স্বাধীনতার জাদু
অবশেষ দাস
চাঁদ ওঠেনি ফুল ফোটেনি, কদমতলা খাঁ খাঁ
সর্বনাশের আর বাকি নেই,চাষের কোদাল বাঁকা!
কাস্তে-কুড়ুল সবই ভোঁতা, ক্যাচক্যাচানি কাঁচি
তারপরেও ইচ্ছে তো হয়,ময়ূর হয়ে নাচি।
চাঁদ ওঠেনি ফুল ফোটেনি, কদমতলা খাঁ খাঁ
হাটে থেকে আনতে গেলাম, হিমসাগরের ঝাঁকা।
ঝাঁকা খুলে অবাক হলাম, কিচ্ছুটি নেই তাতে
দুপুরবেলা মা রেঁধেছে ,গরম ফ্যানে ভাতে।
চাঁদ ওঠেনি, ফুল ফোটেনি, কদমতলা খাঁ খাঁ
দেশের ছবি যত্ন করে রঙতুলিতে আঁকা।
একটা দিঘি জল টলমল,শালুক হাসে জলে
কদমতলার মুখটা কেমন বঞ্চিতদের দলে।
পঁচাত্তরের স্বাধীনতা দেখতে দেখতে বুড়ো
সমাজপতি পাকা মাথা খাচ্ছে মাছের মুড়ো।
বাকি সবাই আমড়া আঁটি, চুষতে থাকে শুধু
পঁচাত্তরের স্বাধীনতা নদীর মতো ধূ ধূ!
জলের মতো বছর যাচ্ছে , সময় যাচ্ছে হু হু
মানুষ এখন মানুষ তো নেই, সবাই যেন ঘুঘু!
জল পড়ে না,পাতা নড়ে না, আঙুল শুধু নড়ে
সাধারণের জীবন কাটে নড়বড়ে সব ঘরে।
প্রতিবাদের তুফান ওঠে, ওইটুকু যা আশা
দিকে দিকে বাজতে থাকে, হাড় কাঁপানো তাসা।
কাকে ছেড়ে কাকে ধরি, পঁচাত্তরের ভিড়ে
আমরা সবাই অপেক্ষাতে আসবে তাঁরা ফিরে!
দুর্নীতি আর গলাবাজি চলছে অহরহ
দেশের মাটি দ্বেষের জ্বালায় যন্ত্রণা দুঃসহ!
তারপরেও সুভাষ চন্দ্র, সূর্য সেনের দেশে
আগের মতো একইভাবে গঙ্গা এসে মেশে !
রাসবিহারী, বিনয়-বাদল আজ তো আরও ফোঁসে
দেশটা গেল রসাতলে, অযোগ্যদের দোষে!
স্বাধীনতা আসছে-যাচ্ছে, দেশের হাঁড়ি ফাঁকা
অন্ধকারে ইতিহাসের মুখ লুকিয়ে থাকা।
সত্য-মিথ্যা, ধান্দাবাজি, ক্ষুদ্র দলাদলি
দুর্নীতি তো লাগামছাড়া, আদর্শ আজ বলি!
মরুদ্যানের পাই না দেখা, ছাইপাঁশ কত ওড়ে
স্বাধীনতার দেশে দেখি, নোবেল খাচ্ছে চোরে!
চাঁদ ওঠেনি,ফুল ফোটেনি, স্বাধীনতার দিনে
বাবা বলল, বাজার থেকে আনছি স্বদেশ কিনে!
জল পড়ে না,পাতা নড়ে না, আঙুল শুধু বাঁকে
সেই ছেলেটা আজও দেখি, ভারতবর্ষ আঁকে!
=====================
।। ভ্রমণকাহিনি।। কংক্রিটের ঘেরাটোপে যন্ত্রচালিতের মত নির্বিকার দিনগত পাপক্ষয়। ব্যস্ততার দুরন্ত গতিতে একই কক্ষপথে নিরন্তর আবর্তমান গতানুগতিক প্রাত্যহিকতা। ছকেবাঁধা জীবনসংগ্রামের বৈচিত্র্যহীনতায় বিবর্ণ ভাবনায় গভীর অবসাদের দীর্ঘ ছায়াপাত। চেতনায় বেঁচে থাকার ঝিমমারা অনুভব। একঝলক টাটকা বাতাসের জন্য ক্লিষ্ট প্রাণের হাঁকুপাঁকু ব্যাকুলতা। তবু গড়িয়ে চলে জীবন। মনের রুদ্ধদুয়ারে ঠকঠক কড়াঘাত। কে গো তুমি? আমি গো আমি। ভিতরের বাউল-মানুষটা সাড়া দেয়। চলো গো ঘুরে আসি। কোথায়? আরে ওই যে যেখানে ---- যেখানে অচেনা আকাশ। অজানা পথ। অদেখা মানুষ। অননুভূত চারপাশ। যেখানে নিসর্গের কাব্যময়তায় প্রাণে জাগে আপনভােলা আবেগ। অনুভবে চুম্বন এঁকে যায় --- বেঁচে থাকার কতই না সুখ! ওই বাউল মানুষটাকে তখন বড় আপন মনে হয়। হাত বাড়িয়ে তার হাত ধরি। বলি, চলো গো তোমার সাথে ঘুরে আসি আবারো দূরে কোথাও, অনেক দূরে। আজো ওই বাউল-মানুষটাই ভরসা। ওর হাত ধরেই চার-দেওয়ালের বাইরে বেরিয়ে এই জগৎটাকে এখানেওখানে ছুঁয়েছুঁয়ে দেখি। এমনি ছুঁয়েদেখার যে অভিজ্ঞতার কথা এখন বলবো ---- তা' অনেকটাই পুরনো কিন্তু আমার কা...

চমৎকার!
ReplyDeleteখুবই ভালো। সামঞ্জস্যপূর্ণ।
ReplyDeleteভাল লাগল।
ReplyDelete