Skip to main content

Posts

মুক্তগদ্য ।। বলিদান ।। দীননাথ চক্রবর্তী

         বলিদান দীননাথ চক্রবর্তী বলিদান এর মধ্যে ভীষণভাবে থাকে ভোরের রাঙা সূর্যের ভাবনা। এই ভাবনায় জারিত নব প্রাণ -এর ভ্রূণ। এক কথায় কোন মহৎ উদ্দেশ্যকে গড়ে তোলা। কোন কিছু গড়ে তোলার জন্য দরকার তিনটি জিনিসের। এক ভাবনা। ভাবনা প্রাণ পায় বিশ্বাসে। আর বিশ্বাস প্রাণ পায় প্রত্যয় থেকে। তবেই একটা জিনিস গড়ে ওঠে। আগস্ট মাস সেই ভাবনার মাস। বিশ্বাস প্রত্যয় এর মাস। আগস্ট মাস স্বাধীনতার মাস। জীবনে স্বাধীনতার মত পরম সঙ্গী কিছু হতে পারে না।  সেই স্বাধীনতা লালিত পালিত হয় জন্মভূমিতে। সেই জন্মভূমির শৃঙ্খলে লংঘিত হয় স্বাধীনতা। জীবন তখন মরনেরই নামান্তর। সেই জন্মভূমি শুধুমাত্র ভৌগলিকতায় সীমাবদ্ধ নয়। সমাজও সেই স্বাধীনতার ক্ষেত্র। মনের স্বাধীনতা না থাকলে পূর্ণতা পায় না সে স্বাধীনতা। বীর শহীদদের বলিদান তখন অর্থহীন হয়ে পড়ে। আজকে যেন তারই ইঙ্গিত। সকলকে বুঝতে হবে স্বাধীনতা মানে শুধু অধিকার নয়, কর্তব্যও। ====================== দীননাথ চক্রবর্তী কল্যাণীকুঞ্জ গ্রাম ও পোষ্ট, দুইলা, জেলা, হাওড়া সূচক,711302

মুক্তগদ্য ।। অগ্নিকন্যা ।। সুচন্দ্রা বসু

অগ্নিকন্যা সুচন্দ্রা বসু    দুধ আনতে বেরিয়েছিলাম সকালে। শুনলাম আজ স্বাধীনতার পঁচাত্তর বছর উপলক্ষ্যে স্বদেশী গান বাজছে মাইকে। তা ছাপিয়ে এক অদৃশ্য স্বর এসে কানে ধাক্কা দিল। শুনলাম গান্ধীজী যেন কাকে ডেকে বললেন, কোথায় গেলি কমলা? লবণ আন্দোলনে আমার সঙ্গে ছিলি তোকে কি ভুলতে পারি? তাকিয়ে দেখলাম নেতাজীও গান্ধীর পেছনে চলেছেন । দেশবাসী জানে ব্রিটিশ পরাধীনতার শিকল ভাঙতে তোমার নেতৃত্বে, 'আইন অমান্য' ও 'অসহযোগ আন্দোলন'- 'ভারত ছাড়ো' আন্দোলনের ঢেউ দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল সারা দেশে। কথাগুলো কানে যেতে মুখ ঘুরিয়ে গান্ধী বিস্মিত, সুভাষ তুমি?  আপনাকেই খুঁজছি বাপু।  জানতে চাইছিলাম  যেসব সংগ্রামী জনগণ দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রাণ দিল, যাদের তাজা রক্তে ভারত স্বাধীন হয়েছে,তাদের কথা কি মানুষ  মনে রেখেছে?  এইদিনে কমলাকেও শ্রদ্ধা জানানোর কথা দেশবাসীকে বলতেই তো রেড রোডের দিকে যাচ্ছিলাম।  বাবা সরকারি আমলা হলেও,মা গিরিজাবাই  ছিলেন  স্বাধীনচেতা মহিলা। মায়ের আদর্শে কমলা উদ্বুদ্ধ ।  বাড়িতে আনাগোনা ছিল মহাদেব গোবিন্দ রানাডে, গোপাল কৃষ্ণ গোখলে, অ্যানি বেসান্ত, রাম...

কবিতা ।। স্বাধীনতা ।। অনিন্দ্য পাল

স্বাধীনতা  অনিন্দ্য পাল  এক.  স্বাধীনতা  এনার বয়স এক এক দেশে এক এক রকম  ভারতে মাত্র পঁচাত্তর কি ছিয়াত্তর  পৃথিবীর বয়স যদি নাও ধরি  মানুষের বয়সের তুলনায় ইনি নিতান্তই  শিশু  এখনো প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ হয় নি  ভাষা শিক্ষাও হয় নি এখনো পুরোপুরি  তবে ইতিমধ্যেই ইনি যেটা খুব ভালো শিখেছেন  সেটাকে ফুটপাতের ভাষায় বলে বাজার  এই দেশে এখন বাজার হয়েছে দেবতা  তার লাল চোখে ভয় পায় রাজা এবং প্রজা  কী বললেন?  রাজা নেই?  প্রজাও নেই?  কে বলে?   দিব্বি আছে রাজা  প্রজারাও আছে বেশ  অলিতে গলিতে মাঠে ঘাটে নগরে বন্দরে  কাগজে টিভিতে আছে কালো চুল বা পক্ককেশ  রাজারা আছেন সভায়, ভবনে এবং চেয়ারে  রাজাদের নাম লেখা থাকে অনেক উঁচুতে যত্নে এবং কেয়ারে  মঞ্চ আলো করে এসে বসেন সম্রাট  কত প্রজা আছে তাঁর সীমানায় গুনে নেন রাজপাট  তবে বলতে পারো মুকুটের দিন শেষ  বলতে পারো প্রজাদের গলাটা একটু উঁচু এখন  জিরাফের মত না হলেও পৌঁছে যাচ্ছে  কুর্সির হাঁটুর কাছে,  কিন্তু ব্যস্ ওটুকু...

কবিতা ।। আগস্ট এলেই ।। বদরুল বোরহান

আগস্ট এলেই বদরুল বোরহান  আগস্ট এলেই বুকের ভেতর কষ্ট জেগে ওঠে,  চোখ দুটোতে অস্বাভাবিক অশ্রুধারা ছোটে। কষ্টগুলো এলোমেলো এবং আড়াআড়ি,  বুকের ভেতর সন্ধ্যে-সকাল করে বাড়াবাড়ি।  আগস্ট এলেই বুকের ক্ষতে কান্না জেগে ওঠে,  তখন আমার হুঁশ থাকে না, জ্ঞান থাকে না মোটে। আমি তখন যাই হারিয়ে হাজার স্মৃতির ভীড়ে, স্মৃতির পাতায় দুখ জাগানি ব্যাথার বাঁধন ছিঁড়ে। আগস্ট মাসে অজানা এক অনুভূতি এসে, আমার সকল চিন্তাধারা একদিকে যায় ভেসে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি,  উদাস বাউল এই আমাকে বানায় শিল্পী, কবি।                      ---------------------- বদরুল বোরহান  ফ্ল্যাট নং-৬০২, বিল্ডিং নং-১  জাপান গার্ডেন সিটি  আদাবর, মোহাম্মদপুর। ঢাকা-১২০৭

