দুটি কবিতা ।। শম্পা সামন্ত
মা
পোয়াতি মেঘকে মা বলে ভুল করে জাপটে ধরেছি।
মেঘ তখন গাভীর মতো বৃষ্টি ঝরালো।
স্তনের বোঁটায় মুখ রেখে আমি তখন নিজেই আপাদ মস্তক নদী হয়ে ছলাৎছল পাহাড় ও উপত্যকা পেরিয়ে সমুদ্রগামি হলাম।
সোমত্ত সময়এলে দুকুল ছাপিয়ে লাবণ্য
তোমার খবর দিতেই স্থান ত্যাগ করল অরণ্যচারী পুষ্পভূক
বৃক্ষের আপাদ চলন লক্ষ করে তীর ছুঁড়েছি
তীর পাহাড়ের গায়ে আঘাতকরে ফিরে এলো তীর
লুটিয়ে পড়ল বুভুক্ষু মাটিতে।
স্বার্থপরের যাপন সরিয়ে বিরাগে, বৈভবে সন্ন্যাস বরে বৈকল্যের তপ করেছি।
##
একচক্ষু রাক্ষস হয়ে উঠছ তুমি।
তোমার গুনপনা বিস্তারে মনে পড়ছে ধারালো নখ, লকলকে জিভ হায়েনার হাসি।
আর বুনো মদের গন্ধে যারা পানশালায়
কীকরে বলব মানুষের পরিবর্তনের গল্প।
খুব কাছেই বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকা প্লাস্টিক সার্জারির ডাক্তারখানা।
লাল করবী
যে সম্পর্কেই থাকো প্রথম আলাপেই ফুলের নাম ধরে ডেকে নিলে।
বুঝলাম ফুলকে আমার মতো আদর করো
সাগর পেরিয়ে, দেশ পেরিয়ে চোখ বেঁধে ডেকে যাচ্ছ আয় তো আমার লাল করবী!
আলাপের সময়গুলো অদ্ভুত ভঙ্গিতে পেরিয়ে স্মৃতির ঘরে বসত করে।
সারাটা রাষ্ট্র জুড়ে প্রতিটি হাহাকারের ফাঁকে ফাঁকে গন্ধ ওড়ায় সমৃদ্ধ কুসুম।
মগজের অন্তর্লীন গহ্বরে
বুকের উচাটনে ঘিরে কে যেন ডেকে যায়।
আয় আমার লাল করবী!!! লাল শালুক!!!
পুষ্পের সুলুক সন্ধনী মন কেঁপে ওঠে।
********** ****

Comments
Post a Comment