Skip to main content

Posts

মুক্তগদ্য ।। বলিদান ।। দীননাথ চক্রবর্তী

         বলিদান দীননাথ চক্রবর্তী বলিদান এর মধ্যে ভীষণভাবে থাকে ভোরের রাঙা সূর্যের ভাবনা। এই ভাবনায় জারিত নব প্রাণ -এর ভ্রূণ। এক কথায় কোন মহৎ উদ্দেশ্যকে গড়ে তোলা। কোন কিছু গড়ে তোলার জন্য দরকার তিনটি জিনিসের। এক ভাবনা। ভাবনা প্রাণ পায় বিশ্বাসে। আর বিশ্বাস প্রাণ পায় প্রত্যয় থেকে। তবেই একটা জিনিস গড়ে ওঠে। আগস্ট মাস সেই ভাবনার মাস। বিশ্বাস প্রত্যয় এর মাস। আগস্ট মাস স্বাধীনতার মাস। জীবনে স্বাধীনতার মত পরম সঙ্গী কিছু হতে পারে না।  সেই স্বাধীনতা লালিত পালিত হয় জন্মভূমিতে। সেই জন্মভূমির শৃঙ্খলে লংঘিত হয় স্বাধীনতা। জীবন তখন মরনেরই নামান্তর। সেই জন্মভূমি শুধুমাত্র ভৌগলিকতায় সীমাবদ্ধ নয়। সমাজও সেই স্বাধীনতার ক্ষেত্র। মনের স্বাধীনতা না থাকলে পূর্ণতা পায় না সে স্বাধীনতা। বীর শহীদদের বলিদান তখন অর্থহীন হয়ে পড়ে। আজকে যেন তারই ইঙ্গিত। সকলকে বুঝতে হবে স্বাধীনতা মানে শুধু অধিকার নয়, কর্তব্যও। ====================== দীননাথ চক্রবর্তী কল্যাণীকুঞ্জ গ্রাম ও পোষ্ট, দুইলা, জেলা, হাওড়া সূচক,711302

মুক্তগদ্য ।। অগ্নিকন্যা ।। সুচন্দ্রা বসু

অগ্নিকন্যা সুচন্দ্রা বসু    দুধ আনতে বেরিয়েছিলাম সকালে। শুনলাম আজ স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর উপলক্ষ্যে স্বদেশী গান বাজছে মাইকে। তা ছাপিয়ে এক অদৃশ্য স্বর এসে কানে ধাক্কা দিল। শুনলাম গান্ধীজী যেন কাকে ডেকে বললেন, কোথায় গেলি কমলা? লবণ আন্দোলনে আমার সঙ্গে ছিলি তোকে কি ভুলতে পারি? তাকিয়ে দেখলাম নেতাজীও গান্ধীর পেছনে চলেছেন । দেশবাসী জানে ব্রিটিশ পরাধীনতার শিকল ভাঙতে তোমার নেতৃত্বে, 'আইন অমান্য' ও 'অসহযোগ আন্দোলন'- 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের ঢেউ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে। কথাগুলো কানে যেতে মুখ ঘুরিয়ে গান্ধী বিস্মিত, সুভাষ তুমি?  আপনাকেই খুঁজছি বাপু।  জানতে চাইছিলাম  যেসব সংগ্রামী জনগণ দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিল, যাদের তাজা রক্তে ভারত স্বাধীন হয়েছে,তাদের কথা কি মানুষ  মনে রেখেছে?  এইদিনে কমলাকেও শ্রদ্ধা জানানোর কথা দেশবাসীকে বলতেই তো রেড রোডের দিকে যাচ্ছিলাম।  বাবা সরকারি আমলা হলেও,মা গিরিজাবাই  ছিলেন  স্বাধীনচেতা মহিলা। মায়ের আদর্শে কমলা উদ্বুদ্ধ ।  বাড়িতে আনাগোনা ছিল মহাদেব গোবিন্দ রানাডে, গোপাল কৃষ্ণ গোখলে, অ্যানি বেসান্ত, রাম...

কবিতা ।। স্বাধীনতা ।। অনিন্দ্য পাল

স্বাধীনতা  অনিন্দ্য পাল  এক.  স্বাধীনতা  এনার বয়স এক এক দেশে এক এক রকম  ভারতে মাত্র পঁচাত্তর কি ছিয়াত্তর  পৃথিবীর বয়স যদি নাও ধরি  মানুষের বয়সের তুলনায় ইনি নিতান্তই  শিশু  এখনো প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় নি  ভাষা শিক্ষাও হয় নি এখনো পুরোপুরি  তবে ইতিমধ্যেই ইনি যেটা খুব ভালো শিখেছেন  সেটাকে ফুটপাতের ভাষায় বলে বাজার  এই দেশে এখন বাজার হয়েছে দেবতা  তার লাল চোখে ভয় পায় রাজা এবং প্রজা  কী বললেন?  রাজা নেই?  প্রজাও নেই?  কে বলে?   দিব্বি আছে রাজা  প্রজারাও আছে বেশ  অলিতে গলিতে মাঠে ঘাটে নগরে বন্দরে  কাগজে টিভিতে আছে কালো চুল বা পক্ককেশ  রাজারা আছেন সভায়, ভবনে এবং চেয়ারে  রাজাদের নাম লেখা থাকে অনেক উঁচুতে যত্নে এবং কেয়ারে  মঞ্চ আলো করে এসে বসেন সম্রাট  কত প্রজা আছে তাঁর সীমানায় গুনে নেন রাজপাট  তবে বলতে পারো মুকুটের দিন শেষ  বলতে পারো প্রজাদের গলাটা একটু উঁচু এখন  জিরাফের মত না হলেও পৌঁছে যাচ্ছে  কুর্সির হাঁটুর কাছে,  কিন্তু ব্যস্ ওটুকু...

কবিতা ।। আগস্ট এলেই ।। বদরুল বোরহান

আগস্ট এলেই বদরুল বোরহান  আগস্ট এলেই বুকের ভেতর কষ্ট জেগে ওঠে,  চোখ দুটোতে অস্বাভাবিক অশ্রুধারা ছোটে। কষ্টগুলো এলোমেলো এবং আড়াআড়ি,  বুকের ভেতর সন্ধ্যে-সকাল করে বাড়াবাড়ি।  আগস্ট এলেই বুকের ক্ষতে কান্না জেগে ওঠে,  তখন আমার হুঁশ থাকে না, জ্ঞান থাকে না মোটে। আমি তখন যাই হারিয়ে হাজার স্মৃতির ভীড়ে, স্মৃতির পাতায় দুখ জাগানি ব্যাথার বাঁধন ছিঁড়ে। আগস্ট মাসে অজানা এক অনুভূতি এসে, আমার সকল চিন্তাধারা একদিকে যায় ভেসে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি,  উদাস বাউল এই আমাকে বানায় শিল্পী, কবি।                      ---------------------- বদরুল বোরহান  ফ্ল্যাট নং-৬০২, বিল্ডিং নং-১  জাপান গার্ডেন সিটি  আদাবর, মোহাম্মদপুর। ঢাকা-১২০৭

কবিতা ।। স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় ।। দেবযানী পাল

স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় দেবযানী পাল স্বাধীনতা শব্দটায় একটা উন্মাদানা আছে যা আমাদের প্রাণ স্পন্দন আরও বাড়িয়ে দেয়। ২০০ বছরের অভিশাপগ্রস্থ পরাধীনতার হাত থেকে যেদিন আমরা মুক্তি পাই ইংরেজদের শাসন কোলাহল থেকে, ভেবেছিলাম আমরা এবার বোধহয় স্বর্গরাজ্যে বাস করব, এমন অদ্ভুত অনুভূতি আমাদের ভারতবর্ষের প্রত্যেকের মনে জাগ্রত হয়েছিল। কিন্তু হায়রে স্বাধীনতা, যা আজ লোহার বেষ্টনীর মতন আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে। স্বাধীনতার কপটতায় আজ চোর সাধু, মেয়ে পুরুষের পাশ্চাত্যের ঔদ্ধত্য উগ্রতা আজকে বল্গাহীন, আজ মাতৃভাষা সাবেকি, যেখানে ইংরেজি ভাষা যুগান্তর সৃষ্টি করেছে। হে আমার ভারত মা,তোমার কি এটাই কাম্য ছিল নাকি পরাধীনতার শৃংখল সেটা তবু অনেক ভাল ছিল? বিপ্লব বিপ্লবীদের ইতিহাস আজ বইয়ের পাতায় যা শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতায় নম্বর আদান প্রদান করে। ধর্ষণ, খুন,রাহাজানি,রাজনৈতিক হিংসা আজ ভারতের মাটিকে কালিমা লিপ্ত করেছে। হে ভারত মা, পরাধীনতার আঁচলের নিচে তবু তো তোমার নিজস্বতা ছিল ওই দেশপ্রেম, আজ স্বাধীনতার তীব্র যাতনায় তুমিও ওই স্বাধীনতা সংগ্রামীর মতো বলো, ইংরেজের চাবুকটাই ঠিক ছিল। এ কোন্ সকাল রাতে...

