কান্ডজ্ঞান
মানস কুমার সেনগুপ্ত
আজ সকালেও ঘটনাটি ঘটলো এবং এই নিয়ে তৃতীয়বার। আমার আবাসস্থল বহুতলের পাশে আর একটি পুরনো বাড়ি ভেঙে বহুতল নির্মাণের অপেক্ষায়। পৌরসভার নিয়ম মেনে বাড়ি ভাঙা সংক্রান্ত যে সব নিয়মকানুন রয়েছে সেটার নূন্যতম প্রয়োগ হলেই যথেষ্ট। কিন্তু গোল বাঁধলো অন্য জায়গায়। বাড়ি ভাঙার আগে পূর্বতন আবাসিকদের ছেড়ে যাওয়া প্লাস্টিক ক্যারিব্যাগ সহ অন্যান্য প্রচুর ফেলে দেওয়া সামগ্রীতে আগুন লাগিয়ে দিলেন বাড়ি ভাঙার দায়িত্বে থাকা এক কর্মী। একে ঘন জনবসতি পূর্ণ অঞ্চল তার উপর টিপটিপে বৃষ্টির সঙ্গে কিছুটা হাওয়ার দাপটে দমবন্ধ করা ধোঁয়ায় ভরে যাচ্ছিল চারদিক। আর আগুন থেকে কতরকম বিপদই তো ঘটতে পারে।দু- তিনদিন একই ঘটনা ঘটতে থাকায় আমাদের আবাসন থেকে আমরা দু-জন গিয়ে কর্মী মানুষটিকে নিরস্ত করলাম। সে জল ঢেলে আগুন নিভিয়ে দিয়ে আমাদের কাছে দুঃখপ্রকাশ করল। আরও বেশ কিছু আবর্জনা সেখানে পড়ে আছে দেখলাম। ফেলে যাওয়া অপ্রয়োজনীয় সামগ্রী রোজ পৌরসভার আবর্জনা সংগ্রহ করতে আসা কোনও এক কর্মীকে ডেকে পরিস্কার করে তুলিয়ে নিলেই কিন্তু ল্যাঠা চুকে যায়। দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীটিকে সেকথা বলাতে তিনি মেনেও নিলেন। আসলে কর্মী মানুষটির বোধগম্যতায় সেকথা প্রথমে ঢোকেইনি। এমন কান্ডজ্ঞানহীন কাজের উদাহরণ আমাদের সমাজে অজস্র। একটু বিবেচকের মত কাজ করলে, অনেক কাজের ঝামেলাহীন নিস্পত্তি হয়। সেই বোধ দিয়ে ভাবলে এমন কান্ডজ্ঞানহীন কাজের উদাহরণ আর খুব বেশি হয়তো তুলে ধরতে হয়না। শুধু ওই মানুষটিকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী হয়তো। কিন্তু আরও যারা এর সঙ্গে জড়িয়ে আছেন, তাঁদের বোধের উদয় হোক।
===============
মানস কুমার সেনগুপ্ত, ১৭/৮, আনন্দ মোহন বসু রোড, দমদম, কলকাতা ৭০০০৭৪
Comments
Post a Comment