenshots & Ex Boy friend or girlfriend । এবার একটু ভিতরে যাওয়া যাক , কেস টা আসলে কি ! সত্যি কে শেখাচ্ছে এতত কিছু ! আসলে আমরা নিজেরাই শিখছি । ভালো করে ভাবুন আপনারা হয়ত ২ ই ভাই বোন , মা একটা কথা শিখিয়ে দিল ,একজন বলল আরেকজন মানে আপনি ভাবলেন ,দুর এরকম করা ঠিক হবে না ,নিজের বুদ্ধি খাটালেন ,হয়ত আবার পরে ভাবলেন মার কথা টা শুনলেই হয়ত ভালো হত । হয়েছে কখনো ? এবার একটা লাইন পড়ুন , কার লেখা ,এটা আব্দুল কালাম...

অদিতি চৌধুরীর নিবন্ধ

শিক্ষক দিবস এখন প্রায় সব সম্পর্ক উদযাপন এর জন্য একটা নির্দিষ্ট দিন রয়েছে। কোন নির্দিষ্ট দিন পালন এর অর্থ এই নয় যে বছরের বাকি দিন গুলোতে সে সম্পর্কের কোনো গুরুত্ব থাকেনা। সেই দিনগুলিতে সেই সম্পর্কটির গুরুত্ব বিশেষভাবে স্মরণ করে উদযাপিত করা হয়। যেমন বছরের বিভিন্ন দিনে বিভিন্ন দেব দেবীর পুজো আমরা করে থাকি তার মানে এই নয় যে বছরের বাকি দিনগুলোতে উত্তর দেব দেবীদের আমরা স্মরণ করি না বা পুজো করি না। পুজোর পিছনে যেমন কোন পৌরাণিক গল্প থাকে তেমনি কোন দিবস পালনের ক্ষেত্রে ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট থাকে। আমাদের ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডক্টর সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ এর জন্মদিন কেই আমরা শিক্ষক দিবস হিসেবে পালন করে থাকি। শিক্ষকরা সমাজের কান্ডারী। শিক্ষক শুধু ছাত্র ছাত্রী গড়েন না। সর্বোপরি সমাজ গড়ে তোলেন। শিক্ষা ব্যবস্থা কি সচল রাখার হাতিয়ার মূলত এদের হাতেই রয়েছে। তাই শিক্ষকদের গুরুত্ব বিশেষভাবে স্মরণ করার জন্য বছরের একটা দিন বরাদ্দ করা উচিত বলেই আমার মনে হয়। আমাদের প্রত্যেকটি মানুষই যে চারিত্রিকগুনাবলী অর্জন করেছেন বা যেটুকু সাফল্য লাভ করেছেন তার জন্য শিক্ষকদের গুরুত্ব অপরি...

লিপি ঘোষ হালদারের নিবন্ধ

।। শিক্ষা একালে ।। পিতামাতাসম আপনজন, পরম গুরু শিক্ষক;মানুষ গড়ার কারিগর এই সমাজের রক্ষক ।জ্ঞানচক্ষুর উম্মেষ হতে মানবমনের বিকাশ ,তারই দানে,তারই জ্ঞানে শুভ চেতনার প্রকাশ।পিতামাতা, নিকটজন আমাদের অভিভাবক জন্মলগ্ন হতে--শিক্ষিত জ্ঞানী,নিরক্ষর বা অজ্ঞানী- তবুও রক্ষক তথা শিক্ষকই তো বটে।শিক্ষাগুরুকে সম্মান দিয়ে তারাই তো করেন দায়িত্ব অর্পণ ,সুশিক্ষার পথে তাদের সন্তানের যাতে হয় ভবিষ্যত গঠন ।সন্তানসম স্নেহদানে ধন্য সকল ছাত্রী ও ছাত্র ,প্রকৃত শিক্ষক-যিনি ভাবেন তাদের আপন কন্যাপুত্র।শিক্ষা একালে পড়েছে ঢাকা অর্থের গর্জনে ,সামাজিক মর্যাদা এখন অর্থ উপার্জনে ।মনকে উন্নত করে প্রকৃত যে শিক্ষা ,বিনম্রচিত্তে আজ তা করে চলি ভিক্ষা ।যত দিন বাঁচা ততদিন শেখা- নয় তা পুঁথিগত ,উপার্জনে নয়, জ্ঞানার্জনে চরিত্র গঠনে শিক্ষা প্রকৃত।টাকা লক্ষ্য,টাকাই দেখায় স্বপ্ন, শিক্ষা তো উপলক্ষ!যত হোক জ্ঞানী, যতই শিক্ষিত, তবু অর্থই মোক্ষ ।সামাজিক পরিচিতি,সমাজে প্রতিষ্ঠা- আজ অর্থনির্ভর,অনৈতিক,অসৎ কাজও হয়, শিক্ষাকেই কোরে ভর।অর্থের কাছে আজ জ্ঞানের পরাজয় ,শিক্ষা মেনেছে হার- অর্থের জয় ।অর্থকে উপেক্...

