Skip to main content

Posts

দেশের প্রথম মহিলা চিকিৎসক কাদম্বিনী গাঙ্গুলী ।। বিপ্লব গোস্বামী

কাদম্বিনী গাঙ্গুলী ছিলেন দেশের প্রথম মহিলা চিকিৎসক।উনবিংশ শতকের  ভারতীয় রক্ষণশীল সমাজের গোঁড়ামিকে তোয়াক্কা না করে  চিকিৎসা শাস্ত্রে শিক্ষিত হয়ে নিজেকে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম মহিলা চিকিৎসক হিসেবে  প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তিনি। তিনি যে শুধু  দেশের প্রথম মহিলা চিকিৎসক তা নয়।তিনি ছিলেন দেশের প্রথম মহিলা স্নাতক ডিগ্রী অর্জনকারী দুজনের মধ‍্যে একজন।         কাদম্বিনী গাঙ্গুলীর জন্ম ১৮৬১ সালে বিহারের ভাগলপুরে।তাঁর পৈর্তৃক বাসস্থান বর্তমান বাংলাদেশের বরিশালের চাঁদসি গ্ৰামে।তাঁর পিতা ব্রজকিশোর বসু ছিলেন পেশায় একজন শিক্ষক।তিনি বিহারের ভাগলপুর  বিদ‍্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।তিনি চাকুরী সূত্রে ভাগলপুরে থাকতেন।সেখানেই কাদম্বিনীর জন্ম।          কাদম্বিনীর বাবা ব্রজকিশোর ছিলেন নারীশিক্ষা আন্দোলনের সমর্থক।তিনি ও অভয়চরণ মল্লিক ভাগলপুরে মহিলাদের অধিকারের জন‍্য আন্দোলন করেছেন।তারা ভগলপুরে নারীদের অধিকার আদায়ের জন‍্য মহিলা সমিতি স্থাপন করেছিলেন।তিনি চেয়েছিলেন নিজের মেয়েকে পড়িয়ে উচ্ছ শিক্ষায় শিক্ষিত করবেন ।এই স্বপ্ন নিয়ে তিনি কাদম্...

কবিতা ।। চাইছি তোমায় স্বাধীনতা ।। মহুয়া বসু সিনহা

অকাল রক্তস্রোতের শুকিয়ে  যাওয়া  দাগ বুকে, পত্পত্ করে উড়ছে একটি  স্বাধীন  পতাকা । তবুও, লঙ্কাক্ষেতের জ্বালাধরা দুটো হাত চকখড়ির স্বপ্ন  হাতড়ায়, ইঁটভাটার  পিচ্ছিল  কাদায় অলিখিত  রয়ে যায় গোল্লাছুটের স্বাধীনতা । পুরুষালি  রঙীন ঠোঁটদুটোর আকাশ  ছড়ানো  রামধনু ইচ্ছে ;ঘরের আয়না-গারদে বন্দী। সহবাস বন্দী রমণীয় শরীরে লেখা হয় না, "না"এর প্রতিশ্রুতি। নরখাদকের খাবলে নগ্ন ক্ষতগুলো আজও খুঁজে ফেরে দ্রৌপদীর বস্ত্র। হাতের নিঃসঙ্গ শিরা উপশিরায় ;একটু উষ্ণতার খোঁজ । কোন  এক স্বাধীন  দেশে গরাদবন্দী শব্দেরা, আজও তোমায় খুঁজে ফেরে "স্বাধীনতা ।"

কবিতা || অধীনতামূলক || জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

পরাধীনতার সংজ্ঞা লেখার জন্য করোনাদগ্ধ শিশুমুখ দেখি ভেসে ওঠে জলবন্দি মানুষের অসহায় জীবন বেহুলার ভেলা রাস্তায় পা দিলেই ওরা বলে, এ তোমার নয়, সাবধান! খাঁচার পাখির কাছে শিখেছি স্বাধীনতার মানে আকাশ মানে মুক্তি বাতাস মানে সম্পদ সবুজ মানে প্রাণ জল মানে উদারতা আগুন মানে উদাত্ত বিবেক পাখি হতে চেয়ে শিখি ভাষার কৌশল ওরা বলে স্বপ্ন দেখা বারণ তবু মন মানে না স্বাধীনতার স্বপ্নে অজস্র ফাঁকি ফায়ারিং স্কোয়াডের ঝাঁঝরা দেহ খেরোর খাতার রক্ষাকবচ যাদের স্বেচ্ছাচারের লাইসেন্স দেয় সেইসব রাক্ষসের খিদে এখনো তো লুটে চলে খাদ্য জল সঞ্জীবনী সুখ অধীনতামূলক মিত্রতার কূটনীতি অজস্র ক্রীতদাস তৈরির কারখানা অনুমতি ছাড়া শ্বাস কাশ নিদ্রা মৈথুন সব বন্দি কিছু ধারার শিকলে দুশ্ছেদ্য শিকল ================= জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় গোপেশ্বরপল্লি,বিষ্ণুপুর,বাঁকুড়া - ৭২২১২২ কথা : ৭০০১৪৫৬৭২১/৯৭৩২২৩৭৬০৮ ই-মেইল : chattopadhyayjayanta59@gmail.com  

অধিনায়ক হে... ।। জগবন্ধু হালদার

  আজব হুন্ডি কোনো অদৃশ্য ইশারায় টিকি ধরে টেনে লাইনে ফ্যালে রোজ দুর্যোগে টাল সামলানো দায় কে রাখে হেরো দেইজির খোঁজ । প্রতিবেশী হাঁকে, হাসেও সঠিক মাপে লাগাম, লাটাই হাতে মাতব্বর ঘোরে দুয়ারে রেশন অঢেল সুখ-এক লাফে , স্বার্থক স্বাধীনতা -- পঁচাত্তরে ! ঋণ বাড়ে, সাঁঙোড় যাচ্ছে ডুবে জানি  খিদে আর জেদে অহর্নিশ ঘেমে তড়পা ধরেই তবু প্রাণপণ টানি নইলে গোহারা এই হুড়োহুড়ি গেমে । জীবন দু'বেলা পোড়া লঙ্কা দিয়ে মেড়ে কালের নামতা শেখায় অনটনে ঠুকে তবু  ত্যালতেলে বাঁকা পথ ছেড়ে  পা রাখি সোজা, মেটে রাস্তার বুকে । পেশির পাওয়ারে পিলে নিত্য চমকায়, দেশের গব্বে তবু মাটি মেখে দেহে হাভাতের পাল পাঁজরা চেপে গায়-- জনগণমন অধিনায়ক হে ।। ------------------ 

কবিতা ।। স্বাধীনতার স্বাদ ।। নীলমাধব প্রামাণিক

  স্বাধীনতা কে কতোটা পাবেন ভাগে তার ঠিক করে দেন উদাত্ত সরকার । ঠিক করে দেন স্বাধীনতার মানে তবুও আগস্ট উন্মাদনা জাগায় মনে প্রাণে । উদযাপনের কুচকাওয়াজে যখন মাতে দেশ অনেক যাপন ছন্দ হারায় অবদান বিদ্বেষ । জনমনে দেশাত্মবোধ চাগাড় দিয়ে ওঠে স্বাধীনতার মাপকাঠিতে স্বেচ্ছাচারি ছোটে । সবাই কি পায় স্বাধীনতার স্বাদ এ মুলুকের অনেকে যায় তালিকা থেকে বাদ । যদিও স্বাধীন ভেবেই খুঁজি স্বাধীনতার সুখ লম্বা লাইন দাঁড়িয়ে আছে বিষন্নতার মুখ । উপনিবেশিক মনন ছেয়ে রয়েছে চারপাশে স্বাধীনতা ধাক্কা খেয়ে হাসে । তাদের লোলুপ হাতের নিপুণ কারুকাজ দেখছে চেয়ে বিপন্ন সমাজ ।   =======০০০======   নীলমাধব প্রামাণিক মাধবনগর, ডাক -পূর্ব চাঁদপুর, মন্দির বাজার দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পিন -743336 পশ্চিমবঙ্গ, ভারত মোবাইল +হোয়াটসআপ -8345992776  

