Skip to main content

Posts

Showing posts with the label মুক্তগদ্য

পুজো... ।। ঋতুপর্ণা ঘোষ

  পুজো.. ঋতুপর্ণা ঘোষ রোজ ভোর চারটে নাগাদ ঘুম ভেঙে যায় অ্যালার্ম ছাড়াই অফিসের জন্য। চেষ্টা করেও পারিনা আর নিজেকে ঘুম পাড়াতে। উঠে বসি। আজও ওই একই সময়ে ঘুম ভাঙলো ঢাকের শব্দে,বাইরেটা অন্ধকার। বাইরের বারান্দায় হাঁটি। গাড়ির আওয়াজ এই ভোরবেলাতেও। ঠাকুর দেখার হিড়িক।পাঁচ দিনে দশ দিক দেখে ফেলতে হবে। পুজো পরিক্রমা। থিম কালচার। নতুন জুতো। নতুন জুতোর ফোস্কা জেগে থাকবে ব্যাথা হয়ে।পাশে প্রিয় সঙ্গী। একই কথা।তবুও প্রিয়। পুজো আসছে আসছেই ভাল।সবেরই আরম্ভ ভাল।ফাঁকা মণ্ডপের চেয়ে অনেক বেশি প্রিয় মণ্ডপের ত্রিপল লাগানো,গোল চেয়ার বৈঠক! আলোর মালা ঝুলছে। আকাশের রং গোলাপি, নীল মিশে অদ্ভুত। শিফন শাড়ির মতন। লোডশেডিং জামা। বাই কালারের দুপাট্টা।আকাশের কিছুটা রং ধার করে নিজের গায়ে লাগিয়ে নিলাম ভোর ভোর। তিনটে পাখি উড়ে গেল গায়ে গা লাগিয়ে। বাবা,মা,বন্ধু,প্রেমিক,প্রেমিকা?বাড়িতে  পায়রা প্রচুর।ভোরবেলায় এদের খুব আনন্দ ,শব্দে ভয়,আওয়াজ হলেই উড়ে যায়। একটা আরেকটাকে বিরক্ত করছে। ঠুক করে ঠোঁট বসালো গায়ে। উড়ে গেল সে অন্য দেওয়ালে।আলোর মালাগুলো বড্ড প্রিয়। একদম ছোট ছোট আলো। ফুলের মতন ফুটে আছে যে...

সংগীত বিষয়ে শিশির আজমের মুক্তগদ্য

পিয়া বিন নাহি আবত চাইন (১৯২৫) শিশির আজম ♦ সুর আসলে প্রকৃতিতেই মিশে আছে। আমাদের সবার ভেতরেই সুর রয়েছে। হয় তো সব সময় টের পাইনে। তা বলে তো আমাদের এই জগৎ থেকে সুর নেই হয়ে যাবে না, যায় না। সুর না থাকলে দুনিয়া নেই, আমরা নেই। উস্তাদ আব্দুল করিম খাঁর গলায় প্রতিবার যখন রাগ ঝিঁঝিটে এই 'পিয়া বিন নাহি আবত চাইন' (১৯২৫) গানটা শুনি তখন আমার প্রতিদিনকার যাপিত পরিবেশ মুহূর্তে পরিবর্তিত হয়ে যায়। আমার চারপাশ থেকে যাবতীয় কলুষতা-হিংসা-বেদনা মিলিয়ে যায়। আমি সেই নিষ্কলুষ মায়াবী জগতের বাসিন্দা হয়ে যায় যে জগৎ যুদ্ধবাজ নেতারা ছুঁতে পারে না। যেখানে মানুষের অসহায়তা নেই, লোভ-শঠতা-ঘৃণাবোধ নেই। এই গানটা আমরা রোশনারা বেগম, ভিমসেন যোশি, ফরিদা খানমসহ অনেক উস্তাদের গলায় শুনেছি। মুগ্ধ হয়েছি। বড়ে গোলাম আলি খাঁও তার নিজস্ব ভঙ্গীতে গেয়েছেন। প্রমথেশ বড়ুয়া পরিচালিত ১৯৩৬ সালের 'দেবদাস' সিনেমায় গেয়েছেন কে এল সায়গল। গানটিতে লিপসিং করেছেনও উনি। তবে সত্যি কথা হলো, কখনও কখনও যেন মনে হয়েছে এরা সবাই নিজেদের সংগীত-সক্ষমতার ক্যারিশমা দেখিয়েছেন। এতে এই গানের মায়া-সরলতা-মোহনীয়তার পরশ থেকে আমরা কি কিছুটা বিচ্যূত হয়েছি? ন...

মুক্তভাবনা ।। কী বলব! ।। বন্দনা সেনগুপ্ত

কী বলব! বন্দনা সেনগুপ্ত   এত কিছু বলার আছে যে মনে হচ্ছে চেপে থাকলে বোধহয় দম আটকেই মরে যাব। অথচ, কাউকে কিচ্ছুটি বলছি না। মেয়েটা ডিউটি করছিল। কি ডিউটি? না, সেবা। সে ছিল ডাক্তার। মেরে ফেলল কে? সেও ডাক্তার! জানি আপনারা বলবেন বিচারাধীন বিষয়। প্রমাণ হওয়ার আগে অপরাধী ঘোষণা করা যায় না। ঠিক কথা। কিন্তু, কিছু না করলেও দায়িত্ব প্রধানেরই। কত অভিযোগ আসছে। ওষুধ পাচার। অঙ্গ পাচার। মধুচক্র। নেক্রোফিলিয়া। ছাত্র ছাত্রীদের সুবিধা দেওয়া। জানি না ভবিষ্যতে আরও কি কি উঠে আসবে। এই সবই আপনারা জানেন। তীব্র প্রতিবাদ ও ধিক্কার জানাচ্ছেন। কিন্তু, অনেকে প্রশ্ন করছে কেন? এখন কেন? কারণ, আমরা ভয় পেয়েছি। ধর্ষণ করে খুন কি আগে হয় নি? তাদের কারুর কারুর কি সাজা হয় নি? তাহলে এখন নতুন কি? কোথাও না কোথাও তো রোজই হচ্ছে। তাহলে? কারণ, এই মেয়েটির সঙ্গে আমরা একাত্ম বোধ করছি। ভয় পাচ্ছি আমার মেয়েটির সাথেও এমন হবে না তো? শুধু তাই নয়। সে ভয় তো আগেও ছিল। কিন্তু, এই নৃশংসতা ও প্রশাসনিক দুর্নীতি বড্ড বেশি খোলাখুলি হয়ে গেছে। এও আপনারা সবাই জানেন। আমি ভাবছি অন্য কথা। মেয়েটিকে আমরা সবাই আমাদের ঘরের মেয়ে বানিয়ে ...

