রহস্যের আঁধার
সুচন্দ্রা বসু
গ্রামের ধূলোময় রাস্তা ছায়ার মতো নীরব। চারপাশে নেই আলো, নেই শব্দ, শুধু দূরে দূরে ঝিমুনি তুলছে মাটির পুরোনো কুঁড়ে ঘরগুলো। বিকাশ কাঁধে ছোট্ট টর্চ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আজকের রাতটা বিশেষ।
"চন্দ্রগ্রহণ," গ্রামের প্রবীণেরা জানিয়েছে।
তাদের বিশ্বাস—রাহু গ্রাস করবে চাঁদকে।
তাদের বিশ্বাস—অশুভ জাদু আজ কাজ করবে।
বিকাশের মনে ব্যথার এক ধরণের জোরালো জ্বালা।
"কিন্তু সত্যটা কোথায়?" সে ভাবছিল।
তার হাতে এক পুরোনো জার্নাল, যেটা সে অনেকদিন ধরে লুকিয়ে রেখেছে।
প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের লেখা—
"পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়লে গ্রহণ ঘটে। মন্ত্রপাঠ আর ঢাক-ঢোলের কোন প্রয়োজন নেই।"
বিকাশের বন্ধু সুস্মিতা তার পাশে। সে মৃদু স্বরে বলল,
"বিকাশ, তুমি কি সত্যিই এমন অদ্ভুত ধারণা নিয়ে এগিয়ে যাবে? আমাদের গ্রামের প্রবীণেরা বলছে, এটি দোষারোপের রাত।"
বিকাশ হেসে বলল,
"আমি নিশ্চিত, বিজ্ঞানই সত্যের পথ। আজ রাতেই প্রমাণ করবো।"
তারা পৌঁছালো গ্রামের প্রাচীন মঠঘরের সামনে। মঠঘরটির অন্ধকার গহ্বরে আজ অনেক মন্ত্রপাঠ হচ্ছে। গ্রামের প্রবীণেরা ঢাক-ঢোল পেটাচ্ছে, করতাল বাজাচ্ছে, শঙ্খ ফুঁ দিচ্ছে।
আকাশে মেঘ জমে আসছে। চাঁদের মুখ আংশিক গোপন হতে শুরু করেছে।
বিকাশ ছোট্ট টেলিস্কোপটি খুলে বসলো। তার চোখে যেন নতুন আশার আলো জ্বলে উঠল। সে শুরু করল পরিমাপ। প্রতি সেকেন্ডে চাঁদের অবস্থান, পৃথিবীর ছায়ার প্রভাব… সে লিখছে… লিখছে…
সুস্মিতা নিঃশব্দে পাশে বসে চোখে জল ধরে তাকিয়ে আছে।
"আমাদের সামনে সত্যটা আসছে," বিকাশ বলল ভেতরের দৃঢ় আত্মবিশ্বাস নিয়ে।
তারপর হঠাৎ, গ্রামের প্রবীণদের একজন করুণ স্বরে বলল,
"রাহু আসছে… চাঁদ খাবে… ভয় করো… ভয় করো…"
বিকাশের কন্ঠ শান্ত, নির্ভীক:
"নাহ… এটা রাহু নয়। এটা পৃথিবীর ছায়া।"
