কবি বিষয়ক এলিজি
১কবিরা লিখতে বসলেই ছোট্ট হরিণ শাবকেরদের মতোলাফিয়ে খাতা পার হয়-ডেট পেরিয়ে যাওয়া ইলেকট্রিক বিলমুদির দোকানের ধার-বাকি ফর্দবাড়ির মানুষদের আবদার।২সারাবছর কবিদের আস্তিনে জড়িয়ে থাকে-দারিদ্ররেখা।ভাত খাওয়ার সময়হাত থকে নেমে এসে সে বসেডালের বাটির মাথায়।মেপে নেয় হলুদের ঘনত্ব ও ফোড়নের তেজস্ক্রিয়তা।৩বিকলের দিকে কবিরা হাঁটতে বের হলেরোয়াকে বা পার্কে বসা লোকজনদালাল, পুলিস অথবা টোটোওয়ালারাআড়চোখে দেখেদূরত্ব বুঝে নেয়।৪যেহেতু শক্তি চাটুজ্জে, ভাস্কর চক্কোত্তি বা সুনীলবাবু-রা নেইএখন কবিরা তাই নিজেদের বাঘ ভাবে-এটা তো আজ সবাই জানেন।শুধু অলস বিকেলের মতো কবিদের যে বান্ধবীরাঅনেক না-পাওয়া নিয়ে বাঁচে,আসলে তারাই জানে-কবিরা আদতেই অপদার্থ!
-------------------------------------------------
ABIRBHAB BHATTACHARJEEAddress - 20a/1, Bonmosjid Para, Kalna Gate, Burdwan – 713101
E mail – bhab.abir@gmail.comFacebook Page - https://www.facebook.com/KobiAbirbhab/
জাতিস্মর আশীষ কুমার বিশ্বাস গল্পের শুরুটা প্রায় ষাট বছর আগের কথা । যার নাম গৌতম, ডাক নাম ছিল বাবু । তার বছর তখন ছয়-সাত হবে । আমরা বা আমি তখন একটু বড় । এক সাথেই চলতো খেলা । গোল্লা ছুট, দাঁড়িয়া বান্দা, চোর-পুলিশ । যে মাঝে মাঝে খেলা থেকে বিরত থাকতো ; সে-ই জাতিস্মর । মাঠের পাশেই ছিল একটা খেঁজুর গাছ । তাতে হাত রেখে দূরের এক গ্রামের দিকে এক মনে তাঁকিয়ে থাকতো "বাবু" । গ্রামটির নাম "বিনয় পল্লী " । মাঝে বড়ো মাঠ । হাঁটা শুরু করলে তিরিশ - চল্লিশ মিনিট লাগবে । মাঝে জলে ভরপুর দেখে কখনো যাওয়া হয়নি । বাবু কে যখন বলতাম, ওপারে কি দেখছিস? ও বলতো, ওখানে আমার ছোট মা থাকে, দিদি থাকে, আমার ভুলু কুকুর থাকে । এ কথা আমাদের বিশ্বাস হতো না । আবার খেলায় ফিরে যেতাম, খেলতাম । কিন্তু ও বসে বসে , ওপারের গাছ পালা , বাড়ি ঘর দেখতো । কাছে গেলে বলতো , ওই যে সবুজ ,কচি কলাপাতা রঙের দালান বাড়ি, ওটাই আমাদের বাড়ি ! এই ভাবে মাস ছয়, বছর গড়াতে লাগলো । মনে প্রশ্ন জাগতে লাগলো, এ টা কি মন গড়া , বা বানিয়ে বানিয়ে বলছে? সত্যি প্রকাশ হোল এক দিন । সে বাড়িতে কিছু ...