কবিতা ।। স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় ।। দেবযানী পাল

স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় দেবযানী পাল স্বাধীনতা শব্দটায় একটা উন্মাদানা আছে যা আমাদের প্রাণ স্পন্দন আরও বাড়িয়ে দেয়। ২০০ বছরের অভিশাপগ্রস্থ পরাধীনতার হাত থেকে যেদিন আমরা মুক্তি পাই ইংরেজদের শাসন কোলাহল থেকে, ভেবেছিলাম আমরা এবার বোধহয় স্বর্গরাজ্যে বাস করব, এমন অদ্ভুত অনুভূতি আমাদের ভারতবর্ষের প্রত্যেকের মনে জাগ্রত হয়েছিল। কিন্তু হায়রে স্বাধীনতা, যা আজ লোহার বেষ্টনীর মতন আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরেছে। স্বাধীনতার কপটতায় আজ চোর সাধু, মেয়ে পুরুষের পাশ্চাত্যের ঔদ্ধত্য উগ্রতা আজকে বল্গাহীন, আজ মাতৃভাষা সাবেকি, যেখানে ইংরেজি ভাষা যুগান্তর সৃষ্টি করেছে। হে আমার ভারত মা,তোমার কি এটাই কাম্য ছিল নাকি পরাধীনতার শৃংখল সেটা তবু অনেক ভাল ছিল? বিপ্লব বিপ্লবীদের ইতিহাস আজ বইয়ের পাতায় যা শুধুমাত্র পরীক্ষার খাতায় নম্বর আদান প্রদান করে। ধর্ষণ, খুন,রাহাজানি,রাজনৈতিক হিংসা আজ ভারতের মাটিকে কালিমা লিপ্ত করেছে। হে ভারত মা, পরাধীনতার আঁচলের নিচে তবু তো তোমার নিজস্বতা ছিল ওই দেশপ্রেম, আজ স্বাধীনতার তীব্র যাতনায় তুমিও ওই স্বাধীনতা সংগ্রামীর মতো বলো, ইংরেজের চাবুকটাই ঠিক ছিল। এ কোন্ সকাল রাতে...

অণুগল্প ।। তরাস ।। চন্দন মিত্র

তরাস চন্দন মিত্র ভোট শেষ হয়েছে। গণনাও শেষ। গতকাল ফলাফল ঘোষিত হয়েছে। স্কুল-কলেজ-অফিস-কাছারি যথারীতি খুলে গেছে। ট্রেন থেকে নেমে অটো-ড্রাইভারের বামপাশের সিটে বসে প্রতিদিনের মতো বাঁদিকের দৃশ্য দেখতে দেখতে যাচ্ছি। একজন যাত্রী হাত দেখালে গাড়ি থেমে যায় । ছাড়ার আগেই   এক বন্ধ দোকানের দরজায় একটি নিরুদ্দিষ্ট বিজ্ঞাপনে চোখ পড়ে — একটি কিশোরীর ছবি। কিছুক্ষণ পরে আবারও গাড়ি থামে এক যুবক নেমে যায়। সেই ফাঁকে আমার চোখ টেনে নেয়   ল্যাম্পপোস্টে সাঁটানো আর একটি নিরুদ্দিষ্ট বিজ্ঞাপন; পাশাপাশি একটি বালক ও একটি যুবকের ছবি। অফিসের স্টপেজে নেমে পড়লাম। যে দোকানে প্রতিদিন চা খাই, সেই দোকানের দেয়ালেও দেখি এক দম্পতির ছবি সম্বলিত একটি বিজ্ঞাপন । সব বিজ্ঞাপনগুলি বেশ স্পষ্ট ঝকঝকে সম্ভবত গতকাল সন্ধ্যায় অথবা আজ সকালে সাঁটানো হয়েছে। পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশের নাগরিক আমি , চা হাতে নিয়ে একটি সিগারেট ধরিয়ে ফেলি। যতদূর মনে পড়ে বিগত বছর দশেক আমি সিগারেট ছুঁইনি। ================ চন্দন মিত্র ভগবানপুর (হরিণডাঙা) ডায়মন্ড হারবার , দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা। ...

কবিতা ।। জলবাতাস ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

জলবাতাস অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় একটা দৃশ্যমান রেখা তার ওপর এখন কাঁটাতার প্রায় শতবর্ষের কাছে কাঁটাতারের এদিকে... সেই কবে ফেলে আসা ভূমিখণ্ড তবুও হৃদয়ের ওপর কখনও কখনও রেখাচিত্র পাবনা কলোনি রোড় এঁকে বেঁকে চলে গেছে চাকদহ থেকে পায়রাডাঙা... সেই কবে ছেড়ে আাসা পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া... এরকম বহু জন পথ তবুও পিঠের ওপর এক যন্ত্রণা হেঁটে যেতে যেতে দোকানের সাইন বোর্ড দেখে আর বিড় বিড় করে উচ্চারণ করে রাস্তার নাম তখন পুরোনো ভূমিতল থেকে উড়ে আসে এক টুকরো মেঘ ও জলবাতাস... ======================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০  

কবিতা ।। স্বাধীনতা তুমি কার ।। হীরক বন্দ্যোপাধ্যায়

স্বাধীনতা তুমি কার হীরক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাধীনতা তুমি কার রাস্তা যেমন কারো বাবার নয় প্রতিবাদও তেমন কারো একার নয়,  স্বাধীকার, স্বাধীনতা তাহলে  তুমি কার ছাব্বিশে জানুয়ারী  নাকি পনেরই আগষ্টের তেরঙ্গা পতাকার  ভালবাসার সাথে দলবেঁধে গুন্ডামির কোনও স্থান  থাকা উচিত নয় আপনি আপনার মতো প্রতিবাদ করুন সত্যের পক্ষে ন্যায়ের পক্ষে মানবতার পক্ষে কথা বললে আপনার পিছনে বাউন্সার লেলিয়ে দেবে এতো শুধু একালের নয় সর্বকালেই ছিল দ্য ভিঞ্চি অথবা গ্যালিলিওকে কি না করেছিল... আহা স্বাধীনতা তুমি বিনয় বাদল  ক্ষুদিরাম  তুমি  সুভাষ  বোসের  স্বাধীনতা তুমি বীর শহিদের গোলাপে যদি কাজ না হয় রাইফেল তুলতে হতে পারে হাতে, ভিয়েতনাম কিম্বা কম্বোডিয়া কিউবা কিম্বা তিউনিসিয়া নিয়ে কথা হতে পারে কিন্তু যখনি হাঁসখালি কিম্বা ফুলবাগান নিয়ে হিন্দু বৌদ্ধ জৈন খ্রীষ্টান তখন এক বাড়ির দেওয়ালে বড় বড় করে লিখে দিয়ে যাবে ...এসব চলবে না... তখন, তখন স্বাধীনতা তুমি কার  একশ পঞ্চাশ কেস , তিনশ পঞ্চাশটা আইনভঙ্গ সাতশ তিরিশটা দুর্ব্যবহার ...বন্ধুবান্ধব সব একে একে কেটে পড়বে ...আরবি ফার্সি বা ...

কবিতা ।। শব্দ ওঠে ।। সুমিত মোদক

শব্দ ওঠে সুমিত মোদক আকাশের নাম দিয়ে ছিলাম হৃদয় ; আর বাতাসের নাম সুখ ; অথচ , মাটির কোনও নাম দেওয়া হয়নি ; কারণ , মাটি যে আমার মা … আকাশে এখন গভীর কালো মেঘ ; বাতাসে এখন কেবল মৌনতা … স্রোতের বিপরীতে হাল টানে নৌকার মাঝি , পথ চেয়ে বসে আছে মা … পাড়া-গাঁয়ে এখনও অন্ধকার ; অথচ , তুলসী তলায় প্রদীপ জ্বালে আটপৌরে বউ ; মরদ যে তার মিছিলে মিছিলে হাঁটে … দাওয়ায় বসে কে যেন পড়ছে সম্রাট অশোকের ইতিহাস , ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ … আমি যে কেবল পথিকের সঙ্গে হাঁটি  যুগ থেকে যুগান্তরের পথে ; সারা শরীরে সোঁদা মাটির গন্ধ … হঠাৎ করে ঝড়ের পূর্বাভাস ; উড়ন্ত পাখিরা আশ্রয় টুকু খুঁজে নিতে চায় ; আমার মা আকাশে ওড়ায় পতাকা ; সেখানেও শব্দ ওঠে – পতপত…পতপত …

