Skip to main content

Posts

কবিতা ।। স্মৃতির ভেলায় রথের মেলা ।। জয়শ্রী সরকার

স্মৃতির ভেলায় রথের মেলা         জয়শ্রী সরকার রথযাত্রা নামটা শুনেই পৌঁছে তো যাই ছোট্টবেলায় বাবার কাছে বায়না ধরি, যাও না নিয়ে রথের মেলায়। সেই সে দিনের সুখগুলো সব লেপটে থাকে মনের মাঝে চাইলেও কী ভুলতে পারি? প্রশ্ন করি সকাল-সাঁঝে ! রথযাত্রার রহস্য কী --- সেটাই মাথায় ঢুকতো না যে আনন্দটাই মুখ্য ছিল --- আর বাকি সব বৃথাই কাজে। ছুটি পেতাম একটি দিনের ঠিক দুপুরে পৌঁছে যেতাম জিলিপি আর পাঁপড় ভাজা মনের সুখে হামলে খেতাম ! রথটাকে তো টানবো বলে বায়না ধরি বাবার কাছে ধমক যে খাই ঠিক তখনই ভীড়ের মাঝে হারাই পাছে। নাগোরদোলায় আমার সাথে চড়তে হতো বাবাকেও নাছোড়বান্দা আমি নাকি, ছাড়ছি না তো ধমকালেও ! বায়না করার আগেই বাবা কিনে দিত পালকি-পুতুল সাজবো বলে সঙ্গে দিত গলার হার আর কানের দুল। বাবার হাতটা ধরে ধরেই আহ্লাদেতে কাটতো বেলা মনের সুখে মজা লোটা --- এই না হলে রথের মেলা ! হঠাৎ দেখি মেঘের ঘটা --- বৃষ্টি নামে মুষলধারে জল-কাদা আর ভীড়ের ঠেলায় দাঁড়াই গিয়ে শেডের ধারে। ভাবতে গেলেই মন ছুটে যায় সেই সে দিনের রথের মেলায় হাতড়ে বেড়াই আজকে শুধুই মধুর স্মৃতির এই অবেলায় ! *********************...

কবিতা ।। আমার এ দেশ ।। দীনেশ সরকার

        আমার এ দেশ               দীনেশ সরকার আমার দেশে রোজ সকালে তরুণ অরুণ ওঠে ঠিক তখনই ফুলকলিরা হাসতে হাসতে ফোটে । অলিরা সব দলে দলে ফুলের বনে জোটে গুনগুনিয়ে ফুলের মধু মনের সুখে লোটে । ঘুম ভাঙে রোজ শীতল হাওয়ায় পাখির কলতানে বাউল-ফকির মন ভরায় তার পাগল করা গানে । নতুন নতুন সাজ প্রকৃতির ষড়ঋতুর টানে বর্ষ জুড়ে খুশির প্লাবন সবার মনে প্রাণে । সবুজঘেরা আমার এ দেশ উর্বর যে তার মাটি লক্ষ হীরে মোতির চেয়েও দামি এবং খাঁটি । বীর শহিদের রক্তে ভেজা আমার দেশের মাটি বাধ্য হ'লো ব্রিটিশ শাসক ছাড়তে ভারত ঘাঁটি । সন্ধ্যা হলেই আকাশ ভালে লক্ষ মানিক জ্বলে বাঁধভাঙা ওই চাঁদের হাসি ছড়ায় গগন তলে । আঁধার রাতে আলো জ্বালে জোনাক দলে দলে আমার দেশে চাঁদ দেখা যায় পদ্ম দিঘির জলে । আমার এ দেশ ভরা আছে সম্পদে সম্পদে ঝর্ণা-পাহাড়, বন-বনানী এবং নদী-নদে । কালো হীরে, রত্ন খনি, পাহাড়ঘেরা হ্রদে হাসি-খুশি ঝরে পড়ে সকল জনপদে । *************************************************     দীনেশ সরকার ১৪০ ডি, হিজলি কো-অপারেটিভ সোসাইটি, ...

ছড়া ।। ভার ।। তূয়া নূর

  ভার  তূয়া নূর চুরি এখন বড়ো বিদ্যা লজ্জা পায় না  তাতে, ভয় লাগে না কলকাঠি সব এখন নিজের হাতে। কেটে কুটে ইচ্ছে মতো দিন-দুপুরে চুরি, ঘুষ খায় সে আটকে ফাইল, দালান উঁচু ভুঁড়ি। বস্তা ভরা ধান আসে না বস্তা ভরা টাকা, দেশ বিদেশে জমি বাড়ি ঠিক দেবে গা ঢাকা। কোথায় খরচ করবে বলো এতো টাকা যার? বুঝবে কবে অনেক টাকার অনেক বেশী ভার।  ===========

ছড়া ।। ধরায় আন সুখ ।। সুনন্দ মন্ডল

  ধরায় আন সুখ         সুনন্দ মন্ডল এই তো আষাঢ় নামল ধরায় বৃষ্টি তবুও নাই! মানুষ পাখি ঘামছে খরায় তীব্র দহন ঘায়। ফলগুলো সব গাছেই পাকে মাটি ছুঁলেই পচে। কীই বা করি বাজার ঘুরে ভেজালে থাকি মজে। ফুলগুলো সব শুকিয়ে গেল বৃষ্টিহীনতায়। বাঁচবে কীভাবে পাতারা গাছের দারুন এ খরায়? চাতকগুলো কোথায় এখন? নাই কি প্রয়োজন! তারাও কি সব ঘুমিয়ে আছে ক্লান্ত প্রিয়জন। তোমরা যদি না ডাক তবে বৃষ্টি ফেরায় মুখ। আমরা ডাকি পথের পথিক ধরায় আন সুখ। ==============   কাঠিয়া, পাইকর, বীরভূম    

ছড়া ।। ভোট এলে ।। আনন্দ বক্সী

  ভোট এলে  আনন্দ বক্সী ভোট এলে হানাহানি-মারামারি-দ্বন্দ্ব  অন্য দলের হলে কথা বলা বন্ধ।  রক্ত গরম করা উত্তাপ ভাষণে  একটাই দাবি থাকে বসাও না আসনে। জীবন লড়িয়ে দেবো তোমাদের জন্য  উন্নতি ছাড়া কিছু ভাববো না অন্য।  হুঙ্কার-গর্জনে জনসভা জমান  নিজেদের ভাবে তারা সিংহের সমান।  খালি হলে কারো কোল মুছে গেলে সিঁদুর  কিবা আসে যায় বলো যদু-মধু-বিধুর।  এটা দেবো ওটা দেবো বুকে নেবো জড়িয়ে  আমাকে ভোটটা দিও দুটো হাত ভরিয়ে। প্রচারের কৌশলে দিতে চায় টেক্কা  গরু-গাড়ি চড়ে কেউ, কেউ চড়ে এক্কা। হেলিকপ্টারে চেপে কেউ নামে আসরে  বিজয়-মালাটা যেন জোটে ভোট বাসরে।  মসনদ চায় ওরা যেনতেন প্রকারে  সেই বার্তাই দেয় ইঙ্গিত আকারে। গরিবের গৃহকোণে সেরে নিয়ে আহার  নিতে চায় এরা খালি মাইলেজ তাহার।  ভোটের বাজারে এক বিরল সে চিত্র  দলীয় পতাকা ওড়ে হয়ে দেখি মিত্র।  জনসেবা করাটাই হয় যদি কর্ম  বিভাজন কেন তবে তুলে জাত-ধর্ম? মানুষকে ভাবো নাকি হাতের ঐ খেলনা জেনে রেখো ভালো করে ওরা নয় ফেলনা। বলিয়ান তোমরা যে ওদের সে বলেতে...