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...

শিক্ষার সেকাল ও একাল ।। অমৃতা সাহা

শিক্ষার সেকাল ও একাল অমৃতা সাহা  শিক্ষক শব্দটির ব্যুৎপত্তি √শিক্ষ+ অক অর্থাৎ যিনি শিক্ষা দান করেন। শিক্ষক শব্দটি সংস্কৃত শিক্ষ ধাতু থেকে উদ্ভুত যার অর্থ বিদ্যা গ্রহণ করা, শেখা বা বিদ্যা দান করা। শিক্ষ ধাতুর সঙ্গে ক প্রত্যয় যোগে উৎপন্ন শিক্ষক যার অর্থ শিক্ষা সম্পর্কিত।          শিক্ষককে বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে প্রায় ছয় মাস বা আট মাস সে সহজাত প্রবৃত্তি অনুযায়ী শিক্ষা লাভ করে থাকে। তারপর থেকে মা বাবাই তাকে জীবনের প্রথম পাঠ দেন। কী কী করতে হয় আর কী কী করতে নেই তাই দিয়েই শিশুর প্রথম শিক্ষা শুরু হয়। অনুকরণই হলো তখন তার একমাত্র শিক্ষার মাধ্যম। তারপর কথা বলতে শেখা, আশেপাশের সামগ্রী চিনে নিয়ে তাদের নাম বলতে শেখা এভাবে ক্রমান্বয়ে শিক্ষা প্রক্রিয়া চলতেই থাকে।         প্রাচীন কালে পঞ্চম বর্ষে উপনয়ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শিশুর শিক্ষা জীবন শুরু হতো। গুরুগৃহে বসবাস করে, ব্রহ্মচর্য পালনের মাধ্যমে বাল্য ও কৈশোর কাল অতিবাহিত হতো। পুঁথিগত অধ্যয়ন, শ্রুত্বয়ন এর পাশাপাশি জীবনের অন্যান্য বিষয়েও শিক্ষা গ্রহণ করতে হ...

Five poems ।। Prasenjit Das

  Five poems of Prasenjit Das THE FLAME IS ON Life may not be a green leaf, the dews are tears in grief. Life for many maybe cruel, give me the guts for the duel. The good times passed by me, like a humming bird in destiny. If not in life then maybe after, let life be a pleasant chapter. No, I will never give up,...never, be an example for all, forever... THE OPTIMIST Never be drowned in sorrow, as if there is no tomorrow. Tomorrow is a day uncrowned, tomorrow is a time unbound. Many things are left to be done, the path of glory has already begun. The darkness shows the light, life is nothing, nothing but a fight. You will be a winner, sooner or later, the spirit of good will fight for better. The light of honesty burns bright, even in the darkest dark of the night. A LONELY FATHER'S CALL O lonely man! O lonely man! Where is thy rugged winter coat? Bore the ravages of eighty seasons, that still makes thee soul to float. O lonely man! O lonely man! Where is thy loveth destiny? Fough...

শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান ।। কৃশানু ব্যানার্জী

প্রবন্ধ শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান কৃশানু ব্যানার্জী  মানবসভ্যতার ইতিহাসে শিক্ষার স্থান যে সর্বাপেক্ষা কেন্দ্রীয় ও নির্ণায়ক — এ বিষয়ে দ্বিধার অবকাশ নেই। কারণ শিক্ষা কেবল জ্ঞানের বাহনমাত্র নয় , বরং মানুষের আত্মস্বরূপের এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ , যা সমাজ ও সংস্কৃতির গতিপথকে নির্ধারণ করে। কিন্তু শিক্ষা কেমন ছিল অতীতে এবং কেমন হয়েছে বর্তমানকালে — এই অনুসন্ধান শুধু ঐতিহাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যালোচনার সীমায় আবদ্ধ নয় ; বরং এর ভেতরে নিহিত আছে এক গভীর দার্শনিক তাৎপর্য। "সেকাল" ও "একাল" — এই দুই কালের শিক্ষা পরস্পরকে নিরন্তর প্রশ্ন করে , কখনও বিরোধিতা করে , কখনও বা পরস্পরের ওপর দাঁড়িয়েই নিজের রূপ নির্মাণ করে। অতএব , শিক্ষার সেকাল-একাল তুলনায় আমাদের কেবল তথ্যের বিবরণ নয় , মানবজীবন ও সমাজচিন্তার প্রকৃত ভিত্তি উপলব্ধি করতে হবে। মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় শিক্ষা যে একটি অনিবার্য ও মৌল প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তথাপি 'শিক্ষা' শব্দটির নিতান্ত ভৌত বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাখ্যা একে পূর্ণাঙ্গ উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়। সংস্কৃত ...

