Skip to main content

উপন্যাসিকা ।। মুদ্রার উল্টো পিঠ ।। সুদীপ পাঠক

 


 উ প ন্যা সি কা

মুদ্রার উল্টো পিঠ 


সুদীপ পাঠক 

পর্ব : ১

বুক ভরা ভালোবাসা 

অঞ্জনা তার দুই ছানাপোনা নিয়ে বাপের বাড়ী এসেছে । মেয়ে বড় ছেলে ছোট । অন্নপ্রাশন হয়ে গেছে, সব ধরণের খাদ্যগ্রহণে অভ্যস্ত, মুখে বোল ফুটেছে, হাঁটতে পারে তবু তাদের দুগ্ধপোষ্য বললে ভুল হবে না । ওদের দিদিমার জিম্মায় দিয়ে ক'টা দিন হাত পা ছড়িয়ে থাকার মজাই আলাদা । বাচ্ছারাও দিম্মাকে পেয়ে আহ্লাদে আটখানা । 

তবে মিসেস অমিতা বর্ধন ডাকসাইটে মহিলা । কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ শুল্ক দপ্তরে উচ্চপদে চাকুরিরতা । স্বামী যতোটাই ব্যক্তিত্বহীন উনি ততোটাই রাশভারী । নইলে সংসার কবেই ভেঙেচুরে খানখান হয়ে যেতো । জীবন সংগ্রামে বহু উত্থান পতনের সাক্ষী তাঁর গুরুগম্ভীর মুখাবয়ব । মেয়ে স্কুলে পড়ার সময় পূর্বতন  কমপ্লেক্সের এক বখাটে ছোকরার হাত ধরে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায় । অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের ভুল বুঝতে পেরে মায়ের বুকে এসে আছড়ে পড়ে । অমিতা দেবী সস্নেহে লালন পালন করতে থাকেন নিজ সন্ততিকে । আত্মীয়স্বজন, পাড়া প্রতিবেশী, সহকর্মী ও পরিচিত জনের বহু কটূক্তি, ঠাট্টা তামাশা সহ্য করে বা উপেক্ষা করে সেই মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে উচ্চশিক্ষিতা করে সমাজের উপযুক্ত করে গড়ে তোলেন এবং যথা সময়ে পাত্রস্থ করেন । একমাত্র পুত্র সন্তান সস্ত্রীক আমেরিকার বোষ্টনে সেটেল্ড । উভয়েই আই টি সেক্টরের কর্মী । সহপাঠী থেকে জীবনসঙ্গী হয়েছে তারা । আগের সরকারী আবাসন পরিত্যাগ করে নতুন জায়গায় উঠে এসেছেন । এটি ফোর বি এইচ কে এ্যাপার্টমেন্ট । প্রশস্থ, প্রভূত আলো বাতাস যুক্ত, সর্ব সুবিধা সম্পন্ন ও অত্যাধুনিক সাজ সজ্জায় সজ্জিত । এ ব্যাপারে যথেষ্ট শ্লাঘা বোধ করেন মিমেস বর্ধন ।  

আর পাঁচটা মধ্যবিত্ত পরিবারের সাধারণ গৃহবধূর মতো আচরণ করেন না তিনি সে কথা বলাই বাহুল্য । নাতি নাতনীকে নিয়ে দেখনদারি আদিখ্যেতা তাঁর ধাতে নেই । জড়িয়ে ধরে চুমু খাওয়া বা অর্থহীন কথাবার্তায় ছেলে ভুলোনো এসবের ধারকাছ দিয়েও ঘেঁসেন না তিনি । সব কিছুতেই শিক্ষা রুচি ও আভিজাত্যের ছাপ বজায় রাখতে তিনি বদ্ধ পরিকর । দুপুরে খাওয়ার টেবিলে বাচ্ছাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকার সময়েও সে অভ্যাস বাদ যায় না । ওদের জিজ্ঞাসা করলেন
- তোমাদের মাকে নিয়ে তিনটে ভালো কথা বলতো শুনি । মায়ের এমন তিনটে জিনিস যা তোমাদের খুব পছন্দ । 
কুঁড়ি-ঋভু তৎক্ষণাৎ একবাক্যে সমস্বরে চিৎকার করে বলে উঠলো
- মাম্মামের বুবু...
সেই সঙ্গে তাদের সরল নিষ্পাপ মুখে হাসি ফুটেছে ! 
অমিতা অঞ্জনা উভয়েই লজ্জায় অধোবদন হয় । কোনো প্রকারে প্রসঙ্গ পরিবর্তন করে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন । পরে অবশ্য বাচ্ছারা ঘুমিয়ে পড়লে মা মেয়ে পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে হেঁসে কুটপাটি যাওয়ার যোগাড় । 

অঞ্জনা তার মামার বাড়ীর ধারা পেয়েছে, খর্বাকৃতি ও পৃথুলা । গায়ের রঙ না ফর্সা না কালো ; হাল্কা গম রঙ্গা । কোমর পর্যন্ত লম্বা কুঞ্চিত ঘন কালো চুল ও আড়ম্বরহীন মুখমন্ডল । হাঁটলে গুরু নিতম্বের দোলা ও সর্বপরি তার সুডৌল স্তনযুগল সুতীব্র যৌন আকর্ষণ উদ্রেক করে । গোল-নিটোল ও ডাটো ; যেনো পাকা বেলফল । যেমন ভারী তেমনই নরম তুলতুলে । এক অদ্ভুত বৈপরীত্য ও সৌন্দর্যের মিশেল ।

বাচ্ছারা এখনো পর্যন্ত আদর কাঁড়ায়, স্তনবৃন্ত মুখে পুরে চুষতে থাকে । আশ্চর্যের ব্যাপার দুগ্ধ নিঃস্বরণ হয় যথারীতি ! অঞ্জনা নিজেই বুঝতে পারে না এর উৎস কি ? অবাক লাগে তার ! মনে পড়ে প্রথম সন্তান প্রসবের পর স্তন্যপান করানোর অভিজ্ঞতা । খেতে খেতে শিশুটা যেনো দিশাহারা হয়ে যেতো । হাঁপিয়ে উঠে পরক্ষণেই আবার আকঁড়ে ধরে কচি দুই হাতে । ওর কাছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি, আকারে আয়তনে ও দুধের পরিমাণে । ফলে ও যেনো থৈ পায় না । দ্বিতীয় সন্তানের জন্মের পর সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি । অঞ্জনা বর্ণনাতীত আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায় । পুলকানুভূতি ছড়িয়ে পড়ে সারা শরীরে । নারীত্বের পূর্ন মহিমায় আজ সে ভাস্বর । বিকশিত দুই স্তন থেকে বিন্দু বিন্দু অমৃতধারা ঝরে পড়ে ; তার দেহ মন আত্মা বিবশ হয়ে যায় ।  

রাত প্রায় ন'টার কাছাকাছি অনুপম এলো । সঙ্গে ঝকঝকে ব্র্যান্ড নিউ এ্যান্ড্রয়েড ফোন ।  শ্বশুরমশাইয়ের  আদ্যিকালের কি-প্যাড ওয়ালা হ্যাণ্ডসেট তার ব্যঙ্গের খোরাক যোগায় । দীর্ঘ দিন টোন টিটকিরি কাটার পর আজ সে শ্বশুরকে দান করছে । তার বীরের দর্প ঠেকায় কার সাধ্য ? ইতিপূর্বে সে শ্বশুরমশাইকে একাধিক ভোগ্যপণ্য দান করেছে, যথা এল ই ডি টিভি, রিস্ট ওয়াচ, ব্লাড প্রেসার ও সুগার মাপার ইলেকট্রনিক যন্ত্র ইত্যাদি ইত্যাদি । বৃদ্ধ মানুষটি কৃতজ্ঞতায় আনত হয়ে থাকে । অনুপম সেটা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করে । তার মতে শ্বশুরকে তার শাশুড়ী ও তাঁর মেয়ে অর্থাৎ তার বৌ 'শৃঙ্খলিত কুত্তা' বানিয়ে রেখেছে । বেচারা নিজের ঘরেই বন্দি জীবনযাপন করছেন । যেহেতু তার একার পক্ষে এর সম্পূর্ন প্রতিকার করা সম্ভব নয় তাই সান্তনা পুরস্কার স্বরূপ এই সব উপঢৌকন প্রদান । 

আজ শনিবার রাত্রিবাস ও আগামীকাল রবিবার গোটা দিনরাত শ্বশুর বাড়ীতে অবস্থান করবে অনুপম । অঞ্জনার কাছে এটা খুব চেনা ছক । যখনই তার স্বামী সংসারের নিত্য প্রয়োজনীয় বস্তু বা বাচ্ছাদের জন্য কিছু বা তার জন্য শাড়ী গয়না জুতো প্রসাধনী সামগ্রী কিনে দিয়েছে সেই রাতে সে তার শরীর ছিন্নভিন্ন করেছে । পর্বত আরোহীগণ তুঙ্গশীর্ষে পৌঁছলে চিহ্ন স্বরূপ যেমন ঝাণ্ডা গেঁড়ে দেয় এও ঠিক তেমনি । বলপূর্বক অধিকার কায়েম করা, পৌরুষের নিদর্শন । কখনো জানার চেষ্টা করেনি তার স্ত্রী আগ্রহী কিনা ! তার দেহ মন আজ যৌনমিলন চাইছে কিনা । নিদেন পক্ষে স্ত্রী সুস্থ আছে কিনা । অন্য দিনের তুলনায় তখন বেশি হিংস্র হয়ে ওঠে অনুপম । অঞ্জনা সব থেকে বেশি বিড়ম্বনায় পড়ে বাপের বাড়ীতে এলে । মানা করা সত্ত্বেও সে পিছু ধাওয়া করে । যদিও এখানে স্থান সংকুলানে কোনো বাধা নেই । কোনো কিছুই অপ্রতুল নয় ; তবু বাবা মা তো সবই বুঝতে পারেন । ছি ছি কি লজ্জা ! কুঁড়ি ঋভু দিম্মার কোল ঘেঁষে অঘোরে ঘুমোয় । তাদের দাদু থাকে নিজের মতো এক কোণে । দক্ষিণ খোলা এ্যাটাচ্ বাথরুম যুক্ত ঘরটা বিশেষ পছন্দ অনুপমের । নৈশাহার শেষ হলেই সুড়ুৎ করে ঢুকে পড়ে আর ধূমপান করতে করতে ঘন ঘন কাশতে থাকে । এটা হলো সিগনাল "বলি আর কতক্ষন লাগবে ?" লজ্জার মাথা খেয়ে অঞ্জনা ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয় । 

