কবি বিষয়ক এলিজি
১কবিরা লিখতে বসলেই ছোট্ট হরিণ শাবকেরদের মতোলাফিয়ে খাতা পার হয়-ডেট পেরিয়ে যাওয়া ইলেকট্রিক বিলমুদির দোকানের ধার-বাকি ফর্দবাড়ির মানুষদের আবদার।২সারাবছর কবিদের আস্তিনে জড়িয়ে থাকে-দারিদ্ররেখা।ভাত খাওয়ার সময়হাত থকে নেমে এসে সে বসেডালের বাটির মাথায়।মেপে নেয় হলুদের ঘনত্ব ও ফোড়নের তেজস্ক্রিয়তা।৩বিকলের দিকে কবিরা হাঁটতে বের হলেরোয়াকে বা পার্কে বসা লোকজনদালাল, পুলিস অথবা টোটোওয়ালারাআড়চোখে দেখেদূরত্ব বুঝে নেয়।৪যেহেতু শক্তি চাটুজ্জে, ভাস্কর চক্কোত্তি বা সুনীলবাবু-রা নেইএখন কবিরা তাই নিজেদের বাঘ ভাবে-এটা তো আজ সবাই জানেন।শুধু অলস বিকেলের মতো কবিদের যে বান্ধবীরাঅনেক না-পাওয়া নিয়ে বাঁচে,আসলে তারাই জানে-কবিরা আদতেই অপদার্থ!
-------------------------------------------------
ABIRBHAB BHATTACHARJEEAddress - 20a/1, Bonmosjid Para, Kalna Gate, Burdwan – 713101
E mail – bhab.abir@gmail.comFacebook Page - https://www.facebook.com/KobiAbirbhab/
।। ভ্রমণকাহিনি।। কংক্রিটের ঘেরাটোপে যন্ত্রচালিতের মত নির্বিকার দিনগত পাপক্ষয়। ব্যস্ততার দুরন্ত গতিতে একই কক্ষপথে নিরন্তর আবর্তমান গতানুগতিক প্রাত্যহিকতা। ছকেবাঁধা জীবনসংগ্রামের বৈচিত্র্যহীনতায় বিবর্ণ ভাবনায় গভীর অবসাদের দীর্ঘ ছায়াপাত। চেতনায় বেঁচে থাকার ঝিমমারা অনুভব। একঝলক টাটকা বাতাসের জন্য ক্লিষ্ট প্রাণের হাঁকুপাঁকু ব্যাকুলতা। তবু গড়িয়ে চলে জীবন। মনের রুদ্ধদুয়ারে ঠকঠক কড়াঘাত। কে গো তুমি? আমি গো আমি। ভিতরের বাউল-মানুষটা সাড়া দেয়। চলো গো ঘুরে আসি। কোথায়? আরে ওই যে যেখানে ---- যেখানে অচেনা আকাশ। অজানা পথ। অদেখা মানুষ। অননুভূত চারপাশ। যেখানে নিসর্গের কাব্যময়তায় প্রাণে জাগে আপনভােলা আবেগ। অনুভবে চুম্বন এঁকে যায় --- বেঁচে থাকার কতই না সুখ! ওই বাউল মানুষটাকে তখন বড় আপন মনে হয়। হাত বাড়িয়ে তার হাত ধরি। বলি, চলো গো তোমার সাথে ঘুরে আসি আবারো দূরে কোথাও, অনেক দূরে। আজো ওই বাউল-মানুষটাই ভরসা। ওর হাত ধরেই চার-দেওয়ালের বাইরে বেরিয়ে এই জগৎটাকে এখানেওখানে ছুঁয়েছুঁয়ে দেখি। এমনি ছুঁয়েদেখার যে অভিজ্ঞতার কথা এখন বলবো ---- তা' অনেকটাই পুরনো কিন্তু আমার কা...
