আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা জয়শ্রী সরকার শিরদাঁড়াটাই নেই যে রে তোর, কোথায় ফেলে এলি? মানুষ তোকে বলবে না কেউ এটাই ভুলে গেলি! এ্যাদ্দিন তো সুখেই ছিলিস উন্নত মস্তকে কোন্ ড্যারাতে গিয়েছিলিস? ধরলো যে ভূত তোকে! শিরদাঁড়াটা খুঁজে পেলে মুক্তি পাবি ওরে গোলামগিরি করতে করতে থাকবি ঘুমের ঘোরে ! লোভ-লালসায় থাকতে থাকতে হয় যে মাথা নত শিরদাঁড়াটাও বাঁকতে থাকে পরজীবীর মতো! শিরদাঁড়াহীন মানুষগুলোর স্বরযন্ত্রই অচল সত্যি বলবে কেমন করে? চলবে থেকে সচল। কোথায় রে তোর মায়ের স্নেহ, বাবার ভালোবাসা আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা, পাবি সুখের বাসা! সুখের বাসা সত্যি খাসা, ছোট্ট সোনামণি তোর মাঝেতেই খুঁজে পাবে হীরে মাণিক খনি। তোর চোখেতে চশমা রঙিন, খোল তো রে আজ আগে দেখতে পাবি চোখের পাতায় শিরদাঁড়াটাই জাগে! ******************************************* জয়শ্রী সরকার, দিনান্তিকা, প্রেমবাজার, খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ - ৭২১৩০৬
জাতিস্মর আশীষ কুমার বিশ্বাস গল্পের শুরুটা প্রায় ষাট বছর আগের কথা । যার নাম গৌতম, ডাক নাম ছিল বাবু । তার বছর তখন ছয়-সাত হবে । আমরা বা আমি তখন একটু বড় । এক সাথেই চলতো খেলা । গোল্লা ছুট, দাঁড়িয়া বান্দা, চোর-পুলিশ । যে মাঝে মাঝে খেলা থেকে বিরত থাকতো ; সে-ই জাতিস্মর । মাঠের পাশেই ছিল একটা খেঁজুর গাছ । তাতে হাত রেখে দূরের এক গ্রামের দিকে এক মনে তাঁকিয়ে থাকতো "বাবু" । গ্রামটির নাম "বিনয় পল্লী " । মাঝে বড়ো মাঠ । হাঁটা শুরু করলে তিরিশ - চল্লিশ মিনিট লাগবে । মাঝে জলে ভরপুর দেখে কখনো যাওয়া হয়নি । বাবু কে যখন বলতাম, ওপারে কি দেখছিস? ও বলতো, ওখানে আমার ছোট মা থাকে, দিদি থাকে, আমার ভুলু কুকুর থাকে । এ কথা আমাদের বিশ্বাস হতো না । আবার খেলায় ফিরে যেতাম, খেলতাম । কিন্তু ও বসে বসে , ওপারের গাছ পালা , বাড়ি ঘর দেখতো । কাছে গেলে বলতো , ওই যে সবুজ ,কচি কলাপাতা রঙের দালান বাড়ি, ওটাই আমাদের বাড়ি ! এই ভাবে মাস ছয়, বছর গড়াতে লাগলো । মনে প্রশ্ন জাগতে লাগলো, এ টা কি মন গড়া , বা বানিয়ে বানিয়ে বলছে? সত্যি প্রকাশ হোল এক দিন । সে বাড়িতে কিছু ...