Skip to main content

Posts

স্বরূপা রায়ের অণুগল্প

প্রতিশ্রুতি "কিরে শম্ভু, কেমন আছিস?" শম্ভুর পিঠে হাত চাপড়ে বললো অতুল। শম্ভু সবজি সাজাচ্ছিল বস্তা পেতে। হাত জোড় করে বললো, "এই তো দাদা, ভালো আছি।"  "ব্যবসা কেমন চলছে?" "ভালোমন্দ মিলিয়ে খারাপ চলছে না।" "দুইবেলা খেতে পাচ্ছিস?" "হ্যাঁ হয়ে যাচ্ছে। বাচ্চাটা তো এখনো ছোট। মায়ের দুধই খায়। তাই আমার আর বউয়ের হয়ে যায়।" "শোন, তুই আমাদের দলের দাদাকে তো চিনিস। উনি খুবই ভালো মানুষ। আগেরবার অল্প ভোটে হেরে গিয়েছিলেন। এবার জিতলে আমাদের সবার অনেক সাহায্য হবে। আগামী রবিবার আমাদের মাঠে উনি একটা সভা করবেন। তুই তোর বউ-বাচ্চা নিয়ে আসবি। দুপুরে ভালো খেতেও দেবে।" "তাই নাকি?" "হ্যাঁ আসিস কিন্তু। তোদের মুখ দাদা দেখে রাখলে তবেই ভবিষ্যতে সাহায্য হবে।" "আচ্ছা দাদা, যাবো।" আট মাস পরে, শম্ভু বৃষ্টির মধ্যে ছুটতে ছুটতে এসে হাজির হলো পার্টি অফিসে। অতুল ও ওদের দলের দাদা উপস্থিত। ওই দলই এখন শাসক। "দাদা, আমার বাচ্চাটার খুব অসুখ করেছে। অনেক টাকা লাগবে সুস্থ করতে। কিছু সাহায্য করুন। নাহলে...

রীতা রায়ের রম্যরচনা

টুকিটাকি (ভোটপূর্ব কথোপকথন )              ******** ********* ********* *********       --- কী হে, দাস না কী? কতদিন বাদে দেখা, সেই যে তোমার গোপন কথাটা হয়েছিল বেফাঁস!    --- ওই এক বদোভ্যাস! যোগ বিয়োগে হিসেব খাল্লাস।    --- আজকাল করছো কী শুনি? কীভাবে কাটছে বারমাস?    --- বড় কিছু খাস নয়। করছি বুদ্ধির(( চাষ। ফসল উঠছে ভালোই, তরতাজা.. দানাদার। বেমাশুল কারবার। বাজারদর পাচ্ছি না, হচ্ছি জেরবার। মিটছে না মনের আশ, তবু করছি চাষ। জমা ফসলে লেগে যায় ঘূণ।    --- করছোটা কী শুনি, ভাগ না গুণ?    --- তেল নুন কেনা ছাড়া বাকিটা পান থেকে খসে চূণ। আর কাড়ছে রাতের ঘুম।    --- কবিতা-টবিতা, লিখছো.. না কী?    --- ওই টুকি-টাকি, অন্যের লেখা থেকে আর কী!    --- তা বেশ, বেশ। ধরা পড়ার ভয় নাই। কার ঘাড়ে কে বা খায়। চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। রসদ চাই, বুঝলে ভায়া?    --- ঠেকে ঠেকে বাজছে বাঁয়া। কায়ার চেয়ে লম্বা ছায়া। নাই কারো...

রম্যরচনা : অনিরুদ্ধ সুব্রত

বাঙালির ভোট-সিন্ড্রোম -------------------------------- দিন শেষে অফিস-ক্লান্ত মধ্য চল্লিশের বাবা, বাস ট্রেনের ধকল সামলে সবে ঘরে ফিরেছেন।ক্লাস থ্রির ছেলে কাছে এসে বলল, বাবা আমরা কি টিএমসি না বিজেপি  ? প্রশ্ন শুনে বাবা পড়লেন আকাশ থেকে । মা ছেলেকে টেনে সরিয়ে নিয়ে গেলেন পড়ার ঘরে, বকাবকি করলেন না-বোঝা বিষয়ে কথা বলার জন্য । বাবা থ হয়ে বসে থাকলেন সোফায় । পরে স্ত্রীর কাছে শুনে বুঝতে পারলেন, ওটা আসলে পুল-কারের ড্রাইভার-আঙ্কেল ছেলের কাছে জানতে চেয়েছিল।             ধরুন ভদ্রলোকের নাম রতনবাবু , তো তিনি ব্যস্ত অফিস আওয়ারে সম পর্যায়ের কোলিগদের কাছে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক বার শুনেছেন, 'গ্রাম থেকে তো আসেন, তা ওদিকের ভাব ক্যামন এবার ? ক'টা পাবে ভাবছেন ?' নিরীহ নিপাট লোকটা মৃদু হেসে, না জানা ,না বোঝার ভানে পেরিয়ে যেতে চান উৎসাহী চোখ গুলোর প্রত্যাশা ।           দু'একদিন বাদে বাদেই অফিস ফেরতা পথে স্টেশনের কাছের মুদির দোকানে যেতেই হয় । ঘর সংসারের এটা ওটা নেবার ফাঁকে দোকান মালিক সামান্য অভিব্যক্তির শৈল্পিক কারুভঙ্গি করে বলেই ফে...

আবদুস সালামের কবিতা

আমাদের কোনো নিজস্ব তা নেই           (এক)      উদ্বেগের কুয়াশায় লেপ্টে আছে আমন্ত্রণ ক্লান্ত ক্লান্ত ভালো বাসা ছড়ানো সর্বত্র কামুক বাজনা বেজে ওঠে গরুর রাজত্বে গণতন্ত্র উল্লাসে মাতে অন্তপ্রাণ ভোটারদের সম্ভ্রম খোয়া যায় আমরা আমাদের ধর্ষক নির্বাচন করি  পালন করি ভোটোৎসব বিষন্নকাল প্রতিশ্রুতির  আকাশে ডানা মেলে             (দুই) আত্মবিশ্বাস নিয়ে যুদ্ধ করি নির্বোধ পাড়ায় রক্তহীন চোখ দ‍্যাখে আস্ফালন হাহাকার ছায়া ফ‍্যালে ,বাগদী পাড়ায় রোডশোতে নেমে পড়েছে সিনেমা সুন্দরীরদল স্বপ্ন ঈশ্বরীরা পা মিলিয়েছে সাথে( মুদের সুঁথে) রক্তাক্ত হয় চৈতন‍্যের বাগান ফিরে ফিরে আসে ভোট পার্টি অফিস ভাঙচুর হয়, রাস্তায় পড়ে থাকে লাশ মিটিং মিছিলে পাড়া মহল্লা কাঁপে রোদন বিলাসী মা আমার শৃগালের সাধু উচ্চারণ শেখায়, সম্মোহিত হই নস্ট ফুলের মালা গেঁথে  সাজায় নেতাজীমূর্তি  যেদিকে তাকায় ঝুলে আছে বিষ্ময়সূচক চিহ্ন আমরা ভোট দিই আমাদের কোন নিজস্বতা নেই @@@ আবদুস সালাম  প্রয়াস ...

