পক্ষপাত
আর কোনও কবিতা নয়
নয় কোনও অকারণ শাব্দিক উচ্ছ্বাস
অনেক তো হল ধ্বণি বীজ পুঁতে
রাশি রাশি অঙ্কুরোদ্গম।
রোদ-জল-শীতে শরীরে অনিবার্য রুক্ষতা
আর অকাল বার্ধক্য ডেকে আনা
কৃষকের কথা ভাবি;
তার আঙুলের কর্কশ স্পর্শ
কৃষাণীর কোমলতায় শিহরণ জাগাতে পারে না।
তবু সেই ভয়ানক শক্ত খরখরে
হাত থেকেই জীবন ধারণের শর্ত পালন।
প্রকৃতির সাথে সখ্য কিংবা যু্দ্ধ করে
শষ্যকীটকে হারিয়ে তার জয়
তোমারও তো ক্ষুন্নিবৃত্তি করে।
তোমার মসৃণতায় শুধু প্রলোভন –
স্পর্শে উদ্বেল আমার পিচ্ছিলতা
মর্ম আবিষ্ট করে।
এই ভালো লাগায় শুধু কি আমারই অধিকার?
আকর শ্রমিক জায়ার নয়?
নাকি প্রাণঘাতী গুমোট উষ্ণতায় কাটিয়ে
সস্তার নেশা আর রগ্রগে ছবি দেখে
আগ্রাসী পুরুষালি হতাশায় আছড়ে পড়াই
তার সঙ্গিনীর একমাত্র প্রাপ্য?
সেও তো কাজ করে ঘর্মাক্ত বিরামহীন
প্রাণভারে শিরদাঁড়া তারও নুব্জ হয়,
প্রসব-জটিলতায় ছটফটিয়ে
চলে যাওয়া তবুও নিয়তি..
অপরাধবোধ নিয়েও আমি বেশ সুখী –
------------------০০০০----------------

Sriparna Bandyopadhyay
J. K. Chatterjee Road, Sodepur, Kolkata
Comments
Post a Comment