Skip to main content

Posts

রম্যরচনা ।। ভগবান নিপাত যাক ।। প্রদীপ দে

  ভগবান নিপাত যাক প্রদীপ দে এই যে ভগবান,  তুমি যা বলবে আমি ঠিক তার উল্টোটাই করবো। আমি কানে একেবারেই কম শুনি, একটু চিল্লিয়ে বললে ভাল হয়! --  কি? পাপ দেবে ? --  তা দাও দেওয়ার জন্যই তো তুমি! সকাল বিকাল কতো কি-ই তো চাইছি -  শুনতে পাও না?  তুমিও কি কালা? --  চাইলেই পাবে না ! --  ঢং ! তাহলে কি কাজে আসো তুমি ? --  বিশ্বের সৃষ্টি স্থিতি আর বিনাশ! --  বড় বড় ডায়ালগ আর জ্ঞানের ভাষনে তো বাজার গরম করে দিচ্ছো। কার কতোটা কাজে লাগলো ভেবে দেখেছো ? -- কি বললে, এসব বড় বড় জাগতিক ব্যাপার? --  নিকুচি করেছে জাগতিক ফাগতিক! যার যতটুকু চাহিদা দিয়ে দাও -তোমার অসুবিধার কি আছে? তুমি তো আর মানুষ নয়? ইচ্ছা করলেই তুমি তোমার বিশাল সাম্রাজ্য আর অর্থকোষ কে কাজে লাগাও - আমরা যে ভিখারি হয়ে পড়ছি ক্রমশই। তোমার গায়ের চামড়া কি শুকিয়ে নির্দয় হয়ে গেছে। বাব্বাঃ এত আস্তে কথা বলো - যে মিউমিউ করে, নিজেকে খুবই জ্ঞানী আর মুক্তি দাতাহি  হিসাবে মনে হয়। এত অহংকার ভাল নয়। পতনের কারন। দেখছো না সকলেই তোমাকে আর কেউ পাত্তা দেয় না। --  যে যার ভাগ্যে খায়? সেতো অটোমেটিক মেশিনও কর...

কিশোর অপরাধ : সমৃদ্ধিশালী জাতি গঠনে প্রধান অন্তরায় ।। মেশকাতুন নাহার

কিশোর অপরাধ : সমৃদ্ধিশালী জাতি গঠনে  প্রধান অন্তরায়  মেশকাতুন নাহার  শিল্পবিপ্লবের ফলশ্রুতিতে যেসব নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হয় তারমধ্যে কিশোর অপরাধ অন্যতম। শিল্প বিপ্লবের ফলে দ্রুত শিল্পায়ন ও নগরায়নের বিকাশ ঘটেছে। ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প নির্ভর সমাজব্যবস্থা ভেঙে যান্ত্রিক প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটে। জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রয়োগ ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিপ্লব সংগঠিত হয়। কারখানা শিল্পের ব্যপক বিস্তৃতি লাভ করে। এর ফলে নারী পুরুষ উভয়েরই কারখানায় কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটে। আর সেক্ষেত্রে পরিবারের নির্ভরশীল শিশুরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে শিশু কিশোররা অপরাধে জড়িয়ে যাওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশে বৃদ্ধি পায়। সাধারণত ৭ থেকে ১৬ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীদের দ্বারা সংগঠিত সমাজবিরোধী আচরণকেই কিশোর অপরাধ বলা হয়। শিশু আইন ২০১৩ অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সী শিশু কিশোরদের দ্বারা সংগঠিত অপরাধই হলো কিশোর অপরাধ। অপরাধ বিজ্ঞানী বার্ট বলেছেন "কোনো কিশোর কে তখনই অপরাধী মনে করতে হবে যখন তাঁর অসামাজিক কাজ বা অপরাধের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে"।কিশোর কিশোরীরা সাধারণত আবেগের বশবর্তী হয়ে কিংবা পরিবেশ পরি...

গল্প ।। ঠগ ।। স্তুতি সরকার

   ঠগ স্তুতি সরকার              মিষ্টভাষী ধীর স্থির সুনীল বাবু যেখানে যান খুব জমিয়ে দেন আসর। আশেপাশে অনেক তোসামোদকারী স্তাবক জুটে যায়, এতো ওনার জনপ্রিয়তা। মাত্র কিছুদিন হলো এসেছেন এ পাড়ায় ভাড়াটে হিসাবে, বাবুদের বাড়ীর একতলার এঁদো একটাএক বেডরুমের ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে। অবশ্য একখানা বেডরুমের ঘর বলতে একখানাই শুধু ঘর নয়। ফাউ হিসাবে আছে দু'দিকে দুটো বারান্দা, একটা ছোট বসবার ঘর, রান্নাঘরের সঙ্গে লাগোয়া একচিলতে ডাইনিং রুম, বাথরুম পাইখানা সমেত কম্প্যাক্ট একটা ফ্ল্যাট। তবে বড়ো স্যাঁতস্যাঁতে ফ্ল্যাটটা। কী যেনো একটা ব্যবসা করেন তিনি। এহেন সুলীল বাবুর  পিছনেও আইবুড়ো মেয়েদের বাবা মা রা ফেউ লেগে গেলেন।কারণ তিনি আইবুড়ো। প্রত্যেক আইবুড়ো মেয়ের বাবা মা চাইছেন নিজের মেয়েটিকেগচাতে। আর কি আশ্চর্য, পাড়াতে এতো আইবুড়ো মেয়েও আছে! যাদের নিজেদের মেয়ে নেই, তাদেরও তুতো বোন, বোনঝি, ভাইঝির উত্পাত লেগেই রইলো। সুনীল বাবুর ডিমান্ড তো বেড়েই চলেছে পাত্র হিসেবে। বয়স অবশ্য একটু বেশীই হয়তো। সময়ে বিয়ে হলে চার ছেলের বাপ হয়ে যেতেন...

ছড়া ।। রেলের গাড়ি ।। শীলা সোম

রেলের গাড়ি শীলা সোম কু ঝিক্‌ ঝিক্‌ রেল গাড়ি, দেয় ছুট দূরের পানে, হাওয়ার বেগে যাচ্ছে জোরে, থামছে শুধু ইস্টিশানে। গাছ পালা সব মত্ত হয়ে, চলছে ছুটে, তারই সাথে, মাঠ ভরা ধান, পুকুর, নদী, সব যেন এক খেলায় মাতে। নামছে কেউ, উঠছে কেউ, রয়েছে কেউ ঠায় দাঁড়িয়ে, গান গেয়ে কেউ ভিক্ষা করে, হারমোনিয়াম গলায় নিয়ে। হকাররা সব চেঁচায় সুরে, কত রকম যে তাদের ঢং, ছাই মেখে তীর-ধনুক হাতে, সাজে আবার কেমন সঙ। ঝাঁট দিয়ে সব করছে জড়ো, ট্রেনের ভিতর নোংরা যত, খুঁটে খুঁটেই খাচ্ছে খাবার, উচ্ছিষ্ট যা মনের মত। পালিশ বলে যাচ্ছে ডেকে, বেচছে জিনিস রকমারি, কাঁদছে জোরে, ছেলে যে কার, বসার জন্য হুড়োহুড়ি। ভাব জমিয়ে নিয়েছে কেউ, যেন কত কালের চেনা, তাস খেলছে আপন মনে, নিত্যযাত্রী তারা ক'জনা। তাদের নিয়ে ছুটছে গাড়ি, আলসেমি নেই কক্ষনো,  সময় ধরে কাজ করে সে, নিয়ম মেনে চলছে জেনো।