অণুগল্প ।। তরাস ।। চন্দন মিত্র

তরাস চন্দন মিত্র ভোট শেষ হয়েছে। গণনাও শেষ। গতকাল ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। স্কুল-কলেজ-অফিস-কাছারি যথারীতি খুলে গেছে। ট্রেন থেকে নেমে অটো-ড্রাইভারের বামপাশের সিটে বসে প্রতিদিনের মতো বাঁদিকের দৃশ্য দেখতে দেখতে যাচ্ছি। একজন যাত্রী হাত দেখালে গাড়ি থেমে যায় । ছাড়ার আগেই   এক বন্ধ দোকানের দরজায় একটি নিরুদ্দিষ্ট বিজ্ঞাপনে চোখ পড়ে — একটি কিশোরীর ছবি। কিছুক্ষণ পরে আবারও গাড়ি থামে এক যুবক নেমে যায়। সেই ফাঁকে আমার চোখ টেনে নেয়   ল্যাম্পপোস্টে সাঁটানো আর একটি নিরুদ্দিষ্ট বিজ্ঞাপন; পাশাপাশি একটি বালক ও একটি যুবকের ছবি। অফিসের স্টপেজে নেমে পড়লাম। যে দোকানে প্রতিদিন চা খাই, সেই দোকানের দেয়ালেও দেখি এক দম্পতির ছবি সম্বলিত একটি বিজ্ঞাপন । সব বিজ্ঞাপনগুলি বেশ স্পষ্ট ঝকঝকে সম্ভবত গতকাল সন্ধ্যায় অথবা আজ সকালে সাঁটানো হয়েছে। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক আমি , চা হাতে নিয়ে একটি সিগারেট ধরিয়ে ফেলি। যতদূর মনে পড়ে বিগত বছর দশেক আমি সিগারেট ছুঁইনি। ================ চন্দন মিত্র ভগবানপুর (হরিণডাঙা) ডায়মন্ড হারবার , দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা। ...

কবিতা ।। জলবাতাস ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

জলবাতাস অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় একটা দৃশ্যমান রেখা তার ওপর এখন কাঁটাতার প্রায় শতবর্ষের কাছে কাঁটাতারের এদিকে... সেই কবে ফেলে আসা ভূমিখণ্ড তবুও হৃদয়ের ওপর কখনও কখনও রেখাচিত্র পাবনা কলোনি রোড় এঁকে বেঁকে চলে গেছে চাকদহ থেকে পায়রাডাঙা... সেই কবে ছেড়ে আাসা পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া... এরকম বহু জন পথ তবুও পিঠের ওপর এক যন্ত্রণা হেঁটে যেতে যেতে দোকানের সাইন বোর্ড দেখে আর বিড় বিড় করে উচ্চারণ করে রাস্তার নাম তখন পুরোনো ভূমিতল থেকে উড়ে আসে এক টুকরো মেঘ ও জলবাতাস... ======================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০  

কবিতা ।। স্বাধীনতা তুমি কার ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়

স্বাধীনতা তুমি কার হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাধীনতা তুমি কার রাস্তা যেমন কারো বাবার নয় প্রতিবাদও তেমন কারো একার নয়,  স্বাধীকার, স্বাধীনতা তাহলে  তুমি কার ছাব্বিশে জানুয়ারী  নাকি পনেরই আগষ্টের তেরঙ্গা পতাকার  ভালবাসার সাথে দলবেঁধে গুন্ডামির কোনও স্থান  থাকা উচিত নয় আপনি আপনার মতো প্রতিবাদ করুন সত্যের পক্ষে ন্যায়ের পক্ষে মানবতার পক্ষে কথা বললে আপনার পিছনে বাউন্সার লেলিয়ে দেবে এতো শুধু একালের নয় সর্বকালেই ছিল দ্য ভিঞ্চি অথবা গ্যালিলিওকে কি না করেছিল... আহা স্বাধীনতা তুমি বিনয় বাদল  ক্ষুদিরাম  তুমি  সুভাষ  বোসের  স্বাধীনতা তুমি বীর শহিদের গোলাপে যদি কাজ না হয় রাইফেল তুলতে হতে পারে হাতে, ভিয়েতনাম কিম্বা কম্বোডিয়া কিউবা কিম্বা তিউনিসিয়া নিয়ে কথা হতে পারে কিন্তু যখনি হাঁসখালি কিম্বা ফুলবাগান নিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ জৈন খ্রীষ্টান তখন এক বাড়ির দেওয়ালে বড় বড় করে লিখে দিয়ে যাবে ...এসব চলবে না... তখন, তখন স্বাধীনতা তুমি কার  একশ পঞ্চাশ কেস , তিনশ পঞ্চাশটা আইনভঙ্গ সাতশ তিরিশটা দুর্ব্যবহার ...বন্ধুবান্ধব সব একে একে কেটে পড়বে ...আরবি ফার্সি বা ...

কবিতা ।। শব্দ ওঠে ।। সুমিত মোদক

শব্দ ওঠে সুমিত মোদক আকাশের নাম দিয়ে ছিলাম হৃদয় ; আর বাতাসের নাম সুখ ; অথচ , মাটির কোনও নাম দেওয়া হয়নি ; কারণ , মাটি যে আমার মা … আকাশে এখন গভীর কালো মেঘ ; বাতাসে এখন কেবল মৌনতা … স্রোতের বিপরীতে হাল টানে নৌকার মাঝি , পথ চেয়ে বসে আছে মা … পাড়া-গাঁয়ে এখনও অন্ধকার ; অথচ , তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালে আটপৌরে বউ ; মরদ যে তার মিছিলে মিছিলে হাঁটে … দাওয়ায় বসে কে যেন পড়ছে সম্রাট অশোকের ইতিহাস , ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ … আমি যে কেবল পথিকের সঙ্গে হাঁটি  যুগ থেকে যুগান্তরের পথে ; সারা শরীরে সোঁদা মাটির গন্ধ … হঠাৎ করে ঝড়ের পূর্বাভাস ; উড়ন্ত পাখিরা আশ্রয় টুকু খুঁজে নিতে চায় ; আমার মা আকাশে ওড়ায় পতাকা ; সেখানেও শব্দ ওঠে – পতপত…পতপত …

ছড়া ।। স্বাধীনতা ।। বিদ্যুৎ মিশ্র

স্বাধীনতা  বিদ্যুৎ মিশ্র বীর শহিদের বলিদানে  রক্তে রাঙা পথ ভুলিনি আজ আগুন ছুঁয়ে  নিয়েছি যে শপথ। কতো কতো মাতৃ আঁচল  শূন্য হলো ঘরে বিধবাদের চোখের জলে  ব্যথায় হৃদয় ভরে । পিতৃহারা অবোধ শিশুর  কান্না শুনে লোকে অস্ত্র যখন তুলে নিল  ভুলে নিজের শোকে । প্রতিবাদের মশাল জ্বেলে  স্বাধীনতার জন্য  বলিদানের পর্বে লেখা  বাংলা আমার ধন্য । ================ বিদ্যুৎ মিশ্র কাশীপুর, পুরুলিয়া।

ছড়া ।। স্বাধীনতা দিবস পালন ।। অমরেশ বিশ্বাস

স্বাধীনতা দিবস পালন অমরেশ বিশ্বাস  বলবে না কেউ আজকে কারো দুঃখ শোকের কথা মন দিয়ে আজ পালন করো দেশের স্বাধীনতা। বুকের কথা ভুলেও মুখে আনবে না কেউ আজ স্বাধীনতা শুনতে পেলে পাবে খুবই লাজ। স্বাধীনতা এসেছিল  প্রাণের বিনিময়ে  নেই ইংরেজ তবু দেখি মানুষ আছে ভয়ে। নির্বাসনে আছে আজও  কত মুখের হাসি  স্বাধীন দেশে কত মানুষ  কেন ফুটপাথবাসী? কত আশা নির্বিচারে  যায় অকালে ঝরে কত মানুষ পায় না খেতে দুইবেলা পেট ভরে। স্বাধীনতা দিবস পালন  করছি সবাই আজ  পণ কর আমরা ঘোচাব ভারত মাতার লাজ।