শিক্ষক ।। জীবন সরখেল

শিক্ষক  জীবন সরখেল   শিক্ষা চেতনা প্রসারে যাঁরা নিবেদিতপ্রাণ  প্রকৃতি পরিবেশ প্রাণীর   ধারক বাহক ও মান... যাঁদের স্মরণ উপস্থিতিই  কমে মিথ্যা গ্লানি  সেবায় দ্রোহেও নিরপেক্ষ  ঠেলেন সব হয়রানি। কর্ম আচরণ চিন্তন ত্যাগ  সত্য সপ্রেম নিষ্ঠায় গড়েন চিরন্তন সমাজ ভিত নীতি উদারতায়....  নিঃস্বার্থ ভাব ঠিক ভুল গুণেই  অভিজ্ঞতা দীক্ষক  বাবা মা পরিবেশ গুরুই সবার আপন শিক্ষক। __________________       জীবন সরখেল গ্রাম -বাড়াভগলদিঘী, পোস্ট -ভগলদিঘী, থানা-জয়পুর, জেলা-বাঁকুড়া। পিন-৭২২১৫৪  

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

সূচিপত্র  প্রবন্ধ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নবদ্বীপের রাস : মহাপ্রভু চৈতন্যদেব থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ।। বারিদ বরন গুপ্ত  প্রবন্ধ।। কবিতায় সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন ।। রণেশ রায় প্রবন্ধ ।। সুকান্ত ভট্টাচার্য: বিপ্লবী চেতনার কবি ।। বিচিত্র কুমার কবিতা ।। পরিযায়ী বৃষ্টি ।। সন্দীপ ভান্ডারী দুটি কবিতা : চয়ন দত্ত কবিতা ।। সমঝোতা ।। বিশ্বজিৎ বাউনা কবিতা।। ভালোবাসা।। অরুণ কুমার দাঁ কবিতা।। সময়ের গতিপথে ।। কেতকী বসু গ্রন্থ   আলোচনা।। অরবিন্দ পুরকাইত ।।  গ্রন্থ : বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের  "বাংলা সাহিত্যে মনুষ্যেতর প্রাণীকেন্দ্রিক ছোটগল্পের ধারা" ছোটগল্প।। হ্যাপি বার্থডে।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা।। অন্ধকার রাত জাগে।। অঞ্জন বল অনুবাদ কবিতা।। তুমি আসার আগে।। সুস্মিতা পাল দুটি কবিতা ।। রবীন বসু কবিতা ।। নতুন শাসন ।। মানস মণ্ডল কবিতা ।। শীত ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। সাঁঝবাতি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। চুপ কথা হৃদয়ে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য ছড়া ।। ভোর ।। বদ্রীনাথ ছোটগল্প ।। ফিরে পাওয়া ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। রূপ বদলায় ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। এভা...

স্মৃতিকথা ।। ৺বিজয়ার চিঠি ।। ভাস্কর চৌধুরী

উৎসব শেষের শূন্যতা এখন গ্রাস করে আছে আদিগন্ত। হঠাৎ ভেসে আসা ছাতিম ফুলের গন্ধ যেমন মাতাল করে দেয় ঠিক তেমনই মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে এক না ছুঁতে পাওয়া আলোর পিপাসায়। উৎসব শেষের নিভে যাওয়া সন্ধ্যেবেলার আলোয় ম্লান হয়ে আসে জীবনের টুকরো টুকরো খুশির আমেজ।  বিসর্জনের শেষে ছেলেবেলায় গোটা গোটা অক্ষরে হলদে রঙা পোস্টকার্ড আর নীলচে-সবুজ ইনল্যান্ড লেটারে দূরের সব্বাইকে পাঠাতে হতো ৺বিজয়ার চিঠি! বয়ান মোটামুটি ওই একই ― বড়দের শুভ ৺বিজয়ার প্রনাম আর যেহেতু আমরা তখন ছোট তাই আশীর্বাদ জানানোর কেউ থাকতো না। তবুও কুঁচোকাঁচা ছোট ভাইবোনদের মনের আদর কলমের ডগায় উগড়ে দিতুম সে চিঠিতে!  ৺বিজয়ার চিঠি আসলে পুজোর ছুটির শেষে হাতের লেখা করিয়ে নেবার এক অলৌকিক ষড়যন্ত্র! ইচ্ছে নেই তবুও জোর করে ওই হাতের লেখা শুধু নয়, বানান, বাক্যগঠন সব কিছু সুকৌশলে করিয়ে নেওয়ার ফন্দি। এটা বুঝেছি অনেক পরে। আর যখন বুঝতে পেরেছি তখন কিন্তু সেই চিঠি পাঠানোর মানুষগুলো মনের মধ্যে গেঁথে গেছে। তখন যেন সত্যি সত্যি মন বলতো হোক না ওই পোস্টকার্ড বা ইনল্যান্ড লেটারের একচিলতে জমি, আমার খাস দখল তো থাকবে তাতে! জানেন, এখন আর কেউ ৺বিজয়ার চিঠি পাঠায় না! পুজো ...