মাষ্টার ডিগ্রী কমপ্লিট করে অঞ্জনা তখন ছোটখাটো যে কোনো ধরণের একটা চাকরীর জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে । প্রতিবারের মতো এবারও বিপদতারণ ছাই ফেলতে ভাঙ্গা কুলো সেই সুবুদ্ধ, তার বেস্ট বাডি । প্রকৃত অর্থে ফ্রেণ্ড ফিলোসফার গাইড । সময় ভালো অথবা খারাপ সর্বদা যাকে পাশে পাওয়া যায় । সুবুদ্ধ ততোদিনে জুনিয়ার ক্যাটাগরিতে ন্যাশানাল ফেলোশীপ পেয়ে কলকাতার ফটোগ্রাফির জগতে একটা প্রতিষ্ঠিত নাম । সে হাতে ধরে নিয়ে গেল শম্ভুর অফিসে যে কিনা একদা তার ফটোগ্রাফি ক্লাসের ব্যাচমেট এবং চার্টাড এ্যাকাউটেন্সি নিয়ে পড়াশোনা করে বর্তমানে একজন সফল ট্যাক্স কনসালটেন্ট । অঞ্জনা কিছুদিন কাজ করলো সেখানে, তারপর শম্ভুর পরামর্শে শিফ্ট করলো অনুপমের অফিসে । কমার্স না জানলে শম্ভুর অফিসে কাজের সুবিধা হয় না উল্টো দিকে অনুপমের অফিসে সে সবের বালাই নেই । মূলত ফ্রন্ট অফিস জব । একই বিল্ডিংয়ে একই ফ্লোরে অফিস । যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে থাকে অঞ্জনা । তবে অনুপম যে সেলারি দিতো সেটা কহতব্য নয় । তবু মুখ বুঝে সব মেনে নিয়েছিল সে । লক্ষ্য সরকারী চাকরী । তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলো যথারীতি । কিন্তু ললাটের লিখন বলে একটা কথা আছে না ? মাস চারেক যেতে না যেতেই অনুপম বেধড়ক প্রপোজ করে বসলো । মেয়েটার বুক কেঁপে উঠলো । অপরিনত বয়েসে হটকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে যে ভুল সে করেছে তার পুনরাবৃত্তি আর করবে না কিছুতেই । এ দিকে অনুপম নাছোড়বান্দা । অনন্যপায় হয়ে ফেলে আসা জীবনের অতীত ইতিহাস উজাড় করে দিলো অঞ্জনা । প্রত্যাশা এই যে যদি অনুপম সত্যিই একজন আধুনিক মানুষ হয় তবে সব কিছু জেনে বুঝে নিঃসংকোচে নির্দ্বিধায় সহজ সুন্দর ভাবে তাকে গ্রহণ করবে । অনুপম একবাক্যে রাজী ! অঞ্জনা ততোধিক বিস্মিত ! তবে অনুপমের ইচ্ছে আগে কিছুদিন রোম্যান্স পর্ব চলুক, বেশ একটা আশনাই আশনাই ভাব তারপর না হয় বাড়ীতে বলা যাবে খন । কিন্তু অঞ্জনা বেঁকে বসলো, অসম্ভব । ঐ পথে সে আর পা বাড়াবে না । সে শর্ত দিলো যা বলার তার মাকে বলে গোটা বিষয়টা অফিসিয়াল করতে হবে ও রিলেশনে শীলমোহর দিতে হবে, তবেই সে এগোনোর কথা ভাববে নচেৎ নয় । অনুপম কুইনাইন গিললো, বছর ঘোরার আগেই ছাদনাতলায় চার চক্ষুর মিলন ও সাতপাক ঘোরা সম্পূর্ন হলো তাদের ।

বিয়ের দিন যতো এগিয়ে আসতে থাকে অনুপমের অকপট স্বীকারোক্তি অঞ্জনার হৃদয়ে যুগপদ ভালোলাগা ও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে । মূলত শরীরী আকর্ষণের জন্যই নাকি অঞ্জনাকে তার এতো ভালোলাগে । সুতীব্র কামনা বাসনা তাকে ধাবিত করে তার প্রতি । প্রথম প্রথম শুনতে মন্দ লাগে না । নিজের রূপযৌবন, শরীরী সৌন্দর্য্যের প্রশংসা শুনতে কোন মেয়ের না ভালো লাগে ? কিন্তু বিয়ের পর ছবিটা পরিষ্কার হতে থাকে ধীরে ধীরে । ফুলশয্যার রাতে অনুপম যখন কামড় বসায় তার দুই বুকে সে তখন যন্ত্রণা অস্বীকার করে প্রেমজ শিহরণ সন্ধান করে । মধুচন্দ্রিমায় একই জিনিষের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে অনুপম বলে এতো "রসালো ডাঁসা মাগী" তার কপালে ছিলো সে কল্পনা করতে পারেনি । তখনো অঞ্জনা উপেক্ষার প্রশ্রয় দেয় । যুক্তি তৈরী করে এসব ক্ষেত্রে স্ল্যাং যৌন মিলনে উদ্দীপনা সৃষ্টি করে । এটা সাময়িক ব্যাপার, ভিতরের মানুষটা নিশ্চই মন্দ নয় ? প্রথম প্রথম তার স্তন নিয়ে অনুপমের আগলপাগল হওয়া, উন্মাদের মতো আদর করার ভঙ্গি যথেষ্ঠ উপভোগ্য ছিলো অঞ্জনার কাছে । তার বক্ষদ্বয় "পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সৌন্দর্য্যের প্রতীক" আখ্যা দিয়ে ফ্যান্টাসি রচনা করতো সে আর অঞ্জনা মোহিত হয়ে ডুবে যেতো সেই কল্পসাগরে । কিন্তু অচিরেই তার ভুল ভাঙ্গে । প্রথম সন্তানের জন্মের আগেই সে উপলদ্ধি করে প্রকৃতপক্ষে অনুপম একটি সেক্স ম্যানিয়াক । আদ্যন্ত নারীমাংস লোভী, বিকৃতকাম, নিম্নরুচির পুরুষ । সাংঘাতিক পরশ্রীকাতর, হিংসুটে ও সন্দেহবাতিক । যে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা, সামাজিক প্রতিষ্ঠা এবং নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে সে অনুপমের প্রস্তাবে সম্মতি ও গলায় পুষ্পমাল্য দিয়েছিলো সেটা বাইরে থেকে এক প্রকার সত্যি বলে মনে হয় বটে তবে আদতে সেটা ভয়ঙ্কর চোরাবালির ফাঁদ । অঞ্জনার পায়ের তলায় মাটি টলে ওঠে, মাথা ঘুরতে থাকে । প্রেমিক পুরুষ তো দূরস্থান এই প্রাণীটিকে লিগ্যাল হাসব্যান্ড বলতেও জিভে আটকায় । কিন্তু ফেরার আর কোনো পথ নেই, নিজের পায়ে নিজেই কুড়ুল মেরেছে । ততোদিনে সে অন্তঃসত্ত্বা ।  

প্রজনন অঙ্গ সংক্রান্ত কিছু সমস্যার কারণে বিয়ের বেশ কয়েক বছর পর মাতৃত্বের স্বাদ পায় অঞ্জনা । সেই সময়টা যথেষ্ঠ কঠিন গেছে তার । এ হেন ব্যক্তি নেই যে কৌতুহলী প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে দিতে কসুর করেছে । সেই সঙ্গে ন্যায্য পাওনা হিসাবে শ্বশুর বাড়ীর গঞ্জনা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় । স্বামীর মানসিক সমর্থন ও সহযোগিতা লাভ তো দূরস্থান উল্টে 'বাঁজা মাগী' তকমা সেঁটে বসেছিলো কপালে । সেই সঙ্গে রেগুলার 'ম্যারিটাল রেপ' চলেছে । তবে সব বাধা অতিক্রম করে মা হওয়ার পর জীবনের নতুন অর্থ ও সার্থকতা খুঁজে পেয়েছে মেয়েটা । সুখী গৃহবধূ রূপে সমাজে নিজের পরিচয় তৈরী করতে সক্ষম হয়েছে । বাড়ীতে বসেই বুটিক চালায় । নিতান্ত প্রয়োজন ছাড়া বরের সঙ্গে তার কথা হয় না । অনুপম রুটিন মাফিক তার শরীর ধামসায় । প্রেমহীন মৈথুন, না আছে সুখ আর না আছে পরিপূর্ণতা । এখন শুধু সন্তানের মুখ চেয়ে বাকি জীবনটা অতিবাহিত করা ছাড়া গত্যান্তর নেই । আজও তার ব্যতিক্রম হয়নি । সম্পূর্ন উলঙ্গ করে খাটে চিৎ করে ফেলে লোকটা ওপরে চড়ে বসেছে । সজোরে চেপে ধরেছে তার ভারী বক্ষযুগল । উদ্দাম দলাইমালাই করছে, পিষে ফেলতে চায়, যেনো নিংড়ে জল বের করতে চায় । অঞ্জনার দুই হাত মাথার পিছনে, আত্ম সমর্পনের ভঙ্গি । তার নিরাসক্ত ভাবলেশহীন মুখ  অনুপমকে রাগিয়ে তোলে । দৃঢ় ও উদ্ধত সিষ্ণু যেনো কিঞ্চিৎ নরম হয়ে নেতিয়ে পড়ে । ঠিক এই মুহূর্তের অপেক্ষায় ছিলো মেয়েটা । খুব মৃদু স্বরে অঞ্জনা বললো 
- আচ্ছা তোমার একঘেঁয়ে লাগে না ? ক্লান্তি আসে না ? দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর...
অনুপমের চোয়াল শক্ত হলো । স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল অল্প সময় । তারপর অঞ্জনার স্তনবৃন্ত দাঁত দিয়ে কামড়ে টেনে ধরে উচ্চারণ করে নয় সে বরং মনে মনে বললো "তোর মতোন ডিভোর্সী এঁটো মাগীর কাছে আমার আর চাওয়ার কি থাকতে পারে শুনি ?" 
অঞ্জনা জিজ্ঞাসা করলো 
- কিছু বললে ? 
অনুপম চমকে উঠলো ! শুনতে পেলো না কি ? কিন্তু তা কি করে সম্ভব ? অপ্রস্তুত ভাব কাটিয়ে উঠে কোনো মতে 'না' বলে পুনরায় স্তনে মনোনিবেশ করলো । 
বালিশের নীচে থেকে মোবাইল বের করে অঞ্জনা বললো
- একটা জিনিষ দেখো ...
- এখন আবার কি ? 
অঞ্জনা তার চোখের সামনে মোবাইল স্ক্রীনে একটা ছবি মেলে ধরেছে । অনুপম দেখছে ম্যালনিউট্রিশনে আক্রান্ত এক মহিলা ; অতি শীর্ণকায়, হাড় পাঁজরা সার । ততধিক শুষ্ক তার দুই ঝুলন্ত স্তনের বোঁটা মুখে পুরে চুষছে দুই শিশু । তিনজনেরই মুখে অনাবিল সুখের হাসি । হাসছে, ওরা খিলখিল করে হাসছে । অনুপম সম্পূর্ন হতবাক হয়ে গেছে ! বললো 
- এসবের মানে কি ? 
- ওরা কি নিয়ে এতো খুশী আছে বলতে পারো ? 
- কথ্যেকে পেলে ? 
- রেকি স্টিল । এবার ডকুমেন্টারি শ্যুট হবে । 
- মানে ? 
- বিহার ঝাড়খণ্ডের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘুরে ঘুরে এই ছবিগুলো তুলেছে সুবুদ্ধ । একটা এনজিওর অ্যাসাইনমেন্ট বেজড প্রজেক্ট । 
অনুপম এবার দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে ঝাঁঝালো গলায় বললো 
- রাতে স্বামীর সঙ্গে বিছানায় শুয়ে পর পুরুষের কথা চিন্তা করিস ? তুই তো দেখছি পাক্কা খানকি ! 
নির্লিপ্ত কণ্ঠে অঞ্জনা বললো
- সুবুদ্ধ কাজ করে, মানুষের জন্য কাজ করে...
অনুপম সাংঘাতিক উত্তেজিত হয়ে বললো 
- আর আমি ! আমি কি সারাদিন বসে বসে বাল ছিঁড়ি ? 
- বলাই ষাঠ ! তুমি তো খুব বড় কাজের লোক । এই যেমন এখন কাজ করছো । থামলে কেনো ? চালিয়ে যাও ...
দ্বিগুণ জোরে অনুপম তার ন্যুব্জ পুরুষাঙ্গ অঞ্জনার যোনিপথে প্রবেশ করাতে সচেষ্ট হয় । অঞ্জনা হাসি চাপতে না পেরে ফিক করে হেসে ফেলে । মনে মনে বলে "শুয়োরের বাচ্চা একটা" । অনুপম জিজ্ঞাসা করে
- কিছু বললে ? 
-  কৈ না তো ! 
- মনে হলো যেনো । 
- মনের ভুল । 
- ঐ শয়তানটা এখনো তোমার ব্রেন নিয়ে খেলছে ! 
- আর তুমি খেলছো আমার শরীর নিয়ে । 
অনুপম পুনরায় নিষ্পেষণ শুরু করলো । হাসতে হাসতে ক্রমশঃ আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে ওঠে অঞ্জনা । বুটিক হাউসটাকে আরও সিরিয়াসলি নিতে হবে, অনেক বড় করতে হবে । স্বনির্ভর তাকে হয়ে উঠতেই হবে । যেমন ভাবে মা তাদের দুই ভাই বোনকে বুকে আগলে রেখেছিলো সেও তেমনি নিজের সন্তান সন্ততিকে রাখবে । 
... আর তার বড় বুকের সুখ্যাতি তো ভুবনবিদিত তাই না ? দু' চোখের পাতা ঘুমে ভারী হয়ে আসে । 

