ভালবাসার অন্য একটা রঙ
হাজতে বসে নরেনবাবু সারারাত না ঘুমিয়ে কেঁদেছিলেন। সকালে থানায় এসে বড়বাবু থানার সিসি টিভির ফুটেজ দেখে, ওনাকে সামনে বসিয়ে জিজ্ঞেস করলেন - কী ব্যাপার ? গতকাল যখন আপনাকে জিজ্ঞেস-বাদ করছিলাম, আপনি একটাও কথা বলেননি। মাথা নীচু করে বসে সব শুনছিলেন, আর মাঝে মাঝে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছিলেন । অথচ, সারারাত বসে কাঁদলেন ? কেন ?নরেনবাবু শুধু ভারাক্রান্ত গলায় বললেন - স্যার? বলিনি তার কারন আছে। আসামির বক্তব্যের কোনও দাম আছে ? কেউ বিশ্বাস করবে ? কোনও এভিডেনশিয়ারী ভ্যালু আছে ? যার জন্য চিন্তা করে আমি এই কাজটা করতে চেয়েছিলাম, সেটা শুধুমাত্র স্বপ্নের একটা ব্যাপার নয়। আমি নন্দিতার ভবিষ্যতের কথা ভেবেই, ওটা করতে চেয়েছলাম । এখনও সেটাই করতে চাই । একটা সুযোগ দেবেন আমাকে? হাজত থেকে বের করে আপনার ওই পিস্তলটা আমার হাতে দিতে? ওকে খুন করে আমি হয় জেল খাটতে, না হয় মরতে চাই ।- তার মানে আপনি স্ত্রীকে হত্যা করতে চান?- হ্যাঁ স্যার।- সে কী ! কেন ?- আমি স্যার ক্যান্সারের পেশেন্ট। আজ বাদে কাল মারা যাবো । তখন ওর কী হবে ? ছেলেরা তো এখনই পারলে নন্দিতাকে হুট-আউট করে দেয় ! আমি মরে গেলে ওরা তো একমুহূর্তও অপেক্ষা করবে না । যে মহিলা জীবনে আমি ছাড়া কারোও মুখাপ্রেক্ষি হয়ে থাকেনি, সে কিভাবে বেঁচে থাকবে বলুন ?- মাঝে মাঝে রাত্রে যে ঘুমন্ত স্ত্রীকে মারেন৷?- সেটা আমি, নরেনবাবু একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলেন - স্বপ্নে দেখি যে ছেলেরা লোক লাগিয়ে ওদের মাকে বাড়ি থেকে বের করে দিচ্ছে । আসলে, আমি স্ত্রীকে মারিনা। মারি ওই লোকগুলোকে ।বড়বাবু কেসের কাগজ-পত্র সামনে নিয়ে বসে অবাক ! কী উত্তর দেবে বুঝতে না পেরে, নিজেরমনেই বলে উঠলেন - অদ্ভুত ! ভালবাসার এটা একটা অন্য রঙ ! এর কী বিচার সে করবে ?ঠিকানা -প্রণবকুমার চক্রবর্তী, ৩৭/১, স্বামী শিবানন্দ রোড, চৌধুরীপাড়া, বারাসাত, কোলকাতা - ৭০০১২৪, মোবাইলনম্বর - ৮৭৭৭৬৮৫৯৯২ এবং ৯৪৩৩০২৮৬৮৫ ।
সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...