Skip to main content

Posts

কবিতা ।। ইন্দ্র মেঘওয়াল ।। জীবনকুমার সরকার

ইন্দ্র মেঘওয়াল  জীবনকুমার সরকার    ইন্দ্র মেঘওয়াল  আরও একটি শহিদের নাম  আরও একটি কদর্য ভারতবর্ষের নাম।  হাজার হাজার বছর ধ'রে  হত্যা, লুট, ধর্ষণ করেও  মনুর সংবিধান ক্ষান্ত হয়নি।  প্রতিনিয়তই জন্মভূমিতে  আমাদের মুণ্ডুছেদন করা হচ্ছে  কাটা হচ্ছে আঙুল  পোড়ানো হচ্ছে জীবন  কেড়ে নেওয়া হচ্ছে সোনালী সূর্য, জমি-জায়গা-চাকরি  ঘরবাড়ি-বাসস্থান  আর বেঁচে থাকার সব অধিকার।  ইন্দ্র মেঘওয়াল  আরও একটি শম্বুকের নাম,  চারদিকে ভক্তরা তির-ধনুক-কাঁটাতার  আর ধারালো মনুর রশিতে  আমাদের বেঁধে ফেলছে। ওরা ভারতবর্ষটাকেই ইন্দ্র মেঘওয়াল বানাতে চায়। ইন্দ্র হত্যার বদলা চেয়ে জ্বলে উঠুক  একলব্য ভারত ================

কবিতা ।। সময় ।। দীপঙ্কর সরকার

সময়     দীপঙ্কর সরকার একটা স্বপ্নের মতো চলে গেল সময় বালখিল্য উচ্চারণ যেন পাতায় পাতায় ভোর চির জাগরুক ।  অসূয়া ক্রন্দন যেমন নীলে নীল আহত সাপের ফণা দিগ্বিদিক , শূন্যে ধূসর ছায়া আলোর অধিক । তালে বেতারে বক্ররেখা অযথা জাগায় কৌতুক । আলস্যের ঘুম ভাঙে অযাচিত মনের অসুখ ‌‌।  একটা স্বপ্নের মতো চলে যাওয়া এই সময় অজস্র ভাঙচুর ‌‌। ================     দীপঙ্কর সরকার কাঁঠাল পুলি (সিংহের হাটের কাছে) চাকদহ নদীয়া ৭৪১২২২

কবিতা ।। ভাবা যায় না ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়

ভাবা যায় না হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় দ্য রেড এ্যান্ড দ্য ব্ল্যাক...পড়েছেন ? ছাত্রীটি  জিজ্ঞেস করে তার মাস্টারমশাইকে মাস্টারমশাই ইতস্ততঃ বোধ করলে কচি কলাপাতা ছাত্রীটি বলে, আমি ইংরেজি অনুবাদ পড়েছি ....ওঃ ভাবা যায় না ... আপশোষ একটাই যদি বাংলায় অনুবাদ হোত... বৃষ্টি থেমেছে অনেকক্ষণ  জানলা দিয়ে আসছে সফেদ জ্যোৎস্না প্রফেসর একা বসে বসে ভাবছেন স্তাঁদালের অনেক উপন্যাস শুধু পড়াবার  জন্যই পড়েছেন, কিন্তু দ্য রেড এ্যন্ড দ্য ব্ল্যাক ... সত্যিই ভাবা যায় না...   *********************

কবিতা ।। জীবন ও মৃত‍্যু ।। হামিদুল ইসলাম

জীবন ও মৃত‍্যু হামিদুল ইসলাম                                 এ পথ দিয়েই গেছি বহুবার  দেখা হয়নি মৃত‍্যুর সাথে  জীবন বৈমুখ  স্বপ্নকথা সব তুলে রাখি কল্পতরু ছায়ায়       ।। মুখোশে ঢাকা শহর  ভেজা রাত  ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছে বরফ জল  দিগন্ত ফেরত সব কথা ভিজে যাচ্ছে ক্লান্ত শিশিরে        ।। আকাশে সাঁঝের সুবাস  আলোর রোশনাই  আমরা ভুলে যাচ্ছি অতীত  আমাদের বুকে ঝুঁকে আছে আদিম রাত। তাম্রলিপ্ত দিন     ।। পথ চলতে চলতে অসুস্থ হচ্ছি  বাসা বাঁধছে অসুখ  মজ্জায় অসুখ  নির্জন দুপুরের গা বেয়ে নেমে আসছে মৃত‍্যুর গন্ধ      ।। ভাবি মরে যাবো  ভাবি বেঁচে যাবো  ভাবি আমার শ্বাসে মুখ দিয়ে পড়ে আছে জীবন ও মৃত‍্যু       ।। ________________________________     হামিদুল ইসলাম গ্রাঃ+পোঃ=কুমারগঞ্জ। জেঃ=দক্ষিণ দিনাজপুর। ________________________________________________________

কবিতা ।। স্বপ্ন ।। জয়শ্রী সরকার

স্বপ্ন জয়শ্রী সরকার আস্ত একটা স্বপ্নকে ভাঙতে ভাঙতে ভাঙতে ভাঙতে দেখলুম ----- সেগুলো জীবনের ভিন্ন ধারায় লেপটে আছে বহতা নদীর মতো ! একটা স্বপ্ন আকাশ ছুঁতে চায় আর একটা মাটিতে শিকড় খোঁজে, একটা স্বপ্ন বাতাসে মিশতে চায় অন্যটা ঘুমেতে দু'চোখ বোজে ! এভাবেই পেরিয়ে যায় স্বপ্নময় দিনগুলো, যেখানে ---- মেঘ-বৃষ্টি আলো-ছায়া হাসি-কান্না জরা-যৌবন এক মোহনায় মেশে ! আর একটা স্বপ্ন শুনতে চায় রাখালিয়া বাঁশি, যে বাঁশির সুরে আছে অন্তহীন ভালোবাসা, যেখানে ঋতুমতী প্রকৃতি নিয়ে আসে নবান্ন উৎসব। হয়তো সঙ্গোপনে বুকের প্রসূনে বেঁচে থাকে সে স্বপ্ন নিশ্চিন্ত বিশ্বাসে, হয়তো ---- হয়তো পূরণ হয় না কোনোদিন, স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় ! **********************       জয়শ্রী সরকার,  দিনান্তিকা, প্রেমবাজার, খড়গপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিমবঙ্গ - ৭২১৩০৬

কবিতা ।। বাগান চোর ।। অমিত মজুমদার

বাগান চোর  অমিত মজুমদার   ছেলেটা গাছ। মেয়েটা বাড়ি। দু'জনে বাগান চোর  তাদের শরীরে বড় কৃষ্ণপক্ষ  মেয়েটা বাড়ির পলেস্তারা খসাচ্ছিলো অবেলায়  ছেলেটাও গাছের বাকল তুলছিলো টেনে টেনে  হাটের দিনে  তাদের নিজেদের শরীরও নিরাপদ থাকে না  জ্বর আসে অসুখ আসে। হাটে সবার অবাধ প্রবেশ  এই হাটে হাঁড়ি ভাঙে না কেউ  ফসফরাস আলোয় নির্বাসন পর্যন্ত দেখা যায় না  তারা মানে জ্যোৎস্না কিংবা জিজ্ঞাসা চিহ্ন  ছেলেটা গাছ। মেয়েটা বাড়ি  অথচ তাদের বাগান চুরি করা হলো না কোনোদিনই।  __________________________________________________  অমিত মজুমদার  গ্রাম — পশ্চিম জগদানন্দপুর ( ভেড়ামারা )    পোস্ট — বেথুয়াডহরি  জেলা — নদিয়া  সূচক — ৭৪১১২৬ মোবাইল — ৮৩৬৭৮১৯৭৫৭ 