অমিতাভ দাসের কবিতা

গণতন্ত্রের গাড়ি ভোট অফিসার হয়ে বাড়ি থেকে বেরোবার সময় বাবা বুবুনকে কথা দিয়েছিল ফেরার সময় নতুন গাড়ি নিয়ে আসবে আর বুবুন খেলবে সারাটাদিন ধরে। রাতে শোয়ার সময় ফোনে কি সব বলছিল মা, বুবুন বোঝেনি ঠিক,শুধু শিখে নিয়েছিল স্পর্শকাতর,বুথদখল নতুন এইসব শব্দ। রাতে স্বপ্নে বুবুন দেখল একটা লাল টকটকে গাড়ি,তাতে ড্রাইভারের সিটে বসে সে বাবা মাকে বেড়াতে নিয়ে যাচ্ছে অনেক অনেক দূর।গাড়িতে আবার লাগানো রয়েছে একটা সাইরেন। পরদিন বেলার দিকে খবর আসে বাবা একটু তাড়াতাড়ি ফিরবে,ফিরবে মর্গ ঘুরে,বুকের ঠিক যেদিকে বুবুন থাকত,সেখানে কারা যেন দু দুটো ফুঁটো করে দিয়েছে  বৃহত্তম গণতান্ত্রিক উৎসবের নেশায়। সাইরেনের শব্দে ছুট্টে দরজায় যায় বুবুন,দেখে তার বাবা ফিরেছে,সাথে গাড়ি এনেছে,কাঁচ ঢাকা গণতন্ত্রের গাড়ি!! ======================= অমিতাভ দাস 40/এ বাকসাড়া রোড,বাকসাড়া,হাওড়া - 711110

সুতপা পূততুণ্ডর কবিতা

ভোট বড় বালাই মন্ত্রীরা আজ বেস্ত বেশি উদ্বোধন আর শিলান্যাসে! পরিসেবা কোথাও নেই, শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে ভাসে! ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি সব জনতার পাওনা, মিটলে ভোট সেই নেতাদের টিক্কি ছোঁয়া যায় না! বছর ঘোরে শিলান্যাসে পাথরের গায়ে ঘাস গজায়! উবে যাওয়া প্রতিশ্রুতি কর্পূরকেও হার মানায়। বোতামের গায়ে লেগে থাকে নেতা মন্ত্রীর শ্বাসপ্রশ্বাস ভোট মিটলে পরে থাকে রক্তাক্ত গণতান্ত্রিক লাশ। ইছাপুর উত্তর২৪পরগনা Sent from OPPO Mail

টুম্পা মিত্র সরকারের ছড়া

কাকাতুয়ার ছড়া . ভোট এসেছে ভোট— বলছে রামুর ছেলে, বন্ধ দোকানপাট... কাজ না হলে চলে ? . একটা ছেলে গেলো  হেসে  প্যাঁচার বাড়ি, প্যাঁচার মুখটা দেখো... রাগলে কেমন হাঁড়ি ! . দস্যি মেয়ের নাচ পড়শি দেখে চেয়ে, মেয়ের তো হুঁশ নেই, আসছে সবাই ধেয়ে ৷ . সোনা বাবুর পড়া— টেবিল জুড়ে বই, নিঝুম নীরব পাড়া, সোনা গেলেন কই ? . কাকাতুয়ার ছড়া... লাগছে মিঠে ভারি ভোট ফুরোলে দেখি মন্ত্রীরা দেন পাড়ি ৷ ————————————————————— টুম্পা মিত্র সরকার পূর্ব বর্ধমান

জয়ীতা চ্যাটার্জীর কবিতা

স্বৈরতন্ত্র নিজেরই ভেতরে রেখেছ যাকে তুমি,  বয়ে যাও মোট ভার,বয়ে যাও বুকের অলিগলি।  সেও রেখেছে বরাবর এক হাতে লোভ, আর ত্রাস রেখেছে আরেক হাতে,  তোমার ওপরে তার যত লাফালাফি, রাগের তুফান ছুটিয়ে মাঝ রাতে।  নিছক ঘরোয়া এক ভয়, হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে  দগদগে কপালের দাগে।  স্মৃতি মাত্রই দুর্বল, সম্প্রিতি কে কবে দেখেছে স্বৈরতন্ত্রের আগে।।  ------------------------------------------ Jayeeta Chatterjee Add: 22/4 R.N.T.P Bye lane Shyamnagar north 24 parganas

শুভঙ্কর দাসের কবিতা

অযুত পদধ্বনি ওঠে সূর্য যেখান থেকে ওঠে সেখান থেকে একটি কালো মাথা এগিয়ে আসে যার হাতের রেখায় কোনো অস্ত্র নেই যার পায়ের তলায় কোনো নরম কার্পেট নেই যার মুখে পড়ে না মঞ্চের হাজার কৃত্রিম আলো তাকে জেগে থাকতে হয় অসুখে,খরায়,বন্যায় অথবা যুদ্ধের দামামায় সে হেঁটে গেলে ধানখেত,সে হাত বাড়ালেই সিংহাসন টলে,সে মরে গেলে বাতাসে ছাই ওড়ে কাঁটাতার ছাড়িয়ে তার শরীরে রক্ত-মাংস ছাড়া শুধু আঁকা আছে চাকা যেটা ঘুরে, অবিরাম ঘুরে বলে,এ পৃথিবীটা জয় করার মতো সুন্দর,ভালোবাসার মতো নরম,সন্ন্যাস হওয়ার মতো ত্যাগ আর মূর্তি বানানোর মতো অহংকার জন্মায় সেই চাকা যত জোরে ছোটে আর কিছু নয়,মহাসংগীত অযুত পদধ্বনি শুধু ওঠে       ------------------------------------------ শুভঙ্কর দাস হলদিয়া পূর্ব মেদিনীপুর ৭২১৬০২ ফোন -৯৭৩২৬২৫২৮৯         

