গোপন থাকবে না
পরমার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়
আর্যদেব নন্দী যেদিন, 'প্রভাতের রংমশাল'-এর সম্পাদক নীলেশ পোদ্দারের কাছ থেকে পুজো সংখ্যার উপন্যাস লেখার জন্য মোটা অঙ্কের চেকটা অ্যাডভান্স নিল, তখন কি ঘুণাক্ষরে জানত, লেখা আসবে না! প্লট নেই তো নেই, মাথা বিলকুল ফাঁকা। গত এক মাসে তিনটে ছোটগল্প লিখেছে আর্য, তার মধ্যে একটা নীলেশের কাগজে, কিন্তু আসল জিনিসটির দেখা নেই; মায় উপন্যাসের নাম পর্যন্ত ঠিক করতে পারেনি। মাথাটা খুলবে ভেবে ওর বন্ধু রঞ্জনকে নিয়ে দু'দিন মন্দারমণি থেকেও ঘুরে এল, লাভ হয়েছে লবডঙ্কা। তিন বছর ধরে বাংলা সাহিত্যে কিছুটা নাম করেছে আর্যদেব। শখ করেই ঐতিহ্যশালী 'খুশির হাট', পত্রিকার জনপ্রিয়, রবিবারের গল্প বিভাগে নিজের একটা গল্প পাঠিয়ে দিয়েছিল, সেই লেখা প্রকাশিত হতেই পাঠক এবং সমালোচক মহলের নজর কেড়ে নেয় আর্য। তারপর টুকটাক লিখছিল, আসল ব্রেকটা ওকে দেয়, 'খুশির হাট' পত্রিকাই, তাদের পুজো সংখ্যায় গল্প লেখার আমন্ত্রণ জানিয়ে। খুশির হাটের সম্পাদকের জহুরির চোখ, হীরে চিনতে ভুল করেননি। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি আর্যকে। তিন মাস আগে প্রভাতের রংমশালে ওর প্রথম গল্প, 'নানা রঙের দিনগুলি', বেরোনোর পরেই নীলেশ পোদ্দার, আর্যকে ডেকে অ্যাডভান্সের চেক ধরিয়ে দেন। আর্য দ্বিধা করেনি, কারণ গত বছর খুশির হাটের পুজো সংখ্যায় ওর লেখা উপন্যাস, 'স্বপ্নের সিঁড়ি'তে যেভাবে একজন পাঠকের, লেখকে উত্তরণের কাহিনি শুনিয়েছিল, পরতে পরতে খুলে দিয়েছিল সেই রোমাঞ্চকর আহরণ; তাতে সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করেছে সেই উপন্যাস স্মরণকালের মধ্যে বাংলা সাহিত্যের একটি উল্লেখযোগ্য সৃষ্টি।
এই বছর দুটো উপন্যাস লিখছে আর্য, প্রথমটা অবশ্যই খুশির হাটের জন্য, যেটা সে লিখে ফেলেছে এবং জমা করে দিয়েছে। দ্বিতীয়টা লিখছে না বলে, যদি লিখতে পারে বলাই ভালো; ওটাকে নিয়েই যত গোল বেঁধেছে।
নীলেশ পোদ্দার টাকা দিতে কার্পণ্য করেন না, কিন্তু লেখা সময় মতো না পেলে কুরুক্ষেত্র বাঁধিয়ে দিতে পারেন, এর ভেতরে একদিন ফোনে আর্যকে সতর্কবাণী শুনিয়ে দিয়েছেন, লেখা অগস্টের শেষ সপ্তাহের মধ্যে জমা করতেই হবে। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহেই প্রকাশিত হয়ে যাবে, 'প্রভাতের রংমশাল' শারদীয় সংখ্যা। প্রতি সপ্তাহে পুজো সংখ্যার বিজ্ঞাপন ছাপছে, 'প্রভাতের রংমশাল'। সেখানে ঔপন্যাসিকদের তালিকায় জ্বল জ্বল করছে আর্যদেব নন্দীর নাম। অথচ এখনও উপন্যাসের নাম পর্যন্ত জানে না আর্য! এখন কী করবে? টাকা ফেরত দিয়ে সারেন্ডার করবে, না বাড়ি ছেড়ে পালাবে! আর ভাবতে পারে না আর্য। আজ অগস্টের চোদ্দ তারিখ, এই ভর সন্ধ্যাতেও তার কলম বন্ধ্যা। এই সময়েই ফোনটা বাজল আর্যর, ফোনের আওয়াজ শুনলেই হাত পা পেটের মধ্যে সেঁধিয়ে যাচ্ছে, নীলেশের ধ্যাতানির ভয়ে। স্ক্রিনে দেখল, খুশির হাটের সম্পাদক অলকেশ সরকারের ফোন। হাঁফ ছেড়ে বাঁচল আর্য, অলকেশের প্রশ্রয়েই আজ তার যেটুকু লেখক পরিচিতি, অলকেশদা আবার নীলেশ পোদ্দারের