Skip to main content

Posts

কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা

এই মন ভাল নেই দিনে সুপ্রভাত মেট্যা  এই মন ভাল নেই দিনে  কোথাও কোনও রৌদ্র ফুটলে ভয় হয়!  মনে হয়, ওই বুঝি মেঘ এসে ঢেকে দিল চৈতন্য আমাদের!  আমাদের হারিয়ে যাওয়া বোধ থেকে  এই বুঝি জন্ম নিল রাক্ষুসে অন্ধকার।  সচেতন পাতা,  গাছের শাখায় শাখায় হাওয়ায় নত হয়ে, ঝুঁকে পড়লে,  দোষ তুমি কাকে দেবে বলো? এই প্রভাত, জ্ঞানের শিকড়ে বড় মাটির অভাব জানি।  জানি কিছু উর্বর মস্তিষ্কে এখনও গোবরের প্রলেপ দেওয়া আদিসারের অন্ধ কিছু বই লেখা আছে।  তোমাকে বলি শোন, অ্যাই ছেলে,  যদি আলো হতে চাও, তবে অন্ধকারে ঘুরে ঘুরে  ঝুপড়ির ত্রিপল খাটানো রাতের নীচে যে সংসার পাতা আছে সেইখানে যাও।  ভাল একটা মন লুকিয়ে দেখবে সেইখানে কোনও কবির  ঘাম ও অশ্রুর ছায়ায় চুপ হয়ে আছে। ============ কবির নাম :- সুপ্রভাত মেট্যা  গ্রাম :- বলরামপুর  পোষ্ট :- জয় বলরামপুর  থানা :- তমলুক  জেলা :-পূর্ব মেদিনীপুর  পিন:- ৭২১১৩৭

কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য

জোছনা আলোর স্বপ্ন  তুষার ভট্টাচাৰ্য  যারা বেঁচে আছে হলুদ কাঁসার থালার মতন জোছনা আলার স্বপ্ন বুনে চোখে, তারা কোনওদিন খড়কুটোর মতন ভেসে যাবে না নদীর বান বন্যায় জলস্রোতে পলিমাটির ঘ্রাণ নিয়ে তারা নতুন ঘর বাঁধবেই  ; তাদের নিকোনো মাটির উঠোনজুড়ে রুপোলি রোদ্দুরে ভিজে খেলা করবে ভোরের দোয়েল, শালিক l ========== তুষার ভট্টাচাৰ্য ডাকঘর : কাশিমবাজার l বহরমপুর l জেলা : মুর্শিদাবাদ l

কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ

নিঃস্ব হবো  লালন চাঁদ তোমার জন্যে আজও স্বপ্ন কুড়োই  রোদ্দুর কুড়োই  বুকের ভেতর সাজিয়ে রাখি থৈ থৈ শীত  তুমি এলে পৌষমেলায় যাবো  নলেন গুঁড়ের মিষ্টি কিনবো  গোটা মেলাটাই কিনে নেবো তোমার জন্যে  তুমি এলে না  মেলা ভেঙে গেলো  নলেন গুঁড়ের মিষ্টি খাওয়া হলো না  মেলাটাও কেনা হলো না  ভাবতে ভাবতে আমি নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর হয়ে যাই  আর মেলায় যাবো না  একাকী থাকবো  তোমার জন্যে পুড়ে পুড়ে ছাই হবো সারা জীবন  ---------------------------------------- লালন চাঁদ গ্রাম + পোস্ট = কুমারগঞ্জ।  জেলা = দক্ষিণ দিনাজপুর। -------------------------------------

কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা 

ভালোলাগা  আজিজ উন নেসা  অচকিতে আঙ্গুল ছুঁয়ে যায়  পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষটির হাতে.... মনে চাপা ভয় মিশ্রিত উচ্ছ্বাস চল্কে ওঠে, চোখে মুখে তরঙ্গ খেলে যায়!  জলধারা মাটির তলদেশ আর বয়ে যেতে না পেরে  শত উচ্ছ্বাসে আছড়ে পড়ে পাহাড়িয়া ঝর্না!  চোখে চোখে কিছুক্ষণের চাওয়া চায়ি... ক্ষণিকের ঘটনা আজ ও স্মৃতির পাতায়   স্নিগ্ধ কোমল স্পর্শ দিয়ে যায়, জ্বলে ওঠে এক সুগন্ধ মোমবাতি! ============== আজিজ উন নেসা ৯ সার্কাস রেঞ্জ, বেকবাগান, কোলকাতা-১৯ 

ছড়া ।। সেই ছড়াটা ।। বদ্রীনাথ পাল

সেই ছড়াটা বদ্রীনাথ পাল  একটা ছড়া মিষ্টি বড়ো যেন মধু মাখা  যায় না যে ভাই কোনোমতেই লুকিয়ে তাকে রাখা, রাখি যেথায় তাকে - মৌমাছিরা ঠিক খুঁজে নেয় বারেবারেই ডাকে। সেই ছড়াটা দুষ্টু বড়ো করে ভাঙা গড়া হাসে হাসায় কাঁদিয়ে ছাড়ে যেন রসের ঘড়া, দুঃখ ও শোক ভুলে - যাবেই যাবে নাও যদি ভাই তাকেই কোলে তুলে ! সেই ছড়াটা তরল যেন ঠিক ঝর্ণা ধারা গড়িয়ে পড়ে জ্যোৎস্না রাতে চাঁদের কিরণ পারা ! পরশটি তার পেলে- সব পেয়েছির দেশটি যেন হাতের কাছেই মেলে। ==================   বদ্রীনাথ পাল  বাবিরডি, পোস্ট-গৌরাংডি, জেলা-পুরুলিয়া,

কবিতা ।। অভিরুচি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

অভিরুচি তীর্থঙ্কর সুমিত  জমানো কত কথা ক্রমশঃ শেষ হয়ে আসছে নীল রং কালো হতে হতে মিলিয়ে যাচ্ছে কোনো অজানা দেশে ব্যর্থতার শৈশব পরিপাক্ক যৌবন ফেলে এখন একাকী অন্ধকারে নিজেকে বদলাতে চায় তোমার সব চাওয়া ---- উদাসীনতার বিকেল আজ যাত্রা পথে শুধু রঙ বদলে যায় বদলে যায় নিজেকে চেনার অভিরুচি। ============== তীর্থঙ্কর সুমিত মানকুণ্ডু, হুগলী  

সুশান্ত সেনের ৩টি কবিতা

১  বিশ্বাস তোমাকে বিশ্বাস করে সব কিছু ছেড়ে এসে দেখি তুমি দূর পাহাড়ের কুয়াশা দিয়ে নিজেকে ঢেকে রেখেছো। তখন বিশ্বাস এর মর্যাদা রেখে দূর পাহাড়ের কাছে চলে এসে দেখি এখানেও পুরোদমে দল বদল চলছে। একজন বলে উঠলেন -  রাজনীতি ছাড়া মানুষ হয় না। তাই চাণক্যের  - কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র খুলে বসলাম এদিকে পড়তে গিয়ে দেখি বইটি সংস্কৃত ভাষায় লেখা। তাই নর নরৌ নরাঃ শিখতে বসলাম। ২  এখন সুপারি গাছের ফাঁকে ঝুমকো ঝুমকো আলো  নীল আকাশে এক পশলা বৃষ্টি একটু বাতাস একটু ধুলো ওড়া নিয়ে হাইওয়ের ধারে দাঁড়াবার পর, সামনে দেখি ধুলো উড়িয়ে  চারটে মোটর সাইকেল আসছে  সামনে একটা এইচ ইউ ভি। অবতরণ করলেন দশাসই কর্মকর্তা  ল্যাংচা খাবার জন্য ল্যাংচা কুটিরের সামনে পাশে বন্দুকধারী দেহরক্ষী। মনে একটু কিন্তু কিন্তু নিয়ে  ল্যাংচা খাবার পর সিঙ্গারা খাবো কী না ভাবছি, এমন সময় পুটে কাধে হাত রেখে বলল- কি রকম দেখছেন সমাজ ব্যবস্থা ! ঝুমকো আলো, এক পশলা বৃষ্টি ধুলোর ভেতর সেঁধিয়ে গেল।  ৩  সূচিপত্র সকাল হয় দিন শুরু সূচিপত্র পড়ি,  নাম নেই নিরাশায় কেটে যায় বেলা। আবার লিখি আবা...

