স্বাধীনতাবেণীমাধব সরকার
সাচ্চলিশে পেয়ে ছিলাম আজাদ পাকিস্তান,"পাক ছার জমিন" বলে গেয়েছি তো গান।বায়ান্নতে পিচ্চি ক'জন বলল কী যে এসেবাংলা হবে রাষ্ট্রভাষা সোনার বাংলাদেশে।স্পর্ধা দেখে বুলেট মেরে উড়িয়ে দিলাম খুলি,চুপটি করে রইনু ক'দিন উর্দু ভাষা ভুলি।ছেষট্টিতে নামল পথে শেখ মুজিবের দলভয়ের চোটে পরান কাঁপে হলেম হত বল।কী যে মন্ত্র দিল মুজিব বাঙালিদের কানেআটষট্টি উনসত্তুর লাফায় তাহার টানে।আয়ুব শাহী বিদায় নিলে আসল ইয়াহিয়া,খাইল মাটি সত্তরেতে নির্বাচনটা দিয়া।মুজিব গাহে উচ্চ স্বরে স্বাধীনতার গান,চমকে ওঠে ভয়ের চোটে ইয়াহিয়ার প্রাণ।একাত্তরের মার্চে মুজিব একটি দিল ভাষণনয় মাসেতেই শেষ হয়ে যায় ইয়াহিয়ার শাসন।ভারত নেতা ইন্দিরা যে সুকৌশলে এসেস্বাধীনতা চাইনি তবু দিল তাহাই ঠেসে।কত মধুর ছিল মোদের প্রাণের পাকিস্তানইন্দিরা আর মুজিব তারে করল যে খান খান।পঁচাত্তরের আগস্ট মাসে মুজিবকে তাই মারি,রাসেল সহ পরিবারের কাউকে নাহি ছাড়ি।খুনের মহোৎসবে উড়াই পাকিস্তানি ধ্বজা,বুঝুক এবার একাত্তরের স্বাধীনতার মজা।ইয়াহিয়ার ভক্ত মোরা-- পা চেটেছি তার,কি চমৎকার নামটা জানেন? আমরা রাজাকার।শেখের বেটি শেখ হাসিনা ছিল না যে দেশেনতুন করে স্বাধীনতার গল্প শোনায় এসে।তার কথাতেই মজে গেল আবার বাঙালিরা,শেখ মুজিবের মন্ত্র কানে গ্রহণ করে ফিরা।আবাকাবা পরে এবার লুকাই গর্তে গিয়া,উৎ পেতে রই জিহাদ করার স্বপ্ন বুকে নিয়া।শেখের বেটি কর্ম-কাজে করলো কিছু ভুলশেষ কাটালে সেটাই হলো মোদের অনুকূল।সুযোগ পেয়ে আমরা জাগি--জিহাদ করি শেষেশেখ হাসিনার শক্তি গেল সাগর জলে ভেসে।আন্দোলনের অগ্নিশিখায় ঢেলে দিলাম ঘি,মোদের ছলাকলাটা কেউ বুঝতে পারেনি।পেলাম এবার স্বাধীনতা পরিপূর্ণ রূপেদেশ ছেড়ে যায় শেখ হাসিনা নিতান্ত নিশ্চুপে।একাত্তরের স্বাধীনতা মিথ্যা মেকি বলেজুতার মালা পরিয়ে দিলাম শেখ মুজিবের গলে।চব্বিশের এই স্বাধীনতায় জুড়ায় মোদের প্রাণ,"পাক ছার জমিন" বলে গাইব আবার গান।=================বেণীমাধব সরকারসহযোগী অধ্যাপকসিংগাইর সরকারি কলেজসিংগাইর, মানিকগঞ্জ, বাংলাদেশ।
।। ভ্রমণকাহিনি।। কংক্রিটের ঘেরাটোপে যন্ত্রচালিতের মত নির্বিকার দিনগত পাপক্ষয়। ব্যস্ততার দুরন্ত গতিতে একই কক্ষপথে নিরন্তর আবর্তমান গতানুগতিক প্রাত্যহিকতা। ছকেবাঁধা জীবনসংগ্রামের বৈচিত্র্যহীনতায় বিবর্ণ ভাবনায় গভীর অবসাদের দীর্ঘ ছায়াপাত। চেতনায় বেঁচে থাকার ঝিমমারা অনুভব। একঝলক টাটকা বাতাসের জন্য ক্লিষ্ট প্রাণের হাঁকুপাঁকু ব্যাকুলতা। তবু গড়িয়ে চলে জীবন। মনের রুদ্ধদুয়ারে ঠকঠক কড়াঘাত। কে গো তুমি? আমি গো আমি। ভিতরের বাউল-মানুষটা সাড়া দেয়। চলো গো ঘুরে আসি। কোথায়? আরে ওই যে যেখানে ---- যেখানে অচেনা আকাশ। অজানা পথ। অদেখা মানুষ। অননুভূত চারপাশ। যেখানে নিসর্গের কাব্যময়তায় প্রাণে জাগে আপনভােলা আবেগ। অনুভবে চুম্বন এঁকে যায় --- বেঁচে থাকার কতই না সুখ! ওই বাউল মানুষটাকে তখন বড় আপন মনে হয়। হাত বাড়িয়ে তার হাত ধরি। বলি, চলো গো তোমার সাথে ঘুরে আসি আবারো দূরে কোথাও, অনেক দূরে। আজো ওই বাউল-মানুষটাই ভরসা। ওর হাত ধরেই চার-দেওয়ালের বাইরে বেরিয়ে এই জগৎটাকে এখানেওখানে ছুঁয়েছুঁয়ে দেখি। এমনি ছুঁয়েদেখার যে অভিজ্ঞতার কথা এখন বলবো ---- তা' অনেকটাই পুরনো কিন্তু আমার কা...

Comments
Post a Comment