ছড়া ।। স্বাধীনতা স্বাধীনতা ।। গোবিন্দ মোদক

স্বাধীনতা! স্বাধীনতা!! গোবিন্দ মোদক   স্বাধীনতা মানে স্ব-অধীনতা, পরাধীনতার মুক্তি, লক্ষ ঝিনুক মাঝে যেমন একটি আসল শুক্তি।   স্বাধীনতা মানে নিজের শাসন, নিজের নিয়ম নীতি, পূর্ণ মনের উৎসাহ ভরা, নেই শোষণের ভীতি।   স্বাধীনতা সেই মহার্ঘ্য যা অনেক কষ্টে পাওয়া, দু'শো বছরের পরাধীনতা শেষে নিজেদের গান গাওয়া।   কতো না আত্মত্যাগে আর রক্তের বিনিময়ে, দেশপ্রেমিক বিপ্লবীরা প্রাণ দেয় শয়ে-শয়ে।   অবশেষে আসে স্বাধীন-সকাল, মুক্ত পাখির গান, আবেগে কবি লিখে ফেলে স্বাধীন দেশের গান।   স্বাধীনতার নবচেতনায় জেগে ওঠে দেশবাসী, স্বাধীন দেশের দেশমাতৃকা হাসেন মধুর হাসি।   মুক্তকণ্ঠে গাও আজ ভাই স্বাধীনতারই গান, দেশপ্রেমের অরুণ আলোয় জাগুক সকল প্রাণ॥ ============================= গোবিন্দ মোদক।  রাধানগর, ডাক- ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর, নদিয়া।  পশ্চিমবঙ্গ, ভারত,

কবিতা ।। জেগে আছে সময় ।। কাকলী দেব

জেগে আছে সময়      কাকলী দেব  উড়ে যাওয়া সময়ের হাত ধরতে চাই  বিফলতার অনুভবে, বসে আছি আজও -- ব্যথাদের গায়ে হাত বোলাই,  মনোনিবেশ সহকারে!  তবু জীবন  কেটে যায়, সময়  কাটে না! সবার জীবনেই একবার তুমি এসে দাঁড়াও  মানুষের ছদ্মবেশ বলে, আমরা চিনতে পারি না! সেই মহার্ঘ্য সময় শেষ হলে, চেতনা জাগে-- তারপর শুধুই খুঁজে ফেরা, সময় দ্রুত ফুরায়, হায়! যে সময়কে জীবন বলে, তার কতটুকুই বা, প্রকৃত নিজের! সহজ সরল আনন্দ  হারিয়ে যায়!                 =========  

কবিতা ।। সেদিন আমরা ।। বদ্রীনাথ পাল

সেদিন আমরা বদ্রীনাথ পাল এই স্বাধীনতা চাইনি আমরা রক্তের বিনিময়ে- যেখানে মানুষ রবে চিরকাল অন্ধ ও বোবা হয়ে। স্বার্থান্বেষী মানুষজনেরা শুধু গরীবের বুকে- লাথি মেরে যাবে দিবস রাত্রি স্বার্থসিদ্ধি সুখে। অন্নের মুখ দ্যাখে নাকো যারা অন্ন যোগায় পেটে- স্কুল ছেড়ে কেন সন্তান তার ইটভাটা যায় হেঁটে ? রক্তের হোলি কেন খেলা হয় ধর্ম জিগীর তুলে- বেকার যুবক পড়ে মার খায় সেও বলো কার ভুলে ? যেদিন মানুষ ভরা পেটে রবে-বসন জুটবে গায়ে, দিনের শেষে ফিরে যাবে ঘরে হাসিমুখে পায়ে পায়ে- খুশির প্রদীপ জ্বলবে যখন কারো কারো ভাঙা ঘরে- সেদিন আমরা স্বাধীনতা- গান গাইবো হৃদয় ভরে। ---------------------------------  বদ্রীনাথ পাল বাবিরডি, পোস্ট-গৌরাংডি, জেলা-পুরুলিয়া

কবিতা ।। স্বাধীনতা ।। আশীষ হাজরা

স্বাধীনতা  আশীষ হাজরা ও ফেলানী  ঐ দেখ স্বাধীনতার পতাকা  ঐটা আমার দেশের পতাকা  আমরা এখন স্বাধীন । ও বৌদি, বোঁদে কখন দেবে গো  ছেলেটা আর কথা শুনছে না, ঘরকে যেতে হবেক রান্নার কাঠ নাই  চাল আছে- আনাজ নাই  ঘরে রুগী ওষুধ নাই, কখন শেষ হবেক  তোমাদের স্বাধীনতা।।

কবিতা ।। প্রলয় ।। হামিদুল ইসলাম

প্রলয় হামিদুল ইসলাম       খুব সহজেই পেরিয়ে যাই অতলান্ত ভূবন কথার জমিনে গেঁথে রাখি স্বপ্ন দুচোখে মায়া ঘুমঘোর আজও নীরব ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে পথের ঈশ্বর   ।। সেজে ওঠে চৌরঙ্গী শাওণে ভেসে যায় রাত তবু বৃষ্টি নেই কতোদিন হৃদয়ের আঙিনায় খাঁ খাঁ শূন্য মাঠ   ।। কথা দিয়ে আঁকি কথার বসত সব কথা হয়ে ওঠে নিষ্ফল আবেদন সব কথা হয়ে ওঠে উদাস দলিত সময়ের বুক চিরে বেরিয়ে আসে ঝড়ের সংকেত   ।। ঝড় ঝড় কথা ঝড় ঝড় যুদ্ধের বার্তা ঝড়ের বুকে প্রলয় আঁকে নিরন্ন মানুষের কান্না    ।। ------------------------------------------------------------------------ হামিদুল ইসলাম গ্রাম +পোষ্ট = কুমারগঞ্জ। জেলা =দক্ষিণ দিনাজপুর।

কবিতা ।। জোনাকি ।। নিরঞ্জন মণ্ডল

জোনাকি নিরঞ্জন মণ্ডল যখন সবে হচ্ছে সাকার এই জগতের মায়া চোখের তারায় আঁকছি আকাশ মাটির অমল কায়া ভাবনা জুড়ে দিচ্ছে নাড়া জোয়ার নদীর ঢেউ দেখতে পেলেম নিপাট একা নেইকো পাশে কেউ। বাবা মায়ের সরব ছবি নিটোল হওয়ার আগে 'নেইকো তারা'-এই কথাটাই চেতন জুড়ে জাগে ; এই জগতের দুঃখ খুশির সকল বাঁধন ছিঁড়ে হারিয়ে গেল কোন ইসারায় নিরুদ্দেশের ভিড়ে! শরীর জোড়া যন্ত্রনাতেও পাই না কাজে ছুটি, ঘুম জড়ানো দু'চোখ তবু কোন সকালে উঠি দিনের হাজার কাজের মাঝেই ঘুমিয়ে পড়ি যেই লুটিয়ে জাগি ভুঁয়ের 'পরে,হারাই বাঁচার খেই! ভাবনা জুড়ে বাবা মায়ের পরশ খোঁজার ফাঁকে ককিয়ে উঠি চুপ-যাতনায় নতুন সে এক বাঁকে বাঁচতে চেয়ে, চোখের জলেই রাতটা আসে নেমে বেঁচে থাকার স্বপ্ন ছিঁড়ে ভাবনারা যায় থেমে। শরীর জোড়া ঘুম কেড়ে নেয় ভুখা পেটের জ্বালা শিথান পাশে আলতো জাগে গরম ভাতের থালা বুক জুড়ানো গন্ধতে তার হাতটা বাড়াই যেই ঘুম ছুটে যায় পিচ-আঁধারে,কোত্থাও কেউ নেই! চোখ-নাগালে জোনাক কিছু মিটমিটিয়ে জ্বলে মার আঁচলের গন্ধ ছড়ায় হাওয়ার চলাচলে। পিঠের 'পরে বুকের 'পরে বাবার পরশ পাই, নাগাল পেতে যেই চেয়েছি আর সে ছোঁয়া নাই! পথের পাশের হট্টমেলায় কাজ এড়িয়ে যাই ...