সুনন্দ মন্ডলের দুটি ছড়া

 সুনন্দ মন্ডলের দুটি ছড়া সবুরে রোদ ফুরোল সন্ধ্যে হল নামল আঁধার রাত। গপ্প গাথায় জমবে আসর কাটবে ভূতের সাথ। বেরিয়ে কেউ আসবে কি এই গল্পের খাঁজে? থাক না মোড়া শীতের কাঁথায় হরেকরকম সাজে। তোমার খুশি রাত জড়ানো মধুর আলাপ গুড়ে। একটুখানি বিরতি থাক মেওয়া ফলুক সবুরে।          ২  লক্ষ্মী প্যাঁচা চাষীর জমা ফসল এল  ঘরের কোণে মেলা। শীতের দুপুর নেই চড়ুই লক্ষ্মী প্যাঁচার খেলা। রাত ফুরোলে ভিজবে মাটি শিশিরে ডুববে পা। তোমার সাথেই বাঁধবে জুটি মাটির ভাঁড়ে চা! আলতো ছোঁয়া হিমেল হাওয়া  তোমার পায়ে আলতা! রঙিন হোক নতুন সকাল সঙ্গে আচার চালতা। লক্ষ্মী প্যাঁচার পায়ে পায়ে আসুক বাড়ি ধন। ফসল বেচে সোনা পাওয়া স্বপ্ন উলট পুরান। ============ কাঠিয়া, পাইকর, বীরভূম

গল্প ।। ব্যাঘ্ররূপী মনুষ্যভূত ।। সমীর কুমার দত্ত

  ব্যাঘ্ররূপী মনুষ্যভূত সমীর কুমার দত্ত                 জমিদার রায়বাহাদুর কন্দর্পনারায়ণের মৃত্যুর পর তাঁর উত্তরাধিকারীদের মধ্যে শরিকি সংঘর্ষের ফলে তাঁর সম্পত্তি ভগ্নদশাগ্রস্ত ভূতুড়ে সম্পত্তিতে পরিণত হয়ে মামলার রায়ের দিন গুনছিলো। সুদীর্ঘ সময় অতিবাহিত হ‌ওয়ার পর মামলাটির নিস্পত্তি হলে পাঁচ শরিকের মধ্যে নিজ নিজ অংশে রিমডেলিং,মেরামতি ইত্যাদির কাজ শুরু হলো। এমনিতেই বহুদিন  পড়ে থাকা জমিদারের নিস্তব্ধ নিঝুম বৃহৎ অট্টালিকা প্রাসাদকুক্কুটের নিরন্তর বকবকম যেন প্রাসাদটিকে রহস্যাবৃত করে তুলেছে। মেরামতির সময় ভৌতিক উপদ্রব শুরু হলো। তারা যতবার স্ব স্ব অংশের প্লাস্টার করে, পরের দিন এসে দেখে, সেই প্লাস্টার খসে পড়ে গেছে ব্যাঘ্রের থাবার চাপে। ভৌতিক উপদ্রব বলছি এইজন্য যে প্রত্যেক শরিকের দেওয়ালেই ওই এক‌ই নিদর্শন দেখা গেছে যেখানে ভিন্ন ভিন্ন রাজমিস্ত্রি কাজ করছে। আর দেওয়ালে সিংহের পদচিহ্ন পড়া তো সম্ভব নয়। সম্ভব শুধু মেঝেতে। তদুপরি দু -তিন দিন এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো। কাজ বন্ধ হবার উপক্রম হলো। বাঘের অগুনতি পায়ের দাগ, যার ফলে প্লাস্টার খসে খসে পড...

অণুগল্প ।। শ্বেত পদ্ম ।। অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ

  শ্বেত পদ্ম  অঞ্জনা  গোড়িয়া সাউ     টিং টং রিংটা বেজে উঠল । পুষ্পিতা  এই কলটার অপেক্ষায় উৎসুক হয়ে ছিল।  "অপেক্ষা করো । আমি আসছি ।" নির্দ্বিতায় বলে, ফোনটা কেটে দিল। পুষ্পিতা আয়নার সামনে আর একবার  ভালো করে তাকাল। লাল শাড়ি ম্যাচিং ব্লাউজ আর ঠোঁটে গাঢ় লাল লিপস্টিক। ঠিক ঠাক লাগছে তো ?মনে মনে বলল।আয়নার অপ্রান্ত থেকে কেউ বলে উঠল , কলঙ্কিনী বধূ হতে চাও ? নাকি রাধিকা ? পুষ্পিতা একদম ভয় পেল না । তীব্র কন্ঠে বলল ,"আমি ওর বউ " হতে চলেছি। কোন অন্যায় করছি না । ছবিটা অদৃশ্য হয়ে গেল । পুষ্পিতার মাথার সিঁদুরটা আলতো করে ঢেকে দিল চুলে । হাতে  একটা স্ট্রাইলিস্ট নোয়া , এঁয়োস্ত্রীর  চিহ্ন। সকল বন্ধন মায়া মমতা মুক্ত  করে আজ সে যাবেই অয়নের কাছে । দীর্ঘ ১৫ বছর বন্দী সংসারের খাঁচায় । ওড়বার খুব ইচ্ছে সামনের  আকাশটাতে ,শিকল বাঁধা পাখি  । নিজের ইচ্ছা গুলিকে দমিয়ে রেখে ছিল এত দিন । একদিন বাজার করতে গিয়েই  আলাপ হয় অয়নের সঙ্গে । দুব্যাগ বাজার নিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাচ্ছিল ওর গায়ে। অয়নই হাতটা ধরে   তুলে ছিল । রান্নাকরা ,বাজার করা শ্বশুর...

কবিতা ।। বর্ষবরণ ।। দীনেশ সরকার

  বর্ষবরণ দীনেশ সরকার   পুরানো দিনের কালিমা কলুষ থাক সব পিছে পড়ে মনের কোণেতে বেদনার ডালি রাখবো না আর ভ'রে।   দুঃখ-আঘাত যত জমা আছে আছে যত শোক-তাপ বর্ষ শেষের বিদায় লগ্নে ধুয়ে-মুছে হোক সাফ।   ধর্মের নামে হানাহানি যত রক্তের হোলি খেলা শেষ হয়ে যাক বর্ষশেষের   শেষ প্রহরের বেলায়।   এসো-এসো-এসো, নতুন বছর তোমারে বরণ করি নতুন ঊষার নবীন কিরণে জীবনের গান ধরি।   বন্ধুর পথ হোক মসৃণ বিচ্ছেদ যাক দূরে নতুন বছরে এসো সবে আজ গাই গান একসুরে।   নতুন বছর সবার হৃদয়ে দাও ভরে ভালোবাসা নবীন আলোকে নবউচ্ছ্বাসে জাগাও নতুন আশা।   ************************** দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, প্রেমবাজার, খড়্গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর---- ৭২১৩০৬  

