বাংলা ভাষা সাহিত্যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার ।। শুভ জিত দত্ত - নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

নবপ্রভাত মাসিক ব্লগ-সাহিত্যপত্র

NABAPRAVAT : A Monthly Bengali Literary Blogzine.

Wednesday, August 20, 2025

বাংলা ভাষা সাহিত্যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার ।। শুভ জিত দত্ত

পণ্ডিত জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের পারসিক অভিধান

বাংলা ভাষা-সাহিত্যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার

শুভ জিত দত্ত

 

বাংলা ভাষাসাহিত্যে পরোক্ষভাবে যাঁর অবদান অতুলনীয়, সেই প্রজ্ঞাবান পণ্ডিত জয়গোপাল তর্কালঙ্কার। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮২৪ সালে কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে জয়গোপাল সেখানে সাহিত্যে কাব্যের অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত হন এবং সুদীর্ঘ বাইশ বছর অধ্যাপনা করেন। সেখানে তাঁর ছাত্রদের মধ্যে পরবর্তীকালে যাঁরা বিখ্যাত হন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,মদনমোহন তর্কালঙ্কার।

জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের জন্ম রেলপথের শিবনিবাস স্টেশন থেকে আট ক্রোশ পূর্বে, নদীয়া বর্তমানে , বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলাতে বজরাপুর গ্রামে এক প্রাচীন বারেন্দ্র বংশের আবাসস্থল ছিল। এই বংশ শুদ্ধাচার ও সিদ্ধশ্রোত্রীয় ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ ছিল এবং পরবর্তী সময়ে বাসস্থান, নামকরণ ও কর্মসূত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটলেও তাদের গৌরবময় পরিচয় অক্ষুণ্ণ থেকেছে।


এই বংশে বহু দেশপ্রসিদ্ধ মহামহোপাধ্যায় ও পণ্ডিত জন্মগ্রহণ করেছেন, যাঁদের কীর্তি বাংলার জ্ঞান-সাধনার আঙিনাকে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নাটোর মহারাজের দ্বার পণ্ডিত কেবলরাম তর্কপঞ্চানন এবং তাঁর পুত্র রঘুত্তম বাণীকণ্ঠ, কলকাতার হাতিবাগানের সংস্কৃত চতুষ্পাঠীর ন্যায়শাস্ত্রাধ্যাপক হরচন্দ্র তর্কভূষণ, শ্রীরামপুরের কেরি সাহেবের শিক্ষক কালিদাস সভাপতি, নদীয়া মহারাজের সভাপণ্ডিত বলভদ্র বিদ্যাবাচস্পতি, ভারতচন্দ্র বিদ্যারত্ন, সদানন্দ বিদ্যাবাগীশ, মুন্সেফ গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার, হরধর ন্যায়রতœ এবং সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক ও জর্জ পণ্ডিত জয়গোপাল তর্কালঙ্কার। । তার পিতা কেবলরাম তর্কপঞ্চানন।

জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের পুত্র ছিলেন তারক বিদ্যানিধি। তাঁর তিন পুত্র শ্রীবিষ্ণু, শ্রীরাধাকৃষ্ণ ও শ্রীকৃষ্ণ এবং এক কন্যা ছিলেন সুশারময়ী, যিনি অক্ষয় মৈত্রের স্ত্রী ছিলেন।সুশারময়ীর চার পুত্র অমূল্য, অশ্বিনী, কালী ও রাধাচরণ।অন্যদিকে, সদানন্দ বিদ্যাবাগীশের চার পুত্র ছিলেন চাঁদমোহন, চন্দ্রমোহন, কমলাকান্ত ও বৃন্দাবন। বৃন্দাবনের পুত্র ছিলেন দীননাথ।
পিতার কাছে শিক্ষা লাভের পর তিনি বারানসী চলে যান। সেখানে প্রাচ্যত্ত¡বিদ হেনরি থমাস কোলব্রæককে বাংলা ও সংস্কৃত শেখানোর জন্য পÐিতরূপে নিযুক্ত হন। ১৮০৫-২৩ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশনে উইলিয়াম কেরির অধীনে কাজ করেন। ওই সময়ে তিনি জন ক্লার্ক মার্শম্যানের সম্পাদনায় সমাচার দর্পণ প্রকাশে সহায়তা করেন। ১৮১৮-২৩ খ্রিস্টাব্দে পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগের প্রধান কর্মীদের মধ্যে তিনি অন্যতম ছিলেন।
১৮২৪ খ্রিস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার মাসিক ৬০ টাকা বেতনে এর সাহিত্যশাস্ত্র অধ্যাপকের পদ লাভ করেন। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে তিনি অসামান্য যোগ্যতার সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানে কাব্য ও সাহিত্য-শ্রেণীর অধ্যাপনা করেন। জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের বেতন প্রথমে ৬০ টাকা থাকলেও, পরবর্তীতে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৯০ টাকা হয়েছিল।

আচার্য কৃষ্ণকমল ভট্টাচার্য তাঁর স্মৃতিকথায় জয়গোপাল সম্পর্কে যা লিখেছেন, তা থেকে একটি উদ্ধৃতি প্রদান করা হলো

"যখন বিদ্যাসাগর সংস্কৃত কলেজের ছাত্র ছিলেন, তখন সাহিত্যের অধ্যাপনার দায়িত্বে ছিলেন জয়গোপাল তর্কালঙ্কার। তিনি অত্যন্ত সরসিক, সু-লেখক, ভাবগ্রাহী ও সহৃদয় ব্যক্তি ছিলেন। যদিও তিনি সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন, কিন্তু তাঁর কাছে পাঠদানের নিয়মটি ছিল একটু ব্যতিক্রমী।

তিনি প্রথমে শ্লোক আবৃত্তি করতেন, তারপর ব্যাখ্যা শুরু করতেন, কিন্তু মাঝপথেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়তেন। ব্যাখ্যা শেষ হওয়ার আগেই তাঁর কণ্ঠ গদগদ হয়ে উঠত, তিনি আবেগে বলতেন 'আহা! দেখো তো, কী অপূর্ব লেখা!' এ কথা বলে তিনি কণ্ঠরুদ্ধ হয়ে বসে থাকতেন, তাঁর গÐদেশ অশ্রুজলে ভেসে যেত। সেইদিনের পাঠদান সেখানেই সমাপ্ত হয়ে যেত।

তবে সংস্কৃত শ্লোক রচনায় তাঁর অসাধারণ দক্ষতা ছিল। আমি নিজেও জয়গোপালের দুটি কবিতা মুখস্থ রেখেছি।"