পর্ব : ২ 

অর্ধসত্য 

রহস্য ! 
শব্দটা লিখিত , পঠিত বা উচ্চারিত হলেই চোখের সামনে গণ্ডায় গণ্ডায় দেশী বিদেশী গোয়েন্দা চরিত্র ভিড় জমায় । তারা সবাই সাহিত্যের কাল্পনিক চরিত্র ; এদের মধ্যে কেউ কেউ বইয়ের পাতা থেকে জলজ্যান্ত রক্ত মাংসের রূপ ধারণ করে মঞ্চে অবতীর্ণ হন আবার কেউ বা রূপোলী পর্দা জুড়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটান ! আমজনতা সে সব পড়তে পড়তে দেখতে দেখতে বলা ভালো গিলতে গিলতে এক সময় নিজের অজান্তে কখন যেন তাদের সত্যি বলে ধরে নেয় ! তাদের বাস্তব অস্তিত্ব স্বীকার করে নিতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা বোধ করে না । একেই বলে সার্থক শিল্পসৃষ্টি , বিদেহী আত্মার সাকার রূপ লাভ ! 

রহস্য বললেই খুন জখম রাহাজানি আরো হাজারো অনৈতিক , অসামাজিক ও বেআইনি কার্যকলাপের কথা সর্বাগ্রে মনে আসে । কিন্তু ব্যাপারটা কি সত্যিই তাই ? জীবন দেবতা মনুষ্য জীবন সৃষ্টি করেছেন এবং মানুষকেই তা উপহার দিয়েছেন । শুধু তাই নয় রহস্য রোমাঞ্চ সবই দিয়েছেন পূর্ন মাত্রায় । যার যতটুকু দরকার ঠিক ততটাই ; স্রষ্ঠার পরিমিতি বোধ অকল্পনীয় ! ঢিমে আঁচে জ্বাল দিচ্ছেন তরল রস , জীবন আয়ুধ । সুনিপুণ দক্ষতায় নির্ভুল অনুপাতে মিশিয়ে দিচ্ছেন সব কয়টি উপাদান । থ্রিল অফ্ লাইফ লুকিয়ে আছে সেখানেই । খুঁজে নেওয়ার দায়িত্ব যার যার নিজের । তবে এই অনুসন্ধান ব্যাপারটি অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঝুঁকি পূর্ন । অনেকটা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইনভেস্টমেন্টের মতো , সাবজেক্ট টু মার্কেট রিস্ক । লাগে তুক , না লাগে তাক ! ফাটকা খেলায় যেমন চোখের পলকে আশাতীত লাভ আবার পর মুহূর্তেই নেংটাফকির । রবি ঠাকুরের সেই ডিটেকটিভ গল্পের মতো , নায়কের কি পরিণতি হয়েছিলো তা আর কারোর অজানা নয় । সেও এমনি আঁতিপাতি করে সর্বত্র রহস্য খুঁজে বেড়াতো । সাধারণ মানুষের এই মামুলি জীবন তার কাছে বড়ই পানসে জোলো আলুনি বলে ঠাওর হতো । তারপর একদিন কি জানা গেলো ? ওরে বাপরে বাপ ! বাঘের ঘরে ঘোঘের বাসা । 

অঞ্জনার বিয়ে হয়েছে নয় নয় করে বিশ বছর হলো । তাও যখনই বাপের বাড়ী আসে সময় সুযোগ পেলেই সুবুদ্ধ কে একবার ডাকে । সুবুদ্ধ প্রতিবারেই যে সাড়া দিতে পারে এমন নয় । তখন আবার মেয়ে অভিমানে ঠোঁট ফোলায় । সেই কবে কলেজের ফার্স্ট ইয়ারে পা রেখে দু'জনার সাক্ষাৎ হয়েছিলো । প্রায় তিন দশক হতে চললো । সম্পর্ক ক্রমশ ক্ষীণতর হলেও সম্পূর্ন ছিন্ন হয় নি । অঞ্জনা খাটের ওপর হাত পা ছড়িয়ে বসে মনের সাধ মিটিয়ে স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি-ননদ-দেওর সকলের নিন্দে করে আর সুবুদ্ধ ম্যাগাজিনের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে হুঁ হাঁ করে ঠেকা দিয়ে যায় । অথচ প্রেম করে বিয়ে করেছে , কথাটা ভেবে বেশ অবাক লাগে বৈকি ! শেষটা কত তম ছিলো সেটা ওই ভালো বলতে পারবে । কলেজে তিন বছরে অন্ততঃ হাফ ডজন তো বটেই । তারপর বিয়ের আগে পর্যন্ত সংখ্যায় বেড়ে কতো হয়েছে সে খবর সুবুদ্ধর জানার কথা নয় । কিছু কিছু অঞ্জনা নিজেই বলেছে অবশ্য । এমন কি সম্পর্কের গভীরতা বা ঘনিষ্ঠতা কতো দূর গড়িয়েছে তাও । অর্থাৎ সোজা কথায় ফিজিক্যাল রিলেশনের অনুপুঙ্খ বর্ণনা না হলেও আভাসে ইঙ্গিতে যতটুকু বলা যায় আর কি । একবার তো বিস্ময় দমন করতে না পেরে সুবুদ্ধ জিজ্ঞাসা করে বসলো 
- আচ্ছা তুই যে আমাকে এসব বলিস তোর লজ্জা করে না ? 
- না , এক ফোঁটাও না ! 
- কিন্তু কেনো করে না ? 
- কেনো করবে বল ? 
- কারণ করা উচিৎ তাই ! 
- দুনিয়ায় একমাত্র তুই আছিস যার কাছে আমি নির্লজ্জ বেহায়া হতে পারি নির্দ্ধিধায় । বুঝিস না ? 
- বেশ সে না হয় বুঝলাম কিন্তু কেনো বলিস ? কি লাভ হয় বলে ?
- জানি না , তবে খুব ভালো লাগে তাই বলি । 
- মানে ? 
- একটা ছেলের কাছে অন্য একটা ছেলের ব্যাপারে বলার মধ্যে আলাদা মজা আছে , দারুন সুখ ! ওসব তুই বুঝবি না । 
- হুম্ ... 

বছর পাঁচেক আগের কথা ...  
দুই সন্তানের জননী চর্বি ভারাক্রান্তা সুখী গৃহিণী সেবারেও এসেছে পিত্রালয়ে এবং যথারীতি ডাক পড়েছে 'বেষ্ট বাডির' । আশ্চর্য্যের বিষয় হলো সেবার পিএনপিসির জন্য শ্বশুরকুল নয় বরং বেছে নিলো নিজের ভাই ও নব বিবাহিতা ভ্রাতৃবধূকে । তার আগে অবশ্য একপ্রস্থ বাক্যবাণ বর্ষণ করার পালা । কারণ কি ? কেনো সুবুদ্ধ বাবাইয়ের বিয়ে এ্যাটেন্ড করে নি তাই ? যতোই বলে বোঝাবার চেষ্টা করা হোক না কেনো যে সে সময় তার শ্যুটিং স্কেডিউল ছিলো , সে রামোজী ফিল্ম সিটিতে গিয়েছিলো । প্রফেশনাল কমিটমেন্ট , জীবিকার প্রশ্ন কিন্তু কে কার কথা শোনে ! ভবি ভোলবার নয় । অগত্যা সুবুদ্ধ হাল ছেড়ে দিয়ে চায়ের কাপে মনোনিবেশ করলো । কিছুক্ষণ গুম মেরে থাকার পর অঞ্জনা টপিক চেঞ্জ করলো । তাকে ছেড়ে দেবাঞ্জলীকে নিয়ে পড়লো । সপ্রতিভ ঝকঝকে মেয়েটি নিজে থেকেই আলাপ পরিচয় করে গেলো একটু আগে । যে চায়ে সে চুমুক দিচ্ছে সেটাও তারই বানানো । কৈ তার তো কোনো অসঙ্গতি চোখে পড়লো না ! দেবতনু অর্থাৎ বাবাই ও দেবাঞ্জলি উভয়েই আই টি প্রফেশনাল । কলিগ থেকে লাইফ পার্টনার ; মেট্রো জেন এক্সদের চেনা ছক । 
- তুই ঘোড়ার ডিম বুঝিস্ আর বুঝবিটাই বা কি করে শুনি ? যে কে সেই ব্যাচেলরই তো রয়ে গেলি । 