কবিতা ।। প্রকাশিত কবিতা ।। আশীষ কুমার বিশ্বাস

প্রকাশিত  কবিতা আশীষ  কুমার  বিশ্বাস একটা কবিতা তাঁর ভালো লাগা, মন্দ লাগা। তারপর প্রিন্টিং প্রেস অচেনা প্রচ্ছদ তাঁর জন্ম, লিটিল ম্যাগজিন। একটা যুদ্ধ জয়  প্রকাশিত কবিতা বার বার তাঁর ওপর চোখ বোলানো। মনে কবি হওয়ার শখ জাগে  রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, নজরুল, সুকান্ত মনের গভীরে সুপ্ত বাসনা। আবার কলম-কাগজ, নির্জনে চিন্তা ভাবনার গোড়ায় শিকড় গজানো। অক্ষরে অক্ষরে, শব্দে শব্দে নতুন লাইন। আরো একটা কবিতার জন্ম । ঠিক এই ভাবেই -- আরো একটা কিংবা অন্য ভাবে আরো একটা।

ছড়া ।। নতুন বছর ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল

নতুন বছর  রঞ্জন কুমার মণ্ডল নতুন বছর নতুন বছর  এসো নতুন সুরে  দুঃখ কষ্ট মনের গ্লানি  দাও সরিয়ে দূরে। নতুন বছর নতুন বছর  শান্তি আসুক ফিরে  মন খুশিতে ভরা থাকুক  কষ্টেরা যাক সরে। নতুন বছর নতুন বছর  দাও নতুন আলো ঘুচবে দ্বন্দ্ব সব ভেদাভেদ  মন্দ চিন্তা গুলো। নতুন বছর নতুন বছর  দাও শুভ সন্দেশ হিংসা বিভেদ সরে যাবে থাকবে সুখ রেশ। নতুন বছর নতুন বছর  তোমার আগমনে  বিবেকবোধ ভালোবাসায় থাকবো সবার সনে। নতুন বছর নতুন বছর  সময় চলুক হেসে  সারা বছর মন ভালো থাক সবারে ভালোবেসে। ================== রঞ্জন কুমার মণ্ডল  সারাঙ্গাবাদ, ভায়া -বজবজ  দক্ষিণ ২৪পরগণা। পিন-৭০০১৩৭.

অণুগল্প ।। কমোড ।। অরিজিৎ মল্লিক

  কমোড অরিজিৎ মল্লিক সেদিন একটা বিখ্যাত শপিং মলে গেছি পুজোর বাজার করতে। এমনিতে মাসের গ্রসারি ওখান থেকেই করি যবে উদ্বোধন হয়েছে তাই স্টাফরা বেশির ভাগই চেনা। ব্র্যান্ডেড জিন্স দেখতে গিয়েই পেট টা কামড়ে উঠলো,আজ খুব ভোগাচ্ছে। টয়লেট গিয়ে দেখি তিনটেই বুকড, নক করাও অশোভন কিন্তু বেগ যখন আবেগকে ছাড়ালো তখন করলাম নক নক!! পরপর দুটো দরজাই খুলে বেরিয়ে আসলো দুজন পরিচিত সেলসবয়, মাথা নিচু করে চলে গেলো হন্তদন্ত হয়ে। ভেতরে যেতেই বুঝলাম, জলের বিন্দুমাত্র প্রমান নেই , দুর্গন্ধহীন! তবে কি ওরা শুধুই বসতে আসে কমোডে! একটু জিরোতে! তাই তো! একটাও টুল দেখিনি উঁচুদরের মলটায়। ----------------- অরিজিৎ মল্লিক  বর্ধমান,পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

কবিতা ।। হিংসুক ।। সেখ মোসলেম আলি

  হিংসুক  সেখ মোসলেম আলি  খামখেয়ালী, বেহিসাবি এটাই আমার স্বভাব। ঠোকে শিখেছি জীবনে মোর চৈতন্যের অভাব।। অবচেতনে, খুব যতনে ঠকাচ্ছে আমায় লোকে। মূর্ছিত সব, ছেড়ে ছুড়ে রব কাঁদছে আমার শোকে।। আমি তো বেশ দিব্যি আছি নেই কোনো ঝঞ্ঝাট। ওদের বুকে ঝিঁন ধরেছে তাই করে উটকাট।। হিসাব করে লাভ কি হবে? তুমিও চেষ্টা করো। পরিশ্রম আর বুদ্ধিবলে সঠিক পথটি ধরো।। ============== Adress: Sk Moslem Ali  Vill.- Jagadishpur,  P.O.- Naul,  P.S.- Shyampur, Dist.- Howrah  Pin code - 711312

ছড়া ।। কবিতা বিভ্রাট।। শান্তনু আচার্য

কবিতা বিভ্রাট   শান্তনু   আচার্য   লিখতে হবে কবিতা আমায় হঠাৎ হলো শখ ; লিখতে বসে শুধুই দেখি কমছে হাতের নখ । ভেবেছিলাম আসবে মাথায় শব্দ যত মিলিয়ে ; দেখছি এখন লেখার আগেই যাচ্ছে সব গুলিয়ে । উল্টে পাল্টে পড়লাম আমি কত কবিতার বই ; অনেক করেও নিরেট মাথায় ছন্দ আসছে কই ? খাতার পাতা ভরে লিখি হিজিবিজি সব শব্দ ; নিজের ভাষাই করেছে আজ বেজায় আমায় জব্দ । ভাবলাম কানে গুঁজে পেন, কখনো পেনসিল চিবিয়ে ; কখনো বা ঘোর সন্ধ্যেতে ঘরের আলো নিভিয়ে । এদিক ওদিক সেদিক থেকে খুঁজছি খালি ছন্দ ; অনেক পরে হতাশ হয়ে করলাম খাতা বন্ধ । এ জীবনে হলোনা আর আমার কবি হওয়া ; কবিতা লেখা কঠিন বেজায় , নয়রে   হাতের মোয়া । ....................................................... ঠিকানা : Dr. Santanu Acharya Flat no. 1C, AA 11/13, Deshbandhu nagar, Baguiati,  Kolkata 700059. .........................................................

নিবন্ধ ।। বন্ধুত্ব ।। তীর্থ মণ্ডল

বন্ধুত্ব তীর্থ মণ্ডল বন্ধুত্ব বা Friendship  এই শব্দটা এক সুন্দর ভাব প্রকাশ করে। বন্ধুত্ব সব সময় যে একই বয়স বা বয়সী কারো সাথেই হতে হবে তার কোন বাধ্যবাধকতা নেই।আট থেকে আশি যেকোন বয়সের সাথেই হতে পারে। বন্ধুত্বের জন‍্য কোন বয়সের সীমা নেই। আশি বছরের বৃদ্ধ বা বৃদ্ধার সাথে কুড়ি বছরের বেশি বা তার থেকে কম বয়সী কোন  যুবক বা যুবতীর বা ছেলে মেয়ের মধ্যেও হতে পারে। বন্ধুত্ব স্বামী-স্ত্রীর, বাবা-মা, কাকা-  কাকী,মামা-মামী, বন্ধু-বান্ধবী, বা কোন পরিচিত,পরিচিতার মধ্যে বা হয়তো কর্মস্থলের কোন সহকর্মীর  সাথেও হতে পারে। কিন্তু ভালো বন্ধুত্ব হল জীবনের সর্বোত্তম সম্পদ, যেখানে সম্পর্কের কোন বাধা নেই, কোন চাহিদা নেই, যেখানে দুই ব্যক্তির মধ্যে মনের মিল, চিন্তা ভাবনার মিল হলেই গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব।পরস্পর সুখ দুঃখের কথা আদান প‍্রদান বা জীবনের বিভিন্ন সমস‍্যা সমাধানের মত বিনিময় বা এ  নিয়ে আলোচনা করে মনের কষ্ট বা গ্লানি লাঘব করা, দূর করা। বন্ধুত্ব হল বিপদে আপদে বন্ধুর পাশে থেকে তার হাত শক্ত করে তার মনে সাহস দেওয়া,ভরসা দেওয়া,তাকে সবরকম ভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া। এই বন্ধুত্ব বি...