অণুনিবন্ধ ।। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ।। হাবিবা খানম

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় হাবিবা খানম  ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে যার লেখা পড়ে প্রকৃতার্থে মননে এক অসম্ভব ভালোলাগা সংবেদনশীলতা নিরবধি প্রশান্তি অনুভব করতাম, মাঝে মাঝেই সৃষ্টির সাগরে ডুব দিয়ে খুঁজে পেতাম বাংলার অফুরন্ত সৌন্দর্যের রূপ রস বর্ণ গন্ধ তিনি হলেন সকলের প্রিয় লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নিরিখে বলা যায় বিভূতিভূষণের সাহিত্য যেন পল্লী বাংলা কে নতুন করে পাঠকের সম্মুখে উপস্থাপিত করেছিল। যথার্থ সাহিত্য যে আমাদের চিরন্তন মননের খোরাকের পাশাপাশি বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা সঙ্গী হয়ে উঠতে পারে তার অব্যর্থ উদাহরণ বিভূতিভূষণ। বাংলা সাহিত্যে প্রকৃতি, নান্দনিকতা, নিসর্গ, আর গ্রাম্য জীবনকে কেউ যদি সবচেয়ে নিখুঁতভাবে সাহিত্যে ফুটিয়ে তুলে আনেন, তিনি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়। চরিত্রের উপস্থাপন, অতুলনীয় গদ্য আর দৈনন্দিন জীবনকে বাস্তবিকভাবে সাহিত্যে তুলে আনা থেকে ভাষার অপরূপ উপস্থাপন সবকিছু মিলিয়ে তার লেখা বিশেষ স্থান দখল করে নিয়েছে বাংলা সাহিত্যে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিঃসন্দেহে বলা যায় প্রকৃতির জীবন শিল্পী। বাংলা কথা সাহিত্যের ব্যাপ্তিতে যার তুলনা পাওয়া ভার।বাংলা কথাসাহিত্য...

মুক্তগদ্য ।। বর্ষা সংক্রান্ত ।। নীলম সামন্ত

বর্ষা সংক্রান্ত নীলম সামন্ত কথা ছিল বৃষ্টি হবে পাঁচদিন৷ আজ সাতে পড়ল। বৃষ্টির সাথে ঝড় বেড়েছে৷ বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে৷ ঝড় হলে আমার ভয় করে। কি জানি আবার কোথায় কার ঘর ভাঙে। দুদিন ধরেই দেখছি একটা গেছো ইঁদুর ছুটে বেড়াচ্ছে ঘরের মধ্যে। সকালের দিকে পাখিরা ঢুকে পড়ে৷ প্রজাপতি, মৌমাছি, ফড়িং কেউ বাদ যায় না৷ এসব দেখলে নিজেকেই জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে "এই তোর নাম কি রে?"  আমার সঠিক কোন নাম নেই৷ যে যা নামে ডাকে৷ কখনোওবা আমি নিজেই বদলে নিই কাজের ফাঁকে৷ আজকাল সেটাও হয় না৷ বর্ষাকাল। কাজও কম। তবে কাজ কোনদিনই কম হয়না। জমা হয়। যেমন লন্ড্রি ব্যাগ কাপড়ে ডাঁই হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটা টবের মাটি ধুয়ে পাইপের মুখে আটকে আছে৷ এই সব দেখলে ভয়ানক অসুখ করে চোখ দুটোতে।  'বৃষ্টি' কথাটাই একটা চরম অসুখের নাম। অথচ স্রষ্টাদের এই ঋতুতেই হাত খোলে৷ কবিরা লিখে ফেলেন শ্রেষ্ঠ কবিতার সিরিজ৷ গল্পকাররা কত যে প্রেমের জন্ম দেন৷ আমি অপেক্ষা করে থাকি একটা কদমফুলের৷  গতকাল ইতিহাসের সামনে হঠাৎ চেয়ে বসলাম একটা ভরা কদম। সে শোনালো রাসের মেলা। দেখালো কদমে সাজানো পাখি। পাখির কথা বলতে গিয়ে তার চোখ দুটো আকাশ হয়ে যায়৷ একদিন এই চোখে জানালা এঁকে...

মুক্তগদ্য ।। আবর্জনা ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী

আবর্জনা  কৌশিক চক্রবর্ত্তী  আবর্জনা সরিয়ে দেখছি নীহারিকার উচ্চতা। যারা ফেলে গেছে শাসনযন্ত্র, তাদের দিকে আঙুল উঠেছে যথারীতি। স্তুপে নির্মীয়মান নগরায়ন। খেলে যাচ্ছে সলোমানের জিন। আরো কয়েকটা পারমার্থিক দিন বেছে সরাতে চেয়েছি জঞ্জাল। বরং সেগুলোকে ধরা হয়েছে বিধিভঙ্গের সময় হিসাবেই৷ কালো রুমালে মুখ দেখা যায় স্পষ্ট। ভাতের খিদে মিটে যাবে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতেই। জন্ম নেবে দ্রবীভূত স্থলপথ। দিনের আলোয় বেছে রাখছি যাবতীয় প্রতিবন্ধকতা।  হিসাব চেয়েছ আত্মরক্ষার? ঝুলে থাকা ল্যাম্পপোস্টের গায়ে কিভাবে লিখে রেখেছ অপ্রাপ্তির শ্লোগান? ভেবে দেখো, ধার করা পাখায় ঘোরে অবিমিশ্র রাত। আলো আর অন্ধকারের মাঝে সেইটুকু অযথা আবর্জনা।  আমি কি প্রতিবন্ধী তাই? বিংশ শতাব্দীর গোড়ায় তখন জন্মান্তরের ভিড়।  স্পষ্ট হোক জলবায়ু। বাতিল খুঁটির পাশে অবশেষে উদ্ধার হোক ঘোলাটে কয়েকটা চোখ। ========================= কৌশিক চক্রবর্ত্তী  165/A, ক্রাইপার রোড পো : কোন্নগর  জেলা - হুগলি পিন : 712235