কবিতা ।। স্বাধীন দিনে ।। বিবেকানন্দ নস্কর

স্বাধীন  দিনে বিবেকানন্দ নস্কর স্বাধীনতা দিনটা এলে ঘোরের মধ‍্যে থাকি পিছন ফিরে জলভরা চোখ,তাকেই কাছে ডাকি। স্বাধীনতায় কি এসে যায়, ভাবছে যারা ফাঁকি স্বাধীন দিনে সুখের  আলোয় ভরলো তাদের  আঁখি । অনেক অভাব অনেক দাবী অনেক অভিযোগ  সবার মনে লুকিয়ে  আছে যাপনের দুর্ভোগ । তবুও স্বাধীন  ভাবলে মনে অন‍্য রকম জোর দুচোখ মুগ্ধ তাকিয়ে  দেখি স্বাধীন দিনের ভোর । পিছিয়ে  যারা অন্ধকারে হাঁটছে কাঁটা পথ উল্টো স্রোতে এগিয়ে  চলে অন‍্যরকম মত । দেশের কথা দশের কথা  তাদের  কাছে টানে ভুলকে ছেড়ে ফুল বুকে নেয় নিজের  স্বাধীন দিনে । আত্মত‍্যাগের গাথাবলী স্মরণ করে খুশি ছড়ায় আলো সবার মুখে স্বাধীনতার হাসি । স্বাধীনতার স্বপ্প আলো মগ্ন শহীদ  স্মৃতি স্বাধীন দিনে স্বাধীন ভেবে অন‍্য অনুভূতি ।

ছড়া ।। শিকল ভাঙার গান ।। বাসুদেব সরকার

শিকল ভাঙার গান  বাসুদেব সরকার  নিরীহ সব মানুষের পা'য় শিকল পরায়, বাঁধে-  স্বাধীনতা আঁতুড় ঘরে  বন্দি হয়ে কাঁদে।  স্বাধীনচেতা মানুষগুলো  শিকল ফেলেন ছিঁড়ে,  স্বাধীনতার জন্য ব্যাকুল   প্রাণপণে যান লড়ে।  ক্ষুদিরাম ও নেতাজীদের  শিকল ভাঙার গানে,  বাঙালিরা ওঠেন জেগে  শক্তি সাহস মনে।  অবশেষে শিকল ভেঙে  বাঙালিদের জয়,  বিদায় হলো ব্রিটিশ বর্গী  নেই কোনো আর ভয়।  ================= ◾বাসুদেব সরকার,  চরভৈরবী, হাইমচর, চাঁদপুর, বাংলাদেশ।

ছড়া ।। আসল স্বাধীন হবো ।। জগদীশ মন্ডল

আসল স্বাধীন হবো  জগদীশ মন্ডল মুক্তির জন্য জান দিয়েছে আমার দেশের ভাই, স্বাধীন হয়ে স্বাধীন দিনে তাদেরই গান গাই। স্মরণ করি বীর যোদ্ধাদের যাদের অবদানে, ইংরেজ শৃংখল মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা আনে। উড়িয়ে দিই বিজয় কেতন দেশের ভবিষ্যৎ, ত্রিবর্ণ রঙ পতাকাটি এগিয়ে চলার পথ। এগিয়ে গেছি কিন্তু কী কেটেছে অন্ধকার, অশিক্ষার কালি দূর হলো হলো কার উপকার ? আসল স্বাধীন হবো তখন সব হাতে কাজ পাবে, দু-বেলা, দু-মুঠো খাবার সবাই মিলে খাবে। ******************************** ঠিকানা::জগদীশ মন্ডল।।নতুন পুকুর রোড।।চড়কডাঙা।।পোস্ট::বারাসাত।। কলকাতা::700124

কবিতা ।। স্বদেশ ।। অজিত কুমার জানা

স্বদেশ  অজিত কুমার জানা  স্বদেশ আমার, স্বদেশ তোমার,      অমূল্য সোনার মাটি। তোমার আলো, বাতাসের ছোঁয়ায়,       দেশের মানুষ খাঁটি।। ভিন্ন ভাষা ,ভিন্ন জাত,      তবুও একতা সবাই।  হিংসা, দ্বেষ সব ভুলে,       মিলনের গান গাই।। বন্যা খরায় বেড়েছে অনাহার,      আমরা ধরেছি হাত।  অসহায় অভুক্তের মুখে মুখে,       দিয়েছি তুলে ভাত।। বিপদ এলে শত্রুকে রুখবো,      বাঁচাবো তোমার সম্মান।  স্বদেশ আমার জননী জন্মভূমি,       তুমি চির অম্লান।। ==================== অজিত কুমার জানা  গ্রাম +পোষ্ট-কোটরা, থানা-শ্যামপুর, জেলা-হাওড়া, পিন-৭১১৩০১, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। 

কবিতা ।। আমার স্বাধীনতা ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল

আমার স্বাধীনতা  ভুবনেশ্বর মন্ডল আমি কোন খাঁচা নয় একটা আত্মবিশ্বাসের আকাশ চাই যেখানে একটা সূর্য আছে আর মিঠা জলের সমুদ্র মাথার উপরে নিরাপদ ছাউনি পায়ের তলায় স্নেহশীল মাটি আর অন্নবস্ত্রের সহজাত অধিকার এটাই আমার স্বাধীনতা আমার স্বদেশ আমার পৃথিবী আমার ফুসফুসে গল্প করবে পৃথিবীর যত অক্সিজেন মূল্যবোধ ও মানবতা জড়িয়ে ধরবে মানুষের গলা আমি চিনে নেব মাটিকে আর মানুষকে যত কান্না সব মুছে দেবো ভালোবাসার রুমালে আমি গাছের মতো শুষে নেব সূর্যকে আপন সত্তায় শিকড়ে শিকড়ে হেঁটে যাবো চেতনার বাড়ি যে অন্ধকার খেয়ে নিচ্ছে আমার স্বদেশ আমার পৃথিবী আমি আমার স্বাধীনতায় তাকে ফাঁসি-কাঠে ঝোলাবই । __________________ ভুবনেশ্বর মন্ডল সাঁইথিয়া লেবু বাগান পোস্ট সাঁইথিয়া জেলা বীরভূম পিন নাম্বার ৭৩১২৩৪  

কবিতা ।। স্বাধীনতা - কতদূর ? ।। সায়নী ব্যানার্জী

স্বাধীনতা - কতদূর ? সায়নী ব্যানার্জী বছর ঘুরে ১৫ অগাস্ট । স্বাধীনতা দিবস । প্রভাতফেরি , পতাকা উত্তোলন ,গান,নাচ - এই সবটাই একটা নিয়ম মেনে পালন করেন ছোট থেকে বড় সকলে l স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ কি ? কতজন সেটা বোঝে ?-এই নিয়ে এক বিরাট প্রশ্ন রয়েই যায় l স্বাধীনতা অনেক বড় অনেক গভীর একটি বিষয় l নিজের অধীনে নিজেকে সঠিক পরিচালনা - এর ভাব,গভীরতা নিয়ে কথা বলার মতো লোক আজ আর নেই l ভিন্ন দেশ,ভিন্ন জাতির অধীনতা থেকে বেড়িয়ে নিরন্তর হয়ে চলা স্বেচ্ছাচারিতা কখনওই স্বাধীনতা নয় আমার মতে।অন্য দেশ,জাতির দাসত্ব থেকে বেড়িয়ে নিজের দেশ মাথা তুলে দাঁড়ানোর যে স্বপ্ন বুকে নিয়ে কোটি কোটি মানুষ প্রাণ দিয়েছিলেন, আজ সেই দেশে জাত-ভেদ , অশিক্ষা,সম্মান হানি, বলাৎকার, নিত্যদিনের ঘটনা l এমন স্বাধীনতা কেউ কি চায় ? কেউ চেয়েছিলো ? পুরোনো ভাবনা,কুসংস্কার,কন্যাভ্রূণ হত্যা,পণ, - এই শিকলে জর্জরিত আমাদের দেশ l আজ এতো বছর পরেও। এতো শিক্ষার উন্নতি ঘটা সত্বেও । সময়ের সাথে সাথে উন্নতির পথে এগোনোর বদলে চিন্তাধারার ক্রমহ্রাসমান অবনতি এক লজ্জা ব্যতীত আর কিছু না l স্বাধীনতার জন্মদিন পালন হোক l দেশমাতৃকার নাম উজ...

কবিতা ।। স্বাধীন দেশের নাগরিক ।। সুনন্দ মন্ডল

স্বাধীন দেশের নাগরিক               সুনন্দ মন্ডল ১ আমরা স্বাধীন তাই তো রুটি ভাগ করে খাই। আমরা স্বাধীন কেড়ে খায় কেউ কেউ। আমরা স্বাধীন স্বাধীন দেশের নাগরিক। ভালো আছি, ভালো থাকি এটুকুই বলি! নেই আশা, আকাঙ্ক্ষার স্ফুরণ নেই বেঁচে থাকার রসদ। শুধুই কপটতা, কর্কট রোগের মতো জীবনটা জড়িয়ে আষ্টেপৃষ্টে। মানুষ নিশ্বাস ফেলছে ঠিকই কিন্তু তাতেও বিশ্বাস নেই। অবাস্তব কল্পনার স্বর্গ রচনা করে শুধু দিন গুজরানো। আমরা স্বাধীন স্বাধীন দেশের নাগরিক শুধু! নেই মুক্ত কণ্ঠে অভিযোগ জানাবার ভাষা। নেই কেউ অভিযোগ শোনার মতো ভরসা।  ২ আমরা স্বাধীন,  স্বাধীন দেশের নাগরিক আমরা স্বাধীন উন্নত আর নির্ভীক। আমরা আজ, আমরা হয়েছি তোমাদের দানে। তোমরা যারা রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছ ভারতেরে প্রাণে। বলি হয়ে গেছ কত তাজা নেই আজ এ শহরে। শুধু পড়ে আছ স্মৃতি হয়ে সবাকার হৃদয়ের ভারে। জীর্ণ জীবনের ব্যথা ভুলেছি, ভুলেছি শত কষ্ট। তোমাদের ত্যাগে শিখেছি আমরা  হয় নি পথ ভ্রষ্ট। কিন্তু আজ এই ছিয়াত্তরের  মধ্যরাতের আঁখি। জ্বলছে কোন অনুতাপে পোড়া মুখটা ঢাকি। জীবন ভাসছে কোন জোয়ারে নেই কো সুরের ...