ছড়া ।। এসেছে শীতের বেলা ।। বদ্রীনাথ পাল

  এসেছে শীতের বেলা বদ্রীনাথ পাল বসিয়ে গাঁদার মেলা- এসেছে শীতের বেলা। হলুদে দিচ্ছে শোভা- সর্ষেও মনোলোভা। খসে যায় শুকনো পাতা- ভরা মাঠ শূন্য খাঁ খাঁ। নলেনের সুবাস ভাসে- উত্তুরে ওই বাতাসে। মা'র হাতে তৈরী পিঠে- সে যে ভাই বড্ড মিঠে। সারাদিন মাতামাতি- মেলা আর চড়ুইভাতি। কুয়াশার চাদর মুড়ি- ডেকে যায় শীতের বুড়ি। "ঢাকা খোল্ সকাল হলো" তা কি হয়, তোমরা বলো ?   -------------------------------    বদ্রীনাথ পাল বাবিরডি, পোস্ট-গৌরাংডি, জেলা-পুরুলিয়া।

ছড়া ।। ফুটবলের রাজপুত্র ।। আনন্দ বক্সী 

ফুটবলের রাজপুত্র  আনন্দ বক্সী  ফুটবল ছিল ধ্যান-জ্ঞান ফুটবল ছিল প্রাণ  ফুটবলের সঙ্গে ছিল তাঁর যে নাড়ীর টান। তাঁর খেলাতে সৃষ্টি হতো তীব্র আকর্ষণ  ফুটবল-শৈলীতে তাঁর ভরতো সবার মন। তাঁর খেলাতে সারা বিশ্ব হয়েছিল একসূত্র  মারাদোনা নামটা যে তাঁর ফুটবল-রাজপুত্র।  আর্জেন্টিনাবাসী তিনি ফুটবল-জাদুকর ফুটবল-দক্ষতায় তিনি বিশ্ব করেন ঘর। ছুতোর মিস্ত্রি পিতা তাঁর দরিদ্র পরিবার। আট ভাইবোন নিয়ে ছিল কষ্টের সংসার।  অনটনের সঙ্গে সদা করতে হতো লড়াই  স্কুলে ভর্তি হলেও তাঁকে ছাড়তে হলো পড়াই। ফুটবলকেই তিনি শেষে ধরলেন যে আঁকড়ে  বদলে গেল জীবন তাঁর নিলো এমন বাঁক রে। পড়ে গেলেন এমন চোখে দেখতে হলো না ফিরে জুহুরীর চোখ চিনে নিলো যে এক আসল হীরে। ক্লাব কিম্বা দেশের হয়ে মাতিয়ে দিলেন খেলে  তাঁর খেলাতে মুগ্ধ হলো প্লাতিনি থেকে পেলে। বার্সালোনা-নাপোলিতে খেলেন তিনি চুটিয়ে ক্লাব-তাঁবু সাজিয়ে দিলেন ট্রফির ফুল ফুটিয়ে। ছিয়াশির বিশ্বকাপের তিনি একক নায়ক প্রতিযোগিতা-সেরার ট্রফি তারই পরিচায়ক। চার-পাঁচজন মিলে তাঁকে ধরলো যতই ঘিরে তবুও তিনি দিলেন পাস সেই রক্ষণ চিরে। তাঁর খেলা...

কবিতা ।। আত্মদণ্ডে নিমগ্ন বালিকা ।। রুদ্র সুশান্ত

  আত্মদণ্ডে নিমগ্ন বালিকা রুদ্র সুশান্ত যে অঙ্গে যৌবন উথলায় বালিকার মার্কিন থলির কাছে-  নিজদ্রোহী বালিকাদের আদৌ সে খবর আছে ! মনের মৈথুনে ঘর পার হতে দিন চলে যায় যার  ষোড়শীর স্তনে থমকে গেছে জীবন, নিশ্চল প্রেমিকার। মনে মনে চলে স্বদলদ্রোহিতা, দেহ শয়নে সঙ্গমে বর্ধিষ্ণু ঊর্ধ্বগামী মিলনের দোলনা, চিৎকার করে কামে। চোখে মুখে লেশ নেই, মনে নির্বোধ রতি- প্রকৃতি জাগে, না না করে ইতি। নিশির নিদ্রা ভাঙ্গে, আলিঙ্গনের সুখ মনে জাগে খুব-  পাঁচ থেকে সাত - এই দণ্ডে ক্লান্ত হয় বিষুব।  মন জাগে দেহ জাগে - খুলে দাঁড়ায় দুয়ার চাষার আহবানে নিতান্ত আসে যদি জোয়ার। ============ রুদ্র সুশান্ত বালুঘাট, ঢাকা।

কবিতা ।। জেতার আসক্তি ।। দেবযানী পাল

  জেতার আসক্তি দেবযানী পাল সব সরে যাও ভুঁইফোড় সস্তা দুঃখ যাকিছু পথের কাঁটা উপড়ে ফেলে সামনে তাকাই ফিকে রঙে লাগছে নতুন ছোঁয়া ধীরে ধীরে এবার রাঙা পা ফেলি আগামীর পিছু পিছু। দেখো, ওই কাঠবেড়ালি ঘুরছে কেমন গাছে গাছে ওরাই ধন্য পৃথিবীর প্রকৃতিতে, মগ্ন আপনিতে খেলে বেড়ায় সরল মনে,জটিলতা শূন্য হয়ে সহজ কত ওদের জীবন, দুঃখের না আড়াল আছে। জানা নেই আগামীর সুখ কোন্ বেড়াজালে শুয়ে অতীত থেকে লম্বা পথে অনেকটা সময়ের চিরকুট শুকনো ক্ষেতে শস্য ভরে আছে সোনালী রঙ নিয়ে এমনটা তো হতেই পারে, ভরা স্বপ্নের ধান রুয়ে । নীড়ভাঙা ক্লান্ত পাখি চেয়ে থাকে আকাশের কোণে প্রশ্ন আছে,তবু ভাষা যেন পায় না স্থবির মুখখানি নির্বাক ইতিহাস গড়ে দিগন্ত জুড়ে নির্লিপ্ততা উচ্ছল পৃথিবীর গলায় সেই নতুনের ডাক শোনে। হারতে চাইনা একটুও, তীব্র আসক্তি জেতায় খুঁড়ে চলেছি বালিয়াড়ি দিনরাত নির্লজ্জতায় এত চেষ্টা দমিয়ে রাখা মুঠো জোনাকী আশায় চাহিদার সম্মানটুকু সঞ্চিত ভরে আছে যেথায়। নতুনের আগামীতে ভরে যাবে শেষ ইচ্ছের কথা সুস্থ জীবনের দিকে চাইবো দূর নিহারিকা পথে স্বপ্ন মেদুর উজ্জ্বল সুদূর আনন্দের বার্তা দেবে ইতিহাস বাঁচুক সারমর্মে - ...