ছড়া ।। স্বাধীনতা ।। বিদ্যুৎ মিশ্র

স্বাধীনতা  বিদ্যুৎ মিশ্র বীর শহিদের বলিদানে  রক্তে রাঙা পথ ভুলিনি আজ আগুন ছুঁয়ে  নিয়েছি যে শপথ। কতো কতো মাতৃ আঁচল  শূন্য হলো ঘরে বিধবাদের চোখের জলে  ব্যথায় হৃদয় ভরে । পিতৃহারা অবোধ শিশুর  কান্না শুনে লোকে অস্ত্র যখন তুলে নিল  ভুলে নিজের শোকে । প্রতিবাদের মশাল জ্বেলে  স্বাধীনতার জন্য  বলিদানের পর্বে লেখা  বাংলা আমার ধন্য । ================ বিদ্যুৎ মিশ্র কাশীপুর, পুরুলিয়া।

ছড়া ।। স্বাধীনতা দিবস পালন ।। অমরেশ বিশ্বাস

স্বাধীনতা দিবস পালন অমরেশ বিশ্বাস  বলবে না কেউ আজকে কারো দুঃখ শোকের কথা মন দিয়ে আজ পালন করো দেশের স্বাধীনতা। বুকের কথা ভুলেও মুখে আনবে না কেউ আজ স্বাধীনতা শুনতে পেলে পাবে খুবই লাজ। স্বাধীনতা এসেছিল  প্রাণের বিনিময়ে  নেই ইংরেজ তবু দেখি মানুষ আছে ভয়ে। নির্বাসনে আছে আজও  কত মুখের হাসি  স্বাধীন দেশে কত মানুষ  কেন ফুটপাথবাসী? কত আশা নির্বিচারে  যায় অকালে ঝরে কত মানুষ পায় না খেতে দুইবেলা পেট ভরে। স্বাধীনতা দিবস পালন  করছি সবাই আজ  পণ কর আমরা ঘোচাব ভারত মাতার লাজ।

ছড়া ।। স্বাধীনতা স্বাধীনতা ।। গোবিন্দ মোদক

স্বাধীনতা! স্বাধীনতা!! গোবিন্দ মোদক   স্বাধীনতা মানে স্ব-অধীনতা, পরাধীনতার মুক্তি, লক্ষ ঝিনুক মাঝে যেমন একটি আসল শুক্তি।   স্বাধীনতা মানে নিজের শাসন, নিজের নিয়ম নীতি, পূর্ণ মনের উৎসাহ ভরা, নেই শোষণের ভীতি।   স্বাধীনতা সেই মহার্ঘ্য যা অনেক কষ্টে পাওয়া, দু'শো বছরের পরাধীনতা শেষে নিজেদের গান গাওয়া।   কতো না আত্মত্যাগে আর রক্তের বিনিময়ে, দেশপ্রেমিক বিপ্লবীরা প্রাণ দেয় শয়ে-শয়ে।   অবশেষে আসে স্বাধীন-সকাল, মুক্ত পাখির গান, আবেগে কবি লিখে ফেলে স্বাধীন দেশের গান।   স্বাধীনতার নবচেতনায় জেগে ওঠে দেশবাসী, স্বাধীন দেশের দেশমাতৃকা হাসেন মধুর হাসি।   মুক্তকণ্ঠে গাও আজ ভাই স্বাধীনতারই গান, দেশপ্রেমের অরুণ আলোয় জাগুক সকল প্রাণ॥ ============================= গোবিন্দ মোদক।  রাধানগর, ডাক- ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর, নদিয়া।  পশ্চিমবঙ্গ, ভারত,

কবিতা ।। জেগে আছে সময় ।। কাকলী দেব

জেগে আছে সময়      কাকলী দেব  উড়ে যাওয়া সময়ের হাত ধরতে চাই  বিফলতার অনুভবে, বসে আছি আজও -- ব্যথাদের গায়ে হাত বোলাই,  মনোনিবেশ সহকারে!  তবু জীবন  কেটে যায়, সময়  কাটে না! সবার জীবনেই একবার তুমি এসে দাঁড়াও  মানুষের ছদ্মবেশ বলে, আমরা চিনতে পারি না! সেই মহার্ঘ্য সময় শেষ হলে, চেতনা জাগে-- তারপর শুধুই খুঁজে ফেরা, সময় দ্রুত ফুরায়, হায়! যে সময়কে জীবন বলে, তার কতটুকুই বা, প্রকৃত নিজের! সহজ সরল আনন্দ  হারিয়ে যায়!                 =========  

কবিতা ।। সেদিন আমরা ।। বদ্রীনাথ পাল

সেদিন আমরা বদ্রীনাথ পাল এই স্বাধীনতা চাইনি আমরা রক্তের বিনিময়ে- যেখানে মানুষ রবে চিরকাল অন্ধ ও বোবা হয়ে। স্বার্থান্বেষী মানুষজনেরা শুধু গরীবের বুকে- লাথি মেরে যাবে দিবস রাত্রি স্বার্থসিদ্ধি সুখে। অন্নের মুখ দ্যাখে নাকো যারা অন্ন যোগায় পেটে- স্কুল ছেড়ে কেন সন্তান তার ইটভাটা যায় হেঁটে ? রক্তের হোলি কেন খেলা হয় ধর্ম জিগীর তুলে- বেকার যুবক পড়ে মার খায় সেও বলো কার ভুলে ? যেদিন মানুষ ভরা পেটে রবে-বসন জুটবে গায়ে, দিনের শেষে ফিরে যাবে ঘরে হাসিমুখে পায়ে পায়ে- খুশির প্রদীপ জ্বলবে যখন কারো কারো ভাঙা ঘরে- সেদিন আমরা স্বাধীনতা- গান গাইবো হৃদয় ভরে। ---------------------------------  বদ্রীনাথ পাল বাবিরডি, পোস্ট-গৌরাংডি, জেলা-পুরুলিয়া

কবিতা ।। স্বাধীনতা ।। আশীষ হাজরা

স্বাধীনতা  আশীষ হাজরা ও ফেলানী  ঐ দেখ স্বাধীনতার পতাকা  ঐটা আমার দেশের পতাকা  আমরা এখন স্বাধীন । ও বৌদি, বোঁদে কখন দেবে গো  ছেলেটা আর কথা শুনছে না, ঘরকে যেতে হবেক রান্নার কাঠ নাই  চাল আছে- আনাজ নাই  ঘরে রুগী ওষুধ নাই, কখন শেষ হবেক  তোমাদের স্বাধীনতা।।

কবিতা ।। প্রলয় ।। হামিদুল ইসলাম

প্রলয় হামিদুল ইসলাম       খুব সহজেই পেরিয়ে যাই অতলান্ত ভূবন কথার জমিনে গেঁথে রাখি স্বপ্ন দুচোখে মায়া ঘুমঘোর আজও নীরব ছায়া হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে পথের ঈশ্বর   ।। সেজে ওঠে চৌরঙ্গী শাওণে ভেসে যায় রাত তবু বৃষ্টি নেই কতোদিন হৃদয়ের আঙিনায় খাঁ খাঁ শূন্য মাঠ   ।। কথা দিয়ে আঁকি কথার বসত সব কথা হয়ে ওঠে নিষ্ফল আবেদন সব কথা হয়ে ওঠে উদাস দলিত সময়ের বুক চিরে বেরিয়ে আসে ঝড়ের সংকেত   ।। ঝড় ঝড় কথা ঝড় ঝড় যুদ্ধের বার্তা ঝড়ের বুকে প্রলয় আঁকে নিরন্ন মানুষের কান্না    ।। ------------------------------------------------------------------------ হামিদুল ইসলাম গ্রাম +পোষ্ট = কুমারগঞ্জ। জেলা =দক্ষিণ দিনাজপুর।