কবিতা ।। বীরাঙ্গনা ।। সোমা চক্রবর্তী

  যুদ্ধের ডাক এসেছিল। রাষ্ট্রের প্রতি দায়বদ্ধতার শিকল টেনে নিয়ে গেছে তোমাকে। আমি আছি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে বহুদূরে ধানের ক্ষেতের পাশে, জোনাক-জ্বলা রাতে টিমটিমে প্রদীপ জ্বলা এক স্তব্ধ জনপদে। তোমার মা এখানে খোলা উঠোনে বসে আকাশ আর বাতাস জুড়ে  তার অনুভূতির চাদর বিছিয়ে দেয়। মাঝে মাঝে বলে- " ও বৌমা, কেন যুদ্ধ করে ওরা?" এখানে যুদ্ধের দামামা এসে পৌঁছায় না। বাতাসে পোড়া বারুদের ভারী গন্ধ নেই। এখানকার বাতাস জুড়ে ভাত সেদ্ধ হবার গন্ধ। আর গভীর রাতে দমকা হাওয়ায় হয়তো বা বেলফুলের গন্ধ অথবা হাস্নুহানা... সেই যখন এমনই কোনো গভীর রাতে তুমি আমার চুলে সাজিয়ে দিতে গোলাপ! সুরভিত স্বপ্নের মাধুরীর ভিতর আমি অনুভব করতাম ইন্দ্রিয়াতীত আকিঞ্চন তোমার! আজও তেমনি আকিঞ্চনের রাত! তেমনি আমার বুকের মধ্যে.... তুমি নয়। তোমার শৈশব। তোমার স্বপ্ন... আমার হৃদয় জুড়ে। সে তার ছোট ছোট মুঠিতে চেপে ধরে আমার আঁচল। আমার বুকের থেকে সে টেনে নেয় মমতা। আমার কোলে একরাশ জুঁইফুলে গড়া যেন তোমার স্বপ্ন। তার ঠাকুমা বলে, সে তোমার মতো। আর কাকা বলে, "কক্ষনো নয়, আমার মতো।" আর আমার 'তুলসীমালা' সই- সে চুপি চুপি...

আমার চোখে স্বাধীনতা দিবস ।। দীপঙ্কর বেরা

অন্য দিনের তুলনায় এই দিনে আমি একটা নিজস্ব মাত্রা পাই। স্কুল জীবনে এই দিনে আমি প্রথম প্রার্থনা হলে সবার সামনে 'চিত্ত যেথা ভয় উচ্চ যেথা শির' আবৃত্তি করার সুযোগ পাই। সেদিন স্বাধীনতা কি অতটা বুঝতে না পারলেও বুকে একটা আলাদা অনুভূতি টের পাই। স্কুলে আমার কিছুটা হলেও মর্যাদা বেড়ে যায়। বাড়িতেও আমি একটা নিজস্ব খুঁজে পাই। এ তো গেল সেদিনকার স্বাধীন অনুভূতি।           আমাদের মত নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে দুবেলা দুমুঠো খাওয়ার যোগাড়ে যেখানে সারাদিন কেটে যায় সেখানে কি স্বাধীনতা, কোথায় স্বাধীনতা, কেন স্বাধীনতা এসব ভাবার অবকাশ থাকে না। দু চার দানা খাওয়ার পেলেই টান টান হয়ে যেখানে হোক শোয়া আর ঘুম। ব্যাস, আর কিছু চাই না। তার মাঝে আমি দেখেছি বাবা মা দাদা দিদি পাড়া প্রতিবেশী সবার কাছে আমি আমার সীমানায় যা চেয়েছি পেয়েছি, যা দিতে চেয়েছি তাও পেরেছি, যা অর্জন করার মত হওয়া উচিত তাও হয়েছি। সেই তো আমার স্বাধীনতা।      যদি নিজের ইচ্ছে, নিজের চাহিদার মাপকাঠি তৈরি করতে পারি তাহলে কোন কিছুই পাওয়া দেওয়া বা ভাগ করার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হয় না।      কিন্তু আমরা ক...

কবিতা ।। স্বাধীনতা মানে ।। দেবশ্রী সরকার বিশ্বাস

  স্বাধীনতা মানে শুধুই এলোমেলো হওয়ায় তিরঙ্গার ওড়াউড়ি নয়! বন্দেমাতরম ধ্বনি তুলে কথার ফুলঝুরিতে, কান ফাটানো কারতালির গুঞ্জন তোলা নয়! খাঁচায় বন্দি পাখিটার আকাশে ডানা মেলার- মুক্তির স্বাদই স্বাধীনতা, এক দল কিশোরের জলকেলির উন্মাদনা, পাথচলতি গাঁয়ের বধূর ঘমটার ফাঁকে- এক পলক স্বাধীনতা! রক্তের দাগ নেই যে মাটিতে তার গন্ধই স্বাধীনতা! মুক্ত বাতাসে বুক ভরা শ্বাস সব রং মিশে এক যেখানে, স্বচ্ছ-সাদার ভুবন সেখানে সেই পথে নির্ভয়ে চলা! বালক বেশে আঙ্গুল তুলে বলা - 'রাজা তোর কাপড় কোথায়?' প্রশ্নটাই স্বাধীনতা! গালির মোড়ে বসা ভিখারিটার গরম ভাতের স্বপ্নের- বাস্তব রূপই স্বাধীনতা! আশিক্ষার আঙিনায়, 'সহজ পাঠ' ই স্বাধীনতা! স্বাধীনতা শুধু একটা শব্দ নয়,  স্বাধীন মনের দরজা খোলাই স্বাধীনতা! স্বাধীনতা হল নতুন দিনের স্বপ্নবীজ বপন, মেঘমুক্ত আকাশে - বন্দেমাতরম ধ্বনি আর তিরঙ্গা পতাকার তলে, মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাই- তুমি -আমি -সকলে, স্বাধীনতার সেই- সূর্যরাঙা সকালে। ====০০====

কবিতা ।। একটা গোটা দেশ ।। সুমিত মোদক

  যে মেয়েটা আবর্জনার স্তুপ ঘেঁটে বার করে নেয় ভাঙাচোরা জিনিস-পত্তর টুকরো টুকরো পলিথিন ; সেই মেয়েটা সকাল হলে হাঁটা দেয়  টিকে থাকা পথে ; সূর্য তখন রেঙে ওঠে আকাশ জুড়ে ; ঘুমের ঘোর তখনও দুচোখ জুড়ে , দুচোখে বাঁচার স্বপ্ন ; লালচে হয়ে পড়া চুলের দুটো বিনুনি  জামায় তেল চিটচিটে গন্ধ  কাঁধে ফেলা চটের বস্তা ; সেই মেয়ে হেঁটে যায় রাজপথ ধরে ; সে পথে প্রভাত ফেরিতে বেরিয়েছে  তার বয়সি স্কুল পড়ুয়া ; হাতে তাদের ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা  কণ্ঠে দেশাত্মবোধক গান – " ও আমার দেশের মাটি  তোমার পরে ঠেকাই মাথা …" মেয়েটা থমকে দাঁড়াল ; দেখতে চাইল – তার দেশ , তার মাটি , তার স্বাধীনতা , সে কি দেখল জানি না ; কি বুঝলো জানি না ; কেবল আমি দেখলাম – একটা গোটা দেশ মেয়েটার মধ্যে  এক ভারতবর্ষ  ।