মুক্তগদ্য ।। কাল নিরবধি ।। বিজয়া দেব

  কাল নিরবধি  বিজয়া দেব  রান্না করতে গেলে অনেকসময় হাত পুড়ে যায়, তারপর ঠান্ডা জল বরফগলা জল পোড়ার মলম কত কী। তারপরও ফোসকা কিংবা ছ্যাঁকার চিহ্ন থেকে যায়। চলতে চলতে পা মুচড়ে যায় ভাঙ্গা রাস্তায়। তারপর ব্যথা হলুদপ্রলেপ কাজ না হলে ডাক্তারের কাছেও দৌড়োনো। ওখানেও সহজে ডাক্তারের দেখা মেলে না। নম্বরের সারিতে নিজেও একখানা নম্বর হয়ে অপেক্ষা করতে হয়। তখন আবার কাল নিরবধি। কখন যে ডাক্তারের কাছে গিয়ে দাঁড়াই নিজেই বুঝি না।     দৈনন্দিন জীবনের কিস্যা নিয়ে রাতে ডাইরি লিখি। খুঁটিনাটি সব। কোনও দিন বিকেলে যেদিন চারপাশ খুব ফাঁকা তখন নিজের লেখা ডাইরির পাতা একের পর এক উল্টে যাই। দেখি সময়টা এক গোলকধাঁধা। এ ঘর থেকে ওঘর ও ঘর থেকে এ ঘর, বেরোবার পথ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তখন পথ খুঁজে পাওয়ার জন্যে ব্যাকুল হয়ে পড়ি।       "পথ বেঁধে দিল বন্ধনহীন গ্রন্থি"  এ এমন এক "বন্ধনহীন গ্রন্থি"র কথা বলছেন কবি যে "গ্রন্থি" প্রতিমুহূর্তে আলগা হয়ে যায় আলগা করে দেয় পথচলার বাধা। কিন্তু আজকের এই যে চলতি হাওয়া  তাতে ভেসে ভেসে যাওয়ার নাম বুঝি জীবন? যেদিকে হাওয়া সেদিকে তরী ছ...

কবিতা ।। কথোপকথন ।। মনীষা কর বাগচী

কথোপকথন---১ মনীষা কর বাগচী কিছুই থামেনি তোমার দেওয়া লাল জিনিয়াটি এখনো রাখা আছে  " ন হন্যতে" এর ২০ নম্বর পৃষ্ঠায়। মনে হয় এই তো সেদিনের কথা। কিন্তু তুমি তো জানো সেদিনের কথা নয়। হাজার বছর আগে ঝিলমের জলে আমরা ভাসিয়েছিলাম নাও। বৈঠা হাতে গেয়েছিলে তুমি ভাটিয়ালী গান। গান থেমে গেছে নীলাঞ্জন কিন্তু বাঁশি থামেনি এখনও। অনন্ত কাল ধরে বেজে চলেছে সে । ----কিছুই থামেনি মিষ্টি। এখনও সূর্য ওঠে, হাওয়া বয়, ফুল ফোটে, পাখি ডাকে ভোর হলে। এখনও তুমি আমি শিউলি কুড়াই। মালা গেঁথে জড়িয়ে দিই তোমার খোঁপায়। তুমি আহ্লাদে এলিয়ে পড় আমার বুকে। আমার মরুভূমি নতুন করে শিহরিত হয়। আবার বেঁচে উঠি। ----মিথ্যে বলছ না তো? ----একটুও নয়। শরতের আকাশের মতো নীল, জোয়ারের জলের মতো উচ্ছল, শ্রাবণের ধারার মতো চিরন্তন আমার প্রেম । নীলাঞ্জনের হিমালয় বুকে মিষ্টিকে খোদাই করে রেখে গেছে কোনো প্রাগৈতিহাসিক ভাষ্কর। সেটা মুছে ফেলার সাধ্য কী কারো আছে? --------------------------------

কবিতা ।। বুকের ভেতর গুনগুন ।। দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়

বুকের ভেতর গুনগুন দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় ভালোবাসি একথাটা আর বলা হয় না তোমার আদরের উষ্ণতাতেও নয় কেমন একটা অভ্যাস হয়ে গেছে যেন অনুচ্চারিত ভালোবাসা ছিটকে ছিটকে বেরিয়ে আসে আমাদের কাজে আমাদের যাপনে সকালের চায়ের ধূমায়িত কাপ জানায় তোমার ভালোবাসা প্রিয় পদের রান্নায় বাড়ি ঢেকে গেলে তোমায় ভালোবাসি অফিস বেড়নোর তাড়ার মাঝে হাতে হাতে সব চলে এলে বুঝি এই থাকার নামই জীবন গলির মোড়ে পিছন ফিরে দেখি তখনও তুমি দাঁড়িয়ে ফুলের মাঝে এক মিষ্টি ফুল হয়ে সারাদিন ছবিটা বুকে বই ভালোবাসার কথা আর সেভাবে বলা হয় না বোধহয় এখন আর বলতেও লাগে না অফিস ফেরত তোমার প্রিয় জুঁইয়ের মালা নিয়ে আসি খোঁপায় দিয়ে তুমি সম্পর্ক যেন আরো পবিত্র করো বারান্দায় পাশে বসে হাতে হাত জানায় অনেক কথা স্মৃতিরা সরব হলে তোমার গুনগুন শুনি ঘরের আবছা আলোয় রবিঠাকুর যেন জ্বলে ওঠেন আমাদের বুকের ভালোবাসার স্থায়ী ঠিকানায় চিঠি এসে আর বলে না ভালোবাসি ভালোবাসি আসলে আজকাল ভালোবাসাটা একটা অভ্যাস হয়ে খেলে বেড়ায় সারা বাড়ি আদুল গায় **********   দেবাশীষ মুখোপাধ্যায় রয়্যাল কমপ্লেক্স, ব্লক-ডি, ফ্ল্যাট নম্বর:২০৪, দ্বিত...

কবিতা || সে কারও প্রেমিকা নয় ।। অবশেষ দাস

সে কারও প্রেমিকা নয় অবশেষ দাস  মেয়েটি কখনও ধান,দূর্বা,চন্দনের থালা হাতে ধরে দেখেনি তুলির টান দেওয়া আঙুলের ডগা দিয়ে  সে কখনও দু-চারটি তুলসী পাতা তোলেনি। কল্যাণী বৃহস্পতিবার তার কাছে পায়নি চোখ ধোয়া আলপনা।  সে শুধু সবকিছু ছুঁড়ে ফেলে দেয়, ভাতের থালা, ল্যাপটপ হাতের সামনে থাকা যেকোনও জিনিস,এমনকি পরমান্ন-ভালবাসা  মেয়েটি কখনও কোনো কিছুর জন্যে অপেক্ষা করেনি। বরং তার জন্যে সবকিছু দিনের পর দিন প্রশ্ন শূন্য কঠিন অপেক্ষা করেছে। এমনকি গৃহশিক্ষক এসে বসে থাকেন, তিনি ঘুমিয়ে কাদা বিছানায়!  মেয়েটির অনেকগুলো নাম, একটি নাম মায়ের দেওয়া একটি তো বাবার, আরও কয়েকটা উপহার পাওয়া  নাম তার আছে,সবকটাই বেশ আদুরে ....  মেয়েটির হাতে কখনও সলতের হামাগুড়ি খেলার  চিহ্ন ফোটেনি, সযত্ন প্রদীপ জ্বলেনি। কাজল পরা টানা দুই চোখে কখনও আকাশ এসে দাঁড়ায়নি। তার ঝুমকো পরা কান কখনও ঝিঁঝিঁ পোকার গল্প'ও শোনেনি। সোনা বাঁধানো আয়নার সামনে সে বারবার দাঁড়ায় নিজেকে দেখে, গলিত রূপ ও লাবণ্য সে মুখস্থ করে। পৃথিবীর মুখ সে কখনোই দেখেনি, নদীর ঢেউয়ের মতো জীবনের ভাঙাগড়া খেলাও সে জানে না।...