কবিতা ।। স্বাধীনতা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী

স্বাধীন তা  সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আবার স্বাধীন তা দিবস .......সাত দশক পেরিয়ে এসেছি এগিয়ে চলেছি ক্রমশ শতাব্দীর দিকে। স্বাধীন তার বার্তা দেওয়া হয় ফি বছর নাগরিক মঞ্চ থেকে। আট ঘণ্টার লড়াই করে যে মজদুর সে কি আজও  স্বাধীন তা পেয়েছে ? মাটিতে জন্ম যে কৃষকের - যে কৃষাণ কৃষাণীরা মাটির গন্ধে উদয়াস্ত মেহনত করে জীবন কাটায় ওরা কি  স্বাধীন তা পেয়েছে ? যে শিশুরা শৈশব বিকিয়ে আজ স্কুলছুট যে শিশুরা পেটের তাগিদে কলে কারখানায় দোকানে রেস্টুরেন্টে কাজ করে দিন কাটায় ওরা কি  স্বাধীন তা পেয়েছে ! গৃহহীন - অনাথ - ভিক্ষু জীবি যারা  স্বাধীন তা তাদের কি দিতে পেরেছে ! প্রজন্মের পর প্রজন্ম লাখো লাখো শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের জন্য এ  স্বাধীন তা লিখেছে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যত। রাজা মন্ত্রী শ্রান্তি ওরাই আজ দেশসেবক - মঞ্চ নায়ক - জনগণের কাঁধে জোয়াল ভেঙে লুঠে চলেছে দেশের সম্পদ। শান্তিপ্রিয় মানুষ আজও পায়নি তার ন্যায্য বিচার। ধর্ষণ - খুন - রাহাজানি এখন নিত্যকার- জলভাত। জনগণের কণ্ঠ চেপে ধরেছে আজ শিকারি বাজ পাখির দল। তস্করদের দেশ বন্দনায় আজকাল মঞ্চে মঞ্চে তিরঙ্গা ওড়ে। এখনও মধ্য রাত...

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...

শিক্ষার সেকাল ও একাল ।। অমৃতা সাহা

শিক্ষার সেকাল ও একাল অমৃতা সাহা  শিক্ষক শব্দটির ব্যুৎপত্তি √শিক্ষ+ অক অর্থাৎ যিনি শিক্ষা দান করেন। শিক্ষক শব্দটি সংস্কৃত শিক্ষ ধাতু থেকে উদ্ভুত যার অর্থ বিদ্যা গ্রহণ করা, শেখা বা বিদ্যা দান করা। শিক্ষ ধাতুর সঙ্গে ক প্রত্যয় যোগে উৎপন্ন শিক্ষক যার অর্থ শিক্ষা সম্পর্কিত।          শিক্ষককে বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে প্রায় ছয় মাস বা আট মাস সে সহজাত প্রবৃত্তি অনুযায়ী শিক্ষা লাভ করে থাকে। তারপর থেকে মা বাবাই তাকে জীবনের প্রথম পাঠ দেন। কী কী করতে হয় আর কী কী করতে নেই তাই দিয়েই শিশুর প্রথম শিক্ষা শুরু হয়। অনুকরণই হলো তখন তার একমাত্র শিক্ষার মাধ্যম। তারপর কথা বলতে শেখা, আশেপাশের সামগ্রী চিনে নিয়ে তাদের নাম বলতে শেখা এভাবে ক্রমান্বয়ে শিক্ষা প্রক্রিয়া চলতেই থাকে।         প্রাচীন কালে পঞ্চম বর্ষে উপনয়ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শিশুর শিক্ষা জীবন শুরু হতো। গুরুগৃহে বসবাস করে, ব্রহ্মচর্য পালনের মাধ্যমে বাল্য ও কৈশোর কাল অতিবাহিত হতো। পুঁথিগত অধ্যয়ন, শ্রুত্বয়ন এর পাশাপাশি জীবনের অন্যান্য বিষয়েও শিক্ষা গ্রহণ করতে হ...

Five poems ।। Prasenjit Das

  Five poems of Prasenjit Das THE FLAME IS ON Life may not be a green leaf, the dews are tears in grief. Life for many maybe cruel, give me the guts for the duel. The good times passed by me, like a humming bird in destiny. If not in life then maybe after, let life be a pleasant chapter. No, I will never give up,...never, be an example for all, forever... THE OPTIMIST Never be drowned in sorrow, as if there is no tomorrow. Tomorrow is a day uncrowned, tomorrow is a time unbound. Many things are left to be done, the path of glory has already begun. The darkness shows the light, life is nothing, nothing but a fight. You will be a winner, sooner or later, the spirit of good will fight for better. The light of honesty burns bright, even in the darkest dark of the night. A LONELY FATHER'S CALL O lonely man! O lonely man! Where is thy rugged winter coat? Bore the ravages of eighty seasons, that still makes thee soul to float. O lonely man! O lonely man! Where is thy loveth destiny? Fough...

শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান ।। কৃশানু ব্যানার্জী

প্রবন্ধ শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান কৃশানু ব্যানার্জী  মানবসভ্যতার ইতিহাসে শিক্ষার স্থান যে সর্বাপেক্ষা কেন্দ্রীয় ও নির্ণায়ক — এ বিষয়ে দ্বিধার অবকাশ নেই। কারণ শিক্ষা কেবল জ্ঞানের বাহনমাত্র নয় , বরং মানুষের আত্মস্বরূপের এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ , যা সমাজ ও সংস্কৃতির গতিপথকে নির্ধারণ করে। কিন্তু শিক্ষা কেমন ছিল অতীতে এবং কেমন হয়েছে বর্তমানকালে — এই অনুসন্ধান শুধু ঐতিহাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যালোচনার সীমায় আবদ্ধ নয় ; বরং এর ভেতরে নিহিত আছে এক গভীর দার্শনিক তাৎপর্য। "সেকাল" ও "একাল" — এই দুই কালের শিক্ষা পরস্পরকে নিরন্তর প্রশ্ন করে , কখনও বিরোধিতা করে , কখনও বা পরস্পরের ওপর দাঁড়িয়েই নিজের রূপ নির্মাণ করে। অতএব , শিক্ষার সেকাল-একাল তুলনায় আমাদের কেবল তথ্যের বিবরণ নয় , মানবজীবন ও সমাজচিন্তার প্রকৃত ভিত্তি উপলব্ধি করতে হবে। মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় শিক্ষা যে একটি অনিবার্য ও মৌল প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তথাপি 'শিক্ষা' শব্দটির নিতান্ত ভৌত বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাখ্যা একে পূর্ণাঙ্গ উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়। সংস্কৃত ...

শিক্ষক ।। জীবন সরখেল

শিক্ষক  জীবন সরখেল   শিক্ষা চেতনা প্রসারে যাঁরা নিবেদিতপ্রাণ  প্রকৃতি পরিবেশ প্রাণীর   ধারক বাহক ও মান... যাঁদের স্মরণ উপস্থিতিই  কমে মিথ্যা গ্লানি  সেবায় দ্রোহেও নিরপেক্ষ  ঠেলেন সব হয়রানি। কর্ম আচরণ চিন্তন ত্যাগ  সত্য সপ্রেম নিষ্ঠায় গড়েন চিরন্তন সমাজ ভিত নীতি উদারতায়....  নিঃস্বার্থ ভাব ঠিক ভুল গুণেই  অভিজ্ঞতা দীক্ষক  বাবা মা পরিবেশ গুরুই সবার আপন শিক্ষক। __________________       জীবন সরখেল গ্রাম -বাড়াভগলদিঘী, পোস্ট -ভগলদিঘী, থানা-জয়পুর, জেলা-বাঁকুড়া। পিন-৭২২১৫৪  

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

সূচিপত্র  প্রবন্ধ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নবদ্বীপের রাস : মহাপ্রভু চৈতন্যদেব থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ।। বারিদ বরন গুপ্ত  প্রবন্ধ।। কবিতায় সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন ।। রণেশ রায় প্রবন্ধ ।। সুকান্ত ভট্টাচার্য: বিপ্লবী চেতনার কবি ।। বিচিত্র কুমার কবিতা ।। পরিযায়ী বৃষ্টি ।। সন্দীপ ভান্ডারী দুটি কবিতা : চয়ন দত্ত কবিতা ।। সমঝোতা ।। বিশ্বজিৎ বাউনা কবিতা।। ভালোবাসা।। অরুণ কুমার দাঁ কবিতা।। সময়ের গতিপথে ।। কেতকী বসু গ্রন্থ   আলোচনা।। অরবিন্দ পুরকাইত ।।  গ্রন্থ : বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের  "বাংলা সাহিত্যে মনুষ্যেতর প্রাণীকেন্দ্রিক ছোটগল্পের ধারা" ছোটগল্প।। হ্যাপি বার্থডে।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা।। অন্ধকার রাত জাগে।। অঞ্জন বল অনুবাদ কবিতা।। তুমি আসার আগে।। সুস্মিতা পাল দুটি কবিতা ।। রবীন বসু কবিতা ।। নতুন শাসন ।। মানস মণ্ডল কবিতা ।। শীত ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। সাঁঝবাতি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। চুপ কথা হৃদয়ে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য ছড়া ।। ভোর ।। বদ্রীনাথ ছোটগল্প ।। ফিরে পাওয়া ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। রূপ বদলায় ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। এভা...

