Skip to main content

Posts

ছড়া ।। শুভাশিস দাশ

নারী শুভাশিস দাশ নারী নয় ফেলনা নারী নয় খেলনা নারী নয় অবহেলা পাত্র সম্মান করো তাঁকে শ্রদ্ধায় ভরো মাকে ভালবাসো দিবা থেকে রাত্র। আমাদের সব কাজে নারীরা জড়িয়ে আছে কেউ দিদি, বোন কেউ কন্যা পিসি আছে, আছে মাসী সবাইকে ভালবাসি জায়া আছে, ধরণী অনন্যা ॥   =================   শুভাশিস দাশ দিনহাটা মো 9932966949

কবিতা ।। সুমিত মোদক

  বাঁচার স্বপ্ন সুমিত মোদক দখিনা বাতাস মেখে নতুন করে বাঁচতে চেয়েছি আবার ; দখিনা বাতাস মেখে … নতুন করে বাঁধতে চেয়েছি সংসার , জীবন ; এক গ্রাম্য মেয়ের জীবন ; যেখানে থাকবে খিড়কির ঘাট , পুবের জানালা , একটা গোটা উঠান … এমন এক জীবন , এমন এক সংসার ; আমি তো গ্রামের সহজ সরল এক মেয়ে ; সমাজের অত জটিল অংক বুঝিনা ; বুঝতে পারি না ; সে কারণেই তো প্রথম যৌবনের প্রথম প্রেমেই  ঠকে গেলাম ; তলিয়ে গেলাম মুম্বাইয়ের অন্ধকার গলিপথে ; সে সময় সে বলেছিল শহরে নিয়ে যাবে , সংসার পাতবে ; বিশ্বাস করে ছিলাম ; শহর থেকে ঘুরতে আসা সুদর্শন , তরতাজা ছেলেটাকে বিশ্বাস করে ছিলাম ; সে কারণে বাবা-মা , আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে , গ্রাম ছেড়ে তার হাত ধরে পাড়ি দিয়ে ছিলাম ভিন রাজ্যে  ; এক আকাশ স্বপ্ন নিয়ে ; সে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেল , যখন বুঝলাম বিক্রি হয়ে গেছি রাতজাগা মহল্লায় ; আর আমি , রাতপরি ; ওখান থেকে পালাবার কোনও পথ নেই ; পালাবার কোনও পথ থাকে না ; আমাকে দেখে কি মনে হয়েছিল কে জানে ; এক রাতপুরুষ আমাকে নতুন করে বাঁচার মন্ত্র দিল ; দিল মুক্তির চাবিকাঠি  ; অনেক চেষ্টায় এলাকার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে এলো ; মুক্তি , অ...

কবিতা ।। সাত্যকি

ধোঁয়াশা মলিন হলে   সাত্যকি বৃক্ষ শরীরের গায়ে ঠেস দিয়ে যখন তার নিষ্প্রাণতা চোখে আসে  যখন ছাইয়ের পাশে বসে থাকি  ধোঁয়ারা দেখি ছুঁয়ে নিচ্ছে আকাশের সাদা  সেই সময় চারপাশের রুক্ষতা ঘিরে ধরে চোখ  একটা নিঃশব্দ উচ্চারণ ভেসে ভেসে আসে  কখনও পড়ে ফেলি  কখনও গ্রীষ্মের রোদের মতো হয়ে থাকে তারা  তবে শেষমেশ বুঝে যাই আমি মাতৃতান্ত্রিকতাই ভালোবাসি  আমি চিরকাল তারই ধার ঘেঁষে আছি....                               -------------   সাত্যকি  c/o-প্রদ্যুৎ দাস ঋষি অরবিন্দ সরণি ,  সরকার বাগান উত্তর পূর্ব -ন পাড়া  পোস্ট -ন-পাড়া  থানা -বারাসত  জেলা -উত্তর 24 পরগনা  কলকাতা -700125। মো: 7278107288।  

কবিতা।। মোয়াল্লেম নাইয়া

  "বনলতা সেন"  মোয়াল্লেম নাইয়া মনের মাঝে লুকিয়ে থাকা বনলতা সেন মিটিয়ে দিতে চায় সে আমার সকলই লেনদেন ৷ অমোঘ টানের অন্ধকারে পথ চলেছি হেঁটে আজও তাহার পাইনি দেখা বছর গেছে কেটে৷ স্নিগ্ধ শিশির সবুজ ঘাসে মেলছে তাহার ডানা অবুঝ প্রেমিক তোমার চুলে হারায় যে ঠিকানা! নীড়ের মত চোখ দুটিতে লক্ষ মনের বাস মেঘ-বৃষ্টির খেলা সেথায় চলছে বারো মাস ৷ জোনাকির ওই নিয়ন আলোয় বনলতা সেন তোমায় নিয়ে গল্প গাথা কাব্য অমর প্রেম। চলুক না হয় খোঁজার পালা হাজার বছর ধরে স্বপ্নে ঘটুক বনলতা সেন-"মুখোমুখি বসিবারে"৷              ------------০০------------   নাম-মোয়াল্লেম নাইয়া গ্রাম+পোষ্ট- ইমামদ্দীপুর থানা-ঢোলাহাট জেলা- দক্ষিণ২৪ পরগণা পিন-৭৪৩৩৯৯ ফোন নং-৯৯৩৩১৯৫৭৫২

কবিতা ।। সুমনা ভট্টাচার্য্য

অথ উলূপী কথা     সুমনা ভট্টাচার্য্য   হৃদয় কখনো নিয়ম বহির্ভূত সহিষ্ণুতার সংযমী বাঁধ ভাঙে- নারীরও জাগে তৃষ্ণা যথাবিহিত আ মন্ত্রণের সাংকেতিক আহ্বানে ;   নই দ্রৌপদী শীলিত ব্যবহারিক- আশিরনখের আর্য মুদ্রাদোষ, নেই সুভদ্রা বা চৈত্রবাহনীর পুরুষ মোহিনী শৃঙ্গার সংযোগ ।   চলেছি জীবনে -দ্বিধাহীন নাগ মেয়ে নির্লজ্জ পা বাঁধে উদার ছন্দ- বিধাতার ভুল নিজে দেবো শুধরিয়ে যাপন জানেনা রাখ ঢাক-নিঃশর্ত;   সেদিন অর্জুন স্নান এঁকেছিলে গায়ে ... পৌরুষ ছোঁয়া জলের  উজান স্রোত নিষেধ বল্গা ছিঁড়েছে বিধবা মেয়ে স্রো তের টানে যে হারায় কপর্দক -   কপর্দকেই সোনার পাথর বাটি উপবাসী দেহ- মানে না মনু-শাসন  ধৃষ্টতা ঘোর, শুদ্ধ অবিশ্বাসী -   অনর্থ মানে সপ্তপদী গমন -   ঝুলিতে জমানো একরাত সহবাস একরাত প্রেমে কিনেছি গর্ভক্ষত সেই ক্ষ তে ভরি' জীবনের অধিবাস... যেমন ভিক্ষা চিনে নেয় ক্ষুধার্ত;   চতুর্বর্গ শুধু পুরুষ - মোক্ষ ভার্যার ক্রিয়া পুত্রার্থে ই বলে- কর্তৃ বাচ্যে বাঁচে পুরুষ আর্য বিবাহ বচনে প্রবোধের মন গলে ।   পাশা খেলা হোক বা অশ্বমেধ বাজী - পরস্মৈপদী  ...

