অভি ও রনি এক পাড়াতেই পাশাপাশি বাড়িতে থাকে। দুজনে খুব বন্ধু । স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে প্রতিদিন বিকেলে ও ছুটির দিনগুলি একসাথে গল্প ও খেলা করে কিন্তু দুজনে আলাদা স্কুলে পড়ে। অভি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে আর রনি বাংলা মিডিয়াম স্কুলে পড়ে । ছুটির দিনে বিকেলে ওরা বাড়ির সামনে পার্কে খেলা করে তারপর বসে দুজনে দুজনের স্কুলের গল্প করে । অভির স্কুলে সব সাবজেক্ট ইংলিশে পড়ানো হয় বাংলা সাবজেক্ট ওদের স্কুলে পড়ানো হয় না ফলে অভি বাংলা জানে না । শুধু বাড়িতেই বাংলা কথা বলে। তাই রনির কাছ থেকে বাংলায় অনেক গল্প শোনে । রনি অভিকে বলল "আজ আমাদের স্কুলে বাংলা ম্যাম বাংলা ভাষা ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে অনেক গল্প করেছে, সেই গল্পই তোকে শোনাতে চাই তুই শুনবি ?" অভি বললো "নিশ্চয়ই শুনবো তুই বল ।" রনি বলল শোন তাহলে ' একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশসহ পশ্চিমবঙ্গ তথা সমস্ত বাংলা ভাষা ব্যবহারকারী জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন । এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেও সুপরিচিত। বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের এই দিনে (আটই ফাল্গুন ১৩৫৮,বৃহস্পতিবার) বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন । তাদের মধ্যে অন্যতম হলো রফিক, জব্বার ,শফিউল, সালাম, বরকত সহ অনেকেই । তাই এই দিনটি শহীদ দিবস হিসাবে চিহ্নিত হয়ে আছে । এই আন্দোলন স্মৃতি রক্ষায় গণহত্যার স্থানে একটি আনুষ্ঠানিক এবং প্রতীক ভাস্কর্য শহীদ মিনার স্থাপন করা হয়েছে। ২০১০খ্রিস্টাব্দে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারির বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয় ।" অভি শুনে বলল "কি সুন্দর বললি রনি আমি কত কিছু জানতে পারলাম । জানিস রনি আমি ইংলিশে পড়াশোনা করলেও বাংলা গান শুনতে বাংলা কবিতা পড়তে খুব ভালোবাসি ।"রনি বলল হবেই তো আমরা বাঙ্গালী, আমাদের মাতৃভাষা বাংলা, আমাদের প্রাণের ভাষা বাংলা।
সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

Comments
Post a Comment