স্মৃতিকথা ।। ৺বিজয়ার চিঠি ।। ভাস্কর চৌধুরী

উৎসব শেষের শূন্যতা এখন গ্রাস করে আছে আদিগন্ত। হঠাৎ ভেসে আসা ছাতিম ফুলের গন্ধ যেমন মাতাল করে দেয় ঠিক তেমনই মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে এক না ছুঁতে পাওয়া আলোর পিপাসায়। উৎসব শেষের নিভে যাওয়া সন্ধ্যেবেলার আলোয় ম্লান হয়ে আসে জীবনের টুকরো টুকরো খুশির আমেজ।  বিসর্জনের শেষে ছেলেবেলায় গোটা গোটা অক্ষরে হলদে রঙা পোস্টকার্ড আর নীলচে-সবুজ ইনল্যান্ড লেটারে দূরের সব্বাইকে পাঠাতে হতো ৺বিজয়ার চিঠি! বয়ান মোটামুটি ওই একই ― বড়দের শুভ ৺বিজয়ার প্রনাম আর যেহেতু আমরা তখন ছোট তাই আশীর্বাদ জানানোর কেউ থাকতো না। তবুও কুঁচোকাঁচা ছোট ভাইবোনদের মনের আদর কলমের ডগায় উগড়ে দিতুম সে চিঠিতে!  ৺বিজয়ার চিঠি আসলে পুজোর ছুটির শেষে হাতের লেখা করিয়ে নেবার এক অলৌকিক ষড়যন্ত্র! ইচ্ছে নেই তবুও জোর করে ওই হাতের লেখা শুধু নয়, বানান, বাক্যগঠন সব কিছু সুকৌশলে করিয়ে নেওয়ার ফন্দি। এটা বুঝেছি অনেক পরে। আর যখন বুঝতে পেরেছি তখন কিন্তু সেই চিঠি পাঠানোর মানুষগুলো মনের মধ্যে গেঁথে গেছে। তখন যেন সত্যি সত্যি মন বলতো হোক না ওই পোস্টকার্ড বা ইনল্যান্ড লেটারের একচিলতে জমি, আমার খাস দখল তো থাকবে তাতে! জানেন, এখন আর কেউ ৺বিজয়ার চিঠি পাঠায় না! পুজো ...

অসবর্ণ ।। দেবাংশু সরকার

অসবর্ণ দেবাংশু সরকার       ইন্টারভিউ দেওয়ার পর অরূপের মনে হয়েছিল চাকরিটা হয়তো সে পেয়ে যাবে। বেশ ভালোভাবেই সে ইন্টারভিউতে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছিল। সেইসঙ্গে ক্যাশ হ্যান্ডেলের তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও বলেছিল। অরূপের মনে হয়েছিল ইন্টারভিউ বোর্ডে যারা ছিলেন তাদের হয়তো অরূপের কথাবার্তা বেশ ভালো লেগেছে। বারে বারে তাদের মাথা নাড়া, মুখের হাসি দেখে অরূপের মনে হয়েছিল তারা হয়তো অরূপের প্রতি কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট। বেসরকারি চাকরি হলেও এই অফিসটা সব রকম সরকারি নিয়মকানুন মেনে চলে। প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, বোনাস সব রকম সুবিধা কর্মচারীরা পায়। চাকরির শেষে পেনশনের ব্যবস্থাও আছে। হয়তো সরকারি চাকরির মত বড় অঙ্কের  পেনশন এই কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা পায় না। কিন্তু পেনশন বাবদ প্রতি মাসে কিছু টাকা তাদের হাতে আসে। মাহিনাও খুব একটা খারাপ নয়। অর্থাৎ সরকারি চাকরির মত অত সুবিধা না থাকলেও, তুলনামূলকভাবে খুব একটা খারাপও নয়। কিন্তু একটাই অসুবিধা তাকে বাড়ি ছেড়ে থাকতে হবে। কারণ এই অফিসটা অরূপের বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে। বাড়ি থেকে প্রত্যেক দিন অফিসে যাতায়াত করা সম্ভ...

ডাকবাক্সের আত্মকথা ।। হারান চন্দ্র মিস্ত্রী

ডাকবাক্সের আত্মকথা হারান চন্দ্র মিস্ত্রী পোস্ট অফিসে কিংবা পথের পাশে, আমরা ছিলাম চিঠিগুলোর আশে। সুখ ও দুঃখের কথা থাকত লেখা ভালোবাসার আতর যেত দেখা। মুঠোফোনের দাপট গেছে বেড়ে স্বপ্ন যত সব নিয়েছে কেড়ে। পত্র লিখে পাঠায় না কেউ মোরে ব্রাত্য জীবন কাটাই কেমন করে? ধীরে ধীরে যাচ্ছি উধাও হয়ে ভারাক্রান্ত স্মৃতি আঁকড়ে ধরে। কোন মানুষ কয় না আমায় ধরে - আবার তোকে নেব আপন করে। আমরা এখন বুঝে গেছি সহে প্রয়োজনের বড় কিছু নহে। সমকালের প্রয়োজনে থেকে বিদায় নিতে হবে ভূবন থেকে। ________   হারান চন্দ্র মিস্ত্রী গ্রাম ও পো: - আমতলা, থানা - ক্যানিং, জেলা - দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পিন - ৭৪৩৩৩৭

শিক্ষক ।। রাফেল ইসলাম

শিক্ষক মানে রাফেল ইসলাম   শিক্ষক মানে বুকে টেনে  দুর্দিনে দুঃখ ভোলান,  শিক্ষক মানে আন্তরিকতায় শিক্ষা করেন দান।  শিক্ষক মানে বিদ্যা দিয়ে  আঁধার দূর করে,  শিক্ষক মানে স্নেহের পরশে ছাত্র জীবন ভরে।  শিক্ষক মানে আদর্শের উৎসাহে  মেলে ভবিষ্যতের দিশা,  শিক্ষক মানে দরদ দিয়ে  বাঁচিয়ে রাখে আশা।  শিক্ষক মানে গ্রীষ্মের দিনে  মস্ত বটের ছায়া,  শিক্ষক মানে নিবিড় ভালবাসার  শান্ত ঊষার মায়া।  শিক্ষক মানে জ্ঞানের আলোয়  সমাজ গড়ে তোলে,  শিক্ষক মানে সঠিক পথের  মূল দুয়ার খোলে।।    =============           নাম-রাফেল ইসলাম।  গ্রাম-বাগান বেড়িয়া (বিড়লাপুর)। পোস্ট-চককাশিপুর।  থানা-নোদাখালি।  জেলা-দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।  পিন নম্বর-৭৪৩৩১৮.

বছরের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন: ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

সূচিপত্র  প্রবন্ধ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নবদ্বীপের রাস : মহাপ্রভু চৈতন্যদেব থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ।। বারিদ বরন গুপ্ত  প্রবন্ধ।। কবিতায় সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন ।। রণেশ রায় প্রবন্ধ ।। সুকান্ত ভট্টাচার্য: বিপ্লবী চেতনার কবি ।। বিচিত্র কুমার কবিতা ।। পরিযায়ী বৃষ্টি ।। সন্দীপ ভান্ডারী দুটি কবিতা : চয়ন দত্ত কবিতা ।। সমঝোতা ।। বিশ্বজিৎ বাউনা কবিতা।। ভালোবাসা।। অরুণ কুমার দাঁ কবিতা।। সময়ের গতিপথে ।। কেতকী বসু গ্রন্থ   আলোচনা।। অরবিন্দ পুরকাইত ।।  গ্রন্থ : বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের  "বাংলা সাহিত্যে মনুষ্যেতর প্রাণীকেন্দ্রিক ছোটগল্পের ধারা" ছোটগল্প।। হ্যাপি বার্থডে।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা।। অন্ধকার রাত জাগে।। অঞ্জন বল অনুবাদ কবিতা।। তুমি আসার আগে।। সুস্মিতা পাল দুটি কবিতা ।। রবীন বসু কবিতা ।। নতুন শাসন ।। মানস মণ্ডল কবিতা ।। শীত ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। সাঁঝবাতি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। চুপ কথা হৃদয়ে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য ছড়া ।। ভোর ।। বদ্রীনাথ ছোটগল্প ।। ফিরে পাওয়া ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। রূপ বদলায় ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। এভা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯০তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩২ আগস্ট ২০২৫