কবিতা ।। জোনাকি ।। নিরঞ্জন মণ্ডল

জোনাকি নিরঞ্জন মণ্ডল যখন সবে হচ্ছে সাকার এই জগতের মায়া চোখের তারায় আঁকছি আকাশ মাটির অমল কায়া ভাবনা জুড়ে দিচ্ছে নাড়া জোয়ার নদীর ঢেউ দেখতে পেলেম নিপাট একা নেইকো পাশে কেউ। বাবা মায়ের সরব ছবি নিটোল হওয়ার আগে 'নেইকো তারা'-এই কথাটাই চেতন জুড়ে জাগে ; এই জগতের দুঃখ খুশির সকল বাঁধন ছিঁড়ে হারিয়ে গেল কোন ইসারায় নিরুদ্দেশের ভিড়ে! শরীর জোড়া যন্ত্রনাতেও পাই না কাজে ছুটি, ঘুম জড়ানো দু'চোখ তবু কোন সকালে উঠি দিনের হাজার কাজের মাঝেই ঘুমিয়ে পড়ি যেই লুটিয়ে জাগি ভুঁয়ের 'পরে,হারাই বাঁচার খেই! ভাবনা জুড়ে বাবা মায়ের পরশ খোঁজার ফাঁকে ককিয়ে উঠি চুপ-যাতনায় নতুন সে এক বাঁকে বাঁচতে চেয়ে, চোখের জলেই রাতটা আসে নেমে বেঁচে থাকার স্বপ্ন ছিঁড়ে ভাবনারা যায় থেমে। শরীর জোড়া ঘুম কেড়ে নেয় ভুখা পেটের জ্বালা শিথান পাশে আলতো জাগে গরম ভাতের থালা বুক জুড়ানো গন্ধতে তার হাতটা বাড়াই যেই ঘুম ছুটে যায় পিচ-আঁধারে,কোত্থাও কেউ নেই! চোখ-নাগালে জোনাক কিছু মিটমিটিয়ে জ্বলে মার আঁচলের গন্ধ ছড়ায় হাওয়ার চলাচলে। পিঠের 'পরে বুকের 'পরে বাবার পরশ পাই, নাগাল পেতে যেই চেয়েছি আর সে ছোঁয়া নাই! পথের পাশের হট্টমেলায় কাজ এড়িয়ে যাই ...

কবিতা ।। স্বাধীন দিনে ।। বিবেকানন্দ নস্কর

স্বাধীন  দিনে বিবেকানন্দ নস্কর স্বাধীনতা দিনটা এলে ঘোরের মধ‍্যে থাকি পিছন ফিরে জলভরা চোখ,তাকেই কাছে ডাকি। স্বাধীনতায় কি এসে যায়, ভাবছে যারা ফাঁকি স্বাধীন দিনে সুখের  আলোয় ভরলো তাদের  আঁখি । অনেক অভাব অনেক দাবী অনেক অভিযোগ  সবার মনে লুকিয়ে  আছে যাপনের দুর্ভোগ । তবুও স্বাধীন  ভাবলে মনে অন‍্য রকম জোর দুচোখ মুগ্ধ তাকিয়ে  দেখি স্বাধীন দিনের ভোর । পিছিয়ে  যারা অন্ধকারে হাঁটছে কাঁটা পথ উল্টো স্রোতে এগিয়ে  চলে অন‍্যরকম মত । দেশের কথা দশের কথা  তাদের  কাছে টানে ভুলকে ছেড়ে ফুল বুকে নেয় নিজের  স্বাধীন দিনে । আত্মত‍্যাগের গাথাবলী স্মরণ করে খুশি ছড়ায় আলো সবার মুখে স্বাধীনতার হাসি । স্বাধীনতার স্বপ্প আলো মগ্ন শহীদ  স্মৃতি স্বাধীন দিনে স্বাধীন ভেবে অন‍্য অনুভূতি ।

ছড়া ।। শিকল ভাঙার গান ।। বাসুদেব সরকার

শিকল ভাঙার গান  বাসুদেব সরকার  নিরীহ সব মানুষের পা'য় শিকল পরায়, বাঁধে-  স্বাধীনতা আঁতুড় ঘরে  বন্দি হয়ে কাঁদে।  স্বাধীনচেতা মানুষগুলো  শিকল ফেলেন ছিঁড়ে,  স্বাধীনতার জন্য ব্যাকুল   প্রাণপণে যান লড়ে।  ক্ষুদিরাম ও নেতাজীদের  শিকল ভাঙার গানে,  বাঙালিরা ওঠেন জেগে  শক্তি সাহস মনে।  অবশেষে শিকল ভেঙে  বাঙালিদের জয়,  বিদায় হলো ব্রিটিশ বর্গী  নেই কোনো আর ভয়।  ================= ◾বাসুদেব সরকার,  চরভৈরবী, হাইমচর, চাঁদপুর, বাংলাদেশ।

ছড়া ।। আসল স্বাধীন হবো ।। জগদীশ মন্ডল

আসল স্বাধীন হবো  জগদীশ মন্ডল মুক্তির জন্য জান দিয়েছে আমার দেশের ভাই, স্বাধীন হয়ে স্বাধীন দিনে তাদেরই গান গাই। স্মরণ করি বীর যোদ্ধাদের যাদের অবদানে, ইংরেজ শৃংখল মুক্ত হয়ে স্বাধীনতা আনে। উড়িয়ে দিই বিজয় কেতন দেশের ভবিষ্যৎ, ত্রিবর্ণ রঙ পতাকাটি এগিয়ে চলার পথ। এগিয়ে গেছি কিন্তু কী কেটেছে অন্ধকার, অশিক্ষার কালি দূর হলো হলো কার উপকার ? আসল স্বাধীন হবো তখন সব হাতে কাজ পাবে, দু-বেলা, দু-মুঠো খাবার সবাই মিলে খাবে। ******************************** ঠিকানা::জগদীশ মন্ডল।।নতুন পুকুর রোড।।চড়কডাঙা।।পোস্ট::বারাসাত।। কলকাতা::700124

কবিতা ।। স্বদেশ ।। অজিত কুমার জানা

স্বদেশ  অজিত কুমার জানা  স্বদেশ আমার, স্বদেশ তোমার,      অমূল্য সোনার মাটি। তোমার আলো, বাতাসের ছোঁয়ায়,       দেশের মানুষ খাঁটি।। ভিন্ন ভাষা ,ভিন্ন জাত,      তবুও একতা সবাই।  হিংসা, দ্বেষ সব ভুলে,       মিলনের গান গাই।। বন্যা খরায় বেড়েছে অনাহার,      আমরা ধরেছি হাত।  অসহায় অভুক্তের মুখে মুখে,       দিয়েছি তুলে ভাত।। বিপদ এলে শত্রুকে রুখবো,      বাঁচাবো তোমার সম্মান।  স্বদেশ আমার জননী জন্মভূমি,       তুমি চির অম্লান।। ==================== অজিত কুমার জানা  গ্রাম +পোষ্ট-কোটরা, থানা-শ্যামপুর, জেলা-হাওড়া, পিন-৭১১৩০১, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত। 

