Skip to main content

Posts

কবিতা ।। মেয়েটির মৃত্যু দেখে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য

মেয়েটির মৃত্যু দেখে  তুষার ভট্টাচাৰ্য  এই মৃত্যু উপত্যকায় রাত দুপুরে নিরীহ  অসহায় মেয়েটির হাড় হিম নৃশংস    মৃত্যু দেখে যদি প্রতিবাদে না নামো আজ  রাস্তায় পথে পথে তবে বুঝে নেবো সুবিধাবাদী  তোমার     মেরুদন্ড    বিকিয়ে     গেছে কবেই    শাসকের কাছে    ; যদি আজ না নামো রাস্তায় l ============ তুষার ভট্টাচাৰ্য l কাশিমবাজার l বহরমপুর l মুর্শিদাবাদ l

কবিতা ।। অন্ধকারের আলো ।। বিবেকানন্দ নস্কর

অন্ধকার ের  আলো বিবেকানন্দ নস্কর অন্ধকার  ডেকেছে তোমায় অন্ধ স্রোতে ভেসে যাও আঁধার পৃথিবী  এঁকেছো  এভাবে ? অন্ধ হয়েছো মোহে অন্ধ কারাগারে নত মনুষ্যত্বের ছবি হা জির জিরে কালসিটে মুখ ! আমাদের পৃথিবী এত  আলো  মাখা তার পিঠে কালি দিয়ে আমরা এঁকেছি  অন্ধকার   ! অন্ধ মুনির উপাসনাতে থাকে  আলো অন্ধ পথের দু পাশে  আলো র সারি আড়ালে লুকিয়ে কাঁদে  ! আদিম  অন্ধকার ের জীব খুঁজেছো কি  অন্ধকার ের  আলো অন্ধ রাতেই জ্বলে ওঠে দীপ । ================ বিবেকানন্দ নস্কর সন্তোষপুর ফলতা দক্ষিণ ২৪ পরগনা পিন ৭৪৩৫০৩

কবিতা ।। ঘোষণা ।। প্রতীক মিত্র

ঘোষণা  প্রতীক মিত্র হুমকি যত বাড়তে থাকবে ফুলকি তত ছড়াতে থাকবে এদিক ওদিক সবদিকে। তুমি বরং মাপতে থাকো জল রাস্তায় সাধারণের ঢল উঁচু ছাদের কার্নিশে ঝুঁকে। নিভবে না এ আগুন যতদিন না মিলছে বিচার, মৃত জাতি জেগেছে কি দারুণ  এটাই তো ছিল হওয়ার। দর কষাকষি ছেড়ে মিথ্যের শহরে আয়নায় মুখ দেখে জানিয়ে দিই নিজের পরিচয় আশাবাদেরই আলো চোখে। যে যেদিক থেকে আসুক মিলবে পথ একই অভিমুখে। পা যতটা পথই হাঁটুক এ বিবেকে নেই কোনো অসুখ। হুমকি যত বাড়তে থাকবে ফুলকি তত ছড়াতে থাকবে এদিক ওদিক সবদিকে। ============== প্রতীক মিত্র, কোন্নগর, পশ্চিমবঙ্গ

কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায়

অপেক্ষায় রণেশ রায়  নিশি ডেকে বেড়ায়  চোখ বন্ধ রাতে, ঘুম হারায়,  কার যেন পদধ্বনি শুনি----  কোন এক নীরবতা জানায়, কথা বলে আমার অশরীরি বেটি  অভয়া বা নির্ভয়া বা তিলোত্তমা  বা ওই আদিবাসী মেয়েটি---   সুপ্ত নারীশক্তির জাগরণ, ওদের বুকে ত্রাস ছড়ায় নতুন দিনের দিশা দেখায়  অন্ধকার  পথে  আলো  ছড়ায়, ছিনিয়ে নেয় চলার  অন্ধকার  পথ,  লক্ষ্য কোটি মানুষের গর্জন জ্বলে ওঠে মশাল  রাতের আঁধারে ঊষার আগমন। চোখে উজ্জ্বল সকাল, আমি বসি উঠে  অপেক্ষায় থাকি কখন সূর্য ওঠে।

কবিতা ।। গ্লানি ।। সুজন দাশ

গ্লানি  সুজন দাশ  কতটা ক্ষমতা থাকলে ওদের উপেক্ষা করে জনতার দাবি ,  জনগণ বুঝি জেনে গেছে সব?  কার কাছে আছে ক্ষমতার চাবি!  জানে ওরা জানে বিচার করলে  থলের বিড়াল ডাক দেবে মিউ,  বাঁচাচ্ছে তাই সন্দেহ নাই  দেয় না পাত্তা পাবলিক ভিউ।  আগুন জ্বালালে জনতার মনে  নিস্তার নেই এটা মনে রেখো,  দাবানল হয়ে জ্বলে ধিকিধিকি  না শিখলে তাহা দেখে শুনে শেখো।  আর জি করের অভয়া তুমি  ভেবো না জননী হবে না বিচার,  বেরিয়ে আসবে পশুদের নাম  ফুটবে কলমে ঠিকই ফিচার।  আমরা রেখেছি চোখ চারিদিকে  ব্যর্থ হবে না বিচারের বাণী,  ক্ষমা চাই মাগো সবার পক্ষে  চাইনা আসুক এরকম গ্লানি। =================== সুজন দাশ  আটলান্টিক সিটি, নিউজার্সি,  যুক্তরাষ্ট্র।

কবিতা ।। বিনীত আবেদন ।। শংকর ব্রহ্ম

বিনীত আবেদন শংকর ব্রহ্ম ভাতা পাওয়া বুদ্ধিজীবী কোথায় আছ সব? দেশে যা আজ ঘটছে সেটা করছ অনুভব? ভাতাজীবী বুদ্ধিজীবী সব অন্ধ কালা হয়ে, রাজ্যে যা সব ঘটছে দেখবে না তা চেয়ে? ভাতায় লোভে চোখটি বুজে  মুখটি বুজে থেকে,  দলদাস করবে প্রমাণ সব কিছু আজ দেখে? বিবেক কোথায় হারিয়ে গেছে খোঁজ করে তা দেখ দু'এক ছত্র সুবিচার চেয়ে আজকে না হয় লেখ। ------------------------ SANKAR BRAHMA. 8/1, ASHUTOSH PALLY, P.O. - GARIA, Kolkata - 700 084 .

কবিতা ।। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা ।। অশোক দাশ

তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা অশোক দাশ তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা,  চোখ ফেটে তোর রক্ত ঝরে                    ক্ষতবিক্ষত শরীর, হায়নার  দল  খুবলে খেলো  স্বপ্নের  কুঁড়ি  ছিঁড়ে   নিলো নিলো কেড়ে তাজা ফুটফুটে প্রাণ। তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা               বুকে অযুত বল,  দুর্জনের দুর্নীতি ভ্রষ্টাচারের     ভেঙেছিলিস সুখের ঘর। স্বপ্ন  চোখে  সেবার   মন্ত্র              কর্তব্যে  অবিচল,  বাঁচতে তাই দিলো না তোকে  জেনেছিলিস ওদের কু কীর্তির মতলব।  তুই যে মেয়ে তিলোত্তমা  আগুন রাঙা পলাশ কৃষ্ণচূড়া, সারা ভুবন একটাই দাবি জাস্টিস                             রাত দখল ধরনা। তোর   যন্ত্রণার  আর্তনাদ  কোটি  কন্ঠে  অগ্নি-স্বর, ঘৃণার বারুদে জ্বলে ক্রোধ        ধিক্কার ধর্ষক...