আকাশে চাঁদের ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যাওয়া দৃশ্য। বিকাশের চোখে মায়ার আঁধার যেন ভেঙে পড়ছে। সে জানল, এই রাতটি তার জীবনের প্রথম সত্যিকারের যুদ্ধে পরিণত হয়েছে।
তখনই, বিকাশের হাত থেকে টেলিস্কোপটি পিছলে যায়…
সে মুহূর্তে তার হৃদস্পন্দন যেন থমকে গেল।
চাঁদ পুরোপুরি গায়েব হয়ে গেল…
"এখনই প্রমাণ দেখাতে হবে," বিকাশ চিন্তিত মনে বলল।
তার কণ্ঠস্বরে নতুন আত্মবিশ্বাসের প্রতিধ্বনি।
গ্রহণের রাত গভীর হতে লাগল। মঠঘরের ভেতরে মন্ত্রপাঠ, ঢাক-ঢোল আর শঙ্খধ্বনি যেন পৃথিবীর আওয়াজ চিরতরে ছাপিয়ে যেতে চায়।
গ্রামবাসীর চোখে ভীতি, মুখে শঙ্কার আভা।
"রাহু আসছে… চাঁদ খাবে… অসংখ্য পাপ-অশুভ জড়াবে…"
প্রবীণদের গলায় যেন অন্য এক জাদুকরী আকাঙ্ক্ষা বাজছে।
তাদের বিশ্বাস এখনও অটুট।
তবে বিকাশের মনে কিছু অন্য।
"এটা মিথ্যাচার," সে ভাবছিল, "আমি আজ প্রমাণ করবো—বিজ্ঞান সত্যকে ফাঁকি দিতে পারে না।"
তারা এসে জমা হল এক খোলা ময়দানে। বিকাশ পাশে দাঁড়িয়ে টেলিস্কোপ, নোটবুক আর একটি হাতের ল্যাম্প হাতে নিয়ে।
সুস্মিতা তার পাশে দাঁড়িয়ে কাঁপতে কাঁপতে বলল,
"বিকাশ, তুমি নিশ্চিত কি? গ্রামের প্রবীণেরা আজ রাত জুড়ে বলছে, এই কাজ করলে আমরা অভিশপ্ত হয়ে যাব।"
বিকাশ মৃদু হেসে বলল,
"আসুন দেখি… পৃথিবীর ছায়া ও চাঁদের অবস্থান—সব হিসেব ঠিক আছে। মন্ত্রপাঠ আর ঢাক-ঢোলের ছায়া এখানে কোনো ভূমিকা রাখে না।"
গ্রামবাসীর কন্ঠে ধীরে ধীরে সন্দেহের ভাব জেগে উঠতে শুরু করল।
একজন প্রবীণ বলল,
"তোমার এই প্যাঁচানো যন্ত্র দিয়ে কী দেখাতে পারবে?"
বিকাশ ধীরে ধীরে তার টেলিস্কোপে তাকিয়ে চাঁদের পর্যবেক্ষণ শুরু করল।
তার নোটবুক খুলে একটি সূক্ষ্ম রেখাচিত্র আঁকতে লাগল।
প্রতিটি সেকেন্ডে চাঁদের অবস্থান, পৃথিবীর ছায়ার প্রভাব আর তার নিজস্ব গণনা…
"এই রেখাটি দেখুন," বিকাশ বলল, "চাঁদ আংশিকভাবে ঢেকে যাচ্ছে, ঠিক যেমনটা আমরা গণনা করেছি। আর এখন পুরোপুরি ঢেকে যাচ্ছে, কারণ পৃথিবীর ছায়াই চাঁদের ওপর পড়ছে।"
গ্রামবাসীর চোখে সন্দেহ ও অবিশ্বাসের ঢেউ।
এক প্রবীণ আরেক প্রবীণকে বলল,
"এ কি সম্ভব?"