মুখ বুঁজে খোঁচাটা সহ্য করে নেয় সুবুদ্ধ । সে জানে প্রত্যুত্তর দিয়ে কোনো লাভ নেই । অঞ্জনা বিষোদগার করেই চলেছে । ওর অভিযোগ বিস্তর । বাবাই নাকি সম্পূর্ন বদলে গেছে ! বৌয়ের চাকর হয়ে গেছে । এখন নাকি সকলের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে ! ওদের জ্বালায় তার বাপের বাড়ী আসা ডকে ওঠার জোগাড় । বাবাই স্পষ্ট মানা করেছে , বলেছে "দিদি তুমি এলে আমাদের খুব অসুবিধা হয় , বোঝো না কেনো ? দয়া করে তুমি আর এসো না" । এসব কি সত্যি ? সুবুদ্ধ হিসাব মেলাতে পারে না ! সেই বাবাই , যাকে অল মোস্ট ন্যাংটাপুটুস দেখেছে ! দিদি অন্ত প্রাণ ভাই , ছেলেবেলায় খুব নেওটা ছিলো তার । 
মনে পড়ে অগুন্তি প্রেম করার পর চূড়ান্ত ক্লান্ত হয়ে অঞ্জনা তখন বিয়ের জন্য ডেসপারেট হয়ে উঠেছিলো । একদিন প্রবল সোহাগ জড়ানো আবেগ মথিত কণ্ঠে বললো 
- জানিস বাবাই কি বলেছে ? 
- কি ? 
- বললো দিদিভাই তুমি সুবুদার কথা ভেবে দেখতে পারো ; আর যাই হোক সুবুদা তোমায় কখনো কষ্ট দেবে না । বুঝে দেখ ... 
অর্থাৎ 'একবার ডাকিলেই যাইবো' । সুবুদ্ধ মনে মনে ভেবে হেঁসে কূলকিনারা পায় না । ওরে সে গুড়ে বালি । আমি ঘুঘুও দেখেছি ফাঁদও চিনি । কিন্তু সেই বাবাইয়ের এতোটা পরিবর্তন ! এবং সেটাও সদর্থক নয় নঞর্থক দিকে । 'স্মৃতি সতত সুখের' এই প্রবাদ সর্বদা কার্যকর হয় না , কখনো কখনো তা পীড়াদায়ক হয় । কাঁটার মতো বেঁধে । 


কাট টু : ২০২১
নির্বাচন , পুনরায় লক ডাউন এবং কোভিদ বিধিকে সম্পূর্ন বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পুজোর বেপরোয়া হৈ হুল্লোড় কেটে যাওয়ার পর পরিস্থিতি যখন কিছুটা শান্ত তখন একদিন সুবুদ্ধ সল্টলেক সিটি সেন্টারের কাছে শম্ভুর অফিসে এসে হাজির হলো । সেই পঁচানব্বই সালে দু'জনে একসাথে স্টিল ফটোগ্রাফির ক্লাস জয়েন করেছিলো । কালক্রমে শম্ভু হলো ট্যাক্স কনসালটেন্ট আর সে ফিল্ম মেকার । বিনামূল্যে প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তি সেরে বেরিয়ে টালিগঞ্জগামী বাসের সন্ধান করছিলো সে ; এমন সময় সেন মহাশয়ের সঙ্গে মুখোমুখি । অনুপম , অঞ্জনার বর । অবশ্য বর্বর বললেও অত্যুক্তি হবে না । নির্লজ্জ সেক্স ম্যানিয়াক , ওর বৌয়ের মুখেই শোনা । ব্যাপারটাকে অত্যাচারের পর্যায়ে নিয়ে যায় । সুবুদ্ধ তাকে চরম ঘেন্না করে । কারণ শুধু মাত্র ওটাই নয় , লোকটা কাঠ গোঁয়ার , বিভৎস টাকার গরম , ভয়ঙ্কর অসামাজিক । দেখা হতেই দন্ত বিকশিত করে সে কি হাসির ছিরি ! আহা চক্ষু জুড়িয়ে যায় , প্রাণ ভরে যায় , হাড় জ্বলে যায় , শালা । তারা পরস্পরকে চূড়ান্ত অপছন্দ করে উভয়েই বোঝে নিঃসন্দেহে ? 

কথা নেই বার্তা নেই হাত ধরে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে চললো নিকটবর্তী কফিশপে । বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই । গায়ের জোরে এই পাষন্ডর সঙ্গে সে এঁটে উঠতে পারবে না নিশ্চিৎ । ওদের বিয়ের পর প্রথম প্রথম এই প্রাণীটি খুব হেঁক্কাড় দেখাতো , সাংঘাতিক গেরেম্ভারি চাল । ভাবখানা এমন "কি হে বাছাধন আশেপাশে অনেকের সঙ্গে তুমিও তো ছিলে লাইনে ? কিন্তু ঘুরঘুর কি লাভ হলো ? আল্টিমেটলি অঞ্জনাকে হাশিল করলাম তো আমি ! তোমরা সবাই বুড়ো আঙুল চুষবে এবার । কিম্মজা কিম্মজা" ! এটা অনুমান করতে খুব বেশি চিন্তা করতে হয় কি ? অনুপমের ব্রেন রিডিং করে সুবুদ্ধ মনে মনে হেঁসে কুটোপাটি যাবার জোগাড় । বিশ বছরে ক্রমশঃ মুড়কির পাক মরে এসেছে । আগের সেই ঝাঁঝ আর নেই তবে ওপর চালাকি বজায় আছে ঠিকই । 

চেয়ারে বসে কফির অর্ডার দিয়েই প্যাঁচাল পাড়তে শুরু করলো । অঞ্জনার সম্পর্কে অনর্গল কুৎসা । সুবুদ্ধ এতক্ষণ অসীম ধৈর্য্য ধারণ করে ছিলো , মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে দেখে টেবিল চাপড়ে বলে ওঠে 
- প্লীজ স্টপ ইট । তোমার লজ্জা করে না ? আমার কাছে বৌয়ের নামে নিন্দেমন্দ করছো ! 
- নিজের বৌয়ের নিন্দে করবো না তো কি পরের বৌয়ের করবো ? হা হা হা ... 
- ছিঃ , এই জন্য আমাকে টেনে আনলে ? যে মহিলা তোমার দু' দুটো বাচ্চা পেটে ধরেছে ও জন্ম দিয়েছে তার সম্পর্কে ...! বিশ বছরের বিবাহিত জীবন তোমাদের , তারপরও এই সব ? 
- আরে থামো থামো , আমি হাতেনাতে পাকড়াও করেছি । সে খবর রাখো ? 
- মানে ? কিসের কথা বলছো ? 
- রেগুলার ক'জন ছেলের সঙ্গে চ্যাট করে জানো ? 
- না জানি না আর জানতেও চাই না । 
- হুঁ তা জানবে কেনো ? তাতে যে তোমার মুখ পুড়বে । 
- কি যা তা বকছো ? 
- যা তা ? বিয়ের আগে থেকে কতো জনের সঙ্গে ওর লটঘট ছিলো সব তুমি জানো খুব ভালো মতন । অস্বীকার করতে পারবে ?
- তুমি কি আমাকে ধীরে ধীরে ব্লাইন্ড লেনের দিকে ঠেলে নিয়ে যেতে চাইছো ? তাতে কিন্তু তোমার বিশেষ সুবিধা হবে না অনুপম । 
- আমি তো তোমায় কিছু বলছি না !
- আলবৎ বলছো , ডাইরেক্টলি নয় ইনডাইরেক্টলি । 
- কি রকম ?
- কচি খোকা , আমার কাছে অন্যদের ব্যাপারে সন্দেহ প্রকাশ করছো । আমার অনুপস্থিতিতে ঠিক এই একই কাজটা করবে অন্যদের কাছে আমার নামে । কি তাই তো ? 
- আরে না না , কি যে বলো ? তোমার ব্যাপারে আমি ক্লিয়ার । 
- ওহ্ রিয়েলি ! কি ভাবে শুনি ? 
- তুমি জেন্টলম্যান , আমি জানি । সেটা প্রথম দিন তোমাকে দেখেই বুঝেছি । 
- আমার পরম সৌভাগ্য , বাঁধিয়ে রাখার মতো সার্টিফিকেট বটে ।  
- বাদ দাও ।
কফির পেয়ালায় দু'য়েক সিপ্ দিয়ে সে পুনরায় গজরাতে লাগলো 
- রান্নার মাসী , বাসন মাজার ঠিকে ঝি এছাড়াও ঘরদোর টয়লেট সাফ করার আলাদা লোক । কটা মিডিল ক্লাস ফ্যামিলিতে আছে শুনি ? বৌ আমার কি করে ? না শুধু শাড়ী কিনছেন আর সারাদিন পায়ের ওপর পা দিয়ে বসে তাইতে আল্পনা আঁকছেন , ফুঃ ।
- ওর বুটিক চালানোটা কে তুমি সিরিয়াসলি নিতে পারছো না কেনো ?  
- রাখো তোমার বুটিক । এই শর্মা না থাকলে অনেক আগেই ফুটিক হয়ে যেতো । যতো ঢং আর ন্যাকামো । ইনভেস্টমেন্ট আমার আর প্রফিট সমস্তটা ঐ মাগীর ট্যাঁকে । 
- মাইন্ড ইয়োর ল্যাঙ্গুয়েজ । 
- খুব তো বান্ধবীর হয়ে এ্যাডভোকেসি করছো , বাবাইয়ের খবর কিছু জানো ? 
- যতটুকু জানার ততটুকুই জানি । ওরা স্বামী স্ত্রী বোষ্টনে সেটেল্ড । দুটো পিঠোপিঠি বাচ্ছা হয়েছে । আমার ফ্রেন্ড লিষ্টে আছে । 
- ওসব এফ বি মারিয়ে কিস্যু হবে না । বাবাই যে সুইসাইড এটেম্পট করেছিলো সে খবর রাখো ? দেবাঞ্জলী ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলো সে খবর রাখো ? কি মারাত্মক ডমিনেটিং নেচার তোমার বান্ধবী আর তার মা আই মিন তোমার সো-কল্ড কাকীমা মিসেস অনিমা বর্ধনের তুমি তার কিছুই জানো না । নিজের স্বামীকে চিরকাল ভেড়ুয়া বানিয়ে রেখেছে ঐ মহিলা , এবার মেয়েকে দিয়ে আমার ওপর সেই একই জিনিষ এ্যাপ্লাই করতে চায় । এমনকি নিজের ছেলে-বৌয়েরও রেহাই নেই ।

সুবুদ্ধু স্তম্ভিত , বাকরুদ্ধ । কোনো মতে অস্ফুটে বলে
- তারপর ?
সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করে অনুপম নাগাড়ে বলে চলে 
- তারপর আর কি , তখন এই নন-ইন্টেলেকচুয়াল ব্যবসাদার জামাই ভরসা । হসপিটাল থেকে শুরু করে থানা পুলিশের হুজ্জুতি সামাল দিলো কে ? মিডিয়ার মুখে ধামা চাপা দিলো কে ? কোথায় গেলো বর্ধন পরিবারের সফিষ্টিকেশিন ? আরে কোথায় গেলো মিসেস অনিমা বর্ধনের হাইলি ডিগনিফায়েড ইমেজ ? কোথায় গেলো সোশ্যাল স্ট্যাটাস ? কোথায় গেলো প্রেস্টিজ ? সব কি পোঁদের মধ্যে ঢুকে গেলো না কি ? বাবাই সুস্থ হয়ে ওঠার পর ওকে আর ওর বৌকে আলাদা করে ডেকে বলেছিলাম "তোরা দুটোতে বাঁচতে যদি চাস তবে এখান থেকে কেটে পড় , চিরকালের মতো" । 

এঁড়ে বাছুর যেমন হঠাৎ অকারণে খুঁটি উপড়ে দৌড়ে পালায় ঠিক তেমন করে এক ছুটে বাইরে এসে হাজির হলো সুবুদ্ধ । তার বুকটা ধড়ফড় করছে । ভীষণ সাফোকেটিং লাগছে । খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে খুব জোরে জোরে শ্বাস নিতে থাকে সে । তারপর যতো দ্রুত সম্ভব এ্যাপ ক্যাব ডেকে উঠে পড়ে । গাড়ী এগোচ্ছে , বাতাস বইছে সাঁই সাঁই করে , এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে তার মাথার চুল । ভাবনা গুলো ক্রমশঃ ক্রিস্টাল আকার ধারন করছে । ছেঁড়া ছেঁড়া টুকরো গুলো জোড়া লেগে তৈরী হচ্ছে একটা আস্ত ছবি । অনুপম একটু আগে যা বললো তা যদি সত্যি হয় তবে এতোকাল সে মূর্খের স্বর্গে বাস করেছে । পাঁচ বছর আগে সে যা জেনেছে বলা ভালো তাকে যা জানানো হয়েছে সেটা কয়েনের এক পিঠ । উল্টো পিঠটা সম্পূর্ন ভিন্ন । সেখানে একেবারে অন্য গল্প ঘাপটি মেরে বসে আছে ! 

