গল্প প্রতীক্ষা চন্দন দাশগুপ্ত আমার কথা শুনেই হাঁ হাঁ করে উঠলেন সুকুমার কাকু, ------কি বললে ? বাদাবনে ঢুকে তুমি মন্দির দেখবে ? ক্ষেপেছ নাকি ? চৈতি বাওড়ের পাল্লায় পড়লে আর বেঁচে ফিরবে না, বুঝেছ ? ------চৈতি বাওড় ! সেটা কি ? হাসলেন কাকু, ------শহরের ছেলে, 'বাওড়' বুঝবে কি ? এ হল চৈত্র-বৈশাখ মাসে আসা প্রচন্ড কালবৈশাখী ঝড়, যখন আসবে---তখন চারদিকে ধুন্ধুমার কান্ড বাধাবে। তাছাড়া বাবা দক্ষিণরায়ের চেলাদের কথা ছেড়ে দিলেও বাদাবনে রয়েছে সাপখোপ-শূলো এইসব হাজার ফ্যাঁকড়া। তুমি জঙ্গলে ঢোকার প্ল্যান বাদ দাও তো ! ইতিহাস নিয়ে আমার পড়াশোনা। সুযোগ পেলেই তাই এদিক-সেদিক ঘুরে আসি। মুর্শিদাবাদ-মালদা বার কয়েক গিয়েছিলাম। এবার ভাবলাম সুন্দরবন যাওয়া যাক। সপ্তদশ শতাব্দীতে মহারাজ প্রতাপাদিত্যের আমলে সুন্দরবনের দক্ষিণে সাগরদ্বীপ ছিল জমজমাট এলাকা। শোনা যায়, সেখানেই নাকি ছিল তাঁর জাহাজ তৈরির কারখানা। তৈরি হত মাচোয়া, কোশা, ঘুরাব....কত বিচিত্র সব জলযান ! সাগরদ্বীপ থেকে ধূমঘাট পর্যন্ত দোর্দন্ড প্রতাপে ঘুরে বেড়াত বাঙালি ...
সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...