সূচিপত্র ------------- স্বদেশ-স্বাধীনতা বিষয়ক লেখা  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার কবিতা ।। অনিন্দ্য পাল স্বাধীনতা আন্দোলনে রাসবিহারী বসু অবদান ।। শ্যামল হুদাতী উড়ান কথা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্বপ্নের ভারত ।। সৌমিত্র মজুমদার আজ আর কদর নেই ।। সতুচট্টোরাম স্বাধীনতার কবিতাগুচ্ছ ।। অভিজিৎ হালদার শহিদ ব্রত ও অন্য দুটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর স্বাধীন হবো কবে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত দুটি কবিতা ।। তুষার স্বাধীনতা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ স্বাধীনতা মানে ।। পাভেল আমান বাংলা ভাষা : বাঙালি ।। অশোক দাশ বড়দি অপরূপা দেবীর জবানীতে ক্ষুদিরাম বসু ।। সমীর কুমার দত্ত স্বাধীনতা ।। কার্ত্তিক মণ্ডল আমার দেশ ।। বিপ্লব নসিপুরী ভারতমাতার বীর সন্তান ।। আশীষ কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার আলো ।। অঞ্জনা মজুমদার আমরা স্বাধীন ।। রাফেল ইসলাম নতুন ভারত । কল্যাণ কুমার শাণ্ডিল্য রণ স্বাধীনতার রঙ ।। সফিউল মল্লিক স্বদেশ ।। জীবন সরখেল ভারতবর্ষ ।। নিশান বর্মা শতবর্ষে সুকান্ত ভট্টাচার্য স্মরণে লেখা সুকান্ত ভট্টাচার...

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস

First row (left to right): Prafulla Nalini Brahma, Shanti Ghosh, Suniti Chowdhuri and Bina Das . Second row (left to right): Kamala Dasgupta, Suhasini Ganguly, Pritilata Waddedar and Sarojini Naidu.   Third row (left to right): Abha Maity, Sucheta Kripalini, Lila Nag and Abha Gandhi. Fourth row (left to right): Indusudha Ghosh, Kalpana Dutta, Aruna Asaf Ali and Matangini Hazra. Fifth row (left to right): Basanti Devi, Renuka Ray, Phulorenu Guha and Manikuntala Sen. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে  চেনা-অচেনা বরণীয় নারী হিমাদ্রি  শেখর দাস ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষের সাথে মহিলারাও কখনও অন্তরালে থেকে কখনও প্রকাশ্যে এসে লড়াই করেছেন।  মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে লাঠিখেলা, পিস্তল চালানো, রাত্রে ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে বেরানো, পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা, জেলে যাওয়া ছিল অত্যন্ত দুঃসাহসিক কাজ। তবু তৎকালীন সমজে কোনঠাসা হয়ে থাকা মেয়েরাও  নিজ নিজ জায়গায় থেকে দেশের সেবা করেছেন তা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতই দুরুহ কাজ। তাঁদের মধ্যে দু একজন রাজ পরিবারের হলেও বেশির ভাগই ছিল সাধারণ ঘরের অতি স...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ওপর গদ্য || শিশির আজম

'ছাড়পত্র'ই আজ আমাদের ছাড়পত্র (তারুণ্যের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের শততম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য) শিশির আজম ~~~~~~~~~~~~~~~~~~ সুকান্ত জন্মেছিলেন অগ্নিগর্ভ এক সময়ে। যখন মাতৃভূমি পরাধীন। পার্টি, মার্কসবাদ, সাহিত্য — কোন কিছুই তার কাছে আলাদা ছিল না। কবিতা একটি আর্ট ফর্ম। হ্যাঁ, সত্যি। এটা আরও সত্যি হয় যদি তা মানুষকে তাড়িত করে, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে, মানুষকে ভালোবাসায় প্ররোচণা দেয়। এই পথটাই বেছে নিয়েছিলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। এর ছাপ-তাপ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ছাড়পত্রে'র পাতায় পাতায় পাওয়া যায়। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। মনে রাখা দরকার, এর পূর্বে ১৯৪০-এ প্রকাশিত হয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'পদাতিক'। আর তারও পূর্বে ১৯৩৭-এ আমরা পেলাম দিনেশ দাসের 'কাস্তে'। নিশ্চয় এসবের উত্তাপ সুকান্তের চেতনায় ছাপ ফেলেছিল। কবিতা কখনো কখনো শ্লোগান হয়ে উঠতে পারে। হোক। এই শক্তি কবিরই আছে। নজরুলকে কি আমরা অগ্রাহ্য করতে পারবো? সুভাষ মুখোপাধ্যায় বা শামসুর রাহমানকে? পিকাসোর 'গুয়ের্নিকা' অথবা জয়নুলের 'দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা' কি 'আর্ট' নয়? হ্যা আপনি প্রশ্ন করতেই পা...

মাসের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...

শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান ।। কৃশানু ব্যানার্জী

প্রবন্ধ শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান কৃশানু ব্যানার্জী  মানবসভ্যতার ইতিহাসে শিক্ষার স্থান যে সর্বাপেক্ষা কেন্দ্রীয় ও নির্ণায়ক — এ বিষয়ে দ্বিধার অবকাশ নেই। কারণ শিক্ষা কেবল জ্ঞানের বাহনমাত্র নয় , বরং মানুষের আত্মস্বরূপের এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ , যা সমাজ ও সংস্কৃতির গতিপথকে নির্ধারণ করে। কিন্তু শিক্ষা কেমন ছিল অতীতে এবং কেমন হয়েছে বর্তমানকালে — এই অনুসন্ধান শুধু ঐতিহাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যালোচনার সীমায় আবদ্ধ নয় ; বরং এর ভেতরে নিহিত আছে এক গভীর দার্শনিক তাৎপর্য। "সেকাল" ও "একাল" — এই দুই কালের শিক্ষা পরস্পরকে নিরন্তর প্রশ্ন করে , কখনও বিরোধিতা করে , কখনও বা পরস্পরের ওপর দাঁড়িয়েই নিজের রূপ নির্মাণ করে। অতএব , শিক্ষার সেকাল-একাল তুলনায় আমাদের কেবল তথ্যের বিবরণ নয় , মানবজীবন ও সমাজচিন্তার প্রকৃত ভিত্তি উপলব্ধি করতে হবে। মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় শিক্ষা যে একটি অনিবার্য ও মৌল প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তথাপি 'শিক্ষা' শব্দটির নিতান্ত ভৌত বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাখ্যা একে পূর্ণাঙ্গ উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়। সংস্কৃত ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯০তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩২ আগস্ট ২০২৫

সূচিপত্র ------------- স্বদেশ-স্বাধীনতা বিষয়ক লেখা  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার কবিতা ।। অনিন্দ্য পাল স্বাধীনতা আন্দোলনে রাসবিহারী বসু অবদান ।। শ্যামল হুদাতী উড়ান কথা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্বপ্নের ভারত ।। সৌমিত্র মজুমদার আজ আর কদর নেই ।। সতুচট্টোরাম স্বাধীনতার কবিতাগুচ্ছ ।। অভিজিৎ হালদার শহিদ ব্রত ও অন্য দুটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর স্বাধীন হবো কবে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত দুটি কবিতা ।। তুষার স্বাধীনতা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ স্বাধীনতা মানে ।। পাভেল আমান বাংলা ভাষা : বাঙালি ।। অশোক দাশ বড়দি অপরূপা দেবীর জবানীতে ক্ষুদিরাম বসু ।। সমীর কুমার দত্ত স্বাধীনতা ।। কার্ত্তিক মণ্ডল আমার দেশ ।। বিপ্লব নসিপুরী ভারতমাতার বীর সন্তান ।। আশীষ কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার আলো ।। অঞ্জনা মজুমদার আমরা স্বাধীন ।। রাফেল ইসলাম নতুন ভারত । কল্যাণ কুমার শাণ্ডিল্য রণ স্বাধীনতার রঙ ।। সফিউল মল্লিক স্বদেশ ।। জীবন সরখেল ভারতবর্ষ ।। নিশান বর্মা শতবর্ষে সুকান্ত ভট্টাচার্য স্মরণে লেখা সুকান্ত ভট্টাচার...