কবিতা ।। অন্বেষণে ।। অঙ্কিতা মজুমদার

  অন্বেষণে  অঙ্কিতা মজুমদার একটা জীবনমুখী গল্পগাথা, সেই গল্পের পাতা খুলে পড়েছিল এক ঝাপসা রাত্রির কাঁচে। ছেলেটি, ছুটতে.... ছুটতে.... কলকাতা,বরানগর,হাওড়ার - ওলিতে - গলিতে, প্রত্যহ নিয়ন্ত্রণ পায় চোখ থামা অশ্রুর। হাত ভর্তি জ্ঞানের সার্টিফিকেট আর ঝোলা ভর্তি বই, সব ছড়ানো ওর মণিকোঠায়.... দুশ্চিন্তা,সংসার,দায়িত্ব। দুঃখের কালরাত্রি তাকে ডেকে আনে সম্মুখে; বেসামাল পদচিহ্ন,ক্লান্তি জড়ানো দেহ করে তোলে এক নিরেট পাথরের স্তূপ। নির্বিকার প্রতিবাদ দীর্ঘশ্ব‌াসে সাড়া ফেলে, অগ্নুৎপাতে বেরিয়ে আসে জ্ঞানের দেহাবশেষ। জ্বলতে থাকে দাউ দাউ আগুনে; তখনও খুঁজে ফেরে.... একটা কাজের ঠিকানা।।   =================  অঙ্কিতা মজুমদার গ্রাম +পোস্ট - চকদিঘী পিন -৭১৩৪০৪

ছড়া ।।  বই পড়ো জীবন গড়ো ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল

 বই পড়ো জীবন গড়ো রঞ্জন কুমার মণ্ডল করো কেন হই চই সবে মিলে পড়ো বই । জীবন কে দেয় গড়ে বড়ো হও বই পড়ে। বই পড়ো খুশি মনে ভালো বই জেনে শুনে। সাথী হলে ভালো বই বড়ো হ'বার পাবে মই। বই পড়ো ফল পাবে জ্ঞান চক্ষু খুলে যাবে। বই চোখে আনে আলো ঘুচে যায় যত কালো। জ্ঞানী গুণী জন যারা বই পড়ে লেখে তারা। ধ্যান হলে বই পড়া হবে শুরু জীবন গড়া। বই পড়ো পাবে দিশা পূর্ণ হবে মনো আশা। বই ছাড়া গতি নাই সদা বই পড়ো তাই। ============== রঞ্জন কুমার মণ্ডল সারাঙ্গাবাদ,মহেশতলা ওয়ার্ড নং-৩৫(মহেশতলা) জেলা -দক্ষিন ২৪ পরগণা।

কবিতা ।। সময়কে ভালোবাসি ।। পূজা সিংহ রায়

  সময়কে ভালোবাসি   পূজা সিংহ রায় হয়তো আমার মধ্যে অনেক খামতি, এই কমতি দিয়েই সন্তুষ্টির নীড় গড়ে পূর্ণতার মহোৎসব করি। অন্ধকারে আর ভয় পাই না, জোনাকিরা যে একলা ছাড়ে না। বস্তুগত অধিকত্বের চাওয়া পাওয়া গুলো কে পুঁটলিতে পুরে হারিয়ে দিয়েছি। অন্ধকার ঘরে খুঁজতে থাকা অজানা প্রশ্নোত্তরের উপর আলোকপাত করে, সময় কত অজানা সমীকরণের সমাধান পথ জানিয়ে দেয়। সময়ই প্রতি রাতে শান্তির অ্যারোমায় ঘুম পাড়িয়ে দেয়, সময়কেই ভালোবেসেছি, নিরবচ্ছিন্ন সঙ্গী সবার। কানে কানে আশ্বাস ও মন্ত্রণা দিয়ে যায় শান্ত থেকে সময়ের স্রোতে ভেসে চলার। খেয়া কোন তীরে নোঙর বাঁধবে, তা নাকি সময় জানে। রক্ষাকর্তা হয়ে দায়িত্ব নিয়েছে, ডুবতে দেবে না কোনো এলোপাতাড়ি বানে। বেশ তো তবে সে পথেই ভাসুক তরী, গন্তব্যস্থলে যাত্রাপথের বৈচিত্র্যময় দৃশ্য গুলো উপভোগ করি। তুমি এই খেয়া নীড়ে আসলে তোমারও হয়তো ভালো লাগতো, নীরবতা তুমিও তো বেশ পছন্দ করো। আর আতিথেয়তা, যত্ন আত্তি.. তুমি তো আমার বর্ণমালার সবটা জানো।  =============== পূজা সিংহ রায় বোলপুর, বীরভূম 

কবিতা ।। স্বার্থ ।। অশোক দাশ

স্বার্থ অশোক দাশ স্বার্থের পৃথিবীতে বহুরূপী বদলায় রং ঔদ্ধত্য অহং প্রকট, বৃহতের আস্ফালন ক্ষুদ্র পদানত। স্বার্থের স্বপ্নে বিভেদ বিস্ফোরণ বিভেদ ভাঙ্গে ঐক্য  লোভের যুপকাষ্ঠে অকাল বলিদান, ভালোবাসা ঘৃণ্য  পণ্য মান- সম্মান। ভোগের স্বার্থে মেকি ভালোবাসা ভালোবাসায় শকুনের লোলুপদৃষ্টি                      নেই অমৃত সুধা বৃষ্টি। যৌবন মুঠোফোনের নেশায় মত্ত বাঁচার এখন একমাত্র স্বত্ত্ব। ভাবনায় আনো নতুন কৃষ্টি যাক রসাতলে অমূল্য সৃষ্টি। স্বার্থের দাসত্বে বন্দী ফেরারি মন সরল অংক জটিল জ্যামিতিক প্যাঁচে আবদ্ধ। ভাঙো  দেশ ভাঙো প্রদেশ দ্বন্দ্ব সংঘাতে চূর্ণ বিচূর্ণ হোক মানুষের সহজাত  প্রবৃত্তি স্নেহ -প্রেম -মায়া -মমতা। সুনাম -অর্থ -যশ -ভোগ- ত্যাগ  সবেতেই লুকিয়ে আছে স্বার্থ। নিঃস্বার্থ শুধু আভিধানিক শব্দ অলঙ্কার।   ==============    অশোক দাশ ভোজান, রসপুর ,হাওড়া।।

কবিতা ।। বিষণ্ণ সন্ধ্যায় ।। প্রবোধ কুমার মৃধা

  বিষণ্ণ সন্ধ্যায়  প্রবোধ কুমার মৃধা ছায়া-ঘন পল্লী 'পরে  সন্ধ্যা নামিছে ধীরে -             দিকে দিকে বেজে ওঠে শাঁখ । রাত-চরা পশু পাখি হেথা-হোথা দেয় উঁকি-             ঝোপে-ঝাড়ে জোনাকির ঝাঁক । পশ্চিম দিগন্তু -ভালে সহসা উঠিল জ্বলে-               সাঁঝের -প্রদীপ সন্ধ্যাতারা । ত্বরিতে চরণ ফেলে গৃহপানে ফিরে চলে -               দূরের পথিক ছিল যারা । গোঠে ফিরে এল ধেনু উড়ায়ে পথের রেণু-               কুলায়ে ফিরিল পক্ষীকুল । ফিরিল না মা যে আর বুকে বাজে হাহাকার-               বারে বারে হয়ে যায় ভুল ।   ================= প্রবোধ কুমার মৃধা, গাববেড়িয়া, পোঃ ঢোষা‌, জয়নগর‌, দঃ ২৪ পরগণা  

কবিতা ।। মিথ্যে শহর ও অকৃত্রিম হাসি ।। রাজাদিত্য

  মিথ্যে শহর ও অকৃত্রিম হাসি রাজাদিত্য   হারিয়ে যাওয়া ছোটবেলার মতোই, হারিয়ে গেছে অম্লান হাসি ,  মেঘ জমেছে বুকের ভিতর অন্তর হয়েছে ক্ষয়িষ্ণু ,  তবু দিনের শেষে চাই একটু বাতাস, বাঙালির আড্ডা আর, ঠোঁটের কোণে বক্রতা ।  নেশা লাগুক অকৃত্রিম ছোঁয়ায় ,  গালের গোটায় ফুঁটুক ভালোবাসা ।  মিথ্যেমাখা রক্ত খেকো শহর, লুকিয়ে দেখুক মুক্ত হাসির, প্রাণখোলা স্নিগ্ধতা ...