অসবর্ণ ।। দেবাংশু সরকার

অসবর্ণ দেবাংশু সরকার       ইন্টারভিউ দেওয়ার পর অরূপের মনে হয়েছিল চাকরিটা হয়তো সে পেয়ে যাবে। বেশ ভালোভাবেই সে ইন্টারভিউতে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছিল। সেইসঙ্গে ক্যাশ হ্যান্ডেলের তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও বলেছিল। অরূপের মনে হয়েছিল ইন্টারভিউ বোর্ডে যারা ছিলেন তাদের হয়তো অরূপের কথাবার্তা বেশ ভালো লেগেছে। বারে বারে তাদের মাথা নাড়া, মুখের হাসি দেখে অরূপের মনে হয়েছিল তারা হয়তো অরূপের প্রতি কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট। বেসরকারি চাকরি হলেও এই অফিসটা সব রকম সরকারি নিয়মকানুন মেনে চলে। প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, বোনাস সব রকম সুবিধা কর্মচারীরা পায়। চাকরির শেষে পেনশনের ব্যবস্থাও আছে। হয়তো সরকারি চাকরির মত বড় অঙ্কের  পেনশন এই কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা পায় না। কিন্তু পেনশন বাবদ প্রতি মাসে কিছু টাকা তাদের হাতে আসে। মাহিনাও খুব একটা খারাপ নয়। অর্থাৎ সরকারি চাকরির মত অত সুবিধা না থাকলেও, তুলনামূলকভাবে খুব একটা খারাপও নয়। কিন্তু একটাই অসুবিধা তাকে বাড়ি ছেড়ে থাকতে হবে। কারণ এই অফিসটা অরূপের বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে। বাড়ি থেকে প্রত্যেক দিন অফিসে যাতায়াত করা সম্ভ...

ডাকবাক্সের আত্মকথা ।। হারান চন্দ্র মিস্ত্রী

ডাকবাক্সের আত্মকথা হারান চন্দ্র মিস্ত্রী পোস্ট অফিসে কিংবা পথের পাশে, আমরা ছিলাম চিঠিগুলোর আশে। সুখ ও দুঃখের কথা থাকত লেখা ভালোবাসার আতর যেত দেখা। মুঠোফোনের দাপট গেছে বেড়ে স্বপ্ন যত সব নিয়েছে কেড়ে। পত্র লিখে পাঠায় না কেউ মোরে ব্রাত্য জীবন কাটাই কেমন করে? ধীরে ধীরে যাচ্ছি উধাও হয়ে ভারাক্রান্ত স্মৃতি আঁকড়ে ধরে। কোন মানুষ কয় না আমায় ধরে - আবার তোকে নেব আপন করে। আমরা এখন বুঝে গেছি সহে প্রয়োজনের বড় কিছু নহে। সমকালের প্রয়োজনে থেকে বিদায় নিতে হবে ভূবন থেকে। ________   হারান চন্দ্র মিস্ত্রী গ্রাম ও পো: - আমতলা, থানা - ক্যানিং, জেলা - দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পিন - ৭৪৩৩৩৭

শিক্ষক ।। রাফেল ইসলাম

শিক্ষক মানে রাফেল ইসলাম   শিক্ষক মানে বুকে টেনে  দুর্দিনে দুঃখ ভোলান,  শিক্ষক মানে আন্তরিকতায় শিক্ষা করেন দান।  শিক্ষক মানে বিদ্যা দিয়ে  আঁধার দূর করে,  শিক্ষক মানে স্নেহের পরশে ছাত্র জীবন ভরে।  শিক্ষক মানে আদর্শের উৎসাহে  মেলে ভবিষ্যতের দিশা,  শিক্ষক মানে দরদ দিয়ে  বাঁচিয়ে রাখে আশা।  শিক্ষক মানে গ্রীষ্মের দিনে  মস্ত বটের ছায়া,  শিক্ষক মানে নিবিড় ভালবাসার  শান্ত ঊষার মায়া।  শিক্ষক মানে জ্ঞানের আলোয়  সমাজ গড়ে তোলে,  শিক্ষক মানে সঠিক পথের  মূল দুয়ার খোলে।।    =============           নাম-রাফেল ইসলাম।  গ্রাম-বাগান বেড়িয়া (বিড়লাপুর)। পোস্ট-চককাশিপুর।  থানা-নোদাখালি।  জেলা-দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।  পিন নম্বর-৭৪৩৩১৮.