কবিতা ।। শোক সন্তাপের দুর্গা ।। সুদামকৃষ্ণ মন্ডল

শোক সন্তাপের দুর্গা সুদামকৃষ্ণ মন্ডল আমার দুর্গা হারিয়ে গেছে শোক বিহ্বল রাতে ফিরবে না সে আর কোনওদিন শরৎ শিউলি প্রাতে ঘরে বাইরে কুমারী প্রতিমা  রাস্তায় ট্রেনে বসে বারো মাসে দিনে রাতে হাঁটছে উষ্ণ শ্বাসে হায়না শেয়ালে রক্ত চাটে শকুনে খায় মাংস নারীর মাংস ওদের প্রিয় মাতৃ নিধনে অংশ রক্তেও ঘামে শহর গ্রাম মিছিলে আমজনতা মোমের বাতি জ্বলছে মৃদু শাসক মুখে ভণিতা রক্ষক দলে ভক্ষক ভিড়ে গদি দখলে হুমকি সাধুর বেশে শয়তান ঘুরে নয়তো বিষয় ঠুনকি চোখের জলে প্লাবন আসে কন্যার পিতা কাঁদছি কন্যা  হারানোর বিষম ব্যথায় সন্তাপে  মুষড়ে  আছি ================== সুদামকৃষ্ণ মন্ডল গ্রাম: পুরন্দর পুর (অক্ষয় নগর) পোস্ট : অক্ষয় নগর থানা : কাকদ্বীপ জেলা : দঃ চব্বিশ পরগণা

কবিতা ।। মেয়েদের স্বাধীনতা চাই ।। সুনীপা শী

মেয়েদের স্বাধীনতা চাই  সুনীপা শী আসিসনে মা মর্তে এবার,  আসিস নে মা আমাদের মাঝে। ভয় যে হয় তোকে ও নিয়ে, দানব দের কু নজরে পরিস নে যেনো তুই ও। স্বর্গ লোকে করেছিস তুই অসুর দমন। মর্ত লোকে করবে কে অসুর নিধন?  জনগণ আজ রাস্তায় নেমে করছে আন্দোলন।  দলে দলে এক হয়ে চাই ছে বিচার।  চাই ছে মেয়েদের নিরাপত্তা,স্বাধীনতা। জনগণের মাথার উপর বসে যারা, তাদের আন্দোলনের ডাক যায় না শোনা।  তাদের কাছে ধর্ষিতা মেয়েদের দাম - মাত্র দশ লক্ষ টাকা। তারা তো জনগণের মুখ বন্ধ করতে চাই।  চাই, জনগণ কে আড়াল করতে। লক্ষীর ভান্ডার আছে,  অথচ ,লক্ষীদের নিরাপত্তা নেই।  কন্যাশী, রুপশী এমন কি -  বছর বছর - তুই মা আসবি বলে, মণ্ডপে মণ্ডপে হাজার হাজার টাকা দিচ্ছে । চাই না আমরা অমন টাকা। চাই না অমন টাকায় মণ্ডপ সাজিয়ে-  তোকে সজ্জিত করতে। ভয় যে হয় দানব দের চোখে , তুই যেনো না -পরিস মা । তুই যেনো না পরিস । ===================== নাম-সুনীপা শী গ্রাম -মামুদপুর থানা -ফলতা পোষ্ট- রাজারামপুর জেলা -দক্ষিণ ২৪পরগনার 

কবিতা ।। গর্জে ওঠো এবার ।। সঞ্জয় বৈরাগ্য

গর্জে ওঠো এবার  সঞ্জয় বৈরাগ্য  বিচার চাই, বিচার চাই বলে, আর আবেদন নয়, নয় কোনো প্রার্থনা  ওগো নারী, এবার তোমরা গর্জে ওঠো! মোমবাতিগুলো নিভিয়ে দিয়ে, জ্বালো এবার, মশাল জ্বালো। প্রভাবশালী, ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে  গর্জে ওঠো, আওয়াজ তোলো। তুমি তো সেই নারী, দশ হাতে, দশটি অস্ত্র নিয়ে বধিলে  মহিষাসুর, শুম্ভ-নিশুম্ভ আর রক্তবীজের দল, তবে আজ কেন ঘুমিয়ে তুমি! আর কতদিন, কতদিন আর, থাকবে তোমরা চুপ? করো প্রতিবাদ, ওঠো গর্জে আমরাও আছি তোমাদের সাথে; আজকে যদি গর্জে না ওঠো, তবে তোমার রক্তে, তোমার যন্ত্রণা'য়  ঐ নরপিশাচদের হবে জয়! ============= ✏️ সঞ্জয় বৈরাগ্য   কৃষ্ণনগর , নদীয়া ।

কবিতা ।। ভবিতব্য ।। জীবন সরখেল

ভবিতব্য জীবন সরখেল ছল চাতুরী নকল সাজে  বাগালেও শিরোপা  মুখোশ খুলে হবেই একদিন  মিথ্যের দফারফা! সবাই জেনে বুঝে আপনার কদর্য চরিত্র  নামটাও মুখে নেবে না কেউ  ঘৃণায় হবে ক্ষিপ্ত! দেরি হলেও সত্যের জয়  সময়ের অপেক্ষা ভুলবেই মেকি অবদান সব অভিনয় আর ভিক্ষা!  মানুষ বাঁচুক খেলুক হাসুক শুভবোদ্ধা তাই চায় শোষণ ক্ষমতা দম্ভে কেউ  শ্রদ্ধা সম্মান কী পায়?  _________________ জীবন সরখেল, বাঁকুড়া, ভারত। 

কবিতা ।। ঘুমিয়েই থাকবে? ।। মনোরঞ্জন ঘোষাল

ঘুমিয়েই থাকবে? মনোরঞ্জন ঘোষাল ঘুমিয়ে কি থাকবে চিরকাল? মানুষ! কুম্ভকর্ণ রাক্ষস সেও ঘুমিয়ে থাকত; ছয় মাস অত‍্যাচারের সাম্রাজ্য ঘিরে দমন নীতি। স্বাধীনতা হরণ করে দমিয়ে রাখা যায়? তারা ছিল ইংরেজ বিভেদী মানুষ লোভ লালসায় সম্পর্কে ধরেছে ছেদ জন্ম দিয়েছে শোষণ দমন বিচ্ছেদ। আর কত কাল? কত কাল সইবে বল শুধু বদল নয়, বদলাও চাই যত পাকা হাত কলুষিত মন আর দুষ্টু বুদ্ধি আর নেই দরকার; হোক সংস্কার  চলে যাক সব মর্গে; ফেলে দাও আবর্জনার দলে নতুন সূর্য উদয় হোক নতুন এক ভোরে। যদি দেখ বেগতিক তার; তবে থাকবে না সেও শেকড় গেড়ে বট বৃক্ষের মত যুগ থেকে যুগ পেরিয়ে যেতে দেবেনা তারে ধরণীর যেন বোঝা হয়ে সে না রয় জয়ী হয়ে চিরকাল অন‍্যায় সমরে। ================= মনোরঞ্জন ঘোষাল আত্মারামপুর পশ্চিম রামেশ্বর পুর বজ বজ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা পিন 700140