কবিতা ।। স্বদেশ আর ওরা ।। প্রতীক মিত্র

  দেশ বললে তথ্য আর মানচিত্রে হাজির ভুগোলের পাঠ স্বদেশ বললে হৃদস্পন্দনে সে বেজে ওঠে অনর্গল; আবেগের ভিত সেখানে গভীরে হারায় ক্রমে আত্মিকতার টানে অকারণেই চোখ ছলছল। পতাকা তুলেই যেসব নেতাদের শেষ ঠাঁটবাট তাদের প্রতি ক্ষোভ বদহজমের মত ওঠে জমে। তারপর মন বলে, ওরা তো নুড়ি-কাঁকড় মাত্র নদী আছে নদীর মত,মর্জিতে চলাই তার সম্বল... একটু রোষে উঠলে ফুঁষে ওরা পড়বে ছিটকে যত্রতত্র। ওরা শুধু জানে ভোট বেচে থাকে প্রতিশ্রুতির নামে, স্বদেশ ওদের কাছে একটু ফাঁকি,আধটু প্রতীকি,বাকিটা কোলাহল। যদি আমায় দেশ বলো, তথ্য আর মানচিত্র  নিয়ে হাজির ভুগোলের পাঠ; স্বদেশ বললে হৃদস্পন্দনে সে বেজে ওঠে অনর্গল।    =====০০০====== প্রতীক মিত্র কোন্নগর-712235,পশ্চিমবঙ্গ

কবিতা ।। স্বাধীনতা আনলেন যাঁরা ।। গোবিন্দ মোদক

  স্বাধীনতা মানে স্ব-অধীনতা দেশের মাটির বুকে,  বাতাস যেখানে মুক্ত উদার নিজের দুঃখে-সুখে।  স্বাধীনতা মানে নই পরাধীন, নেই শৃঙ্খল-বেড়ি,  স্বাধীন দেশের নাগরিক সব, সবকিছু আমাদেরই।  এই স্বাধীনতা এসেছে অনেক রক্তের বিনিময়ে,  যার জন্য প্রাণ দিয়েছেন --- বিপ্লবী শয়ে-শয়ে।  নেতাজি সুভাষ, মহাত্মা গান্ধী, মাতঙ্গিনী হাজরা,  পতাকা বয়ে যাঁর বুক হয় বিদেশী গুলিতে ঝাঁঝরা।  সূর্য সেন, কানাইলাল, ক্ষুদিরাম, প্রফুল্ল চাকী,  দেশের জন্য জীবন দিলেন তাঁদেরকে মনে রাখি।  প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, বিনয়-বাদল-দীনেশ,  দেশের এঁরা সুসন্তান, আত্মদান অনিঃশেষ।  অরবিন্দ, লাল বাল পাল, বাঘাযতীন, রাসবিহারী,  জীবন দিয়ে দেশ স্বাধীন করেন শত প্রণাম তাঁরই।  মনে থাকুক তাঁদের প্রতি --- হাজারো সম্মান,  স্বাধীনতা আনতে যাঁরা দিলেন তাঁদের প্রাণ। ===============================   গোবিন্দ মোদক।  সম্পাদক: কথা কোলাজ সাহিত্য পত্রিকা।  রাধানগর, ডাক- ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগর, নদিয়া।  পশ্চিমবঙ্গ, ভারত, ডাকসূচক - 741103

কবিতা ।। সেই স্বাধীনতা ।। কান্তিলাল দাস

   নরম খুশির দৃশ্য আসে না যেকথা লিখতে গেলে প্রতিটি বছর ব্যথা জমে বুকে স্বাধীনতা দিন এলে । তেরঙা পতাকা তুলছি আকাশে যদিও এদিন ভাই উচ্ছ্বাসে ভরা প্রাণের স্ফূর্তি দেখি কোনোখানে নাই। বাজে বিউগল, কামানের তোপ, ট্যাবলো, মিছিল যায় স্বাধীনতা থাকে শতহাত দূরে সীমাহীন লজ্জায়। মালা-দীপে-ধূপে সেজে ওঠে যত শহীদের স্মৃতি বেদি ভারতমাতার জয়ধ্বনি ওঠে আবেগে গগণভেদি। যান্ত্রিকতায় চলে সব রীতি হৃদয়ের ছোঁয়া কই স্বাধীনতা যেন সকরুণ বলে, আমি তো এসব নই ! গেছে ইংরেজ, শাসক বদল হয়েছে তো বারবার শোষণের কল রয়েছে সচল দেখি আজও চারধার। রয়েছে গরীব সেই তিমিরেই সবার জোটে না ভাত রাজনীতি আর ধর্মের ফাঁদে জোটে নব উৎপাত। শিক্ষিত যত কর্মহীনের পড়ে যে দীর্ঘশ্বাস যৌবন যায় চুরি হয়ে চুপি কথা ওঠে ফিসফাস। অন্ন তোলে যে সকলের মুখে সে-কৃষক থাকে দীন উচিত মূল্য পায় না ফসলে দারিদ্র্য সীমাহীন। আত্মবিনাশ ঘটায় কৃষক ঋণে, ক্ষোভে, অবসাদে স্বাধীনতা-স্বাদ পায় না কৃষক কেন কোন অপরাধে ! ধুঁকছে অনেকে কৃষকের মতো আয়ের স্থিরতা নেই কলকারখানা, চায়ের বাগানে কাজহারা সে দলেই। মহার্ঘ হয় জিনিসের দাম মুনাফায় কিছু লোক শোষণের কলে ফেলেছে মানুষে যেন বা ভয়াল জোঁক ...

পঁচাত্তরতম স্বাধীনতা দিবস।। মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায়

  হে স্বাধীনতা দিবস । তোমারে সেলাম । দিনে দিনে কেটে গেলো ৭৪ টা বছর । যতবার স্বাধীনতার মানে খুঁজতে চেয়েছি ঠিক তত অধিক বার আগুনের লেলিহান শিখা প্রান্তরে প্রান্তরে পুড়িয়ে ছারখার করে দিয়েছে। মা যে স্বাধীনতায় বসবাস করতো সেখানে সবটুকু ছিল দেওয়ার পালা । সকাল হতো ভিজে চুলে সিঁদুর লেপে কর্তব্যের উনুনে জ্বেলে দেওয়া আগুন । সেই আগুনে ছেলে মেয়ে স্বামীর মহোময় রগরগে একটা স্বাধীনতা দিবস রচিত হতো। ঠিক তখনই মায়ের গর্ভে যন্ত্রণায় কঁ কিয়ে উঠতো ভাঙাচোরা স্বাধীনতা র কবিতা। পঁচাত্তরে পতাকার রং একটু বেশি রঙিন । শিরীষ কাগজে না লিখে অনুকবিতা লেখা হচ্ছে ব্লটিং পেপারে। দূর হতে ভেসে আস ছে স্বা ধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে কে বাঁচিতে চায় । --------------- 

কবিতা ।। স্বাধীনতা ।। মহাজিস মণ্ডল

আজ চারপাশে অন্ধকারের ভিড় রক্তাক্ত করে দেয় সমস্ত বুকের স্বপ্ন তবুও জেগে থাকে অনন্ত মহিমায় আমার স্বদেশ আমার জন্মভূমি। রাতদিন চতুর্দিকে এখনও বাজে সাইরেন তাই শপথের অঙ্গীকারে সাজিয়ে রাখে আলোর প্রদীপ এবং স্বদেশের গান স্বাধীনতা যে আমাদের জন্মগত এবং স্বপ্নগত।                           -------০------- মহাজিস মণ্ডল সবুজলেন, নবপল্লী(১২ ফুট), ২২ বিঘা রোড, জোকা, কলকাতা-৭০০১০৪

কবিতা ।। কোনো এক স্বাধীন সকাল ।। ইউসুফ মোল্লা

আজ নাকি কোনো স্বাধীনতার সকাল হয়েছে!  কই সূর্যটা একবারও বলে উঠলো না তো,  আমি আজ মুক্ত হলাম তোমাদের থেকে।  ওইতো রাস্তার সাফাইকর্মীটা আজও এসেছে,  কই; তার তো আজকে ঘুরতে যাওয়ার কথা।  পরিবারের ছোট্ট সদস্যটার সাথে আজ সকালে– সেই পাহাড়ের কোলে ঘাস আর পাথর নিয়ে খেলার কথা।  কাল থেকে ফুল তুলে সে ফুল মালা গেঁথে,  আজও বেচতে এলো যে মেয়েটি তার জীবনেও কি স্বাধীনতার সকাল ছিল না?  মৌমিতা নামে এক শিল্পী স্বাধীনতার পতাকা আঁকছিল।  কোনো এক শব্দে হাতটা কেঁপে উঠল,  ঢেউ খেলানো পতাকাটি আর দুলছিলো না।  বাইরে সদ্য গুলি হওয়া দেহ থেকে এখনও রক্ত ঝরছে...  মৌমিতার চোখের একফোঁটা জলে পতাকাটি মুছে গেলো!                                   ------------ 