কবিতা ।। দাসত্ব ।। বিবেকানন্দ নস্কর

দাসত্ব বিবেকানন্দ নস্কর কাঁচের টেবিলে ভেসে ওঠে মুখ মদ্যপ রাত্রি মাতালের সন্ধানে ডিনারে তোমার সান্নিধ্য। জীবনের খোলসে লেখা ছিল দাসত্ব  মৃত্যুর শিকলে বাঁধা  দাসপ্রথা এখনো লুকানো আছে। কাঁচের মতো জীবন ,ভেঙে কুচি কুচি কে কে ধরা দিল, কারা বা হারালো তিমির রাত্রি জানে সব। অন্ধকারেই খুঁজেছি রমনীর ঘ্রাণ পরকীয়া পাপে জীর্ণ রাত্রি দাসত্ব দিয়েছে তবু অনেক অনেক ভালোবাসা।

কবিতা ।। খেলা রঙ্গ ।। সমর কৃষ্ণ মন্ডল

  খেলা রঙ্গ সমর কৃষ্ণ মন্ডল রঙ্গ রসের বঙ্গে যত, কথাকলির মেলা--- কথায় কথায় বলছে সবাই জমবে এবার খেলা। হরেক খেলা হচ্ছে হেথায় জমে সবই ক্ষীর-- ফেরেপবাজির কলকাটিতে হচ্ছে শত বীর। বীরের ঠেলায় যায় যে পরাণ, দিনে রাতে ভাই আমরা সবাই প্রাণ বাঁচাতে কেবল খাবি খাই। দামের চোটে বাঁচার রসদ হচ্ছে কুলিন সব বিদ্রোহীরা তোলে আওয়াজ বাকিরা নীরব। গরিবের তো সরকার আছে, ধনীর আছে পেশা মাঝের মানুষ মুখ বুজিয়ে কেবল করে গোঁসা। গোলেমালে তাল মিলিয়ে হচ্ছে অনেক মানী রাজনীতির এই খেলা দেখে মনে প্রমাদ গুনি। মন্দ মানুষ পায় না সাজা, ভালো মানুষ জেলে মিথ্যে মামলায় জেল খাটে কেউ, অর্থবানরা বেলে। শিক্ষিত সব স্বপ্ন দেখে , চাকরি হবে ভালো--- পরীক্ষাতে লিখল বটে, রেজাল্ট ভানিস হলো। কারা-ই বা সব চাকরি পেল, কারা দেখলো খাতা-- সাদা খাতায় কেল্লাফতে, বুঝি না তার মাথা। হরেক খেলা হচ্ছে বটে, খেলার মজা কই -- খেলা-রঙ্গের ধন্দে পড়ে, সবই তা-থৈ-থৈ। ==============  

কবিতা।। মায়াজন্ম ।। নজর উল ইসলাম

  মায়াজন্ম নজর উল ইসলাম পেয়েছি জীবন পাহারায় আছি বুকের মনঘরে  স্বপ্নডানায় ওড়া এক পবিত্রতায় ঝুঁকে সংসার আমার  আঁচল বিছিয়ে পৃথিবীর খোলা নাটকের মঞ্চে দাঁড়িয়েছি কত সুর কত ঘেরাটোপ একা একা সামলে হরিণ সভ্যতায় ছায়ার মত বুক পেতে নতজানু শুধু পাওয়া না পাওয়ার কাছে ছোটবেলাকার রঙ এখন অকেজো নির্ভার কী বুঝি না মায়া সন্ধ্যের কামিনী গন্ধ ভরা তেবাসি অশ্রু দাগে বিষন্ন মগ্ন ছায়ার অনিবার্য সুতোয় যেন ঝুলছে বাঁশির সূর্যাস্তে নিভন্ত মহাজ্যোতি হারিয়ে বেয়াদব গম্ভীর মেঘমুখ আলো দিশার অন্ধকারে হারিয়ে ঠুনকো পেঁচার অনুক্ত বিদায়গ্রস্ত জাল বিবর্তনে ফলিত জয়োল্লাসের দিন শেষ, অছন্দে ছন্দ কাঁদছে কাঁপা বিরহ পোড়ামাটির স্বাক্ষরে পরাজিত মন অ-সংষ্কৃতির কদর্য বেমালুম পালিত স্পর্ধায় প্রতি মনভূমি রেখাচিত্রে অন্তহীন বিনির্মাণে স্থিত আমরা তো আরোগ্যে সান্ধ্যভাষার মুখচ্ছবি জোছনায় প্রতীক ছুঁই, পরিসর বাঁধি বিস্তর অবিনশ্বর কারও সঙ্গে যে জড়িয়ে ক্ষতচিহ্নে ইচ্ছেডানা সাজিয়ে বাস্তবতায় সেতুবন্ধন স্বপ্ন-আঁকা কত আলো নির্ভার... ============ নজর উল ইসলাম  পশ্চিম বিবিপুর, বেগমপুর, বসিরহাট, উত্তর ২৪ পরগণ...

কবিতা ।। রক্তের স্বাদ ।। বিপ্লব নসিপুরী

  রক্তের স্বাদ বিপ্লব নসিপুরী কিছু কথা, যা সর্বদা নোংরা মনের ঘরে  ভনভন করত কুৎসিত মাছির মতো।  অগভীর মনের গভীরে পুঞ্জীভূত কথাগুচ্ছ ব্যক্ত করেছিলাম বহুদিনের আধুনিক বাহুল্যবর্জিত  অকাজের জিনিসের ভীড়ে ঠাসা কুয়োর মুখে, কালো শ্যাওলার আস্তরণে মোড়া অগভীর  কুয়োর জমাট অন্ধকারে, ধিকধিক করে  জ্বলছিল প্রাণের আলো মৃদু,অতি ক্ষীণ।  একেবারে নিশ্চুপ, নির্বাক, পরাজিত সেনার  মতো শুনেছিল বহিরজগতচ্যূত একটা কুনোব্যাঙ, দীর্ঘদেহী কোমল মতি সর্প আর একদল মশা, যারা ছিল রক্ত স্বাদ হতে একেবারে বঞ্চিত।  কুয়োটা আজ শূন্য, নির্বাপিত আলোকবিন্দু, জীবহীন জড়ের আধার আঁধারে পরিপূর্ণ।  কোমলতার খোলস ছেড়ে সর্পের আগ্রাসী  আস্ফালন, বাতাসের উদর ক্রমশ ভারী আরও  ভারী হয়ে উঠছে, পান করে বিষের বাষ্প।  সাবধান খুব সাবধান,বুভুক্ষু সর্পটা পেয়েছে  রক্তের স্বাদ,রক্তিম শোণিত ধারার স্বাদ। মিটবে না অসীম ক্ষুধা হবে রক্তশূণ্য ধরা। ============= কলমে বিপ্লব নসিপুরী  গ্রাম+পোস্ট শীতলগ্রাম জেলা বীরভূম  পিন-৭৩১২৩৭ 