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস

First row (left to right): Prafulla Nalini Brahma, Shanti Ghosh, Suniti Chowdhuri and Bina Das . Second row (left to right): Kamala Dasgupta, Suhasini Ganguly, Pritilata Waddedar and Sarojini Naidu.   Third row (left to right): Abha Maity, Sucheta Kripalini, Lila Nag and Abha Gandhi. Fourth row (left to right): Indusudha Ghosh, Kalpana Dutta, Aruna Asaf Ali and Matangini Hazra. Fifth row (left to right): Basanti Devi, Renuka Ray, Phulorenu Guha and Manikuntala Sen. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে  চেনা-অচেনা বরণীয় নারী হিমাদ্রি  শেখর দাস ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষের সাথে মহিলারাও কখনও অন্তরালে থেকে কখনও প্রকাশ্যে এসে লড়াই করেছেন।  মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে লাঠিখেলা, পিস্তল চালানো, রাত্রে ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে বেরানো, পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা, জেলে যাওয়া ছিল অত্যন্ত দুঃসাহসিক কাজ। তবু তৎকালীন সমজে কোনঠাসা হয়ে থাকা মেয়েরাও  নিজ নিজ জায়গায় থেকে দেশের সেবা করেছেন তা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতই দুরুহ কাজ। তাঁদের মধ্যে দু একজন রাজ পরিবারের হলেও বেশির ভাগই ছিল সাধারণ ঘরের অতি স...

বাংলা ভাষা সাহিত্যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার ।। শুভ জিত দত্ত

বাংলা ভাষা-সাহিত্যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার শুভ জিত দত্ত   বাংলা ভাষাসাহিত্যে পরোক্ষভাবে যাঁর অবদান অতুলনীয়, সেই প্রজ্ঞাবান পণ্ডিত জয়গোপাল তর্কালঙ্কার। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮২৪ সালে কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে জয়গোপাল সেখানে সাহিত্যে কাব্যের অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত হন এবং সুদীর্ঘ বাইশ বছর অধ্যাপনা করেন। সেখানে তাঁর ছাত্রদের মধ্যে পরবর্তীকালে যাঁরা বিখ্যাত হন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,মদনমোহন তর্কালঙ্কার। জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের জন্ম রেলপথের শিবনিবাস স্টেশন থেকে আট ক্রোশ পূর্বে, নদীয়া বর্তমানে , বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলাতে বজরাপুর গ্রামে এক প্রাচীন বারেন্দ্র বংশের আবাসস্থল ছিল। এই বংশ শুদ্ধাচার ও সিদ্ধশ্রোত্রীয় ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ ছিল এবং পরবর্তী সময়ে বাসস্থান, নামকরণ ও কর্মসূত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটলেও তাদের গৌরবময় পরিচয় অক্ষুণ্ণ থেকেছে। এই বংশে বহু দেশপ্রসিদ্ধ মহামহোপাধ্যায় ও পণ্ডিত জন্মগ্রহণ করেছেন, যাঁদের কীর্তি বাংলার জ্ঞান-সাধনার আঙিনাকে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নাটোর মহারাজের দ্বার পণ্ডিত কেবলরাম তর্কপঞ্চানন এবং তাঁর...

স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী

রানী গাইডিনলিউ স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি  প্রণব কুমার চক্রবর্তী           ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু কিছু পরিচিত মুখ আর ঘটনার সমষ্টি নয় । এর গভীরে লুকিয়ে আছে অজস্র গল্প, অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ, এবং ছোট বড় অসংখ্য বিদ্রোহের কাহিনী । সংক্ষেপে এই বিশাল সংগ্রামকে তুলে ধরা কঠিন । তবে, চেষ্টা করে কিছু দিক নিয়ে আজ আলোচনা করা যাক ।           আমরা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এবং ব্যক্তিত্ব বলতে সাধারণত মঙ্গল পান্ডে, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো ব্যক্তিদের কথা এবং তাদের লড়াইয়ের কথা বলে থাকি । কিন্তু, এই সংগ্রামের পটভূমি রচিত হয়েছিল আরো বহু বহু আগে - যেখানে স্থানীয় কৃষক উপজাতি এবং সাধারণ মানুষের বিদ্রোহ ছিল এর প্রথম বীজ । ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ আন্দোলনকে প্রায়সই আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রথম লড়াই হিসাবে বলা হয়ে থাকে । তবে এর আগেও আমাদের দেশে  ফরাসি এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল । সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৫ - ৫৬ সাল),  সন্ন্যাসী বিদ্রোহ (১৭৭০ - ১৮...

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ওপর গদ্য || শিশির আজম

'ছাড়পত্র'ই আজ আমাদের ছাড়পত্র (তারুণ্যের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের শততম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য) শিশির আজম ~~~~~~~~~~~~~~~~~~ সুকান্ত জন্মেছিলেন অগ্নিগর্ভ এক সময়ে। যখন মাতৃভূমি পরাধীন। পার্টি, মার্কসবাদ, সাহিত্য — কোন কিছুই তার কাছে আলাদা ছিল না। কবিতা একটি আর্ট ফর্ম। হ্যাঁ, সত্যি। এটা আরও সত্যি হয় যদি তা মানুষকে তাড়িত করে, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে, মানুষকে ভালোবাসায় প্ররোচণা দেয়। এই পথটাই বেছে নিয়েছিলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। এর ছাপ-তাপ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ছাড়পত্রে'র পাতায় পাতায় পাওয়া যায়। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। মনে রাখা দরকার, এর পূর্বে ১৯৪০-এ প্রকাশিত হয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'পদাতিক'। আর তারও পূর্বে ১৯৩৭-এ আমরা পেলাম দিনেশ দাসের 'কাস্তে'। নিশ্চয় এসবের উত্তাপ সুকান্তের চেতনায় ছাপ ফেলেছিল। কবিতা কখনো কখনো শ্লোগান হয়ে উঠতে পারে। হোক। এই শক্তি কবিরই আছে। নজরুলকে কি আমরা অগ্রাহ্য করতে পারবো? সুভাষ মুখোপাধ্যায় বা শামসুর রাহমানকে? পিকাসোর 'গুয়ের্নিকা' অথবা জয়নুলের 'দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা' কি 'আর্ট' নয়? হ্যা আপনি প্রশ্ন করতেই পা...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন: ...

স্মৃতির আলোয় শিলিগুড়ি স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট ।। চন্দন দাশগুপ্ত

স্মৃতির আলোয় শিলিগুড়ি স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট    চন্দন দাশগুপ্ত            সালটা ছিল ২০০৫। বদলীর অর্ডারটা পেতেই মন ভাল হয়ে গেল। গত তিনবছর আমি জলপাইগুড়ি জেলার শ্রমদপ্তরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলাম। এবার আমাকে বদলী করা হয়েছে শিলিগুড়ির স্টেট লেবার ইন্সটিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টরের পদে। আমার বাড়িও শিলিগুড়িতে। সুতরাং আরো ভাল করে কাজ করা যাবে।         এই স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট ( সংক্ষেপে এস.এল.আই ) ১৯৫৪ সালে কলকাতায় কাঁকুরগাছিতে স্থাপিত হয়। ১৯৯৫ সালে এর একটি শাখা খোলা হয় শিলিগুড়িতে। প্রথমে কলেজ পাড়ার ভাড়া বাড়িতে থাকলেও ১৯৯৮ সালে এটি চলে আসে শিলিগুড়ির উপকন্ঠে দাগাপুর চা বাগানের পাশে, পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের গাছপালা ঘেরা অনবদ্য প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত নিজস্ব বাড়িতে। এটি মূলতঃ একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে বছরের বিভিন্ন সময়ে শ্রম দপ্তরের আধিকারিক, পরিদর্শক এবং অন্যান্য কর্মীদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাছাড়া এখানে অত্যন্ত সুলভে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড লেবার ওয়েলফেয়ারের একটি এক বছরের পোস্ট...

শব্দ ।। সনৎকুমার নস্কর

শব্দ সনৎকুমার নস্কর  কিছু কিছু শব্দ থাকে সুইচের মতো।   হাত দিলেই দপ্ করে জ্বলে ওঠে ব্যঞ্জনার আলো।  তখন দেখে নিই অন্তর-বাহির                  গহন আঁধারে ঢাকা পথ   শব্দ সে পথের সঙ্গী হয়৷     উপনিষদের কবি শব্দকে বলেন 'শব্দব্রহ্ম',  যখন সে দিগন্তবিস্তারী ---                    কথাটার মানে খুঁজে পাই সেসময়   গর্ভের গভীরে উচ্চারিত ধ্বনি জাগিয়ে তোলে                            আমূল  আর্তনাদ৷   শব্দেই কি শব্দের শেষ?   তারও কি নেই আত্মার মতো                       জীবনের অন্তহীন পথ?   এক হৃদয় থেকে আর এক হৃদয়ে                     সে তো করে ক্লান্তিহীন পরিক্রমা  আমাদের বাসনা-বিশ্বে সে তোলে ঝড়  আবেগমায়া দেয় ছড়িয়ে বাক্ স্পন্দের পর  অবশ্য...