বাল্য বন্ধু, যুযুধান দুই সংবাদপত্রের সম্পাদক হওয়া সত্ত্বেও আজও তারা সপ্তাহান্তে একত্রে পান পাত্র নিয়ে বসেন, আবার সারা সপ্তাহ একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার খেলায় মেতে থাকেন। ফোনটা ধরতেই অলকেশ বলল, "তোর কী ব্যাপার রে আর্য, নীলেশ ফোন করে বলছে তুই নাকি ওর রংচটা কাগজের জন্য তোর উপন্যাসের নাম পর্যন্ত জানাসনি, তাই ও বিজ্ঞাপনে উপন্যাসের নামটা দিতে পারছে না, আর এ সব নাকি আমারই বুদ্ধি বলে খানিকটা গালমন্দ করল।" বাংলা সাহিত্য মহলে সকলেই জানে যে অলকেশ, নীলেশের কাগজ, প্রভাতের রংমশালকে, 'আঁধারে রংচটা', বলে উল্লেখ করে। নীলেশ আবার অলকেশের শীর্ণাকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে খুশির হাটকে, 'দুর্ভিক্ষের হাট', বলে খোঁটা দেয়।
আর্য ভেঙে পড়ল, "আসছে না অলকেশদা, কোনও প্লট মাথায় আসছে না, এমনকি উপন্যাসের নাম পর্যন্ত ঠিক করতে পারিনি। এ দিকে হাতে মাত্র দু'সপ্তাহ সময়।"
অলকেশ বলল, "আরে ধুৎ, বলে দিবি উপন্যাসের নাম গোপন থাকবে না আর ঠিক সময়ে উপন্যাস পেয়ে যাবে। তুই কালকে আমার সঙ্গে লাঞ্চ করছিস, শার্প বারোটায় আমার অফিসে চলে আসবি, তোকে নিয়ে বেরোব।"
আর্য বলল, "প্লট?"
"তোকে প্লট দেব বলেই ডেকেছি, পুজো সংখ্যার উপন্যাস তো আর ঢাউস হবে না, যা মশলা দেব তাতে দুটো উপন্যাস নেমে যাবে, নে এখন রিল্যাক্স কর।" বলে, ফোনটা কেটে দিল।
এ বার কিন্তু ফোনটা এল। তবে নীলেশের নয়, নীলেশের অফিস থেকে শর্মিষ্ঠার ফোন, গলাটা শুনে মনটা ভালো হয়ে গেল আর্যর। ভারী মিষ্টি মেয়ে, এই অ্যাডভান্স কেলেঙ্কারির আগে শর্মিষ্ঠার মুখটা খুব মনে পড়ত, আজকাল টেনশনের চোটে সেটাও ভুলতে বসেছে। শর্মিষ্ঠা জিজ্ঞাসা করল, "আর্যদা, উপন্যাসের নামটা কিছু ভেবেছেন? কালকে কাগজে বিজ্ঞাপনে দিতে হবে, হাতে তো আর মাত্র ক'টা দিন।" আর্য কথাটা এড়িয়ে যাওয়ার জন্য বলল, "আরে ঘাবড়াচ্ছ কেন? উপন্যাসের নাম, গোপন থাকবে না।" তারপর, কিছুটা খেজুরে আলাপ করে ফোন রেখে দিল।
পরের দিন সকালে প্রভাতের রংমশাল দেখে আর্যর চক্ষু চড়কগাছ, প্রথম পাতায় বিজ্ঞাপন, এ বছর প্রভাতের রংমশাল শারদ সংখ্যার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ, আর্যদেব নন্দীর উপন্যাস, 'গোপন থাকবে না'। হায় হায়! সে শর্মিষ্ঠাকে বলতে চেয়েছিল উপন্যাসের নাম গোপন থাকবে না, সেই কথাটাকেই মেয়েটা আক্ষরিক অর্থে উপন্যাসের নাম মনে করে কাগজে ঘোষণা করে দিয়েছে! প্রচণ্ড রেগে উঠতে গিয়েও আর্য নিজেকে দমন করে নিল, ওরকম মিষ্টি মেয়ের ওপর তো আর রাগ করা যায় না।
আর্যকে নিয়ে অলকেশ, পার্কস্ট্রিটের কলম্বাসে পৌঁছোল দুপুর সাড়ে বারোটায়। অলকেশ বলল, "শোন আমরা ঢুকে সোজা দোতলায় উঠব, টেবিল বুক করা আছে এমন জায়গায় যেখান থেকে পুরো এক তলাটা দেখা যায়।" আর্য বলল, "কিছুই বুঝতে পারছি না, আমরা কি গোয়েন্দাগিরি করছি? এর সঙ্গে উপন্যাসের প্লটের কী সম্পর্ক!" অলকেশ চেয়ারে বসে রহস্যপূর্ণ হাসি হাসল, "ধীরে বৎস, এখনই রহস্যের পর্দা উঠে যাবে, ওই দেখো নীচে বাঁ দিকের দরজা খুলে লাল শাড়িতে কে ঢুকছে?"