কবিতা ।। সর্বহারার স্বার্থ চুরি ।। হারান চন্দ্র মিস্ত্রী

সর্বহারার স্বার্থ চুরি     হারান চন্দ্র মিস্ত্রী                ভানুমতীর খেলা চলছে জগৎ জুড়ে।   একই লোক একই পথে যায়-আসে অনন্তর  যন্ত্রের মতো।   নেই তার অগ্র-পশ্চাতগতি।   তাদের সমগতিতে চলতেই হবে   এক শ্রেণীর মানুষের অভিলাষ পূরণের জন্যে।   তাদের সুখের দায়ভার নিরন্ন মনুষের হাতে।  এদের বিশ্রামের সুযোগ থাকতে নেই-  থাকে নাও।   এরা সর্বহারা বলে পরিচিত জগতে।   স্বার্থ চুরি করে ওরা অর্থের পাহাড় গড়ে, ওরা সম্মান পায় পীরের মতন।   দেশটা তাদের হাতে পড়ে সংকটাপন্ন।  লোভ আর স্বার্থের টানে   তলানিতে এসে ঠেকেছে বিপন্ন মানবতা।   হানাহানি আর টানাটানি করে   ছিনিয়ে নিয়েছে সর্বহারার স্বার্থ।   আম খেয়ে আঁটিও চুষে ছেড়ে দেয় এরা- পীপিলীকাও অভুক্ত থাকে।     সর্বহারার সুখ চুরি করে স্বার্থচোরের উদরপূর্তি হয়। __________     হারান চন্দ্র মিস্ত্রী গ্রাম ও পো- আমতলা, থানা-ক্যানিং, জেলা-দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পশ্...

কবিতা ।। গাঁয়ের উপকণ্ঠে ।। গোপা সোম

  গাঁয়ের উপকণ্ঠে গোপা সোম যাচ্ছে দেখা দূরে ওই, ছোট্ট এক খানি গাঁ,  স্বল্প পরিসরে জমি, নিয়ে কয়েক বিঘা। গাঁয়ের উপকণ্ঠে আছে বিশাল পুষ্করিণী, গাঁয়ের যত মানুষ, সবে, তার কাছে ঋণী। ঘাট গুলি বাঁধানো , সুন্দর তার সোপান, শান্ত জলে মুগ্ধ, পাই গভীর এক টান। স্বচ্ছ, পরিষ্কার জল তার, করে টলটল, তরঙ্গায়িত জলস্তর, বাতাস পরিমল।   সেই পুষ্করিণীতে হয় হরেক মাছের চাষ, এছাড়া, কিছু জলজ প্রাণীর আছে এতে বাস।  সাঁতার কাটে কাতলা, মৃগেল, জলে তরতাজা শোল আছে, রুই মাছ আছে, মাছেদেরই রাজা। ছিপ নিয়ে মাছ ধরে কেউ, সারা দিনমান ধরে, টোপ বানায় মাছের তরে, অনেক যতন করে। মাঝে মধ্যেই জেলেরা, পুকুরে ফেলে জাল,  টাটকা তাজা মাছগুলি, হয় যে নাকাল। গাঁয়ের মানুষ, সুলভে পায় পুষ্টির উপাদান, বাড়তি মাছ গুলি সকল বাজারে হয় চালান। স্নান করা, বাসন মাজা, নিষেধ আছে সেথা, গ্রামবাসীরা পালন করে সাধ্যমত যথা।  মাঝে মাঝে মাছরাঙা পাখি দেয় জলে ডুব, মাছ মুখে নিয়ে উঠে আসে, আনন্দিত খুব। বক ধার্মিক, আশায় থাকে, মাছের প্রতীক্ষায়, মাছের দেখা মিললে পরে, ছোঁ মেরে নিয়ে যায়। পুষ্করিণী ঐ গাঁয়ের মানুষের অনেক আশা-ভরসা, শান্ত, সুনিবিড় ছায়া...

ছড়া ।। মানবতার গান ।। খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায়

  মানবতার গান খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায় ঋতুচক্রের আবর্তনে  শীত এসেছে ভাই, গরীব দুখীর কষ্ট ভীষণ  গরম পোশাক নাই । রবির কিরণ গায়ে মেখে  কাটে সারাদিন, সন্ধ্যা বেলায় কাঁপা শুধুই  কুটোর কাছে ঋণ । খড়কুটোতে আগুন জ্বালায়  শরীরে নেয় তাপ, গরীব ঘরে জন্ম নেওয়া  তাদের কোথায় পাপ? খিদের জ্বালা সাথী তাদের দোসর হলো শীত, এই ছবিটা গাঁ শহরে  নড়ায় না কি ভিত? পারবে যাঁরা এসো না ভাই  করো বস্ত্রদান, সবাই মিলে একসুরে গাই  মানবতার গান ।   ============ খগপতি বন্দ্যোপাধ্যায় বাঁকুড়া ,পশ্চিমবঙ্গ ,ভারত 

ছড়া ।। শীতের ছুটিতে ।। দীপক পাল

    শীতের ছুটিতে        দীপক পাল   সন্ধ্যে থেকেই বাবু সোনা মন দিয়েছে পড়ার   পণ করেছে আজ রাতেই হোমটাস্কটা শেষ করার।   কাল শনিবার পরশু রবি দুদিনেই স্কুল ছুটি,   সোনামনির আসার কথা কালকে মোটামুটি।   পিসেমশাই বলেছিলেন কাল দেখাবেন সার্কাস   শীতের দুপুর জমবে ভারী সিংহ হলে প্রকাশ।   সোনামনির পাশে বসে ক্লাউন দেখতে মজা   হাসতে হাসতে সবার মন যে হবেরে তরতাজা।   সোনারা যেই অবাক হবে ট্রাপিজের খেল দেখতে   কেক মিষ্টি দেবেন রে মা ওই সোনাদের হস্তে   সবার শেষে ভয় লাগে ভাই বাঘ সিংহের খেলায়   বাবা বলেন ভয় নেই রে ফিরবে ওরা খাঁচায়।   চায়ে চুমুক দিয়ে বাবা হাঁকেন ' বাবু সোনামনি '   চিড়িয়াখানায় যাবোরে কাল শোন তবে এক্ষুনি।   আনন্দেতে নেচে ওঠে বাবু  সোনা মণি,   তাইনা দেখে হেসে ওঠেন মা আর পিশিমনি।   এক শিম্পাঞ্জি ডিগবাজি খায় আর একজনা গাছে   কখনো সে সিগার ধরায় চেয়ে কারও কাছে।   ঘুরে দেখে জেব্রা জিরাফ সাদা বাঘের খাঁচায়,   বোঁটকা গন্ধে টেকা যে দায় তারাতা...

কবিতা ।। আমার একজন লোক চাই ।। সাইফুল ইসলাম

  আমার একজন লোক চাই সাইফুল ইসলাম  আমার একজন লোক চাই এমন মানুষ কোথায় পাই? যে আমারে কথায় কথায় হাসি ভুলিয়ে কেবল কাঁদায়। চোখের জলে নদী হয়ে কুলুকুলু যাবে বয়ে। লাগায় আগুন মনের বনে ধিকিধিকি জ্বলে ক্ষণে।  রক্ত-মাংসের শরীরখানা ছিন্নভিন্ন সবার জানা। যে জন আমায় অহোরাত্র  জ্বালায় পোড়ায় স্বর্ণগাত্র। গ্রাম-শহরে খুঁজি তারে মাঠে-ঘাটে ঝোপে ঝাড়ে। বলো না তারে কোথায় পাই আমার একটি কবিতা চাই। দূঃখ ব্যথা থাকলে পাশে কবিতা আসে অনায়াসে। ----------------------------     সাইফুল ইসলাম  গ্রাম-বর্দ্ধনপাড়া ডাকঘর-পঞ্চহর  জেলা-বীরভূম  পিন-৭৩১২২১ 

