Skip to main content

Posts

দীনমহাম্মদ সেখের অনুগল্প

মিঠা পাতার পান  মিজানের বয়স এখন বারো বছর। মা মরা ছেলেটার ঠিকানা তার নানিমার কাছে। যখন মিজানের বয়স ছয় মাস ছিল তখনই তার মা টা বাপের সাথে বিবাদ করে বিষ খেয়ে মরে। তারপর দুমাস যেতে না যেতেই বাপে আবার বিয়ে করে।একদিন তার বাপ ছোট্ট মিজানকে তার নানিমার কাছে রেখে চলে যায় । ব্যস ! সেই যে গেল আর ফিরেও তাকায়নি তার জন্ম দাতা বাপটা । সেই থেকেই মিজানের বাপ মা সব তার নানিমা। মিজান তাকেই মা বলে ডাকে । নানিমারও বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই।একলা মানুষ। স্বামীটা গত হয়েছে বছর দশেক হলো। ভালো চলাফেরা করতে পারে না। তবুও রাঁধে বাড়ে। ছোটো মিজানকে নিয়েই তার এই সংসার। নানিমার শেষ সময়ের লাঠি মিজান। সেও তার নানিমার খেয়াল রাখে। সময় মতো বাজার করা,জ্বালানি গোছানো, জল তোলা-- সবই করে সে। আর বাজার করতে গেলে মিজান কখনোই তার নানিমার প্রিয় মিঠাপাতার পান আনতে ভুল হয় না। শাকসবজি যায় আনা হোক না কেন মিঠাপাতার পান আনা চাই- ই চায়।সে নিজ হাতে পান সাজিয়ে দেয়। নানিমা সেই পান চিবাতে চিবাতে তার মেয়ের ছোট বেলার কত গল্প শোনায়।মিজান তার নানিমার কোলে মাথা রেখে সেই গল্প শুনে।মিজান বুঝতে পারে গল্প বলতে বলতে নানিমার গলা আটকিয়ে আসে। দুচো...

জগবন্ধু হালদারের কবিতা :

  একদিন হবে রৌদ্র গাঢ় হলে তুমি ছুঁতে পারো চৌকাঠ ধুনুচি, পিলসুজ, মন্ত্রপুত মালা আর তালু ঘষে ঘষে আমার দেয়ালে এঁকে দিতে পারো যা খুশি, আগুনও জ্বালাতে পারো ইচ্ছে হলে সলতে খুঁচিয়ে দিতে পারো ঋতু কিংবা ঋতুস্রাব নিয়ে অহরহ শালিশি সভায় দাঙ্গা বাধুক কেটে নিক বিধি মেনে জিভ ও মগজ ওরা পাতা ছিঁড়ে দিক মতে না মিললে তুমি রক্তমাখা হাতে পদ্মের ঝুড়ি নিয়ে তবু আমার বারান্দায় বসতে পারো জেদে, বিশ্বাসে সহস্র অন্য মুখ ও জিভ একদিন দেখো শাস্ত্রের শেষ পাতা লিখবে......

অরবিন্দ পুরকাইতের কবিতা

লেপচা খা সুদিনের মুসাফির যদিও আমি, তবু জীবনেরই আর এক ব্যঞ্জনা যেন ঠিকমতো উচ্চতায় নিজেকে উন্নীত করতে পারলে খুলে যায় কত না দুয়ার! বক্সা ফোর্টে দোকানদার বলেছিলেন, ‘একবার পৌঁছন, দেখবেন কষ্টের কথা মনেও থাকবে না।’ মনে হয়েছিল সান্ত্বনা নিছক। পশ্চাতে মিহিন কুয়াশামাখা উত্তুঙ্গ পর্বত সম্মুখে বেলাশেষের চেনা সূর্য অদ্ভুত কোমল মায়াবী নিম্নে চিকন শ্বেতকায় জয়ন্তী নদী। পায়ে-পায়ে ঝরনা গাছ ফুল পাখি প্রজাপতি টুকরো সবজিখেত কোথাও, ক’টি গরু-মুরগি, সঙ্গী সারমেয় – কুটিরে পাঁচজনের একাধারে পরিবার ও পাড়া। স্ত্রী কি পুরুষ – কঠোর শ্রমের জীবন প্রাণোচ্ছলতা তবু, তবু সহজ হাসিটি ডুপ্পা যুবক-যুবতীর জংখা ভাষায় গান সন্ধ্যার বৌদ্ধমন্দিরে। দূরের কুক্কুটধ্বনি করে বসতি-প্রমাণ নরম আলোয় নির্ভার সুরশিশুরা খেলে আপন খেয়ালে শস্য ঝাড়ে মা – টলমল শিশুটি ছড়ায়! এত প্রাণবান তুমি, হে ভূধর প্রবীণ!      *      *      *

চন্দন মিত্রের কবিতা

মরার সময় একটি সেলফি দিয়ে যাব   এই যে তুমি জ্বরের ঘোরে মাঝরাতে আছাড় খেলে তোমাকে তুলে না-ধরলে উঠতেই পারতে না এই যে তুমি জাতীয় সড়কে ডিগবাজি খেয়ে আট-দশটা  উঠে দাঁড়িয়ে ধুলোরক্ত ঝেড়েমুছে সবাইকে অবাক করে দিলে  হেলমেট না-থাকলে হয়তো শুয়েই থাকতে রাস্তায় এসব জানকারি ফেসবুকে দিলেই না ফলে কেউ জানলই না  লাইক দিল না উহু দিল না লাভ দিল না স্যাড দিল না তুমি বোকার মতো বাঘবন্দি খেলা খেলে গেলে বউয়ের সঙ্গে কেউ দেখতে এল না  পাশের বাড়ির না তার পরের বাড়ির না কাছের কেউ না দূরের কেউ না  এখন কেউ ফেসবুক ছাড়া কিছুই শুনতে পাই না দেখতে পাই না ভাবছি মরার সময় একটি সেলফি দিয়ে যাব ... =============================== চন্দন মিত্র ভগবানপুর ( হরিণডাঙা ) , ডায়মন্ড হারবার , দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

তনুশ্রী পালের কবিতা ।

ফিরে যাই       ------------- সবুজ-নীলের জুরিগান  মোহনায় উতল   হয়ে এল    মনে মনে ফিরে যাই তবে   সেইসব উষ্ণ নিঃশ্বাসে  সরল রেখার যত ডট   আমাদের যুদ্ধময়       যুগল প্রান্ত্র ?  মনে মনে ফিরে এস তবে   বিদ্ধস্ত্ব অস্ত্রগুলো নিয়ে    কিন্তু আমার দুই হাত কেমন নিঃস্ব     হয়ে  আছে !   তাতে বুঝি শুশ্রুষা  নেই   জীর্ণ সব নখের ভিতর ক্লান্ত কিছু লবণের দানা !       -------------------------------    Tanusri Paul. BabuPara. Routh Lane. Jalpaiguri . West Bengal. pin-735101                      

সায়ন মোহন্তর কবিতা

প্লাটফর্ম প্লাটফর্মে বসে আছি আপ ট্রেন এই স্টেশনে যাত্রী রাখছে একটু ঘোরাঘুরির পর ডাউন ট্রেন নিয়ে যাচ্ছে সাইরেন বাজিয়ে হুশ করে গন্তব্যে ছুটছে ট্রেন আমি একা প্লাটফর্মে বসে দেখছি আর টুকরো টুকরো শব্দে ভিজছি - আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িটার জানালা  দিয়ে চালক বাইরে দেখছে , হয় তো আমাকেও আমি এখনও প্লাটফর্মে বসে,  দেখছি ট্রেনের তারে কাকের জটলা। ======================= সায়ন মোহন্ত চাষা পাড়া কৃষ্ণনগর, নদিয়া-৭৪১১০১ চলভাষ - ৯৫৬৩৮১৯৪০১

তাপসী লাহার কবিতা

সমর্পণ ----------- অবিকল ভুলজন্মের মতো সন্ধ্যেরা, অস্পষ্ট  হাতছানিতে  মিশে যায়  মানবিক স্বগতোক্তি, আশ্বাস বিহীন  সন্ধ্যারা নেমে আসে কৌতুহলী পড়শির ন্যায়; সাঁঝভরসার পালে ভরসারা ডিঙির মতন --- ওঠানামা চলে। নিজের কাছে আত্মগোপনেরা  বিকল্পরুপ খোঁজে। পরতে পরতে  তখন আঁকড়ে ধরার গান নিঃশর্ত সমর্পণ  বোঝে। ==============================      তাপসী  লাহা

