শ্যামল হুদাতী
--------------------------------
"শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড" – এই কথাটি আজ বহুল প্রচলিত হলেও এর যথার্থতা প্রতিনিয়ত প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ, আমাদের দেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা নানা ধরনের সংকটে জর্জরিত। একদিকে যেমন শিক্ষার গুণগত মান কমছে, অন্যদিকে আবার শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য—জ্ঞান অর্জন, মনুষ্যত্বের বিকাশ, কর্মদক্ষতা তৈরি, এবং মূল্যবোধ গঠনের চেয়ে এখন ফলাফল নির্ভর একটি পদ্ধতিই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে শিক্ষিত হলেও আমরা যোগ্য নাগরিক তৈরি করতে পারছি না। এই পরিস্থিতিকে বলা যায়—"শিক্ষার অব্যবস্থা"।
আমাদের দেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা স্তর—প্রতিটি পর্যায়েই নানান সমস্যা বিরাজমান। অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেই পর্যাপ্ত অবকাঠামো, পর্যাপ্ত শিক্ষক, কিংবা শিক্ষার জন্য অনুকূল পরিবেশ। প্রায়শই দেখা যায়, একটি বিদ্যালয়ে একজন মাত্র শিক্ষক দিয়ে চলছে একাধিক শ্রেণির পাঠদান। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও গবেষণার অভাব, আধুনিক প্রযুক্তির সীমিত ব্যবহার এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ শিক্ষার মানকে নিচে নামিয়ে এনেছে।
আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিক্ষা। অনলাইনে ক্লাস গোটা শিক্ষাকে একটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। ছাত্র শিক্ষক অভিভাবক শুধু নয় শিক্ষা অর্থনীতিতেও বিরাট প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট- " অ্যানুয়াল অফ এডুকেশন রিপোর্ট"(ASER) ২০২২ সালে প্রকাশিত হয়েছে। ৩০,০০০ কর্মী, ৬১৬ জেলায়, ১৯০৬০ বিদ্যালয়ের ৭ লক্ষ শিক্ষার্থীর ওপর এই সমীক্ষা করা হয়েছে। আমাদের দেশে প্রত্যেক রাজ্যের গ্রামীন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান এবং এই সঙ্গে ছাত্ররা কি শিখেছে,কতটা প্রয়োগ করতে পারছে, তাদের এবং শিক্ষকদের উপস্থিতির হার কি রকম পরিবর্তিত হয়েছে, বাবা-মা কতটা লেখা পড়া জানেন ইত্যাদি আনুষঙ্গিক সব তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করে রিপোর্ট তৈরি করে।
এই রিপোর্ট দেখলে বোঝা যায় গ্রাম ভারতের শিক্ষা চিত্রের কতটা পরিবর্তন হয়েছে। দুটি প্রধান তথ্য উঠে এসেছে:
(১) পড়ুয়ার সংখ্যা বৃদ্ধির হার নিচের দিকে,এবং
(২) ছাত্রদের পড়ার, লেখা এবং অংক করার দক্ষতা সবটাই অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রায় নিম্নগামী।
এই রিপোর্টে চিহ্নিত করা হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের আর্থিক সামাজিক পরিস্থিতি বেসামাল । বেশিরভাগ অভিভাবকরা কাজ হারানো কিংবা তাদের আর্থিকাবস্থা অবনতির কারণে ভালো সংখ্যক ছাত্রছাত্রীরা বেসরকারি বিদ্যালয় থেকে সরকারি বিদ্যালয়ে যেতে বাধ্য হয়। এর ফলে অনেক ছোট ছোট বেসরকারি স্কুল উঠে যায়।
