হাফ ডজন ছড়া স্বপনকুমার পাহাড়ী ১ এদিথ পিয়াফ ফরাসী গানের সম্রাজ্ঞী মাদাম এদিথ পিয়াফ এয়ারপোর্টে বান্ধবীরে করতে গেলেন সী-আফ! ফেরার পথে হঠাৎ দেখা আমিও তখন একলা-একা রেস্তোরাঁতে চায়ের কথায় বলে উঠলেন: জী, হাফ! ২ বুরুট রোজ বিকেলে আয়েস ক'রে টানেন দামী চুরুট সঙ্গে কফি, জলখাবারে ফ্রিজের তাজা 'ফুরুট'। ম্যাডাম যদি থাকেন কাছে চকাস চুমু বাঁধাই আছে তার কিছুটা বেশি হলেই বলুক না সে 'বুরুট'! ৩ ভেড়া এক জীবনে বেলতলাতে ক'বার যাবে ন্যাড়া? তাই শ্রীমতী বেলতলাতে দিয়েছিলেন বেড়া। ডিঙিয়ে বেড়া ঢুকলো গোরু তাইতো আবার হলেন জোরু সন্ধ্যেবেলা চায়ের সাথে চিবোন সুখে প্যাঁড়া! গোরু এখন জোরুর কাছে একটি পোষা ভেড়া! ৪ চিঠি অগ্নিময়ের ভগ্নী তিনি বিমলবাবুর বিটি সদ্য বিএল পাশ করেছেন এমএ-র পিঠোপিঠি। বাপের বাড়ি থেকে জানিয়ে একে একে সবই লিখলেন কর্তাকে তাঁর হোলো একখান চিঠি। ৫ চৈনিক প্রেম সিজিয়া মা আর চিজিয়া হে বর্যায় গেল ভিজিয়া যে! কিবা এসে যায় প্রেম দরিয়ায় ডুবেছে যখন এই দোঁহে ৬ লিটি বিরলবাবুর বিটি বিহার থেকে 'নো হাউ' ন...
জাতিস্মর আশীষ কুমার বিশ্বাস গল্পের শুরুটা প্রায় ষাট বছর আগের কথা । যার নাম গৌতম, ডাক নাম ছিল বাবু । তার বছর তখন ছয়-সাত হবে । আমরা বা আমি তখন একটু বড় । এক সাথেই চলতো খেলা । গোল্লা ছুট, দাঁড়িয়া বান্দা, চোর-পুলিশ । যে মাঝে মাঝে খেলা থেকে বিরত থাকতো ; সে-ই জাতিস্মর । মাঠের পাশেই ছিল একটা খেঁজুর গাছ । তাতে হাত রেখে দূরের এক গ্রামের দিকে এক মনে তাঁকিয়ে থাকতো "বাবু" । গ্রামটির নাম "বিনয় পল্লী " । মাঝে বড়ো মাঠ । হাঁটা শুরু করলে তিরিশ - চল্লিশ মিনিট লাগবে । মাঝে জলে ভরপুর দেখে কখনো যাওয়া হয়নি । বাবু কে যখন বলতাম, ওপারে কি দেখছিস? ও বলতো, ওখানে আমার ছোট মা থাকে, দিদি থাকে, আমার ভুলু কুকুর থাকে । এ কথা আমাদের বিশ্বাস হতো না । আবার খেলায় ফিরে যেতাম, খেলতাম । কিন্তু ও বসে বসে , ওপারের গাছ পালা , বাড়ি ঘর দেখতো । কাছে গেলে বলতো , ওই যে সবুজ ,কচি কলাপাতা রঙের দালান বাড়ি, ওটাই আমাদের বাড়ি ! এই ভাবে মাস ছয়, বছর গড়াতে লাগলো । মনে প্রশ্ন জাগতে লাগলো, এ টা কি মন গড়া , বা বানিয়ে বানিয়ে বলছে? সত্যি প্রকাশ হোল এক দিন । সে বাড়িতে কিছু ...