অ-নিরুদ্ধ সুব্রতর কবিতা

এই খাতায় কোনও কবিতা নেই -------------------------------------------- এই খাতায় কোনও কবিতা নেই পাতায় পাতায় শব, সারিবদ্ধ রাত কোনও দাগ নেই, আছে রক্তশূন্য প্রেম ভাঁজে ভাঁজে ঘাড়ধাক্কা খাওয়া প্রতিবাদ এই খাতায় কবিতা নেই, এ শুধু বিকৃত অবকাশ বিব্রত হয়ে সাদা আলো নিভে গেছে বিস্রস্ত হয়ে ঝরে গেছে হাজার ধ্বনিময় উচ্চার বেশি রাতে শুয়ে গেছে কাগুজে হুতাশ এই খাতায় কবিতার কথা মিথ্যে শোনায় কবিতা কী করে লেখা হয়,কী গূঢ় প্রত্যয় আগুনের শর্তহীন ধোঁয়া? শুধুই ধোঁয়াশা আমার রক্ত , হাড়, ঘাম-গন্ধ তো কবিতা নয় কবিতার চেয়ে খাতা পড়া ভালো যে বলে সে ফাঁকা খাতা দেখেনি তো, ক্লেদে চটচটে,ভিজে স্যাঁতসেতে শ্বেদে ঘুমোতে না পারা অন্ধকার জমা,ঘন কালো সমস্ত একার সময়,জানলায় বিগত যত এসে মেলেছে লাল পচা গলা জিহ্বা ভ্যাঙাবার কত কত ফলিত প্রকাশ হেসেছে আয়নায় প্রাচীন প্রেতের মতো আমি খুঁজেছি পাথর,টুকরো শক্ত ভারি অনবরত বলেছি,চলো দূরে গিয়ে বাঁচি হাতের কলমের সূঁচালো মুখের কাছে জিজ্ঞাসা ছুড়েছি, এটুকু শাণে কৃষিকাজ পারি? এই খাতায় কবিতা নেই,অদৃশ্য খেউড় এই খাতা বিবমিষা ধরা ফেলনা পাত্র মাত্র ফিরে আসা সন্ধ...

শ্যামাপদ মালাকারের কবিতা

খুন তারপর, তারপর তোমাকে ভাবার জন্য পড়ার বাহানায় বসি- - উড়ন্ত চিলের ডানার মতো- -  যখন একজোড়া ভ্রুযুগ আঁকি,- - অনেকটা রাত হয়ে যায়!  বারান্দায় ঘুমিয়ে মা' স্বপ্ন দেখে,-"পড়ায় খুব মন- "সূর্য উঠবে!"। প্রতিরাত মা'কে হত্যার ক্ষমতা যে দেয়- তোমাকে ঠকানোর সাহস সে আমায়- - - - তোমায় পাওয়ার ইচ্ছে শাণিত খাড়া হয়ে- ওর হাড়-দেহ শুঁকছে। এর পরেও কি 'ওদের' মতো বলবে- "লোপাট হয়ে যাক সব লালরঙ- নিখোঁজ হয়ে যাক পাগলীটা- - - - =================

নিসর্গ নির্যাস মাহাতো কবিতা

৫.  কৃষ্ণকলি আতুর চোখের মধ্য থেকে রজনীগন্ধা সরিয়ে নিলে আতর মলিন হয়। ছোপ দাগ জেগে ওঠে কাজলের নীচে। আরও কালো ঘন হয়, চিড় ধরা প্লাবণের পর। ৪. মৃণালিনী ও কাদম্বরী শত পুরুষ বুক বাঁধে মৃণালিনীর স্বপ্নে, কানাঘুষো প্রেমের কলঙ্কিনী প্রাণ রসদ কাদম্বরী। মৃণাল নির্মল চাঁদ- কঠোর সাধনা। বুক ভাসা প্রেমিকের হয়ে রবি স্বর- উপেক্ষা ক্ষমা করো। =================== নিসর্গ নির্যাস মাহাতো বি ৮, কেরানীটোলা, মেদিনীপুর সূচক- ৭২১১০১

মোনালিসা পাহাড়ীর কবিতা

সুখ কণা কণা সুখই নাকি  সব অসুখের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে! সুখের ঝাঁচকচকে মোজাইক ঘরে ঝলসে যাওয়া আড়ম্বর মাথা নিচু করে থাকে- পোষা পাখির মত... আড়ম্বরের নিচে চাপা পড়ে অন্ধকার, শান্তির সাদামাটা ছা-পোষা স্বভাবের কোন ঠাঁই হয়না। তাই দিনের শেষে দামি সাজানো ঘর, সুগন্ধি বিছানায়  অবিশ্বাস খেলা করে, কাঁচের ঘরের মতো সম্পর্কনামা ঝনঝন করে ভেঙে যায়। ============================= মোনালিসা পাহাড়ী মনোহরপুর, গড় মনোহরপুর দাঁতন, পশ্চিম মেদিনীপুর,

আরিয়ান প্রিয়স পালের কবিতা

আমি লেখাটা বেশ ছিল।স্বভাবে গান নীল আকাশ সাজানো দু-এক প্লেটে। এখনও সময় আছে,মন ভাসমান। মিটুক খিদে,প্রেমিকার বুক চেটে। অল্প আলো রেশ দেওয়ালের ফ্যানে। কথারা ঠিক ছিলো।আস্ত বইয়ে। সবটাই ক্লান্তির।ছায়া পথ ঘিরে । সূর্য অস্ত নামে কেবিনের গায়ে। হাতের গ্লাস ভরে বরফের ঘামে  হঠাত্ বিকেল নামে টেবিলের ধারে। হাজার পাখির ডাক গোটা-শট রুমে দু-চোখের বোঝাপড়া হাতে-হাত রেখে, তবুও ঘেরে লাজ দ্বন্দ্বের জেড়ে সব যে-শত্রু তবে,বন্ধু ছয়।। আমিও বাড়ি ফিরে,সময়ের ঘড়ি নিশাচর,ভবঘুরে আর কিছু নয়।। ============================= #আরিয়ান প্রিয়স(পাল) ডি ডি মন্ডল ঘাট রোড, কলকাতা - ৭০০০৭৬

স্বরূপ মুখার্জ্জীর কবিতা

1. অনেকটা কবিতার মতো —————————————————————— শাল কাঠের ছাই দিয়ে তৈরী পুতুল ইংরেজ আমল থেকে তৈরী হওয়া ক্রোধ রক্ত লেগে থাকা অভ্র ( ২ ) নদীর পার ভাঙলে মানুষ হাহাকার করলেও নদী মৃদ্যু হাসে ( ৩ ) তথাকথিত ক্রোধ ভাবনা কে বেত্রাঘাত করলে নিয়তি সপুষ্পক উদ্ভিদে রূপান্তরিত হয় 2. সময় ও সাফল্য ————————————————————— দুটো ছবি মাঝখানে স্মৃতিচিহ্ন একটা পুরানো পর্দা দূর থেকে বাতাসে ভেসে আসা সিগারেটের গন্ধ নিকোটিন হাসে ধোঁয়া প্রবেশ করে শরীরে ছাই পড়ে থাকে তিনতলার নীচের মাটিতে অভিশাপেরা মাথানত করে আত্মাহুতি দেয় কবন্ধ সময় 3. ত্রসরেনু ————————————————— ভাঙা ছাত বেয়ে রোদ নামে আমার দেহের ওপর এভাবেই দুপুর ভাঙছে বিকেল এসে ধরা দেয় বসন্তের কোকিল কে প্রগাঢ় সন্ধ্যা ব্যাকরণ ভুলে যায় তলপেটে বাসা বাঁধা কৃমি পথ হারিয়ে গান্ধী টুপিতে আশ্রয় নেয় ******************************** স্বরূপ মুখার্জ্জী   গ্রাম – বনপাড়া পো :-  ঝিলু ব্লক...

