গুচ্ছকবিতা ।। সুশান্ত সেন ১. এখন বসস্ত কালের ক্ষুব্ধ সময় যখন চৌকাঠে এসে দাড়ালো তখন পৌষলি বাতাস বিদায় নেব নেব করছে। আবাহন ও বিসর্জন এক সঙ্গে পাখির পাখায় উড়তে উড়তে একবার কোটরে ঢুকছে আবার একটু পরেই কিসের তাড়নায় কোটর থেকে বেরিয়ে আসছে। বসে বসে তাই দেখছি। ২. ছায়াছবি জীবনের ছবি দেখি না। ছায়াছবি দেখি বাতানুকুল ঘরে বসে পপকর্ন খেতে খেতে। জীবনের ছবি ভিড় ট্রেনে উঠে দু ঘণ্টার যাত্রা শেষ করে এই মাত্র বাসার দরজায় কড়া নাড়ছে। গৃহ কাজে সকালে সময়ে না আসলে গৃহকর্ত্রীর মুখ ভার। ৩ দেশের মাটি দেশের মাটিকে ভালোবাসলে তাকে ত্যাগ করে চলে যাওয়া যায় ! সত্যি মাটির ঘ্রাণ পেলে ! তাকে কি ? তবু কাজ ও জীবন ধারণ বাধা মানে না। যেতে যেতে কেবল পিছন ফিরে চাওয়া কিছুদিন। পরে সে নেই সে নেই। ============ সুশান্ত সেন ৩২বি, শরৎ বোস রোড কলিকাতা ৭০০০২০
।। ভ্রমণকাহিনি।। কংক্রিটের ঘেরাটোপে যন্ত্রচালিতের মত নির্বিকার দিনগত পাপক্ষয়। ব্যস্ততার দুরন্ত গতিতে একই কক্ষপথে নিরন্তর আবর্তমান গতানুগতিক প্রাত্যহিকতা। ছকেবাঁধা জীবনসংগ্রামের বৈচিত্র্যহীনতায় বিবর্ণ ভাবনায় গভীর অবসাদের দীর্ঘ ছায়াপাত। চেতনায় বেঁচে থাকার ঝিমমারা অনুভব। একঝলক টাটকা বাতাসের জন্য ক্লিষ্ট প্রাণের হাঁকুপাঁকু ব্যাকুলতা। তবু গড়িয়ে চলে জীবন। মনের রুদ্ধদুয়ারে ঠকঠক কড়াঘাত। কে গো তুমি? আমি গো আমি। ভিতরের বাউল-মানুষটা সাড়া দেয়। চলো গো ঘুরে আসি। কোথায়? আরে ওই যে যেখানে ---- যেখানে অচেনা আকাশ। অজানা পথ। অদেখা মানুষ। অননুভূত চারপাশ। যেখানে নিসর্গের কাব্যময়তায় প্রাণে জাগে আপনভােলা আবেগ। অনুভবে চুম্বন এঁকে যায় --- বেঁচে থাকার কতই না সুখ! ওই বাউল মানুষটাকে তখন বড় আপন মনে হয়। হাত বাড়িয়ে তার হাত ধরি। বলি, চলো গো তোমার সাথে ঘুরে আসি আবারো দূরে কোথাও, অনেক দূরে। আজো ওই বাউল-মানুষটাই ভরসা। ওর হাত ধরেই চার-দেওয়ালের বাইরে বেরিয়ে এই জগৎটাকে এখানেওখানে ছুঁয়েছুঁয়ে দেখি। এমনি ছুঁয়েদেখার যে অভিজ্ঞতার কথা এখন বলবো ---- তা' অনেকটাই পুরনো কিন্তু আমার কা...