স্বাধীনতার আগে থেকেই আমরা দেখতে পাই পশ্চিমবঙ্গ বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা বিভিন্ন জায়গায় বিচ্ছিন্নভাবে বহু মানুষের নিরলস পরিশ্রম এবং বদান্যতায় অনেক স্কুল গ্রামেগঞ্জে গড়ে উঠেছিল। পরবর্তীকালে আমরা দেখতে পাই সরকার সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা মেনে ক্রমে ক্রমে স্কুলগুলো অধিগ্রহণ করে এবং অর্থনৈতিক দায়িত্ব নেয়। ১৯৭০ সালের আগে পর্যন্ত এটাই ছিল প্রধান বিদ্যালয় শিক্ষা ব্যবস্থা। একই পাঠ্যসূচি আর একই পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু ছিল। অবশ্যই দু'চারটে ইংরেজির মাধ্যম বিদ্যালয় থাকলেও পরীক্ষা ব্যবস্থা মূলধারার শিক্ষায় কোন উল্লেখযোগ্য ছাপ ছিল না।
এই ধারায় শিক্ষা ব্যবস্থা মধ্যবিত্ত শ্রেণি তৈরি করেছে এবং লালন পালন করেছে। শিক্ষা যে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার সেই ব্যবস্থা সরকার মান্যতা দিয়েছিল। ১৯৭১ সালের পরবর্তী অধ্যায় বিনামূল্যে শিক্ষার ধারণা বাস্তবায়িত হতে শুরু করে। আবার ওই আমলেই ১৯৮১ সালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি বন্ধ করা হলো কোঠারি কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী । তখন ভারতের অধিকাংশ রাজ্যে প্রাথমিক স্তরে ইংরেজি পড়ানো হতো না। যদিও পশ্চিমবঙ্গে অনেক গুণীজনেরা সরকারের এই সিদ্ধান্তে বিরোধিতা করে পথেও নেমেছিলেন । সরকারি ব্যবস্থায় পাঠ্যসূচি এবং পড়ানো ধরনের কিছু পরিমার্জন ও পরিবর্তন আনা হয়। কিন্তু যথাযথ প্রয়োগে আন্তরিকতা আর দক্ষতার অভাব ছিল বলে জানা যায়।
আবার অন্যদিকে বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের ঢালাও ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ইংরেজি আমাদের আভ্যন্তরীণ কাজের ভাষা শুধু নয় উচ্চ শিক্ষারও ভাষা। শিক্ষিত শহরে মধ্যবিত্ত অভিভাবকরা শিক্ষার মান নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিহার করতে শুরু করেন এবং অচিরেই সেই ছাপ জেলায় জেলায় পড়তে শুরু করল। কিন্তু শিক্ষা যে সাংবিধানিক অধিকার সেই দাবি হারানোর প্রথম ধাপ। এই প্রসঙ্গে জানাই সংবিধানের আর্টিকেল ২১এ,শিক্ষার অধিকার, ছয় থেকে চৌদ্দ বছর বয়সী সকল শিশুকে রাষ্ট্র বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রদান করবে।
ইদানিং একটা জিনিস আমাদের চোখে পড়ছে যে রাষ্ট্রের মূল লক্ষ্য এখন দাঁড়াচ্ছে শিক্ষার বেসরকারিকরণ এবং শিক্ষাকে ক্রয়যোগ্য পণ্যে রূপান্তরিত করা। কিন্তু গরিব লোকেরা কোথায় যাবে? শিক্ষা যে সাংবিধানিক অধিকার সেটা তারা ক্রমশই হারাতে শুরু করেছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষা যে আসল শিক্ষা সেটা রাষ্ট্রের প্রশাসন ভুলতে শুরু করেছে। উচ্চ শিক্ষার মান ও উৎকর্ষতা বিশ্বের দরবারে দেশের নির্ণায়ক হয় ঠিকই কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষাকে অবহেলা করে নয়। উচ্চ শিক্ষা বেসরকারিকরণ নীতি অনেক আগেই নেওয়া হয়েছে এবং বিদ্যালয়ের শিক্ষাকে সে পথে হাঁটানোর জন্য কোভিড পরিস্থিতি আশীর্বাদ হয়ে গেল। দেশের আপামর মধ্যবিত্ত পরিবারের পক্ষে উচ্চমূল্য দিয়ে উচ্চশিক্ষা কেনার ক্ষমতা সম্ভব নয়। সেই জন্য বেসরকারি ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখতে ব্যাংকে এসেছে "এডুকেশন লোন"। প্রায় বিনা বাধায় আমরা মেনে নিয়েছি যে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা আর নাগরিকের অধিকার এটাই হয়ে গেল নাগরিকদের ঋণের বোঝা। কিন্তু নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা এডুকেশন লোনের নির্ণায়ক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারা এবং সাথে সাথে রাষ্ট্র সাংবিধানিক দায়বদ্ধতা ও পালন করলো না। তারা চিরকাল ভুখাই থেকে যাচ্ছে।