কবিতা ।। আমার স্বাধীনতা ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল

আমার স্বাধীনতা  ভুবনেশ্বর মন্ডল আমি কোন খাঁচা নয় একটা আত্মবিশ্বাসের আকাশ চাই যেখানে একটা সূর্য আছে আর মিঠা জলের সমুদ্র মাথার উপরে নিরাপদ ছাউনি পায়ের তলায় স্নেহশীল মাটি আর অন্নবস্ত্রের সহজাত অধিকার এটাই আমার স্বাধীনতা আমার স্বদেশ আমার পৃথিবী আমার ফুসফুসে গল্প করবে পৃথিবীর যত অক্সিজেন মূল্যবোধ ও মানবতা জড়িয়ে ধরবে মানুষের গলা আমি চিনে নেব মাটিকে আর মানুষকে যত কান্না সব মুছে দেবো ভালোবাসার রুমালে আমি গাছের মতো শুষে নেব সূর্যকে আপন সত্তায় শিকড়ে শিকড়ে হেঁটে যাবো চেতনার বাড়ি যে অন্ধকার খেয়ে নিচ্ছে আমার স্বদেশ আমার পৃথিবী আমি আমার স্বাধীনতায় তাকে ফাঁসি-কাঠে ঝোলাবই । __________________ ভুবনেশ্বর মন্ডল সাঁইথিয়া লেবু বাগান পোস্ট সাঁইথিয়া জেলা বীরভূম পিন নাম্বার ৭৩১২৩৪  

কবিতা ।। স্বাধীনতা - কতদূর ? ।। সায়নী ব্যানার্জী

স্বাধীনতা - কতদূর ? সায়নী ব্যানার্জী বছর ঘুরে ১৫ অগাস্ট । স্বাধীনতা দিবস । প্রভাতফেরি , পতাকা উত্তোলন ,গান,নাচ - এই সবটাই একটা নিয়ম মেনে পালন করেন ছোট থেকে বড় সকলে l স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ কি ? কতজন সেটা বোঝে ?-এই নিয়ে এক বিরাট প্রশ্ন রয়েই যায় l স্বাধীনতা অনেক বড় অনেক গভীর একটি বিষয় l নিজের অধীনে নিজেকে সঠিক পরিচালনা - এর ভাব,গভীরতা নিয়ে কথা বলার মতো লোক আজ আর নেই l ভিন্ন দেশ,ভিন্ন জাতির অধীনতা থেকে বেড়িয়ে নিরন্তর হয়ে চলা স্বেচ্ছাচারিতা কখনওই স্বাধীনতা নয় আমার মতে।অন্য দেশ,জাতির দাসত্ব থেকে বেড়িয়ে নিজের দেশ মাথা তুলে দাঁড়ানোর যে স্বপ্ন বুকে নিয়ে কোটি কোটি মানুষ প্রাণ দিয়েছিলেন, আজ সেই দেশে জাত-ভেদ , অশিক্ষা,সম্মান হানি, বলাৎকার, নিত্যদিনের ঘটনা l এমন স্বাধীনতা কেউ কি চায় ? কেউ চেয়েছিলো ? পুরোনো ভাবনা,কুসংস্কার,কন্যাভ্রূণ হত্যা,পণ, - এই শিকলে জর্জরিত আমাদের দেশ l আজ এতো বছর পরেও। এতো শিক্ষার উন্নতি ঘটা সত্বেও । সময়ের সাথে সাথে উন্নতির পথে এগোনোর বদলে চিন্তাধারার ক্রমহ্রাসমান অবনতি এক লজ্জা ব্যতীত আর কিছু না l স্বাধীনতার জন্মদিন পালন হোক l দেশমাতৃকার নাম উজ...

কবিতা ।। স্বাধীন দেশের নাগরিক ।। সুনন্দ মন্ডল

স্বাধীন দেশের নাগরিক               সুনন্দ মন্ডল ১ আমরা স্বাধীন তাই তো রুটি ভাগ করে খাই। আমরা স্বাধীন কেড়ে খায় কেউ কেউ। আমরা স্বাধীন স্বাধীন দেশের নাগরিক। ভালো আছি, ভালো থাকি এটুকুই বলি! নেই আশা, আকাঙ্ক্ষার স্ফুরণ নেই বেঁচে থাকার রসদ। শুধুই কপটতা, কর্কট রোগের মতো জীবনটা জড়িয়ে আষ্টেপৃষ্টে। মানুষ নিশ্বাস ফেলছে ঠিকই কিন্তু তাতেও বিশ্বাস নেই। অবাস্তব কল্পনার স্বর্গ রচনা করে শুধু দিন গুজরানো। আমরা স্বাধীন স্বাধীন দেশের নাগরিক শুধু! নেই মুক্ত কণ্ঠে অভিযোগ জানাবার ভাষা। নেই কেউ অভিযোগ শোনার মতো ভরসা।  ২ আমরা স্বাধীন,  স্বাধীন দেশের নাগরিক আমরা স্বাধীন উন্নত আর নির্ভীক। আমরা আজ, আমরা হয়েছি তোমাদের দানে। তোমরা যারা রক্ত দিয়ে বাঁচিয়েছ ভারতেরে প্রাণে। বলি হয়ে গেছ কত তাজা নেই আজ এ শহরে। শুধু পড়ে আছ স্মৃতি হয়ে সবাকার হৃদয়ের ভারে। জীর্ণ জীবনের ব্যথা ভুলেছি, ভুলেছি শত কষ্ট। তোমাদের ত্যাগে শিখেছি আমরা  হয় নি পথ ভ্রষ্ট। কিন্তু আজ এই ছিয়াত্তরের  মধ্যরাতের আঁখি। জ্বলছে কোন অনুতাপে পোড়া মুখটা ঢাকি। জীবন ভাসছে কোন জোয়ারে নেই কো সুরের ...

কবিতা ।। স্বাধীনতা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী

স্বাধীন তা  সুদীপ কুমার চক্রবর্তী আবার স্বাধীন তা দিবস .......সাত দশক পেরিয়ে এসেছি এগিয়ে চলেছি ক্রমশ শতাব্দীর দিকে। স্বাধীন তার বার্তা দেওয়া হয় ফি বছর নাগরিক মঞ্চ থেকে। আট ঘণ্টার লড়াই করে যে মজদুর সে কি আজও  স্বাধীন তা পেয়েছে ? মাটিতে জন্ম যে কৃষকের - যে কৃষাণ কৃষাণীরা মাটির গন্ধে উদয়াস্ত মেহনত করে জীবন কাটায় ওরা কি  স্বাধীন তা পেয়েছে ? যে শিশুরা শৈশব বিকিয়ে আজ স্কুলছুট যে শিশুরা পেটের তাগিদে কলে কারখানায় দোকানে রেস্টুরেন্টে কাজ করে দিন কাটায় ওরা কি  স্বাধীন তা পেয়েছে ! গৃহহীন - অনাথ - ভিক্ষু জীবি যারা  স্বাধীন তা তাদের কি দিতে পেরেছে ! প্রজন্মের পর প্রজন্ম লাখো লাখো শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের জন্য এ  স্বাধীন তা লিখেছে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যত। রাজা মন্ত্রী শ্রান্তি ওরাই আজ দেশসেবক - মঞ্চ নায়ক - জনগণের কাঁধে জোয়াল ভেঙে লুঠে চলেছে দেশের সম্পদ। শান্তিপ্রিয় মানুষ আজও পায়নি তার ন্যায্য বিচার। ধর্ষণ - খুন - রাহাজানি এখন নিত্যকার- জলভাত। জনগণের কণ্ঠ চেপে ধরেছে আজ শিকারি বাজ পাখির দল। তস্করদের দেশ বন্দনায় আজকাল মঞ্চে মঞ্চে তিরঙ্গা ওড়ে। এখনও মধ্য রাত...

