দুটি কবিতা ।। শম্পা সামন্ত
পীরিতির রীতি
গানে গানে জানা যায় পীরিতি কাঁঠালের আঠা ছাড়া কিছুই নয়
দিনক্ষয়ে কুরুক্ষেত্র সেকথা বলে না
পাশাখেলায় কোনো প্রেমিক ছিল না
পাঁচ পাঁচটা সুদখোর স্বামী থাকতে পাঞ্চালীর কোনো রক্ষক নেই
সারা অঙ্গে নিলাম কিংবা অনির্দিষ্ট কাপড়ের যোগানের লড়াই
উদ্ধত অহংকার খেতে চাইল নারীর শরীর
চোখের লোলুপ দর্শন
জীভের লালা টসটসে
##
আমরা আর অপেক্ষা করব না হে শীতল জল
আমি আর কোনো গুনহা স্থাপনে আগ্রহী নই
কুরুক্ষেত্র কিংবা আর জি করের সমরে
শয়তান কিংবা ঈশ্বরের মুখোশ খুলে
খুঁজব না সোনার কুঠার
পার ভেঙে গেলে
পিঠ বাঁচিয়ে চলতে গিয়ে সবাই গর্তের অভিমুখেই যায়।
সে জানেনা নৌকার মাঝির হাতে ধরা আছে দাঁড়।
বোঝেনা বৃষ্টিতে টিনের শেড মাথায় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে যে
সেও একদিন বজ্রকে উপেক্ষা করে অভিসার সেরেছে।
জলথৈথৈ দুহাতে খেলাঘর।
একদিন সেই ত্রিশূল ধরেছে হাতে।
যারা নদীর চরায় বাঁধে ছোট্ট কুটীর।
তাকেও একদিন বেসামাল হতে হয় পার ভেঙে গেলে।
*******************
শম্পা সামন্ত।
সম্পাদক/অন্তর্মুখ।
Comments
Post a Comment