মুক্তগদ্য ।। অমাবস্যার রাত ।। রবিউল ইসলাম মন্ডল

অমাবস্যার রাত রবিউল ইসলাম মন্ডল নিঝুম রাত ।   হঠাৎ ঘুম ভেঙেগেল । ইলেকট্রিক না থাকায় ঘর ছেড়ে বারান্দায় ।  ঘোরতর অমাবস্যার রাতে আকাশে দেখার কি থাকে?   "আমি" নিজে আজ প্রথম এমন সময় আকাশ পানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলাম। অজস্র তারায় আকাশটা কেমন সেজে উঠেছে।  তারার অস্পষ্ট আলোতেও প্রকৃতি সত্যিই মোহনীয় সাজের দ্যূতি ছড়াচ্ছে।  যারা এই আকাশ দেখেনি তারা বুঝবে না এর কি দুর্নিবার আকর্ষণ।    মেয়েটার  উপর হয়তো অবিচার করা হচ্ছে। এর আগে কেন দেখেনি ধরিত্রির এমন মন মোহিনী রূপ !  খোলা মাঠে যেন চাঁদটা ওর ছানাদের অতন্দ্র পাহারায় ।  তারাগুলি যেন তাদের মায়ের ডাক শোনার অপেক্ষায় । ভোর হলেই ভয়ঙ্কর তপনরূপী হিংস্র জন্তুটা হানা দেবে শিকারের উপর ।  নক্ষত্রমাতা প্রভাতের পূর্বেই সন্তানদের নিয়ে চলে যাবে নিরাপদ স্থানে । ফিরবে পরের নিশিতে । ------------------------   রবিউল ইসলাম মন্ডল শিক্ষক- বহিরা ভাগ্যবন্তপুর বি,এম, হাই স্কুল (উঃমাঃ)  

মুক্তগদ্য ।। শুভেচ্ছা ।। রজত চন্দ্

শুভেচ্ছা রজত চন্দ্ এই ব্রহ্মাণ্ড কচ্ছপের নিঃশ্বাসের নিশানায় নীল আকাশের সাথে মিশে গেছে, মাঝ রাতের সময় তারাদের আলিঙ্গন কেমন হয় বড় জানতে ইচ্ছে করে,বর্ষাকালে নয় শীতের শীতল বায়ুর মতন হালকা পেখম ময় ময়ূরের নাচ দেখার জন্য কার যেন চিকন চোখ ঠান্ডায় ব্যথা করছে, রাতের পরিচয় এর চেয়ে নদী অনেক শান্ত আমার চোখকে নদীর পরিধির সাথে মিলিয়ে দেবো, নদী আমার মনের ব্যস্ত, আমার শান্ত ভাবনার সাথে রাতের তারাদের মতন গতির দৃষ্টি নিক্ষেপ করবে। হে পৃথিবী একটা পার তোমার বড় দুঃখ , তাই তোমার ওপার কে জানালাম তারা আমাকে কেউ নববর্ষের শুভেচ্ছা জানায় না। =============== Rajat Chanda Kharpara,Natunpally, Baidyabati, Hooghly Pin-712222

মুক্তগদ্য ।। সুরের ধারা ঝরে ।। বিশ্বজিৎ কর

সুরের ধারা ঝরে বিশ্বজিৎ কর 'আমার হিয়ার মাঝে' আজও সুরের ধারা ঝরে! সুরের সেই লীলায়িত ছন্দে সুধার নূপুরধ্বনি অনুরণিত হয়!  'তোমার খোলা হাওয়া'-য় আজও সুরের ধারা ঝরে! সুরের সেই মিষ্টি বাতাবরণে অঞ্জনা নদীর তীরে চন্দনী গ্রামের পোড়ো মন্দিরে আশ্রয় নেওয়া কুঞ্জবিহারীর একতারার ছন্দ অনুভূত হয়!  'ভালোবেসে সখী নিভৃতে যতনে' আজও সুরের ধারা ঝরে! সুরের সেই আদুরে কবিতায় লাবণ্য-র অব্যক্ত প্রেমের আকুতি প্রতিধ্বনিত হয়!  'মম চিত্তে নিতি নৃত্যে' প্রতিনিয়তই সুরের ধারা ঝরে! সুরের সেই নিরবিচ্ছিন্ন ধারায় মেঘলাদিনে মাঠে দেখা কৃষ্ণকলির কালো হরিণ-চোখের প্রতিচ্ছবি আজও উঁকি দিয়ে যায়!  'গ্রামছাড়া ঐ রাঙামাটির পথ'-এ সুরের ধারা ঝরে! সেই সুরের বন্ধনে জমিহারা উপেনের প্রতি বঞ্চনার কথকতা আজও কষ্ট দেয়!  'প্রাণ ভরিয়ে দিশা হরিয়ে'-ও যখন সুরের ধারা ঝরে, তখন দেবতার গ্রাসের রাখালের বাঁচবার আর্ত চিৎকার অদ্ভুত এক যন্ত্রণা দেয়, রাজার চিঠির অপেক্ষায় জানালার গরাদে মাথা রাখা অসুস্থ অমলের ছটফটানি চোখের জল রোধ করতে পারে না, সরল সাদাসিধে হরিপদ কেরাণীর জীবনযাত্রায় হিসাবের গরমিল দেখা দেয়।  ঝরে পড়া...

মুক্তগদ্য ।। অনুভবে রবীন্দ্রনাথ ।। আরতি মিত্র

অনুভবে রবীন্দ্রনাথ  আরতি মিত্র সত্য চিরসুন্দর , চিরজয়ী ও চির অম্লান। জীবনের প্রতি পদক্ষেপে সত্যকে যদি আশ্রয় করা যায়, তাহলে মানব কখনও বঞ্চনার বেদনা অনুভব করে না। সৃষ্টিময়ী নারী তাঁর সৃষ্টির পথকে সুখ, দুঃখ, সত্য, মিথ্যার ছলনায় ভরিয়ে রেখেছেন। মিথ্যা বিশ্বাসের দ্বারা সহজ সরল  জীবনের পাত্র  পূর্ণ করেছেন। মহত্ত্বের পশ্চাতে এই বঞ্চনাই কাজ করে চলেছ। তার জন্য কোন গোপনতার আশ্রয় গ্রহণ করেননি। ছলনাময়ী নারীর ছলনায় মানব কিন্ত বিভ্রান্ত হয়নি। মানবের সহজ বিশ্বাস ছলনাময়ীর দৃষ্ট পথকে স্বচ্ছ করে তুলেছে। বহির্পাশ্ব কুটিলতাময় হলেও  অন্তর তার সমুজ্জ্বল, সুকঠিন, দীপ্তিময় । সহজ বিশ্বাসের আলোকে মানব অন্তর হয় শুচিশুভ্র, এই আলোকস্নানে সত্যকে সে জীবনে  উপলব্ধি করতে সমর্থ হয়। হাসিকান্না সুখদুঃখময় এই জগৎ। জীবনের পথে চলতে তাই মানবকে দুঃখকষ্ট ভোগ করতে হয়। সত্যের মধ্য দিয়ে সেই পরমপুরুষের জন্য মানবাত্মার অসীম আকুলতা পরিলক্ষিত হয়।  কিন্ত পার্থিব জগতের মায়ামোহতে সে জর্জরিত।  তাই এ সমস্ত বাধাকে দূরে সরিয়ে সেইপথে যেতে হবে যে পথে শ্রেয়কে লাভ করা যায়। শ্রেয়কে লাভ করা ...