আরেক প্রবীণ উত্তরে বলল,
"বিকাশ তো শহরের পণ্ডিতের মতো কথা বলছে। হয়তো সে কোনো মায়া দেখাচ্ছে।"
তবে বিকাশ স্থির।
"আমি আপনাদের সামনে প্রকৃতির ভাষা বলছি," সে বলল, "নামমাত্র মন্ত্রপাঠ নয়, এই তো প্রকৃতির নিরব সাক্ষ্য।"
হঠাৎ, মেঘের পর্দা ছিঁড়ে গেল। চাঁদের খণ্ডাংশ আংশিকভাবে আলোকিত হতে শুরু করল।
বিকাশ চোখ গাম্ভীর্যতে উজ্জ্বল করল।
"এখানে দেখুন। সূর্যের আলো আস্তে আস্তে হারিয়ে যাচ্ছে, পৃথিবীর ছায়া চাঁদের ওপর পড়ছে।
এই তো বৈজ্ঞানিক সত্য।"
গ্রামবাসীর চোখে অবিশ্বাস আর বিস্ময়ের মিশ্রণ।
প্রবীণেরা একে অন্যের দিকে তাকিয়ে বিস্ময়ে নীরব।
সুস্মিতা কাঁদতে কাঁদতে বিকাশকে ধন্যবাদ জানালো—
"তুমি আমাদের অন্ধকার থেকে মুক্ত করেছ।"
সেই রাত বিকাশের জীবনের এক নতুন সূচনা।
আধুনিকতা ও বিজ্ঞানচেতনার পথিকৃৎ হয়ে তার সংগ্রাম শুরু হল।
আর গ্রামবাসী ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করল—কুসংস্কার নয়, জ্ঞানের আলোই পথ দেখায়।
গ্রহণের পর অবিরাম রাত।
গ্রামবাসী এখনও স্থির।
বিকাশ জানত, প্রথম প্রমাণ দেখানো মাত্র চলবে না।
এখন তাকে এই সন্দেহ ও বিশ্বাসের জালে জর্জরিত মানুষের মন জয় করতে হবে।
পরদিন সকালবেলা, গ্রামের প্রধান মঞ্চে বিকাশ দাঁড়িয়ে তার নোটবুক খুলল।
গ্রামের প্রবীণেরা, সুস্মিতা, অঞ্জনা, ছোট বড় ছেলে-মেয়ে, প্রত্যেকে উপস্থিত।
তাদের চোখে মিশে আছে বিভ্রান্তি আর কৌতূহল।
বিকাশ মৃদু স্বরে বলল,
"গত রাতের ঘটনা আমি কেবল পর্যবেক্ষণ করেছি। এখন আপনাদের কাছে গণিতের ভাষায় প্রমাণ উপস্থাপন করবো।"
গ্রামবাসীর মধ্যে কেউ কেউ অস্থির, কেউ কেউ অধৈর্য।
এক প্রবীণ সরাসরি প্রশ্ন করল,
"তোমার গণনা কীভাবে নির্ভুল?"
বিকাশ নির্বিকারভাবে নোটবুক থেকে চিত্র তুলে ধরে বলল,
"এই হলো সূর্য, এই হলো পৃথিবী, এই হলো চাঁদ।
সূর্যের আলো পৃথিবীর পৃষ্ঠে এসে চাঁদে পড়ে না যখন পৃথিবী সরাসরি সূর্য ও চাঁদের মাঝখানে অবস্থান নেয়।
পৃথিবীর ছায়া ধীরে ধীরে চাঁদের ওপর পড়ে এবং গ্রহণ সম্পূর্ণ হয়।
এটা মন্ত্রপাঠের ফল নয়, প্রকৃতির নিয়ম।"
তার অঙ্কিত রেখাচিত্র আর গণনার প্রতিটি ধাপ দেখিয়ে বিকাশ স্পষ্ট করল।
"আপনারা চাইলে, পরবর্তী চন্দ্রগ্রহণেও এই প্রক্রিয়া আমি আবার দেখাতে পারি।"
গ্রামবাসীর চোখে একধরনের সন্দেহ আর কৌতূহল।
এক প্রবীণ একটু সরল স্বরে বলল,
"তুমি কি সত্যিই আমাদের অন্ধবিশ্বাস ভুল প্রমাণ করছ?"
