Skip to main content

Posts

নিবন্ধ ।। ভাষার মৃত্যু এবং বাংলাভাষা ।। অনিন্দ্য পাল

  ভাষা মানুষের সর্বোত্তম সৃষ্টি, একথা বললে খুব একটা অত্যুক্তি করা হবে না। বৈজ্ঞানিক সমস্ত আবিষ্কারের কথা মনে রেখেও মানুষকৃত সম্পূর্ণ নিজস্ব বৌদ্ধিক উন্নয়নের অন্যতম স্বাক্ষর হিসাবে ভাষার উল্লেখ বোধহয় অযৌক্তিক নয়।  SIL international , 2009 এর সমীক্ষা অনুযায়ী পৃথিবীতে ৬৯০৯ টা ভাষায় মানুষ কথা বলে। পৃথিবীর অর্ধেকের বেশি জনসংখ্যা মাত্র ২৩টি ভাষায় কথা বলে।   বিশ্বের ১৪৬ টিরও বেশি দেশে মানুষ ইংরেজি ভাষায় কথা বলে। ভাষার দিক দিয়ে ইংরাজি বর্তমানে পৃথিবী তে ১ম স্থানে রয়েছে। পৃথিবীর ১০৬ টি দেশের প্রায় ৩৮ কোটি মানুষ আছে যারা তাদের প্রধান ভাষা হিসেবে ইংরেজি ব্যাবহার করে থাকে। তবে সারা পৃথিবীতে ১১৩ কোটির বেশি মানুষ বর্তমানে ইংরেজি ভাষাতে কথা বলে থাকে।          পৃথিবীতে কথা বলার জন্য ২য় সবচেয়ে বেশি যে ভাষা ব্যাবহার করা হয় তা হল-মান্দারিন বা ম্যান্ডারিন। এ ভাষায় কথা বলে চীনের প্রায় ১১১ কোটিরও বেশি মানুষ। পৃথিবীর মোট ২৯ টি দেশে এ ভাষায় মানুষ কথা বলে থাকে। চিনের মোট জনসংখ্যার ৯০% (১২৮ কোটি) এর বেশি মানুষ শুধুমাত্র উ-চাইনিজ ও মান্দারিন ভাষাতে কথা বলে থাকে। ...

একুশের গান ।। তুহিন কুমার চন্দ

একুশ আমার জানলা দিয়ে আগুন ছড়ায় রোজ, একুশ আমার ফাগুন দেখায় পলাশ বনের খোঁজ একুশ আমার বুকের ভেতর রক্তক্ষরণ গানে, বাংলা ভাষা সেই কবেকার কন্ঠে প্রনাম আনে। ফুটপাতে রোজ সালাম রফিক ভিক্ষাপাত্র হাতে বাংলা ভাষায় গান গেয়ে যায় গভীর নিঝুম রাতে। বাংলা ভাষার কলার ভেলায় বাংলার গানে গানে রক্ত মাখানো বাংলার পথ জেগেছিলো মহারণে। বাদাম গাছের সবুজ ডালে বাংলার পদাবলী,  করুন কন্ঠে পাখির ভাষায় দুয়ার দিয়েছে খুলি।  একুশের রাত ডেকে গেছে কাল রক্তের ইতিহাসে  বাউলের সুরে আকাশে বাতাশে বাংলারই সুর ভাসে। ইতিহাস যত কাঙ্ক্ষিত কথা বলে গেছে ইতিহাসে একুশের মাটি রক্ত মেখেছে বাংলার প্রতিভাসে।  রাষ্ট্র ভাষা বাংলাকে চাই দাবী ছিলো ঘরে ঘরে   বুক পেতে তাই রফিক সালাম ইতিহাস গেছে গড়ে। একুশ আমার জানলা দিয়ে আগুন ছড়ায় রোজ, একুশ আমার ফাগুন দেখায় পলাশ বনের খোঁজ একুশ আমার বুকের ভেতর রক্তক্ষরণ গানে, বাংলা ভাষা সেই কবেকার কন্ঠে প্রণাম আনে। ============================= ঠিকানাঃ তুহিন কুমার চন্দ সুদর্শনপুর,রায়গঞ্জ-৭৩৩১৩৪ উত্তর দিনাজপুর (প.ব.) ভারত। মোঃ ৮৬১৭৮২৯১৩৩ tuhinchanda030@gmail.com

কবিতা ।। অ্যালবাম ।। সিদ্ধার্থ বসু

শীতঘুমে চলে যাওয়া স্বপ্নের এপিটাফ,  মজে যাওয়া শোকতাপ, নিঃশব্দে ঘুমিয়ে পড়া ভালোবাসার অ্যালবাম, রোদ্দুরে চুঁইয়ে ঝরে টুপ করে হৃদ্ মাঝারে। বোধের দেউড়িতে কড়া নেড়ে যায়, সদর্থক দায়বদ্ধতা............. প্রত্যাশার ফানুস চুপসে যায়, আতিশয্যের বাহারে।  যন্ত্রনার সাতকাহন........  অবিচ্ছিন্ন প্রবাহের ফুরিয়ে যাওয়া আগ্রহে, চোরাবালি আর তমসার বিনির্মাণ, রক্তাক্ত অক্ষরমালার নিটোল বুনটে, ষোলকলায় পূর্ণ হয় ছন্দসংবেদ দর্পণ। দহনক্লান্ত মননে আশ্লেষ,  ২১ শে ভাষা বিপ্লব দিবস, শব্দবোধের সংবেদ ও এক অসংজ্ঞেয় স্বজ্ঞা, কৃষ্টি ও সৃষ্টির মেল বন্ধনের প্রজ্ঞা।।

ভাষাদিবসের কবিতা ।। জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

সা। সারারাতই নীরব ছিল পাড়া ভোরের বেলা উঠলো জেগে কারা ছোটো এবং বড়ো সবাই মিলে শামিল দেখি কীসের সে মিছিলে কানে কানে বাতাস এসে বলে মাতৃভাষার জন্য ওরা চলে। রে। রে রে করে উর্দুভাষী সেনা মিটিয়েছিল হিংস্রতার দেনা। রক্তে রাঙা মায়ের বুকের জমি লুটিয়ে পড়ে মা বলে শেষ নমি। গা। গাইলো ওরা কাঁদলে তুমি মা বুকে তোমার পুত্রশোকের ঘা কোন রাগেতে জ্বলেছিল ফাগ বেহাগ দীপক অথবা বৈরাগ? মা। মাতৃভাষায় অমৃতময় সুখ আনতে গেলে রক্ত দিতে হয়! জলে ডোবা শিশুর মতো মুখ তবু কেবল বলতে হবে জয়! পা। পায়নি বিজয় অত্যাচারীর দল বলিদানের গর্বে পাওয়া বল মাতৃভাষা মায়েরই এক নাম চোখের মতোই মহামূল্যবান। ধা। ধারের কথায় কদিন বাঁচা যায় দেশে থেকেও পরাধীনের ভাব ঘুচিয়ে গেল বীর শহিদের দল তাদের স্মৃতি নিত্য জেগে থাক। নি। নিষেধ ভাঙা মাটির উপর বাস বিস্মরণের কালো করে গ্রাস অস্ত্রহীনের মুখর প্রতিবাদে শাসকবুকে প্রবল তুফান জাগে। সা। সারাবেলা পাতা ঝরেই চলে সেই যে গাছের শহিদপুজোর ফুল আমরা আনি আনন্দটা তুলে মালির কথা সারাজীবন ভুল। ============================= গোপেশ্বরপল্লি, বিষ্ণুপুর,বাঁকুড়া - ৭২২১২২ কথা ...