ছড়া ।। রঞ্জনদা ।। দিলীপ কুমার মধু

  রঞ্জনদা দিলীপ কুমার মধু আমার পাড়ার রঞ্জনদা সুখরঞ্জন নাম বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ তার সকল কাম, নারকেল গাছের মাথায় উঠে ডাব থেকে জল খায়  ফুটো  ফাটা হয়না তবু ডাব , ডাবের জায়গা রয়, ভরা বর্ষায় হেঁটে বেড়ায় জল লাগে না গায়ে ছাতা মাথায় নেইকো তবু জল লাগেনা পায়ে, আজগুবি সব গল্প শোনায় মানতে পারা দায় যে শুনবে সে বলবে হায়, রামরাম হায় ! হঠাৎ হঠাৎ বুদ্ধি এসে মাথায় হাজির হয় বললে বলে- হয়তো ভাই মাথার C.P.Uতে রয়, এমন বানিয়ে এমন গুছিয়ে কল্প গল্প বলবে রঞ্জনদা জিও জিও এটা, অনন্তকাল চলবে।   ------   দিলীপ কুমার মধু, মেমারি, পূর্ব বর্ধমান। 

কবিতা ।। নাড়ুগোপাল ।। সবুজ জানা

  নাড়ুগোপাল সবুজ জানা নাড়ুগোপাল! হেয়ালিটা কানাকানি তা বিলক্ষণ আমি জানি। আমার জীবনীটা পড়। ডিজিটাল প্রতিবাদ ও তোতাকাহিনি। আমার ফেয়ারীটেল মুভমেন্ট পাড়ার মোড়ের চায়ের ঠেকে নেহাত না'হয় হাঁটতে রাজি নিরাপদ দূরত্ব রেখে  শেয়ালের সুরে স্লোগান তুলি ভীড় ঘ‍্যাঁষে হুক্কাহুয়া  চললে গুলি তোমার রক্ত আনুক স্বাধীনতা পূণ্যতোয়া... যদি এই নাড়ু শেয়ানের কথাই অনুসরণীয় ধরো  অযথা এই বলিদান কিংবা রাজপথ থেকে জেলভরো  তার চেয়ে এঁদোগলির অন্ধকারে গাঢাকতে বেশ রাজি ভাবতে পার তোমরা হাড়হাভাতে, বজ্জাত কিংবা পাজি! আবার কোনো সার্ভেকার, সুযোগ বুঝে উঁকি দেবো সেলুলারের ফলক ঘেঁটে-'ঘ' নিজের নামটা লিখিয়ে নেবো।                                                                              ============== সবুজ জানা পাঁশকুড়া পূর্বমেদিনীপুর

কবিতা ।। দহন ।। পশুপতি দত্ত 

      দহন   পশুপতি দত্ত  স্মৃতির অতলে ডুব দিয়ে দেখি কত যে রঙিন স্বপ্ন, সজীব যেন সবই আজ তাতে মন হতে চাই মগ্ন। কত ছিল সুখ, ছিল কত আশা ছিল না তার কোন পরিভাষা, উচ্ছ্বাসে প্রাণ ভাসিত জোয়ারে সৃষ্টিতে ছিল নব আশা। দিবারাতি সে তো আসিত স্বপনে সব হেরে আজ পুড়ছি দহনে, তার বিরহে বুক ফেটে যায় সে তো আজ কারও মননে।   ===================    Pasupati Dutta Vill - Bonbiddi (Asansol) P.O - Basudevpur -Jemari P.S - Salanpur,  Dist - Paschim Bardhaman,  PIN - 713335.

কবিতা ।। ইচ্ছের মৃত্যু ।। মেশকাতুন নাহার

  ইচ্ছের মৃত্যু  মেশকাতুন নাহার প্রতিদিন কত ইচ্ছেরা নীল প্রজাপতির মতো পাখা মেলে উড়ে বেড়ায়, ফুলে ফুলে গাছে গাছে,পুলকিত হয়ে আবেশ ছড়ায়।  প্রস্ফুটিত হওয়ার আগেই কলি টা কখনো ঝরে যায়!  ইচ্ছে গুলোর মৃত্যু হয় প্রতিনিয়ত নানান প্রতিকূলতায়  পিষ্ট আহত প্রজাপতি মন কখনো তাঁর ডানা হারায়! স্বাধীন ভাবে উড়ে চলার  ইচ্ছে গুলো দূর অজানায় অদৃশ্যে গিয়ে মিলায়। কখনো ইচ্ছে করে গিরির পথ বেয়ে হারিয়ে যাই ঐ সুদূর নীলিমায়,  মনের অন্তরীক্ষে সপ্তরঙের পাখা মেলে  ইচ্ছেগুলো দোলে হাওয়ায়,  আকস্মিক দুর্বিষহ ঝটিকা বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত হয়ে ইচ্ছে ডানাগুলো খোয়ায়, অভিলাষ গুলো বিবর্ণতায় জরাগ্রস্ত হয় মর্মান্তিক যন্ত্রণায়। হৃদয় উদ্যানে স্বপ্নের বীজ রোপণ করেছি বারেবারে,  অঙ্কুরিত হওয়ার আগেই দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছে অজ্ঞাতসারে। সহস্রবার রঙ তুলির আঁচড়ে এঁকেছি ছবি ভাবনার ক্যানভাসে,  সম্মুখে উন্মেষিত হয়নি কখনো অন্তর্ধান হয়েছে দীর্ঘশ্বাসে। পূর্ণিমা রজনীতে কত যে বিনিদ্র কাটিয়েছি শূন্যতা নিয়ে,  স্পৃহা সমূহ ভস্মীভূত হয়েছে যাতনা ভরা প্রদাহের অনল জ্বালিয়ে,  প্রাণচঞ্চল মনকে শান্ত করেছি ইচ্ছ...

কবিতা ।। অনুভবে পাই ।। মীরা রায়

  অনুভবে পাই মীরা রায় সব কিছু দেখে বুঝা যায় না অনুভবে পাওয়া যায় যেমন শীত গ্রীষ্ম বর্ষা দেখা যায় না অনুভবে ও বুঝায়। দুঃখ ক্ষোভ কষ্ট নিজের অনুভূতি একান্ত ই নিজের কাউকে বলার দরকার পড়ে না নেই কোনো খোঁজের। ভালোবাসা সে ও তো অনুভূতি সুখ ও তাই সবকিছু ই অনুভব, অনুভূতি ওতেই সব পাই। শোক তাপ, রোগ, ব্যথা  সবই অনুভূতির ব্যাপার শান্তি অশান্তি তাও নিজের মধ্যে থাকে সবার।   ========= মীরা রায় আঁকড়ি, শ্রীরামপুর, পুরশুড়া, হুগলি।

কবিতা ।। ভালোবাসি বলে দিও ।। বলরাম বিশ্বাস

  ভালোবাসি বলে দিও বলরাম বিশ্বাস তুমি ক‍্যামন আইছো জানিনাই তবু এচিঠি তুমার আগমণী বার্তার দুত পাশবালিশে মুখলুকাইয়া কাঁদলাম মন ঘামের ঘনত্ব কমিগেচে একন একনজর তাকাইয়া ভুরু দিলে মুড়ে দুপুরে দুঃখ আসে হাতকতক ঘুরে আচ লেগেচে তাই শীত গেচি ভুলে অভ‍্যন্তর কাঁদচে কতক খেয়েচি গোলামাটি গুলে। হাসচে চোখ কাঁদচে মন তুমি আচ সেআগের মতন? এসো সব ভুলে। জট বেধেচে চুলে। চাড়িয়ে দাও হাত।। ভালোবাসা হবে কাচাকাচি শুলে।।। গরীবের ভালোবাসা ফিরিয়ে দেবে জানি তবু পাটালাম এ দুত তুমি থেকে কারো মনে যুত আমি এবার হব অদ্ভুত।।।।