মুক্তগদ্য ।। ভালোবাসা আনলিমিটেড ।। বন্দনা পাত্র

ভালোবাসা আনলিমিটেড বন্দনা পাত্র  মাঘের বিদায়ের সময় হয়েছে। ফাল্গুন বলছে আসছি,আসছি.... গঙ্গার ধারে পড়ন্ত রোদে একলা বসে সময়ের সময় গুনছি। দূরে এক হলুদ পাখি গাছের ডালে বসে একভাবে ডেকে চলেছে।কেবল বলে, "বৌ কথা কও...,বৌ কথা কও...."    আমি মনে মনে বললাম, আজ মৌনী অমাবস্যা। মৌন থাকি। মনের কথা না--ই -বা বললাম।  পূর্ণিমা আসতে দেরি আছে। এই যে পূর্ণিমা চলে গেল, ওখানেই ভালোবাসা থমকে গিয়েছিল।  আবার পূর্ণিমা এলে মাঘী-চাঁদ আমাকে পথ দেখাবে। রহস্যময় নির্বাক তারারা আকাশে জ্বলবে। আগামীর ভালোবাসা শুক্রের সুন্দরী প্রেয়সীর অপেক্ষায়। আর আমি সময়ের সমুদ্রে বসে বসে মা গঙ্গার জল ছুঁয়ে বলছি, ওগো ভালোবাসা তুমি কেন অসমাপ্ত? --কী ভীষণ ঠান্ডা হাওয়া! তার সাথে কথা বলি ফিসফিস করে। ওগো বাতাস তুমি যে বড় শীতল! ফাগুনের ফুল ফুটে ওঠে শিমুল বনে।পলাশের মালা নিয়ে বসে কে যেন গান গায়। ভালোবাসা ঘর বাঁধে পলাশের বনে।সেখানেই সমাপ্ত নয় ফাগুনের গান।  ফিসফিস করে যায় দখিনা বাতাস বসন্ত এলে।তবু  তো বকুল মন সিঁথি রাঙায় লাল আবীরে। একলা গোধূলির জলে ডুবতেই থাকে সূর্য। রয়ে যায় প্রেম কথা। পরদিন এল...

মুক্তগদ্য ।। বিষাদ ।। লালন চাঁদ

              দুচোখের গভীরে দাঁড়িয়ে আছে বিষাদ। জলে তার ছায়া। প্রতিবিম্বে প্রতিবিম্বে বিস্ফোরণ। ভাঙছে হৃদয়। বিষাদের ঢেউয়ে মিশে যাচ্ছে নদী। হৃদয়ের নীলনদ।             হাওড়া ব্রিজের উপর তখনো দাঁড়িয়ে আছে মেয়েটি। রুক্ষ চেহেরা। আলুথালু চুল। আধ ময়লা নীলাম্বরী উড়ছে হাওয়ায়। হাওয়া তার শরীরে। ভুরভুর করে আদিম শরীর থেকে বেরিয়ে আসছে শরীর শরীর গন্ধ। ফিরে আসছে আদিম রাত। গাছে গাছে পাখি। নীরব। দুচোখ বন্ধ করে ঘুমোচ্ছে পৃথিবী।           ওদিক থেকে কারা চিৎকার করছে, আমাদের নৌকো ডুবে গেছে বিষাদ সাগরে। আমরা ভাসছি স্রোতে। এ সাগরের তল নেই। অতল জলে বিষাদ। টলতে টলতে কে কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে কেউ জানে না। মেয়েটিও টলতে টলতে উঠে এসে দাঁড়িয়েছে হাওড়া ব্রিজে। তার গা থেকে বেরিয়ে আসছে বিষাদের গন্ধ।            খাটের উপর দম্পতি। নিশুতি রাত। খাট ভাঙছে না। নিঃশব্দ। খাটের উপর বিষাদ। দুজনের বুকের ভেতর জমে উঠেছে বিষাদ। কথা নেই। এমন কি দুজনের মুখ দেখাদেখিও নেই। দুজন দুদিকে মুখ করে পড়ে আছে খাটে। যেনো তালগাছ। বিষাদে ব...

মুক্তভাবনা ।। সুখের সন্ধান ।। আরতি মিত্র

সুখের সন্ধান আরতি মিত্র চির অতৃপ্তিই মানুষের নিত্য সহচর। চাহিদার কখনও শেষ হয় না, ক্রমাগত তা সীমা অতিক্রম করে; একটা পূরণ হলেই আরেকটার পেছনে ছুটে যায়।  মানুষ নিজেই জানে না কতটা পেলে সে খুশীর সাগরে ভাসবে ,  কতটা না পেলেই বা জীবনের সব আনন্দ মাটি হয়ে যাবে। সুখ-শান্তি যে কখনও বৈভবের উপর নির্ভরশীল নয় একথা  জানা নেই। লোভ মনুষ্যত্বের বিনাশ ঘটায়।  সুপথ ছেড়ে বিপথের উদ্দেশ্যে পাড়ি দেয়। চলার নেশায় কোথায় থামতে হবে সেটাও মনে রাখে না। অচিরেই সুখ হয় অসুখের নামান্তর । এই পরিস্থিতিতে তাই  সুখ অধরাই থেকে যায।  মানবমনে এই   সুখানুভূতি বড়োই আশ্চর্য স্থানে অবস্থান করে --   যথা, অতি বৃহৎ অট্টালিকার  রাজসিক শয়নগৃহেও শান্তির ঘুম আসে না --     আবার উন্মুক্ত আকাশের নীচে ফুটপাথের  বিছানার নিশ্চিন্ত আশ্রয় গভীর ঘুমকে সাদরে আহ্বান জানায় ।      তবুও  স্ব স্ব বস্তুতে পায় না আনন্দের আস্বাদ , তখন জীবন হয়ে ওঠে নিতান্তই  লবনাক্ত , বিস্বাদ।         চরম ভুল করে ঠিক তখন,  যখন   অপরের সম্পদকে ...