হলিউডি ব্লকবাস্টার মুভির ক্লাইম্যাক্সে যেমনটা দেখা যায় ! ইন্ডিয়ানা জোন্স , জুমানজি , হ্যারি পটার , পাইরেটস অফ দ্য ক্যারিবিয়ান , ন্যাশনাল ট্রেজার্স , সাং চি এ্যাণ্ড দ্য লেজেন্ড অফ্ দ্য টেন রিংস্ ...তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হতে পারে । তবে সর্বত্রই স্ক্রিপ্টের একটা কমন ফ্যাক্টর রয়েছে ; হিরোর কাছে তালা আছে চাবি নেই অথবা উল্টোটা চাবি আছে তালা নেই । কোথাও বা পুরনো কারেন্সী নোটের আধখানা রয়েছে পকেটে বাকি আধখানার সন্ধানে হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে গোটা দুনিয়া । গুপ্তধনের অসমাপ্ত নক্সা অথবা দুর্লঙ্ঘ্য রহস্যপুরীর অসম্পূর্ণ মানচিত্র । কিছু মিসিং নিউমেরিক অথবা অ্যালফাবেট ; সে গুলো একবার হস্তগত হলে বা জোড়া লাগাতে পারলেই কেল্লা ফতে । চিচিং ফাঁক , চোখের সামনে খুলে যায় গুহার রুদ্ধ দ্বার । জমাট বাঁধা অন্ধকারময় পাপ দেহের ওপর সত্যের আলোকরশ্মি এসে পড়ে আর ঠিকরে ওঠে । তখনই ধাঁধিয়ে যায় চোখ , ঝলসে যায় মুখ , মস্তিষ্কে ধূসর কোষের স্থিতিস্থাপকতা বিনষ্ট হয় । 

"কতখানি মানসিক নির্যাতনের শিকার হলে তবে বাবাইয়ের মতো হাসিখুশি তরতাজা ইয়াংম্যান এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয় ? মা মেয়ে কতখানি নির্মম নির্দয় নিষ্ঠুর হতে পারে তা কল্পনার অতীত !" টেবিল ছেড়ে ওঠার সময় চিৎকার করে বলতে থাকা অনুপমের শেষ কথা গুলো এখনো কানে বাজছে ।  

এই সমাজজীবন কলুষ ক্লেদ ও পঙ্কিলতায় আকীর্ণ ! বুকের ভেতর থকথকে গরল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রত্যেকে । ঠিক যেনো এক একটা সুপ্ত আগ্নেয়গিরি , হঠাৎ নিজের অজান্তে জেগে উঠে লাভা উদগীরণ করে দেয় । ছারখার করে দেয় আশেপাশের সব কিছু । সুবুদ্ধ মনে মনে কোনো এক অদৃষ্ট অজ্ঞেয় ঊর্ধতনের প্রতি প্রার্থনা জানায় "দয়া করে আমাকে অসূয়াপ্রবণ করে তুলো না । আমায় ক্ষমা করো , হে প্রভু নষ্ট হয়ে যাই ..."   

সমাপ্ত  


SUDIP  PATHAK

Swapno Neer Apartment , 
 Purba Sinthee Road , Madhugarh ,
DumDum , Kolkata -700030. 





Comments

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

রেজাল্ট ।। সৈকত মাজী

রেজাল্ট সৈকত মাজী শুভ্রাংশু বিছানতে শুয়ে শুয়ে বিরক্ত হয়ে উঠল। মনে মনে নিজের শরীরটাকে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিলো দু- চারটে কথা, দেবে নাই বা কেন, কয়দিন ধরে এতো কাঠ খড় পুড়িয়ে সব বন্ধুরা মিলে রথটা বানালো, কত কি প্ল্যান করলো, আর এই শরীরটার জন্যই তো সব ভেস্তে গেলো। মনে মনে ভাবলো একটা যা হোক শরীর হয়েছে ওর প্রতি মাসে তিন - চার বার করে জ্বর হচ্ছেই। হবি তো হ আর একটা দিন পরে হলে কি এমন ক্ষতি হতো, এই রথের দিনেই হতে হলো। ওর বিরক্তিটা বেড়ে গেলো আরো কয়েক ঘর।    " মা ও মা...মাআআআআ...." জোরে হাঁক  দিলো শুভ্রাংশু।    " কি হয়েছে বাবু? আবার জ্বরটা বেড়েছে? মাথা ব্যথা করছে?" ব্যস্ত হয়ে উঠলেন মালতিদেবী।     " ওসব কিছু নয়, ও মা বলছি এখন তো খুব কম জ্বর আছে যাই না মা একবার বাইরে, সবাই কতো ফুর্তি করছে বলো"  কাতর ভাবে বলল শুভ্রাংশু।      " না বাবু, এখনই আমরা ডাক্তারের কাছে যাব, বাবা তৈরী হয়ে গেছেন, আমরা বিকেলে তখন মেলা দেখতে যাব কেমন, এখন উঠে জামা কাপড় পরে নাও"  মালতিদেবী জামা কাপড় গুলো এগিয়ে দিলেন।      শুভ্রাংশু...

রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি

রাই আর বাবা অদিতি চ্যাটার্জি রাই-র জীবনে বেশ কিছু ভালো লাগা আছে তার মধ্যে একটা হলো সন্ধ্যার সময় তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখতে দেখতে কফি কাপে চুমুক দেওয়া ।" আজ যশোদা মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে বেশ ভিড়,নির্ঘাত 'তেলে ভাজা ' প্রেমীরা।" আপন মনেই ভাবে ও, কিন্তু বসার ঘরে সুমন আর আঁখি এতো জোরে 'হল্লা গোল্লা ' করছে তালতলার জমজমাট রাস্তার দিকে আর মন দিতে পারছে না রাই।  পায়ে পায়ে ঘরে এসে দাঁড়ায় রাই, দেখে ক্লাস ফোরের মেয়ে এতোটা ঝগড়া করছে সুমনের সাথে , "বাপ রে, কবে এতোটা কথা শিখলো মেয়ে! কিভাবে কথা বলছে?? কোঁকড়া চুল ঝাঁঝিয়ে,গোলগাল হাত নেড়ে " ...মেয়ে কে দেখে থতমত খেয়ে যায় রাই। এদিকে আঁখি বলছে, "ধুত্ বাপী তুমি কিচ্ছু পারো না, তুতাই-র বাবা, পিসাই, মামু সবাই কত ভালো করে খেলতে পারে , না আমি তোমার সাথে খেলবো না।" কাতর চোখে মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে সুমন বলে ,"আচ্ছা তুই আমাকে শেখা, দ্যাখ আমি কার জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে পনেরো দিন পর পর কলকাতায় আসি বল!"  ঐ টুকু মেয়ে কথা প্রায় না শুনেই ঘরে চলে গেল রাই-র চোখের সামনে, সুমন একবার হেসে বাথরুমের দিকে এগো...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী

বস্তু, চেতনা এবং  কবি সজল চক্রবর্তী  "যেখানে পৌঁছায় না রবি,, সেখানে পৌঁছে যান কবি।" এই ছোট্ট কবিতা টি অনেক পুরনো  এবং বহু পরিচিত, তথাপি এর তাৎপর্য এখনো হারায় নি। তবে, কথা হ'চ্ছে -আমরা তো  রবি-কবিকে একত্রেই পেয়ে যাই আমাদের ঋষি-প্রতিম কবি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে। আর তখনই জেনে যাই উপরোক্ত ছোট কবিতার প্রণিধানযোগ্যতা ।  ... এবার শুনে নেয়া যাক, ঋষি-প্রতিম কবির মুখ নিঃসৃত বাণী:- "তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি যাই ...." অর্থাৎ আমাদের প্রিয়তম কবি অনায়াসে পৌঁছে যান সৃষ্টির অসীমে , যা আমাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। এখানে কবির চেতনা সুদূর প্রসারী! ... প্রকৃত প্রস্তাবে কবি অতিন্দ্রীয় জগতের এক নাগরিক। তাঁর কাছে তাই চেতনা বা চৈতন্যেরই প্রাধান্য। ...এখন আসছি, বস্তু এবং চেতনার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে।  ... আমি একজন অতি সাধারন মানুষ, তাই এই ব্যাপারটাকে কবিদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা ক'রছি। তবে আমার সামান্য জ্ঞান থেকে একটা সাধারণ কথা সেরে নি'। আমরা সাধারণত ব'লে থাকি-- সূর্য পূর্বদিকে ওঠে। প্রকৃত অর্থে কি তাই ? আসলে সূর্য যেদিকে ওঠে ,আমরা  সেই দিকটাকে নামাঙ্কিত ক...

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদি ।। অরবিন্দ পুরকাইত

স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি  (পর্ব—সাত) অরবিন্দ পুরকাইত স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদির সংগ্রহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকায়, ২০১৬ সালে। সে সংগ্রহ যায় নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে, ১৪২৩ সনে। পরে এই ব্লগজিনেও কিছু সংগ্রহ প্রকাশিত হয় ১৪২৮ সনের আশ্বিন মাসে, পৌষ ১৪২৯-এ, আষাঢ় ১৪৩০, নববর্ষ ১৪৩১ ও কার্তিক ১৪৩১ সংখ্যায়। তার পরেও ধীরে ধীরে আরও কিছু সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলিই এখানে রাখা হল। নিজের আগের সংগ্রহে এসে-যাওয়া শব্দ যদি এখানে এসে থাকে, তা বাড়তি বা ভিন্ন কিছু বলার প্রয়োজনেই। নিজের আগের সংগ্রহ খুব ভাল করে যে মিলিয়েছি তা নয়, পুরো সংগ্রহ একত্র করার সময় তা করা যাবে যতটা সম্ভব নিখুঁত করে। আগে আগে সংগ্রহ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা হয়েছে, বিশেষত প্রথম প্রকাশের সময় একটু বিশদভাবে। এখানে আর কিছু বলা নয়, কেবল সংগ্রহটাই তুলে ধরা গেল। অখেজো/অখেজে — অকেজো থেকে। আদরের তিরস্কার হিসাবেই মূলত প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পাজি। অচিমিতি — (উচ্চারণ ওচিমিতি) আচমকা, হঠাৎ। অদীয় — প্রচুর, অজস্র। অদ্বিতীয় থেকে ক...