দুটি কবিতা || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

দুটি কবিতা ||  জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় ভুলে যাওয়া স্বপ্ন   তোমাকে দেখেই জলছবি হারানো দিন কথা আর ফুলের আঘ্রাণ। বিশ্বাসে জোর ছিলো নাকি? স্বপ্নের ওমে যত সুখ হঠাৎ বৃষ্টির শিলা জমেছিলো খুব। জীবনের রসায়ন সঞ্জীবনী সুধা হয়ে ক পরত গভীর গোপনে জমা মান্যতার যন্ত্রযানে ক্ষণযাত্রা। ব্রহ্মযুগের মতো নিঃসীম ক্ষয়িষ্ণু জীবনে ভিন্নতর সংজ্ঞার খোঁজ।স্বপ্নগুলো তুমিও ভুলেছো ? গূঢ় প্লাবনের স্বরলিপি লাল ও সবুজ রং টিট্টিভ ডাক মৃদুলয় বিরহবাতাস সব ঠিক জমা ছিল খাঁজে অদৃশ্য পলল। ধূসর মলিন পাতা বিক্ষত রুমাল তুমি আছো কোনো খাঁজে অথবা গোপন ভাঁজের ঘুমে অবেলার সুখ।   চারণকবি, চারণকবি  (কবি বৈদ্যনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিবেদিত) বুকের উপর শ্যাওলা জমে কাদার উপর জল চারণকবির কথায় মনে বাজে ছলাৎছল। বিড়াই নদীর স্রোতে আছো,আছো বেনায়,কাশে শরৎমেঘের বুকে তোমার অমর লিখন ভাসে। তোমার কথায় ছন্দে সুরে ঘুরে বেড়ায় হাওয়া ভাঁটফুলে আর পলাশবনে তোমাকে যায় পাওয়া। মহুল ফুলের গন্ধে আছো মল্লভূমের কবি কামিনী আর ভাঁটফুলে পাই গন্ধ জাগা ছবি। প্রতিবাদের ভাষা তোমার জানে মন্দ লোক ভাবুক তোমার চাবুক চেনে অন্ধকারের চোখ। বাউল হাতে একতারা নাও গাও...

তিনটি কবিতা ।। আবদুস সালাম

তিনটি কবিতা ।। আবদুস সালাম সাক্ষাৎকার স্বপ্নের ঘাটে আজও সেই তৈরি বয়ে চলে কলেজ পালানো দুপুরের কোকিলেরা নীরবতায় ভোগে  ঝরা কৃষ্ণচূড়া মাড়িয়ে চলে গেছে সময়  বিষ্ময় হামাগুড়ি দেয়   বিপন্ন পড়শী খেলা করে আমাদের মধ্যবিত্ত বারান্দায়  স্নিগ্ধ চাঁদ রেখে যায় সব অভিমান   মৃত বিবেক পায় আত্মার ঘ্রাণ   অনেক প্রশ্নের উত্তরে পিচ্ছিল হয় চোখ      সম্মোহন ভেসে যায় দার্শনিক বন্যায়    বন্ধ খামে জড়িয়ে আছে সব দীর্ঘশ্বাস আমার অস্তিত্ব জুড়ে পড়ে আছে শুধু শূন্যতার অধিকার  নিজের সাক্ষাৎকার নিজেই নিচ্ছি পড়ন্ত বেলায়     মানবতা কাঁদে মানবতার অপমান কি ধর্মের অঙ্গ? বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ধোঁয়ায় ঝাপসা হয় সংস্কৃতির উঠোন সত্যকে   অসত্যের জলে ডুবিয়ে মজা দ্যাখে ভ্রান্ত মানুষ   লুণ্ঠিত হয় মানবতা --- গা শিউরে ওঠে অবিশ্বাসকে তুমি  বিশ্বাস ভাবতেই পারো ক্ষতি নেই আদিম মানুষের অঙ্গ ধোয়া জল অমৃত; খেতে তো কেউ নিষেধ করে নি আপনার বিশ্বাস নিয়েই আপনি থাকুন   দাও অসত্যকের সত্য বলার আদেশ, বুলডোজার চালিয়ে...

আঞ্চলিক কবিতা ।। উমার পূজা ইবার বাকড়িতে ।। সবিতা বিশ্বাস

উমার পূজা ইবার বাকড়িতে           সবিতা বিশ্বাস                         ই কুথাকে এল্যম বল্ কেনে মা মনে সন্দ হইচে তু লিচ্চয় পথ ভুলাইচিস আসার সোময় বাপের সঙ অত চিল্লামিল্লি করলি বাপট' নিগ্ঘাত শাপ-শাপান্ত দিইছ্যে খপরদার বুলছ্যি সরো শ্মশানে পড়ে থাকা বাপের হয়ে সালিশি কইরত্যে আসবিক লাই তার লেইগ্যে এত দুদ্দশা হামার কপালে আরে বাবা সারা জেবন তুমার হেঁসেল ঠেইলছ্যি কখুন্য একট ' লতুন বস্ত্র দিল্যাক লাই আমি লা হয় ছিড়্যা ত্যানা পোইরে দিন কাটাইল্যম ছিলা দুটা আদলা গায়ে থাকে কিন্তুক সোমত্ত মেয়্যা দুটার কথা ভাইব্যাক লাই ? মরণ!মরণ! অমন সোয়ামীর মুখে ইয়ে মারি তাপ্পর বেশি তো লয় , বচ্ছরে মাত্তর চারটে কি পাঁচট' দিন তাও বাপের বাড়ি যেত্যে পারবোক লাই তুমি রাগ কইরো লা মা , মনট ' কিমন কিমন কইরছ্যে ই গা ' ট আগে কুনুদিন দেখি লাই চাদ্দিক শাল-মহুল গাছের জঙ্গলে কিমন আন্ধার কইরে আচ্যে বাড়ি-ঘর লাই , সোব ঝুপড়ি, রাক্ষস-খোক্কস লাই তো! হাঁটে হাঁটে পা বেদনা কইরছ্যে পাথ্থর ফুটে পা দিয়ে অক্ত ঝৈরছ্যে, আর পারছিনেকো উঁই সামনের গাছতলাতে...

নিবন্ধ ।। প্রেমেন্দ্র মিত্র : বাংলা সাহিত্যাকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র ।। পাভেল আমান

 প্রেমেন্দ্র মিত্র : বাংলা সাহিত্যাকাশের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র   পাভেল আমান   প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরে বাংলা সাহিত্যে কল্লোল কালি কলমকে কেন্দ্র করে যে নতুন আধুনিক যুগের সৃষ্টি হয়েছিল তার শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি ছিলেন প্রেমেন্দ্র মিত্র। প্রেমেন্দ্র মিত্রের অভিজ্ঞতা বিচিত্র। ঢাকায় বসবাস, কলকাতায় চক্রবেড়িয়া স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক, কালি কলম পত্রিকার প্রথম অন্যতম সম্পাদক, কলকাতার কাছেই রাজগঞ্জে টালিখোলার ব্যবসা, ঝাঝাতে বাস, কাশীর অভিজ্ঞতা, জাতীয়তাবাদী দৈনিক পত্রিকা 'বাংলার কথা'র সহকারী সম্পাদক, 'বেঙ্গল ইমিউনিটি' বিজ্ঞাপন বিভাগের প্রচার সচিব, বঙ্গশ্রী পত্রিকায় কিছুকাল কাজ, বেঙ্গল ইমিউনিটি উদ্যোগে প্রকাশিত 'নবশক্তি' পত্রিকার সম্পাদনা, 'রংমশাল' পত্রিকায় কিছুকাল সম্পাদনা, চলচ্চিত্রের অভিজ্ঞতা, আকাশবাণী কলকাতার অনুষ্ঠান-প্রযোজক হিসেবে অভিজ্ঞতা প্রভৃতি কাজে প্রেমেন্দ্র মিত্র নিজের নৈপুণ্যের পরিচয় দিয়েছেন।তিনি একাধারে কবি, ছোটগল্পকার, ঔপন্যাসিক, কল্পবিজ্ঞান রচয়িতা, আবার গোয়েন্দাকাহিনির স্রষ্টা, গীতিকার, চিত্রপরিচালক।১৯০৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর  বারাণসীতে প্রেমেন্দ্...