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

রেজাল্ট ।। সৈকত মাজী

রেজাল্ট সৈকত মাজী শুভ্রাংশু বিছানতে শুয়ে শুয়ে বিরক্ত হয়ে উঠল। মনে মনে নিজের শরীরটাকে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিলো দু- চারটে কথা, দেবে নাই বা কেন, কয়দিন ধরে এতো কাঠ খড় পুড়িয়ে সব বন্ধুরা মিলে রথটা বানালো, কত কি প্ল্যান করলো, আর এই শরীরটার জন্যই তো সব ভেস্তে গেলো। মনে মনে ভাবলো একটা যা হোক শরীর হয়েছে ওর প্রতি মাসে তিন - চার বার করে জ্বর হচ্ছেই। হবি তো হ আর একটা দিন পরে হলে কি এমন ক্ষতি হতো, এই রথের দিনেই হতে হলো। ওর বিরক্তিটা বেড়ে গেলো আরো কয়েক ঘর।    " মা ও মা...মাআআআআ...." জোরে হাঁক  দিলো শুভ্রাংশু।    " কি হয়েছে বাবু? আবার জ্বরটা বেড়েছে? মাথা ব্যথা করছে?" ব্যস্ত হয়ে উঠলেন মালতিদেবী।     " ওসব কিছু নয়, ও মা বলছি এখন তো খুব কম জ্বর আছে যাই না মা একবার বাইরে, সবাই কতো ফুর্তি করছে বলো"  কাতর ভাবে বলল শুভ্রাংশু।      " না বাবু, এখনই আমরা ডাক্তারের কাছে যাব, বাবা তৈরী হয়ে গেছেন, আমরা বিকেলে তখন মেলা দেখতে যাব কেমন, এখন উঠে জামা কাপড় পরে নাও"  মালতিদেবী জামা কাপড় গুলো এগিয়ে দিলেন।      শুভ্রাংশু...

রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি

রাই আর বাবা অদিতি চ্যাটার্জি রাই-র জীবনে বেশ কিছু ভালো লাগা আছে তার মধ্যে একটা হলো সন্ধ্যার সময় তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখতে দেখতে কফি কাপে চুমুক দেওয়া ।" আজ যশোদা মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে বেশ ভিড়,নির্ঘাত 'তেলে ভাজা ' প্রেমীরা।" আপন মনেই ভাবে ও, কিন্তু বসার ঘরে সুমন আর আঁখি এতো জোরে 'হল্লা গোল্লা ' করছে তালতলার জমজমাট রাস্তার দিকে আর মন দিতে পারছে না রাই।  পায়ে পায়ে ঘরে এসে দাঁড়ায় রাই, দেখে ক্লাস ফোরের মেয়ে এতোটা ঝগড়া করছে সুমনের সাথে , "বাপ রে, কবে এতোটা কথা শিখলো মেয়ে! কিভাবে কথা বলছে?? কোঁকড়া চুল ঝাঁঝিয়ে,গোলগাল হাত নেড়ে " ...মেয়ে কে দেখে থতমত খেয়ে যায় রাই। এদিকে আঁখি বলছে, "ধুত্ বাপী তুমি কিচ্ছু পারো না, তুতাই-র বাবা, পিসাই, মামু সবাই কত ভালো করে খেলতে পারে , না আমি তোমার সাথে খেলবো না।" কাতর চোখে মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে সুমন বলে ,"আচ্ছা তুই আমাকে শেখা, দ্যাখ আমি কার জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে পনেরো দিন পর পর কলকাতায় আসি বল!"  ঐ টুকু মেয়ে কথা প্রায় না শুনেই ঘরে চলে গেল রাই-র চোখের সামনে, সুমন একবার হেসে বাথরুমের দিকে এগো...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী

বস্তু, চেতনা এবং  কবি সজল চক্রবর্তী  "যেখানে পৌঁছায় না রবি,, সেখানে পৌঁছে যান কবি।" এই ছোট্ট কবিতা টি অনেক পুরনো  এবং বহু পরিচিত, তথাপি এর তাৎপর্য এখনো হারায় নি। তবে, কথা হ'চ্ছে -আমরা তো  রবি-কবিকে একত্রেই পেয়ে যাই আমাদের ঋষি-প্রতিম কবি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে। আর তখনই জেনে যাই উপরোক্ত ছোট কবিতার প্রণিধানযোগ্যতা ।  ... এবার শুনে নেয়া যাক, ঋষি-প্রতিম কবির মুখ নিঃসৃত বাণী:- "তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি যাই ...." অর্থাৎ আমাদের প্রিয়তম কবি অনায়াসে পৌঁছে যান সৃষ্টির অসীমে , যা আমাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। এখানে কবির চেতনা সুদূর প্রসারী! ... প্রকৃত প্রস্তাবে কবি অতিন্দ্রীয় জগতের এক নাগরিক। তাঁর কাছে তাই চেতনা বা চৈতন্যেরই প্রাধান্য। ...এখন আসছি, বস্তু এবং চেতনার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে।  ... আমি একজন অতি সাধারন মানুষ, তাই এই ব্যাপারটাকে কবিদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা ক'রছি। তবে আমার সামান্য জ্ঞান থেকে একটা সাধারণ কথা সেরে নি'। আমরা সাধারণত ব'লে থাকি-- সূর্য পূর্বদিকে ওঠে। প্রকৃত অর্থে কি তাই ? আসলে সূর্য যেদিকে ওঠে ,আমরা  সেই দিকটাকে নামাঙ্কিত ক...

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদি ।। অরবিন্দ পুরকাইত

স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি  (পর্ব—সাত) অরবিন্দ পুরকাইত স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদির সংগ্রহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকায়, ২০১৬ সালে। সে সংগ্রহ যায় নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে, ১৪২৩ সনে। পরে এই ব্লগজিনেও কিছু সংগ্রহ প্রকাশিত হয় ১৪২৮ সনের আশ্বিন মাসে, পৌষ ১৪২৯-এ, আষাঢ় ১৪৩০, নববর্ষ ১৪৩১ ও কার্তিক ১৪৩১ সংখ্যায়। তার পরেও ধীরে ধীরে আরও কিছু সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলিই এখানে রাখা হল। নিজের আগের সংগ্রহে এসে-যাওয়া শব্দ যদি এখানে এসে থাকে, তা বাড়তি বা ভিন্ন কিছু বলার প্রয়োজনেই। নিজের আগের সংগ্রহ খুব ভাল করে যে মিলিয়েছি তা নয়, পুরো সংগ্রহ একত্র করার সময় তা করা যাবে যতটা সম্ভব নিখুঁত করে। আগে আগে সংগ্রহ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা হয়েছে, বিশেষত প্রথম প্রকাশের সময় একটু বিশদভাবে। এখানে আর কিছু বলা নয়, কেবল সংগ্রহটাই তুলে ধরা গেল। অখেজো/অখেজে — অকেজো থেকে। আদরের তিরস্কার হিসাবেই মূলত প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পাজি। অচিমিতি — (উচ্চারণ ওচিমিতি) আচমকা, হঠাৎ। অদীয় — প্রচুর, অজস্র। অদ্বিতীয় থেকে ক...

