Skip to main content

Posts

শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিবন্ধ

স্বাধীনতাদিবসের এখন তখন        কিছু বক্তৃতা, দেশাত্মবোধক গান-নাচ-আবৃত্তি-নাটিকা সমণ্বিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মার্চ-পাস্ট পতাকা, উত্তোলন এবং বোঁদে বা জিলিপি। প্রতি বছর ১৫ই আগস্টের এই পরিচিত ছবিটা দেখতে বা তাতে অংশগ্রহণ করতে সাত সকালে স্কুল, বাবাদের স্টাফ রিক্রিয়েশন ক্লাব ও অফিসের মাঠে হাজির হতাম। এই তিনটের সময়সূচি এমন ছিল যে একটা জিলিপি বা এক মুঠো বোঁদেও না ফস্কাত না। সেই কচি বয়সে স্বাধীনতা সংগ্রামী বিপ্লবীদের আত্মত্যাগের কাহিনী যতটা উদ্বুদ্ধ করত ততটাই বিমর্ষ। তখন এই ভ্যালেন্টাইন ডে, মা দিবস, বাবা দিবস, বন্ধু দিবস, পৃথিবী দিবস, পরিবেশ দিবস ইত্যাদির আমদানি হয়নি। তাই স্বাধীনতা দিবস ছাড়া বুঝি অন্যদিন স্বাধীন নই এমন প্রশ্নও মনে উদয় হোত না। মোটের ওপর পুজোর মতো ১৫ই আগস্টও ছিল ‘বছরকার দিন’ মানে আনন্দের দিন।        তখন ‘ইয়ে আজাদি ঝুটা হেয়’ বাক্যটি শুনে থাকলেও বুঝতাম না। তখনও জানতাম না কাশ্মীরের জঙ্গি কার্যকলাপও আসলে স্বাধীনতা আন্দোলন, তখনও জানতাম না স্বাধীন দেশের উত্তর-পূর্ব অংশের নাগরিকদের বিনা পরোয়ানায় যখন খুশি গ্রেপ্তার করা...

মুক্তগদ্য: শান্তা কর রায়

আবাসভূমি থেকে বলছি প্রচণ্ড পিপাসা, ফেলে যাওয়া তলানি বিসলেরি,ভয় থেকে জলটা মুখে তুলতে দিলনা । নামার সময় পাশের সিটের ব্যক্তি এগিয়ে দিলেন বোতলটা,পরীক্ষা করার ইচ্ছে হল(যেটা প্রায়শ হয়) । মেশানো ছিল কিছু,প্রাকৃতিক ছবি তুলবে, হঠাৎই তুলিতে মেঘ+-- চুরি গেছে সব!লোকটার কাছে কোনকিছু হয়ে ওঠা মানে ভালো থাকা । দশটা পাঁচটার ডিউটি শেষে বাজার করে বাড়ি ফেরা । তথাকথিত স্বপ্নঘোরের বাইরে উঠে বসা অথবা গাল দেওয়া । ইদানীং সে সুবিমল মিশ্র পড়ছে তাই এসিতে শোয়না,বেশিরভাগ সময় রামায়ণ চামারের মতো আচরণ করে । অদ্ভুত বিড়বিড় করা বন্ধ,রাস্তায় ছেড়া চটির মতো বাহা পরবের অপেক্ষা করে। চিৎকার করে বলে, 'হে প্রভু,জমিদার মানুষ ৫০ টাকার ভাড়া বাড়িতেও থেকেছি, নোংরা কলঘর, ঝুড়ির নিচে রাখা মুরগির মতো জীবন,অলস শব্দ কারবারির ঘুম থেকে কোনভাবেই বেরতে পারছি না,আর তুমি বলছো চলে যেতে?' এরপরে লোকটা খুঁজতে বেরবে তাকে,যে ওকে ভালবাসবে বলেছিল! একটা আস্তাবল, ৭২ এর আগের,কিছু শুকনো মুড়ি! কোথায় লুকিয়েছে দেশ! অথৈ জল,আর সে-,চুড়ান্ত অপরাধী নিচুস্তরের যিনি খাবার দিয়েছিলেন!-তারও জরিমানা, তাকে বাঁচিয়েছিল ইসলাম । ---এদের কারোরই আজ দেশ নে...

আর্যতীর্থর কবিতা

।। এই সময়, এই দেশ।। প্রতিটি গুজবে রক্ত ছড়িয়ে পড়ছে মাটিতে। কল্পিত গাভীর মৃতদেহ থেঁতলিয়ে দিচ্ছে জ্যান্ত মানুষকে। মুখিয়ে রয়েছে লোকে পাতা ফাঁদে পা দিতে। কারা যেন আড়াল থেকে আগুন চলেছে উসকে। এই মৃত্যু উপত্যকাই আমার দেশ, আমার জন্মভূমি। এখানে ঈশ্বর রক্তপিপাসু, দাঙ্গা না হলে ঘুম হয়না তাঁর। প্রতি ভোটে বেজে ওঠে আমরা ওরা'র ঝুমঝুমি। এখানে ধর্ম লেখে সবার কাহিনী, শুরু থেকে উপসংহার। এখানে ন্যায় অন্যায় কেউ দেখে না, ভোট মাপে। আগামীর মুখে আগুন দিয়ে বর্তমানকে দখল করাই রীতি। সিন্দবাদের বুড়োর মতন নেতা জনতার ঘাড়ে চাপে। প্রতিবাদ মানে বেঘোরে প্রাণ হারানোর ভীতি। এ আমার দেশ, যেখানে ধনী বা রাজনৈতিকের কোনো সাজা নেই। এখানে সততা ওপরে ওঠার পথে অন্তরায়। শাসকের দিন কেটে যায় দু আনার কাজে ষোলো আনা ঢাক বাজাতেই। এ আমার দেশ, আঁধার যেখানে আলোকে আস্ত গিলে খায়। এখানে এখন রোজ তৈরী হয় ঘৃণার ফেক ভিডিও। ধর্মের তাগিদে নয়, ভোটের তাড়নায় হিংসা জারি রাখা দরকার। আমরা বনাম ওরা'র আগুনে কারা যেন দেয় গুজবের ঘি-ও, বিষণ্ণ দিন হিসেব হারায় কোথায় পুড়লো ঘর কার। অথচ এ দেশ প্রগতির পথে, বলে চলেছেন সরকার... ++...

