অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় সুপ্রিয় সাহা সময় ভোর ৫টা। হাওড়া স্টেশনের কোলাহল ভেদ করে মাইকে ঘোষণা ভেসে আসছে— "২২৩০১ নিউ জলপাইগুড়ি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ০৬ নাম্বার প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে।" ধ্রুব হাতে পেপার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এমন সময় তার চোখে পড়ল—হলুদ জ্যাকেট পরা এক মেয়ে, হাতে ছোট্ট ট্রলি ব্যাগ, এগিয়ে যাচ্ছে ট্রেনের E1 কোচের দিকে। ধ্রুবর বিন্দুমাত্র ভুল হয়নি—সে নন্দিনী। সেই নন্দিনী, যার সঙ্গে একসময় অপূর্ণ প্রেমের গল্প লুকিয়ে ছিল, যা কেউ জানত না—না বন্ধু, না পরিবার। নন্দিনীকে দেখে ধ্রুব হঠাৎ চমকে উঠল। সে তাড়াহুড়ো করে পেপার দিয়ে মুখ আড়াল করল, দ্রুত ট্রেনে উঠে গেল। নন্দিনী কিছুই টের পেল না। ট্রেনে উঠে নন্দিনী গেটের কাছে দাঁড়াল, উদাস চোখে বাইরের দিকে চেয়ে রইলো হাওয়ার ঝাপটায় তার চুল এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে, তবু সে নড়ছে না। চোখদুটো স্টেশনের ভিড়ভাট্টা, আলো-আঁধারির ওপারে কোথায় যেন স্থির হয়ে আছে। মনে হচ্ছে, সে স্টেশনের ফাঁকে ফাঁকে নিজের অতীত খুঁজে ফিরছে।এই শহরেই তো কাটিয়ে দিল সাতটা বছর। সেই প্রথম কলেজ জীবন, একেবারে নতুন জায়গা, নতুন মানুষ। বন্ধু হয়ে ওঠা, আবার হারিয়ে যাওয়া, আর সবশেষে—একজনকে ভাল...
সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...