কবিতা ।। বাংলা ভাষা ।। সুমন নস্কর

বাংলা আমার মায়ের ভাষা পাড়া কিম্বা গাঁয়ের ভাষা প্রাণের ভাষা গানের ভাষা গ্রহণ এবং দানের ভাষা বাংলা ভাষা চলার ভাষা মনের কথা বলার ভাষা বড়োই ভালো মিষ্টি ভাষা কাব্য ছড়ার সৃষ্টি ভাষা মনের বেদন বোঝার ভাষা আপন জনের খোঁজার ভাষা বাংলা ভাষা মায়ের ভাষা শহর কিম্বা গাঁয়ের ভাষা গানের ভাষা মানের ভাষা ছন্দ লয় ও তানের ভাষা ছোট্ট শিশুর মুখের ভাষা সুখের ভাষা দুখের ভাষা কান্না এবং হাসির ভাষা শিক্ষিত ও চাষির ভাষা সুরের ভাষা স্বরের ভাষা একান্ত এ ঘরের ভাষা বাংলা ভাষা মধুর ভাষা গাঁয়ের যতো বধুর ভাষা মাঝি কিম্বা জেলের ভাষা দুষ্টু সকল ছেলের ভাষা লেখা এবং পড়ার ভাষা মজার মজার ছড়ার ভাষা "মোদের গরব মোদের আশা" আ মরি সেই বাংলা ভাষা।। =================== সুমন নস্কর।।বনসুন্দরিয়া।।দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

কবিতা ।। আট-ই ফাগুন ।। উৎপলকুমার ধারা

আট-ই ফাগুন উথলে ওঠা পদ্মানদীর জল কিংবা একুশ ফেব্রুয়ারির ফুলফোটা রোদ্দুর ওই দিন-ই তো বাংলা মায়ের দামাল ছেলের দল গাইলো সবাই মাতৃভাষার বাঁধন ছেঁড়ার সুর ! জুটলো সবাই ছুটলো মিছিল কাঁপলো রে রাজপথ খানসেনাদের সঙ্গে লড়াই বাধলো ভীষণ জোর সবার জন‍্যে আনতে জানি আলোর ভবিষ্যৎ  বীর শহিদের রক্ত-রঙে ফুটলো নতুন ভোর ! যাদের জন‍্যে পেরিয়ে নিকশ অন্ধকারের বাঁধ যাদের জন‍্যে এগিয়ে চলার অগাধ সাহস পাওয়া আজ পেয়েছি মায়ের ভাষার অমল সুখের স্বাদ যাদের জন‍্যে পেলাম সবাই রোদ বিছানো দাওয়া ! তাদের শহিদ বেদীর পরে আলপনা আজ আঁকি রফিক সালাম জব্বার-ভাই এবং আবুল কালাম যাদের জন‍্যে আমরা সবাই মুক্ত ডানার পাখি সেই ভায়েদের জানাই হাজার-হাজার কোটি সালাম !! --------------------------------------------------------   From :- Utpal Kumar Dhara, Purba Nischintapur, Budge Budge, Kolkata - 700138, mob. no. 7980252249, w/a. no. 8017479045,

কবিতা ।। মাতৃভাষা বাংলাভাষা ।। মাথুর দাস

জন্ম থেকেই  যে ভাষাতে  সহজ কথা বলা, ভাব-বিনিময় আদান-প্রদান এবং হাঁটা চলা ; শ্বাসবায়ুতে  মিশে থাকে  জীবনের যে ভাষা, সেই তো আমার মাতৃভাষা, আমার বাংলাভাষা । যে ভাষাতে মনের আকাশ থাকেই নীলে নীল, উড়তে থাকে  উদাস ডানায়  কল্পনা-গাংচিল ; মিষ্টি মধুর যে ভাষাতে  গানের কথা কলি, কাব্য গাথা কথকতা  সেই ভাষাতেই বলি । শিখতে পারি  অন্য ভাষাও  শখ-প্রয়োজন-কার্যে, মাতৃভাষার মতো সাবলীল হতে কি পারি আর যে ! শরীর-মনে রক্তসমান যে ভাষাটি সারা জীবন বয় সেই বাংলাভাষার মর্যাদা থাক যে কোনও বিনিময় । *******************************       মাথুর দাস, দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান   *******************************

কবিতা ।। অমর একুশ আমার একুশ ।। রমলা মুখার্জী

অমর একুশ আমার একুশ, একুশ সবার গান- খুনে রাঙা দিন স্বপ্ন রঙিন শহীদের বলীদান। বিশ্বসভার উদার আকাশে একুশ ধ্রুবতারা - বাংলা পরম বাংলা ধরম বাংলা ঝর্ণা-ধারা। একুশের বাণ বাংলার মান একুশ স্নেহের টান.... ভোরের আকাশে একুশ বাজায় ভালোবাসার তান। রফিক, আব্দুল, বরকত, সালাম, সেলাম ভাইজান- বাংলার দুখে বুলেটের মুখে বাংলাতে শেষ ঘ্রাণ। ঢাকের বাদ্যি ঈদের আজান একুশে সবার দান- মিলেমিশে হাসি ভেদাভেদ নাশি হিন্দু-মুসলমান। প্রথম ফাগুনে একুশ পালনে একসাথে ধরি তান- বাংলাভাষার দৈনদশা ভেঙে করি খান খান। কাছাড়ে আসামে বাংলার নামে দিয়েছে এগারো প্রাণ- তাদের স্মরণে আজ শুভদিনে গাই বাংলার গান। একসাথে আসি বাংলা-ভাষী বাংলাতে হাঁটি পথ- বাংলা ভাষার গরবে সরবে ওড়াবো জয়ের রথ।    ===========================   ডঃ রমলা মুখার্জী, বৈঁচী, বিবেকানন্দপল্লী, জেলা হুগলী, পিন 712134, মোঃ 7003550595 হোয়াটস এপ 9474462590