পুলক মণ্ডলের কবিতা

         # দেশ আমার # রাতভর বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে  যারা হাটঁতে থাকে তারাও তো জানে  নিশান দেখে বিপ্লব হয় না ;  নিভু নিভু আলোটা উসকে দাও  তোমার না বলা কথাগুলো  জাগতে থাকুক--  ভোরের পাতাঝরা শব্দে  যাপনে যতই সন্ধ‍্যা নামুক না কেন-  খুঁজে আনো একটি মশাল  তাতে ভালোবাসার আগুন জ্বালো  জ্বলে পুড়ে যাক যত  হিংসা আর রিরংসা ;  একদিন তুমিই না বলেছিলে  রূপসী হতে চাও !  তোমার জন্মভূমি যে আজ বিপন্ন  এসো হাতে হাত ধরি  যত ক্লেদ আর মেদ ঝরিয়ে  আগে স্বদেশ কে রূপসী করি--             ------------------------------- পুলক মণ্ডল,  নাগরিক সমাচার,  কালনা,  পূর্ববর্ধমান-৭১৩৪০৯,  পশ্চিমবঙ্গ,  মো: ৯৯৩২৭৪৬২০৬

সম্পা পালের নিবন্ধ

কীভাবে বেঁচে আছে আমাদের স্বাধীনতা ? ১৯০ বছরের লড়াইয়ের চরম পাওনা ছিল সেদিন, সালটা ১৯৪৭ এর ১৫ই আগষ্ট। জাতীয় জীবন সেদিন সীমাহীন আনন্দে মেতে উঠল। যদিও দেশভাগের নিদারুণ যন্ত্রণা ছিলই তবু পরাধীনতা থেকে মুক্তি, মুক্তি বিদেশী শোষণ শাসন থেকে। উড়ল স্বাধীন দেশে স্বাধীন পতাকা। বিশ্বের মানচিত্রে নতুন করে জন্ম নিল ভারতবর্ষ। আমরা পেলাম স্বাধীনতা, অবাধ স্বাধীনতা। স্বার্থক হলো সেই সব বীর যোদ্ধাদের আত্মবলীদান যারা জীবনের মায়া করেনি, নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথাও ভাবেনি। ঘর তাদের প্রত্যেকেরই ছিল তবু দিনের শেষে যাদের ঘরে ফেরা হয়নি। দামাল মায়ের সেই সন্তানরা যে সবাই স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান ছিলেন এমনটা কিছুতেই নয়, অনেক অভাবী মা তাদের সন্তানদের এগিয়ে দিয়েছিল আরেক মাকে স্বাধীন করবার জন্য । নিরন্ন ঘরে একটাই স্বপ্ন সেদিন ছিল একদিন স্বাধীনতা আসবে সেই স্বাধীনতায় জীবনের সব অভাব মুছে যাবে । সেদিনের সেই স্বাধীনতার পর অনেক পথ হেঁটে সময়টা আজ ২০১৮তে দাঁড়িয়ে। মাঝপথে অনেক সময় চলে গেছে । এই সময়ে আমাদের পাওয়া না পাওয়ার প্রত্যাশাও অনেক এসেছে গেছে । তবে প্রশ্ন এখানে আছে - আমাদের সেদিনের সেই স্বাধীনতা আজ কীভাবে...

মুক্তগদ্য: অ-নিরুদ্ধ সুব্রত

একটি ফ্রীডমিক পেঁচাল ------------------------------ ---- ১৪ই আগস্ট১৯৪৭,নেহেরু আবেগ মথিত কন্ঠে ঘোষণা করলেন, "মধ্য রাতের ঘন্টাধ্বনির সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত পৃথিবী যখন নিদ্রামগ্ন ভারত তখন স্বাধীনতা ও নবজীবন লাভ করে আঁখি মেলে তাকালো। এল সেই মুহূর্ত, যা ইতিহাসে কদাচিৎ আসে, যখন আমরা পুরাতনকে ত্যাগ করে নতুনকে বরণ করে নিলাম।যখন অবসান হলো একটি যুগের। যে দেশের আত্মাকে দীর্ঘদিন ধরে রুদ্ধ করে রাখা হ'য়েছিল, তা হ'য়ে উঠল বাঙ্ময় ।"                                             সারা ভারতবর্ষে সেই 'নবজীবন'-এর রাতে যত শিশুর জন্ম হয়েছিল, তারা হয়তো সক্কলে আজ বেঁচে নেই। তবে যারা আছে, আজ তারা রীতিমতো বাহাত্তুরে। এক কথায় পরম পাকা। মৃত্যুর মতো দূরবর্তী দ্বীপের অস্পষ্ট ছায়াপথে নিশ্চিতরূপে এই প্রবীণদের 'স্বাধীনতার স্বাদ' ফিরে ফিরে স্মৃতি-দুর্বল করে ? হয়তো সময়ে পৃথিবীতে না আসার কারণে তারা দেখতে পান নি পরাধীনতার ঝড়-বাদল। দুঃখ থেকে পা ধুয়ে ওঠা ডাঙার দেশে কেটেছে তাদের শৈশব থেকে বার্ধক্য। অতএব তা...

পুস্তক আলোচনাঃ দেবাশিস কোনার।। কাব্যগ্রন্থ "নির্বাক বাল্মীকি" ।। কবি শুভদীপ সেনশর্মা

"যদি পৃথিবীর এক কোণে আমার হৃদয় চাপা পড়ে থাকে  সেটা আমার দায় নয়" অনেকদিন আগে করি শুভদীপ এই কাব্যগ্রন্থটি উপহার স্বরূপ হাতে পেয়েছিলাম।সেসময় কিছুটা দায়বদ্ধতা আবার সামান্য সৌজন্যের কারনে প্রায় করতে হবে তাই করা -এমন মনোভাব নিয়ে বইটির আলোচনা করেছিলাম।আর এখন করছি মনের আনন্দে।তরুণ কবির উত্তরণ দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেছি।প্রতিটি কবিতাতেই পরিণতির ছাপ স্পষ্ট।"সেলের ভেতর থেকে"কবিতায় কবি বলেন, "সফলতা হাতের মুঠোয় এসে যখন আত্মক্ষরণ হয়,তখন আমি সেলের ভেতর বসে থাকি " বৃষ্টি বিষয়ক কবির বেশ কয়েকটি কবিতায় ঝংকৃত হয়েছে বিরহ, স্মৃতিমেদুরতা,আত্মকথন, আত্মক্ষরণ ও ভালোবাসা। তিনি বলেন "বৃষ্টির শব্দে আমার কথা ফোটে মুখে"। তার এই সব উচ্চারণ পাঠকের বুকে আশার সঞ্চার ঘটায়। কখনও কবির বলছেন, "বৃষ্টি কখনো রোদ্দুর হলে মেঘের হাসি পায়।" কবির বলবার ধরনটি একেবারেই কবির নিজস্ব।এই প্রসঙ্গে জাঁ পল সার্তে এর উক্তি অনুসরণ যোগ্য। তিনি বিশ্বাস করতেন ,"ব্যক্তি যদি তার অস্তিত্ব বিষয় সচেতন থাকে তবে তাকে শোষণ করা সহজ নয় ।" "স্বাধীনতা মানুষকে সাহায্য করে...

রাণা চ্যাটার্জীর নিবন্ধ

            "আদর্শ ও বাস্তবতা "                  এক একটা করে বছর পার হয় । বর্ষবরণ উৎসব থেকে শুরু হয়ে ঝুঁকে যাওয়া বছরের মধ্যবর্তী কিছু সময়ের পর থেকেই  শুরু হয় স্বাধীনতা দিবস পালনের নানান প্রস্তুতি,কুচকাওয়াজ, নিরাপত্তার বলয় বেষ্টনীর নানান নিরাপত্তা। মিডিয়া, সংবাদ মাধ্যম ,সংসদের কার্যকলাপ,স্কুল কলেজ অনুষ্ঠানে মনে করিয়ে দেওয়া হয় স্বাধীন ভারতের স্বাধীন নাগরিক আমরা।  শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি সেই সকল বীর সেনানীদের । শ্রদ্ধায় মাথা অবনত হয় , উদ্বুদ্ধ হই,মহাপুরুষদের জীবনী পড়ে।  ক্ষুদিরাম, মাস্টার দা,বাঘাযতীন, মাতঙ্গিনী কি  বিবেকানন্দ এই সকল শ্রদ্ধেয় শ্রদ্ধেয়া গনের মহান কীর্তি, চোখের সামনে স্বাধীন ভারতের এক উজ্জ্বল ছবি  তুলে ধরে। ওনাদের সেই দৃপ্ত চাহুনি ,রোমহর্ষক কাহিনী শুনে,পড়ে কিংবা সিনেমা আকারে টেলিভিশনের পর্দায় দেখে বাস্তব জীবনে,কিছু করার মানসিকতা চাঙ্গা করে আমাদের, কিন্তু বড়ই ক্ষণিকের সে অনুপ্রেরণা।  আবার গতানুগতিকজীবনযাত্রা ,চারপাশের ভূরি ভূরি উদাহরণ, একঘে...

