ব্যাভিচারঃঃঃ
এক টুকরো আকাশ দেখি বসে
জীবনের এক টুকরোর মতো
যদি তাকে বিচ্ছিন্ন করা যেতো ।
এখানেই রোদ-বৃষ্টি , দিন-রাত,
এখানেই কিছুটা চাওয়া পাওয়া,
নিজের মতন করে
যদি নেওয়া যেত !
এক টুকরো আকাশের জল
শহর ভাসায় ।
এখানের রাত্রি ঢাকে অন্ধকারে
শহরের চলার পথে ,
কালিঝুলি মাখা কোনো অভাগী
গনিকার ঘর ।
আমার এক টুকর চাওয়া
যদি পাওয়া হয়ে যেতো,
সমগ্র জীবনের মতো
প্রশ্নচিহ্ন এঁকে নিত
আমার অন্তর ।
জাতিস্মর আশীষ কুমার বিশ্বাস গল্পের শুরুটা প্রায় ষাট বছর আগের কথা । যার নাম গৌতম, ডাক নাম ছিল বাবু । তার বছর তখন ছয়-সাত হবে । আমরা বা আমি তখন একটু বড় । এক সাথেই চলতো খেলা । গোল্লা ছুট, দাঁড়িয়া বান্দা, চোর-পুলিশ । যে মাঝে মাঝে খেলা থেকে বিরত থাকতো ; সে-ই জাতিস্মর । মাঠের পাশেই ছিল একটা খেঁজুর গাছ । তাতে হাত রেখে দূরের এক গ্রামের দিকে এক মনে তাঁকিয়ে থাকতো "বাবু" । গ্রামটির নাম "বিনয় পল্লী " । মাঝে বড়ো মাঠ । হাঁটা শুরু করলে তিরিশ - চল্লিশ মিনিট লাগবে । মাঝে জলে ভরপুর দেখে কখনো যাওয়া হয়নি । বাবু কে যখন বলতাম, ওপারে কি দেখছিস? ও বলতো, ওখানে আমার ছোট মা থাকে, দিদি থাকে, আমার ভুলু কুকুর থাকে । এ কথা আমাদের বিশ্বাস হতো না । আবার খেলায় ফিরে যেতাম, খেলতাম । কিন্তু ও বসে বসে , ওপারের গাছ পালা , বাড়ি ঘর দেখতো । কাছে গেলে বলতো , ওই যে সবুজ ,কচি কলাপাতা রঙের দালান বাড়ি, ওটাই আমাদের বাড়ি ! এই ভাবে মাস ছয়, বছর গড়াতে লাগলো । মনে প্রশ্ন জাগতে লাগলো, এ টা কি মন গড়া , বা বানিয়ে বানিয়ে বলছে? সত্যি প্রকাশ হোল এক দিন । সে বাড়িতে কিছু ...