হে তারুণ্যের কবি
শৈবাল কর্মকার
অরণ্যের বিশাল চেতনা নিয়ে
একুশে কণ্ঠ থেমে যায় হিং টিং ছট্ নানা প্রশ্নের,
হে তারুণ্যের কবি !
তুমি যখন সমাজের আয়নায় তুলে ধরেছিলে
'বড়লোকের ঢাক তৈরি গরীব লোকের চামড়ায়'
আমরা এখনও ঢাকের তালে নেচে উঠি প্রত্যহ উৎসবে
তুমি যখন কবিতাকে ছুটি দিয়েছিলে
ক্ষুধাকে করেছিলে আত্মস্থ
তোমার বুকে বেঁধেছিল রাজরোগ!
তুমি সিঁড়ির ন্যায় কার্পেটে বুকের ক্ষত ঢেকে
দেশলাই কাঠি হয়ে জ্বলে উঠতে চেয়েছিলে
তুমি উত্তাপের অকৃপণ প্রার্থী হয়ে
জ্বলন্ত অগ্নিপিণ্ডে পরিণত হতে চেয়েছিলে
তুমি তো জানতে,' ক্ষুদ্র আমি তুচ্ছ নই।'
তুমি আঠারো বছর বয়সকে দিয়েছিলে
পদাঘাতে পাথর ভাঙ্গার মন্ত্রণা
তোমার কবিতার প্রতিটি শব্দে কান্না হয়ে ঝরে
গরীবের নীরব যন্ত্রনা,
তুমি তো শোষণ ও বঞ্চনার বিরূদ্ধে
রানারের বেশে নীরব প্রতিবাদী
তোমার সঙ্গে বলে উঠি:
'এসো তবে আজ বিদ্রোহ করি,
ছিঁড়ি, গোলামির দলিলকে ছিঁড়ি।'
====================
শৈবাল কর্মকার , রায়গঞ্জ, উত্তর দিনাজপুর
No comments:
Post a Comment