শেফালি সরের মুক্তগদ্য

"আমার দেশ, দেশের মানুষ"   শস‍্য শ‍্যামলা ভারত আমার জন্মভূমি আমার প্রিয় দেশ। ভারত আমার দেশজননী একথা বলতে ও ভাবতে আমার গর্বে বুকটা ফুলে ওঠে। কারণ এদেশ কত মহামানবের জন্মস্থান। ভারতমাতা কতশত বীর সন্তানদের জননী। কতশত কবি সাহিত্যিক বৈজ্ঞানিকের জন্মভূমি আমার এই ভারত।এ দেশে জন্মেছে কত মহীয়সী সতী নারী! সাধু সন্তের দেশ আমার এই মহান ভারত। আমার কাছে আমার ভারত এক পবিত্র তীর্থস্থান।                         এ দেশের প্রতি বহু দেশের বহু মানুষের লোভ আছে। যেমন ছিল ইংরেজদের। ফরাসি বণিকের ছদ্মবেশে একসময় ইংরেজরা  এদেশের সহজ সরল মানুষ গুলোকে ঠকিয়ে এ দেশের অধিপতি হয়ে দু'শ বছর ধরে এদেশের মানুষকে প্রচুর দুঃখ কষ্ট দিয়েছিল। বণিকের মানদন্ড একদিন রাজদণ্ড রূপে দেখা দিয়েছিল।        পরাধীন হয়ে ভারতবাসী সেদিন পরাধীনতার শৃঙ্খল পরিয়েছিল ভারতমাতার পায়ে।সে এক কলঙ্কময় অধ্যায় ভারতবাসীর জীবনে। মায়ের সেই পরাধীনতার শৃঙ্খল মোচনের জন্য মায়ের বীর সন্তান সন্ততিরা নিজেদের জীবন তুচ্ছ করে সংগ্রাম করেছিল ছদ্মবেশী শত্রুদের...

তপন কান্তি মুখার্জির কবিতা

স্বাধীনতা  স্বাধীনতা যেন হাড় জিরজিরে খটখটে নদীখাত , স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ , পায়ে পায়ে বেড়ি ,  অথচ পদে পদে প্রস্ফুটিত হওয়ার লিপ্সা ।  স্বাধীনতা যেন শূন্য সরণির ভাঙ্গাচোরা দেহ ,  চিকচিক করছে বালি , বালির ওপর  কাক , চিল , শকুন লাশের অপেক্ষায় ।  স্বাধীনতা যেন শূন্য কলসির ঢক্কানিনাদ  সংকীর্ণ , সীমাবদ্ধ ইচ্ছার বশ্যতা  সংশয় ও পিছুটানের উথালপাথাল হাওয়া ।  স্বাধীনতা যেন পরিবর্তনের প্রাণকণায় জারিত  নরম উষ্ণ অনুভূতির আলো , যার পায়ে ঝংকৃত  জলনূপুর ময়ুখমঞ্জিমায় ।      - - - ০ ০ ০ - - - Tapan Kanti Mukherjee ,  ' Swapnasandhaani ' ,  Ward No.- 4,  P.O.- Arambagh ,  Dist.- Hooghly ,  Pin - 712601.  Mob.No.- 8918672005. 

পারিজাত এর স্বাধীনতার গল্প

স্বাধীনতার অনাবিল রেখা আবার কালকে স্বাধীনতা দিবস। আবার আর একটা অন্ধকার রাত পেরোনোর সময় এসে হাজির ফণীভূষণের দোরগোড়ায়। হা ঈশ্বর! কোথাওই কি কোনোভাবে পরিত্রাণের কোনো উপায় নেই তবে?এখনও তো নিষ্কৃতি মিলল না এই ভরা পাপের কোটর হতে! চোখ বন্ধ করেই আরামকেদারায় গা এলিয়ে শুয়েছিলেন ফণীভূষণ। অন্যদিন এই সময়ে প্রাতঃভ্রমণ সেরে ফিরে খবরের কাগজে চোখ বোলান খানিক। নাতি জুডো আর তার জমজ বোন ইভা দাদুর পায়ে পায়ে ঘোরে সকালের এই সময়টায়। ওদের দুজনকে নিয়েই সময় কেটে যায় বেশ।পারিপার্শ্বিক সমস্ত চিন্তাভাবনাগুলো অন্তত কিছুটা সময় হলেও দেরাজবন্দি রাখা যায়। শান্তনু যখন স্কলারশিপ পেয়ে কেমব্রিজে গিয়ে আইরিশ মেয়ে অলিভিয়াকে একেবারে ঘরণী করে দেশে ফিরেছিল, সত্যি কথা বলতে মুখে কিছু না বললেও মনের দিক থেকে কিছুতেই ফণীভূষণ মেনে নিতে পারেননি সবটা। আত্মীয়স্বজন পাড়াপরশী কে কি বলবে, এই নিয়ে কখনই সন্দিহান হননি তিনি। তাদের কোনোকালেই আমল না দেওয়াটা তাঁর চিরকালের দস্তুর। বরাবরের একরোখা মানুষটি শুধু চেয়েছিলেন নিজের ছেলে হওয়ার সুবাদে অন্তত শান্তনু যেন বুঝে উঠতে পারে তাঁকে। অলিভিয়া আসায় সেই দিক থেকেও একেবারে...

পবিত্র রায়চৌধুরীর কবিতা

ঘুমিওনা জেগে থাকো  --------------------------------------------------------------------                                                                     ঘুমিয়ে পড়লে নাকি? ঘুমিয়ে পড়ো না, দেখো, তোমার স্বদেশে রক্ত আর ঘামে ভেজা মাটির অনেক নীচে  থরে থরে শুয়ে আছে অজস্র শ্রম আর লাঞ্ছনার ইতিহাস লিপি। ভালো করে বুঝে নাও  এখানে কেমন করে  স্বপ্ন থেকে বঞ্চনা,          বঞ্চনা থেকে লড়াই, লড়াই থেকে কবিতা,            আর কবিতা থেকে একটা সুবিশাল ভারতবর্ষ হয়ে যেতে পারে।  জানি খুব ঘুম পায়  তবু তুমি ঘুমিয়ে পড়ো না, দেখো,  এখানে গাছের ডালে ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমীরাও হতবাক দুই চোখ বড়ো করে চেয়ে চেয়ে দেখে= দেব উপাসনা ছেড়ে রাজদণ্ড হাতে নেবে বলে  ধার্মিক তপস্বীরা অস্ত্র হাতে নামে রাজপথে, ঘুগনি বা পেপসির বিনিময়ে কী দা...