তমোঘ্ন নস্করের কবিতা

            পরান মাঝি           স্বপ্নের চোখজুড়ে নামে বিশাল পূর্ণিমার নদী ........জলের গাঢ় আওয়াজে পরান পাল কাটে..... উল্টো মুখো চলেছে ডিঙি ..... জ্যোত্স্না মাখছে তার নিয়তি শরীর....প্রাণ ভিজছে সুরে আর সুরায়..... জন্মের গামছা মাথায় বেঁধে পোড়া বিড়ির পুনরাগুনে গাইছে লালনের গান .... ছল ছল নদীর বুকে দাঁড়িয়ে মনে হয় এখনও তার মীরা মাঝরাতে চাঁদের অভিসারে  স্পট সুরে নিমগ্ন ভজন এ ডুবেছে...... জঙ্গলের জীবন থেকে এভাবেই সে গেয়ে যায় প্রতিরাতে জীবনের দেয়া নেয়ার গান। এভাবেই দাঁড় বাইতে বাইতে কখন যে পরানের পরান ছুটি নেবে নিরুদ্দেশে কে জানে!!  মীরা হয়তো সাত সুরের জাল ফেলেও ধরতে পারে স্পন্দনহীন পরান কে.....

প্রণব কুমার চক্রবর্তী কবিতা

রাতের শরীরে কান্নার পান্ডুলিপি                                   গোধূলির সোনা রঙ মেখে অাজকাল বড্ড বেশি মাথা তুলছে মন খারাপের গল্পগুলো  ..... দিগন্তের কপালে  যেন মুছে ফেলা সিঁদুরের থ্যাবড়ানো দাগ অাকাশ ভেঙে ক্রমশ নেমে অাসে                বিষন্নতার এক কালো চিত্রলিপি

চন্দ্রাবলীর কবিতা

অদেখা কোন  মন আপন অদূরে কোন দেখার আদল ভুলে ছিল, সবুজ অবুঝ পাওনারা সব মেঘ কোণে ভেসেছিল । তবু অজানা পথ নিজেই এল পায়ের কাছে , ধূলোর চাদর বৃষ্টি ফোঁটা মেখে নিল । নিঝুম সাঁঝ মহল নেভা আলোর স্মৃতিতে থমকে ছিল । আঁচল ঝাপসা দেখা ঠোঁটের আদর অভিমানে ফুলে ছিল , তবু ছেঁড়া পাতা জুঁড়েছিল  রূপকথা নিয়ে  । মন ,কার কখন, অচেনা ক্ষণ হঠাৎ ফুরিয়ে ছিল । প্রেম বিশাল আকাশ চাতক মুখে বৃষ্টি দিল , তবু বেয়ারিং চিঠি নিলাম কিনে , মনের বিনিময়ে  ।। =========================== চন্দ্রাবলী ব্যানার্জী ১৬২, মহেন্দ্র ব্যানার্জী রোড কলকাতা - ৭০০০৬০

সুমন নস্করের ছড়া

পৌষালি খেঁজুর গাছে হাঁড়ি বাঁধার   সময় এলো ওই, নলেন গুড়ের মিষ্টি মিঠাই   নতুন ধানের খই৷ উড়কি ধানের মুড়কি হবে   কণেক চূড়ের মোয়া, ভাঁড় পোড়ানো কাঁচা রসের   গন্ধে শীতের ছোঁওয়া৷ নতুন ধানের পিঠে হবে   উঠবে ঘরে ধান, খেঁজুর গুড়ের গন্ধ ছোটে   সতেজ ভরা ঘ্রান৷ শিউলিরা যায় ভাঁড় কোমরে   কাটতে খেঁজুর গাছ, শীতের আমেজ একটু নিতে   থাক পড়ে থাক কাজ৷ খেজুর গুড়ের পাটালিতে   গন্ধ ছাড়ে বেশ, পৌষালি আজ এমনি ভাবে   তুলছে সুরের রেশ৷ ভাল্লাগে না সকালবেলা   পড়তে বসা ছাই, আমেজ পেতে রসের লোভে   খেঁজুর তলায় যাই৷ ============== সুমন নস্কর গ্রাম+পোষ্ট- বনসুন্দরিয়া থানা- মগরাহাট জেলা- দক্ষিণ ২৪ পরগনা

স্বপনকুমার বিজলীর ছড়া

অঙ্ক খাতায় মেঘের ভেলা  অঙ্ক নিয়ে যেই বসেছি দাওয়ায় মাদুর পেতে চড়ুইগুলো উড়ছে তখন পাশের ধানের ক্ষেতে  টুনির বাসা ডুমুর ডালে আছে দেখি ঝুলে  এ সব দেখে অঙ্ক করার নিয়ম গেছি ভুলে । অমনোযোগ হচ্ছি আমি বুঝতে পেরে শেষে  বই খাতা পেন নিয়ে বসি ঘরের ভিতর এসে  চোখ চলে যায় জানলা দিয়ে বিলের শাপলা ফুলে  পাপড়ি মেলে হাসছে ওরা উঠছে হাওয়ায় দুলে । ঝক্কি ভারি হল তো বেশ অঙ্ক হল না যে খুব বকা কাল খেতে হবে ক্লাসে সবার মাঝে  এবার ছুটে সিঁড়ি ভেঙে গিয়ে বসি ছাতে অঙ্কগুলো করতে হবে , অল্প সময় হাতে । চেয়ে দেখি সাদা মেঘে নীল আকাশে ভেসে ---- বকের সাথে ডানা মেলে যাচ্ছে দূরের দেশে  আর হলনা অঙ্ক করা, থাকবে ফাঁকা খাতা ?  মেঘের ভেলা এঁকে দিলাম অমনি দু'তিন পাতা।   .   .  .  .  .  . ------------------- স্বপনকুমার বিজলী  জোকা, কলকাতা , 

কান্তিলাল দাসের কবিতা

শীতের এ-বাংলায় । উত্তরবায়ু দিয়ে গেল চিঠি হেমন্ত যায় চলে আনছি সে ঋতু দেরি নয় আর চেনো যাকে 'শীত'বলে। সাঁঝে কুয়াশায় সকালে শিশিরে হিম হিম অনুভবে বুঝেছে মানুষ শীতের পোশাক লাগবে এবার তবে ! বের হয়ে আসে সোয়েটার টুপি শাল ও চাদর যত কম্বল লেপ রাত্রে শয়ণে প্রয়োজন অন্ততঃ। উঠেছে শীতের সব্জী বাজারে সিম কপি মুলো লাউ শাক পালঙের লাউ ও মেথির সকালেই কিনে নাও । উঠছে কমলা আপেল পেয়ারা শীতদেশ হতে ক্রমে জয়নগরের মোয়া এল ওই খাওয়াদাওয়া যাবে জমে। আহা নলেনের গুড় আসে ওই   পিঠে সাথে মোলাকাতে জমে পার্বণ শীত রজনীর নবান্ন ঘ্রাণ তাতে ! আলুখেত দেখো সেজেছে সবুজ সরিষা কনক সাজে ভরিয়েছে মাঠ ভরিয়েছে মন রোদের কাঁকন বাজে ! আসে পরিযায়ী পাখিরা এখন সাঁতরাগাছির ঝিলে গজলডোবায় নামে ঝাঁকে ঝাকে আরো কত খালে বিলে। বনভোজনের বাহানায় যারা বেরিয়েছে কাছে দূরে ডেকেছে প্রকৃতি আসলে তাদের হৃদয় বেজেছে সুরে ! ফুলে ফুলে আজ ছেয়েছে বাগিচা নয়নাভিরাম সাজে আমন্ত্রণের বিনীত হাসিটি দেখি যে তাদের মাঝে। চলো ঘুরে দেখি প্রজাপতি কত রঙ চুরি করে ওড়ে ফুলেদের সাথে মিতালি ...