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায়

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত রণেশ রায় ভূমিকা দর্শনের ইতিহাসে বস্তু ও চেতনার সম্পর্ক মানবচিন্তার গভীরতম প্রশ্ন। অধিবিদ্যা ভাবকে মুখ্য ধরে, বস্তুকে গৌণ বলে মনে করে। বিপরীতে মার্কস ও এঙ্গেলস বলেছেন—বস্তুই মুখ্য এবং চেতনা তার প্রতিবিম্ব। মানুষ যখন প্রথম আলোর মুখ দেখেছিল, তখনই সে বিস্ময়ে প্রশ্ন করেছিল—আমি কে, কোথা থেকে এলাম, আর এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে কিছু আছে কি? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নিয়েছিল দর্শনের দুই বিপরীত স্রোত—ভাববাদ আর বস্তুবাদ। ভাববাদ বলেছিল—"ভাবই প্রথম," আর মার্কস বললেন—"না, বস্তুই প্রথম।" এই দুই প্রান্তের মাঝখানে আমি দেখি এক সেতুবন্ধন, যেখানে বস্তু, স্নায়ু ও চেতনা একে অপরকে গড়ে তোলে, আর তাদের এই ত্রিত্বের নৃত্যেই সৃষ্টি হয় জীবন ও কল্পনার জগৎ। ভাবববাদ এক সর্বশক্তিমান শক্তির কল্পনা করে যা এই বস্তুজগতের স্রষ্টা। আর এখান থেকে ধর্ম ও ধর্মীয় ভাবধারার সৃষ্টি। আমার এই প্রবন্ধে আমি মার্কসীয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আলোকে বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি দেখাবার চেষ্টা করবো কিভাবে ইন্দ্রিয় এবং স্নায়ুজগৎ বস্তু ও চেতনাকে সংযুক্ত করে এবং কল্পলোকের জন্ম দেয়...

চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার

চাঁদে জীবন  শমীক সমাদ্দার                           চন্দ্রযান দুরন্ত তৈরি, রকেটের উপর ভর করে চন্দ্রযান চাঁদে অবতরণ করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পেরিয়ে মহাকাশযান চাঁদের কক্ষপথে  স্থাপন করা হয়েছে। চন্দ্রাযান চাঁদের মাটিতে পা রাখবে সময়ের কাউন্ট ডাউন চলছে। সমস্ত নিয়ন্ত্রণ স্পেসস্কাই গাবেষণা কেন্দ্র কতৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রযুক্তি বিজ্ঞান অতল গভীরতায় বাসা বাঁধে। পরিচয়টা দিয়ে দিলাম এই স্পেসসিপে রয়েছে তিনজন নভোচর, একজনের নাম সাইমন আর এক জনের নাম রেমন্ড, আর এদের সঙ্গে একজন মহিলা আছে তার নাম মেরিনা। চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করেছে। চন্দযান দুরন্ত চাঁদের পূর্ব -পশ্চিম অক্ষরেখা বরাবর অবতরণ করেছে। আলো আঁধারের গভীরতায় বড় বড় পাথরের পিণ্ড, চাঁদের সার্ফেসের উপরে পাথর জল দেখা যায়। জমাট বাঁধা অক্সিজেন আর কার্বনডাই অক্সাইড। ওরা এখানে এসেছে এক রহস্য উদ্ঘাটন করতে। যে স্থানে ওরা অবতরণ করেছে সেখানে ১০ বছর আগে ওরা এসেছিলো। রুশ সরকার ওদের দেশের ছাত্র ছাত্রী কে মহাকাশে চাঁদে পাঠাতে চায়। ওরা কেন এসেছে সেটা এখনো অধরা। সাইমনের বর্...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

বছরের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ৮৬তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পাদকীয় এই সংখ্যাটি বাংলা নববর্ষ বিষয়ক সংখ্যা। নৱৰ্ষকেন্দ্রিক বহু তথ্যপূর্ণ লেখা এই সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস, রীতিনীতি, উৎসব, পার্বন, লোকাচার, রূপান্তর বহুবিধ বিষয় প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যার লেখাগুলিতে। এই সংখ্যার বাছাই কিছু লেখার সঙ্গে আগামীতে আরও কিছু লেখা সংযুক্ত করে বাংলা নববর্ষ বিষয়ক একটি মুদ্রিত সংখ্যা প্রকাশ করার ইচ্ছে রইল।  সকলকে নববর্ষের আন্তরিক শুভকামনা জানাই। উৎসবে আনন্দে থাকুন, হানাহানিতে নয়। ধর্ম-ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে সহনাগরিকের পাশে থাকুন। মনে রাখুন, ধর্মকে মানুষই সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বর আল্লা গড ইত্যাদির জন্মদাতা মানুষই। মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষের পাশে থাকুন।  নিরাশাহরণ নস্কর  সম্পাদক, নবপ্রভাত।  সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা পয়লা বৈশাখ ।। সিদ্ধার্থ সিংহ নববর্ষকেন্দ্রিক মেলা, পার্বন, উত্সব, লোকাচার ।। সবিতা রায় বিশ্বাস নববর্ষ আবাহন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে ।। তুষার ভট্টাচার্য নববর্ষের সেকাল ও একাল ।। হিমাদ্রি শেখর দাস নববর্ষের হাল-হকিকৎ ।। শংকর ব্রহ্ম বোশেখি বাঙালি নাকি পোশাকি বাঙালি? ।। দিব্যেন্দু...

প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান

বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় মাখনলাল প্রধান বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির জগতে যাত্রা শিল্প তথা নাট‍্যশিল্পে মড়ক নেমে এসেছে । যাত্রা শিল্পের মড়কে শুধু কোভিড নয় তার বহুপূর্ব থেকেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় , শিক্ষাক্ষেত্রে বন্ধ‍্যাত্ব এবং গ্ৰাম বাংলার পটপরিবর্তন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। যাত্রা-শিল্পের লীলাভূমি ছিল গ্ৰাম বাংলা। গ্ৰামে প্রচুর যাত্রাপালা হত নানা উৎসবকে কেন্দ্র করে । জমিদারি ব‍্যবস্থা লুপ্ত হওয়ার পর গ্ৰামীণ মানুষের উদ‍্যোগে শীতলা পূজা,  কালীপূজা, দুর্গাপূজা, কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, চড়ক ইত‍্যাদিকে উপলক্ষ‍্য করে যাত্রাপালার আয়োজন না হলে কেমন যেন ম‍্যাড়ম‍্যাড়ে লাগতো। সেই সঙ্গে কলকাতার বড়বড় কোম্পানির যাত্রাপালা ঘটা করে, টিকিট সেল করে হত মাঠে। খুব বড় মাপের খেলার মাঠ যেখানে ছিল না সেখানে ধানের মাঠ নেওয়া হত ‌। ত্রিশ-চল্লিশ হাজার মানুষ দেখতে আসত। স্পেশাল বাস পাঠাত  আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বিনা ভাড়ায় বাসে যাতায়াত করত যাত্রার দর্শকেরা। কিন্তু বিকল্প ধানচাষ শুরু হলে জমিগুলো সময় মতো ফাঁকা পাওয়া গেল না । প্রথম দিকে ব‍্যাপকহারে ধান শুরু না হওয়ায় খুব একটা অসুবিধা হত না। বহুক্ষেত্রে  ধান কা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী

ভিনগ্রহীদের সন্ধানে  শ্যামল হুদাতী  ইতিহাসের শুরু থেকে বারবার মানুষকে একটা প্রশ্ন কুঁড়ে কুঁড়ে খায় – এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? পৃথিবীর মতো আরও গ্রহ রয়েছে, যেখানে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীরা বাস করে – এই সম্ভাবনা বরাবর মানুষকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের কখনও না কখনও এই ভাবনা এসেছে। দীর্ঘ কয়েক দশকের গবেষণার পরও, এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপ, বহু দূরের এমন কিছু গ্রহের সন্ধান দিয়েছে, যেগুলিতে প্রাণ থাকতেই পারে। তবে, নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বহু দূরে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। তারা এই পৃথিবীতেই মানুষের ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যেই বসবাস করতে পারে। আমরা ভিনগ্রহীদের যেমন কল্পনা করি, এরা তার থেকে আলাদা। এরা অনেকটাই, দেবদূতদের মতো। মানব জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রযুক্তিগত নয়, বরং জাদুকরি। মহাকাশে সৌরজগতের গ্রহ পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথায় প্রাণ রয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। একই সঙ্গে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাস ক...