এরচেয়েও মারাত্মক, নির্বিকার রাষ্ট্র পরোক্ষে মোবাইল অ্যাপ নির্ভর শিক্ষা প্রবর্তনের উদ্যোগ নিচ্ছে। যা কিনা বহু জাতিক ভান্ডারকেই মজবুত করবে। ধীরে ধীরে শিক্ষার অঙ্গনে ভুখা মানুষরা ভুখাই থেকে যাবে। আরো যন্ত্রণাদায়ক, নিজের মেধা নয় পরিবারের আর্থিক অবস্থার আনুকুল্যে শিক্ষা কিনতে হচ্ছে।
শিক্ষা অব্যবস্থার মূল কারণগুলো একটু যদি খতিয়ে দেখি -
(১) বর্তমান পাঠ্যক্রম শিক্ষার্থীদের চিন্তাশক্তি, বিশ্লেষণ ক্ষমতা কিংবা সৃজনশীলতা গঠনের পরিবর্তে মুখস্থ বিদ্যার উপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে। ফলাফল ভালো করতে গিয়ে তারা শুধুই পড়ে—"কীভাবে পাস করা যায়"। চিন্তা বা বিশ্লেষণ করার সুযোগ থাকে না।
(২) বর্তমান শিক্ষা মূলত ডিগ্রি বা সার্টিফিকেট অর্জনের প্রতিযোগিতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 'কে কত নম্বর পেল'—এই হিসাবই এখন বড় হয়ে উঠেছে। কিন্তু কেউ খোঁজ নেয় না, শিক্ষার্থী সত্যিই কিছু শিখেছে কিনা।
(৩)বিদ্যালয়গুলো কার্যকরভাবে শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা কোচিং সেন্টার, প্রাইভেট টিউশনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। অনেক শিক্ষকও বিদ্যালয়ে ঠিকমতো ক্লাস না নিয়ে প্রাইভেট শিক্ষায় উৎসাহী হচ্ছেন। ফলে শিক্ষা পরিণত হয়েছে এক ধরনের পণ্যবাণিজ্যে।
(৪) শিক্ষকের দক্ষতার অভাব ও অনুপ্রেরণার সংকটে ভুগছে আমাদের শিক্ষা। অনেক শিক্ষকেরই নেই যথাযথ প্রশিক্ষণ বা পড়ানোর পদ্ধতির জ্ঞান। আবার অনেক শিক্ষক শুধুই চাকরি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন—শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ গঠনের প্রতি যাঁদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
(৫) আমরা মাঝে মাঝে দেখতে পাই শিক্ষায় রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। পাঠ্যবই প্রণয়ন, শিক্ষক নিয়োগ, ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতি—সব জায়গায় রাজনৈতিক প্রভাব স্পষ্ট। এর ফলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সহিংসতা, পক্ষপাতিত্ব এবং দুর্নীতি জন্ম নিচ্ছে।
(৬) আমরা দেখতে পাই কর্মমুখী শিক্ষার অভাব।
বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ছাত্রদের এমন কিছু বিষয় শেখায়, যা বাস্তব জীবনে প্রায়শই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ে। তাই ডিগ্রি থাকলেও চাকরি বা কর্মসংস্থানের উপযোগী দক্ষতা অনেকের থাকে না।
এইসব সমস্যার সম্মিলিত ফল হলো—একটি অযোগ্য, অনুপ্রাণিতহীন, আত্মবিশ্বাসহীন প্রজন্ম। হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতিবছর পাস করলেও তাদের বড় অংশই কর্মহীন থাকছে। আবার যারা চাকরি পায়, তাদের মধ্যেও দক্ষতার ঘাটতি লক্ষণীয়। একদিকে শিক্ষার মান কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে এর উপর খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ওপর চাপ বাড়ছে