সুমিত দেবনাথের কবিতা

জবাব দিন ********** আমার মায়ের কী দোষ ছিল? বলো না আচ্ছা আপনি বলুন না? ছেলে জন্ম দেওয়া নিজের মুখে রক্ত তুলে, ছেলের মুখে দুধ তুলতে আমার মা তো কোনোদিন কিপটেমি করেনি!! কোনোদিন ভাবেনি, বড়ো করে কি হবে? কী হবে পড়িয়ে? শুধু ভেবেছে ছেলে বড় হবে.. মানুষ হবে? কি তাই না, বলুন না? সান্ত্বনা দেবেন না। আশ্বস্ত করবেন না। একদম না। শুধু উত্তর দিন। আমি উত্তর চাই.. জবাব চাই। আপনাদের মুখ থেকে শুনতে চাই.. আর কতদিন আমার মাকে এইভাবে কোলহারা.. হতে হবে?? আর কতদিন তাকে নিরুপায় হয়ে স‌ইতে হবে উঠতি বয়সের তার বুকের বাছার অসহ্য মৃত্যুযন্ত্রণা। আরে জবাব দিন। মাথা নামিয় রাখবেন না। আমার বাবা যখন সেবার ভোটের দাঙ্গায় মারা গেল .. এই আপনারাই তো এসেছিলেন? তাই না? বলেছিলেন না এসব নাকি আর আপনারা.. হতে দেবেন না। আপনাদেরকে ভোট দিতে.. বলেছিলেন। কিন্তু ক‌ই ? ভোট দিলাম এই তো আপনাদেরকে না না। আপনারা না তো। ওরা তো কালু,ভলু .. আপনারা কারা? হবেন হয়তো শালু গালু। দিয়েছিল সদ্য বিধবা আমার মা ভোটটা সেই কালুদের‌ই। এই এতটুকু আশায় যে, এরা হয়তো...... তার সদ্য পিতৃহারা ... ...

সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা

।।ভোট রঙ্গ।। ভোটের আমি  ভোটের তুমি ভোট দিয়ে যায় চেনা। কে জনগন কি জনধন সব আজ যায় কেনা। কোথায় কাজ কেবল সাজ নকল বুঁদির রম্য গড়। মরুক চাষি লাশ হোক বাসি পুড়ুক খোড়ো গোলা,ঘর। ভোটের বালাই পালাই পালাই ইভিএম-এই প্রাণের টান। ভোটের আগে কি অনুরাগে প্রার্থী মুখেই করছে দান। ভোটের রণ কামড় মরণ লক্ষ্য কিন্তু জনগন। উড়ছে টাকা বুকনি ফাঁকা মনটা তবু উচাটন।। ******************* Sudipta Bandyopadhyay. 7P/ 1, Ram Road, Sarsuna, Kolkata - 700061 . Ph. 9432222463.

কুনাল গোস্বামীর কবিতা

 প্রতারক......    ঘড়িতে তখন ১.৪৫,বৈশাখের প্রখর তাপে শরীরের প্রত্যেক অঙ্গে তখন আগুন জ্বলছে নিখিলেশের।  কিছুক্ষণ আগে ব্যস্ত যানযট উপেক্ষা করে উন্নয়নের পদযাত্রায় সামিল হয়েছিল সে। এখন আবার কোত্থেকে একটা শবদেহ বহন করা গাড়ি হুস্ করে বেড়িয়ে গেল নিখিলেশের পাশ দিয়ে,  নীলাঞ্জনা তাকে ছেড়ে চলে গেছে আজ প্রায় পাঁচ বছর  তার প্রতারণার আগুন আর তাকে নিয়ে লেখা কবিতা গুলো সে এখনো ধারালো অস্ত্রের মতো সাথে নিয়ে ঘোরে  যদি কখনও দ্যাখা পায় কোনো যুগলের  সে তাদের মুখে ছুঁড়ে মারে দেশে এখন মহা উৎসব পালন করা হচ্ছে, বিজ্ঞাপনের ব্যানার জুড়ে শুধুই অভিনেতাদের ছবি  তারই নিচে নিখিলেশ সাদা কাগজে লেখে - "আজ সে ক্ষুদার্থ, আর তার সঙ্গ দেয় জিভ বের করা এক নিরীহ কুকুর!" নীলাঞ্জনা' এখন আর নেইকো কোনো ভেদাভেদ  তোমার নামের সাথে "প্রতারক" শব্দটা আমি জুড়ে দিয়েছি আজ আমারও আঙুলের ডগায় এক ফোঁটা রক্তের ছাপ আর বুকে প্রজ্জ্বলিত প্রতিহিংসার আগুন। ---------------------------------------------------------------------     কুনাল গ...

বিশ্বজিৎ সাহুর কবিতা

                               ভূততন্ত্র                             'গণ' শব্দ শুনলেই কেন কী জানি ধর্ষকের মানে পাই              অথবা কোনো সংক্রামক ব্যাধি , খুনী                    নতুবা আত্মহনন কথন । রাগ হয় নিজস্ব আভিধানিক দ্বন্দ্বে ! লাটিম হাতে খেলতে খেলতে বড় হওয়া ছেলেটা                অ নৈতিক বক্তৃতার জৌলুসে ---             চোখের  সামনে তৈরী বন্দুকবাজ ! 'তন্ত্রে'র বিভূতি মতদানের শাস্ত্রীয় স্থিতধী ছেড়ে শস্ত্র । আহা মিছে কথা নয় --- রূপকথার গল্প শুনেছি ঢের , তারও ঢের রাক্ষস দেখি রোজ              তারা রক্তের গন্ধ নাকে শুভ্রপোশাকে সেজে                    মানুষের ...

বি.কে.স্বপনের কবিতা

ভেবে-চিন্তে ভোটটা দিও --- ---------------------------- ''রাজনীতিটা রাজার নীতি" বলতো সবাই আগে, এসব কথা শুনলে এখন বড্ড হাসি লাগে। লড়ছে ভোটে আসামীরা জেল খাটারও পরে, মাইক হাতে দিচ্ছে ভাষণ অতি উচ্চ স্বরে। ওরা নাকি দেশের জন্য দিতে পারে জানও, রাস্তা-ঘাটে শুনি কতো ওদের গুণ-গানও। ওদের হয়ে গান গাওয়াটা কতো হনুর ব্রত, চামচাগিরি করতে তারা বহায় জন-স্রোতও। ঘোর কলিকাল চলছে এখন বলছে সবাই মিথ্যে, মন্ত্রী তাদের হতেই হবে তাই তো হবে জিততে। দিকনা ভাষণ যতই ভালো সবাই ষড়যন্ত্রী, দেশসেবা তো মুখের কথা চায় যে হতে মন্ত্রী। চা-ওয়ালা আর হাওয়াই চটি আলোচনার শীর্ষে, ওরাই ভাবী প্রধানমন্ত্রী মুখে মুখে ফিরছে। থাকলে পায়ে হাওয়াই চটি পট-পটা-পট শব্দে, যায় যে বলা,  "বিয়াল্লিশে চাই বিয়াল্লিশ! --- সব দে।" উনি আবার ঘর-বিবাগী যদিও স্বঘোষিত, তবু আমরা তাঁর কথাতেই উঠি এবং বসি তো! ভিন্ দেশি এক 'ভিঞ্চি' এসে দিচ্ছেন কতো ডায়লগ, সত্যি-মিথ্যে না ভেবে তা খুশি কতো ভাইলোগ। এমনি করেই আসবে যাবে প্রতিটা নির্বাচন, ভেবে-চিন্তে ভোটটা দিয়ে দাও ওদের নির্বাসন। 'গণতন্ত্রে ব...