বছরের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন: ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

সূচিপত্র  প্রবন্ধ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নবদ্বীপের রাস : মহাপ্রভু চৈতন্যদেব থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ।। বারিদ বরন গুপ্ত  প্রবন্ধ।। কবিতায় সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন ।। রণেশ রায় প্রবন্ধ ।। সুকান্ত ভট্টাচার্য: বিপ্লবী চেতনার কবি ।। বিচিত্র কুমার কবিতা ।। পরিযায়ী বৃষ্টি ।। সন্দীপ ভান্ডারী দুটি কবিতা : চয়ন দত্ত কবিতা ।। সমঝোতা ।। বিশ্বজিৎ বাউনা কবিতা।। ভালোবাসা।। অরুণ কুমার দাঁ কবিতা।। সময়ের গতিপথে ।। কেতকী বসু গ্রন্থ   আলোচনা।। অরবিন্দ পুরকাইত ।।  গ্রন্থ : বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের  "বাংলা সাহিত্যে মনুষ্যেতর প্রাণীকেন্দ্রিক ছোটগল্পের ধারা" ছোটগল্প।। হ্যাপি বার্থডে।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা।। অন্ধকার রাত জাগে।। অঞ্জন বল অনুবাদ কবিতা।। তুমি আসার আগে।। সুস্মিতা পাল দুটি কবিতা ।। রবীন বসু কবিতা ।। নতুন শাসন ।। মানস মণ্ডল কবিতা ।। শীত ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। সাঁঝবাতি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। চুপ কথা হৃদয়ে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য ছড়া ।। ভোর ।। বদ্রীনাথ ছোটগল্প ।। ফিরে পাওয়া ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। রূপ বদলায় ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। এভা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯০তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩২ আগস্ট ২০২৫

সূচিপত্র ------------- স্বদেশ-স্বাধীনতা বিষয়ক লেখা  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার কবিতা ।। অনিন্দ্য পাল স্বাধীনতা আন্দোলনে রাসবিহারী বসু অবদান ।। শ্যামল হুদাতী উড়ান কথা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্বপ্নের ভারত ।। সৌমিত্র মজুমদার আজ আর কদর নেই ।। সতুচট্টোরাম স্বাধীনতার কবিতাগুচ্ছ ।। অভিজিৎ হালদার শহিদ ব্রত ও অন্য দুটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর স্বাধীন হবো কবে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত দুটি কবিতা ।। তুষার স্বাধীনতা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ স্বাধীনতা মানে ।। পাভেল আমান বাংলা ভাষা : বাঙালি ।। অশোক দাশ বড়দি অপরূপা দেবীর জবানীতে ক্ষুদিরাম বসু ।। সমীর কুমার দত্ত স্বাধীনতা ।। কার্ত্তিক মণ্ডল আমার দেশ ।। বিপ্লব নসিপুরী ভারতমাতার বীর সন্তান ।। আশীষ কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার আলো ।। অঞ্জনা মজুমদার আমরা স্বাধীন ।। রাফেল ইসলাম নতুন ভারত । কল্যাণ কুমার শাণ্ডিল্য রণ স্বাধীনতার রঙ ।। সফিউল মল্লিক স্বদেশ ।। জীবন সরখেল ভারতবর্ষ ।। নিশান বর্মা শতবর্ষে সুকান্ত ভট্টাচার্য স্মরণে লেখা সুকান্ত ভট্টাচার...

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস

First row (left to right): Prafulla Nalini Brahma, Shanti Ghosh, Suniti Chowdhuri and Bina Das . Second row (left to right): Kamala Dasgupta, Suhasini Ganguly, Pritilata Waddedar and Sarojini Naidu.   Third row (left to right): Abha Maity, Sucheta Kripalini, Lila Nag and Abha Gandhi. Fourth row (left to right): Indusudha Ghosh, Kalpana Dutta, Aruna Asaf Ali and Matangini Hazra. Fifth row (left to right): Basanti Devi, Renuka Ray, Phulorenu Guha and Manikuntala Sen. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে  চেনা-অচেনা বরণীয় নারী হিমাদ্রি  শেখর দাস ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষের সাথে মহিলারাও কখনও অন্তরালে থেকে কখনও প্রকাশ্যে এসে লড়াই করেছেন।  মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে লাঠিখেলা, পিস্তল চালানো, রাত্রে ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে বেরানো, পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা, জেলে যাওয়া ছিল অত্যন্ত দুঃসাহসিক কাজ। তবু তৎকালীন সমজে কোনঠাসা হয়ে থাকা মেয়েরাও  নিজ নিজ জায়গায় থেকে দেশের সেবা করেছেন তা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতই দুরুহ কাজ। তাঁদের মধ্যে দু একজন রাজ পরিবারের হলেও বেশির ভাগই ছিল সাধারণ ঘরের অতি স...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ওপর গদ্য || শিশির আজম