কবিতা ।। লিখতে পারো ।। নীলমাধব প্রামাণিক

লিখতে পারো নীলমাধব প্রামাণিক সত্যি তুমি লিখতে পারো পারোই তুমি লিখতে তাই গিলতে হবে যতোই সে হোক অস্বস্তিকর যাচ্ছেতাই । সত্যি সত্যি লিখতে পারো টেনেই সে সব প্রসঙ্গ লিখতে সবার হয়না সাহস হবেন শেষে অনঙ্গ  ? সত্যি কি আর লিখতে পারো কেবল শুধু যাও বলে ঘটতে থাকা দৃশ্যাবলি চোখের সামনে জ্বলজ্বলে । সত্যি সত্যি লিখতে বসে হিজিবিজি ভ্যানতাড়ায় সময় কাটে ঠাটবাটে আর তফাৎ বাড়ে শিরদাঁড়ায় । মিথ্যে না হোক ফলিয়ে যদি বলিয়ে হন নামকরা সত্যি ভীষণ বিখ্যাত লোক ভীতরে বেশ ঘুণধরা । সত্যি তুমি লিখতে পারো বলতে পারো যা ইচ্ছে মিথ্যে কেবল মানুষ হলে গুরুত্ব আর কে দিচ্ছে । -------- নীলমাধব প্রামাণিক কিসমত মাধব নগর (ধোপাহাট) ডাক- পূর্ব চাঁদপুর, মন্দির বাজার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ডাক সূচক-  ৭৪৩৩৩৬

কবিতা ।। একটু শান্তির খোঁজে ।। দীপক পাল

একটু শান্তির খোঁজে দীপক পাল তোমাদের নিয়ে এবার বিবেকের       ডাক এসেছে আমাদের মননে তোমরা এক এক জন চিকিৎসক,       অবশ্য কেউ কেউ বলে ভগবান, কত আশা কত স্বপ্ন নিয়ে       হয়েছ এক এক জন ডাক্তার। মানব সেবার শপথ নিয়ে        করবে সব রোগের সমাধান। মূমূর্ষ রুগীর চিকিৎসা করে        পেয়েছ কত আনন্দ, চোখে জল আনে তখন যখন       সুস্থ হয়ে ভরে তোলে আশীর্বাদে। কত সন্মান পাও মানুষের       পাও যে কত শ্রদ্ধা তাদের কাছে, অতি উৎসাহে করে যাও রুগীর সেবা       বেডের পর বেড অতি নির্বিবাদে। কিন্তু এত নিঃস্বার্থ সেবার কাজ বিঘ্নিত হয়       কিছু দুর্নীতিপরায়ন মানুষের জন্য। হিংস্র পশুরা যেমন তার শিকার ধরে       তার মাংস ছিঁড়ে ছিঁড়ে খায়, এরাও কেউ কেউ রাতের আঁধারে       নারী সঙ্গে পেতে চায়। অন্ধকারে নীর্জন পথে চলে তারা        বিষাক্ত হিংস্র শ্বাপদের মত সুযোগ খুঁজে বেড়ায় প্রতিবাদীদেরকে       খুন  কর...

কবিতা ।। গণতন্ত্রের পরিহাস ।। মোহিত ব্যাপারী

  গণতন্ত্রের পরিহাস  মোহিত ব্যাপারী  মরছে মানুষ মারছে মানুষ। চলছে খেলা গণতন্ত্রের। বন্দুকের গুলি আর বোমার শব্দে বুক কেঁপে ওঠে। আকাশে বাতাসে গণতন্ত্রের জয় ধ্বনিত হয়। মাইকের স্বরে জননেতার কন্ঠ চড়ে। মাথা নষ্ট হয় সাধারণ মানুষের। গণতন্ত্র গণতন্ত্র গণতন্ত্র। চিৎকার চেঁচামেচি। গণতন্ত্রের নামে শুধুই প্রহসন দেখি। যে জনগণ সিদ্ধান্ত নিতে পারে না তারাই গনতন্ত্রের ভিত্তি। যে জনগণ ভাইয়ের গলা টিপে ধরে তারাই গণতন্ত্রের খুঁটি। একটা বাংলা মদের বিনিময়ে যারা নিজের ভোট বেঁচে দেয়,  তারাই শেষ কথা বলে। দুর্ভাগ্যের এখানেই শেষ নয়। দেশ মানে যার কাছে অস্পষ্ট ভূখণ্ড, সরকার মানে যার কাছে দু'কেজি আটা পাঁচ কেজি চাল, তারাই সরকার নির্বাচন করে। একে একে ভোট দিতে যায়। ব্যালট পেপারটা বুক পকেটে নিয়ে বাড়ি ফিরে যায়। উৎকোচ নিয়ে ভোট দেয় যারা তারাই আবার আশা রাখে, ঠিক পথে হাঁটবে সরকার। মরছে মানুষ মারছে মানুষ। চলছে বোমা গুলির লড়াই। রাজনীতির ময়দানে স্বজন দুর্জন হয়। আর নেতারা সব এক টেবিলে চুমুক দেয়। গণতন্ত্র গণতন্ত্র গণতন্ত্র। অকারণ চিল চিৎকার। গণতন্ত্রের নামে শুধুই প্রহসন। পেটে খিদে নিয়ে খালি পায়ে মানুষ চায়...

কবিতা ।। বিচার চেয়ে যাব ।। শঙ্খ চক্রবর্তী

বিচার চেয়ে যাব   শঙ্খ চক্রবর্তী   তুমি আমায় গন্ধ দিয়ে যেও।  আমি পরাগরেণু হব।  মাটির গায়ে ছড়িয়ে পড়ে জোরসে বিচার চাব।  বিচার যদি না মেলে তবে হাওয়ায় উড়ে যাব।  নতুন দেশের নতুন ফুলের গর্ভমুণ্ডে মিশে,  নতুন রঙের নতুন গানের নতুন  ফুল ফোটাব।  পাওয়া যত অবিচারের, কথা যত অন্ধকারের, সবই ভুলে যাব।  আমি পরাগরেণু হব।  তুমি বৃষ্টি দিয়ে যেও,  এই মাটিতেই আবার জন্ম লব।  মাটির বুকে ফসল হয়ে, কখনো সোনার রোদ্রু হয়ে, আবার বিচার চাব। তুমি আমায় হৃদয়ে ধরে রেখো।  আমি তোমার গান গাব। এমনভাবেই প্রতিকালে বিচার চেয়ে যাব।  ======================= শঙ্খ চক্রবর্তী ১৭৪, পূর্ব সিঁথি বাই লেন,  রাধারমণ প্লাজা, ফোরথ ফ্লোর, ফ্ল্যাট ফোর এ, দমদম, কোলকাতা।