পারমিতা ভট্টাচার্যের কবিতা

গণতন্ত্র __________ সাপের মত আঁকাবাঁকা করে  চলেছে একটা লাইন স্কুল এর দিকে, দূর থেকে দেখলেই লাগে পোষমানা বিষদন্তএর থেকে বিষ হয়ত হয়েছে ফিকে। খেয়ালি মত্ততায় মগ্ন আজ জীবনতন্ত্র তারই দস্তখত পড়ে শুধু ভোট যন্ত্রে, সাপের মতো আঁকাবাঁকা একটা লাইন যদিও তার পাঁচ পা দেখতে পাওয়া যায়না। পাঁচ পা দেখালেই আবার একটা ক্ষতবিক্ষত দেহ, আর,অভিভাবকহীন একটা পরিবার পাওনা। তার চেয়ে ভালো পোষ মেনে থাকা, হলেও সামাজিক দৃষ্টিপাত বাঁকা প্রাণটা তো তবু বাঁচে। তাই গৃহপালিত হওয়ার অজুহাতই আজ গণতন্ত্রের মুখে সাজে।। ঠিকানা _______ পারমিতা ভট্টাচার্য পদ্মপুকুর,তারকেশ্বর কলেজ রোড তারকেশ্বর,ওয়ার্ড নও_____১০ পিন কোড__৭১২৪১০

সুজাতা মিশ্র(সুজান মিঠি)র কবিতা

ভোট-বাজার --আমুর ঘরে কারা জ্যান আগুন লাগায়ে গ্যাছে --হ হ শুনসি শুনসি। পাবি পাবি পাঁচ হাজার --ও বাবা, ও বাবা, কবেন থ্যাকে আমুর জর ইয়েছে --ই রাম, এ বুড্ডি কে লিয়ে যা তো, উ ডাক্তার বাজার। আরে শুন, তুদের ই ঘর গুলান সব পাকা হবেক আলো পাবিক জল পাবিক আর পাবিক ভাত, শুধু চুপিচুপি গ্যায়ে মারবি ছাপ, ব্যাস আর কুচু চিন্তা নাই ঘুমাইয়ে ঘুমাইয়ে কাটাইবি মেয়ে বউ লিয়ে রাত। --আমুর বউ ম্যেয়ে লিয়ে গাছতলায় প্যরে থাকি তু বুলেছিলি ভোট দিলে দিবি পাঁচ হাজার… --কি বুললি ব্যাটা হাভাতে! কুবে বুলেছি ইসব! উ দ্যাক, ও দিকে তুর  ম্যায়ের লাগি আছে শরিল-বাজার।             -------------

শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছড়া

হুলোরাজ সুখে ছিল হুলো মেনি চারখানা ছানা একজন কুঁড়ে অতি কেজো তিনখানা। ভাই বোন রোজগার করে যাই আনত কুঁড়ে ভাই তার থেকে বেশিটাই টানত। মা বাবা বকে ঝকে          পাঠালেই বাইরে ছেলে ঠিক ঘুমোবার খুঁজে নেয় ঠাঁই রে। খেয়ে দেয়ে ঘুম দিয়ে ছোট্ট দেহটা ক্ষীণ মোটা থেকে মোটাতর হয়ে চলে দিন দিন। রোজগেরে ভাইবোন চোর বলে পরিচয় গেরস্ত দেয় হুড়ো খিল দেয় দরজায়। লাঠি হাতে করে তাড়া গাল দেয় ছোঁড়ে ঢিল ছিঁচকেমি সোজা নয় বড় হ্যাপা মুশকিল। ইঁদুরও তো কতবার থাবা থেকে ফস্কায় তার পিছু নিয়ে ধরা কী জ্বালা কী যে দায়! তার চেয়ে কুঁড়ে ভাই আছে তোফা বেশ তো ঘাড়ে বসে খেয়ে নেতা চালাবে সে দেশ তো!   ================ Sriparna Bandyopadhyay, Flat 3, Jagadish Apartment, 26 J. K. Chatterjee Road, Sodepur, Kolkata 700110 Mobile: 9007511457, 9331084639. Email: sriparna405@gmail.com প্রিয় নিরাশাহরণ, নতুন করে গদ্য পেরে উঠলাম না। এই ছড়াটি মনে হয় জুতসই হবে। শুভেচ্ছা  শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়

চন্দন সুরভি নন্দর কবিতা

টাকার মেশিন                      মায়ের ওষুধ নিয়ে শহর থেকে ফিরল রতন সবে সন্ধ্যা নেমেছে  রাস্তায় আলো কম হাসপাতাল অনেক দূরে  অদৃশ্য যম খেলাকরে  মৃত্যুর সীমান্তে শায়িত মা   শেষ রক্ষা হল না  আস্তে আস্তে ভোরের আলো ফোটে রাতের আঁধারে ঘরের দেওয়াল গুলো রাঙিয়ে গেছে কারা  তুলেছে রং বেরং এর তোরন  এসেছে নির্বাচন  শোনাযায় এবার নাকি এ টি এম চিহ্নে দাঁড়িয়েছে একজন! টাকার মেশিন........  জিতলে সবাইকে দেওয়া হবে! সামনে বসে উল্লাসে ফেটে পড়া রোবট গুলো মানুষ কবে হবে?  ====================== Chandansuravi Nanda Revenue Office  BL&LRO,Manbazar-ll Boro Purulia PIN-723131 Phone-9163332432

নিসর্গ নির্যাসের কবিতা

      টোপ এক সামিয়ানার নীচে শত সারি পাত পড়ে জ্বলজ্বলে চোখে- পেট ভরা তৃপ্তি এক সাথে হাত চলে। সম্প্রীতি বা মিড্-ডে মিল না। ওরা শিকার। নানা রঙ- নানা তাঁবু। একই জমায়েত। ভোট হয়- সভা জমে ভুখা নিয়ে রাজনীতি ছকে।  ====================

সৌরভ ঘোষের কবিতা

একমুখী যুদ্ধ নুন আর চুন মিলে মিশে সাদাকার ফুটফাট শব্দ নিরাশ,  ক্লিন্ন হাহাকার... জড়ি পাড় রাত,ঝলমলে জামদানী পশমের সোয়েটারে মশা,লাল আম-আদমি...    যাপনের ক্ষেত, চাষির হাতে বে-হাল, ভুল করে কেটে ফেলে কুমির আনার খাল... বৃংহতি শালিকের ঠোঁটে জঙ্গী বিমান, লাইট হাউস ফাঁকা ফেলে রক্ষীর তীর্থ ভ্রমণ। গল্প ছাই অনু হয়ে বাতাসে উড়ছে,  ঢিলেমিতে প্রতিদিন প্রতিবাদ মরছে... নিজের নগরী নিজেই জিতেছে রাজা ক্যানেস্তারা পেটো,বিয়োগে মেলাও হাতে রাখো দুটো মজা। কানাকানি একেবারে নয়  বজায় থাকুক ট্রাডিশন কোটি কোটি ধৃত - রাষ্ট্র বাঁচুক...  জন্ম নিক শয়তান ...  সুদর্শন চক্র ছদ্দবেশে মেঘারোহী, খনিতে একমুখী যুদ্ধরীতি ...     ==================== Sourav Ghosh মুন্সিরহাট, হাওড়া