কবিতা ।। নতুন সকাল ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

নতুন সকাল তীর্থঙ্কর সুমিত বহুদিন পর আবারও যে পথ ধরে বেড়িয়ে পরলাম সবুজের দেশে,  নীলকে পিছনে ফেলে ক্রমশঃ ক্রমশের দিকে সরলরেখা বরাবর শুধুই...  যেখানে নদী শেখায় ভালোবাসার গান পাখি শেখায় উচ্ছ্বাসের সুর  সবুজ জানায় আমন্ত্রণ ছেঁড়া চিঠি আজ খাম ছেড়ে আকাশের পথে এসো মুগ্ধতা কুড়োই ভোরের আলোয়।  ===================== তীর্থঙ্কর সুমিত মানকুণ্ডু, হুগলী পিন - ৭১২১৩৯

গ্রন্থ-আলোচনা ।। কবি সাথি রায়-এর কাব্য 'ইচ্ছেরা ছুঁয়ে যায়' ।। আলোচক: বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

ইচ্ছেরা ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের অনুভূতিমালা বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়   'ইচ্ছেরা ছুঁয়ে যায়' কবি সাথি রায়ের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। কোন গভীর তাড়নায় একজন কবি কবিতা লেখেন এর উত্তর বিভিন্ন জনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন হলেও প্রথম কাব্যগ্রন্থ  প্রকাশের যে রোমাঞ্চ, যে আবেগ ও উদীপনা তা কমবেশি সকলের ক্ষেত্রেই সমান। সাথি  দীর্ঘ সময় ধরে কাব্যচর্চার সাথে সংযুক্ত থাকলেও কাব্যগ্রন্থ প্রকাশে তাঁর তীব্র অনীহা, অথচ সাহিত্যের এক গর্বিত উত্তরাধিকার তাঁর রক্তে ও মজ্জায়। প্রখ্যাত সাহিত্যিক ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়ের উত্তরসূরি তিনি। সংস্কৃতির অঙ্গনে তাঁর জন্ম ও বেড়ে ওঠা। ছন্দের অসামান্য কারুকাজ তিনি রপ্ত করেছেন শৈশব থেকেই। এই কাব্যগ্রন্থে জীবনের আলোড়িত সত্তার ভেতর থেকে প্রাত্যহিক দ্বন্দ্ব সংঘাত, প্রেম- জটিলতা, ক্ষুদ্রতা-উদারতা, সংগ্রাম এবং বিচ্ছিন্নতার নিরলস ভাবনা বারবার আবর্তিত হয়েছে। ' বালুচরে ফোটে না তো ফুল/ কাঙাল হৃদয় আজ হয়েছে আকুল' এই আকুলতাই তাঁর গতিজাড্য। তাই ধ্যানলীন চৈতন্যের ভেতর অস্তিত্বের সুপ্তি ও জাগরণচিহ্ন নিয়ে জীবনকে এঁকেছেন তিনি। যে জীবন নিরালম্ব আলোকলতা নয়। যার পরতে পরতে জড়িয়ে আছে যন্ত্রণাময় দাহ এবং ...

সোনার ছেলে ।। বাসুদেব সরকার

সোনার ছেলে  বাসুদেব সরকার  আমার দেশে সেই ছেলে তো কই,  ভালোবাসে ফুল পাখি ভালোবাসে বই।  বিদ্যাচর্চা করবে তো পরচর্চা নয়,  কর্মগুণে করবে যে সারাবিশ্ব জয়।  নিজ কর্মে হবে তারা সদা মনোযোগী  মানব সেবায় রত, সেবা দেবে রোগী।  দেশপ্রেমে হবে তারা সদা আগুয়ান,  প্রয়োজনে উৎসর্গ করবে যে প্রাণ।  দুখীজনের দুঃখ নেবে ভাগ করে,  নিরপেক্ষ হবে তারা সকলের তরে। অন্ন তুলে দেবে মুখে অন্নহীন জনে,  হিংসা বিদ্বেষ কভু থাকবে না মনে।  ছোটোদের স্নেহ আর গুরুজনে ভক্তি,  ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, দৃঢ় আত্মশক্তি।  নিজ ধর্মে বিশ্বাস ও মেনে রীতিনীতি  পরধর্মে সহিষ্ণুতা মানবতা প্রীতি।  তেমন সোনার ছেলে করি আশা সবে,  সেই ছেলে দ্বারা হবে সুখ শান্তি ভবে।  মহাস্বর্গ রচিত যে দুনিয়াতে হবে,  আসবে মোদের দ্বারে সেই ছেলে কবে?  ================ ◼️বাসুদেব সরকার, পেশা: শিক্ষক চরভৈরবী, হাইমচর, চাঁদপুর, বাংলাদেশ।

কবিতা ।। কথা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত

কথা তীর্থঙ্কর সুমিত কথার সাথে কথারা হারিয়ে যায় সময় বাঁকে .. আলাপের দ্বিচারিতা আর সময়ের ব্যার্থতা ক্রমশ এগিয়ে আসে  পাশে বসে সখ্যতা জমায় আঙুলে আঙুল রেখে এক - দুইয়ের অছিলায় নতুন কোনো সংখ্যা বসায় আর দূরের নদীটা বয়েই চলে জোয়ার - ভাটার সাথে সাথে। =================     

স্মৃতিকথা ।। আমার বন্ধু কবি শ্যামলকান্তি দাশ ।। শংকর ব্রহ্ম

আমার বন্ধু কবি শ্যামলকান্তি দাশ শংকর ব্রহ্ম -------------------- ------------ ------------ ------------ ------------ ------------ আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগেকার কথা। সত্তর দশকের কথা। 'সত্তর দশক মুক্তির দশক।' দেওয়ালগুলি যখন ভরে উঠেছিল এই শ্লোগানে। আমরা কতিপয় তরুণ তখন মুক্তি খুঁজেছি কবিতায়। কমল সাহা তখন আমাদের সঙ্গে কবিতা লিখত। আর নতুন প্রকাশিত প্রায় সব লিটল ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদপট আঁকত। ওর ছিল চারটে নেশা। ছবি আঁকা, কবিতা লেখা, চা আর চার্মিনার সিগ্রেট। কবিতা লেখায় মুন্সীয়ানা ছিল ওর, ছিল প্রখর ছন্দ জ্ঞান। প্রচন্ড অনুভূতি সম্পন্ন কবি ছিল কমল। প্রায় সব পত্রিকায় ওই সময় কমলের কবিতা প্রকাশিত হত। কমল সাহা তখন এক জনপ্রিয় কবির নাম। শ্যামলকান্তি দাশ সেইসময় - 'সূর্যনেশা' নামে একটি পত্রিকা মেদনীপুর থেকে  প্রকাশ করত। কমল তখন এতটাই জনপ্রিয় কবি ছিল যে শ্যামল আমাদের ও কমলের সমসাময়িক কবি হয়েও 'সূর্যনেশা' পত্রিকার 'বিশেষ কমল সাহা সংখ্যা' বের করেছিল। যা এখন প্রায় ভাবাই যায় না সমকালীন কবিদের কাছে থেকে। শ্য...

কবিতা ।। মেঘ বিলাসে ।। বন্দনা পাত্র

মেঘ বিলাসে  বন্দনা পাত্র ও আকাশ ঢালো ঢালো উজ্জ্বল প্রণয় অজস্র  মেঘের ভিতর মেঘ ছিল ঐ আকাশের সহস্র... দুরন্ত সেই রোদেলা আকাশ হারিয়েছে আজ মেঘের আঁখি কিরণ ঢালে কেবল অভিমানী সাজ। মেঘের ভিতর কলঙ্ক ছিল ও পূর্ণ আকাশ বিলাসে  কঙ্কাবতী নাম নিয়ে সে উতলা হয় বাদল বাতাসে... পূব হাওয়াতে দুলল যখন দোদুল দোলায়.. আষাঢ়ের মেঘ যে তখন ভীষণ রকম দূত হয়ে যায়। মেঘ বৃষ্টি বিলাস করে তাদের নীরের মেঘ-নীড়ে, সর্বনাশী সুরা ঢেলে কন্ঠে আকাশ উতল ধারায় নৃত্য করে... এমন বিলাস আকাশ ঘরে আষাঢ় অভিসারে, আকাশের আঁখি জলে ঊর্বশী-মেঘ নাচ করে। ঝিনুক মত বৃষ্টি যেন ঢেউ খেলানো নক্সা ক'রে  রুদ্র আকাশ গর্জনেতে যুগল মিলন বন্দী করে। মেঘ বৃষ্টির এমন ধরন আকাশ পথেই হরিণ হয়ে  দৌড়ে গিয়ে লক্ষ প্রণয় আকাশ জলে যাচ্ছে ধুয়ে। ও বাতাস তুই বাদল হলি এখন কেন আষাঢ় বলে? সব যেন ঐ যৌথ-মিলন বিলাস করে আকাশ কোলে। ============   নাম- বন্দনা পাত্র   