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায়

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত রণেশ রায় ভূমিকা দর্শনের ইতিহাসে বস্তু ও চেতনার সম্পর্ক মানবচিন্তার গভীরতম প্রশ্ন। অধিবিদ্যা ভাবকে মুখ্য ধরে, বস্তুকে গৌণ বলে মনে করে। বিপরীতে মার্কস ও এঙ্গেলস বলেছেন—বস্তুই মুখ্য এবং চেতনা তার প্রতিবিম্ব। মানুষ যখন প্রথম আলোর মুখ দেখেছিল, তখনই সে বিস্ময়ে প্রশ্ন করেছিল—আমি কে, কোথা থেকে এলাম, আর এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে কিছু আছে কি? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নিয়েছিল দর্শনের দুই বিপরীত স্রোত—ভাববাদ আর বস্তুবাদ। ভাববাদ বলেছিল—"ভাবই প্রথম," আর মার্কস বললেন—"না, বস্তুই প্রথম।" এই দুই প্রান্তের মাঝখানে আমি দেখি এক সেতুবন্ধন, যেখানে বস্তু, স্নায়ু ও চেতনা একে অপরকে গড়ে তোলে, আর তাদের এই ত্রিত্বের নৃত্যেই সৃষ্টি হয় জীবন ও কল্পনার জগৎ। ভাবববাদ এক সর্বশক্তিমান শক্তির কল্পনা করে যা এই বস্তুজগতের স্রষ্টা। আর এখান থেকে ধর্ম ও ধর্মীয় ভাবধারার সৃষ্টি। আমার এই প্রবন্ধে আমি মার্কসীয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আলোকে বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি দেখাবার চেষ্টা করবো কিভাবে ইন্দ্রিয় এবং স্নায়ুজগৎ বস্তু ও চেতনাকে সংযুক্ত করে এবং কল্পলোকের জন্ম দেয়...

চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার

চাঁদে জীবন  শমীক সমাদ্দার                           চন্দ্রযান দুরন্ত তৈরি, রকেটের উপর ভর করে চন্দ্রযান চাঁদে অবতরণ করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পেরিয়ে মহাকাশযান চাঁদের কক্ষপথে  স্থাপন করা হয়েছে। চন্দ্রাযান চাঁদের মাটিতে পা রাখবে সময়ের কাউন্ট ডাউন চলছে। সমস্ত নিয়ন্ত্রণ স্পেসস্কাই গাবেষণা কেন্দ্র কতৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রযুক্তি বিজ্ঞান অতল গভীরতায় বাসা বাঁধে। পরিচয়টা দিয়ে দিলাম এই স্পেসসিপে রয়েছে তিনজন নভোচর, একজনের নাম সাইমন আর এক জনের নাম রেমন্ড, আর এদের সঙ্গে একজন মহিলা আছে তার নাম মেরিনা। চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করেছে। চন্দযান দুরন্ত চাঁদের পূর্ব -পশ্চিম অক্ষরেখা বরাবর অবতরণ করেছে। আলো আঁধারের গভীরতায় বড় বড় পাথরের পিণ্ড, চাঁদের সার্ফেসের উপরে পাথর জল দেখা যায়। জমাট বাঁধা অক্সিজেন আর কার্বনডাই অক্সাইড। ওরা এখানে এসেছে এক রহস্য উদ্ঘাটন করতে। যে স্থানে ওরা অবতরণ করেছে সেখানে ১০ বছর আগে ওরা এসেছিলো। রুশ সরকার ওদের দেশের ছাত্র ছাত্রী কে মহাকাশে চাঁদে পাঠাতে চায়। ওরা কেন এসেছে সেটা এখনো অধরা। সাইমনের বর্...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

জনপ্রিয় লেখা

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ : "ত্রয়ী কাব্য" -- সুনন্দ মন্ডল

সাহিত্যের মাটিতে এক বীজ -- "ত্রয়ী কাব্য" ------------------------------------------------------------------------------ সুনন্দ মন্ডল নবীনচন্দ্র সেন সাহিত্যে তথা বাংলা কবিতার জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তিনি চট্টগ্রাম জেলার নওয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ১৮৪৭ সালে তাঁর জন্ম এবং মত্যু ১৯০৯ সালে। বঙ্কিমচন্দ্র তাঁকে 'বাংলার বায়রন' বলেছেন। ‎জীবৎকালীন যুগে আত্মপ্রত্যয়ের মধ্যে জাতীয় চরিত্র আত্মস্থ করে নতুন সংস্কারে প্রয়াসী হয়ে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন।মধুসূদন-হেমচন্দ্র-নবীনচন্দ্র--এই তিন কবি বাংলা কাব্যধারায় প্রাণ সঞ্চার করেছিলেন। বিশেষত মহাকাব্য লেখার দুঃসাহস দেখিয়েছিলেন। এদিক থেকে মধুসূদন দত্ত একজন সফল মহাকাব্যিক। তাঁর 'মেঘনাদ বধ' কাব্যের মত গভীর ও ব্যঞ্জনাময় না হলেও নবীনচন্দ্র সেনের 'ত্রয়ী' কাব্য বিশেষ মর্যাদা দাবি করতেই পারে। তাছাড়া 'ত্রয়ী' কাব্যে ধর্মীয় ভাবধারার আবেগ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ‎ ‎নবীনচন্দ্র সেন বহু কাব্য লিখেছেন। যেমন- 'অবকাশরঞ্জিনী','পলাশীর যুদ্ধ', 'ক্লিওপেট্রা', 'রঙ্গমতী', 'খ্রীষ্ট', ...

প্রবন্ধ ।। লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা ।। শ্রীজিৎ জানা

লুপ্ত ও লুপ্তপ্রায় গ্রামীণ জীবিকা শ্রীজিৎ জানা "সময় চলিয়া যায় নদীর স্রোতের প্রায়"। স্রোতের ধারা তার দু'প্রান্তে রেখে যায় ভাঙাগড়ার চিহ্ন। কালের দৃশ্যপটেও পরিবর্তনের ছবি অনিবার্যভাবেই চোখে পড়ে। সমাজ সময়ের ছাঁচে নিজেকে গড়ে নেয় প্রতিনিয়ত।  সেখানে মনে নেওয়ায় বাধা থাকলেও,মেনে নেওয়ার গাজোয়ারি চলে না। ফলত কাল বদলের গাণিতিক হিসেবে জীবন ও জীবিকার যে রদবদল,তাকেই বোধকরি সংগ্রাম বলা যায়। জীবন সংগ্রাম অথবা টিকে থাকার সংগ্রাম।  মানুষের জীবনযাপনের ক্ষেত্রে আজকে যা অত্যাবশ্যকীয় কাল তার বিকল্প রূপ পেতে পারে অথবা তা অনাবশ্যক হওয়াও স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে উক্ত বিষয়টির পরিষেবা দানকারী মানুষদের প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হওয়া অস্বাভাবিক নয়। এক কালে গাঁয়ে কত ধরনের পেশার মানুষদের চোখে পোড়তো। কোন পেশা ছিল সম্বৎসরের,আবার কোন পেশা এককালীন।  সব পেশার লোকেরাই কত নিষ্ঠা ভরে গাঁয়ে  তাদের পরিষেবা দিত। বিনিময়ে সামান্য আয় হত তাদের। আর সেই আয়টুকুই ছিল  তাদের সংসার নির্বাহের একমাত্র উপায়। কালে কালান্তরে সেই সব পেশা,সেই সব সমাজবন্ধুরা হারিয়ে গ্যাছে। শুধুমাত্র তারা বেঁচে আছে অগ্রজের গল্পকথায়,আর বিভিন...

গ্রন্থ আলোচনা: শর্মিষ্ঠা দেবনাথ

প্রতিবাদ যখন অগ্নিবাণী বাংলাদেশে নারীমুক্তি ও নারী আন্দোলনের পুরোধা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ১৯৯তম জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদিত হল " আসিফা এবং.." কাব্য সংকলনটির মধ্যদিয়ে।সংকলনটির বিশেষত্ব হল,এটি উৎসর্গ করা হয়েছে নারীর সম্মান রক্ষার আন্দোলনের যোগ্যতম ব্যক্তি শহীদ শিক্ষক বরুন বিশ্বাসকে। সংকলক প্রকাশক সন্দীপ সাহু নিজে এবং বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিকদের দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছেন এমন কিছু কবিতা, যা শুধুমাত্র শব্দ ও ছন্দের অনুবন্ধ নয়, এক একটি অগ্নিবাণী।আসলে জীবনকে দেখার স্বাতন্ত্র‍্যে কবিরা সব সময়ই অগ্রগণ্য এবং অনন্য।যুগ ও জীবন দ্বন্দ্বের কণ্ঠস্বরকে আশ্রয় করে,একদিকে মনের প্রবল দাহ ও অন্যদিকে  নির্যাতিতা শিশুকন্যা ও নারীর প্রতি মনের গভীর আকুলতা থেকে প্রকাশ পেয়েছে "আসিফা এবং" এর  কবিতাগুলি।এক অন্ধকার সময়ের মুখোমুখি আমরা,সেই অন্ধকার আমাদের নিয়ে এসেছে সামাজিক অবক্ষয়ের শেষধাপে যেখানে নৈতিকতা,পাপবোধ,গ্লানিকে সরিয়ে রেখে, সমাজের বানানো নিয়মকে তোয়াক্কা না করে,অনায়াস দক্ষতায় ও ক্ষিপ্রতায় নিজেরই ধর্মচেতনাকে জলাঞ্জলি দিয়ে কিছু মানুষ তার পশুত্বের পরিচয় দিয়েছে ধর্ষণ ও ন...

শ্যামাপদ মালাকারের কবিতা

চোখ """"""" নদী, অরণ্য, রাতের ফালি চাঁদ- সবেই তো আমার...স্বর্ণপিঁড়িটাও!। সেদিন, শুকতারাটার গা' মাপতে গিয়ে মনে হল, --ওরা আমার চেয়েও সুখী? দেখিনা একবার গাইতি-শাবল চালিয়ে... চালালাম। জল-মাটি ভেজা একটা 'চোখ' কুড়িয়ে ফিরলাম! সেই চোখদিয়ে দেখি-- শেষ বিকেলের নিরন্ন আঁচে ঝলসানো বুকে নীড়ে ফিরছে ধূলিমাখা কত কাল পা, কি শান্তি - কি তৃষ্ণা! পাতাক্ষোয়া কোদালেরর মাথায় ঝরেপড়া ললাটের ঘামে, কারা যেন জীবন শাণ দেয়! রুক্ষঠোঁটের আবরণে এক সময় নেমে আসে শিশিরস্নাত কালনিশি-- মাঝের ব্যবধান মুছে দেয় প্রতিশ্রুতির ভীড়- - পূর্বজনমের নিদর্শনচুম্বন শেষে হেরে যায় কার মমতাজ-- ম্লান হয়ে যায় কত পিঁড়ি! ... ম্লান হয়ে যায় কত পিঁড়ি! ... ম্লা...

কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা: এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায় ।। পার্থ সারথি চক্রবর্তী

  কোচবিহারের রাস উৎসব ও রাসমেলা : এক ঐতিহ্যবাহী অধ্যায়  পার্থ সারথি চক্রবর্তী  কথায় বলে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। রাজার শহর কোচবিহারের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা আরো অনেক বেশি। দুর্গাপূজা আর দীপাবলির মতো দু'দুটো বিরাট মাপের উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই, এ শহর ভাসে রাস উৎসবের উন্মাদনায়। মদনমোহন ঠাকুর কোচবিহারের প্রাণের ঠাকুর। তাঁকে নিয়ে সবার আবেগ আর শ্রদ্ধা ও ভালবাসা এখানে বাঁধনছাড়া। এক অপূর্ব মিলনোৎসবের চেহারা নেওয়া এই উৎসব ঐতিহ্যবাহী ও ঐতিহাসিক। জন, মত, সম্প্রদায়ের উর্ধে এই উৎসবের গ্রহণযোগ্যতা। সময়ের কষ্টি পাথরে পরীক্ষিত! এক প্রাণের উৎসব, যা বহুদিন ধরেই গোটা উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ উৎসবে পর্যবসিত।কোচবিহারের এই রাস উৎসবকে কেন্দ্র করে যে মেলা হয় তাও সময়ের হাত ধরে অনেক বদলে গেছে। এসেছে আধুনিকতার ছোঁয়া! শৈশবে বাবার হাত ধরে যে মেলা দেখেছি তা চরিত্র ও আকৃতি দু'দিক থেকেই বদলে গেছে। গত পঁচিশ বছর ধরে খুব কাছে থেকে এই উৎসব ও মেলা দেখা, অনুভব করার সুযোগ হয়েছে। যা দিনদিন অভিজ্ঞতা ও প্রাপ্তির ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে গেছে প্রতি ক্ষেত্রেই।  খুব সংক্ষেপে এই উৎসবের ইতিহাস না জানাটা কিন্তু অবিচারই ...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা 2024 সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি (লেখক ও সম্পাদকীয় দপ্তরের কথোপকথন আকারে) --কী পত্রিকা? --নবপ্রভাত। --মুদ্রিত না অনলাইন? --মুদ্রিত। --কোন সংখ্যা হবে এটা? --বইমেলা 2024। --কোন কোন ধরনের লেখা থাকবে? --প্রবন্ধ-নিবন্ধ, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া। --বিশেষ কোন বিষয় আছে? --না। যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে। --শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন আছে? --না। নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা 12-14 লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি 200/250শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। --ক'টি লেখা পাঠাতে হবে? --মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। --ফেসবুক বা অন্য কোন প্লাটফর্মে প্রকাশিত লেখা কি পাঠানো যাবে? --না। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। --পত্রিকা কোন সময়ে প্রকাশিত হবে? --জানুয়ারি 2024-এর দ্বিতীয় সপ্তাহে। --লেখা পাঠানোর শেষতারিখ কত? -- 17 ডিসেম্বর 2023। --কীভাবে পাঠাতে হবে? --মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। --লেখার সঙ্গে কী কী দিতে হবে? --নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) --বিশেষ সতর্কতা কিছু ? --১)মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন '...

উৎসবের সৌন্দর্য: সেকালে ও একালে।। সৌরভ পুরকাইত

  উৎসবের সৌন্দর্য:  সেকালে ও একালে   সৌরভ পুরকাইত বাংলার উৎসব বাংলার প্রাণ। প্রতিদিনের জীবনযাপনের মধ্যে যখন মন ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন তাকে বেঁচে থাকার রসদ যোগায় এই উৎসব। কথায় বলে 'বারো মাসে তেরো পার্বণ'।মন আনন্দই চায়।তাই তাকে সজীবতা দিতে,পরিবারের,সমাজের ভালো-মন্দের কথা মাথায় রেখে মানুষ নিজেই সৃষ্টি করে নিয়েছে নানাবিধ উৎসবগুলিকে। একেবারে প্রাচীন কাল থেকে আজ পর্যন্ত মানুষ কখনোই উৎসব বিমুখ ছিল না।উৎসবই তাকে ঘর থেকে বাইরে টেনে এনেছে,চিনতে শিখিয়েছে আনন্দ ভাগ করে নেওয়ার আনন্দকে। উৎসব আসলে প্রাণের সাথে প্রাণের যোগ, হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যোগ।রবীন্দ্রনাথ বলেছেন 'সত্য যেখানেই সুন্দর হয়ে প্রকাশ পায় সেইখানেই উৎসব'।হৃদয়ের সেই সুকোমল বৃত্তির জাগরণ যেন ফুটে ওঠা ফুলেরই মতো সত্য ও সুন্দর।এই জাগরণই উৎসব। তাই নানা কিছুর মধ্য দিয়ে,নানা উপলক্ষ্যে এই উৎসব প্রকাশ পায়। প্রাচীনকালে মানুষের হাতে না ছিল পসার, না ছিল পসরা।ছিল মনের আন্তরিকতা,মানুষকে কাছে টেনে নেবার ক্ষমতা।সেটাই ছিল উৎসবের সৌন্দর্য। তাই সেদিনের উৎসবে ক্ষুদ্র,তুচ্ছ উপকরণও প্রাণের উচ্ছ্বাসে মহৎ হয়ে উঠত।সেকালের উৎসবে লোক দেখানো ব্যাপার কিছু ...

কবিতা ।। বসন্তের কোকিল তুমি ।। বিচিত্র কুমার

বসন্তের কোকিল তুমি   বিচিত্র কুমার                      (০১) তোমার দু-আঁখির গহীন অরণ্যে একটা স্বপ্নের বহমান নদী রয়েছে, তারই রেশ ধরে আমি হেঁটে চলি অজানা বসন্তের পথে নীর উদ্দেশ্যে। সে চলার কোন শেষ সীমা নেই তাই আমার বিষণ্ণ একতারা সন্ন্যাস খুঁজে ফিরে , কবে তুমি বুঝবে অনুশ্রী মনের পর্দা খুলে একুশ বসন্ত তোমার রঙ ছিটিয়ে যাচ্ছে অচিনপুরে। এদিকে আমার দেহের প্রতিটি শিরা ধমনীতে প্রবাহিত হচ্ছে তোমার ভালোবাসার একটু উষ্ণতা পাবার জন্যে, শুধু অনুভবে তাণ্ডব উচ্ছাসিত হচ্ছে--- যেদিকে তাকাই --- ফুলে ফুলে ভ্রমর গুনগুনিয়ে উড়ে উড়ে পরে বসন্তের কোকিল গান গায় নব বসন্তে, তোমার দুই চোখে আমার একই ছায়া রয়ে যায় উতলা ভালোবাসার সীমান্তে।                 (০২)        এক রক্তাক্ত বসন্তের স্মৃতি কোন এক উতলা বসন্তের সকালে পুষ্পবনে ফুটেছিল একটি টকটকে লাল গোলাপ, তার সাথে হয়েছিলো দেখা প্রথম ফাগুনে হয়েছিল দুজনার এ জীবনের আলাপ।  তারপর প্র...

অনুভবে, অনুধ্যানে অনালোকিত কবি গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী ।। সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায়

"এ কালে একটু লেখাপড়া জানা থাকাতে, এবং বঙ্গভাষায় অনেক গুলি পাঠ্য পুস্তক হওয়াতে কেবল পরনিন্দা করিয়া সময় কাটাইতে তাঁহাদের আবশ্যকও হয় না, প্রবৃত্তিও হয় না। …নিতান্ত সখ্যতা বা আত্মীয়তা না থাকিলে, সকল পেটের কথা খুলিয়া নিঃশ্বাস ছাড়িয়া তৃপ্তিলাভ করা, এ কালের মেয়েরা পছন্দ করেন না। তাঁহারা বইখানি, কার্পেটটুকু, নিজের স্বামী পুত্র লইয়া দিন যাপন করিতে বা একেলা থাকিতে কষ্ট বোধ করেন না।" —শরৎকুমারী চৌধুরাণীর এই লেখা (ভারতী ও বালক/ আশ্বিন কার্তিক, মাঘ/ ১২৯৮) দেখে বুঝতে অসুবিধা হয় না উনিশ শতকে নারীর লেখাপড়া শেখার উদ্দেশ্য ছিল মূলত আত্মমুক্তির জন্য। শুধু লেখাপড়া শেখা নয়, সাহিত্য সৃষ্টিতেও ছয়'এর দশক (উনিশ শতকের) থেকে নারীরা যে ধারা সূত্রপাত করেছিল তা নারীর আত্মমুক্তির পথকেই প্রসারিত করেছিল। ছয়'এর দশকের পূর্বেই ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ছাপার হরফে নারী রচিত কাব্য 'চিত্তবিলাসিনী' প্রকাশিত হয়। লেখেন কৃষ্ণকামিনী দাসী। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে কবি ঠাকুরাণী দাসীর নাম উঠে আসতে থাকে, যিনি কবিতার পাশাপাশি গদ্যও লিখতেন। ঠিক সেই বছরই জন্মগ্রহণ করেন কবি গিরীন্দ্রমোহিনী দাসী, যাঁর কবিতা লেখা আত্মমুক্...

বছরের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ৮৬তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পাদকীয় এই সংখ্যাটি বাংলা নববর্ষ বিষয়ক সংখ্যা। নৱৰ্ষকেন্দ্রিক বহু তথ্যপূর্ণ লেখা এই সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস, রীতিনীতি, উৎসব, পার্বন, লোকাচার, রূপান্তর বহুবিধ বিষয় প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যার লেখাগুলিতে। এই সংখ্যার বাছাই কিছু লেখার সঙ্গে আগামীতে আরও কিছু লেখা সংযুক্ত করে বাংলা নববর্ষ বিষয়ক একটি মুদ্রিত সংখ্যা প্রকাশ করার ইচ্ছে রইল।  সকলকে নববর্ষের আন্তরিক শুভকামনা জানাই। উৎসবে আনন্দে থাকুন, হানাহানিতে নয়। ধর্ম-ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে সহনাগরিকের পাশে থাকুন। মনে রাখুন, ধর্মকে মানুষই সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বর আল্লা গড ইত্যাদির জন্মদাতা মানুষই। মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষের পাশে থাকুন।  নিরাশাহরণ নস্কর  সম্পাদক, নবপ্রভাত।  সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা পয়লা বৈশাখ ।। সিদ্ধার্থ সিংহ নববর্ষকেন্দ্রিক মেলা, পার্বন, উত্সব, লোকাচার ।। সবিতা রায় বিশ্বাস নববর্ষ আবাহন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে ।। তুষার ভট্টাচার্য নববর্ষের সেকাল ও একাল ।। হিমাদ্রি শেখর দাস নববর্ষের হাল-হকিকৎ ।। শংকর ব্রহ্ম বোশেখি বাঙালি নাকি পোশাকি বাঙালি? ।। দিব্যেন্দু...