ছড়া ।। খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায়

  নারী তুমি খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায় পুতুল খেলা ছেড়ে তুমি গেলে শ্বশুর বাড়ি দু'চোখ ভরা স্বপ্ন তোমার পেলো ন'হাত শাড়ি । সবার মুখে ফোটাও হাসি দিনে রাতে খেটে নিজের দিকে না তাকিয়ে যাও রয়ে একমেটে । শ্বশুর ননদ দেওর আদি করলে সবে আপন নিংড়ে দিয়ে নিজের সবই সুখের জীবন যাপন । মেটাও সবার যা প্রয়োজন ভূলে নিজের কথা  সুযোগ পেলে কেউ ছাড়ে না দিতে তোমায় ব্যথা । নারী তুমি নিজেকে আজ একটু ভালোবাসো নিজের সাথে নিজেই নিজে প্রাণখুলে আজ হাসো । খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায় মালঞ্চ ,কবরডাঙ্গা ,বাঁকুড়া ৭২২১০১ যোগাযোগ :৯৪৩৪৩০৫৬২১

কবিতা ।। অভিষেক ঘোষ

       ভ্রান্তি   অভিষেক ঘোষ ১ ম দিন আমায় ওরা খোলা মাঠে মুক্তি দিয়েছে ! দ্যাখো মা, আমি মুক্ত । কী যে আনন্দ হচ্ছে ! আমি কখনো ভাবিনি জানো, ওরা আমায় ওদের শাসন থেকে, শৃঙ্খল থেকে, এতখানি মুক্তি দেবে ! ২ য় দিন কত সবুজ চারিদিকে ! চতুর্দিকে গা-ঘেঁষাঘেষি করার কেউ নেই । যেদিকে চোখ মেলছি, মুক্তজীবন হাতছানি দিচ্ছে, আজ আর কেউ অশালীন কটাক্ষে, অবাঞ্ছিত ঘৃণ্য স্পর্শে, বিকৃত লালসায় – আমায় নিয়ম-মাফিক  বিব্রত করতে পারবে না, তা ভেবে কী যে ভালো লাগছে !! ৩ য় দিন তবে কী সব্ ভুল ছিল মা ? ওদেরই একজন আজ আমাকে আমার অজান্তেই একা করে দিয়েছে, তার নিজস্ব গোপন স্বার্থে । সমাজ থেকে স্বতন্ত্র করে, ব্যক্তিগত কামনার বিকৃত জগতে আশ্রয় দিয়েছে ! মা গো, এতটা ঠকে গেলাম আমি ! কখনো ভাবলাম না, কোনো পুরুষ পারে না এতটা মহৎ হতে, এমন অসীম মুক্তি পুরুষের পৃথিবীতে অলীক । সব ভ্রান্তি-পাশ । সবার থেকে পৃথক করে, দিয়েছে উন্মুক্ত খোলা মাঠ । কিন্তু অলক্ষ্যে, গোপন কামনার অদৃশ্য প্রাচীর তুলেছে, আমার স্বাধীন অবকাশ-টুকু ঘিরে । আজ অবাক হলে চোখ রাঙিয়ে সে বলছে, "এই গন্ডির মধ্যে  যত পারো ছোটো, কিন্তু  আমি একা তো...

কবিতা ।। সম্পা পাল

তৃতীয় বিশ্ব ও নারী সম্পা পাল আরও একটি এবং তারপরও নদী হতে ইচ্ছে হয় জানোতো আমি তৃতীয় বিশ্বের এক নারী একদিন আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন ছিল এখন আকাশ আর একটু উঁচু তবু একটি জীবন বহন করছি দৈনিক প্রথম বিশ্বের স্বপ্ন দেখিনি বিশেষ ওখানে আমেরিকা আছে শুধু অলিন্দে সীমাহীন শূন্যতা জানি তৃতীয় বিশ্ব কখনো নারীর শূন্যতা খোঁজে না তবু সব শূন্যতার পরও একটি বসন্ত থাকে একটি এবং থাকে একটি নদীও থাকে..... --------------- সম্পা পাল , শিলিগুড়ি 

ছড়া ।। রিয়াদ হায়দার

  মা রিয়াদ হায়দার মাথায় উপর আদর মাখা একটা স্নেহের হাত, যত্ন করে বাড়িয়ে দিতেন থালা ভর্তি ভাত। স্কুলেতে যাবার সময় গুছিয়ে দিতেন খাতা, আদর করে আঁচড়ে দিতেন ভিজে চুলের মাথা। কাছে নিয়ে সোহাগ মেখে গালে দিতেন চুমো, বলতো তিনি-সোনা রে তুই এবার একটু ঘুমো। সারা জীবন আগলে রেখে আঁচল দিয়ে ঢাকে, ছোট্ট সোনা মনের সুখে আদর মেখে থাকে। ছেলে-মেয়ে'র জন্য যিনি থাকেন সকল কাজে, শ্রদ্ধা জানাই তিনি হলেন সবার প্রিয় মা'যে... ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, রিয়াদ হায়দার সরিষা আশ্রম মোড় পোস্ট - সরিষা থানা - ডায়মন্ড হারবার জেলা - দঃ২৪ পরগণা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর - 9609618020 rasel.hayder786@gmail.com

কবিতা।। দীপঙ্কর বেরা

  নারীর পথ চলা  দীপঙ্কর বেরা  অনেকদিনের অনেক পুরোন কথা মনে পড়ে জগদ্দলকে ঠেলে তোমার যাত্রা জীবন গড়ে তুমি মহীয়সী তুমি মানুষ হয়েছো নিজের মত তোমাকে তাই শ্রদ্ধা জানাই করছি মাথা নত। খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠা করে রান্নাবাড়া ঠিক সময়ে অফিস হাজির কর্মের ডাকে সাড়া, বিকেলে ফিরে একা হাতে ঘরদোর সামলে তোমার জীবনকে তুমি নিজের মত গড়লে। না সাজগোজ গয়নাগাঠি গড়ে তোলা সংসার সমাজের বুকে যেন সমাজ হয়ে ওঠা পরিবার, তোমার নারী ভাবনা তোমাকে দিয়েছে মুক্তি তুমি ভেঙে দুর্বার হলে দেখালে তোমার যুক্তি। এত পরিশ্রমে চলতে থাকা মানুষ তুমি একক দেখিয়ে দিতে পেরেছো তুমি এ দশক এ শতক, প্রেমের অপরূপ ভঙ্গিমায় আমি খুঁজে পাই তুমি দিগন্তে যেন উঠেছে সূর্য চিরকালের আত্মভূমি।

কবিতা ।। মোনালিসা নায়েক

হৃদস্পন্দন  (প্রিয় নারী – আমার মা-কে) মোনালিসা নায়েক মা মানে পৃথিবীর আলো দেখার আগে থেকে সযত্নে আগলে রাখা  একটা হৃদয়মন্দির ভ্রূণ থেকে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠার লড়াকু শক্তি আর সাহস, অব্যক্ত কথারা হয়ে ওঠে হৃদয়, এমন এক আদর্শ চেতনার মূল্যবোধে জীবনকে চিনিয়ে দেওয়ার অসীম ক্ষমতা, অবিচ্ছিন্ন  এক বন্ধন, সব প্রতিকূলতাকে হারিয়ে সংগ্রামের অস্তিত্বে জয়টীকা। 'মা' এই ছোট্ট শব্দের ব্যাপ্তিতে  মরুভুমি বুকে সুখের খনি, সংসার এক দীর্ঘ সংগ্রামী -কন্টকাকীর্ণ পথের অবিশ্রান্ত সৈনিক। একটা সময় মায়েদের ছেড়ে আসতেই হয় নতুনসংসারকে নিজের করে পেতে, মায়ের আঁচল ছায়ার দাগ শুঁকে ভুলে থাকি পৃথিবীটা শূন্য লাগার যন্ত্রনা। এখন নিজে মা হয়ে বুঝেছি কোনো অভিযোগ রাখতে নেই, নিজেকে উজাড় করে সন্তানের হৃদস্পন্দন হয়ে বাঁচতে। রাজসুখ থাকলেও ঋষির মতোই জীবনযাপন করে সব মা-রাজর্ষি।   =============       মোনালিসা নায়েক আরামবাগ  হুগলী ফোন-৯৬৪৭৫৫৭৪০৯