সুনন্দ মন্ডলের কবিতা

সুদখোর                    রক্ত জল করা ফসল বিকোয় জলের দামে বছর শেষে কানাকড়ি পরে থাকে তলানিতে তারও ভাগ লাগে গ্রামের মহাজনকে যাঁতাকলের রস পিষে নেয় সে সবার। কৃষক নয়তো মজুর গোলামী খাটে আজীবন বউ ছেলে মেয়ে বন্ধক দিতে হয় গতর গেলে। একেকটা অসহায় জীবনের সলতে বেঁচে থাকে খড়ের চাল জড়ানো ঘরে। নির্দয় মহাজন এক টাকা ধার দিলে অসময়ে সময়ে উসুল করেন ঢের বেশি দামে। নিঃস্ব মজদুর হাতের মুঠোয় যা ধরেন মেলে পোষাই না টাকার গন্ধওয়ালা বড়লোকের।                 ----------- ছাপাখানা                   আলো আঁধারী জীবন চড়ে কালির সুখটানে আঁকা নীরবতা। শব্দরা কথা বলে অক্ষরের গায়ে ভালোবাসা মায়া স্নেহের চিরকুট বয়ে আনে খটখট টাইপে নানা রঙা ফসলি হয়ে বেরিয়ে আসে। জীবন কলের চাকার আগে আগে ঘোরে ব্যর্থ কেন হবে? নদীর খেয়ালে জল যেমন স্বচ্ছ কালির আমদানিতে লেখাও তেমন সরল। কয়েকটা ঘন্টা অতিক্রমের সময় চায় তারপর এঁকে দেবে পদটিক...

প্রসুন কুমার মন্ডলের কবিতাগুচ্ছ

1 ঈশ্ বলতে ইচ্ছে করে অর্ধমানব বানিয়ে ভূমিষ্ট  না করার থেকে গত রাতের ফেলে রাখা কন্ডমে পিছলে পড়া ভালো এত বুঝি আমরা তবুও গলির রাস্তায়  নতুন আলো দেখলে ঈশ্ বলতে ইচ্ছে করে।         2         অনুভূতি আজ দিনের শেষ ট্রেনটা ছাড়িয়ে একরাশ অবসন্নতা নিয়ে জীবনের  স্টেশনে আমি একা রাশি রাশি ভালোবাসা আর  তোর স্মৃতি নিয়ে ঘর ভাঙা শালিকের মতো তখনো স্বপ্ন বুনে চলেছি বয়স বাড়ার দ্বায়িত্ব আর  তোর অপেক্ষার নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় নেই    3 মানবিকতার আত্মহত্যা  সেদিন অভিমানের জেদে ভালোবাসাকে হেরে যেতে দেখলাম অপেক্ষা এখনো পিছু ছাড়েনি দেওয়ালের টিকটিকির ওজন বৃদ্ধিতে  আমার কোনো হিংসা নেই কিন্তু তোমার শাড়ির ফাঁকে আর কেউ উঁকি দিল না তো মন খারাপের রাতে অ্যালকোহলে  ডুবে থাকার মতো প্রেমিক হয়তো আমি নই নক্ষত্র সংখ্যার থেকেও ভালোবাসি তোমায় সুস্থ মানবিকতার আত্মহত্যার আগে আবার একটু ভালোবাসতে পারতে  4           তুমি ভা...

কবিতা ভট্টাচার্যের কবিতা

এখানেই ঈশ্বর এই ঘরটা ঈশ্বরের ঘর   এখানে নিঃশব্দের পাশে অপরূপ - নিস্তব্ধতা   এখানে অত্যন্ত আকর্ষণ   কতবার ছুঁয়েছি , ফ্যালফ্যাল               চোখে দেখেছি   উঁচু নিচু মাঝারি সারি            সুন্দর স্রষ্টার সৃষ্টি ।             এদিকে পদ্য , এদিকে সাহিত্য   পরিপূর্ণ রচনার সম্ভার                 মন্দির চত্বর লক্ষ্য তারার সাথে অসংখ্য   প্রদীপ জ্বলজ্বল করছে   যেন এক পৃথিবী , সবাইকে ডাকছে আকুল আবেগে           কী অদ্ভুত সুন্দর ।

সুদীপ্ত বিশ্বাসের কবিতা

লক্ষ্যভ্রষ্ট পথিক আমি, পথের কাছে কথা আমার দেওয়াই আছে ঠিক যেভাবে ছোট্ট নদী ছুটতে-ছুটতে দারুণ বাঁচে! মাধুকরী করেই আমি পাহাড় দেখে ঝর্ণাতলে সেই যেখানে অরণ্য-বন ভালবাসার কথাই বলে; সেই সে দেশে যেই না গেছি ছুটতে ছুটতে হন্যে হয়ে নদীও দেখি দারুণ খুশি, আমার জন্যে যাচ্ছে বয়ে। টুনটুনিটার মতই সরল, আমার হাতে রাখল সে হাত তারপরে তো আপন হল, নদীর সে গান, জলপ্রপাত। ছপ-ছপা-ছপ সাঁতরে শুধু ডুব-সাঁতারে, চিৎ-সাঁতারে যাচ্ছি ডুবে উঠছি ভেসে কুল না পেয়ে সেই পাথারে। এরপরে তো হঠাৎ করে সেই ফোয়ারা উথলে ওঠে এমনি করেই ঝলমলিয়ে বাগানজুড়ে গোলাপ ফোটে। গেলাম ভুলে পথের কাছে কথা আমার দেওয়াই আছে বন্দী আমি আটকে গেছি, আটকে গেছি তোমার কাছে! ========================================= Sudipta Biswas,Deputy Magistrate & Deputy Collector,(WBCS Exe.), Nokari Uttar Para, PS-Ranaghat,Dist- Nadia ,

চিরকুটের কবিতা

যৌবন এখন আর আকাশ থেকে ফুল পড়ে না নদীর জল বিষাদের পাঁকে জর্জরিত চাঁদের আলোয় কেউ গা ধোয় না পড়ে থাকে বাঁশি কোন সে অন্দরে ! পাতার ফাঁকে রঙিন স্বপ্নেরা উকি দেয় ঠিকই তবে কোথাও যেন মনোমালিন্য ঝলসানো যৌবনের শেষ কুঁড়ি বাস্তবের দরবারে মাথা কুটে মরে ।  আসলে নুনের দাম অনেক বেশি কাঁচা দেয়ালের ঘরে । ব্যর্থ প্রেম একরাশ নিশ্ছিদ্র ধোঁয়ার মাঝে একটা নরম গোলাপ কখন বিষিয়ে গেল ! টের পেলোনা কেউ ।  দুরন্ত রোদ্দুরের মতো আবিষ্কার করি একটা জলজ্যান্ত আধপোড়া ভালোবাসা  থকথকে কালো রক্ত ভিজিয়ে দেয় আমার সকাল সন্ধ্যা ।  গভীর রাত্তিরে নিদ্রার ভেতর এক ঝাপসা পথ বরাবর দুইকুল ছাপিয়ে প্রেম এনে দেয় আমার মেঘবালিকা ।  তোমার শহরে আমি বহমান এক ধূলিকণা হলেও আমার গল্পে তুমিই নায়িকা ।  ======================= সুশান্ত কোড়া প্রযত্নে নৃসিংহ ঘোষ গুরুপল্লি পশ্চিম ( ভোডাফোন টাওয়ারের কাছে )  শান্তিনিকেতন বীরভূম

শেখ সামসুল হক এর একগুচ্ছ কবিতা

যাও   ফিরে   যাও গাছের   পাতার   সবুজ   খোয়ানো   ছবি ইথিওপিয়া   নয়   এই   বাংলাদেশে দেখছি   অবশেষে   তাই   বাংলাদেশে আবারও   হৃদয়   খুন   দেখতে   হবে  ? সোনার   মানুষ   হারাতে   দেবোনা   আমি যে   করেই   হোক   বিনাশ   ঠেকাতে   চাই উতাল  - মাতাল   অদিন   আসছে নিকটে   বিকট   শকুন   উড়ছে সামনে   পিছে   ডাইনে   বায়ে বাঁচার   চেয়ে   মরাও   ভালো আওয়াজ   তুলে   বলছে   কি   সব মায়ের   কোলের   অবুঝ   শিশুর অকাল   মরণ   জল   পিপাসায় তাই   যদি   হয়   বেশ   তুমি   থাকো যে   করেই   হোক   হৃদয়   খুন   ঠেকিয়ে   আসি যাও   ফিরে   যাও   খরার   মরা   বাংলা   ছেড়ে। নিখোঁজ   সেই   ছবি তুমি   এখনো   অজানা   এক ...

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...