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

রেজাল্ট ।। সৈকত মাজী

রেজাল্ট সৈকত মাজী শুভ্রাংশু বিছানতে শুয়ে শুয়ে বিরক্ত হয়ে উঠল। মনে মনে নিজের শরীরটাকে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিলো দু- চারটে কথা, দেবে নাই বা কেন, কয়দিন ধরে এতো কাঠ খড় পুড়িয়ে সব বন্ধুরা মিলে রথটা বানালো, কত কি প্ল্যান করলো, আর এই শরীরটার জন্যই তো সব ভেস্তে গেলো। মনে মনে ভাবলো একটা যা হোক শরীর হয়েছে ওর প্রতি মাসে তিন - চার বার করে জ্বর হচ্ছেই। হবি তো হ আর একটা দিন পরে হলে কি এমন ক্ষতি হতো, এই রথের দিনেই হতে হলো। ওর বিরক্তিটা বেড়ে গেলো আরো কয়েক ঘর।    " মা ও মা...মাআআআআ...." জোরে হাঁক  দিলো শুভ্রাংশু।    " কি হয়েছে বাবু? আবার জ্বরটা বেড়েছে? মাথা ব্যথা করছে?" ব্যস্ত হয়ে উঠলেন মালতিদেবী।     " ওসব কিছু নয়, ও মা বলছি এখন তো খুব কম জ্বর আছে যাই না মা একবার বাইরে, সবাই কতো ফুর্তি করছে বলো"  কাতর ভাবে বলল শুভ্রাংশু।      " না বাবু, এখনই আমরা ডাক্তারের কাছে যাব, বাবা তৈরী হয়ে গেছেন, আমরা বিকেলে তখন মেলা দেখতে যাব কেমন, এখন উঠে জামা কাপড় পরে নাও"  মালতিদেবী জামা কাপড় গুলো এগিয়ে দিলেন।      শুভ্রাংশু...

রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি

রাই আর বাবা অদিতি চ্যাটার্জি রাই-র জীবনে বেশ কিছু ভালো লাগা আছে তার মধ্যে একটা হলো সন্ধ্যার সময় তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখতে দেখতে কফি কাপে চুমুক দেওয়া ।" আজ যশোদা মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে বেশ ভিড়,নির্ঘাত 'তেলে ভাজা ' প্রেমীরা।" আপন মনেই ভাবে ও, কিন্তু বসার ঘরে সুমন আর আঁখি এতো জোরে 'হল্লা গোল্লা ' করছে তালতলার জমজমাট রাস্তার দিকে আর মন দিতে পারছে না রাই।  পায়ে পায়ে ঘরে এসে দাঁড়ায় রাই, দেখে ক্লাস ফোরের মেয়ে এতোটা ঝগড়া করছে সুমনের সাথে , "বাপ রে, কবে এতোটা কথা শিখলো মেয়ে! কিভাবে কথা বলছে?? কোঁকড়া চুল ঝাঁঝিয়ে,গোলগাল হাত নেড়ে " ...মেয়ে কে দেখে থতমত খেয়ে যায় রাই। এদিকে আঁখি বলছে, "ধুত্ বাপী তুমি কিচ্ছু পারো না, তুতাই-র বাবা, পিসাই, মামু সবাই কত ভালো করে খেলতে পারে , না আমি তোমার সাথে খেলবো না।" কাতর চোখে মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে সুমন বলে ,"আচ্ছা তুই আমাকে শেখা, দ্যাখ আমি কার জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে পনেরো দিন পর পর কলকাতায় আসি বল!"  ঐ টুকু মেয়ে কথা প্রায় না শুনেই ঘরে চলে গেল রাই-র চোখের সামনে, সুমন একবার হেসে বাথরুমের দিকে এগো...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী

বস্তু, চেতনা এবং  কবি সজল চক্রবর্তী  "যেখানে পৌঁছায় না রবি,, সেখানে পৌঁছে যান কবি।" এই ছোট্ট কবিতা টি অনেক পুরনো  এবং বহু পরিচিত, তথাপি এর তাৎপর্য এখনো হারায় নি। তবে, কথা হ'চ্ছে -আমরা তো  রবি-কবিকে একত্রেই পেয়ে যাই আমাদের ঋষি-প্রতিম কবি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে। আর তখনই জেনে যাই উপরোক্ত ছোট কবিতার প্রণিধানযোগ্যতা ।  ... এবার শুনে নেয়া যাক, ঋষি-প্রতিম কবির মুখ নিঃসৃত বাণী:- "তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি যাই ...." অর্থাৎ আমাদের প্রিয়তম কবি অনায়াসে পৌঁছে যান সৃষ্টির অসীমে , যা আমাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। এখানে কবির চেতনা সুদূর প্রসারী! ... প্রকৃত প্রস্তাবে কবি অতিন্দ্রীয় জগতের এক নাগরিক। তাঁর কাছে তাই চেতনা বা চৈতন্যেরই প্রাধান্য। ...এখন আসছি, বস্তু এবং চেতনার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে।  ... আমি একজন অতি সাধারন মানুষ, তাই এই ব্যাপারটাকে কবিদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা ক'রছি। তবে আমার সামান্য জ্ঞান থেকে একটা সাধারণ কথা সেরে নি'। আমরা সাধারণত ব'লে থাকি-- সূর্য পূর্বদিকে ওঠে। প্রকৃত অর্থে কি তাই ? আসলে সূর্য যেদিকে ওঠে ,আমরা  সেই দিকটাকে নামাঙ্কিত ক...

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদি ।। অরবিন্দ পুরকাইত

স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি  (পর্ব—সাত) অরবিন্দ পুরকাইত স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদির সংগ্রহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকায়, ২০১৬ সালে। সে সংগ্রহ যায় নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে, ১৪২৩ সনে। পরে এই ব্লগজিনেও কিছু সংগ্রহ প্রকাশিত হয় ১৪২৮ সনের আশ্বিন মাসে, পৌষ ১৪২৯-এ, আষাঢ় ১৪৩০, নববর্ষ ১৪৩১ ও কার্তিক ১৪৩১ সংখ্যায়। তার পরেও ধীরে ধীরে আরও কিছু সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলিই এখানে রাখা হল। নিজের আগের সংগ্রহে এসে-যাওয়া শব্দ যদি এখানে এসে থাকে, তা বাড়তি বা ভিন্ন কিছু বলার প্রয়োজনেই। নিজের আগের সংগ্রহ খুব ভাল করে যে মিলিয়েছি তা নয়, পুরো সংগ্রহ একত্র করার সময় তা করা যাবে যতটা সম্ভব নিখুঁত করে। আগে আগে সংগ্রহ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা হয়েছে, বিশেষত প্রথম প্রকাশের সময় একটু বিশদভাবে। এখানে আর কিছু বলা নয়, কেবল সংগ্রহটাই তুলে ধরা গেল। অখেজো/অখেজে — অকেজো থেকে। আদরের তিরস্কার হিসাবেই মূলত প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পাজি। অচিমিতি — (উচ্চারণ ওচিমিতি) আচমকা, হঠাৎ। অদীয় — প্রচুর, অজস্র। অদ্বিতীয় থেকে ক...