ছোটগল্প ।। সঞ্জীব সেন

শিউলিদির কাছে শেখা সঞ্জীব সেন   কিছুদিন ধরে শিউলিদির কথা খুব মনে পড়ছে, গ্রামের বাড়ি । পাকাপাকি ভাবে কলকাতা শহরে চলে আসার পর গ্রামে যাওয়াও হয়নি, জীবনের একটা সময় এসে মনে হয় জীবনটা আসলে একটা বৃত্ত। যেখান থেকে শুরু করেছি সেখানে ফিরে যেতে চায় মন । এতদিন কাজের ভিতর ব্যস্ততার ভিতর শৈশব ফেলে আসা পরিজন,এসব ভাবার অবসর হয়নি। লকডাউন থেকে এখন আনলক। ধীরে ধীরে সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে । করোনা আতঙ্ক বুকে নিয়ে লোক পথে নামছে । রুজি রোজগারে । কিছু লোকের চাকরি গেছে। কিছু লোক জীবিকা পালটে ফেলেছে । প্যারাটিচার থেকে কলা বিক্রেতা ।  যাইহোক এসব নিয়েই চলতে হবে । এই দেখুন সেই ঘুরে ফিরে করোনার কথায় ফিরে যাচ্ছি । আমি তো শিউলিদির কথা বলতে চাইছিলাম এতক্ষণ ।তবে শুনুন এখানে শিউলি শুধু একটা নাম নয় । তার চেয়ে বলা ভাল শিউলিদিদের কথা । তখন পাড়ার দাদারা রাজেশ খান্নাকে ছেড়ে বচ্চনের মত স্টাইল করছে । অবশ্য তখন কথাটা ছিল বচ্চন কাট ।ফাস্ট ডে ফাস্ট সো এ ইয়ারানা সিনেমা দেখতে গিয়ে  হাউসফুল দেখে মুখচুন করে ফিরে এসেছে । তখন বাশবেড়িয়ার মত মফরসল শহরে নতুন সিনেমা আসত অনেক পরে । ততদিনে ইয়ারানা মারমার কাটকাট । দাদারা তখন স...

কবিতা ।। দেবব্রত মণ্ডল

  গর্ভধারিণীর মুখ    দেবব্রত মণ্ডল ক্ষুধার ভার আর বিগত রাতের বাসি-গন্ধ মেখে শিশুর মতো ঘুমিয়ে আছে আমার গ্রাম! ঘন কুয়াশা সরিয়ে ধীরে জেগে উঠছে কাকভোর উঠোনে অপেক্ষমান শীতকাতুরে আফোটা আলো এমন দিনে আমি মন্মর্জির উজানে হাঁটি অর্ধশতক পার করি অনায়াসে- যত পিছনে যাই উদোম হাওয়ায় স্মৃতির গুহমুখ খুলে যায় ক্রমশ। ওই তো গোঠের রাখল গরুর বাঁধন খোলে ঘুম চোখে গৃহপালিতেরা অকস্মাৎ থমকে দাঁড়ায় ওদের দৃষ্টি সড়গড় হলে, নতুন রাখল ভেবে যখন হাম্বা রবে ডেকে ওঠে- আমি পুরানো রাখল হয়ে যাই! নারকেল পাতা ছিপ ফেলে পুকুরের জলে দোল খায়, সমস্ত আলো গেঁথে তোলে নিজস্ব স্বভাবে। একটা ক্ষুধার্ত সকাল বাসি বাসনে দেয় উঁকি, আর নরম রোদে- বুকে সুগন্ধ নিয়ে নির্ভার বকুল ঝরে। পোষা হাঁসের সেই গদগদ ভাব, ওদের আয়ত চোখে আঁটুলির মতো চাপা অভিমান দেখি! আমি অফুরন্ত হলুদের মাঝে স্মৃতি হাতড়াই ভাঙা পাঁচিলে ফুটে আছে সহজ চিত্রমালা, এইমাত্র বাড়ীর ছোটোবউ ঘুঁটে দিয়ে গেছে। সলাজ ঘোমটায় ঢাকা সুখের সিঁদুর, আঁচলে প্রভাত শিশির মিশে আছে। দৃশ্যান্তরে- আমার চেতনায় ফুটে ওঠে এক মায়াময় রূপ। তাঁর ছেঁড়া আঁচলের খুঁটে বাঁধা সমস্ত ক্লেশে...

কবিতা ।। শিউলি মন্ডল

শক্তিরূপেণ সংস্থিতা         শিউলি মন্ডল  আমি সেই নারী , যার আগমনী তোলে বিষন্নতার তান !! নরপিশাচের লোলুপ দৃষ্টি , সেঁজুতির শিখা আজও করে ম্লান ।। আমি সেই মায়াবিনী , মায়ার খেলায় মত্তা।  মাতা, কন্যা, ভগিনী, প্রেয়সী, পত্নী রূপে;  যুগে যুগে এঁকেছি, তোমার নানান সত্ত্বা।।  আমি জনক দুহিতা  সীতা। মায়ার টানে করেছো মোরে রক্ষা,  তবু খুঁজিতে মোর পবিত্রতা;  নিয়েছো বারবার অগ্নিপরীক্ষা !!  আমি সেই দ্রোপদী,  যাজ্ঞসেনী ,পঞ্চপান্ডব জায়া। রক্ষা করো নি মোর সম্মান  ত্যাজিয়া রাজধর্মের মায়া।।  আমি মৈত্রেয়ী, অপালা, খনা।  আমার জ্ঞানের  বিচ্ছুরিত আলো,  ভুলিয়েছে কালের যত অবমাননা,  ঘুচিয়েছে জগতের যা কিছু কালো।।  আমি সাবিত্রী ,সত্যবান ত্রাতা।  সৃষ্টি স্বরুপা আমি ,প্রতিনিয়ত বঞ্চিতা;  রণচন্ডী, চামুন্ডা আমি ;করুণাময়ী মাতা  স্রষ্টার সাথে তবে, কেন এই দ্বিচারিতা??!!  নই পুরূষ বিদ্বেষী নারী, চাই শুধু জানতে,  একে অপরের পরিপূরক, পারে নাকি তারা হতে ? ভুলিয়া যত মান,অভিমান, দ্বিধা,দ্বন্দ্ব,দ...

কবিতা ।। মহাজিস মণ্ডল

                মেয়েদের কবিতা                       মহাজিস মণ্ডল কোনও ব্যথা অকপটে কাউকে বলো না শুধু নিবিড় হয়ে আসা রাতকে লিখো তোমার গহীন অভিসারের কথা চারপাশে দেখো,এখন বকধার্মিকের দল আগুন পোহানো মানুষগুলো সব্বাই ঘুমিয়ে নির্জন কোনও রাস্তায় বেরোনোর আগে সাতবার ভেবো...                        -০-   মহাজিস মণ্ডল সবুজলেন, নবপল্লী(১২ ফুট), ২২ বিঘা রোড, হরিদেব পুর, জোকা, কলকাতা-৭০০১০৪, মোঃ -৮৫৮৩৯৫৭৯১৯, তারিখ -০৯/০৩/২০২১.                          -০-

কবিতা ।। অমিতাভ সরকার

  নারীর অন্দরে অমিতাভ সরকার পৃথিবী পর্দা আঁটা অসুখের পথ হাঁটা নারীতে পৃথিবী গড়া নারী চিন্তায়। মনের যাপনাতলে চেতনার বাতি ছলে জীবনে নাড়ীর টান স্বার্থে খাটায়। চাহিদার কামনায় রোদ ক্ষোভ যাপনায়  নারী সে   বুঝতে নারি চেনা-অচেনায়। তবুও একলা জ্বরে শরীর  মনের দরে  সুখেতে ক্ষতের আভা  মূক ভাষা চায়। সময় পালটে চলা মনেতে বিষম জ্বলা তবুও ভাবনা সে কি খুব পালটায়? ==================== অমিতাভ সরকার আনন্দললোক আবাসন, ফ্ল্যাট ২ ই,১২৭ যশোর রোড,বারাসাত, উত্তর ২৪ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত ফোন ঃ৯৪৩২২৮৩১৭৪

