বিদেহী
স্নিগ্ধ আঁচলের নীচে রোজের অভাবী পায়ে আঁকা পথ। ভোরের আলোয় কাঠগোলাপের গালিচায় না উঠে থেমে থাকা যায়। কিছু দূরে যুবতী পারাং। বর্ষায় তার বুকে কান পেতে শুনি হৃদয়ের কথা। আমি একা। এই পথ জঙ্গল ঘেরা নয়। গাছেরা জড়াজড়ি করে থাকে। স্বেচ্ছায় ঘরছাড়া যুবক বসে গালিচা এড়িয়ে। চোখ বুজে হয়ে যায় রাখাল। কখনো বা রাজা অজিত। অজিত কে মনে নেই? সেই রাজা যে ভালোবেসেছিল শিরোমণিকে। কখনো সে কৃষ্ণ হয়ে ওঠে। সে সময় চলে যায় শান্ত বাছুর। যুবকের বাঁশি নেই। তার নেই রাধা-শিরোমণি। চোখ বুজে বিদেহী প্রেমিকার সঙ্গী হয়ে ওঠে সেও। কাঁধে হাত রাখে সুজাতা। না। যুবা গৌতম নয়। সে একা। ভেবে চলে। বহু দূর থেকে ভেসে আসে শঙ্খের ধ্বনি। হাত ধরে তোলে শান্ত যুবতী। একবারই এসেছিল এই পথে। যুবতী শীতের শান্ত পারাং। স্নিগ্ধতা বুকে। চোখে লুকানো লজ্জার ছাপ। ঠোঁটে ইতস্তত প্রশ্রয় ডাক। ওরা ফিরে চলে। আর নয়, আর নয়। এবার এড়াতে হবে। ফিরে যাওয়া গোধূলি আলোয় সে গন্ধ লেগে আছে। ভালোবাসা কড়া নেড়ে বলে ওঠে, গোপনে হেসেছে কানাই। বিঁধেছে মদনের বান। মানুষ পুতুল শুধু। অকাল বসন্তে, শ্রাবণেও ভালোবাসা হয়ে যায়...
======০০০======
নিসর্গ নির্যাস
ঠিকানা- মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর
ফোন নম্বর- ৮৩৭৩০৩৯০৮৩
|
সহযোগিতা
কাম্য এই সংখ্যার সমস্ত লেখা একত্রিত করে একটি
সুসজ্জিত ইবুক তৈরি করা হয়েছে। আপনি যদি সংগ্রহ করতে আগ্রহী হন তাহলে ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬
নম্বরে ন্যুনতম ১০ টাকা google pay, phonepe, paytm, freecharge বা amazon pay করতে
পারেন। প্রদানের স্ক্রীনশট ওই নম্বরে whatsapp করলেই ইবুকটি পেয়ে যাবেন। সহযোগিতা
কাম্য। |


Comments
Post a Comment