'ছাড়পত্র'ই আজ আমাদের ছাড়পত্র (তারুণ্যের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের শততম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য) শিশির আজম ~~~~~~~~~~~~~~~~~~ সুকান্ত জন্মেছিলেন অগ্নিগর্ভ এক সময়ে। যখন মাতৃভূমি পরাধীন। পার্টি, মার্কসবাদ, সাহিত্য — কোন কিছুই তার কাছে আলাদা ছিল না। কবিতা একটি আর্ট ফর্ম। হ্যাঁ, সত্যি। এটা আরও সত্যি হয় যদি তা মানুষকে তাড়িত করে, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে, মানুষকে ভালোবাসায় প্ররোচণা দেয়। এই পথটাই বেছে নিয়েছিলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। এর ছাপ-তাপ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ছাড়পত্রে'র পাতায় পাতায় পাওয়া যায়। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। মনে রাখা দরকার, এর পূর্বে ১৯৪০-এ প্রকাশিত হয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'পদাতিক'। আর তারও পূর্বে ১৯৩৭-এ আমরা পেলাম দিনেশ দাসের 'কাস্তে'। নিশ্চয় এসবের উত্তাপ সুকান্তের চেতনায় ছাপ ফেলেছিল। কবিতা কখনো কখনো শ্লোগান হয়ে উঠতে পারে। হোক। এই শক্তি কবিরই আছে। নজরুলকে কি আমরা অগ্রাহ্য করতে পারবো? সুভাষ মুখোপাধ্যায় বা শামসুর রাহমানকে? পিকাসোর 'গুয়ের্নিকা' অথবা জয়নুলের 'দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা' কি 'আর্ট' নয়? হ্যা আপনি প্রশ্ন করতেই পা...

মাসের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...

শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান ।। কৃশানু ব্যানার্জী

প্রবন্ধ শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান কৃশানু ব্যানার্জী  মানবসভ্যতার ইতিহাসে শিক্ষার স্থান যে সর্বাপেক্ষা কেন্দ্রীয় ও নির্ণায়ক — এ বিষয়ে দ্বিধার অবকাশ নেই। কারণ শিক্ষা কেবল জ্ঞানের বাহনমাত্র নয় , বরং মানুষের আত্মস্বরূপের এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ , যা সমাজ ও সংস্কৃতির গতিপথকে নির্ধারণ করে। কিন্তু শিক্ষা কেমন ছিল অতীতে এবং কেমন হয়েছে বর্তমানকালে — এই অনুসন্ধান শুধু ঐতিহাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যালোচনার সীমায় আবদ্ধ নয় ; বরং এর ভেতরে নিহিত আছে এক গভীর দার্শনিক তাৎপর্য। "সেকাল" ও "একাল" — এই দুই কালের শিক্ষা পরস্পরকে নিরন্তর প্রশ্ন করে , কখনও বিরোধিতা করে , কখনও বা পরস্পরের ওপর দাঁড়িয়েই নিজের রূপ নির্মাণ করে। অতএব , শিক্ষার সেকাল-একাল তুলনায় আমাদের কেবল তথ্যের বিবরণ নয় , মানবজীবন ও সমাজচিন্তার প্রকৃত ভিত্তি উপলব্ধি করতে হবে। মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় শিক্ষা যে একটি অনিবার্য ও মৌল প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তথাপি 'শিক্ষা' শব্দটির নিতান্ত ভৌত বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাখ্যা একে পূর্ণাঙ্গ উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়। সংস্কৃত ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯০তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩২ আগস্ট ২০২৫

সূচিপত্র ------------- স্বদেশ-স্বাধীনতা বিষয়ক লেখা  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার কবিতা ।। অনিন্দ্য পাল স্বাধীনতা আন্দোলনে রাসবিহারী বসু অবদান ।। শ্যামল হুদাতী উড়ান কথা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্বপ্নের ভারত ।। সৌমিত্র মজুমদার আজ আর কদর নেই ।। সতুচট্টোরাম স্বাধীনতার কবিতাগুচ্ছ ।। অভিজিৎ হালদার শহিদ ব্রত ও অন্য দুটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর স্বাধীন হবো কবে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত দুটি কবিতা ।। তুষার স্বাধীনতা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ স্বাধীনতা মানে ।। পাভেল আমান বাংলা ভাষা : বাঙালি ।। অশোক দাশ বড়দি অপরূপা দেবীর জবানীতে ক্ষুদিরাম বসু ।। সমীর কুমার দত্ত স্বাধীনতা ।। কার্ত্তিক মণ্ডল আমার দেশ ।। বিপ্লব নসিপুরী ভারতমাতার বীর সন্তান ।। আশীষ কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার আলো ।। অঞ্জনা মজুমদার আমরা স্বাধীন ।। রাফেল ইসলাম নতুন ভারত । কল্যাণ কুমার শাণ্ডিল্য রণ স্বাধীনতার রঙ ।। সফিউল মল্লিক স্বদেশ ।। জীবন সরখেল ভারতবর্ষ ।। নিশান বর্মা শতবর্ষে সুকান্ত ভট্টাচার্য স্মরণে লেখা সুকান্ত ভট্টাচার...