প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান

বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় মাখনলাল প্রধান বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির জগতে যাত্রা শিল্প তথা নাট‍্যশিল্পে মড়ক নেমে এসেছে । যাত্রা শিল্পের মড়কে শুধু কোভিড নয় তার বহুপূর্ব থেকেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় , শিক্ষাক্ষেত্রে বন্ধ‍্যাত্ব এবং গ্ৰাম বাংলার পটপরিবর্তন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। যাত্রা-শিল্পের লীলাভূমি ছিল গ্ৰাম বাংলা। গ্ৰামে প্রচুর যাত্রাপালা হত নানা উৎসবকে কেন্দ্র করে । জমিদারি ব‍্যবস্থা লুপ্ত হওয়ার পর গ্ৰামীণ মানুষের উদ‍্যোগে শীতলা পূজা,  কালীপূজা, দুর্গাপূজা, কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, চড়ক ইত‍্যাদিকে উপলক্ষ‍্য করে যাত্রাপালার আয়োজন না হলে কেমন যেন ম‍্যাড়ম‍্যাড়ে লাগতো। সেই সঙ্গে কলকাতার বড়বড় কোম্পানির যাত্রাপালা ঘটা করে, টিকিট সেল করে হত মাঠে। খুব বড় মাপের খেলার মাঠ যেখানে ছিল না সেখানে ধানের মাঠ নেওয়া হত ‌। ত্রিশ-চল্লিশ হাজার মানুষ দেখতে আসত। স্পেশাল বাস পাঠাত  আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বিনা ভাড়ায় বাসে যাতায়াত করত যাত্রার দর্শকেরা। কিন্তু বিকল্প ধানচাষ শুরু হলে জমিগুলো সময় মতো ফাঁকা পাওয়া গেল না । প্রথম দিকে ব‍্যাপকহারে ধান শুরু না হওয়ায় খুব একটা অসুবিধা হত না। বহুক্ষেত্রে  ধান কা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী

ভিনগ্রহীদের সন্ধানে  শ্যামল হুদাতী  ইতিহাসের শুরু থেকে বারবার মানুষকে একটা প্রশ্ন কুঁড়ে কুঁড়ে খায় – এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? পৃথিবীর মতো আরও গ্রহ রয়েছে, যেখানে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীরা বাস করে – এই সম্ভাবনা বরাবর মানুষকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের কখনও না কখনও এই ভাবনা এসেছে। দীর্ঘ কয়েক দশকের গবেষণার পরও, এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপ, বহু দূরের এমন কিছু গ্রহের সন্ধান দিয়েছে, যেগুলিতে প্রাণ থাকতেই পারে। তবে, নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বহু দূরে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। তারা এই পৃথিবীতেই মানুষের ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যেই বসবাস করতে পারে। আমরা ভিনগ্রহীদের যেমন কল্পনা করি, এরা তার থেকে আলাদা। এরা অনেকটাই, দেবদূতদের মতো। মানব জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রযুক্তিগত নয়, বরং জাদুকরি। মহাকাশে সৌরজগতের গ্রহ পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথায় প্রাণ রয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। একই সঙ্গে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাস ক...

মাসের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

দিদৃক্ষা ।। রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী

  দিদৃক্ষা রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী 'কাল একবার দেখা হতে পারে?' দশমীর দুপুরে খাটে আধশোয়া হয়ে নিজের ফোনটা ঘাঁটছিল দেবমাল্য; হোয়াট্‌সঅ্যাপের সার্চ বক্সে  র‍্যান্ডম সিক্যুয়েন্সে ক'খানা ডিজিট ইনপুট করতেই বিস্মৃতির অতল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে নামটা স্ক্রিনের সারফেসে ভেসে উঠল, এককালে দেবমাল্যের প্রায়োরিটি লিস্টে সবথেকে ওপরে পিন্‌ করা থাকতো এই অ্যাকাউন্টটা। 'অহনা দাশগুপ্ত'—গ্রেয়েড-আউট ডিপিটার ডানদিকে, নামটার তলায় নিস্প্রভ হরফে ভেসে থাকা ওর এই লাস্ট মেসেজটা বেশ ক'বছরের পুরনো, কিন্তু দেবমাল্যর স্মৃতির প্যান্ডোরা বাক্সটি উলটে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। আরেকবার আপাদমস্তক শিহরিত হয় সে। প্রোফাইলটা খুলে ওপরে-নীচে স্ক্রল্‌ করে দেখে, ওদের পুরনো চ্যাটগুলো তেমনি আড়ষ্ট হয়ে পড়ে আছে, ওর মেসেজগুলোর পাশে ডাবল টিকগুলো এখনও জাজ্বল্যমান সবুজে ছোপানো, যেন এইমাত্র 'সিন্‌' করে রেখেছে অহনা! যেন এখুনি আবার হাত বোলালেই অহনা এসে খানিকটা রাগত ভঙ্গিতে চ্যাট করতে লেগে যাবে। দেবমাল্যের বুক ছাপিয়ে একটা নীরব দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে! ছুটির এই আমেজটা লক্ষ্মীপুজো অব্দি গড়াবে—অফিস খুললেই তো আবার দমফাটা ব্য...

গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম

  গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম হুইসেল (মুরাকামি থেকে অনুপ্রাণিত) ♦ 'গভীর রাতে একটা হুইসেল কতটা গভীর হতে পারে তুমি কল্পনাও করতে পারো না,' ছেলেটা বললো, 'আশ্চর্য ঐ হুইসেলের মতো আমি ভালবাসি তোমাকে।' কিন্তু গভীর রাতে অন্ধকারে কখনও তো ঘুম ভেঙে যায়নি মেয়েটার, কখনও ও বিচ্ছিন্ন আর একা হয়ে যায়নি। ও কীভাবে অনুভব করবে গভীর রাতে ট্রেনের হুইসেল কতটা গভীর! নিউজ এজেন্সি ♦ একসময় আমরা খবর শুনতাম এখন দেখি স্বীকার করতে হবে খবর শোনার চেয়ে দেখার আনন্দ বেশি আলাদা উত্তেজনা নিউজ এজেন্সিগুলো এব্যাপারে তৎপর আর প্রতিযোগিতাপূর্ণ কোনটা নিউজ সেটা ওরাই ঠিক করে যেটা ওদের দরকার আর সেটাই আমাদের দেখানো হয় ধারাবাহিকভাবে সুচারু জ্যামিতিকতায় বিভিন্ন পদ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নতুন বাস্তবতা নির্মাণে যে বাস্তবতায় জায়গা নেই আমাদের ইতিহাস অন্বেষা স্বাধীনতার সমৃদ্ধি আর স্বাধীনতার কথা বলেই ওরা আমার ক্ষেতখামার পাহাড় আর নদীর দখল নিয়েছে তাহলে টিভিতে যে হাসিখুশি প্রাণবন্ত আমাদেরকে দেখানো হয় ওরা কারা এই প্রশ্ন করো নিজের কাছে আগুন নিয়ে খেলা ♦ আজও পুকুরে ছিপ ফেলে বসবো আমি ধীরে চুপ সূর্য আমার ঘাড়ে শ্বাস ফেলবে সারারাত ঘরের ভেতর ল্যাং...

বিদায়ের স্রোত ।। চয়ন মন্ডল

  বিদায়ের স্রোত চয়ন মন্ডল "বিজয়া দশমী—আনন্দের দিন, কারও কাছে যা হয়ে উঠল চিরন্তন বিদায়।" আজ বিজয়া দশমী। শিউলি ফুলের গন্ধে ভোরটা অন্যরকম। পাড়ার প্যান্ডেলে অদ্ভুত এক কোলাহল—মায়ের বিদায় যে আজ। শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাজনা আর উলুধ্বনিতে গমগম করছে চারদিক। একদিকে মা দুর্গার বিদায়ের বেদনা, অন্যদিকে আনন্দ ও মিলনমেলা। সারা বছরের অপেক্ষা শেষে এই দিনটিতে প্যান্ডেল ভরে উঠেছে মানুষের ভিড়ে। সকালের পূজার্চনা শেষ হতেই শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। মহিলারা মায়ের প্রতিমাকে সিঁদুর পরিয়ে একে অপরের কপালে, গালে রাঙিয়ে দিচ্ছেন। ঢাকের তালে আর শাঁখ বাজনার আবেশে ভেসে যাচ্ছে পাড়া। শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। কিন্তু এসবের মধ্যে নেই অনুরাধা। কেউ তার বা মিনির খোঁজ রাখেনি। মুখার্জিদের দোতলা বাড়ির কোণের ঘরে বসে সে চোখের জল ফেলছে। সবার বাড়িতে আলোর রোশনাই, ভোগের গন্ধ, হাসি—শুধু তাদের ঘরটিতে নিস্তব্ধতা। গতবছর এই দিনেই তো অন্যরকম ছিল সবকিছু। অনুরাধা, সুজয় আর তাদের তিন বছরের মেয়ে মিনি পাড়ার প্যান্ডেলে ঢাকের তালে নেচেছিল, সিঁদুর খেলায় রঙে ভেসেছিল। বিকেলের দিকে প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে শামিল ...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

শেষ বিকেলের আলো ।। সৈকত প্রসাদ রায়

  শেষ বিকেলের আলো সৈকত প্রসাদ রায় রানাঘাট শহরের প্রান্তে ছোট্ট এক পাড়া বিশ্বাসপাড়া। সেই পাড়ার পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়িটায় থাকেন পুষ্পরাণী ভট্টাচার্য— বয়স পঁয়ষট্টির কোঠায়। সবাই তাকে "পুষ্পদি" বলেই চেনে। একসময় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেলে পুষ্পদি বারান্দায় বসে চা খান। ছোট একটা টেবিল, কয়েকটা পুরোনো বই, আর একখানা নীল কাঁচের ফুলদানি — তার নিত্যসঙ্গী। বারান্দার সামনেই একটা গলি, যেখান দিয়ে প্রতিদিনই স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা হইচই করে ছুটে যায়। পুষ্পদির একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ — কলকাতায় চাকরি করে। ছেলেটা আধুনিক, নিজের সংসার আছে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত। বছরে হয়তো একবার আসে, তাও কিছুক্ষণ বসে আবার চলে যায়। পুষ্পদি মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু বুকের ভেতরে একটা কষ্ট জমে থাকে। সেই বিকেলটা অন্যরকম ছিল। আকাশে ধুলো, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। হঠাৎ পুষ্পদির চোখে পড়ে — রাস্তায় এক কিশোর বসে আছে। বয়স বারো-তেরোর বেশি নয়। মলিন জামা, পায়ে ছেঁড়া চটি। ছেলেটা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে পুষ্পদির বাড়ির গেটে ঝুলে থাকা পুরোনো নোটিশবোর্ডটার দিকে, যেখানে একসময় লেখা ছিল — "পুষ্পরাণী ভ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...