শিক্ষার সেকাল ও একাল ।। অমৃতা সাহা

শিক্ষার সেকাল ও একাল অমৃতা সাহা  শিক্ষক শব্দটির ব্যুৎপত্তি √শিক্ষ+ অক অর্থাৎ যিনি শিক্ষা দান করেন। শিক্ষক শব্দটি সংস্কৃত শিক্ষ ধাতু থেকে উদ্ভুত যার অর্থ বিদ্যা গ্রহণ করা, শেখা বা বিদ্যা দান করা। শিক্ষ ধাতুর সঙ্গে ক প্রত্যয় যোগে উৎপন্ন শিক্ষক যার অর্থ শিক্ষা সম্পর্কিত।          শিক্ষককে বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে প্রায় ছয় মাস বা আট মাস সে সহজাত প্রবৃত্তি অনুযায়ী শিক্ষা লাভ করে থাকে। তারপর থেকে মা বাবাই তাকে জীবনের প্রথম পাঠ দেন। কী কী করতে হয় আর কী কী করতে নেই তাই দিয়েই শিশুর প্রথম শিক্ষা শুরু হয়। অনুকরণই হলো তখন তার একমাত্র শিক্ষার মাধ্যম। তারপর কথা বলতে শেখা, আশেপাশের সামগ্রী চিনে নিয়ে তাদের নাম বলতে শেখা এভাবে ক্রমান্বয়ে শিক্ষা প্রক্রিয়া চলতেই থাকে।         প্রাচীন কালে পঞ্চম বর্ষে উপনয়ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শিশুর শিক্ষা জীবন শুরু হতো। গুরুগৃহে বসবাস করে, ব্রহ্মচর্য পালনের মাধ্যমে বাল্য ও কৈশোর কাল অতিবাহিত হতো। পুঁথিগত অধ্যয়ন, শ্রুত্বয়ন এর পাশাপাশি জীবনের অন্যান্য বিষয়েও শিক্ষা গ্রহণ করতে হ...

Five poems ।। Prasenjit Das

  Five poems of Prasenjit Das THE FLAME IS ON Life may not be a green leaf, the dews are tears in grief. Life for many maybe cruel, give me the guts for the duel. The good times passed by me, like a humming bird in destiny. If not in life then maybe after, let life be a pleasant chapter. No, I will never give up,...never, be an example for all, forever... THE OPTIMIST Never be drowned in sorrow, as if there is no tomorrow. Tomorrow is a day uncrowned, tomorrow is a time unbound. Many things are left to be done, the path of glory has already begun. The darkness shows the light, life is nothing, nothing but a fight. You will be a winner, sooner or later, the spirit of good will fight for better. The light of honesty burns bright, even in the darkest dark of the night. A LONELY FATHER'S CALL O lonely man! O lonely man! Where is thy rugged winter coat? Bore the ravages of eighty seasons, that still makes thee soul to float. O lonely man! O lonely man! Where is thy loveth destiny? Fough...

শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান ।। কৃশানু ব্যানার্জী

প্রবন্ধ শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান কৃশানু ব্যানার্জী  মানবসভ্যতার ইতিহাসে শিক্ষার স্থান যে সর্বাপেক্ষা কেন্দ্রীয় ও নির্ণায়ক — এ বিষয়ে দ্বিধার অবকাশ নেই। কারণ শিক্ষা কেবল জ্ঞানের বাহনমাত্র নয় , বরং মানুষের আত্মস্বরূপের এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ , যা সমাজ ও সংস্কৃতির গতিপথকে নির্ধারণ করে। কিন্তু শিক্ষা কেমন ছিল অতীতে এবং কেমন হয়েছে বর্তমানকালে — এই অনুসন্ধান শুধু ঐতিহাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যালোচনার সীমায় আবদ্ধ নয় ; বরং এর ভেতরে নিহিত আছে এক গভীর দার্শনিক তাৎপর্য। "সেকাল" ও "একাল" — এই দুই কালের শিক্ষা পরস্পরকে নিরন্তর প্রশ্ন করে , কখনও বিরোধিতা করে , কখনও বা পরস্পরের ওপর দাঁড়িয়েই নিজের রূপ নির্মাণ করে। অতএব , শিক্ষার সেকাল-একাল তুলনায় আমাদের কেবল তথ্যের বিবরণ নয় , মানবজীবন ও সমাজচিন্তার প্রকৃত ভিত্তি উপলব্ধি করতে হবে। মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় শিক্ষা যে একটি অনিবার্য ও মৌল প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তথাপি 'শিক্ষা' শব্দটির নিতান্ত ভৌত বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাখ্যা একে পূর্ণাঙ্গ উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়। সংস্কৃত ...

শিক্ষক ।। জীবন সরখেল

শিক্ষক  জীবন সরখেল   শিক্ষা চেতনা প্রসারে যাঁরা নিবেদিতপ্রাণ  প্রকৃতি পরিবেশ প্রাণীর   ধারক বাহক ও মান... যাঁদের স্মরণ উপস্থিতিই  কমে মিথ্যা গ্লানি  সেবায় দ্রোহেও নিরপেক্ষ  ঠেলেন সব হয়রানি। কর্ম আচরণ চিন্তন ত্যাগ  সত্য সপ্রেম নিষ্ঠায় গড়েন চিরন্তন সমাজ ভিত নীতি উদারতায়....  নিঃস্বার্থ ভাব ঠিক ভুল গুণেই  অভিজ্ঞতা দীক্ষক  বাবা মা পরিবেশ গুরুই সবার আপন শিক্ষক। __________________       জীবন সরখেল গ্রাম -বাড়াভগলদিঘী, পোস্ট -ভগলদিঘী, থানা-জয়পুর, জেলা-বাঁকুড়া। পিন-৭২২১৫৪  

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

সূচিপত্র  প্রবন্ধ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নবদ্বীপের রাস : মহাপ্রভু চৈতন্যদেব থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ।। বারিদ বরন গুপ্ত  প্রবন্ধ।। কবিতায় সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন ।। রণেশ রায় প্রবন্ধ ।। সুকান্ত ভট্টাচার্য: বিপ্লবী চেতনার কবি ।। বিচিত্র কুমার কবিতা ।। পরিযায়ী বৃষ্টি ।। সন্দীপ ভান্ডারী দুটি কবিতা : চয়ন দত্ত কবিতা ।। সমঝোতা ।। বিশ্বজিৎ বাউনা কবিতা।। ভালোবাসা।। অরুণ কুমার দাঁ কবিতা।। সময়ের গতিপথে ।। কেতকী বসু গ্রন্থ   আলোচনা।। অরবিন্দ পুরকাইত ।।  গ্রন্থ : বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের  "বাংলা সাহিত্যে মনুষ্যেতর প্রাণীকেন্দ্রিক ছোটগল্পের ধারা" ছোটগল্প।। হ্যাপি বার্থডে।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা।। অন্ধকার রাত জাগে।। অঞ্জন বল অনুবাদ কবিতা।। তুমি আসার আগে।। সুস্মিতা পাল দুটি কবিতা ।। রবীন বসু কবিতা ।। নতুন শাসন ।। মানস মণ্ডল কবিতা ।। শীত ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। সাঁঝবাতি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। চুপ কথা হৃদয়ে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য ছড়া ।। ভোর ।। বদ্রীনাথ ছোটগল্প ।। ফিরে পাওয়া ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। রূপ বদলায় ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। এভা...