বিকাশ বলল,
"অন্ধবিশ্বাস কখনো সত্যের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে না। জ্ঞানের আলো যতই ছোট হোক না কেন, তা অন্ধকার ভেদ করে প্রবাহিত হয়।"
সুস্মিতার চোখে জল আর অঞ্জনার মুখে আশার হাসি।
গ্রামবাসীর অনেকের মনে নতুন প্রশ্ন জেগে উঠল।
প্রথমবারের মতো তাদের অন্তরে জেগে উঠল নতুন বোধ—
"আমরা ভুল বিশ্বাসে আটকা ছিলাম।"
শেষে গ্রামের প্রবীণ প্রধান বিকাশের হাতে হাত দিয়ে বললেন,
"তোমার সাহস ও জ্ঞানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
আজ থেকে আমরা অন্ধবিশ্বাসের বাঁধন ভেঙে নতুন পথে চলব।"
সূর্য উঠে এল।
গ্রাম জেগে উঠল নতুন আশার আলোয়।
বিকাশ জানল, আজকের এই বিজয় শুধু তার নয়।
এটা সকলের—সমস্ত মানুষের জন্য।
"গ্রহণ শেষ, কিন্তু জ্ঞানের গ্রহণ চলছে।"
গ্রামবাসীর মধ্যে বিকাশের জ্ঞানের জয় যেন ধীরে ধীরে আলো হয়ে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করল।
তবু, তার নিজের অন্তরের অন্ধকার সহজে হালকা হয়ে আসছিল না।
তার মায়ের চোখে এখনও মিশে ছিল চিন্তার ছায়া।
"বিকাশ, তুমি তো জানো… আমাদের পরিবার এই কুসংস্কারের ছায়া দিয়ে গড়ে উঠেছে," মা বললেন কষ্টে ভরা কণ্ঠে, "আমার পিতাও বলতেন, গ্রহণের রাতে করতাল পেটাতে হয়। রাহু-চন্দ্র-সূর্য এই জটিল সম্পর্ক আমরা বুঝবো না।"
বিকাশ হৃদয়ের গভীর থেকে বলল,
"মা, আজ রাতের ঘটনা শুধু গ্রামের জন্য নয়। আমাদের নিজের পরিবারের জন্যও এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা।
আমি চাই, তুমি বিশ্বাস করবে বিজ্ঞানকে।"
মা কাঁদতে কাঁদতে মুখে বললেন,
"বিকাশ, আমি তোমার জ্ঞানকে সম্মান করি… কিন্তু আমাদের পরিবারে বিশ্বাস আর প্রথার মূলে দাঁড়িয়ে আছে ভয়ের আঁধার।
তাই একা তোমার জন্য এই পথ চলা সহজ নয়।"
বিকাশের চোখে অশ্রু জমল,
"আমি জানি মা, পথ কঠিন। কিন্তু আমি থামবো না।
আমাদের সংসারের এই অন্ধকার কাটাতে হবে।"
সুস্মিতা, অঞ্জনা ও গ্রামের অন্য তরুণেরা পাশে দাঁড়িয়ে বলল,
"বিকাশ ভাই, আমরা তোমার পাশে আছি।
বিজ্ঞান আমাদের নতুন প্রেরণা।"
পরিবারের মধ্যে এই প্রথমবার যেন দ্বন্দ্ব প্রকাশ পেতে লাগল।
বিকাশের পিতার কঠিন গম্ভীর মুখ।
"তুমি আমাদের প্রথা ভঙ্গ করছো, ছেলেকে?