কবিতা ।। ভিজে পটকা ।। অনিরুদ্ধ সুব্রত

তবুও পাতি চ্যানেলের চির-নবিশ সাংবাদিক-মন তোতলামি রেখে ছুঁড়েই যায় ছ্যাবলা প্রশ্ন মালা, দেখে শুনে সমস্ত ভোল বদল অথচ জানে--- প্রেম তো কোনও আঞ্চলিক বা জাতীয় দল নয়, না জিতলে তার কিস্যু না কিন্তু রাজনীতির আপাত রেপ্লিকা বলে ভুল হয়,  জীবনের যা কিছু--- দীর্ঘমেয়াদি বর্ধিত মুদ্রাস্ফীতি থেকে অসংগঠিত ক্ষেত্রের গ্যারান্টিহীন দৌড়, তাই নিয়ে সন্ধ্যের ধ্যাতরানো টক-শো না মারালে ভালো লাগে, এক দুপুরের যুক্তি অথবা অশালীন উক্তি--এটুকু পেলেই সার সার ওবি-ভ্যান মুহূর্তে ভিড়ে যায়, ছুঁচো মুখ কুঁচো প্রশ্ন এই হৃদয়--- দেখে শুনে যা সহজেই বুঝে যাওয়া যায় বার বার স্ব-মৈথুনের মতো তাই-ই, বরফের মতো ঠান্ডা রাত্রির স্নায়ুতে আঘাত করাতে থাকে।                       =======০০০=======                                      --- অনিরুদ্ধ সুব্রত                       ...

কবিতা ।। আত্মশুদ্ধির বয়ান ।। শান্তনু গুড়িয়া

    দেশ আমায় কী দিয়েছে আর আমি দিয়েছি কী, দেশের দিকে আঙুল তোলার আগে নিজের দিকে তুলেছি কি? দেশ আমায় বানিয়েছে ডাক্তার, শিক্ষক অথবা ইঞ্জিনিয়ার| দুঃখের কথা ও কাহিনি  বলবো কী আর! মানবিক মুখ হারিয়েছে ডাক্তার, ব্রেন ড্রেন হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ার ব্যবসায়ী হয়েছে আজ মানুষ গড়ার কারিগর... দেশসেবার নামে জার্সি বদল, ঘুষের বিনিময়ে কার্যোদ্ধার --- নৈতিক চরিত্র বিসর্জনে জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার| অর্থনীতি পড়ছে ভেঙে --- তালিয়া, সমাজটা উচ্ছন্নে যাচ্ছে --- তালিয়া, দেশটা বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, তাতেও তালিয়া আমরা আরো জোরে তালি দিতে থাকি আমরা এসেছিই  তালি দিতে!

কবিতা ।। আমাদের কথাগুলো ।। সঞ্জীব সেন

    এখন ক্রোধের সময় নয় তবুও বলতে পারি না, প্রতিবাদের ভাষা অনেক রক্তের বিনিময়ে এই স্বাধীনতা তবুও বলতে পারি না এখনও কেন এত রক্ত গণতন্ত্র চলছে, নিজের কথা বলতেই পারো প্রকাশ্যে তবুও বলতে পারি না কেন আমৃত্যু জেলবন্দি কবি? আজ যদি আমি ভারত হতাম আর ভারতমাতা বুকে এসে দাঁড়াত আমার তবে কি লজ্জায়  জিভ কাটতেন! তবুও বলতে চাই স্বাধীনতা তোমায় সেলাম ।   ================= সঞ্জীব সেন পানিহাটি গৌরাঙ্গ ঘাট রোঢ পোস্ট পানিহাটি কলকাতা114

ছড়া ।। স্বাধীনতা ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল

আমজনতার খাদ‍্য খাবার    লুটছে দেশের জননেতা বিপ্লবীরা কি চেয়েছিল     দেশের এমন স্বাধীনতা! ভাঙছে সমাজ, মাতৃভূমি   মন ভাঙছে, ভাঙছে দেশ কর্মহীনে  ধুঁকছে  যুবক    স্বাধীনতার এ কোন বেশ! বঞ্চিত  আজ আমজনতা   আন্দোলনে কৃষক সমাজ লুটেরা আজ বেজায় খুশি    স্বাধীনতার এ কোন সাজ! জাত-পাতের দ্বন্দ্ব আজও      আজও মানুষ  যাযাবরে আজ এ কেমন স্বাধীনতা!  ব‍্যাখ‍্যা কি কেউ দিতে পারে? ভর্তুকি, ঋণ শিল্প হবে    হাতিয়ে  ফেরার  শিল্পপতি  স্বাধীনতার এক  নতুন রূপ!          ধর্ম  নিয়েই  মাতামাতি। অনাহারে  আজও মানুষ              স্বাধীনতার  পঁচাত্তরে ভাষণ,তোষণ দেশনায়কের    আমরা স্বাধীন,কেমন করে! সমাজ জীবন নয় নিরাপদ       ভয় সন্ত্রাস, রোজ বিপদে নীরবেতে  স্বজন পোষণ   স্বাধীনতা! আজ নতুন স্বাদে! বাজারে আগুণ,জ্বলছে এ দেশ        ধুঁকছে  রোজই আমজনতা অর্থনীতি  বিকিয়ে...

কবিতা ।। স্বাধীনতা ।। আশিস ভৌমিক

  জমির ওপর লাঙল চালাই ফসল ফলাই হেথা কেড়ে নেবার হিম্মত দেখাস্ এমন বুকের পাটা ? চাষীর স্বাধীনতা । আমার দেশ, আমার মা, আমার জন্মভিটা উচ্ছেদের ভয় দেখাও কোন্ আবাগির বেটা ? নাগরিক স্বাধীনতা । ধর্ম আমার যা হোক্, তা হোক্,খাই রুচিতে আসে যেটা সেটার ওপর নজরদারি মানতে হবে সেটা ? খাওয়ার স্বাধীনতা । আমার মায়ের মিষ্টি ভাষা প্রথম শেখা বুলি  সেটার ওপর দখলদারি কোন্ বাপের বেটা ? ভাষার স্বাধীনতা । জঙ্গলে মুই জন্ম নিছি ক্ষুধা মিটায় এই বনটা এর অধিকার মোর আছে, তুই বলার কেটা ? বাঁচার স্বাধীনতা । সমালোচনা শুনতে বুঝি নেই বুকের পাটা  ? লাগাম টানিস্ মুখে আমার শুনতে চাসনি যেটা বলার স্বাধীনতা । -----------------  Name-Ashis Bhowmick Vill.+P.O-Brindabonchak Dist.-Purba Medinipore Pin-721641

কবিতা ।। স্বাদহীন-স্বাধীনতা ।। শুভাশিস দাশ

      হয়নি আজো দেশের সবার অন্ন বাসস্থান। শিক্ষা স্বাস্থ্য টলমলে আজ ওষ্ঠাগত প্রাণ । দেখতে দেখতে বয়স হলো দেশের স্বাধীনতার। কেউ দিলোনা যাপন নিয়ে ভাষণ নিশ্চয়তার। স্বাদহীন এই স্বাধীনতায় লালকেল্লা  সাজবে। মনের ভিতর সত্যিকারের খুশির সে বীণ বাজবে ?   ----------------- শুভাশিস দাশ দিনহাটা