এই স্মৃতিচারণা থেকে বোঝা যায়, জয়গোপাল কেবল একজন শিক্ষক ছিলেন না, তিনি ছিলেন এক আবেগপ্রবণ সাহিত্যসাধক, যিনি সাহিত্যকেই আত্মার সঙ্গে একাকার করে দেখেছিলেন। তাঁর সাহিত্যপ্রেম ও গভীর অনুভূতি শিক্ষার্থীদের মনে এক অনন্য প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাঁর শিক্ষা ও পাণ্ডিত্য বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিকাশে গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যদিও তিনি সরাসরি জনপ্রিয় সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেননি। তবু, তাঁর অবদান বাংলা সাহিত্য ও ভাষার শুদ্ধিকরণে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায় হয়ে থাকবে।
জয়গোপাল তর্কালঙ্কার প্রথমে তিন বছর কোলক্রক সাহেবের পÐিত হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এরপর ১৮০৫ থেকে ১৮২৩ সাল পর্যন্ত টানা ১৮ বছর তিনি পাদরী কেবীর অধীনে শ্রীরামপুরে চাকরি করেন। সংস্কৃত কলেজের পুরাতন নথিপত্র থেকে এই তথ্য জানা যায়।
শ্রীরামপুরে অবস্থানকালে তিনি কিছুদিন মিশন-স্কুলে শিক্ষকতা করেন। এরপর ২৩ মে ১৮১৮ সালে যখন জে. সি. মার্শম্যানের সম্পাদকত্বে বাংলা সংবাদপত্র সমাচার দর্পণ প্রকাশিত হয়, তখন জয়গোপাল এই পত্রিকার সম্পাদকীয় বিভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে কাজ করেন। তিনি প্রথম থেকেই ১৮২৩ সাল পর্যন্ত এই পত্রিকার সম্পাদকীয় কাজে যুক্ত ছিলেন।
১৮৩৬ সালের ২৮ মে সমাচার দর্পণ-এর সম্পাদক একটি বিশেষ নিবন্ধে লিখেছিলেন এতে জয়গোপালের বয়স ৭৩ বছর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই তথ্যগুলো প্রমাণ করে যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার কেবল একজন শিক্ষাবিদই ছিলেন না, বরং বাংলা সাংবাদিকতা ও সাহিত্যচর্চায়ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন।
১৩ এপ্রিল ১৮৪৬ সালে, ৭৪ বছর বয়সে, পণ্ডিত জয়গোপাল তর্কালঙ্কার পরলোকগমন করেন। মৃত্যুর কিছুদিন পূর্ব থেকেই তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছিল, যা তাঁকে শারীরিকভাবে দুর্বল করে তোলে। তাঁর অনুপস্থিতিতে, সংস্কৃত কলেজে সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপনার দায়িত্ব সাময়িকভাবে গ্রহণ করেন সর্বানন্দ ন্যায়বাগীশ। জয়গোপালের প্রজ্ঞা ও সাহিত্যিক অবদান বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অগ্রগতিতে গভীর ছাপ ফেলেছিল, যা আজও স্মরণীয়।
জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের ছাত্ররা পরবর্তী কালে বাংলার সাহিত্য ও সংস্কৃতির জগতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তবে জয়গোপালের দুইটি অনন্য কীর্তি তাঁহাকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে।
প্রথমত, তিনি সর্বপ্রথম শ্রীরামপুর মিশনের ছাপাখানায় কৃত্তিবাসী রামায়ণ (১৮৩০) এবং কাশীদাসী মহাভারত (১৮৩৬) মুদ্রিত করেন। এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া থেকে এই দুই মহাকাব্যকে রক্ষা করেন এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষিত করে রাখেন।
দ্বিতীয়ত, তিনি পারসিক অভিধান প্রণয়ন করেন এবং বিল্বমঙ্গল ঠাকুরের 'হরিভক্তি' গ্রন্থের কবিতানুবাদ প্রকাশ করেন, যা ভাষা ও অনুবাদ সাহিত্যের ক্ষেত্রে মূল্যবান সংযোজন।
এছাড়াও, তিনি কবিবর ঈশ্বরগুপ্তের সম্পাদিত 'প্রভাকর' পত্রিকার নিয়মিত লেখক ছিলেন। ১২৫৩ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখ প্রকাশিত 'প্রভাকর'-এর একটি তালিকায় তাঁর নাম পাওয়া যায়, যা তাঁর সাহিত্যচর্চার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ।

জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের রচিত ও সম্পাদিত গ্রন্থসমূহ বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের তালিকা নিম্নে প্রদান করা হলো:

(১) শিক্ষাসার

এই গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণের একটি কপি ইন্ডিয়া অফিস লাইব্রেরিতে সংরক্ষিত আছে (পৃ.৭২)।

(২) বিনল্বমঙ্গলকৃত কৃষ্ণবিষয়ক শ্লোক

১৮১৭ সালে প্রকাশিত (পৃ. ৫২)। এতে ১০৯টি শ্লোক ও পয়ারসহ বঙ্গানুবাদ রয়েছে। শেষ পৃষ্ঠায় মুদ্রণকাল উল্লেখ করা আছে— "কলিকাঁতাতে ছাপা হইল ॥ ১২২৪ বঙ্গাব্দ।"