ছড়া ।। এলোমেলো ।। বিপত্তারণ মিশ্র

এলোমেলো           বিপত্তারণ মিশ্র  আম গাছেতে ডিম ধরেছে      হাঁস পেড়েছে জাম,  মাঠের ফসল মন্ডা মিঠাই       ভুতের মুখে রাম।        অমাবস্যায় চাঁদ উঠেছে         পূর্ণিমাতে শনি,  তেলের কলে কয়লা বেরোয়      খনির ভেতর ননি। জলহস্তী ডানা মেলেছে       হাতিরা সব জলে,  পানকৌড়ি পান পাতা খায়      গাছগুলো সব চলে।      বাদল দিনে রোদের মেলা       রাতের বেলা রামধনু   দোয়েল পাখির দাঁত খিঁচানো       গান গেয়ে যায় হনু।    -------------------- Bipattaran Misra  Shantimoyee Bhawan  Green Park, Saraitikar Road, Amtala  Burdwan, PO-Rajbati, PIN-713104  Mob/Whatsapp-6297957386  Mail-bipattaran.misra.bwn15@gmail.com

মুক্তগদ্য ।। সময়ের চাকা ।। মেশকাতুন নাহার

  সময়ের চাকা মেশকাতুন নাহার আমি যখন অনার্সে পড়ি তখন পরিসংখ্যান প্রাইভেট পড়তে যেতাম, হঠাৎ স্যার প্রশ্ন করলেন তোমরা কে কত ঘন্টা ঘুমাও? কেউ কেউ উত্তর দিলো রাতে ৮-১০ ঘন্টা আবার বিকেলে ১-২ ঘন্টা ঘুমিয়ে থাকে। স্যার মৃদু হেসে বললেন একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক ৭/৮ ঘুমের প্রয়োজন। তাহলে হিসাব করে দেখো জীবনে তোমারা কত ঘন্টা ঘুমে কাটিয়ে দিলে? আর এভাবেই যদি সামনের দিকে ঘুমাতেই থাকো কত বৈচিত্র্যময় জীবন থেকে বঞ্চিত হবে? হুম স্যারের সেদিনের কথাগুলো আজও মনে পড়ে। এখন সেই কথাগুলোর মর্মার্থ আরও বেশি করে উপলব্ধি করছি। কেন সেই সময় সেই কথাগুলো গুরুত্ব সহকারে জীবনে কাজে লাগালাম না আজ বড় আফসোস হয়। যদি দৈনিক অতিরিক্ত ঘুমের ২ ঘন্টা সেইব করা যায় তাহলে মাসে ৩২ ঘন্টা সময় কাজে লাগানো যেতো। আর বছরে প্রায় ৩৮৪ ঘন্টা আমরা কাজে লাগাতে পারি। আর একজন মানুষের গড় আয়ু যদি ৬০ বছর ধরে নেই তাহলে প্রায় ২৩০৪০ ঘন্টা আমরা অতিরিক্ত ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলাম। আর কেউ যদি তারচেয়ে বেশি সময় ধরে ঘুমিয়ে থাকেন তাহলে জীবনে কত মাস, কত দিন, কত ঘন্টা ঘুমিয়ে কাটিয়ে দিলেন চিন্তা করতে পারছেন? এই সময়টা যদি আমরা সৃজনশীল কাজে ব্যয় করি তাহলে কতই না ...

ছড়া ।। মায়ের ছোঁয়া ।। রিয়াদ হায়দার

মায়ের ছোঁয়া রিয়াদ হায়দার প্রথম যখন মুখের ভাষায় ফুটতো আধো বোল, আমি তখন আদর মেখে থাকি মায়ের কোল।   মায়ের কাছে প্রথম শেখা অ আ ক খ বুলি, সে সব কথা স্মৃতির পাতায় কেমন করে ভুলি। যখন আমি প্রথম শ্রেণীর অঙ্ক খাতায় ভাসি, তখন থেকেই মায়ের মনে ভাবনা বারোমাসই। জীবন জুড়ে মা যে আমার প্রকৃত এক গুরু, তাঁর ছোঁয়াতেই বেড়ে ওঠা পড়াশোনার শুরু ! মা মানে তো জীবন জুড়ে খুশির পরশ আঁকা, ভালোবাসার সোহাগ মেখে একটু ভালো থাকা ! মা মানে মাথার উপর মস্ত গাছের ছায়া, যাঁর আঁচলের ছত্রছায়ায় জড়িয়ে আছে মায়া ! আজকে আমি ভীষণ খুশি জীবন যেন ধন্য, এসব আমি পেলাম শুধু আমার মায়ের জন্য। ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,, রিয়াদ হায়দার বসন্তপুর, পোস্ট - চাঁদনগর থানা - ডায়মন্ড হারবার জেলা - দঃ২৪ পরগনা পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

কবিতা ।। এখন ।। প্রতীক মিত্র

  এখন প্রতীক মিত্র   ট্রেন থেমে আছে। ঢুলুনি এসে যাচ্ছে। জানলার ধারে বসে ঝিরঝিরে হাওয়ায় দিবাস্বপ্নেরও অণুপ্রবেশ ঘটে যাচ্ছে। মোটের ওপর ইতিবাচকের ভীড়ে  একটা-দুটো নেতিবাচকও ঢুকে পড়ে। কোনোটা বন্দীদশার, কোনোটা বা মৃত্যুর। লোকজনের চলাফেরা, চিৎকার, ব্যস্ততা। সাধতো ঝাপসা ঠেকে, সাধ্যেরাও যেন কত দুর; দিবাস্বপ্নেরই যেন অংশ এই নাগরিক রুপকথা। অন্যদিনও হয়।ট্রেন চট করে স্টেশন ছেড়ে বেরোতে পারে না। আজও তাই। এবং এমন ভীড় যেখানে উদ্যম ছাড়া বাকি সব অস্থির। ঢুলুনি কাটাতে চা চলতে পারে; কিন্তু এতদিনের জমা অপচয়, ব্যর্থতা… সেগুলো কাটানো যাবে কি? ট্রেনটা আদৌ ছাড়বে তো আজ? ========================= প্রতীক মিত্র কোন্নগর-712235, হুগলী, পশ্চিমবঙ্গ

গল্প ।। রাত্তিরের নাম বারবণিতা ।। উপেক্ষিৎ শর্মা

রাত্তিরের নাম বারবণিতা উপেক্ষিৎ শর্মা   এখন রাত দুটো। রাত বারোটার পেরিয়ে গেলেই এ অঞ্চলটার নাম আমি রেখেছি বারবণিতা । লোকমুখে এর নাম বেশ্যাপাড়া । সবুজ হলুদ কমলা লাল রঙের ঘ্যামা ঘ্যামা লোকজন  এপাড়ায় ঘুর ঘুর করে । গলি তস্য গলি দিয়ে যেতে যেতে বারবণিতা দের দেখে কেউ বলে , সুন্দরি । কেউ বলে খেমটি। কেউ বলে , ধিঙ্গি। কেউ বলে , ট্র্যাশ। অথচ অনেকেই দরদাম ছাড়াই চৌকাঠ মাড়িয়ে চলে যায় ভেতরে । এরই মধ্যে কোত্থে কে একজন উটকো লোক এক ঢলানি মাগীকে দেখে জিজ্ঞেস করল, লোক -  দর কত? জিজ্ঞেস করতেই সে ঠোঁট চেপে পান চিবোতে চিবোতে বলল, ঢলানি - ক্যাশ, না কার্ড? নাকি ইনস্টলমেন্ট? ই এম আই কত? লোক - অ্যাঁ !! ঢলানি - হ্যাঁ, আজকাল সব চলে। লোক - না, বাবা। আমার ওসব নেই। ক্যাশ, একদম ক্যাশ। ধারবাকির কারবার নেই। বাট অন কণ্ডিশন। সব স্যানিটাইসড তো? মাস্ক ছাড়া কিন্তু কোন কাজ হবে না, ঠিক আছে? ঢলানি - এ কী মাল রে বাবা? বলে কিনা, মাস্ক ছাড়া কোন কাজ হবে না। আবার  স্যানিটাইজার চায়! পারে না ইয়ে মারতে/এসেছে রাত থাকতে! চল, ফোট। ফোট। আগে বাড় । লোক - মুখ সাম...

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...