অণুগল্প ।। আমি একটুকরো ভারত ।। সোমা মজুমদার

সেদিন ছিলো পনেরোই অগাস্ট,  আমার কাছে তখন পনেরো অগাস্ট মানে একটা চকোলেট চকোলেট দিন,  সারাদিন অনেক খেলাধূলা করা সকালে প্রভাত ফেরী নাচ গান, আর বিকেলে খেলা জিতে অনেক পুরস্কার নিয়ে বাড়ি ফেরা।  সেদিন ও এক পনেরো অগাস্টের বিকেল, আমি অনেক গুলো পুরস্কার চকোলেট দু'হাতে বুকের কাছে চেপে ধরে বাড়ি ফিরছি, হঠাৎ দেখলাম রাস্তার একপাশে সবুজ ঘাসের উপর চেপ্টা হয়ে ফুলা পাটা রোদের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বসে হাঁপাচ্ছেন  আমাদের প্রতিবেশী ফুলন পিসি। পাশে একটা কলসি ভর্তি জল, সম্ভবত আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী থেকে কলসি দিয়ে জল তুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন,  এই ফুলন পিসিকে  আমি খুব ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি ,  বেচারির বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী মারা যান,  বাবার বাড়িতে এসে উঠেছেন ভাইয়ের সংসারে। অসুস্থ মহিলা, বাঁ পাটি ফুলা,  ব্যথায় ভালো করে হাঁটতে পারেন না, তবুও সারাদিন কতো রকমের কাজই না করতে হয়।  রাস্তার পাশে বসে এভাবে হাঁপাতে দেখে  আমি পাশে গিয়ে জিগ্যেস করলাম, কী হয়েছে তোমার পিসি?  উনি প্রথমে কোন উত্তর দিলেন না, আবার বললাম কী হয়েছে তোমার?  এবার হাঁপাতে হাঁপাতে বলে...

ছড়া ।। স্বাধীনতা ।। অমরেশ বিশ্বাস

ছোট্ট মেয়ে বাসন মাজে আকাশ পানে চায় ভাবে কোথায় স্বাধীনতা থাকে সে কোন গাঁয়। মাইক বাজে পথের মোড়ে কানে আসে ভেসে কেউ পরাধীন নই করি বাস আমরা স্বাধীন দেশে। সবুজ সাদা আর গেরুয়া রঙ মেখেছে মুখে স্বাধীনতা বাস করে ওই ছোট্ট মেয়ের বুকে। বন্দেমাতরম জয় হিন্দ ধ্বনি আসে ভেসে বাসন মাজে আর সে ভাবে আছি স্বাধীন দেশে।

ছোটগল্প ।। স্বাধীনতার গান ।। পারিজাত ব্যানার্জী

  হৃদয়কৃষ্ণ মাথা নাড়েন আনমনে। নাহ, বড্ড গোলমেলে হয়ে গেছে আজকের এই সময়কালটাই। তাল মিলিয়ে হেঁটে চলা তাঁর মতো প্রায় একশোর কোঠায় দাঁড়ানো বৃদ্ধের পক্ষে তাই হয়ে উঠেছে নিতান্তই কঠিন। কোনও কিছুতেই কোনও মানে খুঁজে পাওয়া আজ ভিত্তিহীন। অথচ যখন দাদার হাত ধরে প্রথমবারের জন্য তিনি হাজির হয়েছিলেন পাড়ার নবারুণদাদের স্বদেশী আন্দোলনের বক্তৃতা মঞ্চে, স্পষ্ট মনে আছে কি বলেছিলেন নবারুণদার স্ত্রী ও নারী নিকেতন গোষ্ঠীর তৎকালীন কর্ণধার সবলা দেবী তাঁর চিবুকখানি ধরে, "কৃষ্ণ, তোমাকেই কিন্তু মহাভারতের মতো এই সমস্ত লড়াই,যুদ্ধ, আয়োজনের মানে, উদ্দেশ্য, তাৎপর্য খুঁজে বার করে তাদের দিতে হবে যথাযথ সম্মান। তুমিই যে আগামীর প্রতিনিধি, আমাদের সব কাজ তো আসলে তোমাদের উন্নয়নের আশাতেই। এই তরণীর তোমরাই যে হলধর!"      ভোম্বল পর্দা সরিয়ে ঘরে ঢোকে। দশ বছর বয়সী এই নাতিটির মুখের আদল অনেকটা হৃদয়কৃষ্ণের নিজের ছেলেবেলার মতোই। তা তাঁর চোখের ভুল না মনের দোষ, তা অবশ্য ঠিক ঠাহর করতে পারেন না তিনি আর। বাবার মোবাইল ফোনে খুটখুট করতে করতে দাদুর পাশে এসেই বসে পড়ে ভোম্বল। হৃদয়কৃষ্ণ মাথায় হাত রাখেন তার। "আজ স্কুলে যাসনি?এখনও ...

কবিতা ।। সুভাষ ।। অভিষেক ঘোষ

  বিশ্বাসে তাঁর হলফনামা রক্তে লেখা অঙ্গীকার, চলবে কদম, নিষেধ থামা কঠিন পথ সে স্বাধীনতার । তাকাও, দেখবে তর্জনী উঁচু অশ্বপৃষ্ঠে দেশ-প্রেমিক, মেনে নেওয়া মানে, মাথা নীচু সুভাষ চেনালো ঠিক-বেঠিক । ভুলোমনা জাতি লড়াই ভুলেছে সংগ্রাম আজ, চালু ফিকির ! দিশেহারা দেশ জিগির তুলেছে, ফিরুন স্বদেশে সুভাষ বীর ! ====================  Abhisek Ghosh. Swinhoe Lane,  Kasba, Kolkata - 42.

কবিতা ।। পঁচাত্তরে পা, তবুও... ।। লক্ষণ চন্দ্র নস্কর

    স্বপ্নের হাত ধরে হে স্বাধীনতা তুমি এসেছিলে নীরবে ব্যর্থতা, গ্লানি আর সংকীর্ণ স্বার্থের গন্ডিতে বাঁধা হলো তোমার পথ তাই অজান্তে তুমি ঘুমিয়ে গেলে কফিন বাক্সে । তোমার জন্যে যারা পথে পথে ঘর বেঁধেছিল তারা আজ বিপন্ন তবুও ফিকে স্বাধীনতার বোল ঘুরে ফিরে আসে দুয়ারে দুয়ারে সাহস হয়নি বলতে তোমার দুর্দশার কথা । শক্ত হাতের বাঁধন কখন যেন আলগা হতে হতে মিশেছে বন্দিদশায় হাজারো স্লোগানে পাল্টে গেছে  তোমার প্রকৃত স্বরূপ আমাদের ভালো-মন্দ এখন রঙীন সানগ্লাসে । একমুঠো সাদা ভাত মাথার উপর সামান্য আশ্রয় আর লজ্জা নিবারনের মোটা বস্ত্র জোগাতে ফুটফুটে হাসি মুখগুলো হারিয়ে গেছে ধোঁয়াশার উলঙ্গ রাজনীতিতে । বর্ণপরিচয়ের জ্ঞান -- দারিদ্রতা আর অবহেলার কঠিন জালে জর্জরিত জীবনদায়ী ঔষধে বিষ খাদ্যে মিশেছে ভেজাল আর কেলেঙ্কারিতে ভরে গেছে দেশ ঋণের দায়ে ঝরে গেছে লক্ষ লক্ষ প্রাণ হয়তো তুমি কোনোদিন মুখ তুলে দেখবেনা তবুও কঠিন পাথরে বুক বেঁধে ওরা পথ চলবে আবহমান কাল ধরে ।

অন্যরকম একটা ভাবনা ।। সমীর হালদার

    অন্যরকম   একটা   ভাবনা   ক্রমশ   মনের   মধ্যে   ডানা   মেলতে   চাইছে । ভীষণভাবে   অন্যরকম   অন্যরকম । অন্যরকম   আবহ  .... অন্যরকম   একটা   আচ্ছন্নতা । বহুদিনের   জমানো   আবেগ , অনুভূতি গুলি   ক্রমশ   পিছু   হটতে   হটতে ফিকে   হয়ে   আসছে , একটু   একটু   করে । একটু   একটু   করে   ফিকে   হয়ে   আসছে অহংকারদীপ্ত   সোনালী   ঐতিহ্যের   সুস্পষ্ট   প্রতিচ্ছবিগুলি । কারণটা   ঠিক   স্পষ্ট   নয় ।   যেমন   স্পষ্ট   নয় , কেন   এই   অসহায়তার   দিবারাত্রি ! কেন   এই   বিভেদের   আলোছায়া ! বিভেদের   আলোছায়া   আজ   প্রতি   মুহূর্তে   আমাদের   অস্তিত্বকে   বিদ্রুপ   করে ! আকাশে   বাতাসে   ভেসে   আসে অসহায়   নিপীড়িত   মানুষের   হাহাকার , বুভুক্ষ   মানুষের   চিৎকার ।   আজ   অন্ধক...