কবিতা ।। অপেক্ষায় ।। রণেশ রায়

অপেক্ষায় রণেশ রায়  নিশি ডেকে বেড়ায়  চোখ বন্ধ রাতে, ঘুম হারায়,  কার যেন পদধ্বনি শুনি----  কোন এক নীরবতা জানায়, কথা বলে আমার অশরীরি বেটি  অভয়া বা নির্ভয়া বা তিলোত্তমা  বা ওই আদিবাসী মেয়েটি---   সুপ্ত নারীশক্তির জাগরণ, ওদের বুকে ত্রাস ছড়ায় নতুন দিনের দিশা দেখায়  অন্ধকার পথে আলো ছড়ায়, ছিনিয়ে নেয় চলার অন্ধকার পথ,  লক্ষ্য কোটি মানুষের গর্জন জ্বলে ওঠে মশাল  রাতের আঁধারে ঊষার আগমন। চোখে উজ্জ্বল সকাল, আমি বসি উঠে  অপেক্ষায় থাকি কখন সূর্য ওঠে। ===========

কবিতা ।। মেয়ে ডাক্তার খুঁজিস না আর ।। প্রবীর বারিক

মেয়ে ডাক্তার খুঁজিস না আর  প্রবীর বারিক  "মা মাগো আমি দেশসেবা করব বীর দেশপ্রেমিকের মতো  দরিদ্র আর্তের জন্য উৎসর্গ করব ঘুচিয়ে দেব সকল জ্বালা ক্ষত।" ছোট্ট মেয়ের জীবনাদর্শে মা আপ্লুত "তোর স্বপ্ন সার্থক হোক মামি" মা একগাল হেসে বুকে টেনে নেয় "মৌ তুই আমাদের জীবনে সবচেয়ে দামি"। বইয়ের পাতায় বুঁদ হয়ে কঠোর সংগ্রাম  জীবনে এমন কিছু করতে হবে যা মানুষকে ভগবানতুল্য করে দেয় মেয়ে হয়েও টেক্কা দেবে সবে। দিনরাত এক করে ঈশ্বর হওয়ার সাধনায়  সর্বপ্রকার স্বাধীনতা ছিল তার পিতা কখনও আক্ষেপ করে না "মেয়ে হয়েছে আমার"। বরং আদর যত্ন ত্যাগ তিতিক্ষা বহুগুণে বাড়িয়ে দেন মানব সেবক ডাক্তার হতে হবে আপোষহীন স্বপ্নের লেনদেন। নারী পুরুষ সমানাধিকার এক বিংশের বাণী তিলোত্তমাও টের পেয়েছে কত সম্মানহানি। ভগবানরূপে সেবা করে যায়  বিনিদ্র রাত্রি সেমিনার হলে চোখ ঢলে যায় মৃত্যুপথের যাত্রী। নর পিশাচ পাষণ্ড ধর্ষক মদ্যপ ক্ষুধার্ত হায়না  চুল থেকে নখ সর্বাঙ্গ রক্তস্নাত আয়না। সমাজ বিরোধী অমানুষেরা আজ দাপায় যত্রতত্র ওরা হল এক দানব নেই তাদের কোন গোত্র। সভ্য সমাজ বুদ্ধিজীবী বিক্রি হয়...

কবিতা ।। তিলোত্তমা ।। শম্পা পাত্র

তিলোত্তমা শম্পা পাত্র  হে অভয়া কাদম্বিনী তিলোত্তমা তুমি প্রতিবাদের পথ দেখলে আমার বঙ্গভূমি। মৃত্যু আজি পরাজিত তোমার রুদ্র রূপে কত শত নর নারী  জ্বলছে মশাল ধূপে। সভ্য সমাজ মুখোশ পরে  করে রক্তের খেলা নগ্নতার ঘোর বহিঃপ্রকাশ সহনের শেষ বেলা। বিচারের দাবি সবার মুখে হৃদয় বহ্নিশিখা দোষীদের আর নয় গো ক্ষমা  ফাঁসি হোক তার টিকা। লোক সমাবেশ সড়ক জুড়ে সিংহ সম গর্জন অত্যাচারী মূষিক গর্তে  কুর্শি করে বর্জন। =========== 

কবিতা ।। আসিস না মা ।। প্রিশিতা পরী

আসিস না মা প্রিশিতা পরী  এই বাংলায় আসিস না মা কৈলাস ধামেই থাক তুই যারা তোকে একহাতে পুজো করে তারাই অন্য হাতে জ্যান্ত্দুর্গা নিধন করে। তোর জন্য তাই আর কাশফুল হাসে না মহালয়ার সুরও বিষন্নতায় পূর্ণ হয়েছে কুমোরটুলিতে তোর মৃন্ময়ী রূপ আর চিন্ময়ী নেই তোকে বরণ করার মতো মায়ের আঁচল নেই। তোর আগমনে নববস্ত্রে নবপুষ্পে ভরে উঠতো ধরা খুশির বীণার রাগ ছড়িয়ে পড়ত আকাশে বাতাসে সকল গ্লানি বেদনা ভুলে উৎসবে মত্ত হতো বাঙালি যে হাত তোর পাদস্পর্শ করতো সে আজ কলঙ্কিত। ফিতে কেটে যে তোর আবাহন দিত মুখোশের আড়ালে সেই খুনের কান্ডারী ধর্ষকের মুখ বাঁচাতে ন্যায়ালয়ে হাজির বাঙালি হয়ে আমরা লজ্জিত। যে শারদোৎসব বাংলার ঐতিহ্য মাতৃশক্তির আরাধনা হত প্রতিটি ঘরে সে আজ মুহ্যমান তাসের ঘরের মতো ভগ্ন গগন বিদারী আর্তনাদে মানুষ আজ ঘুমহীন। ================

ছড়া ।। শিরদাঁড়া ।। প্রনীল মাধব

শিরদাঁড়া প্রনীল মাধব শিরদাঁড়াটা কোথায় গেল পাই না খুঁজে ভাইরে  সাধারণের মিছিল দেখে ভয়ে মরে যাইরে । পদলেহল করে করে থাকি সদাই নিচে মাথা তুলে দাঁড়াবো কি বিবেক বুদ্ধি মিছে। কেমন করে নামবো পথে প্রতিবাদের ভিড়ে তাবেদারি না করে যে ভিজে না মোর চিড়ে। বুদ্ধিজীবী ছিলাম ভালো সুটে বুটে কোটে  আজকে সবাই ধিক্কার দেয় রে আমার উপর চটে। শিরদাঁড়াহীন বাঁচবো না আর করছে খোকা শপথ না যদি আজ শুধরে যাই  আসবে ঘরে আপদ। ==========

ছড়া ।। জাস্টিস ।। সুজিত কুমার মালিক

  জাস্টিস সুজিত কুমার মালিক  ছুটছে গিমিক বাজছে রিমিক বুনছি লিরিক। আছি ভাতায় মিলছে খাতায় তলায় তলায়। নেই আর্জি  বড্ড পাজি সব কারসাজি। এসো উৎসবে, সব ভুলে যাবে বিচার পাবে! নেই অহংকার ছাড়বো চেয়ার ডোন্ট কেয়ার। মাতাল হাওয়া  পাল্টি খাওয়া চোখ সওয়া। শহীদ মিনার আর জি কার এক দাবি এক স্বর। ওহে মাস্টার একি ডাক্তার পাবে বিচার! =================   সুজিত কুমার মালিক  হেলান, আরামবাগ, হুগলী 