মুক্তগদ্য ।। গন্ধের যা কিছু (দ্বিতীয় কিস্তি) ।। তাপসী লাহা

  মু ক্ত গ দ্য গন্ধের যা কিছু  (দ্বিতীয় কিস্তি) তাপসী লাহা   ওই গন্ধটাই বয়ে নিয়ে বেড়ায় পুরানো ইতিহাসের দস্তখত, আগে ঘটা সমস্ত ভুলের ধারাবিবরণী সনতারিখ সমেত। আর ইতিহাস আয়নার মত   থালায় লেগে থাকা ভুলগুলো   দেখালে রাগ হয় বরং, মুছে দিতে ইচ্ছে করে অনেকের। কাটাকুটি চলে তারপর। সত্যের গণহত্যা। অনাথ শিশুর মত অভিভাবকহীন সেসব গন্ধরা, বিশ্রী, পচে যাওয়া শরীর নিয়ে বেরিয়ে পরে কানাগলি, রাস্তা, বাজার, মোড়ের মাথায় ডাঁই করা জঞ্জালের বিভীষিকায়। বেহ্মদত্তিরা তখন কোথায়? মানুষের অন্ধকার ছিদ্রগুলো দিয়ে প্রবেশ করেছিল যারা? কাতারে কাতারে সেসব অচেনা বোঁটকা গন্ধরা জমানো জঞ্জালের পরিসরে একটু আলো খুঁজে পায়। মাথা গোঁজারটুকু জুটে যায় তাই অনেক। সার সার সেসব স্তুপ রাস্তায় দাঁড়িয়ে নিজের বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজনদের দেখে থাকে, যেতে আসতে তাদের মুখে খুঁজে ফেলে ব্যাখাহীন এক আঁধারের সম্ভার, নিঃশুল্ক প্রলাপের বান সংকেত চিকচিক করে ওদের অদৃশ্য চোখের পাতায়। একটা গল্প থাকে ওদের, মান অভিমানের পালা-পার্বণ, জটিল মনস্তত্ত্ব, বিকারমুখী সংরাগ সমেত অজস্র   না পাওয়ার পাতায় ভরা।...

মুক্তগদ্য ।। পুরনো সেই লাস্যের কলধ্বনি ।। সুকুমার হালদার

  মু ক্ত গ দ্য পুরনো সেই লাস্যের   কলধ্বনি সুকুমার হালদার   এইমাত্র   আমার জীবনের নদী বেয়ে নতুন পাড়ে উঠলাম। এক তরণী আমার হাতটা ধরে বলল, তোমার হাতের রেখাগুলোতে ত্রিকোণমিতির অংক ভরে আছে। নগর উন্নয়নের অনেক স্থাপত্য গড়ে উঠবে এই হাতে। আমার ঠোঁটের সমস্ত গান নীরবতার গান হয়ে উঠল। বেহালার ছড়ে হঠাত আটকে যাওয়া বিস্ময়ের সুরের মতো আটকে গেলাম নতুন একটা নারীদেশে। সংশয়ের কুয়াশার মধ্যে ডুবে যাচ্ছে ভ্রমণ জাগরণ! যাকে আমি অশেষ ধন্যবাদ দিয়ে বিদায় নিয়েছিলাম।   বৃষ্টি বৃষ্টি আর তুমুল বৃষ্টিতে স্বাগত জানিয়ে বলেছিল তোমার আঙুলগুলো তারযন্ত্রে সুরের ঝড় তুলবে। তোমার ঠোঁট চুম্বনের নয়, গানের ঢেউ উঠবে উথাল-পাতাল। আর পা দুটো তো বিশ্ব বাউলের। সেই আমাকে ভ্রমণে পাঠিয়েছিল, যে আমাকে স্তন সামলে রাখার মতো আগলে রাখত রাত্রিদিন। চুম্বন ছাড়া গভীর আলিঙ্গনে সে বলেছিল, অঙ্কের জটীলতার বাইরের জীবন বাউলদের। ভ্রমণে যাও, হাঁটো, সুর খোঁজ। সুর পাবে পথে পথে, নানাবিধ মানুষ যাপনে। চুম্বনের স্বাদ চেয়েছিলাম। স্মিত   হেসে বলেছিল, জাগতিক চুম্বন সবসময় পেতে পার। পূর্ণ দাস, পার্বতী দাস, পিট সিগার, গোষ্টগ...

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

রেজাল্ট ।। সৈকত মাজী

রেজাল্ট সৈকত মাজী শুভ্রাংশু বিছানতে শুয়ে শুয়ে বিরক্ত হয়ে উঠল। মনে মনে নিজের শরীরটাকে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিলো দু- চারটে কথা, দেবে নাই বা কেন, কয়দিন ধরে এতো কাঠ খড় পুড়িয়ে সব বন্ধুরা মিলে রথটা বানালো, কত কি প্ল্যান করলো, আর এই শরীরটার জন্যই তো সব ভেস্তে গেলো। মনে মনে ভাবলো একটা যা হোক শরীর হয়েছে ওর প্রতি মাসে তিন - চার বার করে জ্বর হচ্ছেই। হবি তো হ আর একটা দিন পরে হলে কি এমন ক্ষতি হতো, এই রথের দিনেই হতে হলো। ওর বিরক্তিটা বেড়ে গেলো আরো কয়েক ঘর।    " মা ও মা...মাআআআআ...." জোরে হাঁক  দিলো শুভ্রাংশু।    " কি হয়েছে বাবু? আবার জ্বরটা বেড়েছে? মাথা ব্যথা করছে?" ব্যস্ত হয়ে উঠলেন মালতিদেবী।     " ওসব কিছু নয়, ও মা বলছি এখন তো খুব কম জ্বর আছে যাই না মা একবার বাইরে, সবাই কতো ফুর্তি করছে বলো"  কাতর ভাবে বলল শুভ্রাংশু।      " না বাবু, এখনই আমরা ডাক্তারের কাছে যাব, বাবা তৈরী হয়ে গেছেন, আমরা বিকেলে তখন মেলা দেখতে যাব কেমন, এখন উঠে জামা কাপড় পরে নাও"  মালতিদেবী জামা কাপড় গুলো এগিয়ে দিলেন।      শুভ্রাংশু...

রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি

রাই আর বাবা অদিতি চ্যাটার্জি রাই-র জীবনে বেশ কিছু ভালো লাগা আছে তার মধ্যে একটা হলো সন্ধ্যার সময় তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখতে দেখতে কফি কাপে চুমুক দেওয়া ।" আজ যশোদা মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে বেশ ভিড়,নির্ঘাত 'তেলে ভাজা ' প্রেমীরা।" আপন মনেই ভাবে ও, কিন্তু বসার ঘরে সুমন আর আঁখি এতো জোরে 'হল্লা গোল্লা ' করছে তালতলার জমজমাট রাস্তার দিকে আর মন দিতে পারছে না রাই।  পায়ে পায়ে ঘরে এসে দাঁড়ায় রাই, দেখে ক্লাস ফোরের মেয়ে এতোটা ঝগড়া করছে সুমনের সাথে , "বাপ রে, কবে এতোটা কথা শিখলো মেয়ে! কিভাবে কথা বলছে?? কোঁকড়া চুল ঝাঁঝিয়ে,গোলগাল হাত নেড়ে " ...মেয়ে কে দেখে থতমত খেয়ে যায় রাই। এদিকে আঁখি বলছে, "ধুত্ বাপী তুমি কিচ্ছু পারো না, তুতাই-র বাবা, পিসাই, মামু সবাই কত ভালো করে খেলতে পারে , না আমি তোমার সাথে খেলবো না।" কাতর চোখে মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে সুমন বলে ,"আচ্ছা তুই আমাকে শেখা, দ্যাখ আমি কার জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে পনেরো দিন পর পর কলকাতায় আসি বল!"  ঐ টুকু মেয়ে কথা প্রায় না শুনেই ঘরে চলে গেল রাই-র চোখের সামনে, সুমন একবার হেসে বাথরুমের দিকে এগো...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী

বস্তু, চেতনা এবং  কবি সজল চক্রবর্তী  "যেখানে পৌঁছায় না রবি,, সেখানে পৌঁছে যান কবি।" এই ছোট্ট কবিতা টি অনেক পুরনো  এবং বহু পরিচিত, তথাপি এর তাৎপর্য এখনো হারায় নি। তবে, কথা হ'চ্ছে -আমরা তো  রবি-কবিকে একত্রেই পেয়ে যাই আমাদের ঋষি-প্রতিম কবি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে। আর তখনই জেনে যাই উপরোক্ত ছোট কবিতার প্রণিধানযোগ্যতা ।  ... এবার শুনে নেয়া যাক, ঋষি-প্রতিম কবির মুখ নিঃসৃত বাণী:- "তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি যাই ...." অর্থাৎ আমাদের প্রিয়তম কবি অনায়াসে পৌঁছে যান সৃষ্টির অসীমে , যা আমাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। এখানে কবির চেতনা সুদূর প্রসারী! ... প্রকৃত প্রস্তাবে কবি অতিন্দ্রীয় জগতের এক নাগরিক। তাঁর কাছে তাই চেতনা বা চৈতন্যেরই প্রাধান্য। ...এখন আসছি, বস্তু এবং চেতনার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে।  ... আমি একজন অতি সাধারন মানুষ, তাই এই ব্যাপারটাকে কবিদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা ক'রছি। তবে আমার সামান্য জ্ঞান থেকে একটা সাধারণ কথা সেরে নি'। আমরা সাধারণত ব'লে থাকি-- সূর্য পূর্বদিকে ওঠে। প্রকৃত অর্থে কি তাই ? আসলে সূর্য যেদিকে ওঠে ,আমরা  সেই দিকটাকে নামাঙ্কিত ক...

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদি ।। অরবিন্দ পুরকাইত

স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি  (পর্ব—সাত) অরবিন্দ পুরকাইত স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদির সংগ্রহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকায়, ২০১৬ সালে। সে সংগ্রহ যায় নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে, ১৪২৩ সনে। পরে এই ব্লগজিনেও কিছু সংগ্রহ প্রকাশিত হয় ১৪২৮ সনের আশ্বিন মাসে, পৌষ ১৪২৯-এ, আষাঢ় ১৪৩০, নববর্ষ ১৪৩১ ও কার্তিক ১৪৩১ সংখ্যায়। তার পরেও ধীরে ধীরে আরও কিছু সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলিই এখানে রাখা হল। নিজের আগের সংগ্রহে এসে-যাওয়া শব্দ যদি এখানে এসে থাকে, তা বাড়তি বা ভিন্ন কিছু বলার প্রয়োজনেই। নিজের আগের সংগ্রহ খুব ভাল করে যে মিলিয়েছি তা নয়, পুরো সংগ্রহ একত্র করার সময় তা করা যাবে যতটা সম্ভব নিখুঁত করে। আগে আগে সংগ্রহ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা হয়েছে, বিশেষত প্রথম প্রকাশের সময় একটু বিশদভাবে। এখানে আর কিছু বলা নয়, কেবল সংগ্রহটাই তুলে ধরা গেল। অখেজো/অখেজে — অকেজো থেকে। আদরের তিরস্কার হিসাবেই মূলত প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পাজি। অচিমিতি — (উচ্চারণ ওচিমিতি) আচমকা, হঠাৎ। অদীয় — প্রচুর, অজস্র। অদ্বিতীয় থেকে ক...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায়

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত রণেশ রায় ভূমিকা দর্শনের ইতিহাসে বস্তু ও চেতনার সম্পর্ক মানবচিন্তার গভীরতম প্রশ্ন। অধিবিদ্যা ভাবকে মুখ্য ধরে, বস্তুকে গৌণ বলে মনে করে। বিপরীতে মার্কস ও এঙ্গেলস বলেছেন—বস্তুই মুখ্য এবং চেতনা তার প্রতিবিম্ব। মানুষ যখন প্রথম আলোর মুখ দেখেছিল, তখনই সে বিস্ময়ে প্রশ্ন করেছিল—আমি কে, কোথা থেকে এলাম, আর এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে কিছু আছে কি? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নিয়েছিল দর্শনের দুই বিপরীত স্রোত—ভাববাদ আর বস্তুবাদ। ভাববাদ বলেছিল—"ভাবই প্রথম," আর মার্কস বললেন—"না, বস্তুই প্রথম।" এই দুই প্রান্তের মাঝখানে আমি দেখি এক সেতুবন্ধন, যেখানে বস্তু, স্নায়ু ও চেতনা একে অপরকে গড়ে তোলে, আর তাদের এই ত্রিত্বের নৃত্যেই সৃষ্টি হয় জীবন ও কল্পনার জগৎ। ভাবববাদ এক সর্বশক্তিমান শক্তির কল্পনা করে যা এই বস্তুজগতের স্রষ্টা। আর এখান থেকে ধর্ম ও ধর্মীয় ভাবধারার সৃষ্টি। আমার এই প্রবন্ধে আমি মার্কসীয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আলোকে বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি দেখাবার চেষ্টা করবো কিভাবে ইন্দ্রিয় এবং স্নায়ুজগৎ বস্তু ও চেতনাকে সংযুক্ত করে এবং কল্পলোকের জন্ম দেয়...

চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার

চাঁদে জীবন  শমীক সমাদ্দার                           চন্দ্রযান দুরন্ত তৈরি, রকেটের উপর ভর করে চন্দ্রযান চাঁদে অবতরণ করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পেরিয়ে মহাকাশযান চাঁদের কক্ষপথে  স্থাপন করা হয়েছে। চন্দ্রাযান চাঁদের মাটিতে পা রাখবে সময়ের কাউন্ট ডাউন চলছে। সমস্ত নিয়ন্ত্রণ স্পেসস্কাই গাবেষণা কেন্দ্র কতৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রযুক্তি বিজ্ঞান অতল গভীরতায় বাসা বাঁধে। পরিচয়টা দিয়ে দিলাম এই স্পেসসিপে রয়েছে তিনজন নভোচর, একজনের নাম সাইমন আর এক জনের নাম রেমন্ড, আর এদের সঙ্গে একজন মহিলা আছে তার নাম মেরিনা। চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করেছে। চন্দযান দুরন্ত চাঁদের পূর্ব -পশ্চিম অক্ষরেখা বরাবর অবতরণ করেছে। আলো আঁধারের গভীরতায় বড় বড় পাথরের পিণ্ড, চাঁদের সার্ফেসের উপরে পাথর জল দেখা যায়। জমাট বাঁধা অক্সিজেন আর কার্বনডাই অক্সাইড। ওরা এখানে এসেছে এক রহস্য উদ্ঘাটন করতে। যে স্থানে ওরা অবতরণ করেছে সেখানে ১০ বছর আগে ওরা এসেছিলো। রুশ সরকার ওদের দেশের ছাত্র ছাত্রী কে মহাকাশে চাঁদে পাঠাতে চায়। ওরা কেন এসেছে সেটা এখনো অধরা। সাইমনের বর্...