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

রেজাল্ট ।। সৈকত মাজী

রেজাল্ট সৈকত মাজী শুভ্রাংশু বিছানতে শুয়ে শুয়ে বিরক্ত হয়ে উঠল। মনে মনে নিজের শরীরটাকে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিলো দু- চারটে কথা, দেবে নাই বা কেন, কয়দিন ধরে এতো কাঠ খড় পুড়িয়ে সব বন্ধুরা মিলে রথটা বানালো, কত কি প্ল্যান করলো, আর এই শরীরটার জন্যই তো সব ভেস্তে গেলো। মনে মনে ভাবলো একটা যা হোক শরীর হয়েছে ওর প্রতি মাসে তিন - চার বার করে জ্বর হচ্ছেই। হবি তো হ আর একটা দিন পরে হলে কি এমন ক্ষতি হতো, এই রথের দিনেই হতে হলো। ওর বিরক্তিটা বেড়ে গেলো আরো কয়েক ঘর।    " মা ও মা...মাআআআআ...." জোরে হাঁক  দিলো শুভ্রাংশু।    " কি হয়েছে বাবু? আবার জ্বরটা বেড়েছে? মাথা ব্যথা করছে?" ব্যস্ত হয়ে উঠলেন মালতিদেবী।     " ওসব কিছু নয়, ও মা বলছি এখন তো খুব কম জ্বর আছে যাই না মা একবার বাইরে, সবাই কতো ফুর্তি করছে বলো"  কাতর ভাবে বলল শুভ্রাংশু।      " না বাবু, এখনই আমরা ডাক্তারের কাছে যাব, বাবা তৈরী হয়ে গেছেন, আমরা বিকেলে তখন মেলা দেখতে যাব কেমন, এখন উঠে জামা কাপড় পরে নাও"  মালতিদেবী জামা কাপড় গুলো এগিয়ে দিলেন।      শুভ্রাংশু...

রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি

রাই আর বাবা অদিতি চ্যাটার্জি রাই-র জীবনে বেশ কিছু ভালো লাগা আছে তার মধ্যে একটা হলো সন্ধ্যার সময় তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখতে দেখতে কফি কাপে চুমুক দেওয়া ।" আজ যশোদা মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে বেশ ভিড়,নির্ঘাত 'তেলে ভাজা ' প্রেমীরা।" আপন মনেই ভাবে ও, কিন্তু বসার ঘরে সুমন আর আঁখি এতো জোরে 'হল্লা গোল্লা ' করছে তালতলার জমজমাট রাস্তার দিকে আর মন দিতে পারছে না রাই।  পায়ে পায়ে ঘরে এসে দাঁড়ায় রাই, দেখে ক্লাস ফোরের মেয়ে এতোটা ঝগড়া করছে সুমনের সাথে , "বাপ রে, কবে এতোটা কথা শিখলো মেয়ে! কিভাবে কথা বলছে?? কোঁকড়া চুল ঝাঁঝিয়ে,গোলগাল হাত নেড়ে " ...মেয়ে কে দেখে থতমত খেয়ে যায় রাই। এদিকে আঁখি বলছে, "ধুত্ বাপী তুমি কিচ্ছু পারো না, তুতাই-র বাবা, পিসাই, মামু সবাই কত ভালো করে খেলতে পারে , না আমি তোমার সাথে খেলবো না।" কাতর চোখে মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে সুমন বলে ,"আচ্ছা তুই আমাকে শেখা, দ্যাখ আমি কার জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে পনেরো দিন পর পর কলকাতায় আসি বল!"  ঐ টুকু মেয়ে কথা প্রায় না শুনেই ঘরে চলে গেল রাই-র চোখের সামনে, সুমন একবার হেসে বাথরুমের দিকে এগো...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী

বস্তু, চেতনা এবং  কবি সজল চক্রবর্তী  "যেখানে পৌঁছায় না রবি,, সেখানে পৌঁছে যান কবি।" এই ছোট্ট কবিতা টি অনেক পুরনো  এবং বহু পরিচিত, তথাপি এর তাৎপর্য এখনো হারায় নি। তবে, কথা হ'চ্ছে -আমরা তো  রবি-কবিকে একত্রেই পেয়ে যাই আমাদের ঋষি-প্রতিম কবি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে। আর তখনই জেনে যাই উপরোক্ত ছোট কবিতার প্রণিধানযোগ্যতা ।  ... এবার শুনে নেয়া যাক, ঋষি-প্রতিম কবির মুখ নিঃসৃত বাণী:- "তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি যাই ...." অর্থাৎ আমাদের প্রিয়তম কবি অনায়াসে পৌঁছে যান সৃষ্টির অসীমে , যা আমাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। এখানে কবির চেতনা সুদূর প্রসারী! ... প্রকৃত প্রস্তাবে কবি অতিন্দ্রীয় জগতের এক নাগরিক। তাঁর কাছে তাই চেতনা বা চৈতন্যেরই প্রাধান্য। ...এখন আসছি, বস্তু এবং চেতনার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে।  ... আমি একজন অতি সাধারন মানুষ, তাই এই ব্যাপারটাকে কবিদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা ক'রছি। তবে আমার সামান্য জ্ঞান থেকে একটা সাধারণ কথা সেরে নি'। আমরা সাধারণত ব'লে থাকি-- সূর্য পূর্বদিকে ওঠে। প্রকৃত অর্থে কি তাই ? আসলে সূর্য যেদিকে ওঠে ,আমরা  সেই দিকটাকে নামাঙ্কিত ক...

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদি ।। অরবিন্দ পুরকাইত

স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি  (পর্ব—সাত) অরবিন্দ পুরকাইত স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদির সংগ্রহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকায়, ২০১৬ সালে। সে সংগ্রহ যায় নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে, ১৪২৩ সনে। পরে এই ব্লগজিনেও কিছু সংগ্রহ প্রকাশিত হয় ১৪২৮ সনের আশ্বিন মাসে, পৌষ ১৪২৯-এ, আষাঢ় ১৪৩০, নববর্ষ ১৪৩১ ও কার্তিক ১৪৩১ সংখ্যায়। তার পরেও ধীরে ধীরে আরও কিছু সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলিই এখানে রাখা হল। নিজের আগের সংগ্রহে এসে-যাওয়া শব্দ যদি এখানে এসে থাকে, তা বাড়তি বা ভিন্ন কিছু বলার প্রয়োজনেই। নিজের আগের সংগ্রহ খুব ভাল করে যে মিলিয়েছি তা নয়, পুরো সংগ্রহ একত্র করার সময় তা করা যাবে যতটা সম্ভব নিখুঁত করে। আগে আগে সংগ্রহ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা হয়েছে, বিশেষত প্রথম প্রকাশের সময় একটু বিশদভাবে। এখানে আর কিছু বলা নয়, কেবল সংগ্রহটাই তুলে ধরা গেল। অখেজো/অখেজে — অকেজো থেকে। আদরের তিরস্কার হিসাবেই মূলত প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পাজি। অচিমিতি — (উচ্চারণ ওচিমিতি) আচমকা, হঠাৎ। অদীয় — প্রচুর, অজস্র। অদ্বিতীয় থেকে ক...