কবিতা ।। উৎসব ।। গীতা রাউথ

উৎসব গীতা রাউথ  কী উৎসব কোথায় হবে জানো কি তার দেশ মহালয়ার গান বাজবে আগমনীর রেশ। মাতবে কারা হই হুল্লোড় নব পোশাক পরে বোধ বুদ্ধি নেই যাদের শোষণ জালে মরে। যে কন্যাটা হাসতো সদা পিতামাতায় দেখে শুভ বিজয়া প্রণাম দিত সোহাগ রাশি মেখে। ফিরবেনা সে মায়ের কাছে শারদ প্রাতে কভু প্রতীক্ষায় প্রহর গুনে বিচার চাই তবু। প্রতিবাদী পা থেমে যাক না ধামা চাপায় রোষে বঙ্গদেশে অপরাধীরা নৃত্য করে জোশে। ===========

কবিতা ।। রণজয় ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত

রণজয়  বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত  যা সুন্দর তা সুন্দর  তার ঘটে যাওয়া সর্বনাশে উজ্জ্বল নয় ফিকে হতে হতে  হারিয়ে যায় সর্বনাশী মন কোথায় পালাবে তুমি সুমন!  পালাতে পালাতে ইতিহাস থেকে  কবে আর খুঁজে পাবে  জীবন! ওরা কারা তোমার জীবন থেকে সূক্ষ্মতায় কেড়ে নিতে চায় অধিকার! চুপ নয়, তোমার অস্ত্র আজও নির্ভয় পৌরাণিক চিৎকার।  আজন্ম রণজয়।           --০-- বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত  যশোহর রোড  অমরপল্লী, কোলকাতা-৭০০০৭৪ 

কবিতা ।। অবশিষ্ট কত কথা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

অবশিষ্ট কত কথা তীর্থঙ্কর সুমিত অবশিষ্ট কত কথা চাদরের মত জড়িয়ে আছে নদীর এপাড় থেকে ওপাড় বিস্তর ব্যবধান না এর ঘরে হ্যাঁ কথারা দাঁড়িয়ে ক্ষণিকে ক্ষণিকে মিশে যায় অবলুপ্তির প্রান্তরেখা তাইতো আজও পথে মিছিল কৃষ্ণচূড়া গাছে পাখি বসে নদী মেশে সাগরে আমি দাঁড়িয়ে থাকি গোধূলির রঙ গায়ে মাখবো বলে। ============= তীর্থঙ্কর সুমিত মানকুন্ডু ব্রাহ্মণ পাড়া হুগলী  ৭১২১৩৯

গল্প ।। আলোকতীর্থ ।। সৌমেন মণ্ডল

আলোকতীর্থ   সৌমেন মণ্ডল   ( এক) রাঘব সরকার শিক্ষাদরদী মানুষ। শিক্ষক হয়েছেন , তবে এখনো পড়াশোনা ছাড়েননি। যখনই সময় পান বই নিয়ে বসেন। শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় তিনি রাজ্যে প্রথম হয়েছিলেন। চাইলে সুসজ্জিত শহরের কোনো স্কুলকে কর্মক্ষেত্র করতেই পারতেন। কিন্তু তাঁর সাধক মন বেছে নিয়েছে গ্রামের এক প্রত্যন্ত স্কুল। উদ্দেশ্য , আলোর সাধনা — মনের মতো কিছু মানুষ গড়া।       ছোট্ট একটা বাজার পেরিয়ে স্কুল। সবুজে শোভিত তার চত্বর। বিল্ডিংগুলি আয়তাকারে চতুর্দিক থেকে ঘিরে রেখেছে মধ্যবর্তী প্রাঙ্গনকে। প্রথম দিন এই স্কুলে ঢোকার মুখে রাঘববাবু নিজ আদর্শকে মনে মনে প্রণতি জানালেন। স্কুলে যোগ দিয়ে অফিসিয়াল আনুষ্ঠানিকতা ও সহকর্মীদের সাথে আলাপ সেরে শ্রেণিকক্ষে পড়াতে গেলেন। পড়াশুনায় দৈন্যতাকে উপলব্ধি করে মন প্রাণ দিয়ে দিনের পর দিন কঠোর পরিশ্রমে তিনি শিক্ষার্থীদের সম্ভাবনাকে প্রস্ফুটিত করতে চাইলেন। কিন্তু যত সময় গড়াল ততই অভিজ্ঞতা অন্যরকম হতে লাগল। একদিন ক্লাস নাইনে নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ' দাম ' পড়াচ্ছিলেন। গল্পের একটি বাক্য ছিল ' গাধা পিটিয়ে ঘোড়া করা যায় না...

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

রেজাল্ট ।। সৈকত মাজী

রেজাল্ট সৈকত মাজী শুভ্রাংশু বিছানতে শুয়ে শুয়ে বিরক্ত হয়ে উঠল। মনে মনে নিজের শরীরটাকে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিলো দু- চারটে কথা, দেবে নাই বা কেন, কয়দিন ধরে এতো কাঠ খড় পুড়িয়ে সব বন্ধুরা মিলে রথটা বানালো, কত কি প্ল্যান করলো, আর এই শরীরটার জন্যই তো সব ভেস্তে গেলো। মনে মনে ভাবলো একটা যা হোক শরীর হয়েছে ওর প্রতি মাসে তিন - চার বার করে জ্বর হচ্ছেই। হবি তো হ আর একটা দিন পরে হলে কি এমন ক্ষতি হতো, এই রথের দিনেই হতে হলো। ওর বিরক্তিটা বেড়ে গেলো আরো কয়েক ঘর।    " মা ও মা...মাআআআআ...." জোরে হাঁক  দিলো শুভ্রাংশু।    " কি হয়েছে বাবু? আবার জ্বরটা বেড়েছে? মাথা ব্যথা করছে?" ব্যস্ত হয়ে উঠলেন মালতিদেবী।     " ওসব কিছু নয়, ও মা বলছি এখন তো খুব কম জ্বর আছে যাই না মা একবার বাইরে, সবাই কতো ফুর্তি করছে বলো"  কাতর ভাবে বলল শুভ্রাংশু।      " না বাবু, এখনই আমরা ডাক্তারের কাছে যাব, বাবা তৈরী হয়ে গেছেন, আমরা বিকেলে তখন মেলা দেখতে যাব কেমন, এখন উঠে জামা কাপড় পরে নাও"  মালতিদেবী জামা কাপড় গুলো এগিয়ে দিলেন।      শুভ্রাংশু...

রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি

রাই আর বাবা অদিতি চ্যাটার্জি রাই-র জীবনে বেশ কিছু ভালো লাগা আছে তার মধ্যে একটা হলো সন্ধ্যার সময় তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখতে দেখতে কফি কাপে চুমুক দেওয়া ।" আজ যশোদা মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে বেশ ভিড়,নির্ঘাত 'তেলে ভাজা ' প্রেমীরা।" আপন মনেই ভাবে ও, কিন্তু বসার ঘরে সুমন আর আঁখি এতো জোরে 'হল্লা গোল্লা ' করছে তালতলার জমজমাট রাস্তার দিকে আর মন দিতে পারছে না রাই।  পায়ে পায়ে ঘরে এসে দাঁড়ায় রাই, দেখে ক্লাস ফোরের মেয়ে এতোটা ঝগড়া করছে সুমনের সাথে , "বাপ রে, কবে এতোটা কথা শিখলো মেয়ে! কিভাবে কথা বলছে?? কোঁকড়া চুল ঝাঁঝিয়ে,গোলগাল হাত নেড়ে " ...মেয়ে কে দেখে থতমত খেয়ে যায় রাই। এদিকে আঁখি বলছে, "ধুত্ বাপী তুমি কিচ্ছু পারো না, তুতাই-র বাবা, পিসাই, মামু সবাই কত ভালো করে খেলতে পারে , না আমি তোমার সাথে খেলবো না।" কাতর চোখে মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে সুমন বলে ,"আচ্ছা তুই আমাকে শেখা, দ্যাখ আমি কার জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে পনেরো দিন পর পর কলকাতায় আসি বল!"  ঐ টুকু মেয়ে কথা প্রায় না শুনেই ঘরে চলে গেল রাই-র চোখের সামনে, সুমন একবার হেসে বাথরুমের দিকে এগো...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী

বস্তু, চেতনা এবং  কবি সজল চক্রবর্তী  "যেখানে পৌঁছায় না রবি,, সেখানে পৌঁছে যান কবি।" এই ছোট্ট কবিতা টি অনেক পুরনো  এবং বহু পরিচিত, তথাপি এর তাৎপর্য এখনো হারায় নি। তবে, কথা হ'চ্ছে -আমরা তো  রবি-কবিকে একত্রেই পেয়ে যাই আমাদের ঋষি-প্রতিম কবি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে। আর তখনই জেনে যাই উপরোক্ত ছোট কবিতার প্রণিধানযোগ্যতা ।  ... এবার শুনে নেয়া যাক, ঋষি-প্রতিম কবির মুখ নিঃসৃত বাণী:- "তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি যাই ...." অর্থাৎ আমাদের প্রিয়তম কবি অনায়াসে পৌঁছে যান সৃষ্টির অসীমে , যা আমাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। এখানে কবির চেতনা সুদূর প্রসারী! ... প্রকৃত প্রস্তাবে কবি অতিন্দ্রীয় জগতের এক নাগরিক। তাঁর কাছে তাই চেতনা বা চৈতন্যেরই প্রাধান্য। ...এখন আসছি, বস্তু এবং চেতনার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে।  ... আমি একজন অতি সাধারন মানুষ, তাই এই ব্যাপারটাকে কবিদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা ক'রছি। তবে আমার সামান্য জ্ঞান থেকে একটা সাধারণ কথা সেরে নি'। আমরা সাধারণত ব'লে থাকি-- সূর্য পূর্বদিকে ওঠে। প্রকৃত অর্থে কি তাই ? আসলে সূর্য যেদিকে ওঠে ,আমরা  সেই দিকটাকে নামাঙ্কিত ক...

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদি ।। অরবিন্দ পুরকাইত

স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি  (পর্ব—সাত) অরবিন্দ পুরকাইত স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদির সংগ্রহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকায়, ২০১৬ সালে। সে সংগ্রহ যায় নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে, ১৪২৩ সনে। পরে এই ব্লগজিনেও কিছু সংগ্রহ প্রকাশিত হয় ১৪২৮ সনের আশ্বিন মাসে, পৌষ ১৪২৯-এ, আষাঢ় ১৪৩০, নববর্ষ ১৪৩১ ও কার্তিক ১৪৩১ সংখ্যায়। তার পরেও ধীরে ধীরে আরও কিছু সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলিই এখানে রাখা হল। নিজের আগের সংগ্রহে এসে-যাওয়া শব্দ যদি এখানে এসে থাকে, তা বাড়তি বা ভিন্ন কিছু বলার প্রয়োজনেই। নিজের আগের সংগ্রহ খুব ভাল করে যে মিলিয়েছি তা নয়, পুরো সংগ্রহ একত্র করার সময় তা করা যাবে যতটা সম্ভব নিখুঁত করে। আগে আগে সংগ্রহ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা হয়েছে, বিশেষত প্রথম প্রকাশের সময় একটু বিশদভাবে। এখানে আর কিছু বলা নয়, কেবল সংগ্রহটাই তুলে ধরা গেল। অখেজো/অখেজে — অকেজো থেকে। আদরের তিরস্কার হিসাবেই মূলত প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পাজি। অচিমিতি — (উচ্চারণ ওচিমিতি) আচমকা, হঠাৎ। অদীয় — প্রচুর, অজস্র। অদ্বিতীয় থেকে ক...

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায়

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত রণেশ রায় ভূমিকা দর্শনের ইতিহাসে বস্তু ও চেতনার সম্পর্ক মানবচিন্তার গভীরতম প্রশ্ন। অধিবিদ্যা ভাবকে মুখ্য ধরে, বস্তুকে গৌণ বলে মনে করে। বিপরীতে মার্কস ও এঙ্গেলস বলেছেন—বস্তুই মুখ্য এবং চেতনা তার প্রতিবিম্ব। মানুষ যখন প্রথম আলোর মুখ দেখেছিল, তখনই সে বিস্ময়ে প্রশ্ন করেছিল—আমি কে, কোথা থেকে এলাম, আর এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে কিছু আছে কি? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নিয়েছিল দর্শনের দুই বিপরীত স্রোত—ভাববাদ আর বস্তুবাদ। ভাববাদ বলেছিল—"ভাবই প্রথম," আর মার্কস বললেন—"না, বস্তুই প্রথম।" এই দুই প্রান্তের মাঝখানে আমি দেখি এক সেতুবন্ধন, যেখানে বস্তু, স্নায়ু ও চেতনা একে অপরকে গড়ে তোলে, আর তাদের এই ত্রিত্বের নৃত্যেই সৃষ্টি হয় জীবন ও কল্পনার জগৎ। ভাবববাদ এক সর্বশক্তিমান শক্তির কল্পনা করে যা এই বস্তুজগতের স্রষ্টা। আর এখান থেকে ধর্ম ও ধর্মীয় ভাবধারার সৃষ্টি। আমার এই প্রবন্ধে আমি মার্কসীয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আলোকে বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি দেখাবার চেষ্টা করবো কিভাবে ইন্দ্রিয় এবং স্নায়ুজগৎ বস্তু ও চেতনাকে সংযুক্ত করে এবং কল্পলোকের জন্ম দেয়...

চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার

চাঁদে জীবন  শমীক সমাদ্দার                           চন্দ্রযান দুরন্ত তৈরি, রকেটের উপর ভর করে চন্দ্রযান চাঁদে অবতরণ করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পেরিয়ে মহাকাশযান চাঁদের কক্ষপথে  স্থাপন করা হয়েছে। চন্দ্রাযান চাঁদের মাটিতে পা রাখবে সময়ের কাউন্ট ডাউন চলছে। সমস্ত নিয়ন্ত্রণ স্পেসস্কাই গাবেষণা কেন্দ্র কতৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রযুক্তি বিজ্ঞান অতল গভীরতায় বাসা বাঁধে। পরিচয়টা দিয়ে দিলাম এই স্পেসসিপে রয়েছে তিনজন নভোচর, একজনের নাম সাইমন আর এক জনের নাম রেমন্ড, আর এদের সঙ্গে একজন মহিলা আছে তার নাম মেরিনা। চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করেছে। চন্দযান দুরন্ত চাঁদের পূর্ব -পশ্চিম অক্ষরেখা বরাবর অবতরণ করেছে। আলো আঁধারের গভীরতায় বড় বড় পাথরের পিণ্ড, চাঁদের সার্ফেসের উপরে পাথর জল দেখা যায়। জমাট বাঁধা অক্সিজেন আর কার্বনডাই অক্সাইড। ওরা এখানে এসেছে এক রহস্য উদ্ঘাটন করতে। যে স্থানে ওরা অবতরণ করেছে সেখানে ১০ বছর আগে ওরা এসেছিলো। রুশ সরকার ওদের দেশের ছাত্র ছাত্রী কে মহাকাশে চাঁদে পাঠাতে চায়। ওরা কেন এসেছে সেটা এখনো অধরা। সাইমনের বর্...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

বছরের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ৮৬তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পাদকীয় এই সংখ্যাটি বাংলা নববর্ষ বিষয়ক সংখ্যা। নৱৰ্ষকেন্দ্রিক বহু তথ্যপূর্ণ লেখা এই সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস, রীতিনীতি, উৎসব, পার্বন, লোকাচার, রূপান্তর বহুবিধ বিষয় প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যার লেখাগুলিতে। এই সংখ্যার বাছাই কিছু লেখার সঙ্গে আগামীতে আরও কিছু লেখা সংযুক্ত করে বাংলা নববর্ষ বিষয়ক একটি মুদ্রিত সংখ্যা প্রকাশ করার ইচ্ছে রইল।  সকলকে নববর্ষের আন্তরিক শুভকামনা জানাই। উৎসবে আনন্দে থাকুন, হানাহানিতে নয়। ধর্ম-ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে সহনাগরিকের পাশে থাকুন। মনে রাখুন, ধর্মকে মানুষই সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বর আল্লা গড ইত্যাদির জন্মদাতা মানুষই। মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষের পাশে থাকুন।  নিরাশাহরণ নস্কর  সম্পাদক, নবপ্রভাত।  সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা পয়লা বৈশাখ ।। সিদ্ধার্থ সিংহ নববর্ষকেন্দ্রিক মেলা, পার্বন, উত্সব, লোকাচার ।। সবিতা রায় বিশ্বাস নববর্ষ আবাহন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে ।। তুষার ভট্টাচার্য নববর্ষের সেকাল ও একাল ।। হিমাদ্রি শেখর দাস নববর্ষের হাল-হকিকৎ ।। শংকর ব্রহ্ম বোশেখি বাঙালি নাকি পোশাকি বাঙালি? ।। দিব্যেন্দু...

প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান

বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় মাখনলাল প্রধান বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির জগতে যাত্রা শিল্প তথা নাট‍্যশিল্পে মড়ক নেমে এসেছে । যাত্রা শিল্পের মড়কে শুধু কোভিড নয় তার বহুপূর্ব থেকেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় , শিক্ষাক্ষেত্রে বন্ধ‍্যাত্ব এবং গ্ৰাম বাংলার পটপরিবর্তন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। যাত্রা-শিল্পের লীলাভূমি ছিল গ্ৰাম বাংলা। গ্ৰামে প্রচুর যাত্রাপালা হত নানা উৎসবকে কেন্দ্র করে । জমিদারি ব‍্যবস্থা লুপ্ত হওয়ার পর গ্ৰামীণ মানুষের উদ‍্যোগে শীতলা পূজা,  কালীপূজা, দুর্গাপূজা, কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, চড়ক ইত‍্যাদিকে উপলক্ষ‍্য করে যাত্রাপালার আয়োজন না হলে কেমন যেন ম‍্যাড়ম‍্যাড়ে লাগতো। সেই সঙ্গে কলকাতার বড়বড় কোম্পানির যাত্রাপালা ঘটা করে, টিকিট সেল করে হত মাঠে। খুব বড় মাপের খেলার মাঠ যেখানে ছিল না সেখানে ধানের মাঠ নেওয়া হত ‌। ত্রিশ-চল্লিশ হাজার মানুষ দেখতে আসত। স্পেশাল বাস পাঠাত  আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বিনা ভাড়ায় বাসে যাতায়াত করত যাত্রার দর্শকেরা। কিন্তু বিকল্প ধানচাষ শুরু হলে জমিগুলো সময় মতো ফাঁকা পাওয়া গেল না । প্রথম দিকে ব‍্যাপকহারে ধান শুরু না হওয়ায় খুব একটা অসুবিধা হত না। বহুক্ষেত্রে  ধান কা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী

ভিনগ্রহীদের সন্ধানে  শ্যামল হুদাতী  ইতিহাসের শুরু থেকে বারবার মানুষকে একটা প্রশ্ন কুঁড়ে কুঁড়ে খায় – এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? পৃথিবীর মতো আরও গ্রহ রয়েছে, যেখানে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীরা বাস করে – এই সম্ভাবনা বরাবর মানুষকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের কখনও না কখনও এই ভাবনা এসেছে। দীর্ঘ কয়েক দশকের গবেষণার পরও, এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপ, বহু দূরের এমন কিছু গ্রহের সন্ধান দিয়েছে, যেগুলিতে প্রাণ থাকতেই পারে। তবে, নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বহু দূরে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। তারা এই পৃথিবীতেই মানুষের ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যেই বসবাস করতে পারে। আমরা ভিনগ্রহীদের যেমন কল্পনা করি, এরা তার থেকে আলাদা। এরা অনেকটাই, দেবদূতদের মতো। মানব জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রযুক্তিগত নয়, বরং জাদুকরি। মহাকাশে সৌরজগতের গ্রহ পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথায় প্রাণ রয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। একই সঙ্গে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাস ক...