(৩) পত্রের ধারা

১৮২১ সালে প্রকাশিত (পৃ. ৫৬)।

এটি শ্রীরামপুরে মুদ্রিত হয়। গ্রন্থের আখ্যাপত্রে লেখকের নাম উল্লেখ না থাকলেও পারি লঙের বাংলা পুস্তকের তালিকা (নং ২২৫) থেকে জানা যায়, এটি জয়গোপালের রচনা।

(৪) চÐী

১৮১৯ সালে প্রকাশিত।

৩ এপ্রিল ১৮১৯ তারিখের সমাচার দর্পণ পত্রিকায় উল্লেখ রয়েছে যে কবিকঙ্কণ চক্রবর্তীর রচিত ভাষা চণ্ডী গান নানা লিপি-ত্রুটির কারণে নষ্টপ্রায় ছিল। জয়গোপাল তর্কালঙ্কার বিভিন্ন দেশীয় পুস্তক থেকে তথ্য সংগ্রহ ও বিচার-বিশ্লেষণ করে নতুনভাবে এই গ্রন্থ প্রস্তুত করেন এবং তা মুদ্রিত হয়।

(৫) বঙ্গানুবাদ রামায়ণ

কৃত্তিবাস রচিত গৌড়ীয় ভাষার রামায়ণ (১ম-৭ম কাÐ) সম্পাদনা করেন। এটি ১৮৩০-১৮৩৪ সালের মধ্যে প্রকাশিত হয়।

(৬) মহাভারত

১৮৩৬ সালে প্রকাশিত (পৃ. ৪২৪)।

(৭) পারসীক অভিধান

১৮৩৮ সালে প্রকাশিত (পৃ. ৮৪)।

এটি পারসীক শব্দের সঙ্গে সমার্থক দেশীয় সাধু শব্দ সংগ্রহ করে সংকলিত হয়। শ্রীরামপুরে মুদ্রিত হয় (সন ১২৪৫ বঙ্গাব্দ)।

(৮) বঙ্গাভিধান

২৫ আগস্ট ১৮৩৮ তারিখে সমাচার দর্পণে এই অভিধানের উল্লেখ রয়েছে।

এই সকল গ্রন্থ বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও অভিধান চর্চায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের এই অবদান বাংলা সাহিত্যে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

(তথ্য সূত্র:

১.জয়গোপাল তর্কালঙ্কার মদনমোহন তর্কালঙ্কার-শ্রী বজেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়

২. সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬, পৃষ্ঠা ২৩৬, আইএসবিএন: ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬।

৩. সাহিত্য সভার মাসিক পত্রিকা সাহিত্য-সংহিতা, কার্ত্তিক-পৌষ সংখ্যা, ১৩২৬ বঙ্গাব্দ, পৃষ্ঠা ১৫৯।

৪. শিশিরকুমার দাশ সংকলিত ও সম্পাদিত, সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৯, পৃষ্ঠা ৮৩।)

 

 
========================
শুভ জিত দত্তের জন্ম : ২ ‍ডিসেম্বর ১৯৯৩ সালে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার বণিকপাড়া গ্রা‌মে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ব্যবস্থপনা বিভাগে বিবিএ, এমবিএ। নিয়মিত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক লেখা প্রকাশ এর পাশাপাশি বিভিন্ন সাহিত্য সাময়কী লেখা প্রকাশিত হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়। ত্রিলোচন সাহিত্য ভুবন নামে সাহিত্য সংগঠনের সাপ্তাহিক সাহিত্য পত্রিকা অপ্রৌধা যা প্রতি সপ্তাহে প্রকাশিত হয় তার সম্পাদনা করেন।




No comments:

Post a Comment