কবিতা ।। ভাষাবাড়ি ।। বনশ্রী রায় দাস

                কোথায় আমার বাড়িঘর , প্রায়ই একথা বলতে । যেখানে যখন থাকি সেটা আমার ঘর জবাবে বলেছি আমি তোমাকে । বিরক্তি ভাবে তুমি বলেছিলে  এবার তোমার নিজের ঘর বানাও । মৌন হাওয়া তরঙ্গ ঢেউয়ের পায়ে নূপুর হলো চোখের কোণে ঝিলিক দিল অনন্ত সুরের  ঘর বাঁধার স্বপ্ন ,শৈল্পিক আঙুলের মুদ্রায় বানাই আমার ঘর জন্ম থেকে জন্মান্তরে । গর্ভগৃহে রাখলাম স্বরবর্ণ ব্যঞ্জন বর্ণ, আর জানালার গরাদে চন্দ্রবিন্দু,দালান থেকে  দরজা বরাবর সূর্যমুখী হাওয়া ,চিলেকোঠায় কুলুপ এঁটে বসে জিজ্ঞাসা চিহ্ন । দেওয়ালের গায়ে শ্বেতপাথর হয়ে  লুটিয়ে পড়ে টগরের হাসি পলাশ-ব্যকরণ বারান্দায় ধ্যানস্থ বিসর্গ' এর বেড়া ছুঁয়ে  বেজে যায় চাঁপাতলার হারমোনিয়াম  ঘরের ছাদে খেলা করে সময়ের শুকতারা , নদীর সন্ধ্যা শোনে আঁচলের পূর্ণচ্ছেদ । নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে সে ঘর আমার থাকে না  সেখানে বসত করেন আমার ভাষাজননি , ইতিহাস , ভূগোল আর প্রেমের ঝুমঝুমি । হৃদয়ে ঢেউ তুলে ধ্বনিময় স্রোত  সিংদরজায় হয়তো বা ফুটে উঠতে পারে  ভিমবেটকার কারুশিল্প অথবা আলতামিরার বিখ্যাত সেই গুহাকারু।   ...

কবিতা ।। মা, খোকা ও বর্ণমালা ।। মোয়াল্লেম নাইয়া

      পলাশ রাঙা আকাশ জুড়ে ফেব্রুয়ারি এলো মায়ের চোখে শিশিরের ভোর, কি সুখ তাহা বলো! খোকা গেছে অনেক দূরে আনতে কথার ঝুড়ি রক্তনদী পার হয়ে সে ফিরবে তবে বাড়ি ৷ বিন্নি ধানের খই ভাজে মা প্রিয় খোকার তরে ডালের বড়ি শুকায় রোদে সারা উঠোন জুড়ে ৷ দুখিনী মা সাজায় কুঁড়ে সজনে ডাঁটার ফুলে আসবে খোকা প্রতীক্ষা তার স্বপ্ন রাখে তুলে ৷ এসেই খোকা বলবে মাকে কী আছে দাও খাই খাওয়ার পরে মায়ের আদর চাই যে তাহার চাই ৷ এমনি ছিল খোকার সাথে মায়ের আলাপন চন্দ্র-সূর্য ওঠার মত সত্য চিরন্তন। যাওয়ার আগে খোকা নাকি শুনিয়ে ছিল মাকে মুখের ভাষা হারিয়ে গেলে কিইবা পড়ে থাকে! মনে পড়ে তোমার কাছে গল্প শোনার রাত? কাড়তে ওরা চাইছে মাগো, তাইতো প্রতিবাদ৷ লক্ষ্মীটি মা রাগ কোরোনা ফিরব তাড়াতাড়ি সঙ্গে নিয়ে আসবো তোমার লক্ষ কথার ঝুড়ি ৷ আবার তুমি ঘুম পাড়াবে বাংলা ভাষার সুরে কি এসে যায় আমার থাকা কিংবা যাওয়া দূরে? ফিরল খোকা অনেক রাতে পলাশ রাঙা দেহে সঙ্গে এলো কথার ঝুড়ি রক্ত নদী বেয়ে ৷ ঝাপসা চোখে তাকিয়ে দেখে বাংলা ভাষার মা শবের পাশে ফুল নয় তো,.. যেন হাজার বর্ণ জমা! ভাষার শরীর শান্ত হলো, মিঠলো ঠোঁটের জ্বালা উঠ...

কবিতা ।। মাতৃভাষা ।। তরুণ মান্না

     এপারে বাংলা,ওপারে বাংলা    মধ্যে কাঁটাতার ,    দেশ কখনো ভাগ হয় না    একই ভাষা যার।    এপারে দাদা,ওপারে ভাই         মধ্যিখানে দেওয়াল,    দুজনার হৃদয়ে প্রবাহিত     রক্তের রঙ লাল।    এপারে অ-আ,ওপারে অ-আ    তবুও ভেদাভেদ,    মাকে কেটে ভাগ করেছি    জীবন জুড়ে ক্লেদ।    যার কোলে জন্ম নিলাম    সে তো মাতৃভূমি-মা,    আর যে মুখে ভাষা দিল    সেও কি নয় মা ?    শোক-দুঃখ সকল আবেগ    যে ভাষাতে ফোটে,    সে-ই তো মাতৃভাষা     জননী হয়ে ওঠে।            -------------------------------      Tarun Manna.    Vill : Khandalia.    P.O. : Kalatalahat.    Dist : South 24parganas.    PIN : 743504.     M.NO : 9732035536                 9851648323.   ...

কবিতা ।। বর্ণপরিচয় ।। হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়

      ১ রোদের কাছে কিছুটা রঙ পাওয়ার পর আমাদের ক্যানভাসের শ্যাওলায়  আগুন আগুন ক্ষীণ একটা নদী দেখা যায় অনেকদিন পর ধানের জমিতে গোছ এলে তাকে বর্ণপরিচয় বলে । ২ বেদনার শরীরে বাঁকের মুখে যে তালগাছ দাঁড়িয়ে আছে ঝড়ের লিপি তার যে মেরুদণ্ড এঁকে দেয় তাকে বর্ণপরিচয় বলে । ৩ মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার পর অনেক রাতে চাঁদ ওঠে রান্নাঘরে খুব একচোট হৈ চৈ হওয়ার পর জানলা দিয়ে দু'একজন হাসি মুখ বাড়িয়ে দিলে তাকে বর্ণপরিচয় বলে । ৪ ভাতের যন্ত্র বন্ধ হয়ে গেলে লাইন ধরে হেঁটে চলে অগণন পা বুকে পেটে কাঁধে ছানাদের চোখ চেনা গেলে তাকে বর্ণপরিচয় বলে । *************************   হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ময়নাডাঙা ( আশ্রয় অ্যাপার্টমেন্ট ) পোঃ --- চুঁচুড়া. আর. এস. জেলা --- হুগলী পিন --- ৭১২১০২ পশ্চিমবঙ্গ ভারতবর্ষ ফোন --- ৯৪৩৩৩১২৯৬২

কবিতা ।। বর্ণমালা ।। সুদীপ চৌধুরী

  আমি তাকে দেখেছিলাম  মৃত ভাষার ভাগাড় থেকে খুঁজছিল বর্ণমালা ভাষাহীন নীরবতায় মৃত নক্ষত্রের মতো…   পরিযায়ী পাখিসব নখরে চিরে ফেলে   অক্ষর ছিন্ন হয় আমাদের ভাষা পরিচয়। ভাষাভষ্ম হতে যদি, আহা! ফিনিক্স  জীবন হয় তবে 'মা' বলে আবার ডাকব তোমায়। বর্ণমালা, আমার সাধের উচ্চারণ।    ======================      সুদীপ চৌধুরী শিলিগুড়ি  ৮০০১৩৯১৬৮২