বছরের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ৮৬তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পাদকীয় এই সংখ্যাটি বাংলা নববর্ষ বিষয়ক সংখ্যা। নৱৰ্ষকেন্দ্রিক বহু তথ্যপূর্ণ লেখা এই সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস, রীতিনীতি, উৎসব, পার্বন, লোকাচার, রূপান্তর বহুবিধ বিষয় প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যার লেখাগুলিতে। এই সংখ্যার বাছাই কিছু লেখার সঙ্গে আগামীতে আরও কিছু লেখা সংযুক্ত করে বাংলা নববর্ষ বিষয়ক একটি মুদ্রিত সংখ্যা প্রকাশ করার ইচ্ছে রইল।  সকলকে নববর্ষের আন্তরিক শুভকামনা জানাই। উৎসবে আনন্দে থাকুন, হানাহানিতে নয়। ধর্ম-ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে সহনাগরিকের পাশে থাকুন। মনে রাখুন, ধর্মকে মানুষই সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বর আল্লা গড ইত্যাদির জন্মদাতা মানুষই। মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষের পাশে থাকুন।  নিরাশাহরণ নস্কর  সম্পাদক, নবপ্রভাত।  সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা পয়লা বৈশাখ ।। সিদ্ধার্থ সিংহ নববর্ষকেন্দ্রিক মেলা, পার্বন, উত্সব, লোকাচার ।। সবিতা রায় বিশ্বাস নববর্ষ আবাহন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে ।। তুষার ভট্টাচার্য নববর্ষের সেকাল ও একাল ।। হিমাদ্রি শেখর দাস নববর্ষের হাল-হকিকৎ ।। শংকর ব্রহ্ম বোশেখি বাঙালি নাকি পোশাকি বাঙালি? ।। দিব্যেন্দু...

প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান

বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় মাখনলাল প্রধান বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির জগতে যাত্রা শিল্প তথা নাট‍্যশিল্পে মড়ক নেমে এসেছে । যাত্রা শিল্পের মড়কে শুধু কোভিড নয় তার বহুপূর্ব থেকেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় , শিক্ষাক্ষেত্রে বন্ধ‍্যাত্ব এবং গ্ৰাম বাংলার পটপরিবর্তন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। যাত্রা-শিল্পের লীলাভূমি ছিল গ্ৰাম বাংলা। গ্ৰামে প্রচুর যাত্রাপালা হত নানা উৎসবকে কেন্দ্র করে । জমিদারি ব‍্যবস্থা লুপ্ত হওয়ার পর গ্ৰামীণ মানুষের উদ‍্যোগে শীতলা পূজা,  কালীপূজা, দুর্গাপূজা, কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, চড়ক ইত‍্যাদিকে উপলক্ষ‍্য করে যাত্রাপালার আয়োজন না হলে কেমন যেন ম‍্যাড়ম‍্যাড়ে লাগতো। সেই সঙ্গে কলকাতার বড়বড় কোম্পানির যাত্রাপালা ঘটা করে, টিকিট সেল করে হত মাঠে। খুব বড় মাপের খেলার মাঠ যেখানে ছিল না সেখানে ধানের মাঠ নেওয়া হত ‌। ত্রিশ-চল্লিশ হাজার মানুষ দেখতে আসত। স্পেশাল বাস পাঠাত  আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বিনা ভাড়ায় বাসে যাতায়াত করত যাত্রার দর্শকেরা। কিন্তু বিকল্প ধানচাষ শুরু হলে জমিগুলো সময় মতো ফাঁকা পাওয়া গেল না । প্রথম দিকে ব‍্যাপকহারে ধান শুরু না হওয়ায় খুব একটা অসুবিধা হত না। বহুক্ষেত্রে  ধান কা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী

ভিনগ্রহীদের সন্ধানে  শ্যামল হুদাতী  ইতিহাসের শুরু থেকে বারবার মানুষকে একটা প্রশ্ন কুঁড়ে কুঁড়ে খায় – এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? পৃথিবীর মতো আরও গ্রহ রয়েছে, যেখানে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীরা বাস করে – এই সম্ভাবনা বরাবর মানুষকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের কখনও না কখনও এই ভাবনা এসেছে। দীর্ঘ কয়েক দশকের গবেষণার পরও, এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপ, বহু দূরের এমন কিছু গ্রহের সন্ধান দিয়েছে, যেগুলিতে প্রাণ থাকতেই পারে। তবে, নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বহু দূরে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। তারা এই পৃথিবীতেই মানুষের ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যেই বসবাস করতে পারে। আমরা ভিনগ্রহীদের যেমন কল্পনা করি, এরা তার থেকে আলাদা। এরা অনেকটাই, দেবদূতদের মতো। মানব জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রযুক্তিগত নয়, বরং জাদুকরি। মহাকাশে সৌরজগতের গ্রহ পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথায় প্রাণ রয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। একই সঙ্গে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাস ক...

মাসের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

দিদৃক্ষা ।। রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী

  দিদৃক্ষা রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী 'কাল একবার দেখা হতে পারে?' দশমীর দুপুরে খাটে আধশোয়া হয়ে নিজের ফোনটা ঘাঁটছিল দেবমাল্য; হোয়াট্‌সঅ্যাপের সার্চ বক্সে  র‍্যান্ডম সিক্যুয়েন্সে ক'খানা ডিজিট ইনপুট করতেই বিস্মৃতির অতল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে নামটা স্ক্রিনের সারফেসে ভেসে উঠল, এককালে দেবমাল্যের প্রায়োরিটি লিস্টে সবথেকে ওপরে পিন্‌ করা থাকতো এই অ্যাকাউন্টটা। 'অহনা দাশগুপ্ত'—গ্রেয়েড-আউট ডিপিটার ডানদিকে, নামটার তলায় নিস্প্রভ হরফে ভেসে থাকা ওর এই লাস্ট মেসেজটা বেশ ক'বছরের পুরনো, কিন্তু দেবমাল্যর স্মৃতির প্যান্ডোরা বাক্সটি উলটে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। আরেকবার আপাদমস্তক শিহরিত হয় সে। প্রোফাইলটা খুলে ওপরে-নীচে স্ক্রল্‌ করে দেখে, ওদের পুরনো চ্যাটগুলো তেমনি আড়ষ্ট হয়ে পড়ে আছে, ওর মেসেজগুলোর পাশে ডাবল টিকগুলো এখনও জাজ্বল্যমান সবুজে ছোপানো, যেন এইমাত্র 'সিন্‌' করে রেখেছে অহনা! যেন এখুনি আবার হাত বোলালেই অহনা এসে খানিকটা রাগত ভঙ্গিতে চ্যাট করতে লেগে যাবে। দেবমাল্যের বুক ছাপিয়ে একটা নীরব দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে! ছুটির এই আমেজটা লক্ষ্মীপুজো অব্দি গড়াবে—অফিস খুললেই তো আবার দমফাটা ব্য...

গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম

  গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম হুইসেল (মুরাকামি থেকে অনুপ্রাণিত) ♦ 'গভীর রাতে একটা হুইসেল কতটা গভীর হতে পারে তুমি কল্পনাও করতে পারো না,' ছেলেটা বললো, 'আশ্চর্য ঐ হুইসেলের মতো আমি ভালবাসি তোমাকে।' কিন্তু গভীর রাতে অন্ধকারে কখনও তো ঘুম ভেঙে যায়নি মেয়েটার, কখনও ও বিচ্ছিন্ন আর একা হয়ে যায়নি। ও কীভাবে অনুভব করবে গভীর রাতে ট্রেনের হুইসেল কতটা গভীর! নিউজ এজেন্সি ♦ একসময় আমরা খবর শুনতাম এখন দেখি স্বীকার করতে হবে খবর শোনার চেয়ে দেখার আনন্দ বেশি আলাদা উত্তেজনা নিউজ এজেন্সিগুলো এব্যাপারে তৎপর আর প্রতিযোগিতাপূর্ণ কোনটা নিউজ সেটা ওরাই ঠিক করে যেটা ওদের দরকার আর সেটাই আমাদের দেখানো হয় ধারাবাহিকভাবে সুচারু জ্যামিতিকতায় বিভিন্ন পদ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নতুন বাস্তবতা নির্মাণে যে বাস্তবতায় জায়গা নেই আমাদের ইতিহাস অন্বেষা স্বাধীনতার সমৃদ্ধি আর স্বাধীনতার কথা বলেই ওরা আমার ক্ষেতখামার পাহাড় আর নদীর দখল নিয়েছে তাহলে টিভিতে যে হাসিখুশি প্রাণবন্ত আমাদেরকে দেখানো হয় ওরা কারা এই প্রশ্ন করো নিজের কাছে আগুন নিয়ে খেলা ♦ আজও পুকুরে ছিপ ফেলে বসবো আমি ধীরে চুপ সূর্য আমার ঘাড়ে শ্বাস ফেলবে সারারাত ঘরের ভেতর ল্যাং...

বিদায়ের স্রোত ।। চয়ন মন্ডল

  বিদায়ের স্রোত চয়ন মন্ডল "বিজয়া দশমী—আনন্দের দিন, কারও কাছে যা হয়ে উঠল চিরন্তন বিদায়।" আজ বিজয়া দশমী। শিউলি ফুলের গন্ধে ভোরটা অন্যরকম। পাড়ার প্যান্ডেলে অদ্ভুত এক কোলাহল—মায়ের বিদায় যে আজ। শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাজনা আর উলুধ্বনিতে গমগম করছে চারদিক। একদিকে মা দুর্গার বিদায়ের বেদনা, অন্যদিকে আনন্দ ও মিলনমেলা। সারা বছরের অপেক্ষা শেষে এই দিনটিতে প্যান্ডেল ভরে উঠেছে মানুষের ভিড়ে। সকালের পূজার্চনা শেষ হতেই শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। মহিলারা মায়ের প্রতিমাকে সিঁদুর পরিয়ে একে অপরের কপালে, গালে রাঙিয়ে দিচ্ছেন। ঢাকের তালে আর শাঁখ বাজনার আবেশে ভেসে যাচ্ছে পাড়া। শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। কিন্তু এসবের মধ্যে নেই অনুরাধা। কেউ তার বা মিনির খোঁজ রাখেনি। মুখার্জিদের দোতলা বাড়ির কোণের ঘরে বসে সে চোখের জল ফেলছে। সবার বাড়িতে আলোর রোশনাই, ভোগের গন্ধ, হাসি—শুধু তাদের ঘরটিতে নিস্তব্ধতা। গতবছর এই দিনেই তো অন্যরকম ছিল সবকিছু। অনুরাধা, সুজয় আর তাদের তিন বছরের মেয়ে মিনি পাড়ার প্যান্ডেলে ঢাকের তালে নেচেছিল, সিঁদুর খেলায় রঙে ভেসেছিল। বিকেলের দিকে প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে শামিল ...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

শেষ বিকেলের আলো ।। সৈকত প্রসাদ রায়

  শেষ বিকেলের আলো সৈকত প্রসাদ রায় রানাঘাট শহরের প্রান্তে ছোট্ট এক পাড়া বিশ্বাসপাড়া। সেই পাড়ার পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়িটায় থাকেন পুষ্পরাণী ভট্টাচার্য— বয়স পঁয়ষট্টির কোঠায়। সবাই তাকে "পুষ্পদি" বলেই চেনে। একসময় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেলে পুষ্পদি বারান্দায় বসে চা খান। ছোট একটা টেবিল, কয়েকটা পুরোনো বই, আর একখানা নীল কাঁচের ফুলদানি — তার নিত্যসঙ্গী। বারান্দার সামনেই একটা গলি, যেখান দিয়ে প্রতিদিনই স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা হইচই করে ছুটে যায়। পুষ্পদির একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ — কলকাতায় চাকরি করে। ছেলেটা আধুনিক, নিজের সংসার আছে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত। বছরে হয়তো একবার আসে, তাও কিছুক্ষণ বসে আবার চলে যায়। পুষ্পদি মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু বুকের ভেতরে একটা কষ্ট জমে থাকে। সেই বিকেলটা অন্যরকম ছিল। আকাশে ধুলো, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। হঠাৎ পুষ্পদির চোখে পড়ে — রাস্তায় এক কিশোর বসে আছে। বয়স বারো-তেরোর বেশি নয়। মলিন জামা, পায়ে ছেঁড়া চটি। ছেলেটা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে পুষ্পদির বাড়ির গেটে ঝুলে থাকা পুরোনো নোটিশবোর্ডটার দিকে, যেখানে একসময় লেখা ছিল — "পুষ্পরাণী ভ...