মাসের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

দিদৃক্ষা ।। রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী

  দিদৃক্ষা রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী 'কাল একবার দেখা হতে পারে?' দশমীর দুপুরে খাটে আধশোয়া হয়ে নিজের ফোনটা ঘাঁটছিল দেবমাল্য; হোয়াট্‌সঅ্যাপের সার্চ বক্সে  র‍্যান্ডম সিক্যুয়েন্সে ক'খানা ডিজিট ইনপুট করতেই বিস্মৃতির অতল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে নামটা স্ক্রিনের সারফেসে ভেসে উঠল, এককালে দেবমাল্যের প্রায়োরিটি লিস্টে সবথেকে ওপরে পিন্‌ করা থাকতো এই অ্যাকাউন্টটা। 'অহনা দাশগুপ্ত'—গ্রেয়েড-আউট ডিপিটার ডানদিকে, নামটার তলায় নিস্প্রভ হরফে ভেসে থাকা ওর এই লাস্ট মেসেজটা বেশ ক'বছরের পুরনো, কিন্তু দেবমাল্যর স্মৃতির প্যান্ডোরা বাক্সটি উলটে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। আরেকবার আপাদমস্তক শিহরিত হয় সে। প্রোফাইলটা খুলে ওপরে-নীচে স্ক্রল্‌ করে দেখে, ওদের পুরনো চ্যাটগুলো তেমনি আড়ষ্ট হয়ে পড়ে আছে, ওর মেসেজগুলোর পাশে ডাবল টিকগুলো এখনও জাজ্বল্যমান সবুজে ছোপানো, যেন এইমাত্র 'সিন্‌' করে রেখেছে অহনা! যেন এখুনি আবার হাত বোলালেই অহনা এসে খানিকটা রাগত ভঙ্গিতে চ্যাট করতে লেগে যাবে। দেবমাল্যের বুক ছাপিয়ে একটা নীরব দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে! ছুটির এই আমেজটা লক্ষ্মীপুজো অব্দি গড়াবে—অফিস খুললেই তো আবার দমফাটা ব্য...

গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম

  গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম হুইসেল (মুরাকামি থেকে অনুপ্রাণিত) ♦ 'গভীর রাতে একটা হুইসেল কতটা গভীর হতে পারে তুমি কল্পনাও করতে পারো না,' ছেলেটা বললো, 'আশ্চর্য ঐ হুইসেলের মতো আমি ভালবাসি তোমাকে।' কিন্তু গভীর রাতে অন্ধকারে কখনও তো ঘুম ভেঙে যায়নি মেয়েটার, কখনও ও বিচ্ছিন্ন আর একা হয়ে যায়নি। ও কীভাবে অনুভব করবে গভীর রাতে ট্রেনের হুইসেল কতটা গভীর! নিউজ এজেন্সি ♦ একসময় আমরা খবর শুনতাম এখন দেখি স্বীকার করতে হবে খবর শোনার চেয়ে দেখার আনন্দ বেশি আলাদা উত্তেজনা নিউজ এজেন্সিগুলো এব্যাপারে তৎপর আর প্রতিযোগিতাপূর্ণ কোনটা নিউজ সেটা ওরাই ঠিক করে যেটা ওদের দরকার আর সেটাই আমাদের দেখানো হয় ধারাবাহিকভাবে সুচারু জ্যামিতিকতায় বিভিন্ন পদ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নতুন বাস্তবতা নির্মাণে যে বাস্তবতায় জায়গা নেই আমাদের ইতিহাস অন্বেষা স্বাধীনতার সমৃদ্ধি আর স্বাধীনতার কথা বলেই ওরা আমার ক্ষেতখামার পাহাড় আর নদীর দখল নিয়েছে তাহলে টিভিতে যে হাসিখুশি প্রাণবন্ত আমাদেরকে দেখানো হয় ওরা কারা এই প্রশ্ন করো নিজের কাছে আগুন নিয়ে খেলা ♦ আজও পুকুরে ছিপ ফেলে বসবো আমি ধীরে চুপ সূর্য আমার ঘাড়ে শ্বাস ফেলবে সারারাত ঘরের ভেতর ল্যাং...

বিদায়ের স্রোত ।। চয়ন মন্ডল

  বিদায়ের স্রোত চয়ন মন্ডল "বিজয়া দশমী—আনন্দের দিন, কারও কাছে যা হয়ে উঠল চিরন্তন বিদায়।" আজ বিজয়া দশমী। শিউলি ফুলের গন্ধে ভোরটা অন্যরকম। পাড়ার প্যান্ডেলে অদ্ভুত এক কোলাহল—মায়ের বিদায় যে আজ। শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাজনা আর উলুধ্বনিতে গমগম করছে চারদিক। একদিকে মা দুর্গার বিদায়ের বেদনা, অন্যদিকে আনন্দ ও মিলনমেলা। সারা বছরের অপেক্ষা শেষে এই দিনটিতে প্যান্ডেল ভরে উঠেছে মানুষের ভিড়ে। সকালের পূজার্চনা শেষ হতেই শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। মহিলারা মায়ের প্রতিমাকে সিঁদুর পরিয়ে একে অপরের কপালে, গালে রাঙিয়ে দিচ্ছেন। ঢাকের তালে আর শাঁখ বাজনার আবেশে ভেসে যাচ্ছে পাড়া। শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। কিন্তু এসবের মধ্যে নেই অনুরাধা। কেউ তার বা মিনির খোঁজ রাখেনি। মুখার্জিদের দোতলা বাড়ির কোণের ঘরে বসে সে চোখের জল ফেলছে। সবার বাড়িতে আলোর রোশনাই, ভোগের গন্ধ, হাসি—শুধু তাদের ঘরটিতে নিস্তব্ধতা। গতবছর এই দিনেই তো অন্যরকম ছিল সবকিছু। অনুরাধা, সুজয় আর তাদের তিন বছরের মেয়ে মিনি পাড়ার প্যান্ডেলে ঢাকের তালে নেচেছিল, সিঁদুর খেলায় রঙে ভেসেছিল। বিকেলের দিকে প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে শামিল ...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

শেষ বিকেলের আলো ।। সৈকত প্রসাদ রায়

  শেষ বিকেলের আলো সৈকত প্রসাদ রায় রানাঘাট শহরের প্রান্তে ছোট্ট এক পাড়া বিশ্বাসপাড়া। সেই পাড়ার পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়িটায় থাকেন পুষ্পরাণী ভট্টাচার্য— বয়স পঁয়ষট্টির কোঠায়। সবাই তাকে "পুষ্পদি" বলেই চেনে। একসময় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেলে পুষ্পদি বারান্দায় বসে চা খান। ছোট একটা টেবিল, কয়েকটা পুরোনো বই, আর একখানা নীল কাঁচের ফুলদানি — তার নিত্যসঙ্গী। বারান্দার সামনেই একটা গলি, যেখান দিয়ে প্রতিদিনই স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা হইচই করে ছুটে যায়। পুষ্পদির একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ — কলকাতায় চাকরি করে। ছেলেটা আধুনিক, নিজের সংসার আছে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত। বছরে হয়তো একবার আসে, তাও কিছুক্ষণ বসে আবার চলে যায়। পুষ্পদি মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু বুকের ভেতরে একটা কষ্ট জমে থাকে। সেই বিকেলটা অন্যরকম ছিল। আকাশে ধুলো, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। হঠাৎ পুষ্পদির চোখে পড়ে — রাস্তায় এক কিশোর বসে আছে। বয়স বারো-তেরোর বেশি নয়। মলিন জামা, পায়ে ছেঁড়া চটি। ছেলেটা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে পুষ্পদির বাড়ির গেটে ঝুলে থাকা পুরোনো নোটিশবোর্ডটার দিকে, যেখানে একসময় লেখা ছিল — "পুষ্পরাণী ভ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...