কবিতা ।। অরবিন্দ পুরকাইত

  তুমি বিনা কোথায় জীবন  অরবিন্দ পুরকাইত নারী মানে আনাড়ি ক'জন আর বলতে ছাড়ি নারী মানে নরকের দ্বার, থাকে না কথাটি পেটে হাট করে বসে দেখাদেখি কেনাকাটি, খালি গাঁট খসে – কতশত অভিযোগভার! পথে সে বিবর্জিতা কে বা আর না জানি তা স্ত্রীর কাছে মিথ‍্যায় শাস্ত্রে সায়, কলঙ্ক নারীরই বেলা, পরমহংস নর মহামূল‍্য পুরুষরত্ন, স্ত্রীলোকের কী দর – ধরনা তাই পুত্রকামনায়। সন্তানের জন্ম দিতে দু-দণ্ড বিশ্রাম নিতে – ক্রমে বন্দি করল সংসার, কে খোঁজে কী বল আছে, কতখানি সুধা রিরংসা হানাহানি – রক্তাক্ত বসুধা, নারীর ইচ্ছার করুণ সংহার! সময়-সুযোগটি পেলে সৃজনে সম্মান মেলে সময়ের হাতে নজির ঢের, জননী জায়া বা কন্যা ভাবিনি তত প্রতিদ্বন্দ্বীরূপে যেন বিরোধরত! নারী আপন সম্মান পাক টের।        *       *       *       *       * অরবিন্দ পুরকাইত গ্রাম ও ডাক – গোকর্ণী, থানা – মগ‍রাহাট, জেলা – দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, ডাকসূচক – ৭৪৩ ৬০১।  

কবিতা ।। পলাশ পোড়েল

আমার মা পলাশ পোড়েল তোমার আঁচলে সংসারের চাবি তাতে ছিল নক্সা আঁকা, অভিমান কোঁচড়ভরে বোনে স্বপ্নখানি মা নয় সে সুজন সখা। বালিকা বয়সেই  বাজলো যে সানাই গোধূলি লগ্ন দেখে, বুঝি সেই থেকে শুরু, নতুন বউ ঘরের সোহাগী সিঁদুর মেখে। তুমি হাসি মুখে সব মেনে তবু নিলে কষ্টকর এ সংসারে, আমরা তোমায় কখনো সুখ তো দিইনি দুঃখে ব্যথিত অন্তরে। মা গো এখন ছবি তুমি আমার হৃদয়ে একলা কাঁদে মন, বুকে থাকে তোমার স্মৃতি পড়ে যা মনে সদাই ক্ষণে ক্ষণে।  ==================

কবিতা ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

নারী বিষয়ক  পার্থ সারথি চক্রবর্তী  তুমি কি কেবলই মা, নাকি কারো মেয়ে বা কারো বন্ধু!  আজ থেকে তুমি তাই রমা, কখনো চন্ডী কখনো শ্যামা। তোমার জন্ম নারীর কোলে তাই আজো সভ্যতা দোলে নিজের সকল কষ্ট ভুলে  সবার জন্য লড়েই গেলে। নও শুধুই সবার আশা হাতের মুঠোয় ভালবাসা  রাগ, অভিমান পুষে মনে সাজাও জগতকে যতনে। তুমিও আর ক'রো না ক্ষমা সভ্যতার মুখে ঘষো ঝামা নরম শিরদাঁড়া সোজা করে  দাঁড়াও আজ শক্ত শরীরে।

কবিতা ।। সাইফুল ইসলাম

আমার নারী সাইফুল ইসলাম ==================   আমার নারী শুধু কী মা            অর্ধাঙ্গিনীও বটে - আমার নারী আদরের বোন            ফুল হয়ে সে ফোটে। আমার নারী বীরাঙ্গনা                 প্রকাশ্য সমরে- বীর নায়ক ধারণকারী                  রত্নময়ী জঠরে। আমার নারী ঘুঁটে লাগায়                 হেলে থাকা দেয়ালে, কোলের শিশু ঘুম পাড়াতে               গান করে খেয়ালে। আমার নারী রাত্রি জাগে               বসে রুগীর শিয়রে- মমতাময়ী মাতৃরুপে               স্নেহ আদর করে। শত্রু দমন করেন নারী                দুর্গা মাতা রূপে- আমার নারী সরস্বতী               নমন করি চুপে।     ---------------------     সাইফুল ইসলাম বর্দ্ধনপাড়া,প...

কবিতা ।। সোমা মজুমদার

আজ আমি মানুষ  সোমা মজুমদার আজ ৮ মার্চ  আজ আমি নারী  আজ আমি মানুষ  আজ আমি সব পারি, আজ আমি তোমার কবিতা, আজ আমি বক্তৃতা।  আজ আমি বীরাঙ্গনা, আমি সোনীতা,আমি কল্পনা, আমি মেরিকম... আজ আমি কিসে কম?  আজ তোমার স্বীকার করতে লজ্জা হয় না, সারাদিনের ক্লান্তির শেষে দরজায় যখন একগ্লাস জলের সাথে স্নিগ্ধ হাসি নিয়ে আমি দাঁড়িয়ে থাকি, তুমি কেমন প্রানবন্ত হয়ে উঠ। আজ তোমায় বলতে শুনি, আমি ছাড়া ঘরটা কেমন অগোছালো।  আমায় ছাড়া ভাল্লাগে না।  আমি তোমার অর্ধাঙ্গিনী।  পছন্দের মেনু থেকে, মশারী টা গুছিয়ে দেওয়া, আমায় ছাড়া নাকি ভাবা যায় না।  এমনকি গাড়ি থেকে বাড়ি, ট্রেন থেকে প্লেন সবি আমি চালাতে পারি।    আজ ৮ মার্চ  আজ আমি নারী, আজ আমি মানুষ  আজ তোমায় শুনলাম রবি কবির সুরে সুর মিলিয়ে বিধাতা কে প্রশ্ন করতে   'নারীকে আপন ভাগ্য জয় করিবার কেন নাহি দিবে অধিকার হে বিধাতা '....   আসলে আজ ৮ মার্চ  আজ আমি মানুষ  কাল, হ্যাঁ কাল আমি নারী  আমার অন্তঃপরে বাড়ি  কাজের কথায় নাক গলাতে কেন আসি  সব কথায় কেবল করি বাড়াবাড়ি  ব...

কবিতা ।। সুকান্ত সেনগুপ্ত

  * নারী * সুকান্ত সেনগুপ্ত  মায়া-মমতা ও প্রেমের সূত্রে আগলিয়ে রাখ অন্তরে, কুঁড়েঘরকে নিকিয়ে ঝুকিয়ে করে তুলো তুমি মন্দিরে। নিজ জীবনের কষ্ট'কে ভুলে ঘরে আন সুখ শান্তি, কখনো জননী কখনো জায়া তোমার তো নাই ক্লান্তি! অশুভ শক্তির বিনাশ করো কখনো দৈত্যদলোনি, জগদ্ধাত্রী কখনো বা তুমি প্রেমিকের প্রিয় রমণী। গাছের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে ফুল ফুটিলে যেমন, সংসারে আসে সুখ-সমৃদ্ধি পড়িলে তোমার চরণ।            ------*----- (সুকান্ত সেনগুপ্ত। গ্র:+পো:- তিলুড়ী, জে: বাঁকুড়া, পিন- ৭২২১৫৩, ফো:/হো. ৯৭৩২১৩৪০৯১)  