কবিতা ।। বাংলা মায়ের প্রাণের ভাষা ।। সুব্রত চৌধুরী

বাংলা   সবার   প্রাণের   ভাষা   বাংলা   সবার   বুকে বাংলা   সবার   মাথার  ' পরে   সবার   সুখে   দু ' খে। বাংলা   খোকার  ' মা ' ' মা '  ডাকে ,  হাসি - খুশি   কান্নায়   বাংলা   খোকার   হাতে   খড়ির   হীরে  - মোতি  - পান্নায়। বাংলা   নদীর   কুলকুল   রবে   ছোটে   সাগর   পানে বাংলা   পাখির   কুজনে   আর   ছিন্ন   বীণার   তানে। বাংলা   বাউলের   একতারাতে     সুরে   সুরে   বাজে বর্ণমালার   মালা   পরে   শহীদ   মিনার   সাজে। বাংলা   মুক্তির   মাথার  ' পরে   বাংলা   মুক্তির   বুকে বাংলা   মায়ের   ডাকে   মুক্তি   শত্রু   সেনা   রুখে। বাংলা   সবার   প্রানের   ভাষা   রবি   সেরার   সেরা দুখু   আমার   বিদ্রোহী   বীর   ভাঙ্গে   বাধার   বেড়া। সাতই   মার...

একুশের কবিতাগুচ্ছ ।। বিচিত্র কুমার

একুশের গান একুশ এলেই মনে পড়ে বর্ণমালার গান, ভাষার প্রতি শহীদ ভাইদের কী নিদারুণ টান। ভাষার দাবিতে রাজ পথে দিলো যারা তাজা প্রাণ, তাদের রক্তে লেখা হলো বাংলা অভিধান। মায়ের মুখের মাতৃভাষা পেলো স্বাধীনতা, একুশ এলেই পুষ্প শয্যায় জানাই কৃতজ্ঞতা। জীবন দিয়ে রেখে গেল যারা মাতৃভাষার মান, সেই শোকেতে গাই আমরা একুশের গান। বাংলা ভাষার উপাখ্যান মায়ের মুখে শুনেছি আমাদের বাংলা ভাষার উপাখ্যান, ঊনিশ'শ বাহান্নর আগে ছিলো না এই মাতৃভাষার এত সম্মান। শুনছিলাম ভিনদেশিদের ভাষাই বলে বলতে হবে আমাদের কথা, এই খবরে পর্ব বাংলার ছেলেদের ভীষণ মাথা ব্যথা। ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলেরা সব গেল রাজ পথে, স্লোগান মিছিল চলে দিকেদিকে "রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই"এই শপথে। ফেব্রুয়ারির একুশ তারিখ মিছিল মিটিং সব নিষিদ্ধ, রফিক শফিক বরকত জব্বার সহ হলো আরো অনেকে গুলিবিদ্ধ। প্রতিবাদের ঝড় উঠে সমগ্র বাংলা জুড়ে, স্বীকৃতি পায় বাংলাভাষা আমাদের ঘরে ঘরে।   একুশের চেতনা একুশ আমাদের জাগ্রত চেতনা এগিয়ে যাওয়ার প্রেরণা, একুশ মায়ের দুঃখ বেদনা একটি জাতির উদ্দীপনা। ...

কবিতা ।। আমার মাতৃভাষা বাংলা ।। সুবীর ঘোষ

আমার মাতৃভাষা বাংলা           সুবীর ঘোষ     প্রথম যখন ভাষা উঠল আমার দুটি নরম ঠোঁটে সেই থেকে তার সঙ্গে আমার শহীদ জীবন বৃন্তে ফোটে ।   ঘর সংসার শিশুর কান্না অসাবধানী প্রেম মহরৎ আমার ভাষা শেখায় যত্নে শালীনতার সব সহবৎ ।   কারখানাতে যন্ত্র ঘোরে একঘেয়েমি ছন্দে তালে তার মধ্যেও আমি জড়াই আমার ভাষার মুক্তিজালে ।   নদীর বুকে নৌকো যখন উড়তে থাকে হাওয়ায় হাওয়ায় আমি আমার মাতৃভাষার স্পর্শ দেখি সেই সে যাওয়ায় ।         সুবীর ঘোষ ৩০১ আশ্রয় এ্যাপার্টমেন্ট গ্রুপ হাউসিং , বিধাননগর দুর্গাপুর—৭১৩২১২ চলভাষ—৯৯৩২৬৪০৯৪৯  

কবিতা ।। বাংলা ভাষা ।। শুভাশিস দাশ

কৃষ্ণচূড়া পলাশ রাঙা ফাগুনে দিন এলে বাংলা ভাষার বর্ণমালা বিশ্বে মাথা তোলে।   এই ভাষারই জন্য কত প্রাণ গিয়েছে চলে বুক ফেটে যায় বাংলা মায়ের তাইতো একুশ এলে ।   গর্ব তবু বাংলা ভাষার গর্ব বাংলা মায়ের বুকের রক্ত যায়নি বৃথা আমার শহীদ ভায়ের।   ==============    শুভাশিস দাশ দিনহাটা মো 9932966949

কবিতা ।। বাংলাভাষা তোমাকে ।। সুমনা ভট্টাচার্য্য

  স্মৃতির হাতে বেঁধেছো যে রুমাল শব্দে গাঁথো দিনশেষের সে শোক টেবিলজুড়ে মন কেমনের যে জাল মুখরতা সে তোমার নামে হোক   শেকড়ের টান চিনিয়ে দাও তুমি - ছাতিম গন্ধে অস্থিরতার চাবুক  অক্ষরে মন বাড়ায় সালতামা মি তোমায় ছুঁয়ে আনমনা যে চিবুক ।   তোমার ক্ষত চিনেছিলো যারা তাদের বুকে শহীদ সংক্রমণ - আমদের পথ আজও দিশেহারা তাদের থেকে কিনছি সে দিনযাপন...   নোটপ্যাড চেনে বিষাদের দরবারি অকুণ্ঠতা ও আয়নার শিরোনাম - যে মোহনায় সে ঢেউয়ের ঘরবাড়ি- তার ঢেউ জলে নেভায় কেউ যন্ত্রণা ...   গেরস্থালী শস্যগন্ধে আবাদ যে নদীচর উর্বরতা রই চাষ তারই কাছে নতজানু বারবার তার কাছে হাত বাড়িয়ে নিই আশ্বাস...                 --------------------    সুমনা ভট্টাচার্য্য,বারাসাত