রাহুর ভয়ে আমরা গড়ে তুলেছি এই জীবন।"
বিকাশ বলল,
"বাবা, প্রথা কখনো সত্যের উপরে থাকে না।
প্রকৃতির নিয়ম মানুষকে বিভ্রান্ত করে না।
আমার চেষ্টাই শুধু আপনাদের জন্য।"
অবশেষে বিকাশের মায়ের চোখে আলোর একটি ঝিলিক।
"তুমি অনেক সাহসী, বিকাশ," তিনি বললেন, "তুমি আমাকে বিশ্বাস করতে শিখিয়েছো।"
সেই মুহূর্ত বিকাশ বুঝল—সবাই তার সাথেই।
বিশ্বাসের অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসা সেই প্রথম আলো এত নরম, এত উজ্জ্বল।
আজ থেকে তারা সবাই মিলে চলবে নতুন জ্ঞানের পথে।
তাদের সংসারের এই নতুন জ্ঞানযাত্রা শুরু হল।
"বিকাশের সংগ্রাম ছিল শুধুমাত্র চন্দ্রগ্রহণের সত্য উদঘাটন নয়,
এটা ছিল পরিবার ও সমাজকে অন্ধকার থেকে জ্ঞানের আলোর পথে চলার অভিযান।"
গ্রামবাসীর হৃদয়ে আজ অন্য এক তরঙ্গ।
আগের দিনের ভয়, অন্ধবিশ্বাস আর সন্দেহ যেন বাষ্প হয়ে উধাও।
বিকাশের জ্ঞানের আলোয় গ্রাম জেগে উঠতে শুরু করল।
তবু, সে জানত—এই যাত্রা এখনও শেষ হয়নি।
এক বিকেলে, বিকাশ গ্রামের স্কুলের পুরোনো ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে বলল,
"আজ থেকে আমরা 'বিজ্ঞান ক্লাস' চালু করবো।
যেখানে শেখাবো—পৃথিবীর ছায়া কেন চাঁদের ওপর পড়ে,
কুসংস্কারের চারণ কি ভয় দেখানো নয়,
বরং আমাদের জীবনকে অন্ধকারে আটকে রাখার একটি জাল।"
সুস্মিতা, অঞ্জনা, গ্রামের শিশুরা ক্লাসরুমে উত্তেজনায় ভাসছে।
বিকাশের কণ্ঠে উজ্জ্বল আত্মবিশ্বাস।
"জ্ঞান কখনো সীমাবদ্ধ নয়।
প্রতিটি প্রশ্নের পেছনে রয়েছে একটি উত্তর।
আপনাদের প্রশ্ন থাকলে জিজ্ঞাসা করো, আমরা একসাথে উত্তর খুঁজে বের করবো।"
এক জন ছোট্ট মেয়ে কন্ঠ কাঁপিয়ে বলল,
"বিকাশ ভাই, রাহু কোথায়?"
বিকাশ হেসে উত্তর দিলো,
"রাহু শুধুই একটি পুরোনো মিথ।
চাঁদের গ্রহণ ঘটে পৃথিবীর ছায়ার কারণে।
আর সেই ছায়ার নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে নেই।
তবে আমরা বুঝতে পারি—প্রকৃতির নিয়মের পেছনে রয়েছে সৌন্দর্য ও নিয়মিত সত্য।"
গ্রামের প্রবীণেরা আজ আর মন্ত্রপাঠ করেন না।
তাদের চোখে উঠে এসেছে নয়া আশা।
ছোট ছোট শিশুরা বিকাশের পাশে বসে জানতে চায়—"পরবর্তী গ্রহণটা কখন?"
"পরবর্তী গ্রহণে আমরা আবার একসাথে পর্যবেক্ষণ করবো।
জ্ঞান আর বাস্তবতা মিলিয়ে দেখবো কিভাবে পৃথিবী তার নিজস্ব ছায়া প্রক্ষেপণ করে," বিকাশ বলল।
গ্রাম যেন নতুনভাবে জেগে উঠল।
প্রতিটি মানুষ, প্রতিটি হৃদয় বিকাশের সাথে জ্ঞানের সেতুবন্ধনে আবদ্ধ হল।
এবার আর কেউ বলবে না—রাহু খায় চাঁদ।
কারণ তারা বুঝেছে—প্রকৃতির ভাষা কুসংস্কারের ভাষার চেয়ে শক্তিশালী।
"জ্ঞান ছড়িয়ে দেয় নতুন আশা।
আশা জন্ম দেয় নতুন জীবন।
এভাবেই অন্ধকার থেকে আলোয়ের পথ শুরু হয়।"
Comments
Post a Comment