কবিতা ।। অঞ্জনা দেব রায়

আমার প্রিয় নারী আশাপূর্ণা দেবী অঞ্জনা দেব রায় শতকোটি নারীর মধ্যে  তোমাকে চিনেছি বহুদূর থেকে  জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত হয়ে  নারী জাতিকে এগিয়ে যাওয়ার মন্ত্র দিয়েছিলে তোমার কলমে প্রকাশিত হলো  নারী শক্তির অপার মহিমা । তোমারই লেখা নারী  প্রগতির ত্রয়ী উপন্যাসে  তিন প্রতিবাদী নারী চরিত্র চির উজ্জল , তোমার অদম্য সাহস সমস্ত তুচ্ছতাকে ভাসিয়ে নিয়ে  মহান স্রষ্টার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছিল তোমাকে,  তোমার লেখনি শক্তি সাহিত্যের অঙ্গনে মহারানীর মর্যাদায়  তোমাকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল,  তুমি হলে সেই নারী জগতের উজ্জ্বল নক্ষত্র    আমার প্রিয় নারী আশাপূর্ণা দেবী ।    ===================  

ছড়া ।। মেহেদি হাসান

বাঁচবো মিলেমিশে মেহেদি হাসান শুনো সবে দিতে শিখো নারীর অধিকার, এই সমাজে আমরাও চাই আপন স্বাধিকার। আমি নারী লড়তে জানি চলতে পারি একা, বদলে দিতে আমিও পারি নষ্ট প্রথার রেখা। ভালোবাসা আমার মাঝেই প্রিয়ার বেশে খুঁজো, মায়ের ছাঁয়া বোনের মায়া আমার নীড়েই বুঝো।  তবে কেন দূরে ঠেলো  জড়াও ভালোবেসে, দাও অধিকার চাই স্বাধিকার বাঁচবো মিলেমিশে। -------------    মেহেদি হাসান ব্রাহ্মণবাড়িয়া,বাংলাদেশ 

কবিতা ।। মধুমালা বিশ্বাস

সতীর সেকাল- একাল মধুমালা বিশ্বাস  সতী সেদিন‌ও গিয়েছিল শিবের ঘর ছেড়ে প্রজাপতি দক্ষের ঘরে।  সেদিন‌ও সতী ফিরে আসেনি শিবের ঘরে আজ‌ও আসে না ফিরে। অপমান, লাঞ্ছনা, কটুক্তি সেদিন‌ও শুনেছিল আজ‌ও কত সতী পুড়ে শিব ও দক্ষের বিবাদে। পুড়ে শেষ হলে কেউ বুছেনা, শুধু আগুন জ্বলে অবশেষে ছাই হয়ে পড়ে থাকে।           ------×------  মধুমালা বিশ্বাস গ্রাম+পোস্ট- মেটেলী জেলা- জলপাইগুড়ি পিন- ৭৩৫২২৩

কবিতা ।। শুভ্রা ভট্টাচার্য

 নিজেরে করো সম্মান শুভ্রা ভট্টাচার্য নারী, নেই কেনো তোমার সতত কোন আধার! জলের মতো যখন যেমন তখনি তেমন আকার! এই আছ ভাটায় আবার কখনো দেখি জোয়ারে যে যার খুশি নাচায় বুঝি দোদুল্যমান তোমারে! তাই কখনো দেখি বেশ আছো তুমি "বোসে" আবার হাসি মুখে এই আছো বুঝি "ঘোষে", তুমি বাবার দুলালী, কখনো স্বামীর ঘরনী তুমিই আবার সর্বংসহা, সন্তানের জননী, তোমার তিনটি দশা - কন্যা জায়া মাতা নিজস্বতা বিকিয়ে তুমি সর্বত্যাগী দাতা। সত্যিই নেইকো তোমার ঋজুতা দৃঢ় ব্যক্তিসত্ত্বা! বোকার হদ্দ তুমি, বড্ড অভাব সুক্ষ্ম বুদ্ধিমত্তা! সোশ্যাল মিডিয়ায় তোমায় ঘিরে কত ব্যঙ্গ মজা সেই মজাতেই সামিল হয়ে​ ভাবছো তুমি রাজা! বুঝেও কেন বোঝনা নিজ সত্তার অবজ্ঞা অপমান! দীপ্তকণ্ঠে করো রক্ষা অন্তঃ-প্রজাতির মানসম্মান, নারী হতেই সৃষ্টি এ সত্যকে অন্তরে করো স্বীকার নিজের অস্তিত্বের সৌন্দর্যায়নে কঠিন অঙ্গীকার। পুঞ্জিত ব্যথার বিষ উদগিরণে নারীতে অসহিষ্ণুতা পুরুষের আস্ফালনের সহিত নীরব সমঝোতা! যত দ্বন্দ লড়াই শুধু নিজ প্রজাতির সনে করো! বোঝো না আত্মপ্রতিষ্ঠার লড়াইটা কত বড়ো! চিত্তের দূর্বলতায় ভেবোনা তুমি অসহায় বিপন্ন অন্যের বলিপ্রদত...

কবিতা ।। সৌরভ ব্যানার্জ্জী

এই সমাজে নারী সৌরভ ব্যানার্জ্জী জন্ম তোমার গর্ভে আমার জীবন দান মুক্ত প্রাণ, ধ্বংস-ছিন্ন-লুপ্তি ঘটছে তোমার দ্বারা শোকের গান। হাঁটতে শিখেছো, চলতে শিখেছো আমিই সেই অবলম্বন; কামনার মোহ লোভী পরায়ন অসূচী শরীরে সূচীত মন। কাল যে শরীরে চাহিদা মিটেছে তৃপ্ত হয়েছে শিশুর পেট, আজ সে শরীর ভ্রষ্টা হয়েছে, হয়েছে শুধু কৃপার ভেট। ক্ষুদ্ধ কাঙাল আঘাত হেনেছে আহত হয়েছে সেই অতীত; মিথ্যা জগৎ,মিথ্যা সমাজ শূন্য স্বপ্ন,শূন্য মিথ। দিবা-রাত্রি এক করে যে জুটিয়েছে তার পেটের ভাত, বেইমান সব পশুর জাত, মারতে তাদেরও কাঁপেনি হাত। যুক্তি-তর্ক বিফলে যাবে গলা ফাটিয়ে হবে সারা, দেশের মানুষ শক্তিশালী ভাঙছে নিজেরই শিরদাঁড়া। বস্ত্রহীন করেছো তাদের রেখেছো করে নিরাকার, শিক্ষিত এই সমাজে এখন সতীত্ব রাখা ভার।   ===========     সৌরভ ব্যানার্জ্জী বি/৩৭ লেক গার্ডেন্স,কোল-৩৩

কবিতা ।। সুজিত কুমার মালিক

নারী, তুমি দশভুজা অগ্নিপরীক্ষার অপমানের দহন শীতল করেছে বিভাজিত ধরণী। পাশার দানে পরাজয়ের গ্লানি বস্ত্রহরণের উল্লাসে মাতে! সহমরণের সতীত্ব লাভে খোল-করতাল কান্না ঢাকে, বিপত্নীক নাকি ভাগ্যবান, তারক সাজে বরের বেশে। ভালোবাসার আশ্চর্যতম সৌধে জল রঙে বেদনার চিত্র। লালসার শিকারি হয়ে পুড়ে  প্রহসনি সমাজ বেআব্রু হয়। যুগ হতে যুগান্তরে তুমি শোষিত, লাঞ্ছিত, অপমানিত। তবুও তুমি জন্মদাত্রী! অসুর নাশে দানবদলনি, রক্ষা কালে বিপদতারিণী। যম দুয়ারে কাঁটা বিছিয়ে ভাইয়ের কপালে বিজয় তিলক। জহরব্রতে বাঁচাও পরিবারের মান, মাতঙ্গিনী হয়ে উড়িয়ে দাও নিশান। বিরহী প্রেমিকা তুমি অন্তঃপুরে, স্বপ্নের আলপনা তোমার হৃদয় জুড়ে। নারী-তুমি দশভুজা, তুমিই অর্ধ-জগৎ। ================== সুজিত কুমার মালিক গ্রা: মইখণ্ড, পো: হেলান আরামবাগ, হুগলী পিন:৭১২৪১২ মোঃ৯৬৩৫৪২৪৬২