শিক্ষার সেকাল ও একাল ।। অমৃতা সাহা

শিক্ষার সেকাল ও একাল অমৃতা সাহা  শিক্ষক শব্দটির ব্যুৎপত্তি √শিক্ষ+ অক অর্থাৎ যিনি শিক্ষা দান করেন। শিক্ষক শব্দটি সংস্কৃত শিক্ষ ধাতু থেকে উদ্ভুত যার অর্থ বিদ্যা গ্রহণ করা, শেখা বা বিদ্যা দান করা। শিক্ষ ধাতুর সঙ্গে ক প্রত্যয় যোগে উৎপন্ন শিক্ষক যার অর্থ শিক্ষা সম্পর্কিত।          শিক্ষককে বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে প্রায় ছয় মাস বা আট মাস সে সহজাত প্রবৃত্তি অনুযায়ী শিক্ষা লাভ করে থাকে। তারপর থেকে মা বাবাই তাকে জীবনের প্রথম পাঠ দেন। কী কী করতে হয় আর কী কী করতে নেই তাই দিয়েই শিশুর প্রথম শিক্ষা শুরু হয়। অনুকরণই হলো তখন তার একমাত্র শিক্ষার মাধ্যম। তারপর কথা বলতে শেখা, আশেপাশের সামগ্রী চিনে নিয়ে তাদের নাম বলতে শেখা এভাবে ক্রমান্বয়ে শিক্ষা প্রক্রিয়া চলতেই থাকে।         প্রাচীন কালে পঞ্চম বর্ষে উপনয়ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শিশুর শিক্ষা জীবন শুরু হতো। গুরুগৃহে বসবাস করে, ব্রহ্মচর্য পালনের মাধ্যমে বাল্য ও কৈশোর কাল অতিবাহিত হতো। পুঁথিগত অধ্যয়ন, শ্রুত্বয়ন এর পাশাপাশি জীবনের অন্যান্য বিষয়েও শিক্ষা গ্রহণ করতে হ...

Five poems ।। Prasenjit Das

  Five poems of Prasenjit Das THE FLAME IS ON Life may not be a green leaf, the dews are tears in grief. Life for many maybe cruel, give me the guts for the duel. The good times passed by me, like a humming bird in destiny. If not in life then maybe after, let life be a pleasant chapter. No, I will never give up,...never, be an example for all, forever... THE OPTIMIST Never be drowned in sorrow, as if there is no tomorrow. Tomorrow is a day uncrowned, tomorrow is a time unbound. Many things are left to be done, the path of glory has already begun. The darkness shows the light, life is nothing, nothing but a fight. You will be a winner, sooner or later, the spirit of good will fight for better. The light of honesty burns bright, even in the darkest dark of the night. A LONELY FATHER'S CALL O lonely man! O lonely man! Where is thy rugged winter coat? Bore the ravages of eighty seasons, that still makes thee soul to float. O lonely man! O lonely man! Where is thy loveth destiny? Fough...

শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান ।। কৃশানু ব্যানার্জী

প্রবন্ধ শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান কৃশানু ব্যানার্জী  মানবসভ্যতার ইতিহাসে শিক্ষার স্থান যে সর্বাপেক্ষা কেন্দ্রীয় ও নির্ণায়ক — এ বিষয়ে দ্বিধার অবকাশ নেই। কারণ শিক্ষা কেবল জ্ঞানের বাহনমাত্র নয় , বরং মানুষের আত্মস্বরূপের এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ , যা সমাজ ও সংস্কৃতির গতিপথকে নির্ধারণ করে। কিন্তু শিক্ষা কেমন ছিল অতীতে এবং কেমন হয়েছে বর্তমানকালে — এই অনুসন্ধান শুধু ঐতিহাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যালোচনার সীমায় আবদ্ধ নয় ; বরং এর ভেতরে নিহিত আছে এক গভীর দার্শনিক তাৎপর্য। "সেকাল" ও "একাল" — এই দুই কালের শিক্ষা পরস্পরকে নিরন্তর প্রশ্ন করে , কখনও বিরোধিতা করে , কখনও বা পরস্পরের ওপর দাঁড়িয়েই নিজের রূপ নির্মাণ করে। অতএব , শিক্ষার সেকাল-একাল তুলনায় আমাদের কেবল তথ্যের বিবরণ নয় , মানবজীবন ও সমাজচিন্তার প্রকৃত ভিত্তি উপলব্ধি করতে হবে। মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় শিক্ষা যে একটি অনিবার্য ও মৌল প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তথাপি 'শিক্ষা' শব্দটির নিতান্ত ভৌত বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাখ্যা একে পূর্ণাঙ্গ উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়। সংস্কৃত ...

শিক্ষক ।। জীবন সরখেল

শিক্ষক  জীবন সরখেল   শিক্ষা চেতনা প্রসারে যাঁরা নিবেদিতপ্রাণ  প্রকৃতি পরিবেশ প্রাণীর   ধারক বাহক ও মান... যাঁদের স্মরণ উপস্থিতিই  কমে মিথ্যা গ্লানি  সেবায় দ্রোহেও নিরপেক্ষ  ঠেলেন সব হয়রানি। কর্ম আচরণ চিন্তন ত্যাগ  সত্য সপ্রেম নিষ্ঠায় গড়েন চিরন্তন সমাজ ভিত নীতি উদারতায়....  নিঃস্বার্থ ভাব ঠিক ভুল গুণেই  অভিজ্ঞতা দীক্ষক  বাবা মা পরিবেশ গুরুই সবার আপন শিক্ষক। __________________       জীবন সরখেল গ্রাম -বাড়াভগলদিঘী, পোস্ট -ভগলদিঘী, থানা-জয়পুর, জেলা-বাঁকুড়া। পিন-৭২২১৫৪  

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

সূচিপত্র  প্রবন্ধ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নবদ্বীপের রাস : মহাপ্রভু চৈতন্যদেব থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ।। বারিদ বরন গুপ্ত  প্রবন্ধ।। কবিতায় সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন ।। রণেশ রায় প্রবন্ধ ।। সুকান্ত ভট্টাচার্য: বিপ্লবী চেতনার কবি ।। বিচিত্র কুমার কবিতা ।। পরিযায়ী বৃষ্টি ।। সন্দীপ ভান্ডারী দুটি কবিতা : চয়ন দত্ত কবিতা ।। সমঝোতা ।। বিশ্বজিৎ বাউনা কবিতা।। ভালোবাসা।। অরুণ কুমার দাঁ কবিতা।। সময়ের গতিপথে ।। কেতকী বসু গ্রন্থ   আলোচনা।। অরবিন্দ পুরকাইত ।।  গ্রন্থ : বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের  "বাংলা সাহিত্যে মনুষ্যেতর প্রাণীকেন্দ্রিক ছোটগল্পের ধারা" ছোটগল্প।। হ্যাপি বার্থডে।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা।। অন্ধকার রাত জাগে।। অঞ্জন বল অনুবাদ কবিতা।। তুমি আসার আগে।। সুস্মিতা পাল দুটি কবিতা ।। রবীন বসু কবিতা ।। নতুন শাসন ।। মানস মণ্ডল কবিতা ।। শীত ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। সাঁঝবাতি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। চুপ কথা হৃদয়ে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য ছড়া ।। ভোর ।। বদ্রীনাথ ছোটগল্প ।। ফিরে পাওয়া ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। রূপ বদলায় ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। এভা...

স্মৃতিকথা ।। ৺বিজয়ার চিঠি ।। ভাস্কর চৌধুরী

উৎসব শেষের শূন্যতা এখন গ্রাস করে আছে আদিগন্ত। হঠাৎ ভেসে আসা ছাতিম ফুলের গন্ধ যেমন মাতাল করে দেয় ঠিক তেমনই মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে এক না ছুঁতে পাওয়া আলোর পিপাসায়। উৎসব শেষের নিভে যাওয়া সন্ধ্যেবেলার আলোয় ম্লান হয়ে আসে জীবনের টুকরো টুকরো খুশির আমেজ।  বিসর্জনের শেষে ছেলেবেলায় গোটা গোটা অক্ষরে হলদে রঙা পোস্টকার্ড আর নীলচে-সবুজ ইনল্যান্ড লেটারে দূরের সব্বাইকে পাঠাতে হতো ৺বিজয়ার চিঠি! বয়ান মোটামুটি ওই একই ― বড়দের শুভ ৺বিজয়ার প্রনাম আর যেহেতু আমরা তখন ছোট তাই আশীর্বাদ জানানোর কেউ থাকতো না। তবুও কুঁচোকাঁচা ছোট ভাইবোনদের মনের আদর কলমের ডগায় উগড়ে দিতুম সে চিঠিতে!  ৺বিজয়ার চিঠি আসলে পুজোর ছুটির শেষে হাতের লেখা করিয়ে নেবার এক অলৌকিক ষড়যন্ত্র! ইচ্ছে নেই তবুও জোর করে ওই হাতের লেখা শুধু নয়, বানান, বাক্যগঠন সব কিছু সুকৌশলে করিয়ে নেওয়ার ফন্দি। এটা বুঝেছি অনেক পরে। আর যখন বুঝতে পেরেছি তখন কিন্তু সেই চিঠি পাঠানোর মানুষগুলো মনের মধ্যে গেঁথে গেছে। তখন যেন সত্যি সত্যি মন বলতো হোক না ওই পোস্টকার্ড বা ইনল্যান্ড লেটারের একচিলতে জমি, আমার খাস দখল তো থাকবে তাতে! জানেন, এখন আর কেউ ৺বিজয়ার চিঠি পাঠায় না! পুজো ...

