নগর বাউল
বদলানোর প্রাক্কালে নক্ষত্রের আসনে টানা বিপর্যয়ী হাওয়া,
একটা হ্যাঁচকা টানেই টলমল নশ্বরতার সুনাম।
সদ্যমৃত স্রোতে ভাসা অরূপ শরীরটা যেন
ক্রমেই ভুলছে মানুষ হওয়ার দায়ভার...
খোলা রঙ্গমঞ্চে অস্তিত্বের পোশাকে জন্মেছে কোন কালেই,
ভাঙাচোরা মন, জ্যোৎস্নার ঝালরে লুকানো একতারা হাতে
বেরিয়েছে আবার কোন আধপোড়া প্রেমিকের ফটক থেকে!
দাঁত নখ বের করা নগর সভ্যতার রাজপথে একলা আউল,
দুঃখের সরণির কোন প্রাচীন দালানের সামনে
তার কাঙ্ক্ষিত পেট ভরাবে আজ 'এসরাজের' খেয়ালি।
বাঁচিয়ে রাখা তৈলচিত্রে নিজেকে আরেক বার সেঁকে নেয়,
বৃষ্টিস্নাত নিয়ন আলোয় মরচে পড়া এই শহরের আস্তাবলে
লেখা হচ্ছে এক বাউলের অলৌকিক জন্মের রূপকথা!
মেঠো সুর ডিঙিয়ে কলসি কাঁকে কোন এক বোস্টমি,
হাসির মন্ত্রটা একই রেখেছে...
কিন্তু নিরালা ঠোঁটে ঠোঁট রাখা ছেলেটা সুর ভুলছে ক্রমে,
অনুচ্চারিত শব্দের সৃজনেও আক্ষেপের অস্ফুট তাল....
শীতঘুমে যাবে দুঃখ কুড়াতে আসা রোগা ডিগডিগে,
কাঁচা দাড়ির, ছাই রঙের জোব্বা পড়া ছেলেটা।
কুয়াশার খোলসে আর কোন প্রশ্নের মুখে দাঁড়াতে হবে না!
একটা লোকান্তরে জন্মানো নগর বাউলের ধারক অন্ধ জাতিস্মর,
তাই হয়ত বুকের মাঠে চলা ঈশ্বর নিরীশ্বরের খেলা থামবে।।
======================


Comments
Post a Comment