কবিতা ।। জলদেবতা ।। রহিত ঘোষাল

  জলদেবতা  রহিত ঘোষাল আমাদের সম্পর্ক ঠুনকো রাতের মতো নয় দূরে যে লাল সংকেত আলোর কোলের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মোহনায়  তাকে কী বলবে ঠিক করেছ কিছু  সেখানে অসীমে যাওয়ার পথ ডুবন্ত নৌকার চন্দ্রিমা                          বহমান ছায়া কাঁটাগাছ যদি জানতে চায় কী বলবে ঠিক করেছ কিছু   সাতরং সূর্যকাচ পাপবোধ লুঠ করে তারা আমাদের মতো হাঁটুজলের সাক্ষ্য দেবে না তারা দুর্গম ভালবাসতে জানেই না তাদের কী বলবে ঠিক করেছ কিছু  =============

ছড়া।। দুলের মেয়ে সৌদামিনী ।। প্রবোধ কুমার মৃধা

  দুলের মেয়ে সৌদামিনী        প্রবোধ কুমার মৃধা             মাঝ নদী বরাবর জেলে ডিঙি বেয়ে।             হাল ধরে দাঁড়িয়ে সে দুলেদের মেয়ে।             নাম তার সৌদামিনী নিটোল গঠন।             চকিত নয়নে চায় কাজল বরণ।             কোমরে জড়ায়ে নিয়ে ডোরাকাটা শাড়ি।             রোদে-জলে বারোমাস স্রোতে দেয় পাড়ি।             দুটি ভাই নেপা-গোপা দিদির দোসর।             জলে জাল তোলা ফেলা করে দিনভর।             ঘরেতে পঙ্গু বাপ শুয়ে বিছানায়।             মরণের দিন গো‌নে কাঁদে যাতনায়।             সারাবেলা কাজ নিয়ে তাদের জননী।             মুখ বুজে টেনে চলে সংসারের ঘানি।             সকল...

অণুগল্প ।। বাহন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত

বাহন মানস কুমার সেনগুপ্ত বহুদিন আগে তৎকালীন বর্ধমান ‌জেলার মেমারি ষ্টেশনে নেমে অনেক দূরবর্তী গুলটে নামে এক গ্রামে পৌঁছেছিলাম । বাসযাত্রা, ছৈ লাগানো তিন চাকার ভ্যান রিক্সা অবশেষে গরুর গাড়িতে দীর্ঘ যাত্রাশেষে পৌঁছন   গেল সেই গ্রামে। উপলক্ষ্য বন্ধুর ভাইয়ের বিয়ে। গ্রামে গিয়ে আমার মত খাস শহুরে লোকের বিয়ে দেখার অনাবিল আনন্দের অনুষঙ্গে মিশে ছিল অনেক ঘটনা। বরযাত্রী গেলাম  গ্রামের অন্ধকার মেঠো পথে গরুর গাড়িতে। বউভাতের দিন গ্রামের প্রান্তসীমায় বন্ধুর বাড়িতে আরও কয়েকজন মিলে মাদুর পেতে সংলগ্ন পুকুর ঘাটে চলছিল চা সহযোগে বৈকালিক আডডা। হঠাৎ    দেখা গেল অনেক দূরে গ্রামের মেঠোপথ ধরে ধূলো উড়িয়ে কিছু একটা ছুটে আসছে। কাছে আসতে বোঝা গেল ঘোড়সওয়ার হয়ে কেউ একজন আসছেন এদিকেই। বাড়ির কাছে আসতে আমার বন্ধুটি এগিয়ে গেল ঘোড়সওয়ারী ভদ্রলোককে অভ্যর্থনা করে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যেতে। কাছ থেকে দেখলাম সযত্নে লালিত চকচকে ঘোড়াটিকে। গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা ঘোড়াটিকে দেখতে তখন গ্রামের মানুষের ভীড়। আমার কাছে সে এক বিস্ময়। বন্ধু আবার বাইরে এসে আডডায় যোগ দিয়ে জানাল ভদ্রলোক কনের মামা ।...

কবিতা ।। মা, বড্ড ভয় করছে ।। অশোক দাশ

মা, বড্ড ভয় করছে অশোক দাশ মা বড্ড ভয় করছে  একা একা পথ চলতে  রাস্তায় ওত পেতে থাকে যত                            হায়নার দল। মা, বড্ড ভয় করছে  সূর্যটা ডুবে গেলে আঁধার ঘনায় নিস্তব্ধ নিঝুম রাতে  ঘুম আসে না  ঘরের চারপাশে কারা যেন দাপিয়ে বেড়ায়।  ওরা হিংস্র জানোয়ার  দিদিটাকে ওরা খুবলে -খুবলে  পাশবিক অত্যাচার করে মেরে ফেললো, মা, দিদিটা এখনও বিচার পেল না  কোনদিন কি ও বিচার পাবে না ! সত্য কি উদঘাটন হবে না !! অপরাধী কি সাজা পাবেনা!!! মা জানে, মায়ের বুক কাঁপে  তবুও সস্নেহে মেয়ের পিঠে হাত রেখে প্রত্যয়ের সুরে কন্ প্রতিটি ক্রিয়ার যেমন বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে  তেমনি প্রতিবাদ প্রতিরোধও আছে  গন আন্দোলন গন জাগরণই পারে অধিকার ছিনিয়ে নিতে  বিচার আদায় করতে।  রাজপথ আলপথে ঘটবে জনবিস্ফোরণ  বাজবে যুদ্ধের দামামা। তমসার আঁধার চিরে ভোরের সূর্যোদয়  এক ফালি রোদ্দুরে ভাসবে জগত সংসার।  অশোক দাশ ভোজান, রসপুর, হাওড়া, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।  মোবাইল নম্ব...

কবিতা।। যৌবনের ডাক - গোপাল চন্দ্র মন্ডল

  যৌবনের ডাক গোপাল চন্দ্র মন্ডল               বসন্তে কোকিল কুহু কুহু ডাকে  সুষমা বিছানায় শুয়ে প্রেমের ছবিআঁকে । এ কোকিল ডেকে দেয় যৌবনের ডাক  মনো বীনা বেজে ওঠে বাজায় ঢাক।  অষ্টাদশী নারীর কি যে যৌবন যন্ত্রনা  যার জ্বালা সেই বোঝে পায়না সে শান্তনা।  সুষমা একমাত্র বোঝে তার কি যে জ্বালা   পরিণীতা হয় তার চেয়ে বেশী ঝালাপালা। সুষমা পরিণীতা দুজনে বেশ বন্ধু  কথা দিয়ে কথা নেয় সে যে দীনবন্ধু। সুষমা পরিণীতা দীনবন্ধু যায় স্কুলে প্রেমের গল্প করে পড়া যায় ভুলে। দুই ফুল এক মালি লাগে তাদের দ্বন্দ্ব       কে কাকে বেশি ভালোবাসে বাড়ায় ছন্দ। এযে প্রেমের মহিমা বোঝা বড়ো দায়  কে যে কাকে ল্যাং মারবে শুধু ভয় পায়। ভালোবাসা ছাড়া আর জীবনে কি আছে  প্রেম যদি ব্যর্থ হয় জীবন একেবারে মিছে। ----------------------------------------------------------    গ্রাম =   উত্তর বালুপাড়া।     পোস্ট =গোপালগঞ্জ।     জেলা =দক্ষিণ দিনাজপুর।      পিন   =৭৩৩১৪১  ...