কবিতা ।। ভাঙ্গা আয়নায় ।। সনথ রায়

   ভাঙ্গা আয়নায়     সনথ রায় শব্দরা কেঁদেছে অনেক প্রয়াণ সভায় স্বপ্ন গুলো বিগড়ে যাওয়া নীড়ে  হামাগুড়ি ক্ষতচিহ্ন হাঁটু সহসা দাঁড়ায় । অজানা অচেনা ধাম হঠাৎ জীবন এক আকাশ মহাবিশ্ব ভাঙ্গা আয়নায় । নিখোঁজ এখনো আছি জানিনা কোথায় অনুরাগ বনানীকে রেখেছি বিতাড়ে কী নামে নিজেকে ডাকি কেমন প্রথায় । দেহ ভরা দাসপ্রথা সহিছে পীড়ন যোগাসনে অনুযোগ আছে কী শোভায় । পরিযায়ী সুখ নিরাশ্রক ঠিকানা ডানায় দেখিতাম ডানা পেলে ডানায় উড়ে অনাশ্রিত বনজ প্রাণ বিবিধ উপাধ্যায় । পালিলাম মহামান্য মানব জীবন গেছে শতকাল মুনী'ঋষি নিযুত অধ্যায়। এখনো রয়েছি "তারপর " যত নিরুপায় বিধাতার তমসুক খেলাপির ঘাড়ে বিকৃতি শতমুখ ভাসে ভাঙ্গা আয়নায় । আপনার চেহারাটি দেখতে কেমন টুকরো আয়নাতে দেখে পড়েছি দ্বিধায় ।  ============   ঠিকানা:- শিলচর, আসাম

ঝরা পাতা ।। নিবেদিতা দে

 ঝরা পাতা   নিবেদিতা দে  খুব জানতে ইচ্ছে করে, তোর পছন্দের রং ধূসরের উর্দ্ধে গেল কিনা, নীল আর কালোর নিকষ অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসে, জগতটাকে দেখে তোর পছন্দ হলো কিনা। খুব জানতে ইচ্ছে করে, তোর বদলে যাওয়া স্বভাবগুলো আর পরনের সুরগুলোর কথা। জানতে ইচ্ছে করে, আসা-যাওয়ার মাঝে তোর মনে দাগ কেটে যাওয়া উড়ো মেঘগুলোর কথা। জানতে ইচ্ছে করে, তোর দক্ষিনা বাতাস আর বৃষ্টির গন্ধ মাখা চিঠিপত্র পাঠায় কিনা। শীতের ঝরা পাতাগুলো কি নিয়েছে তোর খোঁজ? ভোরবেলার পাখিগুলো কি তোকে আর জিজ্ঞেস করে, ঠিক কতটা একাকিত্ব পোহালো? ================ নাম: নিবেদিতা দে  বিহু, শরৎপল্লী, নিবেদিতাপল্লী,গোলাপবাগ পূর্ব বর্ধমান।

গল্প ।। কর্কট-ক্রান্তি ।। সুশান্ত পাত্র

কর্কট-ক্রান্তি  সুশান্ত পাত্র     বর্ষাকাল বিশেষ পছন্দের নয় গোকুলের। এই সময়টাতে তাকে অনেকগুলো অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। যখন আকাশ ভেঙে বৃষ্টি ধারা নেমে আসে, তার ঘরের খড়ের চাল ভেদ করে ঝরঝর করে জল পড়তে থাকে। উঠোন জুড়ে খেলা করে সোনা ব্যাঙ, বিছে, ইঁদুর, কেন্নোরা। নদীর জলে ভাঁটা প্রায় নামতেই চায় না, ফলে উপার্জন বন্ধ হয়ে আসে। পেটে টান ধরে। কাজকর্ম থাকে না। সেঁতিয়ে ওঠা মাটির দাওয়ায় বসে তখন সে কেবল তাকিয়ে থাকে আকাশের দিকে।      দুদিন অবিরাম বৃষ্টির পর আজ একটু ধরণ দিয়েছে দেখে সকালবেলাতেই পান্তা খেয়ে কাজে বেরোচ্ছিল গোকুল। দুদিন বসে বসে কাটল। আজ না বেরোলে সংসারের চাকা ঘুরবে না। বারান্দার বেড়ার গায়ে ঝোলানো থাকে একটা লোহার শিক, তার পাশেই নাইলনের ব্যাগ। জিনিস দুটো নিয়ে বেরোবার মুখে যমুনা ডাকল।  — কিছু তো বললে না। কি ভাবলে?      গোকুল আকাশ দেখছিল মুখ উঁচু করে। আবার ঢালবে কিনা তাই বোঝার চেষ্টা করছিল। যমুনার কথা কানে গেলেও মনে গেল না।      সে আলগোছে বলল, কিসের কি ভাবব?   ...

ডাকবাক্সে তোমার চিঠি ।। গোলাপ মাহমুদ সৌরভ

ডাকবাক্সে তোমার চিঠি   গোলাপ মাহমুদ সৌরভ  আজও আমি প্রতিনিয়ত অপেক্ষায় থাকি হলুদ খামে প্রিয়তমার চিঠি আসবে বলে,  ডাকহরকরা আমার দরজা কড়া নাড়বে, চিঠিটা দেখে আনন্দে মনটা ভরে যাবে অধিক আগ্রহ নিয়ে বারংবার পড়বো,  কবে,কখন যে আসবে প্রিয়তমার চিঠি  প্রশান্তির দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে চিঠি পড়বো।  একাকী বিষন্ন মনটা একটু স্বস্তি পাবে তুমি হীন নিজেকে বড়ই একা মনে হয়,  ফেরারি এই মনটা তোমারই কথা কয়।  অভিমানে না-হয় নিজেকে দূরে সরে রেখেছো বিনিময়ে কষ্ট ছাড়া বলো কি পেয়েছো?  অজান্তে একবার স্মৃতির ডাইরিটা খুলে দেখো একটি ভুলের জন্য কতোদিন হারিয়ে গেছে,  আমি প্রতিদিন ডাকবাক্সে তোমার চিঠি খুঁজি  অবশেষে ক্লান্ত হয়ে ভাবি আজও এলোনা বুঝি! ============

কবিতা ।। বদল ।। কার্ত্তিক‌ মণ্ডল

                   বদল      কার্ত্তিক‌ মণ্ডল   বদলে গেলাম আমি তুমি,বদলাল হালচাল   দেখেছি আবার বদলে মানুষ তিলকে করে তাল‌ পোশাক আশাক বদলে গেছে বদলাল বাক্‌ ভাষা গাড়ি বাড়ি বা চলন বলন,মনের যত উচ্চাশা। চারদিকটা লাগছে ফাঁকা বদলাল গাছ ভূমি বদলে গেল মাছ মাংস দূষণ চাষের জমি সুউচ্চ সব অট্টলিকা ,নেইকো মাটির ঘর আগের মত কেউ মিশে না, শুষ্ক যে অন্তর দোয়েল কোয়েল নেইকো আর দেখিনা ঘুঘু টিয়া ভাবলে মনে তুফান আসে যায়রে‌ ভেঙে হিয়া বাপও ছেলে আলাদা রয়,দেখাদেখি নেই কার‌ও সবার মন পাষাণ যেন, ভুলে গেছে কথা মার‌ও ভাই বন্ধু আর কেউ বলে না,প্রেম তো মরীচিকা চোখের সামনে দেখছি রে প্রেম,বন্ধনহীন ফিকা‌ উদার প্রীতি মানবিকতার সূত্র গেছে ছিঁড়ে মানুষ এখন হারিয়ে গেছে অমানুষের ভীড়ে । ===========  