"এ তো বাংলা সাহিত্যের দিকপাল লেখক নন্দিনী চক্রবর্তী।"
"ঠিকই ধরেছ, আর লেখক যখন উপস্থিত তখন সম্পাদক কী করে দূরে থাকে?" আর্য বলল, "তবে সম্পাদক ওপরে কেন?" অলকেশ হাসল, "ওরে মূর্খ আমি কি একাই সম্পাদক?" নন্দিনীর টেবিলের দিকে তখন এগিয়ে আসছেন সুটেড বুটেড নীলেশ পোদ্দার। নীলেশ একটা চেয়ার টেনে নিয়ে নন্দিনীর সামনে বসে পড়ল, কিন্তু কেউ কাউকে কিছু সম্বোধন করল না। নন্দিনী হাত নেড়ে বেয়ারাকে ডেকে কিছু বলল।
"এইভাবেই গত পাঁচ বছর ধরে নীলেশের বার্থডে সেলিব্রেশন হচ্ছে। নো কেক, নো মোমবাতি, নো কথা, নীলেশ এবং নন্দিনীর কলম্বাসে আগমন, এক টেবিলে বসে লাঞ্চ, এটাকে একসঙ্গে লাঞ্চ বলতে আমার আপত্তি আছে, দু'জনেরই আশা করা যে অপর জনের দিক থেকে বরফ গলানোর চেষ্টা হবে, কিন্তু কেউ কিছু বলবে না, শেষে বিল কে দেবে তাই নিয়ে কিছুটা চাপান-উতোর হবে এবং বিলটা নন্দিনীই দেবে। নীলেশটা একটা অপদার্থ টাইপের, হাউ হাউ করে চ্যাঁচানো ছাড়া কোনও কাজ পারে না। চল্লিশ বছর বয়স হয়ে গেল, এখনও বাচ্চাদের মতো ঝগড়া করে যাচ্ছে। কবে আর ঘর-সংসার করবে? শোন আর্য, নীলেশের সঙ্গে নন্দিনীর প্রেমের বয়স হলো দশ বছর, তার মধ্যে প্রায় পাঁচ বছর কথা বার্তা বন্ধ। মন কষাকষি শুরু হয়েছিল নন্দিনী পুজো সংখ্যার একটা উপন্যাস প্রভাতের রংমশালকে না দিয়ে খুশির হাটকে দিয়ে দেওয়া নিয়ে। তুই জানিস সেই উপন্যাস, 'অন্ত্যমিল', কেমন সাফল্য পেয়েছিল!"
"নন্দিনীর সেরা লেখা ওটাই।"
"হ্যাঁ। আসলে নীলেশ সবাইকে শব্দ সংখ্যা বেঁধে দেয়, তোকেও দিয়েছে। নন্দিনীর উপন্যাসটা বড় হয়ে গেছিল বলে ও সেটা আমাকে দিয়ে দেয়। নীলেশকে দেয় অন্য উপন্যাস। নীলেশের বক্তব্য ছিল, ওরকম একটা উপন্যাস শব্দ সংখ্যার জন্য আটকাত না, আর সেটা দিল কিনা আমাকে! আমাকে দু'চক্ষে দেখতে পারে না তো।"
"ধুস্, তোমাদের যত লড়াই মুখে, ভেতরে খুব মিল।"
অলকেশ হাসল, "এই মিলের কথাটা মনে রাখিস। তোকে অনেক মশলা দিয়েছি, সব যদি আমি বলে দেব তবে তুই কী করবি? এমন একটা উপন্যাস লিখবি যাতে, উপন্যাসের নামের মতোই কিচ্ছু গোপন থাকবে না। গোঁয়ারটা নত হবে, দরকার হলে নন্দিনীর পায়ে গড়াগড়ি দিয়ে আত্মসমর্পণ করবে আর সেটা ওর কাগজেই বেরোবে। এই শীতেই আমি ওদের বিয়ে দেব। নে, এখান থেকে ফিরেই লেখা শুরু করে দিবি। নীলেশ যা গোঁয়ার, আমার মধ্যস্থতা মানবে না, তাতে নাকি প্রভাতের রংমশাল, খুশির হাটের কাছে ছোট হয়ে যাবে। গাধা আর কাকে বলে! এইবার এমন প্ল্যান এঁটেছি যে যাবে কোথায়? ঘুঘু ফাঁদে পড়েছে।"