অসবর্ণ ।। দেবাংশু সরকার

অসবর্ণ দেবাংশু সরকার       ইন্টারভিউ দেওয়ার পর অরূপের মনে হয়েছিল চাকরিটা হয়তো সে পেয়ে যাবে। বেশ ভালোভাবেই সে ইন্টারভিউতে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছিল। সেইসঙ্গে ক্যাশ হ্যান্ডেলের তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও বলেছিল। অরূপের মনে হয়েছিল ইন্টারভিউ বোর্ডে যারা ছিলেন তাদের হয়তো অরূপের কথাবার্তা বেশ ভালো লেগেছে। বারে বারে তাদের মাথা নাড়া, মুখের হাসি দেখে অরূপের মনে হয়েছিল তারা হয়তো অরূপের প্রতি কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট। বেসরকারি চাকরি হলেও এই অফিসটা সব রকম সরকারি নিয়মকানুন মেনে চলে। প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, বোনাস সব রকম সুবিধা কর্মচারীরা পায়। চাকরির শেষে পেনশনের ব্যবস্থাও আছে। হয়তো সরকারি চাকরির মত বড় অঙ্কের  পেনশন এই কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা পায় না। কিন্তু পেনশন বাবদ প্রতি মাসে কিছু টাকা তাদের হাতে আসে। মাহিনাও খুব একটা খারাপ নয়। অর্থাৎ সরকারি চাকরির মত অত সুবিধা না থাকলেও, তুলনামূলকভাবে খুব একটা খারাপও নয়। কিন্তু একটাই অসুবিধা তাকে বাড়ি ছেড়ে থাকতে হবে। কারণ এই অফিসটা অরূপের বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে। বাড়ি থেকে প্রত্যেক দিন অফিসে যাতায়াত করা সম্ভ...

ডাকবাক্সের আত্মকথা ।। হারান চন্দ্র মিস্ত্রী

ডাকবাক্সের আত্মকথা হারান চন্দ্র মিস্ত্রী পোস্ট অফিসে কিংবা পথের পাশে, আমরা ছিলাম চিঠিগুলোর আশে। সুখ ও দুঃখের কথা থাকত লেখা ভালোবাসার আতর যেত দেখা। মুঠোফোনের দাপট গেছে বেড়ে স্বপ্ন যত সব নিয়েছে কেড়ে। পত্র লিখে পাঠায় না কেউ মোরে ব্রাত্য জীবন কাটাই কেমন করে? ধীরে ধীরে যাচ্ছি উধাও হয়ে ভারাক্রান্ত স্মৃতি আঁকড়ে ধরে। কোন মানুষ কয় না আমায় ধরে - আবার তোকে নেব আপন করে। আমরা এখন বুঝে গেছি সহে প্রয়োজনের বড় কিছু নহে। সমকালের প্রয়োজনে থেকে বিদায় নিতে হবে ভূবন থেকে। ________   হারান চন্দ্র মিস্ত্রী গ্রাম ও পো: - আমতলা, থানা - ক্যানিং, জেলা - দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পিন - ৭৪৩৩৩৭

শিক্ষক ।। রাফেল ইসলাম

শিক্ষক মানে রাফেল ইসলাম   শিক্ষক মানে বুকে টেনে  দুর্দিনে দুঃখ ভোলান,  শিক্ষক মানে আন্তরিকতায় শিক্ষা করেন দান।  শিক্ষক মানে বিদ্যা দিয়ে  আঁধার দূর করে,  শিক্ষক মানে স্নেহের পরশে ছাত্র জীবন ভরে।  শিক্ষক মানে আদর্শের উৎসাহে  মেলে ভবিষ্যতের দিশা,  শিক্ষক মানে দরদ দিয়ে  বাঁচিয়ে রাখে আশা।  শিক্ষক মানে গ্রীষ্মের দিনে  মস্ত বটের ছায়া,  শিক্ষক মানে নিবিড় ভালবাসার  শান্ত ঊষার মায়া।  শিক্ষক মানে জ্ঞানের আলোয়  সমাজ গড়ে তোলে,  শিক্ষক মানে সঠিক পথের  মূল দুয়ার খোলে।।    =============           নাম-রাফেল ইসলাম।  গ্রাম-বাগান বেড়িয়া (বিড়লাপুর)। পোস্ট-চককাশিপুর।  থানা-নোদাখালি।  জেলা-দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।  পিন নম্বর-৭৪৩৩১৮.

বছরের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন: ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

সূচিপত্র  প্রবন্ধ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নবদ্বীপের রাস : মহাপ্রভু চৈতন্যদেব থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ।। বারিদ বরন গুপ্ত  প্রবন্ধ।। কবিতায় সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন ।। রণেশ রায় প্রবন্ধ ।। সুকান্ত ভট্টাচার্য: বিপ্লবী চেতনার কবি ।। বিচিত্র কুমার কবিতা ।। পরিযায়ী বৃষ্টি ।। সন্দীপ ভান্ডারী দুটি কবিতা : চয়ন দত্ত কবিতা ।। সমঝোতা ।। বিশ্বজিৎ বাউনা কবিতা।। ভালোবাসা।। অরুণ কুমার দাঁ কবিতা।। সময়ের গতিপথে ।। কেতকী বসু গ্রন্থ   আলোচনা।। অরবিন্দ পুরকাইত ।।  গ্রন্থ : বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের  "বাংলা সাহিত্যে মনুষ্যেতর প্রাণীকেন্দ্রিক ছোটগল্পের ধারা" ছোটগল্প।। হ্যাপি বার্থডে।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা।। অন্ধকার রাত জাগে।। অঞ্জন বল অনুবাদ কবিতা।। তুমি আসার আগে।। সুস্মিতা পাল দুটি কবিতা ।। রবীন বসু কবিতা ।। নতুন শাসন ।। মানস মণ্ডল কবিতা ।। শীত ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। সাঁঝবাতি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। চুপ কথা হৃদয়ে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য ছড়া ।। ভোর ।। বদ্রীনাথ ছোটগল্প ।। ফিরে পাওয়া ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। রূপ বদলায় ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। এভা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯০তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩২ আগস্ট ২০২৫

সূচিপত্র ------------- স্বদেশ-স্বাধীনতা বিষয়ক লেখা  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার কবিতা ।। অনিন্দ্য পাল স্বাধীনতা আন্দোলনে রাসবিহারী বসু অবদান ।। শ্যামল হুদাতী উড়ান কথা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্বপ্নের ভারত ।। সৌমিত্র মজুমদার আজ আর কদর নেই ।। সতুচট্টোরাম স্বাধীনতার কবিতাগুচ্ছ ।। অভিজিৎ হালদার শহিদ ব্রত ও অন্য দুটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর স্বাধীন হবো কবে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত দুটি কবিতা ।। তুষার স্বাধীনতা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ স্বাধীনতা মানে ।। পাভেল আমান বাংলা ভাষা : বাঙালি ।। অশোক দাশ বড়দি অপরূপা দেবীর জবানীতে ক্ষুদিরাম বসু ।। সমীর কুমার দত্ত স্বাধীনতা ।। কার্ত্তিক মণ্ডল আমার দেশ ।। বিপ্লব নসিপুরী ভারতমাতার বীর সন্তান ।। আশীষ কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার আলো ।। অঞ্জনা মজুমদার আমরা স্বাধীন ।। রাফেল ইসলাম নতুন ভারত । কল্যাণ কুমার শাণ্ডিল্য রণ স্বাধীনতার রঙ ।। সফিউল মল্লিক স্বদেশ ।। জীবন সরখেল ভারতবর্ষ ।। নিশান বর্মা শতবর্ষে সুকান্ত ভট্টাচার্য স্মরণে লেখা সুকান্ত ভট্টাচার...