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস

First row (left to right): Prafulla Nalini Brahma, Shanti Ghosh, Suniti Chowdhuri and Bina Das . Second row (left to right): Kamala Dasgupta, Suhasini Ganguly, Pritilata Waddedar and Sarojini Naidu.   Third row (left to right): Abha Maity, Sucheta Kripalini, Lila Nag and Abha Gandhi. Fourth row (left to right): Indusudha Ghosh, Kalpana Dutta, Aruna Asaf Ali and Matangini Hazra. Fifth row (left to right): Basanti Devi, Renuka Ray, Phulorenu Guha and Manikuntala Sen. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে  চেনা-অচেনা বরণীয় নারী হিমাদ্রি  শেখর দাস ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষের সাথে মহিলারাও কখনও অন্তরালে থেকে কখনও প্রকাশ্যে এসে লড়াই করেছেন।  মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে লাঠিখেলা, পিস্তল চালানো, রাত্রে ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে বেরানো, পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা, জেলে যাওয়া ছিল অত্যন্ত দুঃসাহসিক কাজ। তবু তৎকালীন সমজে কোনঠাসা হয়ে থাকা মেয়েরাও  নিজ নিজ জায়গায় থেকে দেশের সেবা করেছেন তা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতই দুরুহ কাজ। তাঁদের মধ্যে দু একজন রাজ পরিবারের হলেও বেশির ভাগই ছিল সাধারণ ঘরের অতি স...

বাংলা ভাষা সাহিত্যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার ।। শুভ জিত দত্ত

বাংলা ভাষা-সাহিত্যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার শুভ জিত দত্ত   বাংলা ভাষাসাহিত্যে পরোক্ষভাবে যাঁর অবদান অতুলনীয়, সেই প্রজ্ঞাবান পণ্ডিত জয়গোপাল তর্কালঙ্কার। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮২৪ সালে কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে জয়গোপাল সেখানে সাহিত্যে কাব্যের অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত হন এবং সুদীর্ঘ বাইশ বছর অধ্যাপনা করেন। সেখানে তাঁর ছাত্রদের মধ্যে পরবর্তীকালে যাঁরা বিখ্যাত হন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,মদনমোহন তর্কালঙ্কার। জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের জন্ম রেলপথের শিবনিবাস স্টেশন থেকে আট ক্রোশ পূর্বে, নদীয়া বর্তমানে , বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলাতে বজরাপুর গ্রামে এক প্রাচীন বারেন্দ্র বংশের আবাসস্থল ছিল। এই বংশ শুদ্ধাচার ও সিদ্ধশ্রোত্রীয় ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ ছিল এবং পরবর্তী সময়ে বাসস্থান, নামকরণ ও কর্মসূত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটলেও তাদের গৌরবময় পরিচয় অক্ষুণ্ণ থেকেছে। এই বংশে বহু দেশপ্রসিদ্ধ মহামহোপাধ্যায় ও পণ্ডিত জন্মগ্রহণ করেছেন, যাঁদের কীর্তি বাংলার জ্ঞান-সাধনার আঙিনাকে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নাটোর মহারাজের দ্বার পণ্ডিত কেবলরাম তর্কপঞ্চানন এবং তাঁর...

স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী

রানী গাইডিনলিউ স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি  প্রণব কুমার চক্রবর্তী           ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু কিছু পরিচিত মুখ আর ঘটনার সমষ্টি নয় । এর গভীরে লুকিয়ে আছে অজস্র গল্প, অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ, এবং ছোট বড় অসংখ্য বিদ্রোহের কাহিনী । সংক্ষেপে এই বিশাল সংগ্রামকে তুলে ধরা কঠিন । তবে, চেষ্টা করে কিছু দিক নিয়ে আজ আলোচনা করা যাক ।           আমরা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এবং ব্যক্তিত্ব বলতে সাধারণত মঙ্গল পান্ডে, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো ব্যক্তিদের কথা এবং তাদের লড়াইয়ের কথা বলে থাকি । কিন্তু, এই সংগ্রামের পটভূমি রচিত হয়েছিল আরো বহু বহু আগে - যেখানে স্থানীয় কৃষক উপজাতি এবং সাধারণ মানুষের বিদ্রোহ ছিল এর প্রথম বীজ । ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ আন্দোলনকে প্রায়সই আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রথম লড়াই হিসাবে বলা হয়ে থাকে । তবে এর আগেও আমাদের দেশে  ফরাসি এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল । সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৫ - ৫৬ সাল),  সন্ন্যাসী বিদ্রোহ (১৭৭০ - ১৮...