কবিতা ।। সৃজণ মনন ।। তপন মাইতি

সৃজণ মনন  তপন মাইতি সৃষ্টি থেকে সবুজ মনন সৃজণ  বায়ুমণ্ডল নির্মল হলে পরে  পৃথিবী রাখবে ধরে শ্রীজন  বাড়লে বিপদ দুর্যোগ তুফান ঝড়ে।  একটি সংগ্রাম সবুজায়ন করে  নদীবাঁধে উঁচু করলে মাটি  মেরু গলন রুখে সৃজণ গড়ে  সবুজ যত্নে বৃক্ষ পরিপাটি।  একটি লড়াই বিপ্লব সচেতনে  মানুষ নিজের সামাজিকবোধ দেবে  সার্বিক পৃথিবী আদর যতনে  মুক্ত জীবন নিঃশ্বাস নেবে।  ভালবাসতে জানলে তুমি পারবে  অরণ্য যে বাঁচতে শেখায় লড়াই  যেদিন জীবন জগত তুমি ছাড়বে  দিয়ে যাবে সমান উতরাই চড়াই। বৃক্ষ হয়ে বৃক্ষের কাছে দাঁড়াও  কাছের মানুষ নিজের হয়ে দাঁড়াও।  ================   নামঃ তপন মাইতি ঠিকানাঃ গ্রামঃ পশ্চিম দেবীপুর; পোঃ দেবীপুর; থানাঃ মৈপীঠ কোস্টাল; জেলাঃ দঃ২৪ পরগণা; পিন-৭৪৩৩৮৩; পশ্চিমবঙ্গ। ভারতবর্ষ  ।

কবিতা ।। তন্ময় দাস

   চল না ; ফিরে যাই তন্ময় দাস               আহ্ রে,-                এই ব‍্যস্ত জীবন-  একটু থমকে দাড়া। আর চাই না যেতে দুর পথ_  আবার ফিরে চল শৈশবের পথে। যে পথে চল্লে মানুষ কিছু বলে না_ দু হাত তুলে নাচা যায় - বন, বাদারে। সকাল, দুপুর,সন্ধার ধূলো মাখা ধূসর পথে। যেখানে চিন্তা নেই, ক্রোধ নেয়, ভয় নেই, হিংসা নেই _ জীবনরে চল না - একটু ওই ফেলে আসা পথে। একটু ছুয়ে আসি তারে। যেমন শরৎ- শিশীর বিন্দুরে ছোঁয়, তেমনি_ যেমনি বুড়ো ঈগলের ঝড়া পালক গজায় ; তেমনি_ চল না একটু ;সেই পথ হতে_ গোধুলি এখন,সূর্য ডোবার পথে। ঘুরে আসি হাত ধরে - ছোট্ট বেলার বন্ধুর সাথ ধরে। একটু খেলে আসি,, লুকোচুরি, গোলা পাক, পাতা ছেঁড়া। লুকিয়ে  আসি; চুরি করা আম, লেচুর থোকা। বকুনিটি খেয়ে  আসি মায়ের। চল না রে মন_  একটু নেচে আসি প্রজাপ্রতির মতন। ফিঙের মতন, বুলবুলির লেজটি নাড়ানোর মতন। ব‍্যস্ত জীবন, বরই ব‍্যাকুল_ চল ফিরে যাই _ আরেক, বারেক বার।                      _________ নাম- তন্ময়...

ছড়া ।। ভোরের পাখি ।। মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান

ভোরের পাখি  মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান রোজ সকালে গাছের ডালে পাখপাখালির ডাকে,  খোকা খুকুর ঘুম ভেঙে যায় খোঁজে তারা মা'কে।  দোয়েল কোয়েল ময়না শালিক  হরেক রকম পাখি,  গানে গানে প্রভাত আনে  সুরুজ খোলে আঁখি।  কোকিল ডাকে আপন তালে  কুহু কুহু সুরে,  বউ-কথা-কও ডাকে পাখি  অল্প কিছু দুরে ।  চড়ুই পাখির কিচির-মিচির  বাংলা ঘরের চালে,  টুনটুনি তাই  মনের সুখে  নাছে ডালে ডালে ।  **************     মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান  দশানী, বাগেরহাট 

কবিতা ।। সুশান্ত সেন

  কথা ও সুখ সুশান্ত সেন   কোনো একটা সাধারণ কথা নিয়ে  আগ বাড়িয়ে আগ বাড়িয়ে অনেক দূর চলে যাবার পর দেখা যাবে এতক্ষণ যা কিছু কথা হলো  সে সব কথার কোনো মানে নেই। আর অর্থহীন কথা ছাড়া সারাদিন ত এত কথা বলা যায় না। স্বচ্ছ জলের মধ্যে সাঁতারের মত আর কি বা সুখ আছে - অথচ আমি জানি আমি সাঁতার জানি না। সাধারণ কথা আর সাঁতারের থেকে দূরে চলে গিয়ে ছিপ ফেলি মানস সাগরে - সেই যেন নিয়ে এলো সুখ । ============ সুশান্ত সেন ৩২বি , শরৎ বসু রোড কলিকাতা ৭০০০২০

কবিতা ।। পরিণতি ।। চন্দন দাশগুপ্ত

  পরিণতি চন্দন দাশগুপ্ত  টিলা -ঢিবি ছিল বটে সে-দেশে কিছু, আর ছিল অজস্র গাছ, ফুল আর পাখি ছিল অগুন্তি, খোলা আকাশের বুকে ছিল মেঘ, ঠান্ডা বাতাসে ছিল ফুলের সুবাস। তারপর একদিন শুরু হল গাছ কাটা, ওরা নির্মম....ওদের হাতে আছে কুঠার, ওরা নাকি করবে "উন্নয়ন", মাটির পথকে ওরা করল পিচঢালা পাকা রাস্তা, সেখানে চলল গাড়ি আর বাইকের মিছিল, কারখানার ধোঁয়াতে ঢেকে গেল বাতাস, ঘোলাটে আকাশে মুখ ঢাকলো সমস্ত তারা-নক্ষত্র, ঠান্ডা বাতাস পালিয়ে বাঁচল, এসে গেল লু, আদুল গায়ের সরল মানুষগুলোর জায়গা নিলো, সুটেড বুটেড কিছু "সভ্য" মানুষের দল, ওরা এক পা হাঁটতে পারেনা, তাই চড়ে বাইক, তার দূষণের ঠেলায় তারা নিজেরাই নাজেহাল,  টিলা ঢিবিগুলো আজ আর নেই সে-দেশে, আর, ফুল-পাখি-প্রজাপতি ,,,,,,,,? ওরা সবাই আজ চলে গেছে না-ফেরার-দেশে। ================= চন্দন দাশগুপ্ত  সি/৩০/১, রামকৃষ্ণ উপনিবেশ,  রিজেন্ট এস্টেট,  কলকাতা--৭০০০৯২  

কবিতা ।। ঋণশোধ ।। সবুজ জানা

  ঋণশোধ সবুজ জানা বাজারে গোপন দাঁদন ইহকাল ও পরকালের বোঝা  এখন মৃত্যু হলে আমি ঋণী থেকে যাব আপাদ মস্তক কোন এক শাইলকের কাছে। এই মরলোকের ঋণশোধ নিয়ে আমি কিন্তু দু:শ্চিন্তায়! আমার ঠাকুরমা বলতেন, কাঁধ থেকে ঋণের বোঝা নামাও  গঙ্গা স্নান সারবে....  অন্যথায়  ঋণশোধ পরজন্মেরও দায় মানুষ কিংবা পশু হয়ে! ভালবাসায় সুদ, আসল বা লভ্যাংশ আছে কিনা জানি না তবুও ভালবেসে ঋণী করে যাও তুমি আমায় প্রতিনিয়ত। ভাবছি এ বোঝা নামিয়ে দেব কাঁধ থেকে শাপমোচন! ওগো সই তবুও পারছি কই।  ============ সবুজ জানা পাঁশকুড়া পূর্ব মেদিনীপুর 