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস

First row (left to right): Prafulla Nalini Brahma, Shanti Ghosh, Suniti Chowdhuri and Bina Das . Second row (left to right): Kamala Dasgupta, Suhasini Ganguly, Pritilata Waddedar and Sarojini Naidu.   Third row (left to right): Abha Maity, Sucheta Kripalini, Lila Nag and Abha Gandhi. Fourth row (left to right): Indusudha Ghosh, Kalpana Dutta, Aruna Asaf Ali and Matangini Hazra. Fifth row (left to right): Basanti Devi, Renuka Ray, Phulorenu Guha and Manikuntala Sen. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে  চেনা-অচেনা বরণীয় নারী হিমাদ্রি  শেখর দাস ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষের সাথে মহিলারাও কখনও অন্তরালে থেকে কখনও প্রকাশ্যে এসে লড়াই করেছেন।  মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে লাঠিখেলা, পিস্তল চালানো, রাত্রে ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে বেরানো, পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা, জেলে যাওয়া ছিল অত্যন্ত দুঃসাহসিক কাজ। তবু তৎকালীন সমজে কোনঠাসা হয়ে থাকা মেয়েরাও  নিজ নিজ জায়গায় থেকে দেশের সেবা করেছেন তা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতই দুরুহ কাজ। তাঁদের মধ্যে দু একজন রাজ পরিবারের হলেও বেশির ভাগই ছিল সাধারণ ঘরের অতি স...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ওপর গদ্য || শিশির আজম

'ছাড়পত্র'ই আজ আমাদের ছাড়পত্র (তারুণ্যের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের শততম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য) শিশির আজম ~~~~~~~~~~~~~~~~~~ সুকান্ত জন্মেছিলেন অগ্নিগর্ভ এক সময়ে। যখন মাতৃভূমি পরাধীন। পার্টি, মার্কসবাদ, সাহিত্য — কোন কিছুই তার কাছে আলাদা ছিল না। কবিতা একটি আর্ট ফর্ম। হ্যাঁ, সত্যি। এটা আরও সত্যি হয় যদি তা মানুষকে তাড়িত করে, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে, মানুষকে ভালোবাসায় প্ররোচণা দেয়। এই পথটাই বেছে নিয়েছিলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। এর ছাপ-তাপ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ছাড়পত্রে'র পাতায় পাতায় পাওয়া যায়। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। মনে রাখা দরকার, এর পূর্বে ১৯৪০-এ প্রকাশিত হয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'পদাতিক'। আর তারও পূর্বে ১৯৩৭-এ আমরা পেলাম দিনেশ দাসের 'কাস্তে'। নিশ্চয় এসবের উত্তাপ সুকান্তের চেতনায় ছাপ ফেলেছিল। কবিতা কখনো কখনো শ্লোগান হয়ে উঠতে পারে। হোক। এই শক্তি কবিরই আছে। নজরুলকে কি আমরা অগ্রাহ্য করতে পারবো? সুভাষ মুখোপাধ্যায় বা শামসুর রাহমানকে? পিকাসোর 'গুয়ের্নিকা' অথবা জয়নুলের 'দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা' কি 'আর্ট' নয়? হ্যা আপনি প্রশ্ন করতেই পা...

মাসের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...

শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান ।। কৃশানু ব্যানার্জী

প্রবন্ধ শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান কৃশানু ব্যানার্জী  মানবসভ্যতার ইতিহাসে শিক্ষার স্থান যে সর্বাপেক্ষা কেন্দ্রীয় ও নির্ণায়ক — এ বিষয়ে দ্বিধার অবকাশ নেই। কারণ শিক্ষা কেবল জ্ঞানের বাহনমাত্র নয় , বরং মানুষের আত্মস্বরূপের এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ , যা সমাজ ও সংস্কৃতির গতিপথকে নির্ধারণ করে। কিন্তু শিক্ষা কেমন ছিল অতীতে এবং কেমন হয়েছে বর্তমানকালে — এই অনুসন্ধান শুধু ঐতিহাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যালোচনার সীমায় আবদ্ধ নয় ; বরং এর ভেতরে নিহিত আছে এক গভীর দার্শনিক তাৎপর্য। "সেকাল" ও "একাল" — এই দুই কালের শিক্ষা পরস্পরকে নিরন্তর প্রশ্ন করে , কখনও বিরোধিতা করে , কখনও বা পরস্পরের ওপর দাঁড়িয়েই নিজের রূপ নির্মাণ করে। অতএব , শিক্ষার সেকাল-একাল তুলনায় আমাদের কেবল তথ্যের বিবরণ নয় , মানবজীবন ও সমাজচিন্তার প্রকৃত ভিত্তি উপলব্ধি করতে হবে। মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় শিক্ষা যে একটি অনিবার্য ও মৌল প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তথাপি 'শিক্ষা' শব্দটির নিতান্ত ভৌত বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাখ্যা একে পূর্ণাঙ্গ উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়। সংস্কৃত ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯০তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩২ আগস্ট ২০২৫

সূচিপত্র ------------- স্বদেশ-স্বাধীনতা বিষয়ক লেখা  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার কবিতা ।। অনিন্দ্য পাল স্বাধীনতা আন্দোলনে রাসবিহারী বসু অবদান ।। শ্যামল হুদাতী উড়ান কথা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্বপ্নের ভারত ।। সৌমিত্র মজুমদার আজ আর কদর নেই ।। সতুচট্টোরাম স্বাধীনতার কবিতাগুচ্ছ ।। অভিজিৎ হালদার শহিদ ব্রত ও অন্য দুটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর স্বাধীন হবো কবে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত দুটি কবিতা ।। তুষার স্বাধীনতা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ স্বাধীনতা মানে ।। পাভেল আমান বাংলা ভাষা : বাঙালি ।। অশোক দাশ বড়দি অপরূপা দেবীর জবানীতে ক্ষুদিরাম বসু ।। সমীর কুমার দত্ত স্বাধীনতা ।। কার্ত্তিক মণ্ডল আমার দেশ ।। বিপ্লব নসিপুরী ভারতমাতার বীর সন্তান ।। আশীষ কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার আলো ।। অঞ্জনা মজুমদার আমরা স্বাধীন ।। রাফেল ইসলাম নতুন ভারত । কল্যাণ কুমার শাণ্ডিল্য রণ স্বাধীনতার রঙ ।। সফিউল মল্লিক স্বদেশ ।। জীবন সরখেল ভারতবর্ষ ।। নিশান বর্মা শতবর্ষে সুকান্ত ভট্টাচার্য স্মরণে লেখা সুকান্ত ভট্টাচার...

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস

First row (left to right): Prafulla Nalini Brahma, Shanti Ghosh, Suniti Chowdhuri and Bina Das . Second row (left to right): Kamala Dasgupta, Suhasini Ganguly, Pritilata Waddedar and Sarojini Naidu.   Third row (left to right): Abha Maity, Sucheta Kripalini, Lila Nag and Abha Gandhi. Fourth row (left to right): Indusudha Ghosh, Kalpana Dutta, Aruna Asaf Ali and Matangini Hazra. Fifth row (left to right): Basanti Devi, Renuka Ray, Phulorenu Guha and Manikuntala Sen. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে  চেনা-অচেনা বরণীয় নারী হিমাদ্রি  শেখর দাস ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষের সাথে মহিলারাও কখনও অন্তরালে থেকে কখনও প্রকাশ্যে এসে লড়াই করেছেন।  মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে লাঠিখেলা, পিস্তল চালানো, রাত্রে ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে বেরানো, পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা, জেলে যাওয়া ছিল অত্যন্ত দুঃসাহসিক কাজ। তবু তৎকালীন সমজে কোনঠাসা হয়ে থাকা মেয়েরাও  নিজ নিজ জায়গায় থেকে দেশের সেবা করেছেন তা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতই দুরুহ কাজ। তাঁদের মধ্যে দু একজন রাজ পরিবারের হলেও বেশির ভাগই ছিল সাধারণ ঘরের অতি স...