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায়

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত রণেশ রায় ভূমিকা দর্শনের ইতিহাসে বস্তু ও চেতনার সম্পর্ক মানবচিন্তার গভীরতম প্রশ্ন। অধিবিদ্যা ভাবকে মুখ্য ধরে, বস্তুকে গৌণ বলে মনে করে। বিপরীতে মার্কস ও এঙ্গেলস বলেছেন—বস্তুই মুখ্য এবং চেতনা তার প্রতিবিম্ব। মানুষ যখন প্রথম আলোর মুখ দেখেছিল, তখনই সে বিস্ময়ে প্রশ্ন করেছিল—আমি কে, কোথা থেকে এলাম, আর এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে কিছু আছে কি? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নিয়েছিল দর্শনের দুই বিপরীত স্রোত—ভাববাদ আর বস্তুবাদ। ভাববাদ বলেছিল—"ভাবই প্রথম," আর মার্কস বললেন—"না, বস্তুই প্রথম।" এই দুই প্রান্তের মাঝখানে আমি দেখি এক সেতুবন্ধন, যেখানে বস্তু, স্নায়ু ও চেতনা একে অপরকে গড়ে তোলে, আর তাদের এই ত্রিত্বের নৃত্যেই সৃষ্টি হয় জীবন ও কল্পনার জগৎ। ভাবববাদ এক সর্বশক্তিমান শক্তির কল্পনা করে যা এই বস্তুজগতের স্রষ্টা। আর এখান থেকে ধর্ম ও ধর্মীয় ভাবধারার সৃষ্টি। আমার এই প্রবন্ধে আমি মার্কসীয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আলোকে বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি দেখাবার চেষ্টা করবো কিভাবে ইন্দ্রিয় এবং স্নায়ুজগৎ বস্তু ও চেতনাকে সংযুক্ত করে এবং কল্পলোকের জন্ম দেয়...

চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার

চাঁদে জীবন  শমীক সমাদ্দার                           চন্দ্রযান দুরন্ত তৈরি, রকেটের উপর ভর করে চন্দ্রযান চাঁদে অবতরণ করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পেরিয়ে মহাকাশযান চাঁদের কক্ষপথে  স্থাপন করা হয়েছে। চন্দ্রাযান চাঁদের মাটিতে পা রাখবে সময়ের কাউন্ট ডাউন চলছে। সমস্ত নিয়ন্ত্রণ স্পেসস্কাই গাবেষণা কেন্দ্র কতৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রযুক্তি বিজ্ঞান অতল গভীরতায় বাসা বাঁধে। পরিচয়টা দিয়ে দিলাম এই স্পেসসিপে রয়েছে তিনজন নভোচর, একজনের নাম সাইমন আর এক জনের নাম রেমন্ড, আর এদের সঙ্গে একজন মহিলা আছে তার নাম মেরিনা। চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করেছে। চন্দযান দুরন্ত চাঁদের পূর্ব -পশ্চিম অক্ষরেখা বরাবর অবতরণ করেছে। আলো আঁধারের গভীরতায় বড় বড় পাথরের পিণ্ড, চাঁদের সার্ফেসের উপরে পাথর জল দেখা যায়। জমাট বাঁধা অক্সিজেন আর কার্বনডাই অক্সাইড। ওরা এখানে এসেছে এক রহস্য উদ্ঘাটন করতে। যে স্থানে ওরা অবতরণ করেছে সেখানে ১০ বছর আগে ওরা এসেছিলো। রুশ সরকার ওদের দেশের ছাত্র ছাত্রী কে মহাকাশে চাঁদে পাঠাতে চায়। ওরা কেন এসেছে সেটা এখনো অধরা। সাইমনের বর্...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

বছরের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ৮৬তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পাদকীয় এই সংখ্যাটি বাংলা নববর্ষ বিষয়ক সংখ্যা। নৱৰ্ষকেন্দ্রিক বহু তথ্যপূর্ণ লেখা এই সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস, রীতিনীতি, উৎসব, পার্বন, লোকাচার, রূপান্তর বহুবিধ বিষয় প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যার লেখাগুলিতে। এই সংখ্যার বাছাই কিছু লেখার সঙ্গে আগামীতে আরও কিছু লেখা সংযুক্ত করে বাংলা নববর্ষ বিষয়ক একটি মুদ্রিত সংখ্যা প্রকাশ করার ইচ্ছে রইল।  সকলকে নববর্ষের আন্তরিক শুভকামনা জানাই। উৎসবে আনন্দে থাকুন, হানাহানিতে নয়। ধর্ম-ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে সহনাগরিকের পাশে থাকুন। মনে রাখুন, ধর্মকে মানুষই সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বর আল্লা গড ইত্যাদির জন্মদাতা মানুষই। মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষের পাশে থাকুন।  নিরাশাহরণ নস্কর  সম্পাদক, নবপ্রভাত।  সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা পয়লা বৈশাখ ।। সিদ্ধার্থ সিংহ নববর্ষকেন্দ্রিক মেলা, পার্বন, উত্সব, লোকাচার ।। সবিতা রায় বিশ্বাস নববর্ষ আবাহন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে ।। তুষার ভট্টাচার্য নববর্ষের সেকাল ও একাল ।। হিমাদ্রি শেখর দাস নববর্ষের হাল-হকিকৎ ।। শংকর ব্রহ্ম বোশেখি বাঙালি নাকি পোশাকি বাঙালি? ।। দিব্যেন্দু...

প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান

বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় মাখনলাল প্রধান বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির জগতে যাত্রা শিল্প তথা নাট‍্যশিল্পে মড়ক নেমে এসেছে । যাত্রা শিল্পের মড়কে শুধু কোভিড নয় তার বহুপূর্ব থেকেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় , শিক্ষাক্ষেত্রে বন্ধ‍্যাত্ব এবং গ্ৰাম বাংলার পটপরিবর্তন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। যাত্রা-শিল্পের লীলাভূমি ছিল গ্ৰাম বাংলা। গ্ৰামে প্রচুর যাত্রাপালা হত নানা উৎসবকে কেন্দ্র করে । জমিদারি ব‍্যবস্থা লুপ্ত হওয়ার পর গ্ৰামীণ মানুষের উদ‍্যোগে শীতলা পূজা,  কালীপূজা, দুর্গাপূজা, কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, চড়ক ইত‍্যাদিকে উপলক্ষ‍্য করে যাত্রাপালার আয়োজন না হলে কেমন যেন ম‍্যাড়ম‍্যাড়ে লাগতো। সেই সঙ্গে কলকাতার বড়বড় কোম্পানির যাত্রাপালা ঘটা করে, টিকিট সেল করে হত মাঠে। খুব বড় মাপের খেলার মাঠ যেখানে ছিল না সেখানে ধানের মাঠ নেওয়া হত ‌। ত্রিশ-চল্লিশ হাজার মানুষ দেখতে আসত। স্পেশাল বাস পাঠাত  আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বিনা ভাড়ায় বাসে যাতায়াত করত যাত্রার দর্শকেরা। কিন্তু বিকল্প ধানচাষ শুরু হলে জমিগুলো সময় মতো ফাঁকা পাওয়া গেল না । প্রথম দিকে ব‍্যাপকহারে ধান শুরু না হওয়ায় খুব একটা অসুবিধা হত না। বহুক্ষেত্রে  ধান কা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী

ভিনগ্রহীদের সন্ধানে  শ্যামল হুদাতী  ইতিহাসের শুরু থেকে বারবার মানুষকে একটা প্রশ্ন কুঁড়ে কুঁড়ে খায় – এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? পৃথিবীর মতো আরও গ্রহ রয়েছে, যেখানে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীরা বাস করে – এই সম্ভাবনা বরাবর মানুষকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের কখনও না কখনও এই ভাবনা এসেছে। দীর্ঘ কয়েক দশকের গবেষণার পরও, এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপ, বহু দূরের এমন কিছু গ্রহের সন্ধান দিয়েছে, যেগুলিতে প্রাণ থাকতেই পারে। তবে, নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বহু দূরে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। তারা এই পৃথিবীতেই মানুষের ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যেই বসবাস করতে পারে। আমরা ভিনগ্রহীদের যেমন কল্পনা করি, এরা তার থেকে আলাদা। এরা অনেকটাই, দেবদূতদের মতো। মানব জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রযুক্তিগত নয়, বরং জাদুকরি। মহাকাশে সৌরজগতের গ্রহ পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথায় প্রাণ রয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। একই সঙ্গে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাস ক...

