বাঙালী সংস্কৃতিতে আধুনিক সংযোজন সমপ্রেম....... ....... ....... ....... ....... ....... ....... ....... .......নতুন প্রজন্ম নতুন ভাবে, ভাবে। নতুন নতুন ভাবনাকে গ্রহণ করে। আয়ত্ব করে। প্রয়গ করে। নতুন একটি অধ্যায় সূচনা করে। এগিয়ে চলে সামনের দিকে। তার সবটাই যে সঠিক সে কথা বলছি না। পথ চললে তো হোঁচট খাবে। সেটুকু মেনে নিতে হবে।#আর আমরা যারা চল্লিশের উপর, আমরা নিজেদেরকে ভাবি রক্ষণশীল। পুরাতনকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাই। ব্যাতিক্রমী কিছু দেখলে -- গেলো গেলো রব তুলি। আবার কিছু দিন পর সেটাকেই গ্রহণ করি। যেমন,সোশাল মিডিয়ার ব্যবহার।#সোশাল মিডিয়া বাঙালী সমাজে প্রভাব বিস্তর করার ফলে অনেক অজানা তথ্য সামনে চলে এসেছে। তার মধ্যে একটি হল -----সমপ্রেম । রক্ষণশীল সমাজ যাকে বলছে সমকম। দুটো ছেলে বা দুটো মেয়ে একে অপরকে ভালবাসে। এক সঙ্গে চিরকাল কাটাতে চায়। সেখানে আমরা প্রেম দেখি না। দেখি কাম। অথচ, প্রেমিক-প্রেমিকা, স্বামী- স্ত্রীর সম্পর্কটাকে বলছি না বিপরীত কাম। আসল কথা সম-মনভাবের ছেলে বা মেয়েদেরকে আমরা মেনে নিতে রাজি নই। সে কারণেই কামকে সামনে টেনে আনছি। যেটা একেবারেই গোপন। চার দেওয়ালের মধ্যে। ব্যক্তিগত বিষয়। আমাদের ভাবটা এমন যে, ওরা কামুক। আমাদের মধ্যে কাম-টাম নেই। প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে কাম নাই ! স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে কাম নেই ! যতো কাম সমপ্রেমীদের মধ্যে ! ওদের কেন বলা হবে সমকামী ! সমপ্রেমী নয় কেন !#প্রেম যেখানে আছে কাম সেখানেই থাকবেই। এটাই স্বাভাবিক। প্রেমটা মূখ্য। কাম টা গৌণ । এ কথাটাও সত্য কাম না এলে প্রেম আসে না। তা না হলে বয়ঃসন্ধির পর প্রেম আসে কেন! আসল কথা স্বত্তা ও শরীরের প্রশ্ন। যেটা আজকের ঘটনা নয়। সেটা মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে ছিল। আজও আছে। যদিও সব সময় বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে গেছে সমাজ।#আধুনিক গবেষণায় উঠে আসছে মহাভারতের যুগে সমপ্রেম ছিল। সমপ্রমীদের তালিকায় আছেন -- শ্রীকৃষ্ণ, অর্জুন, শিখণ্ডী... প্রমুখের নাম। আধুনিক দৃষ্টিতে দেখলে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আধুনিক সময়ে বাংলায় যুগান্তকারী ব্যক্তিত্ব ঋতুপর্ণ ঘোষ। কিছু দিল আগে পর্যন্ত বাংলা সাহিত্যে দেখানো হয়েছে সমপ্রেম কেবল মেয়েদের মধ্যে হয়। এমন ভাবটা যেন ছেলেদের মধ্যে ওসব হয় না। কিন্তু বাস্তব সত্যটা একেবারে অন্য। প্রতিবেদককে ব্যক্তিগত সসমীক্ষায় দেখেছে বর্তমানে মেয়েদের তুলনায় ছেলেদের সংখ্যাটি অনেক বেশি।