তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন
আসলে তুমি বলে কিছু নেই
পৌষালি পাণ্ডুর রং,
পশ্চিমে মিলিয়েছে সবে,
মায়া মায়া চাঁদের আলোয়
শিশিররা জোনাকি হবে,
তখন…
এইখানে পাশে এসে বসো—
কিছুক্ষণ নীরবতা লিখি,
বিরকিটির ধীর ম্লান জলে
প্রহরের তারা খসো দেখি।
কোজাগরী আলপনা শেষে,
মন্দিরে সাজবাতি জ্বলো।
বিরকিটি সদা বয়ে যায়
সঙ্গে কি 'তুমি' রও বল?
বরং, বাস্তবে কখনোই এসো না,
রোজকার রাত এসে যাক,
নদীদের সব বাঁকে বাঁকে,
কবিতারা অপূর্ণ থাক।
নিদ্রাদহন
আজব অনিদ্রা জাকিয়ে ধরে,
ঢুলু ঢুলু চোখ,
স্বপ্ন নয়, জাগ না নয় — কেমন এক ঘোর কাজ করে।
চেতনা–অবচেতনার কবে-কার সারসগুলো সব গুগলি খুঁটে খায়,
কিশোরী রাত ঋতুবতী হয়,
নৈশ শিবিরের আলো বুজে যায়।
আধপোড়া কাঠ জ্বলছে ব্যর্থতায়,
বাতাসে বিষণ্নতা বাড়ে।
মোহ–প্রেম–প্রতিহিংসা নয় —
কি যে এসে ভরে!
যুদ্ধ নয়, শান্তি নয় — বিদ্রোহী স্তব্ধতা কাজ করে।
শিশির-জাপন
দিনভর জমিয়েছো উত্তাপ,
প্রতীক্ষার শিশিরে ভিজেছ
অস্ফুটে ধানখেতের আলে
সবটুকু রোদ শুষে গিলেছো —
রাতভর পুড়বে বলে?
তুমি, জোনাকি, কীসের তারনায়-
অ্যান্ড্রোমেডায় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দাও,
শতাব্দীর হিমাকৃত রাতে
জ্যোতিষ্ক জ্বালো?
জোনাকি —
জমিয়ে রেখেছো কত স্বপ্ন,
কতটা শীতল চমক!
পারবে কি?
বলো?
==========
দিবাকর সেন
ফালাকাটা, আলিপুরদুয়ার

Comments
Post a Comment