সাক্ষী আষাঢ় মাস
রংটা গায়ের মিশকালো তার
কেষ্টচরণ নাম
হাতজোড়া তার কেটলি ও ভাঁড়
দরদরে গায়ে ঘাম।
কত্তটুকুন বয়স-বা আর
হয়তো বছর দশ;
কিংবা বারো --- শৈশবে তার
শুকনো সকল রস।
হাড় ভাঙানো খাটনি যে তার
বেতন তিনশো ষাট
পেট ভরা তার নেই যে খাবার
পকেট গড়ের মাঠ।
পান থেকে চুন খসল যদি
রক্তচক্ষু দর্শন
যায় শুকিয়ে অশ্রুনদী
হোক যত গাল বর্ষণ।
গাল খেয়ে দিন যায় তবু হায়
গাল ভরা তার হাসি
লক্ষ্মীদেবী হননি সহায়
তাই খাটে ফরমাশি।
ফুটপাতে তার বিছ্না পাতা
আশমানী ছাদ ভরসা
নন বিধাতাও পরিত্রাতা
নামলে পরে বর্ষা।
একদিন হায় মুষলধারায়
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি...
জল থৈ থৈ সব রাস্তায়
যেইদিকে যায় দৃষ্টি।
বৃষ্টি মাথায় সারাটি রাত
কেষ্ট ভিজে চান
আঁকড়ে ধরে সেই ফুটপাত
রাত্রি অবসান।
বৃষ্টি সাথে লড়াই করে
এবার অবসর
সারাটি রাত যোঝার পরে
গা-কাঁপিয়ে জ্বর...
বৃষ্টিভেজা রাতের পর
জল যদিও থামে
থামল না আর কম্পন জ্বর
বাড়ল উচ্চগ্রামে।
কমল না আর তার সেই জ্বর
ফেলল সে শেষ শ্বাস
রইল পড়ে ফুটপাত-ঘর
সাক্ষী আষাঢ় মাস।
------ooo------

©প্রশান্ত সেন
নজরুল পার্ক, পূর্ব নারায়ণতলা,
বাগুইআটি, , কলকাতা।
Comments
Post a Comment