অস্তিত্ব মানস কুমার সেনগুপ্ত ' আপনাকে এই জানা আমার ফুরাবে না, সেই জানারই সঙ্গে সঙ্গে তোমায় চেনা।' কবিগুরুর এই গানের বাণীকে আশ্রয় করে আত্ম উপলব্ধির এক নিরন্তর অনুসন্ধানে চেয়েছি নিজের অস্তিত্বকে খুঁজতে। আমি কে? এই প্রশ্নের কোনো উত্তর আছে কি? অথচ আমি, আমার এই বৃত্তের মাঝে আমরা নিরন্তর ঘুরে চলেছি বিষয়-আশয় সর্বস্ব জীবনে। সাধক রামপ্রসাদ সেন যখন তার এক গানের বাণীতে বলেন 'ভেবে দেখ মন কেউ কারও নয় ', তখন আত্ম-উপলব্ধির এক অপার্থিব জগতে পৌঁছতে চায় মন। কারণ, নিমীলিত নয়নে জীবনের শেষ যাত্রায় আত্মীয়-স্বজন, বিষয় - আশয় সব কিছু ছেড়ে আমরা পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যাই। যা কিছু বা যাদের ছেড়ে চলে যাই সবই মায়ার বাঁধনে বাঁধা পড়ে ছিল এতদিন। আসলে আমিত্ব থেকে উত্তরণের সাধনা যদি কেউ করতে পারেন, তবে অনেক পার্থিব চাওয়া পাওয়ার জগত থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারবেন। আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে সে বড় কঠিন কাজ। তবে আত্ম-উপলব্ধির সেই জগতে পৌঁছতে চাই কবিগুরুর এক গানের বানীকে আশ্রয় করে। 'কাঁদাও যদি কাঁদাও এবার, সুখের গ্লানি সয়না যে আর।' সুখের আবার গ্লানি হতে পারে, সে কথা ...
।। ভ্রমণকাহিনি।। কংক্রিটের ঘেরাটোপে যন্ত্রচালিতের মত নির্বিকার দিনগত পাপক্ষয়। ব্যস্ততার দুরন্ত গতিতে একই কক্ষপথে নিরন্তর আবর্তমান গতানুগতিক প্রাত্যহিকতা। ছকেবাঁধা জীবনসংগ্রামের বৈচিত্র্যহীনতায় বিবর্ণ ভাবনায় গভীর অবসাদের দীর্ঘ ছায়াপাত। চেতনায় বেঁচে থাকার ঝিমমারা অনুভব। একঝলক টাটকা বাতাসের জন্য ক্লিষ্ট প্রাণের হাঁকুপাঁকু ব্যাকুলতা। তবু গড়িয়ে চলে জীবন। মনের রুদ্ধদুয়ারে ঠকঠক কড়াঘাত। কে গো তুমি? আমি গো আমি। ভিতরের বাউল-মানুষটা সাড়া দেয়। চলো গো ঘুরে আসি। কোথায়? আরে ওই যে যেখানে ---- যেখানে অচেনা আকাশ। অজানা পথ। অদেখা মানুষ। অননুভূত চারপাশ। যেখানে নিসর্গের কাব্যময়তায় প্রাণে জাগে আপনভােলা আবেগ। অনুভবে চুম্বন এঁকে যায় --- বেঁচে থাকার কতই না সুখ! ওই বাউল মানুষটাকে তখন বড় আপন মনে হয়। হাত বাড়িয়ে তার হাত ধরি। বলি, চলো গো তোমার সাথে ঘুরে আসি আবারো দূরে কোথাও, অনেক দূরে। আজো ওই বাউল-মানুষটাই ভরসা। ওর হাত ধরেই চার-দেওয়ালের বাইরে বেরিয়ে এই জগৎটাকে এখানেওখানে ছুঁয়েছুঁয়ে দেখি। এমনি ছুঁয়েদেখার যে অভিজ্ঞতার কথা এখন বলবো ---- তা' অনেকটাই পুরনো কিন্তু আমার কা...