স্থির স্রোত এবং একাকীত্ব
চৈতি
অ্যাট ইজ এসে যাওয়া কথাগুলোর জন্য
কবিতা বানানোর চেষ্টা করতে হয় না,
ঘটে যাওয়া পরিবৃত্ত দিনবদলের পাশে
শব্দ সাজিয়ে রাখে নতুন করেই।
নিজের ভেতরের অস্থিরতা কবিতা হয়
কিংবা খেরো চালের তত্ব কথা
ঠিক জানি না।
বলতে ভালো লাগে বলেই লিখি,
শোনাতে ভালো লাগে বলেই ধরে রাখি।
কখনো কখনো লাইনগুলো সারি বেঁধে
দাঁড়িয়ে থাকে পর পর,
আবার কখনো খুন্তি কড়াইয়ের লড়াইতে
হারায়।
অকবিদের কোনো দায় নেই যত্নে রাখার
মানুষ না পড়তে পারলেই বেঁচে যায়
এ তো স্বতঃসিদ্ধ।
বিদ্বজনেদের লেখার সমালোচনা হয়,
নিজেকে লাইমলাইটে আনার কারণে।
অকবিদের কোনো দায় নেই ফেম সামলানোর,
ভেতরের কষ্টগুলো সবটাই এক জায়গায়,
তবু কেষ্টবিষ্টুদের ইমোশনেই রমরমা।
আর একটা পৃথিবী বড্ড নিশ্চুপ,
সৃষ্টি নিয়ে প্রগলভতা নেই, বড়াই নেই
নেই কোনো আত্ম অহং,
সৃষ্টির রসে বুঁদ হয়ে থাকা মন
একাকীত্বের আনন্দে আত্মহারা জীবন।
ধোঁয়াটে আল্ট্রাভায়োলেট রে-----
ছুঁতেও পারে না কোথাও,
এতটুকু আঁচ লাগে না গায়।
নিরবিচ্ছিন্ন স্রোতে বয়ে চলে যায়।।
No comments:
Post a Comment