কবিতা।। তোমার প্রতি ।। তপন মাইতি

  তোমার প্রতি  তপন মাইতি যখন তোমায় বলতে যাব  তখন তুমি ভিড়ে  বলব বলব করে কি আর  পাখি গেল নীড়ে।  যখন তোমায় বলব ভাবি  কেমন যেন মগ্ন  হৃদয় যেন অন্য কারোর  আসছে শুভলগ্ন।  শুরু করা গেলে ভাবতাম  কিছু একটা হবে  বলব বলব বলি করে  পাখি উড়ল কবে? এখন যদি একটু বোঝ  তোমার জন্যে এমন  ভালবাসি ভাবলে যেন  ভাল লাগে কেমন... ============= নামঃ তপন মাইতি ঠিকানাঃ গ্রামঃ পশ্চিম দেবীপুর; পোঃ দেবীপুর; থানাঃ মৈপীঠ কোস্টাল; জেলাঃ দঃ ২৪ পরগণা; পিন-৭৪৩৩৮৩; পশ্চিমবঙ্গ। ভারতবর্ষ। 

কবিতা ।। হিসেব ।। প্রতীক মিত্র

  হিসেব প্রতীক মিত্র সবাই বহালতবিয়তে আছে। জানলায় শৌখিন পর্দা। মোবাইলে হিন্দি গান। অবসর সমান সমান গাছের পাতায় গরম হাওয়ার দোলা। শেয়ার বাজার, জমির দালালি, বিছানার কুঁচকে থাকা চাদরে ভালোবাসা। নেতাদের চুরি, ধড়পাকড়, স্ফটিক জারে মাছেদের জলের বুদবুদ গেলা। ঘরে আকছার অনধিকার প্রবেশকারী  পাড়ার বিচ্ছু বেড়ালটা আগাছার ঝোপের কাছে হাঁচে। দিনযাপনের পাতার একের পর এক উলটে যাওয়া মুহুর্তগুলোর কখনও শর্ত কখনও শর্ত ছাড়া আঁকড়ে ধরে আঠা হয়ে কিম্বা ছেড়ে দেওয়া যেন বাদামের খোলা। আর যদি বা কিছু বাকি থাকার থাক… সবাই তো দেখছি বহালতবিয়তেই আছে। ============== প্রতীক মিত্র কোন্নগর-712235, পশ্চিমবঙ্গ

কবিতা ।। আশিস ভট্টাচার্য্য

অহল্যার চোখে ঘুম নেই আশিস ভট্টাচার্য্য স্বেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়  অবৈধ সম্পর্ক সুখ দেয় আরাম দেয়  কিন্তু শান্তি কেড়ে নেয় কেড়ে নেয় চোখের ঘুম। উদাসীন স্বামী তাকে তৃপ্তি দিতে ‌ অক্ষম তাই অহল্যা হাজার বিনিদ্র রাতের ছটফটানি ভুলে ইন্দ্রের কাছে সতীত্ব বিসর্জন দিতে এক মুহূর্ত দ্বিধা করেননি। ইন্দ্রের শরীরে কি জাদু আছে অহল্যার মস্তিষ্কে, শরীরে হাজার সঙ্গীতের সুর বেজেছিল, লম্পট ইন্দ্রের চম্পট দিতে এক লহমা বিলম্ব হয়নি। উদাসীন ঋষির ক্রুদ্ধ শাসনের সামনে চঞ্চলা হরিণীর মত ভীত , স্তম্ভিত অহল্যা ত্রিভুবন শান্তির ঘুমে মগ্ন তার চোখে নেই। =================   আশিস ভট্টাচার্য্য রামকানাই গোস্বামী রোড শান্তিপুর নদীয়া -৭৪১৪০৪

কবিতা ।। সান্ত্বনা চ্যাটার্জি

ঠিকানা সান্ত্বনা চ্যাটার্জি  আমি ছিলাম সপ্তদশী তখন ফাগুন মাস, আকাশ জুরে রঙের মেলা ,স্বপ্ন ভরা চোখে; দেখে ছিলাম তোকে। মেঘের ভেলায় শিশু রবি আগুন বরণ কায়া , তারই মাঝে দেখেছি তোর ছায়া । একটি দশক পরে .. তুই এলি আমার ঘরে ; আমার জীবন আলো করে । তোর তো সবই ছিল.. আমি কিছুই রাখিনি বাকি; তুই ছেড়ে কেন গেলি আমায় , ,জীবন জুরে আঁধার । গ্রহন লেগে সুর্য যেমন আকাশ কে দেয় ফাঁকি মাঘের শীতের সায়াহ্নে আজ শুকনো চোখে চাই- শুস্ক নদী ,ধুধু প্রান্তর, শুধু বালিয়ারি পাই । তুই আছিস কোথায় জানি ; তোর প্রার্থীব ঠিকানা টা; নাইবা দিলি আর -স্বপ্ন ভাঙ্গা হৃদয় মনে নেই তার দরকার ।                          ****** সান্ত্বনা চ্যাটার্জি A166 Lake Gardens Kolkata 700045

কবিতা ।। বিজ্ঞানে রই, অপবিজ্ঞানে নয় ।। শুভ্রা ভট্টাচার্য

বিজ্ঞানে রই,অপবিজ্ঞানে নয় শুভ্রা ভট্টাচার্য বিজ্ঞান কথাটির মূলগত অর্থ "বিশেষ জ্ঞান" যাহার সাথে জড়িত রয় জৈব অজৈব প্রাণ, পরীক্ষা নিরীক্ষা সিদ্ধান্ত তাহার তিনটি ধাপ হাতে কলমে জ্ঞান অর্জনে চাই বুদ্ধির ছাপ। এ বিশ্ব ব্রম্ভান্ড প্রকৃতি মাঝে লুকিয়ে বিজ্ঞান  পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের সঠিক ব্যবহারে শিক্ষার মান, অজানাকে জানাতে প্রকৃতির রহস্য উদঘাটন  তারই মাঝে অপবিজ্ঞানের টানে ছোটে মন। অজ্ঞানতার আঁধারে বিজ্ঞানের অপব্যবহার অন্ধ বিশ্বাস আর অনুকরণে মেকি আধুনিক, যদিও মোরা কুসংস্কারের সঙ্কীর্ণ বেড়াজালে অনুদার চিন্তায় মনে ব্যাকডেটেড পৌরাণিক। অন্যায়াসক্ত অপরাধী মন সদা ভীত ত্রস্ত  মানসিক দুর্বলতায় ভ্রান্ত সংস্কারে আচ্ছন্ন, মসৃণ জীবনধারার মূল সত্য ও লক্ষ্য ভুলে  উদারতা মানবিকতা হতে অন্তর বিচ্ছিন্ন। অদৃষ্টবাদ অসঙ্গত ভীতি আতঙ্ক হতেই যত আদিকালে অবৈজ্ঞানিক কুসংস্কারের জন্ম, রন্ধ্রেরন্ধ্রে আষ্ঠেপৃষ্টে বাঁধা সংকীর্ণতা হতে না জানি কেমনে বাঁচবে আমাদের প্রজন্ম! বিলাসযাপনে নিত্যনতুন প্রযুক্তি ভোগবাদ তবুও মনেতে একরাশ শুন্যতার হাহাকার, তাই আপাতত আনন্দ সুখ শান্তির খোঁজে  তাবিজ কবজ আর পাথরের জয়জয...

গল্প।। মায়ের স্বপ্নভঙ্গ ।। মিঠুন মুখার্জী

                  মায়ের  স্বপ্নভঙ্গ                         মিঠুন মুখার্জী  সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে ছোট্ট আফরিনা তার মাকে বলে--- "মা, আমরা কি দেশে ফিরতে পারবো না!! আমার স্বপ্ন কি পূরণ হবে না?" মা খাদিজা বিবি কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন--- "এই পরিস্থিতিতে কিভাবে যে মাতৃভূমিতে ফিরে যাব, কে জানে। দেশে তোর বাবার ও দিদির চোখের জলে দিন কাটছে।" খাদিজা বিবির মাতৃভূমি হল ভারতবর্ষ। কলকাতার পার্ক সার্কাসের একটা বস্তিতে মোহাম্মদ সালেম তার বউ খাদিজা বিবি ও দুই মেয়ে আফরিনা ও কারিনাকে নিয়ে একপ্রকার সুখেই বাস করতেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে খুলনা জেলায় ভাইয়ের বাড়িতে বড় মেয়ে করিনার বিয়ের নিমন্ত্রণ করতে গিয়েছিলেন তারা। তাছাড়া অনেকদিন ভাইয়ের বাড়িতে যাওয়া হয়নি। দেশভাগের সময় ভাই আবু হোসেন পূর্ব পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন। তারও জন্মস্থান কলকাতা। সপ্তাহখানেক পর মোহাম্মদ সালেম বড় মেয়ে কারিনাকে নিয়ে কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন। সপ্তাহ দুই পরে খাদিজা বিবি ও আফরিনাকে...