#এ সময়ে বাঙালী নতুন প্রজন্ম যাদের বয়স পনের থেকে পঁচিশের মধ্যে বেশির ভাগই সমপ্রেমে বিশ্বাসী। এবং সমপ্রেমে বিভর। অথচ, বাঁচাতে চায় উভয়কামী হয়ে। এ কথাটা শুনে রক্ষণশীল সমাজ বলবে, প্রতিবেদকের মাথা গেছে কিংবা সমকামে গিলিয়াছে।#বাংলার ববর্তমান জল আবহাওয়া বাঙালী প্রজন্মকে সমপ্রেমী করেছে। সবটাই XX, XY ক্রমযোমের খেলা। বিজ্ঞানের ভাষায় XX, XY -এর রসায়ন। XX নারী স্বত্তা । XY পুরুষ স্বত্তা। যে ক্রমযোম প্রকট সেই স্বত্তা বিকশিত হবে। সে কারণে পুরুষ শরীরে নারী স্বত্তা । আবার নারীর শরীরে পুরুষ স্বত্তা। এক স্বত্তা আরেক স্বত্তাকে আকর্ষণ করছে।#এ সময়ে বাঙালী পুরুষ স্বত্তার ছেলেরা নারী স্বত্তার ছেলেদের সঙ্গে প্রেম করছে। কামেও লিপ্ত হচ্ছে। মেয়েদের ক্ষেত্রেও তাই। সমাজ দেখছে কেবলই বন্ধুত্ব। ওরা এটাও বুঝে নিয়েছে বাঙালী সমাজ তাদের প্রেমকে এখনই গ্রহণ করবে না। সে কারণেই সমপ্রেম কে বাঁচিয়ে রাখার জন্য বেছে নিয়েছে এক টাই পথ --- উভয় প্রেমী হয়ে সমাজে টিকে থাকা।#এ বাঙালী সংস্কৃতিতে এ ভাবনা এখনই গ্রহণ করবে না। গ্রহণ করতে সময় লেগে যাবে অনেক অনেক নববর্ষ ।।-- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- -- --Sumit Modak, "Sonajhuru", Po:Dighirpar Bazar, Falta, 24Pgs(s)
।। ভ্রমণকাহিনি।। কংক্রিটের ঘেরাটোপে যন্ত্রচালিতের মত নির্বিকার দিনগত পাপক্ষয়। ব্যস্ততার দুরন্ত গতিতে একই কক্ষপথে নিরন্তর আবর্তমান গতানুগতিক প্রাত্যহিকতা। ছকেবাঁধা জীবনসংগ্রামের বৈচিত্র্যহীনতায় বিবর্ণ ভাবনায় গভীর অবসাদের দীর্ঘ ছায়াপাত। চেতনায় বেঁচে থাকার ঝিমমারা অনুভব। একঝলক টাটকা বাতাসের জন্য ক্লিষ্ট প্রাণের হাঁকুপাঁকু ব্যাকুলতা। তবু গড়িয়ে চলে জীবন। মনের রুদ্ধদুয়ারে ঠকঠক কড়াঘাত। কে গো তুমি? আমি গো আমি। ভিতরের বাউল-মানুষটা সাড়া দেয়। চলো গো ঘুরে আসি। কোথায়? আরে ওই যে যেখানে ---- যেখানে অচেনা আকাশ। অজানা পথ। অদেখা মানুষ। অননুভূত চারপাশ। যেখানে নিসর্গের কাব্যময়তায় প্রাণে জাগে আপনভােলা আবেগ। অনুভবে চুম্বন এঁকে যায় --- বেঁচে থাকার কতই না সুখ! ওই বাউল মানুষটাকে তখন বড় আপন মনে হয়। হাত বাড়িয়ে তার হাত ধরি। বলি, চলো গো তোমার সাথে ঘুরে আসি আবারো দূরে কোথাও, অনেক দূরে। আজো ওই বাউল-মানুষটাই ভরসা। ওর হাত ধরেই চার-দেওয়ালের বাইরে বেরিয়ে এই জগৎটাকে এখানেওখানে ছুঁয়েছুঁয়ে দেখি। এমনি ছুঁয়েদেখার যে অভিজ্ঞতার কথা এখন বলবো ---- তা' অনেকটাই পুরনো কিন্তু আমার কা...