এমতাবস্থায় আমাদের কি করা উচিত:
(১) পাঠক্রমে সংস্কার আনা।চিন্তাশক্তি, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও ব্যবহারিক জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে নতুন পাঠ্যক্রম তৈরি করতে হবে।
(২) শিক্ষকের প্রশিক্ষণ ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি দরকার। শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দিতে হবে এবং তাদেরকে সামাজিক ও নৈতিকভাবে দায়িত্ববান করে তুলতে হবে। শিক্ষকতা যেন শুধু চাকরি না হয়ে ওঠে—একটি মিশন, সেই চেতনা ফিরিয়ে আনতে হবে।
(৩) পরীক্ষা ব্যবস্থায় আনতে হবে আমূল পরিবর্তন।শুধু লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ছাত্রের মেধা যাচাই করা সম্ভব নয়। শ্রেণিকক্ষে অংশগ্রহণ, প্রকল্প কাজ, উপস্থাপন দক্ষতা ইত্যাদির মাধ্যমে মূল্যায়নের পদ্ধতি চালু করতে হবে।
(৪) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাজনৈতিক প্রভাব কমাতে হবে।শিক্ষা খাতকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা জরুরি। শিক্ষার পরিবেশ হতে হবে স্বাধীন, মুক্ত এবং শিক্ষার্থী বান্ধব।
(৫) কর্মমুখী ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা চালু করতে হবে। কারিগরি শিক্ষা, আইটি শিক্ষা, ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ ইত্যাদির উপর গুরুত্ব দিয়ে কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার ঘটাতে হবে। তাছাড়া, ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারে শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী করে তুলতে হবে।
(৬)সংবিধানের আর্টিকেল ২১এ,শিক্ষার অধিকার, ছয় থেকে চৌদ্দ বছর বয়সী সকল শিশুকে রাষ্ট্র বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রদান করবে।
শিক্ষা শুধুমাত্র পাঠ্যবই পড়ে ডিগ্রি অর্জনের বিষয় নয়; এটি একটি জাতিকে গঠন করার প্রক্রিয়া। বর্তমান শিক্ষার অব্যবস্থা শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রেই নয়, সার্বিকভাবে জাতির অগ্রগতিতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাই দেরি না করে এখনই শিক্ষা সংস্কারে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য সরকারের পাশাপাশি শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থী এবং সমাজের প্রতিটি সচেতন মানুষকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। একমাত্র একটি দক্ষ, মানবিক ও ন্যায়নিষ্ঠ শিক্ষাব্যবস্থাই পারে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে।
আজকের শিক্ষার্থীরাই আগামী দিনের নেতৃত্ব দেবে। তাই তাদের হাতে যদি আমরা একটি দুর্বল ও বিকলাঙ্গ শিক্ষাব্যবস্থা তুলে দিই, তবে ভবিষ্যৎও হবে দুর্বল। এই অব্যবস্থাকে চিহ্নিত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়াই এখন সময়ের দাবি।
--------------------------------------------------------------
শ্যামল হুদাতী
357/1/13/1, Prince Anwar Shah Road,
P.O. Jodhpur Park,
Kolkata - 700 068
Mobile no. 9831800191
WhatsApp no.9831800191
Mail id - hudaati007@gmail.com
Comments
Post a Comment