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

রেজাল্ট ।। সৈকত মাজী

রেজাল্ট সৈকত মাজী শুভ্রাংশু বিছানতে শুয়ে শুয়ে বিরক্ত হয়ে উঠল। মনে মনে নিজের শরীরটাকে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিলো দু- চারটে কথা, দেবে নাই বা কেন, কয়দিন ধরে এতো কাঠ খড় পুড়িয়ে সব বন্ধুরা মিলে রথটা বানালো, কত কি প্ল্যান করলো, আর এই শরীরটার জন্যই তো সব ভেস্তে গেলো। মনে মনে ভাবলো একটা যা হোক শরীর হয়েছে ওর প্রতি মাসে তিন - চার বার করে জ্বর হচ্ছেই। হবি তো হ আর একটা দিন পরে হলে কি এমন ক্ষতি হতো, এই রথের দিনেই হতে হলো। ওর বিরক্তিটা বেড়ে গেলো আরো কয়েক ঘর।    " মা ও মা...মাআআআআ...." জোরে হাঁক  দিলো শুভ্রাংশু।    " কি হয়েছে বাবু? আবার জ্বরটা বেড়েছে? মাথা ব্যথা করছে?" ব্যস্ত হয়ে উঠলেন মালতিদেবী।     " ওসব কিছু নয়, ও মা বলছি এখন তো খুব কম জ্বর আছে যাই না মা একবার বাইরে, সবাই কতো ফুর্তি করছে বলো"  কাতর ভাবে বলল শুভ্রাংশু।      " না বাবু, এখনই আমরা ডাক্তারের কাছে যাব, বাবা তৈরী হয়ে গেছেন, আমরা বিকেলে তখন মেলা দেখতে যাব কেমন, এখন উঠে জামা কাপড় পরে নাও"  মালতিদেবী জামা কাপড় গুলো এগিয়ে দিলেন।      শুভ্রাংশু...

রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি

রাই আর বাবা অদিতি চ্যাটার্জি রাই-র জীবনে বেশ কিছু ভালো লাগা আছে তার মধ্যে একটা হলো সন্ধ্যার সময় তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখতে দেখতে কফি কাপে চুমুক দেওয়া ।" আজ যশোদা মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে বেশ ভিড়,নির্ঘাত 'তেলে ভাজা ' প্রেমীরা।" আপন মনেই ভাবে ও, কিন্তু বসার ঘরে সুমন আর আঁখি এতো জোরে 'হল্লা গোল্লা ' করছে তালতলার জমজমাট রাস্তার দিকে আর মন দিতে পারছে না রাই।  পায়ে পায়ে ঘরে এসে দাঁড়ায় রাই, দেখে ক্লাস ফোরের মেয়ে এতোটা ঝগড়া করছে সুমনের সাথে , "বাপ রে, কবে এতোটা কথা শিখলো মেয়ে! কিভাবে কথা বলছে?? কোঁকড়া চুল ঝাঁঝিয়ে,গোলগাল হাত নেড়ে " ...মেয়ে কে দেখে থতমত খেয়ে যায় রাই। এদিকে আঁখি বলছে, "ধুত্ বাপী তুমি কিচ্ছু পারো না, তুতাই-র বাবা, পিসাই, মামু সবাই কত ভালো করে খেলতে পারে , না আমি তোমার সাথে খেলবো না।" কাতর চোখে মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে সুমন বলে ,"আচ্ছা তুই আমাকে শেখা, দ্যাখ আমি কার জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে পনেরো দিন পর পর কলকাতায় আসি বল!"  ঐ টুকু মেয়ে কথা প্রায় না শুনেই ঘরে চলে গেল রাই-র চোখের সামনে, সুমন একবার হেসে বাথরুমের দিকে এগো...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী

বস্তু, চেতনা এবং  কবি সজল চক্রবর্তী  "যেখানে পৌঁছায় না রবি,, সেখানে পৌঁছে যান কবি।" এই ছোট্ট কবিতা টি অনেক পুরনো  এবং বহু পরিচিত, তথাপি এর তাৎপর্য এখনো হারায় নি। তবে, কথা হ'চ্ছে -আমরা তো  রবি-কবিকে একত্রেই পেয়ে যাই আমাদের ঋষি-প্রতিম কবি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে। আর তখনই জেনে যাই উপরোক্ত ছোট কবিতার প্রণিধানযোগ্যতা ।  ... এবার শুনে নেয়া যাক, ঋষি-প্রতিম কবির মুখ নিঃসৃত বাণী:- "তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি যাই ...." অর্থাৎ আমাদের প্রিয়তম কবি অনায়াসে পৌঁছে যান সৃষ্টির অসীমে , যা আমাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। এখানে কবির চেতনা সুদূর প্রসারী! ... প্রকৃত প্রস্তাবে কবি অতিন্দ্রীয় জগতের এক নাগরিক। তাঁর কাছে তাই চেতনা বা চৈতন্যেরই প্রাধান্য। ...এখন আসছি, বস্তু এবং চেতনার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে।  ... আমি একজন অতি সাধারন মানুষ, তাই এই ব্যাপারটাকে কবিদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা ক'রছি। তবে আমার সামান্য জ্ঞান থেকে একটা সাধারণ কথা সেরে নি'। আমরা সাধারণত ব'লে থাকি-- সূর্য পূর্বদিকে ওঠে। প্রকৃত অর্থে কি তাই ? আসলে সূর্য যেদিকে ওঠে ,আমরা  সেই দিকটাকে নামাঙ্কিত ক...

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদি ।। অরবিন্দ পুরকাইত

স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি  (পর্ব—সাত) অরবিন্দ পুরকাইত স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদির সংগ্রহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকায়, ২০১৬ সালে। সে সংগ্রহ যায় নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে, ১৪২৩ সনে। পরে এই ব্লগজিনেও কিছু সংগ্রহ প্রকাশিত হয় ১৪২৮ সনের আশ্বিন মাসে, পৌষ ১৪২৯-এ, আষাঢ় ১৪৩০, নববর্ষ ১৪৩১ ও কার্তিক ১৪৩১ সংখ্যায়। তার পরেও ধীরে ধীরে আরও কিছু সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলিই এখানে রাখা হল। নিজের আগের সংগ্রহে এসে-যাওয়া শব্দ যদি এখানে এসে থাকে, তা বাড়তি বা ভিন্ন কিছু বলার প্রয়োজনেই। নিজের আগের সংগ্রহ খুব ভাল করে যে মিলিয়েছি তা নয়, পুরো সংগ্রহ একত্র করার সময় তা করা যাবে যতটা সম্ভব নিখুঁত করে। আগে আগে সংগ্রহ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা হয়েছে, বিশেষত প্রথম প্রকাশের সময় একটু বিশদভাবে। এখানে আর কিছু বলা নয়, কেবল সংগ্রহটাই তুলে ধরা গেল। অখেজো/অখেজে — অকেজো থেকে। আদরের তিরস্কার হিসাবেই মূলত প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পাজি। অচিমিতি — (উচ্চারণ ওচিমিতি) আচমকা, হঠাৎ। অদীয় — প্রচুর, অজস্র। অদ্বিতীয় থেকে ক...