বিকাশ দাসের কবিতা

প্রচ্ছন্ন মাটি এক এক করে সকলের   মস্তকের ভেতর মুর্ধার গন্ধ শুঁকেছি এ যেন মাটির গন্ধ । এক এক করে সকলের   হৃতপিন্ডের ধুকধুকানি ধ্বনি শুনেছি এ যেন মাটির ছন্দ । এক এক করে সকলের   পাঁজর ঠুকে হৃদয়ের স্পন্দন শুনেছি এ যেন মাটির প্রাণ । এক এক করে সকলের   শিরদাঁড়ার রিডে স্বরলিপির বাঁধ পেয়েছি এ যেন মাটির গান । এক এক করে সকলের   হাতের রেখায় সৌভাগ্যের রঙ দেখেছি এ যেন মাটির রঙ । এক এক করে সকলের   কাঁধে বার্ধক্যের শিশুসুলভ প্রহর দেখেছি এ যেন মাটির ঢঙ । এক এক করে সকলের   দুচোখের কোলে একতার স্পর্শ পেয়েছি এ যেন মাটির টান । এক এক করে সকলের   দু পায়ের গোড়ালিতে শ্রান্তির শ্রম দেখেছি এ যেন মাটির দান । এক এক করে সকলের   ত্বকের ভগ্নভাঁজে মমতাশীল হাত দেখেছি এ যেন মাটির নীড় । এক এক করে সকলের শরীরে শিরালে শিরায় রক্তের বীর্য দেখেছি এ যেন মাটির নীর । হে কবি বন্ধুরা এগিয়ে এসো ধরে মাটির ধুরা দুচোখে রসো । ধরো মাটির গন্ধ রঙ তোমার ছন্দ গাঁথার চূড়ায় মাটির অরুণ তিনকা মাটির তরুণ তিলকা । বাকি মানুষের নির্মাংস হাড় কংকালের দৃ...

সবর্না চট্টোপাধ্যায়ের কবিতা

১ . ঘুম গোধূলি বিকেলে ফুটে আছে                   বেলফুল মায়াবী স্নিগ্ধতায় আর আমি ভাবি ,                   এরপর , অন্ধকার নামলে একে একে জেগে উঠবে শেয়ালের চোখ লাল লিপস্টিক ঘষা সন্ধ্যেআলোয় হাতে বেলকুঁড়ির মালা পেঁচিয়ে দাঁড়িয়ে থাকবে শ্যামলীরা , আর অপরাধীর মত আমি প্রেমের                     কবিতা লিখে যাব মুখ বুজে । দেখেও দেখছি না মৃত্যু শুনেও শুনছি না প্রহসন শুধু পুষ্পপ্রদর্শনী দেখছি রাতের সমুদ্রতীরে ... আস্তাকুঁড়ের মত ঢাঁই করা মানুষ পড়ে আছে ফুটপাতে .... খিদে নিয়ে জ্বলন্ত , ক্লান্ত শরীর .... ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ওরা প্রশ্ন করে রোজ , ' ফুটপাতের ঘুম কোন বাপের ?' ২ . রথ মধ্যবিত্ত দাম্পত্যকলহের ডালভাত রেঁধে মেয়ের হাত ধরে জগন্নাথ দর্শনের ভিড়ে বাকীদের মতো আমিও ভেড়া হয়ে গেছি ঈশ্বরের মোহ...

কোয়েলী ঘোষের কবিতা

সত্তর বছর পর স্বাধীনতার পতাকা উড়ল আকাশে তবু স্বাধীন হল কি দেশ , অনিমেষ ? কত স্বপ্ন , কত আশা , কত মুক্তিযুদ্ধ রেখে গেল দেওয়ালে রক্তের দাগ অবশেষ। তুমি কি আজও স্বপ্ন দেখ অনিমেষ ? সুস্থ্য সুন্দর এক সমাজের স্বপ্ন ? সত্তর বছর গেছে কেটে -- আজো আলো নেই অন্দরে ,   অন্তরে। যে মেয়েটা আজ পতাকা তুলেছিল আকাশে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষিত! একে কালো রঙ মেয়েটার তায় আবার পর পর দুটো মেয়ে , মরে গিয়ে হয়তো বেঁচে গেল। আরও একজন হাসপাতালে , এসব কথা কত লিখি বল অনিমেষ ? পায়ে শিকল বেঁধে কেটে গেল জীবন কত ঝড় , জল , বৃষ্টি বারান্দায় , মেয়েটি মানসিক ভারসাম্য হারাল। সারি সারি শিশু রাশি রাশি মৃত্যু দমবন্ধ হয়ে আসছে -- এ কোন স্বাধীনতা পেলাম ? প্রতিদিন রাত্রি আসে দুঃস্বপ্নে প্রতিদিন সকাল হয় জাগরণে। ঐ দেখ অনিমেষ ,   আগামী প্রজন্ম চলেছে ওদের চোখে সূর্যের আলো! কি বলছে শোনো -- কিশলয় এ দেশ বাঁচাবে ওরা সঙ্কটে , বিপদে। ওই দেখ পতাকা হাতে এগিয়ে চলেছে ওরা আকাশে উড়ছে স্বপ্ন . .. মুঠো মুঠো রঙ।

পাপিয়া মজুমদারের কবিতা

#  দুর্বৃত্তের স্বাধীনতা  # ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ একি নমুনা দেশের স্বাধীনতার        চেয়েছিল কি সংগ্রামী ? অকারণ খুন, শিশু ধর্ষণ, মিথ্যাচার        রাজনৈতিক ভন্ডামি !     যে যার মতো করে অস্ত্র শানাচ্ছে       আবার কি কুরুক্ষেত্র ?  নাকি সিরাজের ভারত আবারও       হতে চলেছে অস্তমিত !  এসেছিল দুর্বৃত্ত বণিকের বেশে        এই দেশের মাটিতে ,  পরাধীনতার গ্লানি কি সব এতো        তাড়াতাড়ি গেছে মুছে ?   নিস্তব্ধ রাতের বিষাক্ত হাওয়া         বইছে চারিদিকে ,   রক্তলোলুপ পিশাচ জলন্তচোখে         ঘুরছে দিকেদিকে । মানুষ আজ বিবেকের কাছে নত          খ্যাতির ভূষণ লোভে , সন্তানেরা ইঁদুরদৌড়ে সামিল হয়ে          বন্ধু...

স্বরূপা রায়ের মুক্তভাবনা

পুরুষের স্বাধীনতা ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগষ্ট আমাদের মহান ভারতবর্ষ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল বহু মানুষের বলিদান দিয়ে ইংরেজদের হাত থেকে। এই বছর অর্থাৎ ২০১৮ তে আমরা পালন করতে চলেছি ৭২তম স্বাধীনতা দিবস। এই একাত্তর বছর কি আমরা সত্যি স্বাধীনভাবে কাটাতে পেরেছি? স্বাধীনতা দিবসের দিন অনেকেই প্রশ্ন করে নারী স্বাধীনতা নিয়ে। অবশ্যই, সেই প্রশ্ন তোলা উচিৎ। কারণ, আজও একজন ভারতীয় নারী নির্ভয়ে যখন ইচ্ছা রাস্তায় চলতে পারেনা। তার পোশাক থেকে শুরু করে চরিত্র, সবটায় আঙুল ওঠে। কিন্তু আজ আমি কথা বলবো পুরুষের স্বাধীনতা নিয়ে। আজ আমাদের সমাজের পুরুষদের পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে ঠেকেছে, আজ সেটাই আমি সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। একসময়ে নারীরা ঘরে-বাইরে অত্যাচারিত হতো পুরুষদের হাতে। ঘরে স্বামীর দ্বারা অত্যাচার, বাইরে ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানি। আজ যে সেসব নেই, বলবো না। আজও হয় কিন্তু সংখ্যায় কমেছে। আগে নারীরা নিজেদের উপরে অত্যাচারের বিরোধিতা করতে পারতো না, তাই সবার সামনে সত্য আসতো না। আজ নারীরা বিরোধিতা করে, যা খুবই ভালো, তার ফলে আমরা জানতে পারি। কিন্তু যেটা আগে খুবই কম ছিল, দিনে দিনে বেড়েই চলেছে, তা হলো পুরুষ নির্যা...