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

রেজাল্ট ।। সৈকত মাজী

রেজাল্ট সৈকত মাজী শুভ্রাংশু বিছানতে শুয়ে শুয়ে বিরক্ত হয়ে উঠল। মনে মনে নিজের শরীরটাকে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিলো দু- চারটে কথা, দেবে নাই বা কেন, কয়দিন ধরে এতো কাঠ খড় পুড়িয়ে সব বন্ধুরা মিলে রথটা বানালো, কত কি প্ল্যান করলো, আর এই শরীরটার জন্যই তো সব ভেস্তে গেলো। মনে মনে ভাবলো একটা যা হোক শরীর হয়েছে ওর প্রতি মাসে তিন - চার বার করে জ্বর হচ্ছেই। হবি তো হ আর একটা দিন পরে হলে কি এমন ক্ষতি হতো, এই রথের দিনেই হতে হলো। ওর বিরক্তিটা বেড়ে গেলো আরো কয়েক ঘর।    " মা ও মা...মাআআআআ...." জোরে হাঁক  দিলো শুভ্রাংশু।    " কি হয়েছে বাবু? আবার জ্বরটা বেড়েছে? মাথা ব্যথা করছে?" ব্যস্ত হয়ে উঠলেন মালতিদেবী।     " ওসব কিছু নয়, ও মা বলছি এখন তো খুব কম জ্বর আছে যাই না মা একবার বাইরে, সবাই কতো ফুর্তি করছে বলো"  কাতর ভাবে বলল শুভ্রাংশু।      " না বাবু, এখনই আমরা ডাক্তারের কাছে যাব, বাবা তৈরী হয়ে গেছেন, আমরা বিকেলে তখন মেলা দেখতে যাব কেমন, এখন উঠে জামা কাপড় পরে নাও"  মালতিদেবী জামা কাপড় গুলো এগিয়ে দিলেন।      শুভ্রাংশু...

রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি

রাই আর বাবা অদিতি চ্যাটার্জি রাই-র জীবনে বেশ কিছু ভালো লাগা আছে তার মধ্যে একটা হলো সন্ধ্যার সময় তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখতে দেখতে কফি কাপে চুমুক দেওয়া ।" আজ যশোদা মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে বেশ ভিড়,নির্ঘাত 'তেলে ভাজা ' প্রেমীরা।" আপন মনেই ভাবে ও, কিন্তু বসার ঘরে সুমন আর আঁখি এতো জোরে 'হল্লা গোল্লা ' করছে তালতলার জমজমাট রাস্তার দিকে আর মন দিতে পারছে না রাই।  পায়ে পায়ে ঘরে এসে দাঁড়ায় রাই, দেখে ক্লাস ফোরের মেয়ে এতোটা ঝগড়া করছে সুমনের সাথে , "বাপ রে, কবে এতোটা কথা শিখলো মেয়ে! কিভাবে কথা বলছে?? কোঁকড়া চুল ঝাঁঝিয়ে,গোলগাল হাত নেড়ে " ...মেয়ে কে দেখে থতমত খেয়ে যায় রাই। এদিকে আঁখি বলছে, "ধুত্ বাপী তুমি কিচ্ছু পারো না, তুতাই-র বাবা, পিসাই, মামু সবাই কত ভালো করে খেলতে পারে , না আমি তোমার সাথে খেলবো না।" কাতর চোখে মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে সুমন বলে ,"আচ্ছা তুই আমাকে শেখা, দ্যাখ আমি কার জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে পনেরো দিন পর পর কলকাতায় আসি বল!"  ঐ টুকু মেয়ে কথা প্রায় না শুনেই ঘরে চলে গেল রাই-র চোখের সামনে, সুমন একবার হেসে বাথরুমের দিকে এগো...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী

বস্তু, চেতনা এবং  কবি সজল চক্রবর্তী  "যেখানে পৌঁছায় না রবি,, সেখানে পৌঁছে যান কবি।" এই ছোট্ট কবিতা টি অনেক পুরনো  এবং বহু পরিচিত, তথাপি এর তাৎপর্য এখনো হারায় নি। তবে, কথা হ'চ্ছে -আমরা তো  রবি-কবিকে একত্রেই পেয়ে যাই আমাদের ঋষি-প্রতিম কবি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে। আর তখনই জেনে যাই উপরোক্ত ছোট কবিতার প্রণিধানযোগ্যতা ।  ... এবার শুনে নেয়া যাক, ঋষি-প্রতিম কবির মুখ নিঃসৃত বাণী:- "তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি যাই ...." অর্থাৎ আমাদের প্রিয়তম কবি অনায়াসে পৌঁছে যান সৃষ্টির অসীমে , যা আমাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। এখানে কবির চেতনা সুদূর প্রসারী! ... প্রকৃত প্রস্তাবে কবি অতিন্দ্রীয় জগতের এক নাগরিক। তাঁর কাছে তাই চেতনা বা চৈতন্যেরই প্রাধান্য। ...এখন আসছি, বস্তু এবং চেতনার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে।  ... আমি একজন অতি সাধারন মানুষ, তাই এই ব্যাপারটাকে কবিদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা ক'রছি। তবে আমার সামান্য জ্ঞান থেকে একটা সাধারণ কথা সেরে নি'। আমরা সাধারণত ব'লে থাকি-- সূর্য পূর্বদিকে ওঠে। প্রকৃত অর্থে কি তাই ? আসলে সূর্য যেদিকে ওঠে ,আমরা  সেই দিকটাকে নামাঙ্কিত ক...

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদি ।। অরবিন্দ পুরকাইত

স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি  (পর্ব—সাত) অরবিন্দ পুরকাইত স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদির সংগ্রহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকায়, ২০১৬ সালে। সে সংগ্রহ যায় নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে, ১৪২৩ সনে। পরে এই ব্লগজিনেও কিছু সংগ্রহ প্রকাশিত হয় ১৪২৮ সনের আশ্বিন মাসে, পৌষ ১৪২৯-এ, আষাঢ় ১৪৩০, নববর্ষ ১৪৩১ ও কার্তিক ১৪৩১ সংখ্যায়। তার পরেও ধীরে ধীরে আরও কিছু সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলিই এখানে রাখা হল। নিজের আগের সংগ্রহে এসে-যাওয়া শব্দ যদি এখানে এসে থাকে, তা বাড়তি বা ভিন্ন কিছু বলার প্রয়োজনেই। নিজের আগের সংগ্রহ খুব ভাল করে যে মিলিয়েছি তা নয়, পুরো সংগ্রহ একত্র করার সময় তা করা যাবে যতটা সম্ভব নিখুঁত করে। আগে আগে সংগ্রহ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা হয়েছে, বিশেষত প্রথম প্রকাশের সময় একটু বিশদভাবে। এখানে আর কিছু বলা নয়, কেবল সংগ্রহটাই তুলে ধরা গেল। অখেজো/অখেজে — অকেজো থেকে। আদরের তিরস্কার হিসাবেই মূলত প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পাজি। অচিমিতি — (উচ্চারণ ওচিমিতি) আচমকা, হঠাৎ। অদীয় — প্রচুর, অজস্র। অদ্বিতীয় থেকে ক...

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায়

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত রণেশ রায় ভূমিকা দর্শনের ইতিহাসে বস্তু ও চেতনার সম্পর্ক মানবচিন্তার গভীরতম প্রশ্ন। অধিবিদ্যা ভাবকে মুখ্য ধরে, বস্তুকে গৌণ বলে মনে করে। বিপরীতে মার্কস ও এঙ্গেলস বলেছেন—বস্তুই মুখ্য এবং চেতনা তার প্রতিবিম্ব। মানুষ যখন প্রথম আলোর মুখ দেখেছিল, তখনই সে বিস্ময়ে প্রশ্ন করেছিল—আমি কে, কোথা থেকে এলাম, আর এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে কিছু আছে কি? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নিয়েছিল দর্শনের দুই বিপরীত স্রোত—ভাববাদ আর বস্তুবাদ। ভাববাদ বলেছিল—"ভাবই প্রথম," আর মার্কস বললেন—"না, বস্তুই প্রথম।" এই দুই প্রান্তের মাঝখানে আমি দেখি এক সেতুবন্ধন, যেখানে বস্তু, স্নায়ু ও চেতনা একে অপরকে গড়ে তোলে, আর তাদের এই ত্রিত্বের নৃত্যেই সৃষ্টি হয় জীবন ও কল্পনার জগৎ। ভাবববাদ এক সর্বশক্তিমান শক্তির কল্পনা করে যা এই বস্তুজগতের স্রষ্টা। আর এখান থেকে ধর্ম ও ধর্মীয় ভাবধারার সৃষ্টি। আমার এই প্রবন্ধে আমি মার্কসীয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আলোকে বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি দেখাবার চেষ্টা করবো কিভাবে ইন্দ্রিয় এবং স্নায়ুজগৎ বস্তু ও চেতনাকে সংযুক্ত করে এবং কল্পলোকের জন্ম দেয়...

চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার

চাঁদে জীবন  শমীক সমাদ্দার                           চন্দ্রযান দুরন্ত তৈরি, রকেটের উপর ভর করে চন্দ্রযান চাঁদে অবতরণ করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পেরিয়ে মহাকাশযান চাঁদের কক্ষপথে  স্থাপন করা হয়েছে। চন্দ্রাযান চাঁদের মাটিতে পা রাখবে সময়ের কাউন্ট ডাউন চলছে। সমস্ত নিয়ন্ত্রণ স্পেসস্কাই গাবেষণা কেন্দ্র কতৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রযুক্তি বিজ্ঞান অতল গভীরতায় বাসা বাঁধে। পরিচয়টা দিয়ে দিলাম এই স্পেসসিপে রয়েছে তিনজন নভোচর, একজনের নাম সাইমন আর এক জনের নাম রেমন্ড, আর এদের সঙ্গে একজন মহিলা আছে তার নাম মেরিনা। চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করেছে। চন্দযান দুরন্ত চাঁদের পূর্ব -পশ্চিম অক্ষরেখা বরাবর অবতরণ করেছে। আলো আঁধারের গভীরতায় বড় বড় পাথরের পিণ্ড, চাঁদের সার্ফেসের উপরে পাথর জল দেখা যায়। জমাট বাঁধা অক্সিজেন আর কার্বনডাই অক্সাইড। ওরা এখানে এসেছে এক রহস্য উদ্ঘাটন করতে। যে স্থানে ওরা অবতরণ করেছে সেখানে ১০ বছর আগে ওরা এসেছিলো। রুশ সরকার ওদের দেশের ছাত্র ছাত্রী কে মহাকাশে চাঁদে পাঠাতে চায়। ওরা কেন এসেছে সেটা এখনো অধরা। সাইমনের বর্...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

বছরের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ৮৬তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পাদকীয় এই সংখ্যাটি বাংলা নববর্ষ বিষয়ক সংখ্যা। নৱৰ্ষকেন্দ্রিক বহু তথ্যপূর্ণ লেখা এই সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস, রীতিনীতি, উৎসব, পার্বন, লোকাচার, রূপান্তর বহুবিধ বিষয় প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যার লেখাগুলিতে। এই সংখ্যার বাছাই কিছু লেখার সঙ্গে আগামীতে আরও কিছু লেখা সংযুক্ত করে বাংলা নববর্ষ বিষয়ক একটি মুদ্রিত সংখ্যা প্রকাশ করার ইচ্ছে রইল।  সকলকে নববর্ষের আন্তরিক শুভকামনা জানাই। উৎসবে আনন্দে থাকুন, হানাহানিতে নয়। ধর্ম-ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে সহনাগরিকের পাশে থাকুন। মনে রাখুন, ধর্মকে মানুষই সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বর আল্লা গড ইত্যাদির জন্মদাতা মানুষই। মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষের পাশে থাকুন।  নিরাশাহরণ নস্কর  সম্পাদক, নবপ্রভাত।  সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা পয়লা বৈশাখ ।। সিদ্ধার্থ সিংহ নববর্ষকেন্দ্রিক মেলা, পার্বন, উত্সব, লোকাচার ।। সবিতা রায় বিশ্বাস নববর্ষ আবাহন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে ।। তুষার ভট্টাচার্য নববর্ষের সেকাল ও একাল ।। হিমাদ্রি শেখর দাস নববর্ষের হাল-হকিকৎ ।। শংকর ব্রহ্ম বোশেখি বাঙালি নাকি পোশাকি বাঙালি? ।। দিব্যেন্দু...

প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান

বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় মাখনলাল প্রধান বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির জগতে যাত্রা শিল্প তথা নাট‍্যশিল্পে মড়ক নেমে এসেছে । যাত্রা শিল্পের মড়কে শুধু কোভিড নয় তার বহুপূর্ব থেকেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় , শিক্ষাক্ষেত্রে বন্ধ‍্যাত্ব এবং গ্ৰাম বাংলার পটপরিবর্তন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। যাত্রা-শিল্পের লীলাভূমি ছিল গ্ৰাম বাংলা। গ্ৰামে প্রচুর যাত্রাপালা হত নানা উৎসবকে কেন্দ্র করে । জমিদারি ব‍্যবস্থা লুপ্ত হওয়ার পর গ্ৰামীণ মানুষের উদ‍্যোগে শীতলা পূজা,  কালীপূজা, দুর্গাপূজা, কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, চড়ক ইত‍্যাদিকে উপলক্ষ‍্য করে যাত্রাপালার আয়োজন না হলে কেমন যেন ম‍্যাড়ম‍্যাড়ে লাগতো। সেই সঙ্গে কলকাতার বড়বড় কোম্পানির যাত্রাপালা ঘটা করে, টিকিট সেল করে হত মাঠে। খুব বড় মাপের খেলার মাঠ যেখানে ছিল না সেখানে ধানের মাঠ নেওয়া হত ‌। ত্রিশ-চল্লিশ হাজার মানুষ দেখতে আসত। স্পেশাল বাস পাঠাত  আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বিনা ভাড়ায় বাসে যাতায়াত করত যাত্রার দর্শকেরা। কিন্তু বিকল্প ধানচাষ শুরু হলে জমিগুলো সময় মতো ফাঁকা পাওয়া গেল না । প্রথম দিকে ব‍্যাপকহারে ধান শুরু না হওয়ায় খুব একটা অসুবিধা হত না। বহুক্ষেত্রে  ধান কা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী

ভিনগ্রহীদের সন্ধানে  শ্যামল হুদাতী  ইতিহাসের শুরু থেকে বারবার মানুষকে একটা প্রশ্ন কুঁড়ে কুঁড়ে খায় – এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? পৃথিবীর মতো আরও গ্রহ রয়েছে, যেখানে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীরা বাস করে – এই সম্ভাবনা বরাবর মানুষকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের কখনও না কখনও এই ভাবনা এসেছে। দীর্ঘ কয়েক দশকের গবেষণার পরও, এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপ, বহু দূরের এমন কিছু গ্রহের সন্ধান দিয়েছে, যেগুলিতে প্রাণ থাকতেই পারে। তবে, নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বহু দূরে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। তারা এই পৃথিবীতেই মানুষের ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যেই বসবাস করতে পারে। আমরা ভিনগ্রহীদের যেমন কল্পনা করি, এরা তার থেকে আলাদা। এরা অনেকটাই, দেবদূতদের মতো। মানব জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রযুক্তিগত নয়, বরং জাদুকরি। মহাকাশে সৌরজগতের গ্রহ পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথায় প্রাণ রয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। একই সঙ্গে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাস ক...