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায়

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত রণেশ রায় ভূমিকা দর্শনের ইতিহাসে বস্তু ও চেতনার সম্পর্ক মানবচিন্তার গভীরতম প্রশ্ন। অধিবিদ্যা ভাবকে মুখ্য ধরে, বস্তুকে গৌণ বলে মনে করে। বিপরীতে মার্কস ও এঙ্গেলস বলেছেন—বস্তুই মুখ্য এবং চেতনা তার প্রতিবিম্ব। মানুষ যখন প্রথম আলোর মুখ দেখেছিল, তখনই সে বিস্ময়ে প্রশ্ন করেছিল—আমি কে, কোথা থেকে এলাম, আর এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে কিছু আছে কি? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নিয়েছিল দর্শনের দুই বিপরীত স্রোত—ভাববাদ আর বস্তুবাদ। ভাববাদ বলেছিল—"ভাবই প্রথম," আর মার্কস বললেন—"না, বস্তুই প্রথম।" এই দুই প্রান্তের মাঝখানে আমি দেখি এক সেতুবন্ধন, যেখানে বস্তু, স্নায়ু ও চেতনা একে অপরকে গড়ে তোলে, আর তাদের এই ত্রিত্বের নৃত্যেই সৃষ্টি হয় জীবন ও কল্পনার জগৎ। ভাবববাদ এক সর্বশক্তিমান শক্তির কল্পনা করে যা এই বস্তুজগতের স্রষ্টা। আর এখান থেকে ধর্ম ও ধর্মীয় ভাবধারার সৃষ্টি। আমার এই প্রবন্ধে আমি মার্কসীয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আলোকে বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি দেখাবার চেষ্টা করবো কিভাবে ইন্দ্রিয় এবং স্নায়ুজগৎ বস্তু ও চেতনাকে সংযুক্ত করে এবং কল্পলোকের জন্ম দেয়...

চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার

চাঁদে জীবন  শমীক সমাদ্দার                           চন্দ্রযান দুরন্ত তৈরি, রকেটের উপর ভর করে চন্দ্রযান চাঁদে অবতরণ করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পেরিয়ে মহাকাশযান চাঁদের কক্ষপথে  স্থাপন করা হয়েছে। চন্দ্রাযান চাঁদের মাটিতে পা রাখবে সময়ের কাউন্ট ডাউন চলছে। সমস্ত নিয়ন্ত্রণ স্পেসস্কাই গাবেষণা কেন্দ্র কতৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রযুক্তি বিজ্ঞান অতল গভীরতায় বাসা বাঁধে। পরিচয়টা দিয়ে দিলাম এই স্পেসসিপে রয়েছে তিনজন নভোচর, একজনের নাম সাইমন আর এক জনের নাম রেমন্ড, আর এদের সঙ্গে একজন মহিলা আছে তার নাম মেরিনা। চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করেছে। চন্দযান দুরন্ত চাঁদের পূর্ব -পশ্চিম অক্ষরেখা বরাবর অবতরণ করেছে। আলো আঁধারের গভীরতায় বড় বড় পাথরের পিণ্ড, চাঁদের সার্ফেসের উপরে পাথর জল দেখা যায়। জমাট বাঁধা অক্সিজেন আর কার্বনডাই অক্সাইড। ওরা এখানে এসেছে এক রহস্য উদ্ঘাটন করতে। যে স্থানে ওরা অবতরণ করেছে সেখানে ১০ বছর আগে ওরা এসেছিলো। রুশ সরকার ওদের দেশের ছাত্র ছাত্রী কে মহাকাশে চাঁদে পাঠাতে চায়। ওরা কেন এসেছে সেটা এখনো অধরা। সাইমনের বর্...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

বছরের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ৮৬তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পাদকীয় এই সংখ্যাটি বাংলা নববর্ষ বিষয়ক সংখ্যা। নৱৰ্ষকেন্দ্রিক বহু তথ্যপূর্ণ লেখা এই সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস, রীতিনীতি, উৎসব, পার্বন, লোকাচার, রূপান্তর বহুবিধ বিষয় প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যার লেখাগুলিতে। এই সংখ্যার বাছাই কিছু লেখার সঙ্গে আগামীতে আরও কিছু লেখা সংযুক্ত করে বাংলা নববর্ষ বিষয়ক একটি মুদ্রিত সংখ্যা প্রকাশ করার ইচ্ছে রইল।  সকলকে নববর্ষের আন্তরিক শুভকামনা জানাই। উৎসবে আনন্দে থাকুন, হানাহানিতে নয়। ধর্ম-ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে সহনাগরিকের পাশে থাকুন। মনে রাখুন, ধর্মকে মানুষই সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বর আল্লা গড ইত্যাদির জন্মদাতা মানুষই। মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষের পাশে থাকুন।  নিরাশাহরণ নস্কর  সম্পাদক, নবপ্রভাত।  সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা পয়লা বৈশাখ ।। সিদ্ধার্থ সিংহ নববর্ষকেন্দ্রিক মেলা, পার্বন, উত্সব, লোকাচার ।। সবিতা রায় বিশ্বাস নববর্ষ আবাহন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে ।। তুষার ভট্টাচার্য নববর্ষের সেকাল ও একাল ।। হিমাদ্রি শেখর দাস নববর্ষের হাল-হকিকৎ ।। শংকর ব্রহ্ম বোশেখি বাঙালি নাকি পোশাকি বাঙালি? ।। দিব্যেন্দু...

প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান

বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় মাখনলাল প্রধান বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির জগতে যাত্রা শিল্প তথা নাট‍্যশিল্পে মড়ক নেমে এসেছে । যাত্রা শিল্পের মড়কে শুধু কোভিড নয় তার বহুপূর্ব থেকেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় , শিক্ষাক্ষেত্রে বন্ধ‍্যাত্ব এবং গ্ৰাম বাংলার পটপরিবর্তন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। যাত্রা-শিল্পের লীলাভূমি ছিল গ্ৰাম বাংলা। গ্ৰামে প্রচুর যাত্রাপালা হত নানা উৎসবকে কেন্দ্র করে । জমিদারি ব‍্যবস্থা লুপ্ত হওয়ার পর গ্ৰামীণ মানুষের উদ‍্যোগে শীতলা পূজা,  কালীপূজা, দুর্গাপূজা, কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, চড়ক ইত‍্যাদিকে উপলক্ষ‍্য করে যাত্রাপালার আয়োজন না হলে কেমন যেন ম‍্যাড়ম‍্যাড়ে লাগতো। সেই সঙ্গে কলকাতার বড়বড় কোম্পানির যাত্রাপালা ঘটা করে, টিকিট সেল করে হত মাঠে। খুব বড় মাপের খেলার মাঠ যেখানে ছিল না সেখানে ধানের মাঠ নেওয়া হত ‌। ত্রিশ-চল্লিশ হাজার মানুষ দেখতে আসত। স্পেশাল বাস পাঠাত  আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বিনা ভাড়ায় বাসে যাতায়াত করত যাত্রার দর্শকেরা। কিন্তু বিকল্প ধানচাষ শুরু হলে জমিগুলো সময় মতো ফাঁকা পাওয়া গেল না । প্রথম দিকে ব‍্যাপকহারে ধান শুরু না হওয়ায় খুব একটা অসুবিধা হত না। বহুক্ষেত্রে  ধান কা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী

ভিনগ্রহীদের সন্ধানে  শ্যামল হুদাতী  ইতিহাসের শুরু থেকে বারবার মানুষকে একটা প্রশ্ন কুঁড়ে কুঁড়ে খায় – এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? পৃথিবীর মতো আরও গ্রহ রয়েছে, যেখানে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীরা বাস করে – এই সম্ভাবনা বরাবর মানুষকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের কখনও না কখনও এই ভাবনা এসেছে। দীর্ঘ কয়েক দশকের গবেষণার পরও, এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপ, বহু দূরের এমন কিছু গ্রহের সন্ধান দিয়েছে, যেগুলিতে প্রাণ থাকতেই পারে। তবে, নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বহু দূরে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। তারা এই পৃথিবীতেই মানুষের ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যেই বসবাস করতে পারে। আমরা ভিনগ্রহীদের যেমন কল্পনা করি, এরা তার থেকে আলাদা। এরা অনেকটাই, দেবদূতদের মতো। মানব জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রযুক্তিগত নয়, বরং জাদুকরি। মহাকাশে সৌরজগতের গ্রহ পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথায় প্রাণ রয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। একই সঙ্গে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাস ক...

