আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা জয়শ্রী সরকার শিরদাঁড়াটাই নেই যে রে তোর, কোথায় ফেলে এলি? মানুষ তোকে বলবে না কেউ এটাই ভুলে গেলি! এ্যাদ্দিন তো সুখেই ছিলিস উন্নত মস্তকে কোন্ ড্যারাতে গিয়েছিলিস? ধরলো যে ভূত তোকে! শিরদাঁড়াটা খুঁজে পেলে মুক্তি পাবি ওরে গোলামগিরি করতে করতে থাকবি ঘুমের ঘোরে ! লোভ-লালসায় থাকতে থাকতে হয় যে মাথা নত শিরদাঁড়াটাও বাঁকতে থাকে পরজীবীর মতো! শিরদাঁড়াহীন মানুষগুলোর স্বরযন্ত্রই অচল সত্যি বলবে কেমন করে? চলবে থেকে সচল। কোথায় রে তোর মায়ের স্নেহ, বাবার ভালোবাসা আন খুঁজে আন শিরদাঁড়াটা, পাবি সুখের বাসা! সুখের বাসা সত্যি খাসা, ছোট্ট সোনামণি তোর মাঝেতেই খুঁজে পাবে হীরে মাণিক খনি। তোর চোখেতে চশমা রঙিন, খোল তো রে আজ আগে দেখতে পাবি চোখের পাতায় শিরদাঁড়াটাই জাগে! ******************************************* জয়শ্রী সরকার, দিনান্তিকা, প্রেমবাজার, খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ - ৭২১৩০৬
।। ভ্রমণকাহিনি।। কংক্রিটের ঘেরাটোপে যন্ত্রচালিতের মত নির্বিকার দিনগত পাপক্ষয়। ব্যস্ততার দুরন্ত গতিতে একই কক্ষপথে নিরন্তর আবর্তমান গতানুগতিক প্রাত্যহিকতা। ছকেবাঁধা জীবনসংগ্রামের বৈচিত্র্যহীনতায় বিবর্ণ ভাবনায় গভীর অবসাদের দীর্ঘ ছায়াপাত। চেতনায় বেঁচে থাকার ঝিমমারা অনুভব। একঝলক টাটকা বাতাসের জন্য ক্লিষ্ট প্রাণের হাঁকুপাঁকু ব্যাকুলতা। তবু গড়িয়ে চলে জীবন। মনের রুদ্ধদুয়ারে ঠকঠক কড়াঘাত। কে গো তুমি? আমি গো আমি। ভিতরের বাউল-মানুষটা সাড়া দেয়। চলো গো ঘুরে আসি। কোথায়? আরে ওই যে যেখানে ---- যেখানে অচেনা আকাশ। অজানা পথ। অদেখা মানুষ। অননুভূত চারপাশ। যেখানে নিসর্গের কাব্যময়তায় প্রাণে জাগে আপনভােলা আবেগ। অনুভবে চুম্বন এঁকে যায় --- বেঁচে থাকার কতই না সুখ! ওই বাউল মানুষটাকে তখন বড় আপন মনে হয়। হাত বাড়িয়ে তার হাত ধরি। বলি, চলো গো তোমার সাথে ঘুরে আসি আবারো দূরে কোথাও, অনেক দূরে। আজো ওই বাউল-মানুষটাই ভরসা। ওর হাত ধরেই চার-দেওয়ালের বাইরে বেরিয়ে এই জগৎটাকে এখানেওখানে ছুঁয়েছুঁয়ে দেখি। এমনি ছুঁয়েদেখার যে অভিজ্ঞতার কথা এখন বলবো ---- তা' অনেকটাই পুরনো কিন্তু আমার কা...