মাসের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

দিদৃক্ষা ।। রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী

  দিদৃক্ষা রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী 'কাল একবার দেখা হতে পারে?' দশমীর দুপুরে খাটে আধশোয়া হয়ে নিজের ফোনটা ঘাঁটছিল দেবমাল্য; হোয়াট্‌সঅ্যাপের সার্চ বক্সে  র‍্যান্ডম সিক্যুয়েন্সে ক'খানা ডিজিট ইনপুট করতেই বিস্মৃতির অতল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে নামটা স্ক্রিনের সারফেসে ভেসে উঠল, এককালে দেবমাল্যের প্রায়োরিটি লিস্টে সবথেকে ওপরে পিন্‌ করা থাকতো এই অ্যাকাউন্টটা। 'অহনা দাশগুপ্ত'—গ্রেয়েড-আউট ডিপিটার ডানদিকে, নামটার তলায় নিস্প্রভ হরফে ভেসে থাকা ওর এই লাস্ট মেসেজটা বেশ ক'বছরের পুরনো, কিন্তু দেবমাল্যর স্মৃতির প্যান্ডোরা বাক্সটি উলটে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। আরেকবার আপাদমস্তক শিহরিত হয় সে। প্রোফাইলটা খুলে ওপরে-নীচে স্ক্রল্‌ করে দেখে, ওদের পুরনো চ্যাটগুলো তেমনি আড়ষ্ট হয়ে পড়ে আছে, ওর মেসেজগুলোর পাশে ডাবল টিকগুলো এখনও জাজ্বল্যমান সবুজে ছোপানো, যেন এইমাত্র 'সিন্‌' করে রেখেছে অহনা! যেন এখুনি আবার হাত বোলালেই অহনা এসে খানিকটা রাগত ভঙ্গিতে চ্যাট করতে লেগে যাবে। দেবমাল্যের বুক ছাপিয়ে একটা নীরব দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে! ছুটির এই আমেজটা লক্ষ্মীপুজো অব্দি গড়াবে—অফিস খুললেই তো আবার দমফাটা ব্য...

গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম

  গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম হুইসেল (মুরাকামি থেকে অনুপ্রাণিত) ♦ 'গভীর রাতে একটা হুইসেল কতটা গভীর হতে পারে তুমি কল্পনাও করতে পারো না,' ছেলেটা বললো, 'আশ্চর্য ঐ হুইসেলের মতো আমি ভালবাসি তোমাকে।' কিন্তু গভীর রাতে অন্ধকারে কখনও তো ঘুম ভেঙে যায়নি মেয়েটার, কখনও ও বিচ্ছিন্ন আর একা হয়ে যায়নি। ও কীভাবে অনুভব করবে গভীর রাতে ট্রেনের হুইসেল কতটা গভীর! নিউজ এজেন্সি ♦ একসময় আমরা খবর শুনতাম এখন দেখি স্বীকার করতে হবে খবর শোনার চেয়ে দেখার আনন্দ বেশি আলাদা উত্তেজনা নিউজ এজেন্সিগুলো এব্যাপারে তৎপর আর প্রতিযোগিতাপূর্ণ কোনটা নিউজ সেটা ওরাই ঠিক করে যেটা ওদের দরকার আর সেটাই আমাদের দেখানো হয় ধারাবাহিকভাবে সুচারু জ্যামিতিকতায় বিভিন্ন পদ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নতুন বাস্তবতা নির্মাণে যে বাস্তবতায় জায়গা নেই আমাদের ইতিহাস অন্বেষা স্বাধীনতার সমৃদ্ধি আর স্বাধীনতার কথা বলেই ওরা আমার ক্ষেতখামার পাহাড় আর নদীর দখল নিয়েছে তাহলে টিভিতে যে হাসিখুশি প্রাণবন্ত আমাদেরকে দেখানো হয় ওরা কারা এই প্রশ্ন করো নিজের কাছে আগুন নিয়ে খেলা ♦ আজও পুকুরে ছিপ ফেলে বসবো আমি ধীরে চুপ সূর্য আমার ঘাড়ে শ্বাস ফেলবে সারারাত ঘরের ভেতর ল্যাং...

বিদায়ের স্রোত ।। চয়ন মন্ডল

  বিদায়ের স্রোত চয়ন মন্ডল "বিজয়া দশমী—আনন্দের দিন, কারও কাছে যা হয়ে উঠল চিরন্তন বিদায়।" আজ বিজয়া দশমী। শিউলি ফুলের গন্ধে ভোরটা অন্যরকম। পাড়ার প্যান্ডেলে অদ্ভুত এক কোলাহল—মায়ের বিদায় যে আজ। শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাজনা আর উলুধ্বনিতে গমগম করছে চারদিক। একদিকে মা দুর্গার বিদায়ের বেদনা, অন্যদিকে আনন্দ ও মিলনমেলা। সারা বছরের অপেক্ষা শেষে এই দিনটিতে প্যান্ডেল ভরে উঠেছে মানুষের ভিড়ে। সকালের পূজার্চনা শেষ হতেই শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। মহিলারা মায়ের প্রতিমাকে সিঁদুর পরিয়ে একে অপরের কপালে, গালে রাঙিয়ে দিচ্ছেন। ঢাকের তালে আর শাঁখ বাজনার আবেশে ভেসে যাচ্ছে পাড়া। শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। কিন্তু এসবের মধ্যে নেই অনুরাধা। কেউ তার বা মিনির খোঁজ রাখেনি। মুখার্জিদের দোতলা বাড়ির কোণের ঘরে বসে সে চোখের জল ফেলছে। সবার বাড়িতে আলোর রোশনাই, ভোগের গন্ধ, হাসি—শুধু তাদের ঘরটিতে নিস্তব্ধতা। গতবছর এই দিনেই তো অন্যরকম ছিল সবকিছু। অনুরাধা, সুজয় আর তাদের তিন বছরের মেয়ে মিনি পাড়ার প্যান্ডেলে ঢাকের তালে নেচেছিল, সিঁদুর খেলায় রঙে ভেসেছিল। বিকেলের দিকে প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে শামিল ...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

শেষ বিকেলের আলো ।। সৈকত প্রসাদ রায়

  শেষ বিকেলের আলো সৈকত প্রসাদ রায় রানাঘাট শহরের প্রান্তে ছোট্ট এক পাড়া বিশ্বাসপাড়া। সেই পাড়ার পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়িটায় থাকেন পুষ্পরাণী ভট্টাচার্য— বয়স পঁয়ষট্টির কোঠায়। সবাই তাকে "পুষ্পদি" বলেই চেনে। একসময় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেলে পুষ্পদি বারান্দায় বসে চা খান। ছোট একটা টেবিল, কয়েকটা পুরোনো বই, আর একখানা নীল কাঁচের ফুলদানি — তার নিত্যসঙ্গী। বারান্দার সামনেই একটা গলি, যেখান দিয়ে প্রতিদিনই স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা হইচই করে ছুটে যায়। পুষ্পদির একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ — কলকাতায় চাকরি করে। ছেলেটা আধুনিক, নিজের সংসার আছে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত। বছরে হয়তো একবার আসে, তাও কিছুক্ষণ বসে আবার চলে যায়। পুষ্পদি মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু বুকের ভেতরে একটা কষ্ট জমে থাকে। সেই বিকেলটা অন্যরকম ছিল। আকাশে ধুলো, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। হঠাৎ পুষ্পদির চোখে পড়ে — রাস্তায় এক কিশোর বসে আছে। বয়স বারো-তেরোর বেশি নয়। মলিন জামা, পায়ে ছেঁড়া চটি। ছেলেটা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে পুষ্পদির বাড়ির গেটে ঝুলে থাকা পুরোনো নোটিশবোর্ডটার দিকে, যেখানে একসময় লেখা ছিল — "পুষ্পরাণী ভ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...