মাসের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

দিদৃক্ষা ।। রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী

  দিদৃক্ষা রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী 'কাল একবার দেখা হতে পারে?' দশমীর দুপুরে খাটে আধশোয়া হয়ে নিজের ফোনটা ঘাঁটছিল দেবমাল্য; হোয়াট্‌সঅ্যাপের সার্চ বক্সে  র‍্যান্ডম সিক্যুয়েন্সে ক'খানা ডিজিট ইনপুট করতেই বিস্মৃতির অতল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে নামটা স্ক্রিনের সারফেসে ভেসে উঠল, এককালে দেবমাল্যের প্রায়োরিটি লিস্টে সবথেকে ওপরে পিন্‌ করা থাকতো এই অ্যাকাউন্টটা। 'অহনা দাশগুপ্ত'—গ্রেয়েড-আউট ডিপিটার ডানদিকে, নামটার তলায় নিস্প্রভ হরফে ভেসে থাকা ওর এই লাস্ট মেসেজটা বেশ ক'বছরের পুরনো, কিন্তু দেবমাল্যর স্মৃতির প্যান্ডোরা বাক্সটি উলটে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। আরেকবার আপাদমস্তক শিহরিত হয় সে। প্রোফাইলটা খুলে ওপরে-নীচে স্ক্রল্‌ করে দেখে, ওদের পুরনো চ্যাটগুলো তেমনি আড়ষ্ট হয়ে পড়ে আছে, ওর মেসেজগুলোর পাশে ডাবল টিকগুলো এখনও জাজ্বল্যমান সবুজে ছোপানো, যেন এইমাত্র 'সিন্‌' করে রেখেছে অহনা! যেন এখুনি আবার হাত বোলালেই অহনা এসে খানিকটা রাগত ভঙ্গিতে চ্যাট করতে লেগে যাবে। দেবমাল্যের বুক ছাপিয়ে একটা নীরব দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে! ছুটির এই আমেজটা লক্ষ্মীপুজো অব্দি গড়াবে—অফিস খুললেই তো আবার দমফাটা ব্য...

গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম

  গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম হুইসেল (মুরাকামি থেকে অনুপ্রাণিত) ♦ 'গভীর রাতে একটা হুইসেল কতটা গভীর হতে পারে তুমি কল্পনাও করতে পারো না,' ছেলেটা বললো, 'আশ্চর্য ঐ হুইসেলের মতো আমি ভালবাসি তোমাকে।' কিন্তু গভীর রাতে অন্ধকারে কখনও তো ঘুম ভেঙে যায়নি মেয়েটার, কখনও ও বিচ্ছিন্ন আর একা হয়ে যায়নি। ও কীভাবে অনুভব করবে গভীর রাতে ট্রেনের হুইসেল কতটা গভীর! নিউজ এজেন্সি ♦ একসময় আমরা খবর শুনতাম এখন দেখি স্বীকার করতে হবে খবর শোনার চেয়ে দেখার আনন্দ বেশি আলাদা উত্তেজনা নিউজ এজেন্সিগুলো এব্যাপারে তৎপর আর প্রতিযোগিতাপূর্ণ কোনটা নিউজ সেটা ওরাই ঠিক করে যেটা ওদের দরকার আর সেটাই আমাদের দেখানো হয় ধারাবাহিকভাবে সুচারু জ্যামিতিকতায় বিভিন্ন পদ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নতুন বাস্তবতা নির্মাণে যে বাস্তবতায় জায়গা নেই আমাদের ইতিহাস অন্বেষা স্বাধীনতার সমৃদ্ধি আর স্বাধীনতার কথা বলেই ওরা আমার ক্ষেতখামার পাহাড় আর নদীর দখল নিয়েছে তাহলে টিভিতে যে হাসিখুশি প্রাণবন্ত আমাদেরকে দেখানো হয় ওরা কারা এই প্রশ্ন করো নিজের কাছে আগুন নিয়ে খেলা ♦ আজও পুকুরে ছিপ ফেলে বসবো আমি ধীরে চুপ সূর্য আমার ঘাড়ে শ্বাস ফেলবে সারারাত ঘরের ভেতর ল্যাং...

বিদায়ের স্রোত ।। চয়ন মন্ডল

  বিদায়ের স্রোত চয়ন মন্ডল "বিজয়া দশমী—আনন্দের দিন, কারও কাছে যা হয়ে উঠল চিরন্তন বিদায়।" আজ বিজয়া দশমী। শিউলি ফুলের গন্ধে ভোরটা অন্যরকম। পাড়ার প্যান্ডেলে অদ্ভুত এক কোলাহল—মায়ের বিদায় যে আজ। শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাজনা আর উলুধ্বনিতে গমগম করছে চারদিক। একদিকে মা দুর্গার বিদায়ের বেদনা, অন্যদিকে আনন্দ ও মিলনমেলা। সারা বছরের অপেক্ষা শেষে এই দিনটিতে প্যান্ডেল ভরে উঠেছে মানুষের ভিড়ে। সকালের পূজার্চনা শেষ হতেই শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। মহিলারা মায়ের প্রতিমাকে সিঁদুর পরিয়ে একে অপরের কপালে, গালে রাঙিয়ে দিচ্ছেন। ঢাকের তালে আর শাঁখ বাজনার আবেশে ভেসে যাচ্ছে পাড়া। শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। কিন্তু এসবের মধ্যে নেই অনুরাধা। কেউ তার বা মিনির খোঁজ রাখেনি। মুখার্জিদের দোতলা বাড়ির কোণের ঘরে বসে সে চোখের জল ফেলছে। সবার বাড়িতে আলোর রোশনাই, ভোগের গন্ধ, হাসি—শুধু তাদের ঘরটিতে নিস্তব্ধতা। গতবছর এই দিনেই তো অন্যরকম ছিল সবকিছু। অনুরাধা, সুজয় আর তাদের তিন বছরের মেয়ে মিনি পাড়ার প্যান্ডেলে ঢাকের তালে নেচেছিল, সিঁদুর খেলায় রঙে ভেসেছিল। বিকেলের দিকে প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে শামিল ...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

শেষ বিকেলের আলো ।। সৈকত প্রসাদ রায়

  শেষ বিকেলের আলো সৈকত প্রসাদ রায় রানাঘাট শহরের প্রান্তে ছোট্ট এক পাড়া বিশ্বাসপাড়া। সেই পাড়ার পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়িটায় থাকেন পুষ্পরাণী ভট্টাচার্য— বয়স পঁয়ষট্টির কোঠায়। সবাই তাকে "পুষ্পদি" বলেই চেনে। একসময় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেলে পুষ্পদি বারান্দায় বসে চা খান। ছোট একটা টেবিল, কয়েকটা পুরোনো বই, আর একখানা নীল কাঁচের ফুলদানি — তার নিত্যসঙ্গী। বারান্দার সামনেই একটা গলি, যেখান দিয়ে প্রতিদিনই স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা হইচই করে ছুটে যায়। পুষ্পদির একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ — কলকাতায় চাকরি করে। ছেলেটা আধুনিক, নিজের সংসার আছে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত। বছরে হয়তো একবার আসে, তাও কিছুক্ষণ বসে আবার চলে যায়। পুষ্পদি মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু বুকের ভেতরে একটা কষ্ট জমে থাকে। সেই বিকেলটা অন্যরকম ছিল। আকাশে ধুলো, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। হঠাৎ পুষ্পদির চোখে পড়ে — রাস্তায় এক কিশোর বসে আছে। বয়স বারো-তেরোর বেশি নয়। মলিন জামা, পায়ে ছেঁড়া চটি। ছেলেটা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে পুষ্পদির বাড়ির গেটে ঝুলে থাকা পুরোনো নোটিশবোর্ডটার দিকে, যেখানে একসময় লেখা ছিল — "পুষ্পরাণী ভ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...