বাংলা ভাষা সাহিত্যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার ।। শুভ জিত দত্ত

বাংলা ভাষা-সাহিত্যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার শুভ জিত দত্ত   বাংলা ভাষাসাহিত্যে পরোক্ষভাবে যাঁর অবদান অতুলনীয়, সেই প্রজ্ঞাবান পণ্ডিত জয়গোপাল তর্কালঙ্কার। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮২৪ সালে কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে জয়গোপাল সেখানে সাহিত্যে কাব্যের অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত হন এবং সুদীর্ঘ বাইশ বছর অধ্যাপনা করেন। সেখানে তাঁর ছাত্রদের মধ্যে পরবর্তীকালে যাঁরা বিখ্যাত হন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,মদনমোহন তর্কালঙ্কার। জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের জন্ম রেলপথের শিবনিবাস স্টেশন থেকে আট ক্রোশ পূর্বে, নদীয়া বর্তমানে , বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলাতে বজরাপুর গ্রামে এক প্রাচীন বারেন্দ্র বংশের আবাসস্থল ছিল। এই বংশ শুদ্ধাচার ও সিদ্ধশ্রোত্রীয় ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ ছিল এবং পরবর্তী সময়ে বাসস্থান, নামকরণ ও কর্মসূত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটলেও তাদের গৌরবময় পরিচয় অক্ষুণ্ণ থেকেছে। এই বংশে বহু দেশপ্রসিদ্ধ মহামহোপাধ্যায় ও পণ্ডিত জন্মগ্রহণ করেছেন, যাঁদের কীর্তি বাংলার জ্ঞান-সাধনার আঙিনাকে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নাটোর মহারাজের দ্বার পণ্ডিত কেবলরাম তর্কপঞ্চানন এবং তাঁর...

স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী

রানী গাইডিনলিউ স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি  প্রণব কুমার চক্রবর্তী           ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু কিছু পরিচিত মুখ আর ঘটনার সমষ্টি নয় । এর গভীরে লুকিয়ে আছে অজস্র গল্প, অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ, এবং ছোট বড় অসংখ্য বিদ্রোহের কাহিনী । সংক্ষেপে এই বিশাল সংগ্রামকে তুলে ধরা কঠিন । তবে, চেষ্টা করে কিছু দিক নিয়ে আজ আলোচনা করা যাক ।           আমরা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এবং ব্যক্তিত্ব বলতে সাধারণত মঙ্গল পান্ডে, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো ব্যক্তিদের কথা এবং তাদের লড়াইয়ের কথা বলে থাকি । কিন্তু, এই সংগ্রামের পটভূমি রচিত হয়েছিল আরো বহু বহু আগে - যেখানে স্থানীয় কৃষক উপজাতি এবং সাধারণ মানুষের বিদ্রোহ ছিল এর প্রথম বীজ । ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ আন্দোলনকে প্রায়সই আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রথম লড়াই হিসাবে বলা হয়ে থাকে । তবে এর আগেও আমাদের দেশে  ফরাসি এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল । সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৫ - ৫৬ সাল),  সন্ন্যাসী বিদ্রোহ (১৭৭০ - ১৮...

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ওপর গদ্য || শিশির আজম

'ছাড়পত্র'ই আজ আমাদের ছাড়পত্র (তারুণ্যের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের শততম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য) শিশির আজম ~~~~~~~~~~~~~~~~~~ সুকান্ত জন্মেছিলেন অগ্নিগর্ভ এক সময়ে। যখন মাতৃভূমি পরাধীন। পার্টি, মার্কসবাদ, সাহিত্য — কোন কিছুই তার কাছে আলাদা ছিল না। কবিতা একটি আর্ট ফর্ম। হ্যাঁ, সত্যি। এটা আরও সত্যি হয় যদি তা মানুষকে তাড়িত করে, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে, মানুষকে ভালোবাসায় প্ররোচণা দেয়। এই পথটাই বেছে নিয়েছিলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। এর ছাপ-তাপ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ছাড়পত্রে'র পাতায় পাতায় পাওয়া যায়। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। মনে রাখা দরকার, এর পূর্বে ১৯৪০-এ প্রকাশিত হয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'পদাতিক'। আর তারও পূর্বে ১৯৩৭-এ আমরা পেলাম দিনেশ দাসের 'কাস্তে'। নিশ্চয় এসবের উত্তাপ সুকান্তের চেতনায় ছাপ ফেলেছিল। কবিতা কখনো কখনো শ্লোগান হয়ে উঠতে পারে। হোক। এই শক্তি কবিরই আছে। নজরুলকে কি আমরা অগ্রাহ্য করতে পারবো? সুভাষ মুখোপাধ্যায় বা শামসুর রাহমানকে? পিকাসোর 'গুয়ের্নিকা' অথবা জয়নুলের 'দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা' কি 'আর্ট' নয়? হ্যা আপনি প্রশ্ন করতেই পা...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন: ...

স্মৃতির আলোয় শিলিগুড়ি স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট ।। চন্দন দাশগুপ্ত

স্মৃতির আলোয় শিলিগুড়ি স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট    চন্দন দাশগুপ্ত            সালটা ছিল ২০০৫। বদলীর অর্ডারটা পেতেই মন ভাল হয়ে গেল। গত তিনবছর আমি জলপাইগুড়ি জেলার শ্রমদপ্তরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলাম। এবার আমাকে বদলী করা হয়েছে শিলিগুড়ির স্টেট লেবার ইন্সটিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টরের পদে। আমার বাড়িও শিলিগুড়িতে। সুতরাং আরো ভাল করে কাজ করা যাবে।         এই স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট ( সংক্ষেপে এস.এল.আই ) ১৯৫৪ সালে কলকাতায় কাঁকুরগাছিতে স্থাপিত হয়। ১৯৯৫ সালে এর একটি শাখা খোলা হয় শিলিগুড়িতে। প্রথমে কলেজ পাড়ার ভাড়া বাড়িতে থাকলেও ১৯৯৮ সালে এটি চলে আসে শিলিগুড়ির উপকন্ঠে দাগাপুর চা বাগানের পাশে, পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের গাছপালা ঘেরা অনবদ্য প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত নিজস্ব বাড়িতে। এটি মূলতঃ একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে বছরের বিভিন্ন সময়ে শ্রম দপ্তরের আধিকারিক, পরিদর্শক এবং অন্যান্য কর্মীদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাছাড়া এখানে অত্যন্ত সুলভে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড লেবার ওয়েলফেয়ারের একটি এক বছরের পোস্ট...

শব্দ ।। সনৎকুমার নস্কর

শব্দ সনৎকুমার নস্কর  কিছু কিছু শব্দ থাকে সুইচের মতো।   হাত দিলেই দপ্ করে জ্বলে ওঠে ব্যঞ্জনার আলো।  তখন দেখে নিই অন্তর-বাহির                  গহন আঁধারে ঢাকা পথ   শব্দ সে পথের সঙ্গী হয়৷     উপনিষদের কবি শব্দকে বলেন 'শব্দব্রহ্ম',  যখন সে দিগন্তবিস্তারী ---                    কথাটার মানে খুঁজে পাই সেসময়   গর্ভের গভীরে উচ্চারিত ধ্বনি জাগিয়ে তোলে                            আমূল  আর্তনাদ৷   শব্দেই কি শব্দের শেষ?   তারও কি নেই আত্মার মতো                       জীবনের অন্তহীন পথ?   এক হৃদয় থেকে আর এক হৃদয়ে                     সে তো করে ক্লান্তিহীন পরিক্রমা  আমাদের বাসনা-বিশ্বে সে তোলে ঝড়  আবেগমায়া দেয় ছড়িয়ে বাক্ স্পন্দের পর  অবশ্য...