স্মৃতিকথা ।। ৺বিজয়ার চিঠি ।। ভাস্কর চৌধুরী

উৎসব শেষের শূন্যতা এখন গ্রাস করে আছে আদিগন্ত। হঠাৎ ভেসে আসা ছাতিম ফুলের গন্ধ যেমন মাতাল করে দেয় ঠিক তেমনই মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে এক না ছুঁতে পাওয়া আলোর পিপাসায়। উৎসব শেষের নিভে যাওয়া সন্ধ্যেবেলার আলোয় ম্লান হয়ে আসে জীবনের টুকরো টুকরো খুশির আমেজ।  বিসর্জনের শেষে ছেলেবেলায় গোটা গোটা অক্ষরে হলদে রঙা পোস্টকার্ড আর নীলচে-সবুজ ইনল্যান্ড লেটারে দূরের সব্বাইকে পাঠাতে হতো ৺বিজয়ার চিঠি! বয়ান মোটামুটি ওই একই ― বড়দের শুভ ৺বিজয়ার প্রনাম আর যেহেতু আমরা তখন ছোট তাই আশীর্বাদ জানানোর কেউ থাকতো না। তবুও কুঁচোকাঁচা ছোট ভাইবোনদের মনের আদর কলমের ডগায় উগড়ে দিতুম সে চিঠিতে!  ৺বিজয়ার চিঠি আসলে পুজোর ছুটির শেষে হাতের লেখা করিয়ে নেবার এক অলৌকিক ষড়যন্ত্র! ইচ্ছে নেই তবুও জোর করে ওই হাতের লেখা শুধু নয়, বানান, বাক্যগঠন সব কিছু সুকৌশলে করিয়ে নেওয়ার ফন্দি। এটা বুঝেছি অনেক পরে। আর যখন বুঝতে পেরেছি তখন কিন্তু সেই চিঠি পাঠানোর মানুষগুলো মনের মধ্যে গেঁথে গেছে। তখন যেন সত্যি সত্যি মন বলতো হোক না ওই পোস্টকার্ড বা ইনল্যান্ড লেটারের একচিলতে জমি, আমার খাস দখল তো থাকবে তাতে! জানেন, এখন আর কেউ ৺বিজয়ার চিঠি পাঠায় না! পুজো ...

অসবর্ণ ।। দেবাংশু সরকার

অসবর্ণ দেবাংশু সরকার       ইন্টারভিউ দেওয়ার পর অরূপের মনে হয়েছিল চাকরিটা হয়তো সে পেয়ে যাবে। বেশ ভালোভাবেই সে ইন্টারভিউতে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছিল। সেইসঙ্গে ক্যাশ হ্যান্ডেলের তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও বলেছিল। অরূপের মনে হয়েছিল ইন্টারভিউ বোর্ডে যারা ছিলেন তাদের হয়তো অরূপের কথাবার্তা বেশ ভালো লেগেছে। বারে বারে তাদের মাথা নাড়া, মুখের হাসি দেখে অরূপের মনে হয়েছিল তারা হয়তো অরূপের প্রতি কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট। বেসরকারি চাকরি হলেও এই অফিসটা সব রকম সরকারি নিয়মকানুন মেনে চলে। প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, বোনাস সব রকম সুবিধা কর্মচারীরা পায়। চাকরির শেষে পেনশনের ব্যবস্থাও আছে। হয়তো সরকারি চাকরির মত বড় অঙ্কের  পেনশন এই কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা পায় না। কিন্তু পেনশন বাবদ প্রতি মাসে কিছু টাকা তাদের হাতে আসে। মাহিনাও খুব একটা খারাপ নয়। অর্থাৎ সরকারি চাকরির মত অত সুবিধা না থাকলেও, তুলনামূলকভাবে খুব একটা খারাপও নয়। কিন্তু একটাই অসুবিধা তাকে বাড়ি ছেড়ে থাকতে হবে। কারণ এই অফিসটা অরূপের বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে। বাড়ি থেকে প্রত্যেক দিন অফিসে যাতায়াত করা সম্ভ...

ডাকবাক্সের আত্মকথা ।। হারান চন্দ্র মিস্ত্রী

ডাকবাক্সের আত্মকথা হারান চন্দ্র মিস্ত্রী পোস্ট অফিসে কিংবা পথের পাশে, আমরা ছিলাম চিঠিগুলোর আশে। সুখ ও দুঃখের কথা থাকত লেখা ভালোবাসার আতর যেত দেখা। মুঠোফোনের দাপট গেছে বেড়ে স্বপ্ন যত সব নিয়েছে কেড়ে। পত্র লিখে পাঠায় না কেউ মোরে ব্রাত্য জীবন কাটাই কেমন করে? ধীরে ধীরে যাচ্ছি উধাও হয়ে ভারাক্রান্ত স্মৃতি আঁকড়ে ধরে। কোন মানুষ কয় না আমায় ধরে - আবার তোকে নেব আপন করে। আমরা এখন বুঝে গেছি সহে প্রয়োজনের বড় কিছু নহে। সমকালের প্রয়োজনে থেকে বিদায় নিতে হবে ভূবন থেকে। ________   হারান চন্দ্র মিস্ত্রী গ্রাম ও পো: - আমতলা, থানা - ক্যানিং, জেলা - দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পিন - ৭৪৩৩৩৭

শিক্ষক ।। রাফেল ইসলাম

শিক্ষক মানে রাফেল ইসলাম   শিক্ষক মানে বুকে টেনে  দুর্দিনে দুঃখ ভোলান,  শিক্ষক মানে আন্তরিকতায় শিক্ষা করেন দান।  শিক্ষক মানে বিদ্যা দিয়ে  আঁধার দূর করে,  শিক্ষক মানে স্নেহের পরশে ছাত্র জীবন ভরে।  শিক্ষক মানে আদর্শের উৎসাহে  মেলে ভবিষ্যতের দিশা,  শিক্ষক মানে দরদ দিয়ে  বাঁচিয়ে রাখে আশা।  শিক্ষক মানে গ্রীষ্মের দিনে  মস্ত বটের ছায়া,  শিক্ষক মানে নিবিড় ভালবাসার  শান্ত ঊষার মায়া।  শিক্ষক মানে জ্ঞানের আলোয়  সমাজ গড়ে তোলে,  শিক্ষক মানে সঠিক পথের  মূল দুয়ার খোলে।।    =============           নাম-রাফেল ইসলাম।  গ্রাম-বাগান বেড়িয়া (বিড়লাপুর)। পোস্ট-চককাশিপুর।  থানা-নোদাখালি।  জেলা-দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।  পিন নম্বর-৭৪৩৩১৮.

বছরের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন: ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

সূচিপত্র  প্রবন্ধ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নবদ্বীপের রাস : মহাপ্রভু চৈতন্যদেব থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ।। বারিদ বরন গুপ্ত  প্রবন্ধ।। কবিতায় সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন ।। রণেশ রায় প্রবন্ধ ।। সুকান্ত ভট্টাচার্য: বিপ্লবী চেতনার কবি ।। বিচিত্র কুমার কবিতা ।। পরিযায়ী বৃষ্টি ।। সন্দীপ ভান্ডারী দুটি কবিতা : চয়ন দত্ত কবিতা ।। সমঝোতা ।। বিশ্বজিৎ বাউনা কবিতা।। ভালোবাসা।। অরুণ কুমার দাঁ কবিতা।। সময়ের গতিপথে ।। কেতকী বসু গ্রন্থ   আলোচনা।। অরবিন্দ পুরকাইত ।।  গ্রন্থ : বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের  "বাংলা সাহিত্যে মনুষ্যেতর প্রাণীকেন্দ্রিক ছোটগল্পের ধারা" ছোটগল্প।। হ্যাপি বার্থডে।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা।। অন্ধকার রাত জাগে।। অঞ্জন বল অনুবাদ কবিতা।। তুমি আসার আগে।। সুস্মিতা পাল দুটি কবিতা ।। রবীন বসু কবিতা ।। নতুন শাসন ।। মানস মণ্ডল কবিতা ।। শীত ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। সাঁঝবাতি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। চুপ কথা হৃদয়ে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য ছড়া ।। ভোর ।। বদ্রীনাথ ছোটগল্প ।। ফিরে পাওয়া ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। রূপ বদলায় ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। এভা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯০তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩২ আগস্ট ২০২৫

সূচিপত্র ------------- স্বদেশ-স্বাধীনতা বিষয়ক লেখা  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার কবিতা ।। অনিন্দ্য পাল স্বাধীনতা আন্দোলনে রাসবিহারী বসু অবদান ।। শ্যামল হুদাতী উড়ান কথা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্বপ্নের ভারত ।। সৌমিত্র মজুমদার আজ আর কদর নেই ।। সতুচট্টোরাম স্বাধীনতার কবিতাগুচ্ছ ।। অভিজিৎ হালদার শহিদ ব্রত ও অন্য দুটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর স্বাধীন হবো কবে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত দুটি কবিতা ।। তুষার স্বাধীনতা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ স্বাধীনতা মানে ।। পাভেল আমান বাংলা ভাষা : বাঙালি ।। অশোক দাশ বড়দি অপরূপা দেবীর জবানীতে ক্ষুদিরাম বসু ।। সমীর কুমার দত্ত স্বাধীনতা ।। কার্ত্তিক মণ্ডল আমার দেশ ।। বিপ্লব নসিপুরী ভারতমাতার বীর সন্তান ।। আশীষ কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার আলো ।। অঞ্জনা মজুমদার আমরা স্বাধীন ।। রাফেল ইসলাম নতুন ভারত । কল্যাণ কুমার শাণ্ডিল্য রণ স্বাধীনতার রঙ ।। সফিউল মল্লিক স্বদেশ ।। জীবন সরখেল ভারতবর্ষ ।। নিশান বর্মা শতবর্ষে সুকান্ত ভট্টাচার্য স্মরণে লেখা সুকান্ত ভট্টাচার...

