সেরা ছবি: পিন্ডারি হিমবাহ মানস কুমার সেনগুপ্ত কিছু পর্বত প্রেমী বন্ধুর উৎসাহে চলেছি কুমায়ুন হিমালয়ের বিখ্যাত পিন্ডারি হিমবাহের পথে পদযাত্রায়। সেই প্রথম হিমালয়ের গহীন পথে পদযাত্রায় যাওয়া। যাত্রাপথে দুরন্ত ডাকুরি পাসের চড়াই অতিক্রম করে প্রায় পঞ্চাশ কিলোমিটার যাত্রা শেষে পৌঁছলাম ফুরকিয়া বনবাংলো। পরদিন ভোর চারটেয় আমাদের গাইড - কাম- পোর্টার লছমন সিং বরফ ঢাকা বিপদসংকুল পথে টর্চ জ্বালিয়ে আমাদের পথ দেখিয়ে নিয়ে চলল সাত কিলোমিটার দূরে পিন্ডারি হিমবাহের পথে। প্রায় ১২-১৩ হাজার ফুট উচ্চতায় হাঁড় কাপানো ঠান্ডায় লছমনের পিছনে ক্যামেরা নিয়ে আমি। আমার পিছনে আরও পাঁচ বন্ধু সহযাত্রী। তৎকালীন উত্তর প্রদেশ সরকার থেকে বিজ্ঞাপন দেওয়া হতো -' Pindari A trekker's Paradise '. সেই স্বর্গের পথে চলেছি, মনে এক অদ্ভুত অনুভূতি। চারদিকে একটু একটু করে আলো ফুটছে। সামনে দৃশ্যমান অনেক নামী-অনামী কুড়ি হাজার ফুট অধিক উচ্চতার শৃঙ্গ। অবশেষে পৌঁছে গেলাম সেই স্বর্গীয় ভূমিতে। সামনে দৃশ্যমান ছাঙগোছ শৃঙ্গের গা বেয়ে নেমে আসা অপরূপ পিন্ডারি হিমবাহ। ১৯৮৫...
জাতিস্মর আশীষ কুমার বিশ্বাস গল্পের শুরুটা প্রায় ষাট বছর আগের কথা । যার নাম গৌতম, ডাক নাম ছিল বাবু । তার বছর তখন ছয়-সাত হবে । আমরা বা আমি তখন একটু বড় । এক সাথেই চলতো খেলা । গোল্লা ছুট, দাঁড়িয়া বান্দা, চোর-পুলিশ । যে মাঝে মাঝে খেলা থেকে বিরত থাকতো ; সে-ই জাতিস্মর । মাঠের পাশেই ছিল একটা খেঁজুর গাছ । তাতে হাত রেখে দূরের এক গ্রামের দিকে এক মনে তাঁকিয়ে থাকতো "বাবু" । গ্রামটির নাম "বিনয় পল্লী " । মাঝে বড়ো মাঠ । হাঁটা শুরু করলে তিরিশ - চল্লিশ মিনিট লাগবে । মাঝে জলে ভরপুর দেখে কখনো যাওয়া হয়নি । বাবু কে যখন বলতাম, ওপারে কি দেখছিস? ও বলতো, ওখানে আমার ছোট মা থাকে, দিদি থাকে, আমার ভুলু কুকুর থাকে । এ কথা আমাদের বিশ্বাস হতো না । আবার খেলায় ফিরে যেতাম, খেলতাম । কিন্তু ও বসে বসে , ওপারের গাছ পালা , বাড়ি ঘর দেখতো । কাছে গেলে বলতো , ওই যে সবুজ ,কচি কলাপাতা রঙের দালান বাড়ি, ওটাই আমাদের বাড়ি ! এই ভাবে মাস ছয়, বছর গড়াতে লাগলো । মনে প্রশ্ন জাগতে লাগলো, এ টা কি মন গড়া , বা বানিয়ে বানিয়ে বলছে? সত্যি প্রকাশ হোল এক দিন । সে বাড়িতে কিছু ...