মাসের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

দিদৃক্ষা ।। রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী

  দিদৃক্ষা রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী 'কাল একবার দেখা হতে পারে?' দশমীর দুপুরে খাটে আধশোয়া হয়ে নিজের ফোনটা ঘাঁটছিল দেবমাল্য; হোয়াট্‌সঅ্যাপের সার্চ বক্সে  র‍্যান্ডম সিক্যুয়েন্সে ক'খানা ডিজিট ইনপুট করতেই বিস্মৃতির অতল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে নামটা স্ক্রিনের সারফেসে ভেসে উঠল, এককালে দেবমাল্যের প্রায়োরিটি লিস্টে সবথেকে ওপরে পিন্‌ করা থাকতো এই অ্যাকাউন্টটা। 'অহনা দাশগুপ্ত'—গ্রেয়েড-আউট ডিপিটার ডানদিকে, নামটার তলায় নিস্প্রভ হরফে ভেসে থাকা ওর এই লাস্ট মেসেজটা বেশ ক'বছরের পুরনো, কিন্তু দেবমাল্যর স্মৃতির প্যান্ডোরা বাক্সটি উলটে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। আরেকবার আপাদমস্তক শিহরিত হয় সে। প্রোফাইলটা খুলে ওপরে-নীচে স্ক্রল্‌ করে দেখে, ওদের পুরনো চ্যাটগুলো তেমনি আড়ষ্ট হয়ে পড়ে আছে, ওর মেসেজগুলোর পাশে ডাবল টিকগুলো এখনও জাজ্বল্যমান সবুজে ছোপানো, যেন এইমাত্র 'সিন্‌' করে রেখেছে অহনা! যেন এখুনি আবার হাত বোলালেই অহনা এসে খানিকটা রাগত ভঙ্গিতে চ্যাট করতে লেগে যাবে। দেবমাল্যের বুক ছাপিয়ে একটা নীরব দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে! ছুটির এই আমেজটা লক্ষ্মীপুজো অব্দি গড়াবে—অফিস খুললেই তো আবার দমফাটা ব্য...

গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম

  গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম হুইসেল (মুরাকামি থেকে অনুপ্রাণিত) ♦ 'গভীর রাতে একটা হুইসেল কতটা গভীর হতে পারে তুমি কল্পনাও করতে পারো না,' ছেলেটা বললো, 'আশ্চর্য ঐ হুইসেলের মতো আমি ভালবাসি তোমাকে।' কিন্তু গভীর রাতে অন্ধকারে কখনও তো ঘুম ভেঙে যায়নি মেয়েটার, কখনও ও বিচ্ছিন্ন আর একা হয়ে যায়নি। ও কীভাবে অনুভব করবে গভীর রাতে ট্রেনের হুইসেল কতটা গভীর! নিউজ এজেন্সি ♦ একসময় আমরা খবর শুনতাম এখন দেখি স্বীকার করতে হবে খবর শোনার চেয়ে দেখার আনন্দ বেশি আলাদা উত্তেজনা নিউজ এজেন্সিগুলো এব্যাপারে তৎপর আর প্রতিযোগিতাপূর্ণ কোনটা নিউজ সেটা ওরাই ঠিক করে যেটা ওদের দরকার আর সেটাই আমাদের দেখানো হয় ধারাবাহিকভাবে সুচারু জ্যামিতিকতায় বিভিন্ন পদ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নতুন বাস্তবতা নির্মাণে যে বাস্তবতায় জায়গা নেই আমাদের ইতিহাস অন্বেষা স্বাধীনতার সমৃদ্ধি আর স্বাধীনতার কথা বলেই ওরা আমার ক্ষেতখামার পাহাড় আর নদীর দখল নিয়েছে তাহলে টিভিতে যে হাসিখুশি প্রাণবন্ত আমাদেরকে দেখানো হয় ওরা কারা এই প্রশ্ন করো নিজের কাছে আগুন নিয়ে খেলা ♦ আজও পুকুরে ছিপ ফেলে বসবো আমি ধীরে চুপ সূর্য আমার ঘাড়ে শ্বাস ফেলবে সারারাত ঘরের ভেতর ল্যাং...

বিদায়ের স্রোত ।। চয়ন মন্ডল

  বিদায়ের স্রোত চয়ন মন্ডল "বিজয়া দশমী—আনন্দের দিন, কারও কাছে যা হয়ে উঠল চিরন্তন বিদায়।" আজ বিজয়া দশমী। শিউলি ফুলের গন্ধে ভোরটা অন্যরকম। পাড়ার প্যান্ডেলে অদ্ভুত এক কোলাহল—মায়ের বিদায় যে আজ। শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাজনা আর উলুধ্বনিতে গমগম করছে চারদিক। একদিকে মা দুর্গার বিদায়ের বেদনা, অন্যদিকে আনন্দ ও মিলনমেলা। সারা বছরের অপেক্ষা শেষে এই দিনটিতে প্যান্ডেল ভরে উঠেছে মানুষের ভিড়ে। সকালের পূজার্চনা শেষ হতেই শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। মহিলারা মায়ের প্রতিমাকে সিঁদুর পরিয়ে একে অপরের কপালে, গালে রাঙিয়ে দিচ্ছেন। ঢাকের তালে আর শাঁখ বাজনার আবেশে ভেসে যাচ্ছে পাড়া। শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। কিন্তু এসবের মধ্যে নেই অনুরাধা। কেউ তার বা মিনির খোঁজ রাখেনি। মুখার্জিদের দোতলা বাড়ির কোণের ঘরে বসে সে চোখের জল ফেলছে। সবার বাড়িতে আলোর রোশনাই, ভোগের গন্ধ, হাসি—শুধু তাদের ঘরটিতে নিস্তব্ধতা। গতবছর এই দিনেই তো অন্যরকম ছিল সবকিছু। অনুরাধা, সুজয় আর তাদের তিন বছরের মেয়ে মিনি পাড়ার প্যান্ডেলে ঢাকের তালে নেচেছিল, সিঁদুর খেলায় রঙে ভেসেছিল। বিকেলের দিকে প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে শামিল ...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

শেষ বিকেলের আলো ।। সৈকত প্রসাদ রায়

  শেষ বিকেলের আলো সৈকত প্রসাদ রায় রানাঘাট শহরের প্রান্তে ছোট্ট এক পাড়া বিশ্বাসপাড়া। সেই পাড়ার পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়িটায় থাকেন পুষ্পরাণী ভট্টাচার্য— বয়স পঁয়ষট্টির কোঠায়। সবাই তাকে "পুষ্পদি" বলেই চেনে। একসময় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেলে পুষ্পদি বারান্দায় বসে চা খান। ছোট একটা টেবিল, কয়েকটা পুরোনো বই, আর একখানা নীল কাঁচের ফুলদানি — তার নিত্যসঙ্গী। বারান্দার সামনেই একটা গলি, যেখান দিয়ে প্রতিদিনই স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা হইচই করে ছুটে যায়। পুষ্পদির একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ — কলকাতায় চাকরি করে। ছেলেটা আধুনিক, নিজের সংসার আছে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত। বছরে হয়তো একবার আসে, তাও কিছুক্ষণ বসে আবার চলে যায়। পুষ্পদি মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু বুকের ভেতরে একটা কষ্ট জমে থাকে। সেই বিকেলটা অন্যরকম ছিল। আকাশে ধুলো, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। হঠাৎ পুষ্পদির চোখে পড়ে — রাস্তায় এক কিশোর বসে আছে। বয়স বারো-তেরোর বেশি নয়। মলিন জামা, পায়ে ছেঁড়া চটি। ছেলেটা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে পুষ্পদির বাড়ির গেটে ঝুলে থাকা পুরোনো নোটিশবোর্ডটার দিকে, যেখানে একসময় লেখা ছিল — "পুষ্পরাণী ভ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...