দেবপ্রসাদ মুখার্জীর কবিতা

ভোট পরব উদিন আমাদে গাঁয়ে হৈ হৈ পরব সিনামার ইস্টার আইছিল ভোট মাগত্যে আমাদে কাছে সাদা ফটফট্যা জামা , কপালে লাল টিক লিয়ে এলেক গোটা গাঁটা ঘুরলেক চালখুলা মটরে চাপেএ  আমার ব্যাটাটা বললেক  মা দ্যাখ দ্যাখ ই লোকটা সিদিন গুন্ডাগুলার কাছে মার খায়েও কমন পিটালেক ভিলেনটাকে , দুয়ারে দুয়ারে দাঁড়ায়ে ভোট মাগছিল ইস্টার বাবু  তারপর থেকয়ে আর আসেনাই কত কুড়ি দিন কাট্যে গেল উদিন থিক্যে ভোট পরব হল্য , ইস্টার ভোটে জিতলঅ , আমাদে জুয়ান ছিলাগুলা লাল মদ খায়ে রং মাখ্যে নাচলঅ , ঘরে ঘরে বাতাসা দিলঅ কদিন পরে সবাই ভুলয়ে গেল ভোটের পরব  শুধু ভুলিনাই মুই বাবলু সরেনের ভাতারখাগী মা দুলি সরেন , আমার কলের ব্যাটাট ভোট পরবের দিনেএ গুলি খায়ে মরেছিলঅ কুনু পাটি করতক নাই তাও মরেএ গেল ব্যাটাট ভোট পরবের দিনেএ ।

কান্তিলাল দাসের কবিতা

আমজনতা গেছেই বুঝে         চাইছে সবাই দেশের ভালো দশের ভালো করতে ভোটটি এলেই ভোটবাবুরা চলেন ভোটার ধরতে ! 'ও-দল বড় সাম্প্রদায়িক দাদা ওদের ভোটটি নয় আমরা হলাম আগমার্কা দাদা জানেন সে নিশ্চয় !' 'ওরা দাদা কী চোর কী চোর চিহ্নে ওদের দিলেই ছাপ জিতলে পরে সরকারি সব টাকা জানেন করবে গাপ !' 'ওদের দেখুন কি বিধায়ক কি সাংসদে গুছোচ্ছে কেমন ছিল কেমন হলো পাবলিকে সব কুঁচোচ্ছে !' যাচ্ছে চলে ভদ্রভাষা ইতর ভাষার আমদানি চক্ষুচড়ক আমজনতার হালে কী কেউ পাই পানি ! নেতার যত উস্কানিতে পাড়ায় পাড়ায় বিভেদ জোর আনবে ভালো বদল কে যে খুঁজতে হবে কম কে চোর ! গণতন্ত্র কাঁপছে ভয়ে কে দেবে আজ ঠাঁই আমায় যুদ্ধ চলে ছলে বলে রায় করা চাই ঠিক আদায় ! আমজনতা গেছেই বুঝে পাঁচটি বছর শুষবে যে ভোট দিয়ে তো আনব তাকে গদির পরে ফুঁসবে যে ! ................... কান্তিলাল দাস বেলতলা লেন (সাধুখাঁ মাঠ) ডাক : সিঙ্গুর জেলা : হুগলি

অসীম মাহাতর আঞ্চলিক কবিতা

    'পচার '                    বলি হেঁ গো নেপালের মাই  ঠিক তুখন কটা বইলব, তবে হঁ মাথার উপরে সূজ্জি ঠাকুর ছিল বইসে । হামি মাঠে কাম করইতে ছিলি  তদের গাঁয়ে হুর হুর গাড়ি ঢুইকলঅ , আর মাথায়-মুখে বাঁধা ছিল কাপড় দমে জোর জোর চেঁচাঁতে ছিল  বইলছে ধূর হাঁটাও-জিন্দাবাদ । কদাল ছাইড়ে ঘরের দিকে দিলি ছুঁইটে  বউ ছানাপুনাকে লুকাতে । ভাগ্যিস ভগবানের দয়ায় হামাদের দিকে,  যায় নাই বাছা । গেলে মনে হয় মইরেই যাথি গো । দূর বোকা হাড়াম, অরা অন্য কেউ লয়  তবে কারা বইঠল - ভোট মাঁইগতে অ্যাইসে ছিল  আমি ভাবলি পেছুরদিন ঘুইরে অ্যাইল । হরি হে তবেই বলে  টুকু লেখাপড়া শিখবি, ইস্কুল যাবি ।                 ----

অমিত পাটোয়ারীর কবিতা

      ভোট এরপর সবকিছু নিশ্চুপ হয়ে যাবে শঙ্খ লাগা অজগর দুটো কোলকাতার রাস্তাঘাটে ছুটবে বাধাবন্ধনহীন। ওদের পেটের মধ্যে ধরা যাক , শেষের দিকের কোনো জানালায় বসে আমরা লিফলেট নিয়ে বানাবো এরোপ্লেন। এরপর ময়দানে নিজস্ব তাঁবু টাঙিয়ে সাপের খেলা দেখাতে গিয়ে পুলিশের তাড়া খাবো কেননা আমাদের ভুলে যাবার পারমিট নেই। মাঝরাতে পাড়ার মেয়েটাকে খালপাড়ে নগ্ন পাওয়া গেলে মুখ বুজে অপেক্ষা করবো। শেষদফা এবং ফলাফল বেরিয়ে গেলে পুলিশের সাহায্য পাওয়া যাবে নিশ্চয়ই! বেশ কিছু শ্মশানচুল্লি আগাম ফাঁকা রাখবো বেশ কিছু তুলো , ধুপ , সাদা ফুল... আমাদের কাকা , জ্যাঠা , ভেড়া পিসি , বিল্টু... সবাইকে নিয়ে চলে যাবো একটি নিবিড় নির্বাচনহীন স্যাংচুয়ারিতে। আমরা বনভোজন করবো ততদিন , যতদিন না ভারতবর্ষে শীতকাল আসে।