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ওপর গদ্য || শিশির আজম

'ছাড়পত্র'ই আজ আমাদের ছাড়পত্র (তারুণ্যের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের শততম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য) শিশির আজম ~~~~~~~~~~~~~~~~~~ সুকান্ত জন্মেছিলেন অগ্নিগর্ভ এক সময়ে। যখন মাতৃভূমি পরাধীন। পার্টি, মার্কসবাদ, সাহিত্য — কোন কিছুই তার কাছে আলাদা ছিল না। কবিতা একটি আর্ট ফর্ম। হ্যাঁ, সত্যি। এটা আরও সত্যি হয় যদি তা মানুষকে তাড়িত করে, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে, মানুষকে ভালোবাসায় প্ররোচণা দেয়। এই পথটাই বেছে নিয়েছিলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। এর ছাপ-তাপ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ছাড়পত্রে'র পাতায় পাতায় পাওয়া যায়। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। মনে রাখা দরকার, এর পূর্বে ১৯৪০-এ প্রকাশিত হয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'পদাতিক'। আর তারও পূর্বে ১৯৩৭-এ আমরা পেলাম দিনেশ দাসের 'কাস্তে'। নিশ্চয় এসবের উত্তাপ সুকান্তের চেতনায় ছাপ ফেলেছিল। কবিতা কখনো কখনো শ্লোগান হয়ে উঠতে পারে। হোক। এই শক্তি কবিরই আছে। নজরুলকে কি আমরা অগ্রাহ্য করতে পারবো? সুভাষ মুখোপাধ্যায় বা শামসুর রাহমানকে? পিকাসোর 'গুয়ের্নিকা' অথবা জয়নুলের 'দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা' কি 'আর্ট' নয়? হ্যা আপনি প্রশ্ন করতেই পা...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন: ...

স্মৃতির আলোয় শিলিগুড়ি স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট ।। চন্দন দাশগুপ্ত

স্মৃতির আলোয় শিলিগুড়ি স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট    চন্দন দাশগুপ্ত            সালটা ছিল ২০০৫। বদলীর অর্ডারটা পেতেই মন ভাল হয়ে গেল। গত তিনবছর আমি জলপাইগুড়ি জেলার শ্রমদপ্তরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলাম। এবার আমাকে বদলী করা হয়েছে শিলিগুড়ির স্টেট লেবার ইন্সটিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টরের পদে। আমার বাড়িও শিলিগুড়িতে। সুতরাং আরো ভাল করে কাজ করা যাবে।         এই স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট ( সংক্ষেপে এস.এল.আই ) ১৯৫৪ সালে কলকাতায় কাঁকুরগাছিতে স্থাপিত হয়। ১৯৯৫ সালে এর একটি শাখা খোলা হয় শিলিগুড়িতে। প্রথমে কলেজ পাড়ার ভাড়া বাড়িতে থাকলেও ১৯৯৮ সালে এটি চলে আসে শিলিগুড়ির উপকন্ঠে দাগাপুর চা বাগানের পাশে, পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের গাছপালা ঘেরা অনবদ্য প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত নিজস্ব বাড়িতে। এটি মূলতঃ একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে বছরের বিভিন্ন সময়ে শ্রম দপ্তরের আধিকারিক, পরিদর্শক এবং অন্যান্য কর্মীদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাছাড়া এখানে অত্যন্ত সুলভে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড লেবার ওয়েলফেয়ারের একটি এক বছরের পোস্ট...

শব্দ ।। সনৎকুমার নস্কর

শব্দ সনৎকুমার নস্কর  কিছু কিছু শব্দ থাকে সুইচের মতো।   হাত দিলেই দপ্ করে জ্বলে ওঠে ব্যঞ্জনার আলো।  তখন দেখে নিই অন্তর-বাহির                  গহন আঁধারে ঢাকা পথ   শব্দ সে পথের সঙ্গী হয়৷     উপনিষদের কবি শব্দকে বলেন 'শব্দব্রহ্ম',  যখন সে দিগন্তবিস্তারী ---                    কথাটার মানে খুঁজে পাই সেসময়   গর্ভের গভীরে উচ্চারিত ধ্বনি জাগিয়ে তোলে                            আমূল  আর্তনাদ৷   শব্দেই কি শব্দের শেষ?   তারও কি নেই আত্মার মতো                       জীবনের অন্তহীন পথ?   এক হৃদয় থেকে আর এক হৃদয়ে                     সে তো করে ক্লান্তিহীন পরিক্রমা  আমাদের বাসনা-বিশ্বে সে তোলে ঝড়  আবেগমায়া দেয় ছড়িয়ে বাক্ স্পন্দের পর  অবশ্য...