নৃপেন্দ্রনাথ মহন্তর কবিতা

প্রেম গৃহহীন *************** এখুনি এসো না প্রিয়ে,এ যে বড় দুঃসহ দিন সত্য আজ নিরুদ্দেশ, সাহসেরা সকলে উধাও নিঃশঙ্ক কেবল তারা রাবণের যারা অনুচর রামরাজ্যের ভুতেরাও সেখানে মারে বটে দাঁও। তুমি কি জানোনা প্রিয়ে আজ আমি প্রবাসীর মতো নিজ বাসভূমে থাকি।সদাত্রস্ত।মুক্ত সন্ত্রাসীরা চারিদিকে ঘোরেফেরে আতঙ্কের নামাবলি গায়ে দেখায় মায়ের অধিক দরদ মাসিরা- পিসিরা। এই দুঃসহ দিনে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখি না গো উঠবেনা চাঁদ,ফুটবেনা ফুল কৃত্রিম ফাল্গুনে শোভন হৃদয় পড়ে গেছে সব দুষ্টনীতির ফাঁদে আমরা কাটাবো বাকি দিন সুদিনের দিন গুনে। লিখবো না আর কবিতা গো,কবি হারিয়েছে মান লোভী বুদ্ধিজীবীরাই আজ সকলের শ্রদ্ধেয় ধর্মগুরুরাও শাস্ত্র ফেলে অস্ত্রে দিতেছে শান পর হয়ে গেছে আজ পাড়াতুতো সব ভাইবোনও। এতৎসত্ত্বেও যদি চাও বেদুইনদের মতো তুমি-আমি পিঠে তাঁবু বেঁধে বেরিয়ে পড়তে পারি বিসর্জন দেবো সংসারের পুরোনো ধারণাগুলি চিরকাল রইবো দুজন--আমি নর তুমি নারী। ******************************** নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত গ্রাম ও ডাকঘর : হেমতাবাদ জেলা : উত্তর দিনাজপুর । ----------------...

কবিতা ভট্টাচার্যের কবিতা

"কাদের  আর্তনাদ" চোখে  ঘুম  নেই রাত গভীর  থেকে  গভীরতর হয় শুনতে পাই কানফাটা চিৎকার রাএির নিস্তব্ধতা ভেদ করে যে মেয়েটি সকলে  উঠে ফুল  তোলে মন্দির  পরিষ্কার  করে হাওয়ায় ভাসে তার গোঙানি অন্ধকারে সে ধর্ষিতা হয়েছে রক্তে ভিজে যাচ্ছে মাটি নিঝুম  রাএিতে মারামারি ধিক্ ধিক্ জ্বলছে চারিদিক দরজায় কাছে শুনি কড়া নাড়ার শব্দ শঙ্কিত  মানুষের  কোলাহল এ কাদের  আর্তনাদ আমার  দুখানি হাত  শিথিল  হয়ে যায় ********************************** Kobita Bhattachrya 35 palmAveneu, Kolkata --19

মৌ দাশগুপ্তার কবিতা

স্বাধীনতা দেশের আনাচে কোণাচে মাটির তলায়, ঝোপঝাড়ে, ডাষ্টবিনে,জলে-জঙ্গলে, বিসর্জিত অজাতিকা কন্যাভ্রূণ, আমাদের চিরসবুজ স্বাধীনতা। চার দেওয়ালের নির্জনে,বৃদ্ধাবাসে, বৃন্দাবনে,শহরের অলিগলিতে বেঘর, নির্বাসিতা বৃদ্ধাদের অসহায়তা, আমাদের পঁয়ষট্টি বছরের পুরানো স্বাধীনতা। দেশের কোণে কোণে নির্যাতিতা নারীর অপমান আর অশ্রুপাত, নারীর সম্ভ্রম, আত্মসম্মান, মৌলিক অধিকারের নিত্যনৈমিত্তিক ধর্ষণ, আমাদের রোজকার স্বাধীনতা। কালীঘাটের পটচিত্রের সেবাদাসী থেকে মন্দিরের দেবদাসী,অবিদ্যা,নাচনি, সম্পর্কের মিথ্যে গয়নামোড়া (হাতগুনতি) বধূ থেকে বারবধূ, সবার আত্মজীবনী আমাদের আটপৌরে স্বাধীনতা। ভোট-রঙে খালি হয়ে যাওয়া কিছু মায়ের কোল, কিছু বিধবার শূণ্য সিঁথি, কিছু বর্ধিত অনাথের সংখ্যা, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত ঘৃণ্য রাজনীতি, আমাদের সাদামাটা দলবদলের স্বাধীনতা। প্রতিটি ভোরের সূর্যস্নান, প্রতিটি ভাষাহীন রাতের মূর্ছ্ছনা, প্রতি দিনই একটি ইতিহাসের দিকে ধাবিত হওয়া৷ আর, একটি বৈষম্যহীন সুখী সমাজের অলীক স্মৃতিতে ডুবে যেতে থাকা৷ আমাদের স্বপ্নের স্বাধীনতা। ৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃৃ...

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

রেজাল্ট ।। সৈকত মাজী

রেজাল্ট সৈকত মাজী শুভ্রাংশু বিছানতে শুয়ে শুয়ে বিরক্ত হয়ে উঠল। মনে মনে নিজের শরীরটাকে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিলো দু- চারটে কথা, দেবে নাই বা কেন, কয়দিন ধরে এতো কাঠ খড় পুড়িয়ে সব বন্ধুরা মিলে রথটা বানালো, কত কি প্ল্যান করলো, আর এই শরীরটার জন্যই তো সব ভেস্তে গেলো। মনে মনে ভাবলো একটা যা হোক শরীর হয়েছে ওর প্রতি মাসে তিন - চার বার করে জ্বর হচ্ছেই। হবি তো হ আর একটা দিন পরে হলে কি এমন ক্ষতি হতো, এই রথের দিনেই হতে হলো। ওর বিরক্তিটা বেড়ে গেলো আরো কয়েক ঘর।    " মা ও মা...মাআআআআ...." জোরে হাঁক  দিলো শুভ্রাংশু।    " কি হয়েছে বাবু? আবার জ্বরটা বেড়েছে? মাথা ব্যথা করছে?" ব্যস্ত হয়ে উঠলেন মালতিদেবী।     " ওসব কিছু নয়, ও মা বলছি এখন তো খুব কম জ্বর আছে যাই না মা একবার বাইরে, সবাই কতো ফুর্তি করছে বলো"  কাতর ভাবে বলল শুভ্রাংশু।      " না বাবু, এখনই আমরা ডাক্তারের কাছে যাব, বাবা তৈরী হয়ে গেছেন, আমরা বিকেলে তখন মেলা দেখতে যাব কেমন, এখন উঠে জামা কাপড় পরে নাও"  মালতিদেবী জামা কাপড় গুলো এগিয়ে দিলেন।      শুভ্রাংশু...

রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি

রাই আর বাবা অদিতি চ্যাটার্জি রাই-র জীবনে বেশ কিছু ভালো লাগা আছে তার মধ্যে একটা হলো সন্ধ্যার সময় তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখতে দেখতে কফি কাপে চুমুক দেওয়া ।" আজ যশোদা মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে বেশ ভিড়,নির্ঘাত 'তেলে ভাজা ' প্রেমীরা।" আপন মনেই ভাবে ও, কিন্তু বসার ঘরে সুমন আর আঁখি এতো জোরে 'হল্লা গোল্লা ' করছে তালতলার জমজমাট রাস্তার দিকে আর মন দিতে পারছে না রাই।  পায়ে পায়ে ঘরে এসে দাঁড়ায় রাই, দেখে ক্লাস ফোরের মেয়ে এতোটা ঝগড়া করছে সুমনের সাথে , "বাপ রে, কবে এতোটা কথা শিখলো মেয়ে! কিভাবে কথা বলছে?? কোঁকড়া চুল ঝাঁঝিয়ে,গোলগাল হাত নেড়ে " ...মেয়ে কে দেখে থতমত খেয়ে যায় রাই। এদিকে আঁখি বলছে, "ধুত্ বাপী তুমি কিচ্ছু পারো না, তুতাই-র বাবা, পিসাই, মামু সবাই কত ভালো করে খেলতে পারে , না আমি তোমার সাথে খেলবো না।" কাতর চোখে মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে সুমন বলে ,"আচ্ছা তুই আমাকে শেখা, দ্যাখ আমি কার জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে পনেরো দিন পর পর কলকাতায় আসি বল!"  ঐ টুকু মেয়ে কথা প্রায় না শুনেই ঘরে চলে গেল রাই-র চোখের সামনে, সুমন একবার হেসে বাথরুমের দিকে এগো...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী

বস্তু, চেতনা এবং  কবি সজল চক্রবর্তী  "যেখানে পৌঁছায় না রবি,, সেখানে পৌঁছে যান কবি।" এই ছোট্ট কবিতা টি অনেক পুরনো  এবং বহু পরিচিত, তথাপি এর তাৎপর্য এখনো হারায় নি। তবে, কথা হ'চ্ছে -আমরা তো  রবি-কবিকে একত্রেই পেয়ে যাই আমাদের ঋষি-প্রতিম কবি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে। আর তখনই জেনে যাই উপরোক্ত ছোট কবিতার প্রণিধানযোগ্যতা ।  ... এবার শুনে নেয়া যাক, ঋষি-প্রতিম কবির মুখ নিঃসৃত বাণী:- "তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি যাই ...." অর্থাৎ আমাদের প্রিয়তম কবি অনায়াসে পৌঁছে যান সৃষ্টির অসীমে , যা আমাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। এখানে কবির চেতনা সুদূর প্রসারী! ... প্রকৃত প্রস্তাবে কবি অতিন্দ্রীয় জগতের এক নাগরিক। তাঁর কাছে তাই চেতনা বা চৈতন্যেরই প্রাধান্য। ...এখন আসছি, বস্তু এবং চেতনার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে।  ... আমি একজন অতি সাধারন মানুষ, তাই এই ব্যাপারটাকে কবিদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা ক'রছি। তবে আমার সামান্য জ্ঞান থেকে একটা সাধারণ কথা সেরে নি'। আমরা সাধারণত ব'লে থাকি-- সূর্য পূর্বদিকে ওঠে। প্রকৃত অর্থে কি তাই ? আসলে সূর্য যেদিকে ওঠে ,আমরা  সেই দিকটাকে নামাঙ্কিত ক...

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদি ।। অরবিন্দ পুরকাইত

স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি  (পর্ব—সাত) অরবিন্দ পুরকাইত স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদির সংগ্রহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকায়, ২০১৬ সালে। সে সংগ্রহ যায় নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে, ১৪২৩ সনে। পরে এই ব্লগজিনেও কিছু সংগ্রহ প্রকাশিত হয় ১৪২৮ সনের আশ্বিন মাসে, পৌষ ১৪২৯-এ, আষাঢ় ১৪৩০, নববর্ষ ১৪৩১ ও কার্তিক ১৪৩১ সংখ্যায়। তার পরেও ধীরে ধীরে আরও কিছু সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলিই এখানে রাখা হল। নিজের আগের সংগ্রহে এসে-যাওয়া শব্দ যদি এখানে এসে থাকে, তা বাড়তি বা ভিন্ন কিছু বলার প্রয়োজনেই। নিজের আগের সংগ্রহ খুব ভাল করে যে মিলিয়েছি তা নয়, পুরো সংগ্রহ একত্র করার সময় তা করা যাবে যতটা সম্ভব নিখুঁত করে। আগে আগে সংগ্রহ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা হয়েছে, বিশেষত প্রথম প্রকাশের সময় একটু বিশদভাবে। এখানে আর কিছু বলা নয়, কেবল সংগ্রহটাই তুলে ধরা গেল। অখেজো/অখেজে — অকেজো থেকে। আদরের তিরস্কার হিসাবেই মূলত প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পাজি। অচিমিতি — (উচ্চারণ ওচিমিতি) আচমকা, হঠাৎ। অদীয় — প্রচুর, অজস্র। অদ্বিতীয় থেকে ক...

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায়

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত রণেশ রায় ভূমিকা দর্শনের ইতিহাসে বস্তু ও চেতনার সম্পর্ক মানবচিন্তার গভীরতম প্রশ্ন। অধিবিদ্যা ভাবকে মুখ্য ধরে, বস্তুকে গৌণ বলে মনে করে। বিপরীতে মার্কস ও এঙ্গেলস বলেছেন—বস্তুই মুখ্য এবং চেতনা তার প্রতিবিম্ব। মানুষ যখন প্রথম আলোর মুখ দেখেছিল, তখনই সে বিস্ময়ে প্রশ্ন করেছিল—আমি কে, কোথা থেকে এলাম, আর এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে কিছু আছে কি? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নিয়েছিল দর্শনের দুই বিপরীত স্রোত—ভাববাদ আর বস্তুবাদ। ভাববাদ বলেছিল—"ভাবই প্রথম," আর মার্কস বললেন—"না, বস্তুই প্রথম।" এই দুই প্রান্তের মাঝখানে আমি দেখি এক সেতুবন্ধন, যেখানে বস্তু, স্নায়ু ও চেতনা একে অপরকে গড়ে তোলে, আর তাদের এই ত্রিত্বের নৃত্যেই সৃষ্টি হয় জীবন ও কল্পনার জগৎ। ভাবববাদ এক সর্বশক্তিমান শক্তির কল্পনা করে যা এই বস্তুজগতের স্রষ্টা। আর এখান থেকে ধর্ম ও ধর্মীয় ভাবধারার সৃষ্টি। আমার এই প্রবন্ধে আমি মার্কসীয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আলোকে বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি দেখাবার চেষ্টা করবো কিভাবে ইন্দ্রিয় এবং স্নায়ুজগৎ বস্তু ও চেতনাকে সংযুক্ত করে এবং কল্পলোকের জন্ম দেয়...

চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার

চাঁদে জীবন  শমীক সমাদ্দার                           চন্দ্রযান দুরন্ত তৈরি, রকেটের উপর ভর করে চন্দ্রযান চাঁদে অবতরণ করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পেরিয়ে মহাকাশযান চাঁদের কক্ষপথে  স্থাপন করা হয়েছে। চন্দ্রাযান চাঁদের মাটিতে পা রাখবে সময়ের কাউন্ট ডাউন চলছে। সমস্ত নিয়ন্ত্রণ স্পেসস্কাই গাবেষণা কেন্দ্র কতৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রযুক্তি বিজ্ঞান অতল গভীরতায় বাসা বাঁধে। পরিচয়টা দিয়ে দিলাম এই স্পেসসিপে রয়েছে তিনজন নভোচর, একজনের নাম সাইমন আর এক জনের নাম রেমন্ড, আর এদের সঙ্গে একজন মহিলা আছে তার নাম মেরিনা। চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করেছে। চন্দযান দুরন্ত চাঁদের পূর্ব -পশ্চিম অক্ষরেখা বরাবর অবতরণ করেছে। আলো আঁধারের গভীরতায় বড় বড় পাথরের পিণ্ড, চাঁদের সার্ফেসের উপরে পাথর জল দেখা যায়। জমাট বাঁধা অক্সিজেন আর কার্বনডাই অক্সাইড। ওরা এখানে এসেছে এক রহস্য উদ্ঘাটন করতে। যে স্থানে ওরা অবতরণ করেছে সেখানে ১০ বছর আগে ওরা এসেছিলো। রুশ সরকার ওদের দেশের ছাত্র ছাত্রী কে মহাকাশে চাঁদে পাঠাতে চায়। ওরা কেন এসেছে সেটা এখনো অধরা। সাইমনের বর্...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

বছরের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ৮৬তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পাদকীয় এই সংখ্যাটি বাংলা নববর্ষ বিষয়ক সংখ্যা। নৱৰ্ষকেন্দ্রিক বহু তথ্যপূর্ণ লেখা এই সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস, রীতিনীতি, উৎসব, পার্বন, লোকাচার, রূপান্তর বহুবিধ বিষয় প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যার লেখাগুলিতে। এই সংখ্যার বাছাই কিছু লেখার সঙ্গে আগামীতে আরও কিছু লেখা সংযুক্ত করে বাংলা নববর্ষ বিষয়ক একটি মুদ্রিত সংখ্যা প্রকাশ করার ইচ্ছে রইল।  সকলকে নববর্ষের আন্তরিক শুভকামনা জানাই। উৎসবে আনন্দে থাকুন, হানাহানিতে নয়। ধর্ম-ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে সহনাগরিকের পাশে থাকুন। মনে রাখুন, ধর্মকে মানুষই সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বর আল্লা গড ইত্যাদির জন্মদাতা মানুষই। মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষের পাশে থাকুন।  নিরাশাহরণ নস্কর  সম্পাদক, নবপ্রভাত।  সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা পয়লা বৈশাখ ।। সিদ্ধার্থ সিংহ নববর্ষকেন্দ্রিক মেলা, পার্বন, উত্সব, লোকাচার ।। সবিতা রায় বিশ্বাস নববর্ষ আবাহন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে ।। তুষার ভট্টাচার্য নববর্ষের সেকাল ও একাল ।। হিমাদ্রি শেখর দাস নববর্ষের হাল-হকিকৎ ।। শংকর ব্রহ্ম বোশেখি বাঙালি নাকি পোশাকি বাঙালি? ।। দিব্যেন্দু...

প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান

বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় মাখনলাল প্রধান বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির জগতে যাত্রা শিল্প তথা নাট‍্যশিল্পে মড়ক নেমে এসেছে । যাত্রা শিল্পের মড়কে শুধু কোভিড নয় তার বহুপূর্ব থেকেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় , শিক্ষাক্ষেত্রে বন্ধ‍্যাত্ব এবং গ্ৰাম বাংলার পটপরিবর্তন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। যাত্রা-শিল্পের লীলাভূমি ছিল গ্ৰাম বাংলা। গ্ৰামে প্রচুর যাত্রাপালা হত নানা উৎসবকে কেন্দ্র করে । জমিদারি ব‍্যবস্থা লুপ্ত হওয়ার পর গ্ৰামীণ মানুষের উদ‍্যোগে শীতলা পূজা,  কালীপূজা, দুর্গাপূজা, কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, চড়ক ইত‍্যাদিকে উপলক্ষ‍্য করে যাত্রাপালার আয়োজন না হলে কেমন যেন ম‍্যাড়ম‍্যাড়ে লাগতো। সেই সঙ্গে কলকাতার বড়বড় কোম্পানির যাত্রাপালা ঘটা করে, টিকিট সেল করে হত মাঠে। খুব বড় মাপের খেলার মাঠ যেখানে ছিল না সেখানে ধানের মাঠ নেওয়া হত ‌। ত্রিশ-চল্লিশ হাজার মানুষ দেখতে আসত। স্পেশাল বাস পাঠাত  আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বিনা ভাড়ায় বাসে যাতায়াত করত যাত্রার দর্শকেরা। কিন্তু বিকল্প ধানচাষ শুরু হলে জমিগুলো সময় মতো ফাঁকা পাওয়া গেল না । প্রথম দিকে ব‍্যাপকহারে ধান শুরু না হওয়ায় খুব একটা অসুবিধা হত না। বহুক্ষেত্রে  ধান কা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী

ভিনগ্রহীদের সন্ধানে  শ্যামল হুদাতী  ইতিহাসের শুরু থেকে বারবার মানুষকে একটা প্রশ্ন কুঁড়ে কুঁড়ে খায় – এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? পৃথিবীর মতো আরও গ্রহ রয়েছে, যেখানে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীরা বাস করে – এই সম্ভাবনা বরাবর মানুষকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের কখনও না কখনও এই ভাবনা এসেছে। দীর্ঘ কয়েক দশকের গবেষণার পরও, এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপ, বহু দূরের এমন কিছু গ্রহের সন্ধান দিয়েছে, যেগুলিতে প্রাণ থাকতেই পারে। তবে, নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বহু দূরে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। তারা এই পৃথিবীতেই মানুষের ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যেই বসবাস করতে পারে। আমরা ভিনগ্রহীদের যেমন কল্পনা করি, এরা তার থেকে আলাদা। এরা অনেকটাই, দেবদূতদের মতো। মানব জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রযুক্তিগত নয়, বরং জাদুকরি। মহাকাশে সৌরজগতের গ্রহ পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথায় প্রাণ রয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। একই সঙ্গে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাস ক...

