অস্তিত্ব
অমিত কুমার রায়
এই কিছুক্ষণ আগে আমি মারা গেছি।
জীবনে প্রতি পদে পদে
আমরা হতাশ হয়ে মারা যাই
আমরা নির্বোধের মত মারা যাই।....
যেই শুনেছ কানে আমি মারা গেছি
বললে মুখ কাচুমাচু করে ---
লোকটা বেশ ভাল ছিল,
একটু বোকা টাইপের আর কি !
সবকিছুতেই ঠকতো খুব
ঘরে বাইরে।
দুদিন আগেই বলেছিলে
লোকটা খুব খারাপ, বদমেজাজি।
একটু মেয়ে ঘেঁষা
মেয়েলি ধরনের কথাও বলে।
কুপ্রস্তাব দিয়েছে কাউকে কাউকে
তবে প্রমাণ নেই কপাল ভাল !
বড্ড হাড়কিপ্টে ছিল লোকটা
বেশ গম্ভীর মুখের ভাব
কত যে কার চিঠি আসতো ডাকে!.....
পরে অবিশ্যি জানতে পারে
বই পত্রিকা মেমেন্টো!
ওর বউটা ভারী ভালো
রংটা যদিও কালো,
লাউ কুমড়ো পুঁইশাক সজনী ডাটা
তুলতে দিতো হাসি মুখে চাইলে।
সেই বলনা
দিলে দিদি দিদি নইলে.........
জবা ফুলের বাগান আছে বটে
ফুল তুললে লোকটা ভারী খেঁকিয়ে উঠতো।
বলতো আরে করছোটা কি?
ভ্রমর কীটপতঙ্গ প্রজাপতি মারবে বুঝি?
ওরা খাবেটা কি?
কি হাঁদা রে বাবা!
এমন লোকও বউটার পুঁজি !!
চোখের জলে চিহ্ন দিয়ে লাইক করে!
মনে মনে বললে হেসে
বেশ হয়েছে মরেছে পাপ বিদায় হয়েছে!
বড় বিচিত্র মনের দেশ!
অমন লোকে না থাকলে ভালো।
তোমার গায়ের জ্বালা কোথায় বলতে পারো?
মনে মুখে কইছো কথা দুরকমের
তুমি বুঝি সবার থেকে খারাপ- ভালো?
কাঠের চিতা সাজিয়ে সেদিন আড়ালে
ছদ্মবেশে রইলাম মজা দেখতে।
কেউ বলল ভালো।কেউ বলল দারুন খারাপ কেসে?
লোকটা তখন ঝড়ের বেগে চলে
কোথায় গেল কেউ জানে না।
শব্দ শোনা গেল
এই পৃথিবীর কোনটা ভালো
কোনটা খারাপ যাচাই হবে
তেমন ল্যাব কোথায় মেলে?
===================
অমিত কুমার রায়, ঝিখিরা হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ
No comments:
Post a Comment