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস

First row (left to right): Prafulla Nalini Brahma, Shanti Ghosh, Suniti Chowdhuri and Bina Das . Second row (left to right): Kamala Dasgupta, Suhasini Ganguly, Pritilata Waddedar and Sarojini Naidu.   Third row (left to right): Abha Maity, Sucheta Kripalini, Lila Nag and Abha Gandhi. Fourth row (left to right): Indusudha Ghosh, Kalpana Dutta, Aruna Asaf Ali and Matangini Hazra. Fifth row (left to right): Basanti Devi, Renuka Ray, Phulorenu Guha and Manikuntala Sen. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে  চেনা-অচেনা বরণীয় নারী হিমাদ্রি  শেখর দাস ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষের সাথে মহিলারাও কখনও অন্তরালে থেকে কখনও প্রকাশ্যে এসে লড়াই করেছেন।  মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে লাঠিখেলা, পিস্তল চালানো, রাত্রে ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে বেরানো, পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা, জেলে যাওয়া ছিল অত্যন্ত দুঃসাহসিক কাজ। তবু তৎকালীন সমজে কোনঠাসা হয়ে থাকা মেয়েরাও  নিজ নিজ জায়গায় থেকে দেশের সেবা করেছেন তা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতই দুরুহ কাজ। তাঁদের মধ্যে দু একজন রাজ পরিবারের হলেও বেশির ভাগই ছিল সাধারণ ঘরের অতি স...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ওপর গদ্য || শিশির আজম

'ছাড়পত্র'ই আজ আমাদের ছাড়পত্র (তারুণ্যের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের শততম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য) শিশির আজম ~~~~~~~~~~~~~~~~~~ সুকান্ত জন্মেছিলেন অগ্নিগর্ভ এক সময়ে। যখন মাতৃভূমি পরাধীন। পার্টি, মার্কসবাদ, সাহিত্য — কোন কিছুই তার কাছে আলাদা ছিল না। কবিতা একটি আর্ট ফর্ম। হ্যাঁ, সত্যি। এটা আরও সত্যি হয় যদি তা মানুষকে তাড়িত করে, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে, মানুষকে ভালোবাসায় প্ররোচণা দেয়। এই পথটাই বেছে নিয়েছিলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। এর ছাপ-তাপ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ছাড়পত্রে'র পাতায় পাতায় পাওয়া যায়। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। মনে রাখা দরকার, এর পূর্বে ১৯৪০-এ প্রকাশিত হয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'পদাতিক'। আর তারও পূর্বে ১৯৩৭-এ আমরা পেলাম দিনেশ দাসের 'কাস্তে'। নিশ্চয় এসবের উত্তাপ সুকান্তের চেতনায় ছাপ ফেলেছিল। কবিতা কখনো কখনো শ্লোগান হয়ে উঠতে পারে। হোক। এই শক্তি কবিরই আছে। নজরুলকে কি আমরা অগ্রাহ্য করতে পারবো? সুভাষ মুখোপাধ্যায় বা শামসুর রাহমানকে? পিকাসোর 'গুয়ের্নিকা' অথবা জয়নুলের 'দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা' কি 'আর্ট' নয়? হ্যা আপনি প্রশ্ন করতেই পা...

মাসের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...

শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান ।। কৃশানু ব্যানার্জী

প্রবন্ধ শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান কৃশানু ব্যানার্জী  মানবসভ্যতার ইতিহাসে শিক্ষার স্থান যে সর্বাপেক্ষা কেন্দ্রীয় ও নির্ণায়ক — এ বিষয়ে দ্বিধার অবকাশ নেই। কারণ শিক্ষা কেবল জ্ঞানের বাহনমাত্র নয় , বরং মানুষের আত্মস্বরূপের এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ , যা সমাজ ও সংস্কৃতির গতিপথকে নির্ধারণ করে। কিন্তু শিক্ষা কেমন ছিল অতীতে এবং কেমন হয়েছে বর্তমানকালে — এই অনুসন্ধান শুধু ঐতিহাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যালোচনার সীমায় আবদ্ধ নয় ; বরং এর ভেতরে নিহিত আছে এক গভীর দার্শনিক তাৎপর্য। "সেকাল" ও "একাল" — এই দুই কালের শিক্ষা পরস্পরকে নিরন্তর প্রশ্ন করে , কখনও বিরোধিতা করে , কখনও বা পরস্পরের ওপর দাঁড়িয়েই নিজের রূপ নির্মাণ করে। অতএব , শিক্ষার সেকাল-একাল তুলনায় আমাদের কেবল তথ্যের বিবরণ নয় , মানবজীবন ও সমাজচিন্তার প্রকৃত ভিত্তি উপলব্ধি করতে হবে। মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় শিক্ষা যে একটি অনিবার্য ও মৌল প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তথাপি 'শিক্ষা' শব্দটির নিতান্ত ভৌত বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাখ্যা একে পূর্ণাঙ্গ উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়। সংস্কৃত ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯০তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩২ আগস্ট ২০২৫

সূচিপত্র ------------- স্বদেশ-স্বাধীনতা বিষয়ক লেখা  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার কবিতা ।। অনিন্দ্য পাল স্বাধীনতা আন্দোলনে রাসবিহারী বসু অবদান ।। শ্যামল হুদাতী উড়ান কথা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্বপ্নের ভারত ।। সৌমিত্র মজুমদার আজ আর কদর নেই ।। সতুচট্টোরাম স্বাধীনতার কবিতাগুচ্ছ ।। অভিজিৎ হালদার শহিদ ব্রত ও অন্য দুটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর স্বাধীন হবো কবে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত দুটি কবিতা ।। তুষার স্বাধীনতা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ স্বাধীনতা মানে ।। পাভেল আমান বাংলা ভাষা : বাঙালি ।। অশোক দাশ বড়দি অপরূপা দেবীর জবানীতে ক্ষুদিরাম বসু ।। সমীর কুমার দত্ত স্বাধীনতা ।। কার্ত্তিক মণ্ডল আমার দেশ ।। বিপ্লব নসিপুরী ভারতমাতার বীর সন্তান ।। আশীষ কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার আলো ।। অঞ্জনা মজুমদার আমরা স্বাধীন ।। রাফেল ইসলাম নতুন ভারত । কল্যাণ কুমার শাণ্ডিল্য রণ স্বাধীনতার রঙ ।। সফিউল মল্লিক স্বদেশ ।। জীবন সরখেল ভারতবর্ষ ।। নিশান বর্মা শতবর্ষে সুকান্ত ভট্টাচার্য স্মরণে লেখা সুকান্ত ভট্টাচার...

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস

First row (left to right): Prafulla Nalini Brahma, Shanti Ghosh, Suniti Chowdhuri and Bina Das . Second row (left to right): Kamala Dasgupta, Suhasini Ganguly, Pritilata Waddedar and Sarojini Naidu.   Third row (left to right): Abha Maity, Sucheta Kripalini, Lila Nag and Abha Gandhi. Fourth row (left to right): Indusudha Ghosh, Kalpana Dutta, Aruna Asaf Ali and Matangini Hazra. Fifth row (left to right): Basanti Devi, Renuka Ray, Phulorenu Guha and Manikuntala Sen. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে  চেনা-অচেনা বরণীয় নারী হিমাদ্রি  শেখর দাস ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষের সাথে মহিলারাও কখনও অন্তরালে থেকে কখনও প্রকাশ্যে এসে লড়াই করেছেন।  মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে লাঠিখেলা, পিস্তল চালানো, রাত্রে ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে বেরানো, পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা, জেলে যাওয়া ছিল অত্যন্ত দুঃসাহসিক কাজ। তবু তৎকালীন সমজে কোনঠাসা হয়ে থাকা মেয়েরাও  নিজ নিজ জায়গায় থেকে দেশের সেবা করেছেন তা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতই দুরুহ কাজ। তাঁদের মধ্যে দু একজন রাজ পরিবারের হলেও বেশির ভাগই ছিল সাধারণ ঘরের অতি স...