কোয়েলী ঘোষের কবিতা

ভোটযুদ্ধ সভ্যতার নিচে জমছে অন্ধকার আর ভয় জানি না এ যুদ্ধে কার জিৎ ,কার হবে জয় । হাওয়ায় হাওয়ায় খবর ওড়ে মিডিয়ায় ভোট যুদ্ধ আসে ,নিরীহের জীবন চলে যায় । অস্ত্র -শস্ত্র মজুত তাক করা বন্দুকের নল শক্তিমানের আছে দলবল আর বাহুবল । অ্যাসিডের জ্বালায় গলা বুক জ্বলে যায় শান্তিপূর্ণ ভোট , শুধু খবর বলে যায় --- দরজা জানলা এঁটে তাই ঘুমিয়েছে পাড়া ক্ষুদ্র স্বার্থ নিয়ে থাকে জাগে না আর তারা । দুর্দিন তবু বসে থাকে সুদিনের আশায় নির্ভয় কলম জাগে ভবিষ্যৎ ভাবনায় ।

মানবেশ মিদ্দার কবিতা

ভোট নিয়ে যা 'ভোট দিয়ে যা, আয় ভোটার আয়' মাটির মানুষ কৃষক ভাই, চাষের কাজে টাকা চাই? ইঁটের পাকা বাড়ি পাবে, ছবি চীনে ভোটটা দেবে, ঋণ মুকুব, কৃষক ভাতা, সবই পাবে জুতো, ছাতা। দুখের দিন দেখবে কেমন ধুয়ে মুছে যায়, 'ভোট দিয়ে যা, আয় ভোটার আয়।' লেবার মানুষ শ্রমিক ভাই স্বাস্থ্য বীমা তোমার চাই? কারখানার বন্ধ তালা ভোটের পরেই হবে খোলা, হিসেব নতুন, বেতন পাবে পুজোয় ডবল বোনাস দেবে। আমরা থাকি মাটির কাছে, মাটি ভোলা যায়? 'ভোট দিয়ে যা, আয় ভোটার আয়।' দেশের যত টাকার খনি, গরীব মেরে মালিক ধনী। জীবন বিমায় চিটিং বাজি, জেলে যাবে সকল পাজি, ভোটের ভোগে নকুল দানা, মিলতে পারে মিষ্টি ছানা, সুখের দিন নয়তো দূরে, বেলা বয়ে যায়, 'ভোট দিয়ে যা, আয় ভোটার যায়।' সবার জন্য চাকরি আছে, এক্কেবারে ঘরের কাছে, অভাব কিছু থাকবে না আর সবাই পাবে সঠিক বিচার, জল আলো বাতাস দেবো, শুধু কেবল ভোটটা নেবো, আর তোমাদের কি চাই বলো, আমরা অপেক্ষায়, 'ভোট দিয়ে যা, আয় ভোটার আয়।' চপের দোকান, চায়ের দোকান, করতে আছে লোনের যোগান, নাচের, গান...

চন্দন মিত্রর কবিতা

উলু-খাগড়ার ছড়া উলু এবং খাগড়া দুটি ভাই মানিকজোড়ের মতন ঘোরে ফেরে --- এমন মিল তুলনা যার নাই গাঁয়ের সবাই বলেন কণ্ঠ ছেড়ে হঠাৎ হল ভীষণ যুদ্ধ শুরু রাজায় রাজায় রাজ্য জয়ের লড়াই যোদ্ধা ছোটে বক্ষ দুরু দুরু জিতব আমরা করল মুখে বড়াই উলু এবং খাগড়া কৌতূহলে দেখতে গেল লড়াই মাঠের ধারে রাজার সেপাই যুদ্ধ জেতার ছলে কোপ বসাল দুইটি ভায়ের ঘাড়ে ... ===================== চন্দন মিত্র ভগবানপুর ( হরিণডাঙা ) ডায়মন্ড হারবার , দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা সূচক --- ৭৪৩৩৩১ চলভাষ --- ৯৩৩২৩৫৮৭৪৭   

সজল কুমার টিকাদারের কবিতা

ভোট চারিদিকে থম থম।শুধু ভারী বুটের আওয়াজ। দারিদ্র্য অধ্যুষিত। ছোট ছোট মাটির বাড়িরা প্রাণহীন। পোষ্যটা সকাল থেকে আম গাছটায়  শুকনো মুখে বাঁধা। রাজনৈতিক উত্তেজনায় গতকাল খুন--এক; রক্তের দাগ এখনও! নিতান্ত সাধারণ।খেটে খাওয়া। কিন্তু আগুন কি এই সব মানে? চারিদিকে তুমুল উত্তেজনা তখন বিন্নি ধানের খই... সকাল ঠেলে বেরিয়ে এসেছিল হতভাগা এই তপ্ত দুপুরের মাঝখানে। খুট করে একটা শব্দ। বুকে তিন ইঞ্চি গর্ত,  রক্ত... গতকাল ভোট ছিল এইখানে। ----------------------------------------------------------- সজল কুমার টিকাদার আরামবাগ,হুগলি পিন-৭১২৬০১. ফোন-৯৭৩২৮১৫৩৯৯.

মোনালিসা পাহাড়ীর আঞ্চলিক কবিতা

ভোট ভোট আইনে দিকে দিকে মিটিং মিছিল হয়, নেতামনে লম্বা চওড়া কত্ত কথা কয়। তুমার আমার সামনে দাঁড়ায় দুহাত জোড় করি, ভিখারি যমন ভিখ মাগে হাতে বাটি ধরি। তুমানেবিত গলি গেল, দিদিল সব ভোট, কত আশার স্বপ্ন দেখল হই কি এক জোট। দুঃখের দিন ঘুঁচি যাবে ঠকবনি আর মোটে, নতুন নেতা রাখবে কথা জিতনে এবার ভোটে। তারপর ত ভোট হিগেলা, জিতলা বি সৌ নেতা, বিশাল বড় পদ বি পাইলা হইলা কেউকেটা। বড় বড় গাড়ি চড়লা উড়িই রাস্তার ধুলা, মোন্নাকে আর চিনলানি ত , সব যেন ভুলভুলা। তুমানে রইল অন্ধকারে তাকে আলো দিকি, সে অখন চোখ রাঙায়টে অতীত ভুলিকি। অমনু সব বেইমানিয়ে ভরিচে গোটা দেশটা, কে জানে বাবু, কবে যে হবে, এ নৈরাজ্যের শেষটা!! ================================= মোনালিসা পাহাড়ী প্রযত্নে- চন্দন দাস মনোহরপুর, গড় মনোহরপুর দাঁতন, পশ্চিম মেদিনীপুর, ৭২১৪৫১ ফোন- 9635269527

সায়ন তরফদারের কবিতা

যারা ভোট দেয় আধার কার্ড নিজেকে চেনায় ভোটার কার্ড অধিকার কে নির্বাচন চেনায় শাসক। পাঁচটি বছর কেটে গেল আবার হবে নির্বাচন আসবে এবার কে? মুঘল নাকি অশোক? আবার হবে যুদ্ধ, মরবে হাজার মানুষ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে                   দাঁড়িয়ে মানুষ আবার ভোট দেবে। মিথ্যে প্রতিশ্রুতিকে সত্যি ভেবে কড়া রোদে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে                    মানুষ আবার বোকা হবে। ============================= SAYAN TARAFDAR (সায়ন তরফদার) Phone:- 9123079092                                           