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায়

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত রণেশ রায় ভূমিকা দর্শনের ইতিহাসে বস্তু ও চেতনার সম্পর্ক মানবচিন্তার গভীরতম প্রশ্ন। অধিবিদ্যা ভাবকে মুখ্য ধরে, বস্তুকে গৌণ বলে মনে করে। বিপরীতে মার্কস ও এঙ্গেলস বলেছেন—বস্তুই মুখ্য এবং চেতনা তার প্রতিবিম্ব। মানুষ যখন প্রথম আলোর মুখ দেখেছিল, তখনই সে বিস্ময়ে প্রশ্ন করেছিল—আমি কে, কোথা থেকে এলাম, আর এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে কিছু আছে কি? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নিয়েছিল দর্শনের দুই বিপরীত স্রোত—ভাববাদ আর বস্তুবাদ। ভাববাদ বলেছিল—"ভাবই প্রথম," আর মার্কস বললেন—"না, বস্তুই প্রথম।" এই দুই প্রান্তের মাঝখানে আমি দেখি এক সেতুবন্ধন, যেখানে বস্তু, স্নায়ু ও চেতনা একে অপরকে গড়ে তোলে, আর তাদের এই ত্রিত্বের নৃত্যেই সৃষ্টি হয় জীবন ও কল্পনার জগৎ। ভাবববাদ এক সর্বশক্তিমান শক্তির কল্পনা করে যা এই বস্তুজগতের স্রষ্টা। আর এখান থেকে ধর্ম ও ধর্মীয় ভাবধারার সৃষ্টি। আমার এই প্রবন্ধে আমি মার্কসীয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আলোকে বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি দেখাবার চেষ্টা করবো কিভাবে ইন্দ্রিয় এবং স্নায়ুজগৎ বস্তু ও চেতনাকে সংযুক্ত করে এবং কল্পলোকের জন্ম দেয়...

চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার

চাঁদে জীবন  শমীক সমাদ্দার                           চন্দ্রযান দুরন্ত তৈরি, রকেটের উপর ভর করে চন্দ্রযান চাঁদে অবতরণ করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পেরিয়ে মহাকাশযান চাঁদের কক্ষপথে  স্থাপন করা হয়েছে। চন্দ্রাযান চাঁদের মাটিতে পা রাখবে সময়ের কাউন্ট ডাউন চলছে। সমস্ত নিয়ন্ত্রণ স্পেসস্কাই গাবেষণা কেন্দ্র কতৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রযুক্তি বিজ্ঞান অতল গভীরতায় বাসা বাঁধে। পরিচয়টা দিয়ে দিলাম এই স্পেসসিপে রয়েছে তিনজন নভোচর, একজনের নাম সাইমন আর এক জনের নাম রেমন্ড, আর এদের সঙ্গে একজন মহিলা আছে তার নাম মেরিনা। চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করেছে। চন্দযান দুরন্ত চাঁদের পূর্ব -পশ্চিম অক্ষরেখা বরাবর অবতরণ করেছে। আলো আঁধারের গভীরতায় বড় বড় পাথরের পিণ্ড, চাঁদের সার্ফেসের উপরে পাথর জল দেখা যায়। জমাট বাঁধা অক্সিজেন আর কার্বনডাই অক্সাইড। ওরা এখানে এসেছে এক রহস্য উদ্ঘাটন করতে। যে স্থানে ওরা অবতরণ করেছে সেখানে ১০ বছর আগে ওরা এসেছিলো। রুশ সরকার ওদের দেশের ছাত্র ছাত্রী কে মহাকাশে চাঁদে পাঠাতে চায়। ওরা কেন এসেছে সেটা এখনো অধরা। সাইমনের বর্...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

বছরের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ৮৬তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পাদকীয় এই সংখ্যাটি বাংলা নববর্ষ বিষয়ক সংখ্যা। নৱৰ্ষকেন্দ্রিক বহু তথ্যপূর্ণ লেখা এই সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস, রীতিনীতি, উৎসব, পার্বন, লোকাচার, রূপান্তর বহুবিধ বিষয় প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যার লেখাগুলিতে। এই সংখ্যার বাছাই কিছু লেখার সঙ্গে আগামীতে আরও কিছু লেখা সংযুক্ত করে বাংলা নববর্ষ বিষয়ক একটি মুদ্রিত সংখ্যা প্রকাশ করার ইচ্ছে রইল।  সকলকে নববর্ষের আন্তরিক শুভকামনা জানাই। উৎসবে আনন্দে থাকুন, হানাহানিতে নয়। ধর্ম-ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে সহনাগরিকের পাশে থাকুন। মনে রাখুন, ধর্মকে মানুষই সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বর আল্লা গড ইত্যাদির জন্মদাতা মানুষই। মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষের পাশে থাকুন।  নিরাশাহরণ নস্কর  সম্পাদক, নবপ্রভাত।  সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা পয়লা বৈশাখ ।। সিদ্ধার্থ সিংহ নববর্ষকেন্দ্রিক মেলা, পার্বন, উত্সব, লোকাচার ।। সবিতা রায় বিশ্বাস নববর্ষ আবাহন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে ।। তুষার ভট্টাচার্য নববর্ষের সেকাল ও একাল ।। হিমাদ্রি শেখর দাস নববর্ষের হাল-হকিকৎ ।। শংকর ব্রহ্ম বোশেখি বাঙালি নাকি পোশাকি বাঙালি? ।। দিব্যেন্দু...

প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান

বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় মাখনলাল প্রধান বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির জগতে যাত্রা শিল্প তথা নাট‍্যশিল্পে মড়ক নেমে এসেছে । যাত্রা শিল্পের মড়কে শুধু কোভিড নয় তার বহুপূর্ব থেকেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় , শিক্ষাক্ষেত্রে বন্ধ‍্যাত্ব এবং গ্ৰাম বাংলার পটপরিবর্তন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। যাত্রা-শিল্পের লীলাভূমি ছিল গ্ৰাম বাংলা। গ্ৰামে প্রচুর যাত্রাপালা হত নানা উৎসবকে কেন্দ্র করে । জমিদারি ব‍্যবস্থা লুপ্ত হওয়ার পর গ্ৰামীণ মানুষের উদ‍্যোগে শীতলা পূজা,  কালীপূজা, দুর্গাপূজা, কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, চড়ক ইত‍্যাদিকে উপলক্ষ‍্য করে যাত্রাপালার আয়োজন না হলে কেমন যেন ম‍্যাড়ম‍্যাড়ে লাগতো। সেই সঙ্গে কলকাতার বড়বড় কোম্পানির যাত্রাপালা ঘটা করে, টিকিট সেল করে হত মাঠে। খুব বড় মাপের খেলার মাঠ যেখানে ছিল না সেখানে ধানের মাঠ নেওয়া হত ‌। ত্রিশ-চল্লিশ হাজার মানুষ দেখতে আসত। স্পেশাল বাস পাঠাত  আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বিনা ভাড়ায় বাসে যাতায়াত করত যাত্রার দর্শকেরা। কিন্তু বিকল্প ধানচাষ শুরু হলে জমিগুলো সময় মতো ফাঁকা পাওয়া গেল না । প্রথম দিকে ব‍্যাপকহারে ধান শুরু না হওয়ায় খুব একটা অসুবিধা হত না। বহুক্ষেত্রে  ধান কা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী

ভিনগ্রহীদের সন্ধানে  শ্যামল হুদাতী  ইতিহাসের শুরু থেকে বারবার মানুষকে একটা প্রশ্ন কুঁড়ে কুঁড়ে খায় – এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? পৃথিবীর মতো আরও গ্রহ রয়েছে, যেখানে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীরা বাস করে – এই সম্ভাবনা বরাবর মানুষকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের কখনও না কখনও এই ভাবনা এসেছে। দীর্ঘ কয়েক দশকের গবেষণার পরও, এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপ, বহু দূরের এমন কিছু গ্রহের সন্ধান দিয়েছে, যেগুলিতে প্রাণ থাকতেই পারে। তবে, নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বহু দূরে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। তারা এই পৃথিবীতেই মানুষের ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যেই বসবাস করতে পারে। আমরা ভিনগ্রহীদের যেমন কল্পনা করি, এরা তার থেকে আলাদা। এরা অনেকটাই, দেবদূতদের মতো। মানব জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রযুক্তিগত নয়, বরং জাদুকরি। মহাকাশে সৌরজগতের গ্রহ পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথায় প্রাণ রয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। একই সঙ্গে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাস ক...