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

রেজাল্ট ।। সৈকত মাজী

রেজাল্ট সৈকত মাজী শুভ্রাংশু বিছানতে শুয়ে শুয়ে বিরক্ত হয়ে উঠল। মনে মনে নিজের শরীরটাকে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিলো দু- চারটে কথা, দেবে নাই বা কেন, কয়দিন ধরে এতো কাঠ খড় পুড়িয়ে সব বন্ধুরা মিলে রথটা বানালো, কত কি প্ল্যান করলো, আর এই শরীরটার জন্যই তো সব ভেস্তে গেলো। মনে মনে ভাবলো একটা যা হোক শরীর হয়েছে ওর প্রতি মাসে তিন - চার বার করে জ্বর হচ্ছেই। হবি তো হ আর একটা দিন পরে হলে কি এমন ক্ষতি হতো, এই রথের দিনেই হতে হলো। ওর বিরক্তিটা বেড়ে গেলো আরো কয়েক ঘর।    " মা ও মা...মাআআআআ...." জোরে হাঁক  দিলো শুভ্রাংশু।    " কি হয়েছে বাবু? আবার জ্বরটা বেড়েছে? মাথা ব্যথা করছে?" ব্যস্ত হয়ে উঠলেন মালতিদেবী।     " ওসব কিছু নয়, ও মা বলছি এখন তো খুব কম জ্বর আছে যাই না মা একবার বাইরে, সবাই কতো ফুর্তি করছে বলো"  কাতর ভাবে বলল শুভ্রাংশু।      " না বাবু, এখনই আমরা ডাক্তারের কাছে যাব, বাবা তৈরী হয়ে গেছেন, আমরা বিকেলে তখন মেলা দেখতে যাব কেমন, এখন উঠে জামা কাপড় পরে নাও"  মালতিদেবী জামা কাপড় গুলো এগিয়ে দিলেন।      শুভ্রাংশু...

রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি

রাই আর বাবা অদিতি চ্যাটার্জি রাই-র জীবনে বেশ কিছু ভালো লাগা আছে তার মধ্যে একটা হলো সন্ধ্যার সময় তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখতে দেখতে কফি কাপে চুমুক দেওয়া ।" আজ যশোদা মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে বেশ ভিড়,নির্ঘাত 'তেলে ভাজা ' প্রেমীরা।" আপন মনেই ভাবে ও, কিন্তু বসার ঘরে সুমন আর আঁখি এতো জোরে 'হল্লা গোল্লা ' করছে তালতলার জমজমাট রাস্তার দিকে আর মন দিতে পারছে না রাই।  পায়ে পায়ে ঘরে এসে দাঁড়ায় রাই, দেখে ক্লাস ফোরের মেয়ে এতোটা ঝগড়া করছে সুমনের সাথে , "বাপ রে, কবে এতোটা কথা শিখলো মেয়ে! কিভাবে কথা বলছে?? কোঁকড়া চুল ঝাঁঝিয়ে,গোলগাল হাত নেড়ে " ...মেয়ে কে দেখে থতমত খেয়ে যায় রাই। এদিকে আঁখি বলছে, "ধুত্ বাপী তুমি কিচ্ছু পারো না, তুতাই-র বাবা, পিসাই, মামু সবাই কত ভালো করে খেলতে পারে , না আমি তোমার সাথে খেলবো না।" কাতর চোখে মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে সুমন বলে ,"আচ্ছা তুই আমাকে শেখা, দ্যাখ আমি কার জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে পনেরো দিন পর পর কলকাতায় আসি বল!"  ঐ টুকু মেয়ে কথা প্রায় না শুনেই ঘরে চলে গেল রাই-র চোখের সামনে, সুমন একবার হেসে বাথরুমের দিকে এগো...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী

বস্তু, চেতনা এবং  কবি সজল চক্রবর্তী  "যেখানে পৌঁছায় না রবি,, সেখানে পৌঁছে যান কবি।" এই ছোট্ট কবিতা টি অনেক পুরনো  এবং বহু পরিচিত, তথাপি এর তাৎপর্য এখনো হারায় নি। তবে, কথা হ'চ্ছে -আমরা তো  রবি-কবিকে একত্রেই পেয়ে যাই আমাদের ঋষি-প্রতিম কবি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে। আর তখনই জেনে যাই উপরোক্ত ছোট কবিতার প্রণিধানযোগ্যতা ।  ... এবার শুনে নেয়া যাক, ঋষি-প্রতিম কবির মুখ নিঃসৃত বাণী:- "তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি যাই ...." অর্থাৎ আমাদের প্রিয়তম কবি অনায়াসে পৌঁছে যান সৃষ্টির অসীমে , যা আমাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। এখানে কবির চেতনা সুদূর প্রসারী! ... প্রকৃত প্রস্তাবে কবি অতিন্দ্রীয় জগতের এক নাগরিক। তাঁর কাছে তাই চেতনা বা চৈতন্যেরই প্রাধান্য। ...এখন আসছি, বস্তু এবং চেতনার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে।  ... আমি একজন অতি সাধারন মানুষ, তাই এই ব্যাপারটাকে কবিদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা ক'রছি। তবে আমার সামান্য জ্ঞান থেকে একটা সাধারণ কথা সেরে নি'। আমরা সাধারণত ব'লে থাকি-- সূর্য পূর্বদিকে ওঠে। প্রকৃত অর্থে কি তাই ? আসলে সূর্য যেদিকে ওঠে ,আমরা  সেই দিকটাকে নামাঙ্কিত ক...

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদি ।। অরবিন্দ পুরকাইত

স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি  (পর্ব—সাত) অরবিন্দ পুরকাইত স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদির সংগ্রহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকায়, ২০১৬ সালে। সে সংগ্রহ যায় নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে, ১৪২৩ সনে। পরে এই ব্লগজিনেও কিছু সংগ্রহ প্রকাশিত হয় ১৪২৮ সনের আশ্বিন মাসে, পৌষ ১৪২৯-এ, আষাঢ় ১৪৩০, নববর্ষ ১৪৩১ ও কার্তিক ১৪৩১ সংখ্যায়। তার পরেও ধীরে ধীরে আরও কিছু সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলিই এখানে রাখা হল। নিজের আগের সংগ্রহে এসে-যাওয়া শব্দ যদি এখানে এসে থাকে, তা বাড়তি বা ভিন্ন কিছু বলার প্রয়োজনেই। নিজের আগের সংগ্রহ খুব ভাল করে যে মিলিয়েছি তা নয়, পুরো সংগ্রহ একত্র করার সময় তা করা যাবে যতটা সম্ভব নিখুঁত করে। আগে আগে সংগ্রহ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা হয়েছে, বিশেষত প্রথম প্রকাশের সময় একটু বিশদভাবে। এখানে আর কিছু বলা নয়, কেবল সংগ্রহটাই তুলে ধরা গেল। অখেজো/অখেজে — অকেজো থেকে। আদরের তিরস্কার হিসাবেই মূলত প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পাজি। অচিমিতি — (উচ্চারণ ওচিমিতি) আচমকা, হঠাৎ। অদীয় — প্রচুর, অজস্র। অদ্বিতীয় থেকে ক...