কবিতা ।। একুশে ফেব্রুয়ারি ।। জীবনকুমার সরকার

এক একটা একুশ আসে, আর  আমরা তখনই গা ঝাড়া দিয়ে উঠি  চারপাশে হুল্লোড়  মঞ্চে ওঠার হুড়োহুড়ি  যে আগে বক্তৃতা রাখি  আসলে একুশের চেয়ে আমরা ওটাই ভালো জানি।  এসব দেখে দেখে চোখে নামে অবসাদ ছেলেমেয়ে সব ইংলিশ মিডিয়াম, অথচ  আমরা সবাই একদিনের একুশে ফেব্রুয়ারি।  কত দিন, কত দিন, কত দিন এভাবে  একুশ বাঁচিয়ে রাখা যায়?  তবুও একুশ ফিরে ফিরে আসে আর আমাদের কিছু ঋণ মনে করায় । আমরা তো বাংলাভাষী  তাই আমরা এখন জীবন্ত লাশ  বাঙালির একুশ থাকলেও  ঘরে ঘরে মৃত্যুর উৎসব।  ================= জীবনকুমার সরকার পরশপাথর অ্যাপার্টমেন্ট, ৩ নং গভঃ কলোনী ইংরেজ বাজার, মালদা-- ৭৩২১০১। ই-মেল : shabdabhaash@gmai.com  

কবিতা ।। লড়াই থাকবে জারি ।। নৃপেন্দ্রনাথ মহন্ত

যে রাজপথ কান্নায় আর রক্তে লাল ভোলেনি তো সে ফেব্রুয়ারির একটি দিন ক্ষোভে বিক্ষোভে চিহ্নিত ক্লিন্ন গাল। বুকের আগুনে পতাকায় লাগে রক্ত ছোপ রক্তের ঘ্রাণে আজো ভরপুর শিক্ষালয় বলছে : হে শাসক, ধর্মের দিও না টোপ। আপন মায়ের মুখের ভাষা যেমনি হোক তার চেয়ে মধুর নেই কিছু বিশ্বময় সে ভাষাই হোক রাষ্ট্রভাষা চেয়েছে লোক। রক্ত পতাকা। আঁকা হয় তাতে মৌনমুখ শুনছ না তাতে বিশ্বাসের কণ্ঠস্বর?  এখনো কি দ্বিধা? কোথায় পাবে স্বর্গসুখ?  যারা ঢাকার রাজপথে বা বরাকে আসামে মাতৃভাষার সংগত  ন্যায্য দাবিতে  প্রাণ দিল একুশে ফেব্রুয়ারি ঊনিশে মে তাদের আমরা ভুলব কি? টানব কি দাঁড়ি  লড়াই আন্দোলনে?না, না। ভাষার দাবিতে   চিরকাল আমাদের লড়াই থাকবে জারি।    ****************************** Nripendranath Mahanta  Vill.& Post-HEMTABAD District :-Uttar Dinajpur PIN-733130  Mobile No. -8918861003

কবিতা ।। প্রাণের ভাষা ।। সাইফুল ইসলাম

বাংলা ভাষার মধূর সুরে                 যাচ্ছে বাউল পথে, মন মেতেছে সুরের ভেলায়                 একতারাটি হাতে।  ঢেউয়ের তালে নৌকা দুলে                 যায় যে মাঝি দূর, কন্ঠে তাহার বাংলা ভাষার                  ভাটিয়ালি সুর।  বাংলা আমার প্রাণের ভাষা                  বাংলা আমার মা, পল্লীগীতি-লোকগীতি                  কিংবা টুসু গা।  কোথায় আছে এমন ভাষায়                   প্রাণ জুড়ানো গান,  গরমকালে শীতল সমীর                   যেমন জুড়ায় প্রাণ।  সেলাম তোমায় অমর শহীদ                   বাংলা ভাষার লাগি, রফিক,সালাম,জব্বার,বরকত                  ...

কবিতা ।। একুশে ফেব্রুয়ারি ।। তপন তরফদার

  একুশে ফ্রেবুয়ারি সার্থক না হলে,  মানুষ ভুলে যেত বাংলার কথকতা-- পৃথিবীর আলোয় প্রচার হতো না রবি কাব্যের প্রয়োজনীয়তাও মাধুর্যতা। একুশে ফ্রেবয়ারি সার্থক না হলে  যুদ্ধ হতোই পড়শী ভায়ে ভায়ে প্রাদেশিকতার ঘোর  নির্মম আঘাতে এতদিনে অবশ্যই লুপ্ত হত বাংলা বর্ণমালা--- একুশে ফেব্রুয়ারি সফল না হলে ইয়াঙ্কী কালচারে মগজ যেত ভরে আমদানি করতো অশ্রাব্য সৃষ্টি  হারিয়ে যেত, বাংলার লোকসংস্কৃতি একুশে ফেব্রুয়ারি সফল না হলে     বিদেশি ভাষায় দেশ যেত ভেসে  চারিধারে ঝুলতো  নগ্ন নায়িকার ছবি      বাংলা হয়ে যেত  মহেঞ্জাদারোর জুড়ি ।  একুশে ফেব্রুয়ারি সফল না হলে, থাকতো না কোনো মনের ভাষা ধরণী র ধূলায় লুন্ঠিত হতো আরো  অনেক অনেক মধুর মিষ্টি মাতৃভাষা।   =========================   তপন তরফদার, প্রেমবাজার (আই আই টি) খড়্গপুর।                 ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ 9434077490

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

রেজাল্ট ।। সৈকত মাজী

রেজাল্ট সৈকত মাজী শুভ্রাংশু বিছানতে শুয়ে শুয়ে বিরক্ত হয়ে উঠল। মনে মনে নিজের শরীরটাকে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিলো দু- চারটে কথা, দেবে নাই বা কেন, কয়দিন ধরে এতো কাঠ খড় পুড়িয়ে সব বন্ধুরা মিলে রথটা বানালো, কত কি প্ল্যান করলো, আর এই শরীরটার জন্যই তো সব ভেস্তে গেলো। মনে মনে ভাবলো একটা যা হোক শরীর হয়েছে ওর প্রতি মাসে তিন - চার বার করে জ্বর হচ্ছেই। হবি তো হ আর একটা দিন পরে হলে কি এমন ক্ষতি হতো, এই রথের দিনেই হতে হলো। ওর বিরক্তিটা বেড়ে গেলো আরো কয়েক ঘর।    " মা ও মা...মাআআআআ...." জোরে হাঁক  দিলো শুভ্রাংশু।    " কি হয়েছে বাবু? আবার জ্বরটা বেড়েছে? মাথা ব্যথা করছে?" ব্যস্ত হয়ে উঠলেন মালতিদেবী।     " ওসব কিছু নয়, ও মা বলছি এখন তো খুব কম জ্বর আছে যাই না মা একবার বাইরে, সবাই কতো ফুর্তি করছে বলো"  কাতর ভাবে বলল শুভ্রাংশু।      " না বাবু, এখনই আমরা ডাক্তারের কাছে যাব, বাবা তৈরী হয়ে গেছেন, আমরা বিকেলে তখন মেলা দেখতে যাব কেমন, এখন উঠে জামা কাপড় পরে নাও"  মালতিদেবী জামা কাপড় গুলো এগিয়ে দিলেন।      শুভ্রাংশু...

রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি

রাই আর বাবা অদিতি চ্যাটার্জি রাই-র জীবনে বেশ কিছু ভালো লাগা আছে তার মধ্যে একটা হলো সন্ধ্যার সময় তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখতে দেখতে কফি কাপে চুমুক দেওয়া ।" আজ যশোদা মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে বেশ ভিড়,নির্ঘাত 'তেলে ভাজা ' প্রেমীরা।" আপন মনেই ভাবে ও, কিন্তু বসার ঘরে সুমন আর আঁখি এতো জোরে 'হল্লা গোল্লা ' করছে তালতলার জমজমাট রাস্তার দিকে আর মন দিতে পারছে না রাই।  পায়ে পায়ে ঘরে এসে দাঁড়ায় রাই, দেখে ক্লাস ফোরের মেয়ে এতোটা ঝগড়া করছে সুমনের সাথে , "বাপ রে, কবে এতোটা কথা শিখলো মেয়ে! কিভাবে কথা বলছে?? কোঁকড়া চুল ঝাঁঝিয়ে,গোলগাল হাত নেড়ে " ...মেয়ে কে দেখে থতমত খেয়ে যায় রাই। এদিকে আঁখি বলছে, "ধুত্ বাপী তুমি কিচ্ছু পারো না, তুতাই-র বাবা, পিসাই, মামু সবাই কত ভালো করে খেলতে পারে , না আমি তোমার সাথে খেলবো না।" কাতর চোখে মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে সুমন বলে ,"আচ্ছা তুই আমাকে শেখা, দ্যাখ আমি কার জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে পনেরো দিন পর পর কলকাতায় আসি বল!"  ঐ টুকু মেয়ে কথা প্রায় না শুনেই ঘরে চলে গেল রাই-র চোখের সামনে, সুমন একবার হেসে বাথরুমের দিকে এগো...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী

বস্তু, চেতনা এবং  কবি সজল চক্রবর্তী  "যেখানে পৌঁছায় না রবি,, সেখানে পৌঁছে যান কবি।" এই ছোট্ট কবিতা টি অনেক পুরনো  এবং বহু পরিচিত, তথাপি এর তাৎপর্য এখনো হারায় নি। তবে, কথা হ'চ্ছে -আমরা তো  রবি-কবিকে একত্রেই পেয়ে যাই আমাদের ঋষি-প্রতিম কবি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে। আর তখনই জেনে যাই উপরোক্ত ছোট কবিতার প্রণিধানযোগ্যতা ।  ... এবার শুনে নেয়া যাক, ঋষি-প্রতিম কবির মুখ নিঃসৃত বাণী:- "তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি যাই ...." অর্থাৎ আমাদের প্রিয়তম কবি অনায়াসে পৌঁছে যান সৃষ্টির অসীমে , যা আমাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। এখানে কবির চেতনা সুদূর প্রসারী! ... প্রকৃত প্রস্তাবে কবি অতিন্দ্রীয় জগতের এক নাগরিক। তাঁর কাছে তাই চেতনা বা চৈতন্যেরই প্রাধান্য। ...এখন আসছি, বস্তু এবং চেতনার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে।  ... আমি একজন অতি সাধারন মানুষ, তাই এই ব্যাপারটাকে কবিদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা ক'রছি। তবে আমার সামান্য জ্ঞান থেকে একটা সাধারণ কথা সেরে নি'। আমরা সাধারণত ব'লে থাকি-- সূর্য পূর্বদিকে ওঠে। প্রকৃত অর্থে কি তাই ? আসলে সূর্য যেদিকে ওঠে ,আমরা  সেই দিকটাকে নামাঙ্কিত ক...

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদি ।। অরবিন্দ পুরকাইত

স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি  (পর্ব—সাত) অরবিন্দ পুরকাইত স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদির সংগ্রহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকায়, ২০১৬ সালে। সে সংগ্রহ যায় নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে, ১৪২৩ সনে। পরে এই ব্লগজিনেও কিছু সংগ্রহ প্রকাশিত হয় ১৪২৮ সনের আশ্বিন মাসে, পৌষ ১৪২৯-এ, আষাঢ় ১৪৩০, নববর্ষ ১৪৩১ ও কার্তিক ১৪৩১ সংখ্যায়। তার পরেও ধীরে ধীরে আরও কিছু সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলিই এখানে রাখা হল। নিজের আগের সংগ্রহে এসে-যাওয়া শব্দ যদি এখানে এসে থাকে, তা বাড়তি বা ভিন্ন কিছু বলার প্রয়োজনেই। নিজের আগের সংগ্রহ খুব ভাল করে যে মিলিয়েছি তা নয়, পুরো সংগ্রহ একত্র করার সময় তা করা যাবে যতটা সম্ভব নিখুঁত করে। আগে আগে সংগ্রহ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা হয়েছে, বিশেষত প্রথম প্রকাশের সময় একটু বিশদভাবে। এখানে আর কিছু বলা নয়, কেবল সংগ্রহটাই তুলে ধরা গেল। অখেজো/অখেজে — অকেজো থেকে। আদরের তিরস্কার হিসাবেই মূলত প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পাজি। অচিমিতি — (উচ্চারণ ওচিমিতি) আচমকা, হঠাৎ। অদীয় — প্রচুর, অজস্র। অদ্বিতীয় থেকে ক...

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায়

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত রণেশ রায় ভূমিকা দর্শনের ইতিহাসে বস্তু ও চেতনার সম্পর্ক মানবচিন্তার গভীরতম প্রশ্ন। অধিবিদ্যা ভাবকে মুখ্য ধরে, বস্তুকে গৌণ বলে মনে করে। বিপরীতে মার্কস ও এঙ্গেলস বলেছেন—বস্তুই মুখ্য এবং চেতনা তার প্রতিবিম্ব। মানুষ যখন প্রথম আলোর মুখ দেখেছিল, তখনই সে বিস্ময়ে প্রশ্ন করেছিল—আমি কে, কোথা থেকে এলাম, আর এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে কিছু আছে কি? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নিয়েছিল দর্শনের দুই বিপরীত স্রোত—ভাববাদ আর বস্তুবাদ। ভাববাদ বলেছিল—"ভাবই প্রথম," আর মার্কস বললেন—"না, বস্তুই প্রথম।" এই দুই প্রান্তের মাঝখানে আমি দেখি এক সেতুবন্ধন, যেখানে বস্তু, স্নায়ু ও চেতনা একে অপরকে গড়ে তোলে, আর তাদের এই ত্রিত্বের নৃত্যেই সৃষ্টি হয় জীবন ও কল্পনার জগৎ। ভাবববাদ এক সর্বশক্তিমান শক্তির কল্পনা করে যা এই বস্তুজগতের স্রষ্টা। আর এখান থেকে ধর্ম ও ধর্মীয় ভাবধারার সৃষ্টি। আমার এই প্রবন্ধে আমি মার্কসীয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আলোকে বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি দেখাবার চেষ্টা করবো কিভাবে ইন্দ্রিয় এবং স্নায়ুজগৎ বস্তু ও চেতনাকে সংযুক্ত করে এবং কল্পলোকের জন্ম দেয়...

চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার

চাঁদে জীবন  শমীক সমাদ্দার                           চন্দ্রযান দুরন্ত তৈরি, রকেটের উপর ভর করে চন্দ্রযান চাঁদে অবতরণ করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পেরিয়ে মহাকাশযান চাঁদের কক্ষপথে  স্থাপন করা হয়েছে। চন্দ্রাযান চাঁদের মাটিতে পা রাখবে সময়ের কাউন্ট ডাউন চলছে। সমস্ত নিয়ন্ত্রণ স্পেসস্কাই গাবেষণা কেন্দ্র কতৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রযুক্তি বিজ্ঞান অতল গভীরতায় বাসা বাঁধে। পরিচয়টা দিয়ে দিলাম এই স্পেসসিপে রয়েছে তিনজন নভোচর, একজনের নাম সাইমন আর এক জনের নাম রেমন্ড, আর এদের সঙ্গে একজন মহিলা আছে তার নাম মেরিনা। চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করেছে। চন্দযান দুরন্ত চাঁদের পূর্ব -পশ্চিম অক্ষরেখা বরাবর অবতরণ করেছে। আলো আঁধারের গভীরতায় বড় বড় পাথরের পিণ্ড, চাঁদের সার্ফেসের উপরে পাথর জল দেখা যায়। জমাট বাঁধা অক্সিজেন আর কার্বনডাই অক্সাইড। ওরা এখানে এসেছে এক রহস্য উদ্ঘাটন করতে। যে স্থানে ওরা অবতরণ করেছে সেখানে ১০ বছর আগে ওরা এসেছিলো। রুশ সরকার ওদের দেশের ছাত্র ছাত্রী কে মহাকাশে চাঁদে পাঠাতে চায়। ওরা কেন এসেছে সেটা এখনো অধরা। সাইমনের বর্...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

বছরের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ৮৬তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পাদকীয় এই সংখ্যাটি বাংলা নববর্ষ বিষয়ক সংখ্যা। নৱৰ্ষকেন্দ্রিক বহু তথ্যপূর্ণ লেখা এই সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস, রীতিনীতি, উৎসব, পার্বন, লোকাচার, রূপান্তর বহুবিধ বিষয় প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যার লেখাগুলিতে। এই সংখ্যার বাছাই কিছু লেখার সঙ্গে আগামীতে আরও কিছু লেখা সংযুক্ত করে বাংলা নববর্ষ বিষয়ক একটি মুদ্রিত সংখ্যা প্রকাশ করার ইচ্ছে রইল।  সকলকে নববর্ষের আন্তরিক শুভকামনা জানাই। উৎসবে আনন্দে থাকুন, হানাহানিতে নয়। ধর্ম-ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে সহনাগরিকের পাশে থাকুন। মনে রাখুন, ধর্মকে মানুষই সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বর আল্লা গড ইত্যাদির জন্মদাতা মানুষই। মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষের পাশে থাকুন।  নিরাশাহরণ নস্কর  সম্পাদক, নবপ্রভাত।  সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা পয়লা বৈশাখ ।। সিদ্ধার্থ সিংহ নববর্ষকেন্দ্রিক মেলা, পার্বন, উত্সব, লোকাচার ।। সবিতা রায় বিশ্বাস নববর্ষ আবাহন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে ।। তুষার ভট্টাচার্য নববর্ষের সেকাল ও একাল ।। হিমাদ্রি শেখর দাস নববর্ষের হাল-হকিকৎ ।। শংকর ব্রহ্ম বোশেখি বাঙালি নাকি পোশাকি বাঙালি? ।। দিব্যেন্দু...

প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান

বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় মাখনলাল প্রধান বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির জগতে যাত্রা শিল্প তথা নাট‍্যশিল্পে মড়ক নেমে এসেছে । যাত্রা শিল্পের মড়কে শুধু কোভিড নয় তার বহুপূর্ব থেকেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় , শিক্ষাক্ষেত্রে বন্ধ‍্যাত্ব এবং গ্ৰাম বাংলার পটপরিবর্তন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। যাত্রা-শিল্পের লীলাভূমি ছিল গ্ৰাম বাংলা। গ্ৰামে প্রচুর যাত্রাপালা হত নানা উৎসবকে কেন্দ্র করে । জমিদারি ব‍্যবস্থা লুপ্ত হওয়ার পর গ্ৰামীণ মানুষের উদ‍্যোগে শীতলা পূজা,  কালীপূজা, দুর্গাপূজা, কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, চড়ক ইত‍্যাদিকে উপলক্ষ‍্য করে যাত্রাপালার আয়োজন না হলে কেমন যেন ম‍্যাড়ম‍্যাড়ে লাগতো। সেই সঙ্গে কলকাতার বড়বড় কোম্পানির যাত্রাপালা ঘটা করে, টিকিট সেল করে হত মাঠে। খুব বড় মাপের খেলার মাঠ যেখানে ছিল না সেখানে ধানের মাঠ নেওয়া হত ‌। ত্রিশ-চল্লিশ হাজার মানুষ দেখতে আসত। স্পেশাল বাস পাঠাত  আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বিনা ভাড়ায় বাসে যাতায়াত করত যাত্রার দর্শকেরা। কিন্তু বিকল্প ধানচাষ শুরু হলে জমিগুলো সময় মতো ফাঁকা পাওয়া গেল না । প্রথম দিকে ব‍্যাপকহারে ধান শুরু না হওয়ায় খুব একটা অসুবিধা হত না। বহুক্ষেত্রে  ধান কা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী

ভিনগ্রহীদের সন্ধানে  শ্যামল হুদাতী  ইতিহাসের শুরু থেকে বারবার মানুষকে একটা প্রশ্ন কুঁড়ে কুঁড়ে খায় – এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? পৃথিবীর মতো আরও গ্রহ রয়েছে, যেখানে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীরা বাস করে – এই সম্ভাবনা বরাবর মানুষকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের কখনও না কখনও এই ভাবনা এসেছে। দীর্ঘ কয়েক দশকের গবেষণার পরও, এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপ, বহু দূরের এমন কিছু গ্রহের সন্ধান দিয়েছে, যেগুলিতে প্রাণ থাকতেই পারে। তবে, নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বহু দূরে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। তারা এই পৃথিবীতেই মানুষের ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যেই বসবাস করতে পারে। আমরা ভিনগ্রহীদের যেমন কল্পনা করি, এরা তার থেকে আলাদা। এরা অনেকটাই, দেবদূতদের মতো। মানব জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রযুক্তিগত নয়, বরং জাদুকরি। মহাকাশে সৌরজগতের গ্রহ পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথায় প্রাণ রয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। একই সঙ্গে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাস ক...