বাংলা ভাষা সাহিত্যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার ।। শুভ জিত দত্ত

বাংলা ভাষা-সাহিত্যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার শুভ জিত দত্ত   বাংলা ভাষাসাহিত্যে পরোক্ষভাবে যাঁর অবদান অতুলনীয়, সেই প্রজ্ঞাবান পণ্ডিত জয়গোপাল তর্কালঙ্কার। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮২৪ সালে কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে জয়গোপাল সেখানে সাহিত্যে কাব্যের অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত হন এবং সুদীর্ঘ বাইশ বছর অধ্যাপনা করেন। সেখানে তাঁর ছাত্রদের মধ্যে পরবর্তীকালে যাঁরা বিখ্যাত হন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,মদনমোহন তর্কালঙ্কার। জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের জন্ম রেলপথের শিবনিবাস স্টেশন থেকে আট ক্রোশ পূর্বে, নদীয়া বর্তমানে , বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলাতে বজরাপুর গ্রামে এক প্রাচীন বারেন্দ্র বংশের আবাসস্থল ছিল। এই বংশ শুদ্ধাচার ও সিদ্ধশ্রোত্রীয় ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ ছিল এবং পরবর্তী সময়ে বাসস্থান, নামকরণ ও কর্মসূত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটলেও তাদের গৌরবময় পরিচয় অক্ষুণ্ণ থেকেছে। এই বংশে বহু দেশপ্রসিদ্ধ মহামহোপাধ্যায় ও পণ্ডিত জন্মগ্রহণ করেছেন, যাঁদের কীর্তি বাংলার জ্ঞান-সাধনার আঙিনাকে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নাটোর মহারাজের দ্বার পণ্ডিত কেবলরাম তর্কপঞ্চানন এবং তাঁর...

স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী

রানী গাইডিনলিউ স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি  প্রণব কুমার চক্রবর্তী           ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু কিছু পরিচিত মুখ আর ঘটনার সমষ্টি নয় । এর গভীরে লুকিয়ে আছে অজস্র গল্প, অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ, এবং ছোট বড় অসংখ্য বিদ্রোহের কাহিনী । সংক্ষেপে এই বিশাল সংগ্রামকে তুলে ধরা কঠিন । তবে, চেষ্টা করে কিছু দিক নিয়ে আজ আলোচনা করা যাক ।           আমরা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এবং ব্যক্তিত্ব বলতে সাধারণত মঙ্গল পান্ডে, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো ব্যক্তিদের কথা এবং তাদের লড়াইয়ের কথা বলে থাকি । কিন্তু, এই সংগ্রামের পটভূমি রচিত হয়েছিল আরো বহু বহু আগে - যেখানে স্থানীয় কৃষক উপজাতি এবং সাধারণ মানুষের বিদ্রোহ ছিল এর প্রথম বীজ । ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ আন্দোলনকে প্রায়সই আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রথম লড়াই হিসাবে বলা হয়ে থাকে । তবে এর আগেও আমাদের দেশে  ফরাসি এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল । সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৫ - ৫৬ সাল),  সন্ন্যাসী বিদ্রোহ (১৭৭০ - ১৮...

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ওপর গদ্য || শিশির আজম

'ছাড়পত্র'ই আজ আমাদের ছাড়পত্র (তারুণ্যের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের শততম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য) শিশির আজম ~~~~~~~~~~~~~~~~~~ সুকান্ত জন্মেছিলেন অগ্নিগর্ভ এক সময়ে। যখন মাতৃভূমি পরাধীন। পার্টি, মার্কসবাদ, সাহিত্য — কোন কিছুই তার কাছে আলাদা ছিল না। কবিতা একটি আর্ট ফর্ম। হ্যাঁ, সত্যি। এটা আরও সত্যি হয় যদি তা মানুষকে তাড়িত করে, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে, মানুষকে ভালোবাসায় প্ররোচণা দেয়। এই পথটাই বেছে নিয়েছিলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। এর ছাপ-তাপ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ছাড়পত্রে'র পাতায় পাতায় পাওয়া যায়। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। মনে রাখা দরকার, এর পূর্বে ১৯৪০-এ প্রকাশিত হয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'পদাতিক'। আর তারও পূর্বে ১৯৩৭-এ আমরা পেলাম দিনেশ দাসের 'কাস্তে'। নিশ্চয় এসবের উত্তাপ সুকান্তের চেতনায় ছাপ ফেলেছিল। কবিতা কখনো কখনো শ্লোগান হয়ে উঠতে পারে। হোক। এই শক্তি কবিরই আছে। নজরুলকে কি আমরা অগ্রাহ্য করতে পারবো? সুভাষ মুখোপাধ্যায় বা শামসুর রাহমানকে? পিকাসোর 'গুয়ের্নিকা' অথবা জয়নুলের 'দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা' কি 'আর্ট' নয়? হ্যা আপনি প্রশ্ন করতেই পা...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন: ...

স্মৃতির আলোয় শিলিগুড়ি স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট ।। চন্দন দাশগুপ্ত

স্মৃতির আলোয় শিলিগুড়ি স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট    চন্দন দাশগুপ্ত            সালটা ছিল ২০০৫। বদলীর অর্ডারটা পেতেই মন ভাল হয়ে গেল। গত তিনবছর আমি জলপাইগুড়ি জেলার শ্রমদপ্তরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলাম। এবার আমাকে বদলী করা হয়েছে শিলিগুড়ির স্টেট লেবার ইন্সটিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টরের পদে। আমার বাড়িও শিলিগুড়িতে। সুতরাং আরো ভাল করে কাজ করা যাবে।         এই স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট ( সংক্ষেপে এস.এল.আই ) ১৯৫৪ সালে কলকাতায় কাঁকুরগাছিতে স্থাপিত হয়। ১৯৯৫ সালে এর একটি শাখা খোলা হয় শিলিগুড়িতে। প্রথমে কলেজ পাড়ার ভাড়া বাড়িতে থাকলেও ১৯৯৮ সালে এটি চলে আসে শিলিগুড়ির উপকন্ঠে দাগাপুর চা বাগানের পাশে, পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের গাছপালা ঘেরা অনবদ্য প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত নিজস্ব বাড়িতে। এটি মূলতঃ একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে বছরের বিভিন্ন সময়ে শ্রম দপ্তরের আধিকারিক, পরিদর্শক এবং অন্যান্য কর্মীদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাছাড়া এখানে অত্যন্ত সুলভে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড লেবার ওয়েলফেয়ারের একটি এক বছরের পোস্ট...

শব্দ ।। সনৎকুমার নস্কর

শব্দ সনৎকুমার নস্কর  কিছু কিছু শব্দ থাকে সুইচের মতো।   হাত দিলেই দপ্ করে জ্বলে ওঠে ব্যঞ্জনার আলো।  তখন দেখে নিই অন্তর-বাহির                  গহন আঁধারে ঢাকা পথ   শব্দ সে পথের সঙ্গী হয়৷     উপনিষদের কবি শব্দকে বলেন 'শব্দব্রহ্ম',  যখন সে দিগন্তবিস্তারী ---                    কথাটার মানে খুঁজে পাই সেসময়   গর্ভের গভীরে উচ্চারিত ধ্বনি জাগিয়ে তোলে                            আমূল  আর্তনাদ৷   শব্দেই কি শব্দের শেষ?   তারও কি নেই আত্মার মতো                       জীবনের অন্তহীন পথ?   এক হৃদয় থেকে আর এক হৃদয়ে                     সে তো করে ক্লান্তিহীন পরিক্রমা  আমাদের বাসনা-বিশ্বে সে তোলে ঝড়  আবেগমায়া দেয় ছড়িয়ে বাক্ স্পন্দের পর  অবশ্য...