মাসের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

দিদৃক্ষা ।। রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী

  দিদৃক্ষা রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী 'কাল একবার দেখা হতে পারে?' দশমীর দুপুরে খাটে আধশোয়া হয়ে নিজের ফোনটা ঘাঁটছিল দেবমাল্য; হোয়াট্‌সঅ্যাপের সার্চ বক্সে  র‍্যান্ডম সিক্যুয়েন্সে ক'খানা ডিজিট ইনপুট করতেই বিস্মৃতির অতল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে নামটা স্ক্রিনের সারফেসে ভেসে উঠল, এককালে দেবমাল্যের প্রায়োরিটি লিস্টে সবথেকে ওপরে পিন্‌ করা থাকতো এই অ্যাকাউন্টটা। 'অহনা দাশগুপ্ত'—গ্রেয়েড-আউট ডিপিটার ডানদিকে, নামটার তলায় নিস্প্রভ হরফে ভেসে থাকা ওর এই লাস্ট মেসেজটা বেশ ক'বছরের পুরনো, কিন্তু দেবমাল্যর স্মৃতির প্যান্ডোরা বাক্সটি উলটে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। আরেকবার আপাদমস্তক শিহরিত হয় সে। প্রোফাইলটা খুলে ওপরে-নীচে স্ক্রল্‌ করে দেখে, ওদের পুরনো চ্যাটগুলো তেমনি আড়ষ্ট হয়ে পড়ে আছে, ওর মেসেজগুলোর পাশে ডাবল টিকগুলো এখনও জাজ্বল্যমান সবুজে ছোপানো, যেন এইমাত্র 'সিন্‌' করে রেখেছে অহনা! যেন এখুনি আবার হাত বোলালেই অহনা এসে খানিকটা রাগত ভঙ্গিতে চ্যাট করতে লেগে যাবে। দেবমাল্যের বুক ছাপিয়ে একটা নীরব দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে! ছুটির এই আমেজটা লক্ষ্মীপুজো অব্দি গড়াবে—অফিস খুললেই তো আবার দমফাটা ব্য...

গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম

  গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম হুইসেল (মুরাকামি থেকে অনুপ্রাণিত) ♦ 'গভীর রাতে একটা হুইসেল কতটা গভীর হতে পারে তুমি কল্পনাও করতে পারো না,' ছেলেটা বললো, 'আশ্চর্য ঐ হুইসেলের মতো আমি ভালবাসি তোমাকে।' কিন্তু গভীর রাতে অন্ধকারে কখনও তো ঘুম ভেঙে যায়নি মেয়েটার, কখনও ও বিচ্ছিন্ন আর একা হয়ে যায়নি। ও কীভাবে অনুভব করবে গভীর রাতে ট্রেনের হুইসেল কতটা গভীর! নিউজ এজেন্সি ♦ একসময় আমরা খবর শুনতাম এখন দেখি স্বীকার করতে হবে খবর শোনার চেয়ে দেখার আনন্দ বেশি আলাদা উত্তেজনা নিউজ এজেন্সিগুলো এব্যাপারে তৎপর আর প্রতিযোগিতাপূর্ণ কোনটা নিউজ সেটা ওরাই ঠিক করে যেটা ওদের দরকার আর সেটাই আমাদের দেখানো হয় ধারাবাহিকভাবে সুচারু জ্যামিতিকতায় বিভিন্ন পদ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নতুন বাস্তবতা নির্মাণে যে বাস্তবতায় জায়গা নেই আমাদের ইতিহাস অন্বেষা স্বাধীনতার সমৃদ্ধি আর স্বাধীনতার কথা বলেই ওরা আমার ক্ষেতখামার পাহাড় আর নদীর দখল নিয়েছে তাহলে টিভিতে যে হাসিখুশি প্রাণবন্ত আমাদেরকে দেখানো হয় ওরা কারা এই প্রশ্ন করো নিজের কাছে আগুন নিয়ে খেলা ♦ আজও পুকুরে ছিপ ফেলে বসবো আমি ধীরে চুপ সূর্য আমার ঘাড়ে শ্বাস ফেলবে সারারাত ঘরের ভেতর ল্যাং...

বিদায়ের স্রোত ।। চয়ন মন্ডল

  বিদায়ের স্রোত চয়ন মন্ডল "বিজয়া দশমী—আনন্দের দিন, কারও কাছে যা হয়ে উঠল চিরন্তন বিদায়।" আজ বিজয়া দশমী। শিউলি ফুলের গন্ধে ভোরটা অন্যরকম। পাড়ার প্যান্ডেলে অদ্ভুত এক কোলাহল—মায়ের বিদায় যে আজ। শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাজনা আর উলুধ্বনিতে গমগম করছে চারদিক। একদিকে মা দুর্গার বিদায়ের বেদনা, অন্যদিকে আনন্দ ও মিলনমেলা। সারা বছরের অপেক্ষা শেষে এই দিনটিতে প্যান্ডেল ভরে উঠেছে মানুষের ভিড়ে। সকালের পূজার্চনা শেষ হতেই শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। মহিলারা মায়ের প্রতিমাকে সিঁদুর পরিয়ে একে অপরের কপালে, গালে রাঙিয়ে দিচ্ছেন। ঢাকের তালে আর শাঁখ বাজনার আবেশে ভেসে যাচ্ছে পাড়া। শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। কিন্তু এসবের মধ্যে নেই অনুরাধা। কেউ তার বা মিনির খোঁজ রাখেনি। মুখার্জিদের দোতলা বাড়ির কোণের ঘরে বসে সে চোখের জল ফেলছে। সবার বাড়িতে আলোর রোশনাই, ভোগের গন্ধ, হাসি—শুধু তাদের ঘরটিতে নিস্তব্ধতা। গতবছর এই দিনেই তো অন্যরকম ছিল সবকিছু। অনুরাধা, সুজয় আর তাদের তিন বছরের মেয়ে মিনি পাড়ার প্যান্ডেলে ঢাকের তালে নেচেছিল, সিঁদুর খেলায় রঙে ভেসেছিল। বিকেলের দিকে প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে শামিল ...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

শেষ বিকেলের আলো ।। সৈকত প্রসাদ রায়

  শেষ বিকেলের আলো সৈকত প্রসাদ রায় রানাঘাট শহরের প্রান্তে ছোট্ট এক পাড়া বিশ্বাসপাড়া। সেই পাড়ার পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়িটায় থাকেন পুষ্পরাণী ভট্টাচার্য— বয়স পঁয়ষট্টির কোঠায়। সবাই তাকে "পুষ্পদি" বলেই চেনে। একসময় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেলে পুষ্পদি বারান্দায় বসে চা খান। ছোট একটা টেবিল, কয়েকটা পুরোনো বই, আর একখানা নীল কাঁচের ফুলদানি — তার নিত্যসঙ্গী। বারান্দার সামনেই একটা গলি, যেখান দিয়ে প্রতিদিনই স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা হইচই করে ছুটে যায়। পুষ্পদির একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ — কলকাতায় চাকরি করে। ছেলেটা আধুনিক, নিজের সংসার আছে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত। বছরে হয়তো একবার আসে, তাও কিছুক্ষণ বসে আবার চলে যায়। পুষ্পদি মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু বুকের ভেতরে একটা কষ্ট জমে থাকে। সেই বিকেলটা অন্যরকম ছিল। আকাশে ধুলো, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। হঠাৎ পুষ্পদির চোখে পড়ে — রাস্তায় এক কিশোর বসে আছে। বয়স বারো-তেরোর বেশি নয়। মলিন জামা, পায়ে ছেঁড়া চটি। ছেলেটা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে পুষ্পদির বাড়ির গেটে ঝুলে থাকা পুরোনো নোটিশবোর্ডটার দিকে, যেখানে একসময় লেখা ছিল — "পুষ্পরাণী ভ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...