মাসের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

দিদৃক্ষা ।। রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী

  দিদৃক্ষা রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী 'কাল একবার দেখা হতে পারে?' দশমীর দুপুরে খাটে আধশোয়া হয়ে নিজের ফোনটা ঘাঁটছিল দেবমাল্য; হোয়াট্‌সঅ্যাপের সার্চ বক্সে  র‍্যান্ডম সিক্যুয়েন্সে ক'খানা ডিজিট ইনপুট করতেই বিস্মৃতির অতল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে নামটা স্ক্রিনের সারফেসে ভেসে উঠল, এককালে দেবমাল্যের প্রায়োরিটি লিস্টে সবথেকে ওপরে পিন্‌ করা থাকতো এই অ্যাকাউন্টটা। 'অহনা দাশগুপ্ত'—গ্রেয়েড-আউট ডিপিটার ডানদিকে, নামটার তলায় নিস্প্রভ হরফে ভেসে থাকা ওর এই লাস্ট মেসেজটা বেশ ক'বছরের পুরনো, কিন্তু দেবমাল্যর স্মৃতির প্যান্ডোরা বাক্সটি উলটে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। আরেকবার আপাদমস্তক শিহরিত হয় সে। প্রোফাইলটা খুলে ওপরে-নীচে স্ক্রল্‌ করে দেখে, ওদের পুরনো চ্যাটগুলো তেমনি আড়ষ্ট হয়ে পড়ে আছে, ওর মেসেজগুলোর পাশে ডাবল টিকগুলো এখনও জাজ্বল্যমান সবুজে ছোপানো, যেন এইমাত্র 'সিন্‌' করে রেখেছে অহনা! যেন এখুনি আবার হাত বোলালেই অহনা এসে খানিকটা রাগত ভঙ্গিতে চ্যাট করতে লেগে যাবে। দেবমাল্যের বুক ছাপিয়ে একটা নীরব দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে! ছুটির এই আমেজটা লক্ষ্মীপুজো অব্দি গড়াবে—অফিস খুললেই তো আবার দমফাটা ব্য...

গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম

  গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম হুইসেল (মুরাকামি থেকে অনুপ্রাণিত) ♦ 'গভীর রাতে একটা হুইসেল কতটা গভীর হতে পারে তুমি কল্পনাও করতে পারো না,' ছেলেটা বললো, 'আশ্চর্য ঐ হুইসেলের মতো আমি ভালবাসি তোমাকে।' কিন্তু গভীর রাতে অন্ধকারে কখনও তো ঘুম ভেঙে যায়নি মেয়েটার, কখনও ও বিচ্ছিন্ন আর একা হয়ে যায়নি। ও কীভাবে অনুভব করবে গভীর রাতে ট্রেনের হুইসেল কতটা গভীর! নিউজ এজেন্সি ♦ একসময় আমরা খবর শুনতাম এখন দেখি স্বীকার করতে হবে খবর শোনার চেয়ে দেখার আনন্দ বেশি আলাদা উত্তেজনা নিউজ এজেন্সিগুলো এব্যাপারে তৎপর আর প্রতিযোগিতাপূর্ণ কোনটা নিউজ সেটা ওরাই ঠিক করে যেটা ওদের দরকার আর সেটাই আমাদের দেখানো হয় ধারাবাহিকভাবে সুচারু জ্যামিতিকতায় বিভিন্ন পদ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নতুন বাস্তবতা নির্মাণে যে বাস্তবতায় জায়গা নেই আমাদের ইতিহাস অন্বেষা স্বাধীনতার সমৃদ্ধি আর স্বাধীনতার কথা বলেই ওরা আমার ক্ষেতখামার পাহাড় আর নদীর দখল নিয়েছে তাহলে টিভিতে যে হাসিখুশি প্রাণবন্ত আমাদেরকে দেখানো হয় ওরা কারা এই প্রশ্ন করো নিজের কাছে আগুন নিয়ে খেলা ♦ আজও পুকুরে ছিপ ফেলে বসবো আমি ধীরে চুপ সূর্য আমার ঘাড়ে শ্বাস ফেলবে সারারাত ঘরের ভেতর ল্যাং...

বিদায়ের স্রোত ।। চয়ন মন্ডল

  বিদায়ের স্রোত চয়ন মন্ডল "বিজয়া দশমী—আনন্দের দিন, কারও কাছে যা হয়ে উঠল চিরন্তন বিদায়।" আজ বিজয়া দশমী। শিউলি ফুলের গন্ধে ভোরটা অন্যরকম। পাড়ার প্যান্ডেলে অদ্ভুত এক কোলাহল—মায়ের বিদায় যে আজ। শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাজনা আর উলুধ্বনিতে গমগম করছে চারদিক। একদিকে মা দুর্গার বিদায়ের বেদনা, অন্যদিকে আনন্দ ও মিলনমেলা। সারা বছরের অপেক্ষা শেষে এই দিনটিতে প্যান্ডেল ভরে উঠেছে মানুষের ভিড়ে। সকালের পূজার্চনা শেষ হতেই শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। মহিলারা মায়ের প্রতিমাকে সিঁদুর পরিয়ে একে অপরের কপালে, গালে রাঙিয়ে দিচ্ছেন। ঢাকের তালে আর শাঁখ বাজনার আবেশে ভেসে যাচ্ছে পাড়া। শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। কিন্তু এসবের মধ্যে নেই অনুরাধা। কেউ তার বা মিনির খোঁজ রাখেনি। মুখার্জিদের দোতলা বাড়ির কোণের ঘরে বসে সে চোখের জল ফেলছে। সবার বাড়িতে আলোর রোশনাই, ভোগের গন্ধ, হাসি—শুধু তাদের ঘরটিতে নিস্তব্ধতা। গতবছর এই দিনেই তো অন্যরকম ছিল সবকিছু। অনুরাধা, সুজয় আর তাদের তিন বছরের মেয়ে মিনি পাড়ার প্যান্ডেলে ঢাকের তালে নেচেছিল, সিঁদুর খেলায় রঙে ভেসেছিল। বিকেলের দিকে প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে শামিল ...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

শেষ বিকেলের আলো ।। সৈকত প্রসাদ রায়

  শেষ বিকেলের আলো সৈকত প্রসাদ রায় রানাঘাট শহরের প্রান্তে ছোট্ট এক পাড়া বিশ্বাসপাড়া। সেই পাড়ার পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়িটায় থাকেন পুষ্পরাণী ভট্টাচার্য— বয়স পঁয়ষট্টির কোঠায়। সবাই তাকে "পুষ্পদি" বলেই চেনে। একসময় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেলে পুষ্পদি বারান্দায় বসে চা খান। ছোট একটা টেবিল, কয়েকটা পুরোনো বই, আর একখানা নীল কাঁচের ফুলদানি — তার নিত্যসঙ্গী। বারান্দার সামনেই একটা গলি, যেখান দিয়ে প্রতিদিনই স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা হইচই করে ছুটে যায়। পুষ্পদির একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ — কলকাতায় চাকরি করে। ছেলেটা আধুনিক, নিজের সংসার আছে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত। বছরে হয়তো একবার আসে, তাও কিছুক্ষণ বসে আবার চলে যায়। পুষ্পদি মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু বুকের ভেতরে একটা কষ্ট জমে থাকে। সেই বিকেলটা অন্যরকম ছিল। আকাশে ধুলো, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। হঠাৎ পুষ্পদির চোখে পড়ে — রাস্তায় এক কিশোর বসে আছে। বয়স বারো-তেরোর বেশি নয়। মলিন জামা, পায়ে ছেঁড়া চটি। ছেলেটা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে পুষ্পদির বাড়ির গেটে ঝুলে থাকা পুরোনো নোটিশবোর্ডটার দিকে, যেখানে একসময় লেখা ছিল — "পুষ্পরাণী ভ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...