মাসের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

দিদৃক্ষা ।। রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী

  দিদৃক্ষা রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী 'কাল একবার দেখা হতে পারে?' দশমীর দুপুরে খাটে আধশোয়া হয়ে নিজের ফোনটা ঘাঁটছিল দেবমাল্য; হোয়াট্‌সঅ্যাপের সার্চ বক্সে  র‍্যান্ডম সিক্যুয়েন্সে ক'খানা ডিজিট ইনপুট করতেই বিস্মৃতির অতল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে নামটা স্ক্রিনের সারফেসে ভেসে উঠল, এককালে দেবমাল্যের প্রায়োরিটি লিস্টে সবথেকে ওপরে পিন্‌ করা থাকতো এই অ্যাকাউন্টটা। 'অহনা দাশগুপ্ত'—গ্রেয়েড-আউট ডিপিটার ডানদিকে, নামটার তলায় নিস্প্রভ হরফে ভেসে থাকা ওর এই লাস্ট মেসেজটা বেশ ক'বছরের পুরনো, কিন্তু দেবমাল্যর স্মৃতির প্যান্ডোরা বাক্সটি উলটে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। আরেকবার আপাদমস্তক শিহরিত হয় সে। প্রোফাইলটা খুলে ওপরে-নীচে স্ক্রল্‌ করে দেখে, ওদের পুরনো চ্যাটগুলো তেমনি আড়ষ্ট হয়ে পড়ে আছে, ওর মেসেজগুলোর পাশে ডাবল টিকগুলো এখনও জাজ্বল্যমান সবুজে ছোপানো, যেন এইমাত্র 'সিন্‌' করে রেখেছে অহনা! যেন এখুনি আবার হাত বোলালেই অহনা এসে খানিকটা রাগত ভঙ্গিতে চ্যাট করতে লেগে যাবে। দেবমাল্যের বুক ছাপিয়ে একটা নীরব দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে! ছুটির এই আমেজটা লক্ষ্মীপুজো অব্দি গড়াবে—অফিস খুললেই তো আবার দমফাটা ব্য...

গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম

  গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম হুইসেল (মুরাকামি থেকে অনুপ্রাণিত) ♦ 'গভীর রাতে একটা হুইসেল কতটা গভীর হতে পারে তুমি কল্পনাও করতে পারো না,' ছেলেটা বললো, 'আশ্চর্য ঐ হুইসেলের মতো আমি ভালবাসি তোমাকে।' কিন্তু গভীর রাতে অন্ধকারে কখনও তো ঘুম ভেঙে যায়নি মেয়েটার, কখনও ও বিচ্ছিন্ন আর একা হয়ে যায়নি। ও কীভাবে অনুভব করবে গভীর রাতে ট্রেনের হুইসেল কতটা গভীর! নিউজ এজেন্সি ♦ একসময় আমরা খবর শুনতাম এখন দেখি স্বীকার করতে হবে খবর শোনার চেয়ে দেখার আনন্দ বেশি আলাদা উত্তেজনা নিউজ এজেন্সিগুলো এব্যাপারে তৎপর আর প্রতিযোগিতাপূর্ণ কোনটা নিউজ সেটা ওরাই ঠিক করে যেটা ওদের দরকার আর সেটাই আমাদের দেখানো হয় ধারাবাহিকভাবে সুচারু জ্যামিতিকতায় বিভিন্ন পদ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নতুন বাস্তবতা নির্মাণে যে বাস্তবতায় জায়গা নেই আমাদের ইতিহাস অন্বেষা স্বাধীনতার সমৃদ্ধি আর স্বাধীনতার কথা বলেই ওরা আমার ক্ষেতখামার পাহাড় আর নদীর দখল নিয়েছে তাহলে টিভিতে যে হাসিখুশি প্রাণবন্ত আমাদেরকে দেখানো হয় ওরা কারা এই প্রশ্ন করো নিজের কাছে আগুন নিয়ে খেলা ♦ আজও পুকুরে ছিপ ফেলে বসবো আমি ধীরে চুপ সূর্য আমার ঘাড়ে শ্বাস ফেলবে সারারাত ঘরের ভেতর ল্যাং...

বিদায়ের স্রোত ।। চয়ন মন্ডল

  বিদায়ের স্রোত চয়ন মন্ডল "বিজয়া দশমী—আনন্দের দিন, কারও কাছে যা হয়ে উঠল চিরন্তন বিদায়।" আজ বিজয়া দশমী। শিউলি ফুলের গন্ধে ভোরটা অন্যরকম। পাড়ার প্যান্ডেলে অদ্ভুত এক কোলাহল—মায়ের বিদায় যে আজ। শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাজনা আর উলুধ্বনিতে গমগম করছে চারদিক। একদিকে মা দুর্গার বিদায়ের বেদনা, অন্যদিকে আনন্দ ও মিলনমেলা। সারা বছরের অপেক্ষা শেষে এই দিনটিতে প্যান্ডেল ভরে উঠেছে মানুষের ভিড়ে। সকালের পূজার্চনা শেষ হতেই শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। মহিলারা মায়ের প্রতিমাকে সিঁদুর পরিয়ে একে অপরের কপালে, গালে রাঙিয়ে দিচ্ছেন। ঢাকের তালে আর শাঁখ বাজনার আবেশে ভেসে যাচ্ছে পাড়া। শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। কিন্তু এসবের মধ্যে নেই অনুরাধা। কেউ তার বা মিনির খোঁজ রাখেনি। মুখার্জিদের দোতলা বাড়ির কোণের ঘরে বসে সে চোখের জল ফেলছে। সবার বাড়িতে আলোর রোশনাই, ভোগের গন্ধ, হাসি—শুধু তাদের ঘরটিতে নিস্তব্ধতা। গতবছর এই দিনেই তো অন্যরকম ছিল সবকিছু। অনুরাধা, সুজয় আর তাদের তিন বছরের মেয়ে মিনি পাড়ার প্যান্ডেলে ঢাকের তালে নেচেছিল, সিঁদুর খেলায় রঙে ভেসেছিল। বিকেলের দিকে প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে শামিল ...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

শেষ বিকেলের আলো ।। সৈকত প্রসাদ রায়

  শেষ বিকেলের আলো সৈকত প্রসাদ রায় রানাঘাট শহরের প্রান্তে ছোট্ট এক পাড়া বিশ্বাসপাড়া। সেই পাড়ার পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়িটায় থাকেন পুষ্পরাণী ভট্টাচার্য— বয়স পঁয়ষট্টির কোঠায়। সবাই তাকে "পুষ্পদি" বলেই চেনে। একসময় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেলে পুষ্পদি বারান্দায় বসে চা খান। ছোট একটা টেবিল, কয়েকটা পুরোনো বই, আর একখানা নীল কাঁচের ফুলদানি — তার নিত্যসঙ্গী। বারান্দার সামনেই একটা গলি, যেখান দিয়ে প্রতিদিনই স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা হইচই করে ছুটে যায়। পুষ্পদির একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ — কলকাতায় চাকরি করে। ছেলেটা আধুনিক, নিজের সংসার আছে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত। বছরে হয়তো একবার আসে, তাও কিছুক্ষণ বসে আবার চলে যায়। পুষ্পদি মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু বুকের ভেতরে একটা কষ্ট জমে থাকে। সেই বিকেলটা অন্যরকম ছিল। আকাশে ধুলো, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। হঠাৎ পুষ্পদির চোখে পড়ে — রাস্তায় এক কিশোর বসে আছে। বয়স বারো-তেরোর বেশি নয়। মলিন জামা, পায়ে ছেঁড়া চটি। ছেলেটা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে পুষ্পদির বাড়ির গেটে ঝুলে থাকা পুরোনো নোটিশবোর্ডটার দিকে, যেখানে একসময় লেখা ছিল — "পুষ্পরাণী ভ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...