'প্রভাতের রংমশাল' শারদ সংখ্যা বেরোবে অক্টোবরের তিন তারিখে, আগের দিন আর্য, রঞ্জনকে নিয়ে পুরী পালাল। কলকাতায় থাকার ঠিক ভরসা হলো না। আর্যর মনে হলো, নীলেশ পোদ্দারের ওই উপন্যাস না ছেপে উপায় নেই তাই ছাপছে, কিন্তু ছেপে বেরোনোর পর নীলেশ ওকে আর ছাড়বে না। যেভাবে উপন্যাসে, সুপ্রভাতের ফুলঝুরির সম্পাদক নীলাকাশকে, ঔপন্যাসিক নীহারিকা চক্রবর্তীর মানভঞ্জনে সাধ্য সাধনা করিয়েছে, প্রিয়তমাসু বলে চিঠি লিখিয়ে ক্ষমা চাইয়েছে, তাতে করে নীলেশ পোদ্দার যে ওকে সারাজীবন প্রভাতের রংমশালের বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখবে, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। একটা বড় হাউসের দরজা বন্ধ হয়ে গেল ভেবে খারাপ লাগছে, কিন্তু তখন লেখাটা ওভাবেই মগজে এল, কী আর করা যাবে।
তিন তারিখ সকালে পুরী পৌঁছে ব্রেকফাস্ট করেই আর্যরা ঘুরতে বেরিয়ে গেল সমুদ্র সৈকতে, সন্ধ্যার দিকে আর্যর ওয়টসঅ্যাপে একটা অচেনা নম্বর থেকে মেসেজ ঢুকল, দেখল লেখা আছে, "অশেষ ধন্যবাদ। আপনার 'গোপন থাকবে না' উপন্যাসটি পড়ে ভালো লাগল।"-নন্দিনী। আর্য বুঝল অলকেশদার থেকে নন্দিনী তার নম্বরটা জোগাড় করেছে এবং অলকেশদার পরামর্শেই ওর উপন্যাসটা আগে পড়েছে।
অলকেশের ফোনটা এল পরের দিন সন্ধ্যায়, আর্য পুরী পালিয়েছে শুনে খানিকটা খুক খুক করে হেসে বলল, "শোন একটু আগে নীলেশ ফোন করে বেদম গালিগালাজ করে বলল 'সব তোর মিচকে বুদ্ধি, তোর বাড়িতে রাতে আসছি দাঁড়া।'"
"সর্বনাশ! অলকেশদা তুমি বরং কেটে পড়ো, কোথাও একটা শেলটার নাও, যদি মারে!"
অলকেশ আবার হাসতে লাগল। "শোন নন্দিনী তোর উপন্যাস পড়ে কেঁদে কেটে একশা হয়ে নীলেশকে ফোন করে বলেছে, 'তোমার এ ভাবে আর্যদেবকে দিয়ে উপন্যাস লিখিয়ে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়াটা একেবারে ইউনিক, আমি রাজি।' নীলেশ তো আনন্দে নৃত্য করছে, দু'-একটা ফ্লোরই না ভেঙে পড়ে। জানবি খুব খুশি হলে তখনই ও আমাকে গালমন্দ করে। আর, নীলেশ বলেছে তোকে দিয়ে বৈশাখী সংখ্যাতেও উপন্যাস লেখাবে, অ্যাডভান্স নাকি বেড়ে দ্বিগুণ হচ্ছে। বুঝলি, এই শীতেই নীলেশ আর নন্দিনীর বিয়ে, তোকেই ভাবছি নিতবর বানাব।"
বলেই খুক খুক করে হেসে উঠে ফোনটা কেটে দিল। আর্যও রঞ্জনকে অবাক করে এক পাক নেচে নিল। রঞ্জন বলল "এক পেগেই নাচ শুরু! রাত বাড়লে কী হবে গুরু?"
রাত বাড়লে কী হবে আর্য জানে না। তবে জানে, কলকাতায় ফিরে আকবর আলিতে নতুন সুটের অর্ডার দিতে হবে। নীলেশের বিয়েতে শর্মিষ্ঠাও থাকবে। আর্য, নীলেশের মতো চল্লিশ বছর বয়স অবধি অপেক্ষা করতে পারবে না, শর্মিষ্ঠাকে কপাল ঠুকে বলতে হবে; শর্মিষ্ঠা রাজি থাকলে বিয়েটা পরের শীতেই সেরে নেবে আর্যদেব।
===============
পরমার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়
School Road, Sodpur.
Kolkata-700110

Comments
Post a Comment