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায়

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত রণেশ রায় ভূমিকা দর্শনের ইতিহাসে বস্তু ও চেতনার সম্পর্ক মানবচিন্তার গভীরতম প্রশ্ন। অধিবিদ্যা ভাবকে মুখ্য ধরে, বস্তুকে গৌণ বলে মনে করে। বিপরীতে মার্কস ও এঙ্গেলস বলেছেন—বস্তুই মুখ্য এবং চেতনা তার প্রতিবিম্ব। মানুষ যখন প্রথম আলোর মুখ দেখেছিল, তখনই সে বিস্ময়ে প্রশ্ন করেছিল—আমি কে, কোথা থেকে এলাম, আর এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে কিছু আছে কি? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নিয়েছিল দর্শনের দুই বিপরীত স্রোত—ভাববাদ আর বস্তুবাদ। ভাববাদ বলেছিল—"ভাবই প্রথম," আর মার্কস বললেন—"না, বস্তুই প্রথম।" এই দুই প্রান্তের মাঝখানে আমি দেখি এক সেতুবন্ধন, যেখানে বস্তু, স্নায়ু ও চেতনা একে অপরকে গড়ে তোলে, আর তাদের এই ত্রিত্বের নৃত্যেই সৃষ্টি হয় জীবন ও কল্পনার জগৎ। ভাবববাদ এক সর্বশক্তিমান শক্তির কল্পনা করে যা এই বস্তুজগতের স্রষ্টা। আর এখান থেকে ধর্ম ও ধর্মীয় ভাবধারার সৃষ্টি। আমার এই প্রবন্ধে আমি মার্কসীয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আলোকে বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি দেখাবার চেষ্টা করবো কিভাবে ইন্দ্রিয় এবং স্নায়ুজগৎ বস্তু ও চেতনাকে সংযুক্ত করে এবং কল্পলোকের জন্ম দেয়...

চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার

চাঁদে জীবন  শমীক সমাদ্দার                           চন্দ্রযান দুরন্ত তৈরি, রকেটের উপর ভর করে চন্দ্রযান চাঁদে অবতরণ করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পেরিয়ে মহাকাশযান চাঁদের কক্ষপথে  স্থাপন করা হয়েছে। চন্দ্রাযান চাঁদের মাটিতে পা রাখবে সময়ের কাউন্ট ডাউন চলছে। সমস্ত নিয়ন্ত্রণ স্পেসস্কাই গাবেষণা কেন্দ্র কতৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রযুক্তি বিজ্ঞান অতল গভীরতায় বাসা বাঁধে। পরিচয়টা দিয়ে দিলাম এই স্পেসসিপে রয়েছে তিনজন নভোচর, একজনের নাম সাইমন আর এক জনের নাম রেমন্ড, আর এদের সঙ্গে একজন মহিলা আছে তার নাম মেরিনা। চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করেছে। চন্দযান দুরন্ত চাঁদের পূর্ব -পশ্চিম অক্ষরেখা বরাবর অবতরণ করেছে। আলো আঁধারের গভীরতায় বড় বড় পাথরের পিণ্ড, চাঁদের সার্ফেসের উপরে পাথর জল দেখা যায়। জমাট বাঁধা অক্সিজেন আর কার্বনডাই অক্সাইড। ওরা এখানে এসেছে এক রহস্য উদ্ঘাটন করতে। যে স্থানে ওরা অবতরণ করেছে সেখানে ১০ বছর আগে ওরা এসেছিলো। রুশ সরকার ওদের দেশের ছাত্র ছাত্রী কে মহাকাশে চাঁদে পাঠাতে চায়। ওরা কেন এসেছে সেটা এখনো অধরা। সাইমনের বর্...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

বছরের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ৮৬তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পাদকীয় এই সংখ্যাটি বাংলা নববর্ষ বিষয়ক সংখ্যা। নৱৰ্ষকেন্দ্রিক বহু তথ্যপূর্ণ লেখা এই সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস, রীতিনীতি, উৎসব, পার্বন, লোকাচার, রূপান্তর বহুবিধ বিষয় প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যার লেখাগুলিতে। এই সংখ্যার বাছাই কিছু লেখার সঙ্গে আগামীতে আরও কিছু লেখা সংযুক্ত করে বাংলা নববর্ষ বিষয়ক একটি মুদ্রিত সংখ্যা প্রকাশ করার ইচ্ছে রইল।  সকলকে নববর্ষের আন্তরিক শুভকামনা জানাই। উৎসবে আনন্দে থাকুন, হানাহানিতে নয়। ধর্ম-ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে সহনাগরিকের পাশে থাকুন। মনে রাখুন, ধর্মকে মানুষই সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বর আল্লা গড ইত্যাদির জন্মদাতা মানুষই। মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষের পাশে থাকুন।  নিরাশাহরণ নস্কর  সম্পাদক, নবপ্রভাত।  সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা পয়লা বৈশাখ ।। সিদ্ধার্থ সিংহ নববর্ষকেন্দ্রিক মেলা, পার্বন, উত্সব, লোকাচার ।। সবিতা রায় বিশ্বাস নববর্ষ আবাহন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে ।। তুষার ভট্টাচার্য নববর্ষের সেকাল ও একাল ।। হিমাদ্রি শেখর দাস নববর্ষের হাল-হকিকৎ ।। শংকর ব্রহ্ম বোশেখি বাঙালি নাকি পোশাকি বাঙালি? ।। দিব্যেন্দু...

প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান

বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় মাখনলাল প্রধান বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির জগতে যাত্রা শিল্প তথা নাট‍্যশিল্পে মড়ক নেমে এসেছে । যাত্রা শিল্পের মড়কে শুধু কোভিড নয় তার বহুপূর্ব থেকেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় , শিক্ষাক্ষেত্রে বন্ধ‍্যাত্ব এবং গ্ৰাম বাংলার পটপরিবর্তন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। যাত্রা-শিল্পের লীলাভূমি ছিল গ্ৰাম বাংলা। গ্ৰামে প্রচুর যাত্রাপালা হত নানা উৎসবকে কেন্দ্র করে । জমিদারি ব‍্যবস্থা লুপ্ত হওয়ার পর গ্ৰামীণ মানুষের উদ‍্যোগে শীতলা পূজা,  কালীপূজা, দুর্গাপূজা, কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, চড়ক ইত‍্যাদিকে উপলক্ষ‍্য করে যাত্রাপালার আয়োজন না হলে কেমন যেন ম‍্যাড়ম‍্যাড়ে লাগতো। সেই সঙ্গে কলকাতার বড়বড় কোম্পানির যাত্রাপালা ঘটা করে, টিকিট সেল করে হত মাঠে। খুব বড় মাপের খেলার মাঠ যেখানে ছিল না সেখানে ধানের মাঠ নেওয়া হত ‌। ত্রিশ-চল্লিশ হাজার মানুষ দেখতে আসত। স্পেশাল বাস পাঠাত  আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বিনা ভাড়ায় বাসে যাতায়াত করত যাত্রার দর্শকেরা। কিন্তু বিকল্প ধানচাষ শুরু হলে জমিগুলো সময় মতো ফাঁকা পাওয়া গেল না । প্রথম দিকে ব‍্যাপকহারে ধান শুরু না হওয়ায় খুব একটা অসুবিধা হত না। বহুক্ষেত্রে  ধান কা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী

ভিনগ্রহীদের সন্ধানে  শ্যামল হুদাতী  ইতিহাসের শুরু থেকে বারবার মানুষকে একটা প্রশ্ন কুঁড়ে কুঁড়ে খায় – এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? পৃথিবীর মতো আরও গ্রহ রয়েছে, যেখানে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীরা বাস করে – এই সম্ভাবনা বরাবর মানুষকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের কখনও না কখনও এই ভাবনা এসেছে। দীর্ঘ কয়েক দশকের গবেষণার পরও, এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপ, বহু দূরের এমন কিছু গ্রহের সন্ধান দিয়েছে, যেগুলিতে প্রাণ থাকতেই পারে। তবে, নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বহু দূরে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। তারা এই পৃথিবীতেই মানুষের ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যেই বসবাস করতে পারে। আমরা ভিনগ্রহীদের যেমন কল্পনা করি, এরা তার থেকে আলাদা। এরা অনেকটাই, দেবদূতদের মতো। মানব জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রযুক্তিগত নয়, বরং জাদুকরি। মহাকাশে সৌরজগতের গ্রহ পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথায় প্রাণ রয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। একই সঙ্গে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাস ক...