মাসের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

দিদৃক্ষা ।। রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী

  দিদৃক্ষা রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী 'কাল একবার দেখা হতে পারে?' দশমীর দুপুরে খাটে আধশোয়া হয়ে নিজের ফোনটা ঘাঁটছিল দেবমাল্য; হোয়াট্‌সঅ্যাপের সার্চ বক্সে  র‍্যান্ডম সিক্যুয়েন্সে ক'খানা ডিজিট ইনপুট করতেই বিস্মৃতির অতল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে নামটা স্ক্রিনের সারফেসে ভেসে উঠল, এককালে দেবমাল্যের প্রায়োরিটি লিস্টে সবথেকে ওপরে পিন্‌ করা থাকতো এই অ্যাকাউন্টটা। 'অহনা দাশগুপ্ত'—গ্রেয়েড-আউট ডিপিটার ডানদিকে, নামটার তলায় নিস্প্রভ হরফে ভেসে থাকা ওর এই লাস্ট মেসেজটা বেশ ক'বছরের পুরনো, কিন্তু দেবমাল্যর স্মৃতির প্যান্ডোরা বাক্সটি উলটে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। আরেকবার আপাদমস্তক শিহরিত হয় সে। প্রোফাইলটা খুলে ওপরে-নীচে স্ক্রল্‌ করে দেখে, ওদের পুরনো চ্যাটগুলো তেমনি আড়ষ্ট হয়ে পড়ে আছে, ওর মেসেজগুলোর পাশে ডাবল টিকগুলো এখনও জাজ্বল্যমান সবুজে ছোপানো, যেন এইমাত্র 'সিন্‌' করে রেখেছে অহনা! যেন এখুনি আবার হাত বোলালেই অহনা এসে খানিকটা রাগত ভঙ্গিতে চ্যাট করতে লেগে যাবে। দেবমাল্যের বুক ছাপিয়ে একটা নীরব দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে! ছুটির এই আমেজটা লক্ষ্মীপুজো অব্দি গড়াবে—অফিস খুললেই তো আবার দমফাটা ব্য...

গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম

  গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম হুইসেল (মুরাকামি থেকে অনুপ্রাণিত) ♦ 'গভীর রাতে একটা হুইসেল কতটা গভীর হতে পারে তুমি কল্পনাও করতে পারো না,' ছেলেটা বললো, 'আশ্চর্য ঐ হুইসেলের মতো আমি ভালবাসি তোমাকে।' কিন্তু গভীর রাতে অন্ধকারে কখনও তো ঘুম ভেঙে যায়নি মেয়েটার, কখনও ও বিচ্ছিন্ন আর একা হয়ে যায়নি। ও কীভাবে অনুভব করবে গভীর রাতে ট্রেনের হুইসেল কতটা গভীর! নিউজ এজেন্সি ♦ একসময় আমরা খবর শুনতাম এখন দেখি স্বীকার করতে হবে খবর শোনার চেয়ে দেখার আনন্দ বেশি আলাদা উত্তেজনা নিউজ এজেন্সিগুলো এব্যাপারে তৎপর আর প্রতিযোগিতাপূর্ণ কোনটা নিউজ সেটা ওরাই ঠিক করে যেটা ওদের দরকার আর সেটাই আমাদের দেখানো হয় ধারাবাহিকভাবে সুচারু জ্যামিতিকতায় বিভিন্ন পদ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নতুন বাস্তবতা নির্মাণে যে বাস্তবতায় জায়গা নেই আমাদের ইতিহাস অন্বেষা স্বাধীনতার সমৃদ্ধি আর স্বাধীনতার কথা বলেই ওরা আমার ক্ষেতখামার পাহাড় আর নদীর দখল নিয়েছে তাহলে টিভিতে যে হাসিখুশি প্রাণবন্ত আমাদেরকে দেখানো হয় ওরা কারা এই প্রশ্ন করো নিজের কাছে আগুন নিয়ে খেলা ♦ আজও পুকুরে ছিপ ফেলে বসবো আমি ধীরে চুপ সূর্য আমার ঘাড়ে শ্বাস ফেলবে সারারাত ঘরের ভেতর ল্যাং...

বিদায়ের স্রোত ।। চয়ন মন্ডল

  বিদায়ের স্রোত চয়ন মন্ডল "বিজয়া দশমী—আনন্দের দিন, কারও কাছে যা হয়ে উঠল চিরন্তন বিদায়।" আজ বিজয়া দশমী। শিউলি ফুলের গন্ধে ভোরটা অন্যরকম। পাড়ার প্যান্ডেলে অদ্ভুত এক কোলাহল—মায়ের বিদায় যে আজ। শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাজনা আর উলুধ্বনিতে গমগম করছে চারদিক। একদিকে মা দুর্গার বিদায়ের বেদনা, অন্যদিকে আনন্দ ও মিলনমেলা। সারা বছরের অপেক্ষা শেষে এই দিনটিতে প্যান্ডেল ভরে উঠেছে মানুষের ভিড়ে। সকালের পূজার্চনা শেষ হতেই শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। মহিলারা মায়ের প্রতিমাকে সিঁদুর পরিয়ে একে অপরের কপালে, গালে রাঙিয়ে দিচ্ছেন। ঢাকের তালে আর শাঁখ বাজনার আবেশে ভেসে যাচ্ছে পাড়া। শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। কিন্তু এসবের মধ্যে নেই অনুরাধা। কেউ তার বা মিনির খোঁজ রাখেনি। মুখার্জিদের দোতলা বাড়ির কোণের ঘরে বসে সে চোখের জল ফেলছে। সবার বাড়িতে আলোর রোশনাই, ভোগের গন্ধ, হাসি—শুধু তাদের ঘরটিতে নিস্তব্ধতা। গতবছর এই দিনেই তো অন্যরকম ছিল সবকিছু। অনুরাধা, সুজয় আর তাদের তিন বছরের মেয়ে মিনি পাড়ার প্যান্ডেলে ঢাকের তালে নেচেছিল, সিঁদুর খেলায় রঙে ভেসেছিল। বিকেলের দিকে প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে শামিল ...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

শেষ বিকেলের আলো ।। সৈকত প্রসাদ রায়

  শেষ বিকেলের আলো সৈকত প্রসাদ রায় রানাঘাট শহরের প্রান্তে ছোট্ট এক পাড়া বিশ্বাসপাড়া। সেই পাড়ার পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়িটায় থাকেন পুষ্পরাণী ভট্টাচার্য— বয়স পঁয়ষট্টির কোঠায়। সবাই তাকে "পুষ্পদি" বলেই চেনে। একসময় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেলে পুষ্পদি বারান্দায় বসে চা খান। ছোট একটা টেবিল, কয়েকটা পুরোনো বই, আর একখানা নীল কাঁচের ফুলদানি — তার নিত্যসঙ্গী। বারান্দার সামনেই একটা গলি, যেখান দিয়ে প্রতিদিনই স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা হইচই করে ছুটে যায়। পুষ্পদির একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ — কলকাতায় চাকরি করে। ছেলেটা আধুনিক, নিজের সংসার আছে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত। বছরে হয়তো একবার আসে, তাও কিছুক্ষণ বসে আবার চলে যায়। পুষ্পদি মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু বুকের ভেতরে একটা কষ্ট জমে থাকে। সেই বিকেলটা অন্যরকম ছিল। আকাশে ধুলো, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। হঠাৎ পুষ্পদির চোখে পড়ে — রাস্তায় এক কিশোর বসে আছে। বয়স বারো-তেরোর বেশি নয়। মলিন জামা, পায়ে ছেঁড়া চটি। ছেলেটা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে পুষ্পদির বাড়ির গেটে ঝুলে থাকা পুরোনো নোটিশবোর্ডটার দিকে, যেখানে একসময় লেখা ছিল — "পুষ্পরাণী ভ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...