মাসের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

দিদৃক্ষা ।। রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী

  দিদৃক্ষা রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী 'কাল একবার দেখা হতে পারে?' দশমীর দুপুরে খাটে আধশোয়া হয়ে নিজের ফোনটা ঘাঁটছিল দেবমাল্য; হোয়াট্‌সঅ্যাপের সার্চ বক্সে  র‍্যান্ডম সিক্যুয়েন্সে ক'খানা ডিজিট ইনপুট করতেই বিস্মৃতির অতল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে নামটা স্ক্রিনের সারফেসে ভেসে উঠল, এককালে দেবমাল্যের প্রায়োরিটি লিস্টে সবথেকে ওপরে পিন্‌ করা থাকতো এই অ্যাকাউন্টটা। 'অহনা দাশগুপ্ত'—গ্রেয়েড-আউট ডিপিটার ডানদিকে, নামটার তলায় নিস্প্রভ হরফে ভেসে থাকা ওর এই লাস্ট মেসেজটা বেশ ক'বছরের পুরনো, কিন্তু দেবমাল্যর স্মৃতির প্যান্ডোরা বাক্সটি উলটে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। আরেকবার আপাদমস্তক শিহরিত হয় সে। প্রোফাইলটা খুলে ওপরে-নীচে স্ক্রল্‌ করে দেখে, ওদের পুরনো চ্যাটগুলো তেমনি আড়ষ্ট হয়ে পড়ে আছে, ওর মেসেজগুলোর পাশে ডাবল টিকগুলো এখনও জাজ্বল্যমান সবুজে ছোপানো, যেন এইমাত্র 'সিন্‌' করে রেখেছে অহনা! যেন এখুনি আবার হাত বোলালেই অহনা এসে খানিকটা রাগত ভঙ্গিতে চ্যাট করতে লেগে যাবে। দেবমাল্যের বুক ছাপিয়ে একটা নীরব দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে! ছুটির এই আমেজটা লক্ষ্মীপুজো অব্দি গড়াবে—অফিস খুললেই তো আবার দমফাটা ব্য...

গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম

  গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম হুইসেল (মুরাকামি থেকে অনুপ্রাণিত) ♦ 'গভীর রাতে একটা হুইসেল কতটা গভীর হতে পারে তুমি কল্পনাও করতে পারো না,' ছেলেটা বললো, 'আশ্চর্য ঐ হুইসেলের মতো আমি ভালবাসি তোমাকে।' কিন্তু গভীর রাতে অন্ধকারে কখনও তো ঘুম ভেঙে যায়নি মেয়েটার, কখনও ও বিচ্ছিন্ন আর একা হয়ে যায়নি। ও কীভাবে অনুভব করবে গভীর রাতে ট্রেনের হুইসেল কতটা গভীর! নিউজ এজেন্সি ♦ একসময় আমরা খবর শুনতাম এখন দেখি স্বীকার করতে হবে খবর শোনার চেয়ে দেখার আনন্দ বেশি আলাদা উত্তেজনা নিউজ এজেন্সিগুলো এব্যাপারে তৎপর আর প্রতিযোগিতাপূর্ণ কোনটা নিউজ সেটা ওরাই ঠিক করে যেটা ওদের দরকার আর সেটাই আমাদের দেখানো হয় ধারাবাহিকভাবে সুচারু জ্যামিতিকতায় বিভিন্ন পদ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নতুন বাস্তবতা নির্মাণে যে বাস্তবতায় জায়গা নেই আমাদের ইতিহাস অন্বেষা স্বাধীনতার সমৃদ্ধি আর স্বাধীনতার কথা বলেই ওরা আমার ক্ষেতখামার পাহাড় আর নদীর দখল নিয়েছে তাহলে টিভিতে যে হাসিখুশি প্রাণবন্ত আমাদেরকে দেখানো হয় ওরা কারা এই প্রশ্ন করো নিজের কাছে আগুন নিয়ে খেলা ♦ আজও পুকুরে ছিপ ফেলে বসবো আমি ধীরে চুপ সূর্য আমার ঘাড়ে শ্বাস ফেলবে সারারাত ঘরের ভেতর ল্যাং...

বিদায়ের স্রোত ।। চয়ন মন্ডল

  বিদায়ের স্রোত চয়ন মন্ডল "বিজয়া দশমী—আনন্দের দিন, কারও কাছে যা হয়ে উঠল চিরন্তন বিদায়।" আজ বিজয়া দশমী। শিউলি ফুলের গন্ধে ভোরটা অন্যরকম। পাড়ার প্যান্ডেলে অদ্ভুত এক কোলাহল—মায়ের বিদায় যে আজ। শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাজনা আর উলুধ্বনিতে গমগম করছে চারদিক। একদিকে মা দুর্গার বিদায়ের বেদনা, অন্যদিকে আনন্দ ও মিলনমেলা। সারা বছরের অপেক্ষা শেষে এই দিনটিতে প্যান্ডেল ভরে উঠেছে মানুষের ভিড়ে। সকালের পূজার্চনা শেষ হতেই শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। মহিলারা মায়ের প্রতিমাকে সিঁদুর পরিয়ে একে অপরের কপালে, গালে রাঙিয়ে দিচ্ছেন। ঢাকের তালে আর শাঁখ বাজনার আবেশে ভেসে যাচ্ছে পাড়া। শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। কিন্তু এসবের মধ্যে নেই অনুরাধা। কেউ তার বা মিনির খোঁজ রাখেনি। মুখার্জিদের দোতলা বাড়ির কোণের ঘরে বসে সে চোখের জল ফেলছে। সবার বাড়িতে আলোর রোশনাই, ভোগের গন্ধ, হাসি—শুধু তাদের ঘরটিতে নিস্তব্ধতা। গতবছর এই দিনেই তো অন্যরকম ছিল সবকিছু। অনুরাধা, সুজয় আর তাদের তিন বছরের মেয়ে মিনি পাড়ার প্যান্ডেলে ঢাকের তালে নেচেছিল, সিঁদুর খেলায় রঙে ভেসেছিল। বিকেলের দিকে প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে শামিল ...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

শেষ বিকেলের আলো ।। সৈকত প্রসাদ রায়

  শেষ বিকেলের আলো সৈকত প্রসাদ রায় রানাঘাট শহরের প্রান্তে ছোট্ট এক পাড়া বিশ্বাসপাড়া। সেই পাড়ার পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়িটায় থাকেন পুষ্পরাণী ভট্টাচার্য— বয়স পঁয়ষট্টির কোঠায়। সবাই তাকে "পুষ্পদি" বলেই চেনে। একসময় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেলে পুষ্পদি বারান্দায় বসে চা খান। ছোট একটা টেবিল, কয়েকটা পুরোনো বই, আর একখানা নীল কাঁচের ফুলদানি — তার নিত্যসঙ্গী। বারান্দার সামনেই একটা গলি, যেখান দিয়ে প্রতিদিনই স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা হইচই করে ছুটে যায়। পুষ্পদির একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ — কলকাতায় চাকরি করে। ছেলেটা আধুনিক, নিজের সংসার আছে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত। বছরে হয়তো একবার আসে, তাও কিছুক্ষণ বসে আবার চলে যায়। পুষ্পদি মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু বুকের ভেতরে একটা কষ্ট জমে থাকে। সেই বিকেলটা অন্যরকম ছিল। আকাশে ধুলো, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। হঠাৎ পুষ্পদির চোখে পড়ে — রাস্তায় এক কিশোর বসে আছে। বয়স বারো-তেরোর বেশি নয়। মলিন জামা, পায়ে ছেঁড়া চটি। ছেলেটা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে পুষ্পদির বাড়ির গেটে ঝুলে থাকা পুরোনো নোটিশবোর্ডটার দিকে, যেখানে একসময় লেখা ছিল — "পুষ্পরাণী ভ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...