দুলাল সুরের কবিতা

বন্ধুত্ব জিন্দাবাদ            বিবেক ও বরকতের সখ্যতা ভীষণ একই পাড়ায় থাকে একই আত্মার অভিন্ন হৃদয় গা শুদ্ধু লোক জানে। ভোটের বাদ্যি বাজলে পরে নেতাদের মনভোলানো প্রতিশ্রুতি'তে লোভ-লালসা, হিংসা-দ্বেষ, তর্কযুদ্ধে ওদের বন্ধুত্বে ফাটল ধরে। বেকার আর থাকবে না কেউ নাম লেখাও প্রার্থীর সমর্থনে ভোটে জিতে ক্ষমতায় এলে নিশ্চিত তুমি চাকরী পাবে সর্বাগ্রে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের কমবে মূল্য ঘরে ঘরে বিজলীবাতির জ্বলবে আলো ঝাঁ চকচকে রাস্তাঘাটে চলবে মোটরগাড়ি মানবের হিতার্থে নতুন সরকার সদা থাকবে প্রহরারত। ছলাকলা ও প্রলোভনের রণকৌশলে   বিবেক-বরকতের বিভেদ পৌছায় চরমে জেতানর জন্য জান-প্রাণ দিয়ে লড়াই করে ভিন্ন দলে নাম লিখিয়ে খাটে প্রার্থীর সমর্থনে । ভোটযুদ্ধে জয়ী হয়ে, নেতারা সব নতুন সরকার গড়ে প্রতিশ্রুতি'র চাকরীর আশায় ওঁরা নেতাদের দোরে দোরে ঘোরে দিন যায়, বছর যায়, ক্রোধ, হতাশা গ্রাস করে চাকুরী তো দূর অস্ত, নেতারা ওদের চিনতে নাহি পারে । আশাহত হয়ে দুই বন্ধু ফের আসে কাছাকাছি নেতারা...

পল্লব দাসের কবিতা

ভোটার সময় এলো আর গেল কথাই দিয়েছে সবাই লোকারণ্য কমলে সব কথা হাওয়ায় । সামনে এসে গড়িয়ে পড়লে সান্ত্বনা দিয়ে খবর হয়েছে খাস কাজের কাজ হয় নি শহরজুড়ে ঝুলছে সব মাথা কাটা লাশ । সব বড় বড় কথা গণতান্ত্রিক অধিকার এসবে কিছু হবে না শুধু তৈরি হবে নতুন নতুন ভোটার ।                                

তপন কুমার মাজির কবিতা

   প্রতিবাদী কণ্ঠের বিষম ঘায়ে উপর ওয়ালার আস্কারায় গুণ্ডারা এসেছে প্রকাশ্য পথে, দস্তুরমতো সুরক্ষিত করা হয়েছে তাদেরকে অন্ধকার জগতে ! ভোট নামক লোকদেখানো একটি ব্যবস্থায় জনগণকে  বানানো হয়েছে বোকাযন্ত্র, প্রতিবারের মতো এবারও হয়তো গড়ের মাঠে গড়াগড়ি খাবে  গণতন্ত্র...! অতীতে যেমন কেঁদেছিল সে অসহায়ে ভবিষ্যতেও কাঁদবে তেমনই, বুক চিতিয়ে করবে চিৎকার-- খবর নেওয়ার সময় হয়তো হবে না কারোরই ! গোবর-গনেশরা নাচবে-গাইবে  হবে মাতোয়ারা-- কালের কাকাতুয়ারা কোরাসে সুর মিলিয়ে  হবে আত্মহারা ! হাততালি দেবে দু'মুখো দোঁহারী, হাতকাটা ঠুঁটোরা বলবে বলিহারি... এমনিভাবেই আমাদেরকে মুখে কুলুপ দিয়ে দেখতে হবে  আরোও কতদিন  ঠিক জানে না এই মন, তবে নাকে দড়ি দিয়ে অন্ধকারবাসীকে একদিন  টেনে আনবেই আনবে প্রকাশ্য রাস্তায়,  সচেতন জনগণ  ক্ষমতার গর্বে গর্বিত মুকুটকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়ে, চাবুকরূপ প্রতিবাদী কণ্ঠের বিষম ঘায়ে...! ----------------------------------------------------- তপন কুমার মাজি কোর্টমোড়, আসানসোল ...

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

রেজাল্ট ।। সৈকত মাজী

রেজাল্ট সৈকত মাজী শুভ্রাংশু বিছানতে শুয়ে শুয়ে বিরক্ত হয়ে উঠল। মনে মনে নিজের শরীরটাকে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিলো দু- চারটে কথা, দেবে নাই বা কেন, কয়দিন ধরে এতো কাঠ খড় পুড়িয়ে সব বন্ধুরা মিলে রথটা বানালো, কত কি প্ল্যান করলো, আর এই শরীরটার জন্যই তো সব ভেস্তে গেলো। মনে মনে ভাবলো একটা যা হোক শরীর হয়েছে ওর প্রতি মাসে তিন - চার বার করে জ্বর হচ্ছেই। হবি তো হ আর একটা দিন পরে হলে কি এমন ক্ষতি হতো, এই রথের দিনেই হতে হলো। ওর বিরক্তিটা বেড়ে গেলো আরো কয়েক ঘর।    " মা ও মা...মাআআআআ...." জোরে হাঁক  দিলো শুভ্রাংশু।    " কি হয়েছে বাবু? আবার জ্বরটা বেড়েছে? মাথা ব্যথা করছে?" ব্যস্ত হয়ে উঠলেন মালতিদেবী।     " ওসব কিছু নয়, ও মা বলছি এখন তো খুব কম জ্বর আছে যাই না মা একবার বাইরে, সবাই কতো ফুর্তি করছে বলো"  কাতর ভাবে বলল শুভ্রাংশু।      " না বাবু, এখনই আমরা ডাক্তারের কাছে যাব, বাবা তৈরী হয়ে গেছেন, আমরা বিকেলে তখন মেলা দেখতে যাব কেমন, এখন উঠে জামা কাপড় পরে নাও"  মালতিদেবী জামা কাপড় গুলো এগিয়ে দিলেন।      শুভ্রাংশু...

রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি

রাই আর বাবা অদিতি চ্যাটার্জি রাই-র জীবনে বেশ কিছু ভালো লাগা আছে তার মধ্যে একটা হলো সন্ধ্যার সময় তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখতে দেখতে কফি কাপে চুমুক দেওয়া ।" আজ যশোদা মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে বেশ ভিড়,নির্ঘাত 'তেলে ভাজা ' প্রেমীরা।" আপন মনেই ভাবে ও, কিন্তু বসার ঘরে সুমন আর আঁখি এতো জোরে 'হল্লা গোল্লা ' করছে তালতলার জমজমাট রাস্তার দিকে আর মন দিতে পারছে না রাই।  পায়ে পায়ে ঘরে এসে দাঁড়ায় রাই, দেখে ক্লাস ফোরের মেয়ে এতোটা ঝগড়া করছে সুমনের সাথে , "বাপ রে, কবে এতোটা কথা শিখলো মেয়ে! কিভাবে কথা বলছে?? কোঁকড়া চুল ঝাঁঝিয়ে,গোলগাল হাত নেড়ে " ...মেয়ে কে দেখে থতমত খেয়ে যায় রাই। এদিকে আঁখি বলছে, "ধুত্ বাপী তুমি কিচ্ছু পারো না, তুতাই-র বাবা, পিসাই, মামু সবাই কত ভালো করে খেলতে পারে , না আমি তোমার সাথে খেলবো না।" কাতর চোখে মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে সুমন বলে ,"আচ্ছা তুই আমাকে শেখা, দ্যাখ আমি কার জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে পনেরো দিন পর পর কলকাতায় আসি বল!"  ঐ টুকু মেয়ে কথা প্রায় না শুনেই ঘরে চলে গেল রাই-র চোখের সামনে, সুমন একবার হেসে বাথরুমের দিকে এগো...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী

বস্তু, চেতনা এবং  কবি সজল চক্রবর্তী  "যেখানে পৌঁছায় না রবি,, সেখানে পৌঁছে যান কবি।" এই ছোট্ট কবিতা টি অনেক পুরনো  এবং বহু পরিচিত, তথাপি এর তাৎপর্য এখনো হারায় নি। তবে, কথা হ'চ্ছে -আমরা তো  রবি-কবিকে একত্রেই পেয়ে যাই আমাদের ঋষি-প্রতিম কবি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে। আর তখনই জেনে যাই উপরোক্ত ছোট কবিতার প্রণিধানযোগ্যতা ।  ... এবার শুনে নেয়া যাক, ঋষি-প্রতিম কবির মুখ নিঃসৃত বাণী:- "তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি যাই ...." অর্থাৎ আমাদের প্রিয়তম কবি অনায়াসে পৌঁছে যান সৃষ্টির অসীমে , যা আমাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। এখানে কবির চেতনা সুদূর প্রসারী! ... প্রকৃত প্রস্তাবে কবি অতিন্দ্রীয় জগতের এক নাগরিক। তাঁর কাছে তাই চেতনা বা চৈতন্যেরই প্রাধান্য। ...এখন আসছি, বস্তু এবং চেতনার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে।  ... আমি একজন অতি সাধারন মানুষ, তাই এই ব্যাপারটাকে কবিদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা ক'রছি। তবে আমার সামান্য জ্ঞান থেকে একটা সাধারণ কথা সেরে নি'। আমরা সাধারণত ব'লে থাকি-- সূর্য পূর্বদিকে ওঠে। প্রকৃত অর্থে কি তাই ? আসলে সূর্য যেদিকে ওঠে ,আমরা  সেই দিকটাকে নামাঙ্কিত ক...

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদি ।। অরবিন্দ পুরকাইত

স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি  (পর্ব—সাত) অরবিন্দ পুরকাইত স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদির সংগ্রহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকায়, ২০১৬ সালে। সে সংগ্রহ যায় নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে, ১৪২৩ সনে। পরে এই ব্লগজিনেও কিছু সংগ্রহ প্রকাশিত হয় ১৪২৮ সনের আশ্বিন মাসে, পৌষ ১৪২৯-এ, আষাঢ় ১৪৩০, নববর্ষ ১৪৩১ ও কার্তিক ১৪৩১ সংখ্যায়। তার পরেও ধীরে ধীরে আরও কিছু সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলিই এখানে রাখা হল। নিজের আগের সংগ্রহে এসে-যাওয়া শব্দ যদি এখানে এসে থাকে, তা বাড়তি বা ভিন্ন কিছু বলার প্রয়োজনেই। নিজের আগের সংগ্রহ খুব ভাল করে যে মিলিয়েছি তা নয়, পুরো সংগ্রহ একত্র করার সময় তা করা যাবে যতটা সম্ভব নিখুঁত করে। আগে আগে সংগ্রহ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা হয়েছে, বিশেষত প্রথম প্রকাশের সময় একটু বিশদভাবে। এখানে আর কিছু বলা নয়, কেবল সংগ্রহটাই তুলে ধরা গেল। অখেজো/অখেজে — অকেজো থেকে। আদরের তিরস্কার হিসাবেই মূলত প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পাজি। অচিমিতি — (উচ্চারণ ওচিমিতি) আচমকা, হঠাৎ। অদীয় — প্রচুর, অজস্র। অদ্বিতীয় থেকে ক...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায়

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত রণেশ রায় ভূমিকা দর্শনের ইতিহাসে বস্তু ও চেতনার সম্পর্ক মানবচিন্তার গভীরতম প্রশ্ন। অধিবিদ্যা ভাবকে মুখ্য ধরে, বস্তুকে গৌণ বলে মনে করে। বিপরীতে মার্কস ও এঙ্গেলস বলেছেন—বস্তুই মুখ্য এবং চেতনা তার প্রতিবিম্ব। মানুষ যখন প্রথম আলোর মুখ দেখেছিল, তখনই সে বিস্ময়ে প্রশ্ন করেছিল—আমি কে, কোথা থেকে এলাম, আর এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে কিছু আছে কি? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নিয়েছিল দর্শনের দুই বিপরীত স্রোত—ভাববাদ আর বস্তুবাদ। ভাববাদ বলেছিল—"ভাবই প্রথম," আর মার্কস বললেন—"না, বস্তুই প্রথম।" এই দুই প্রান্তের মাঝখানে আমি দেখি এক সেতুবন্ধন, যেখানে বস্তু, স্নায়ু ও চেতনা একে অপরকে গড়ে তোলে, আর তাদের এই ত্রিত্বের নৃত্যেই সৃষ্টি হয় জীবন ও কল্পনার জগৎ। ভাবববাদ এক সর্বশক্তিমান শক্তির কল্পনা করে যা এই বস্তুজগতের স্রষ্টা। আর এখান থেকে ধর্ম ও ধর্মীয় ভাবধারার সৃষ্টি। আমার এই প্রবন্ধে আমি মার্কসীয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আলোকে বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি দেখাবার চেষ্টা করবো কিভাবে ইন্দ্রিয় এবং স্নায়ুজগৎ বস্তু ও চেতনাকে সংযুক্ত করে এবং কল্পলোকের জন্ম দেয়...

চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার

চাঁদে জীবন  শমীক সমাদ্দার                           চন্দ্রযান দুরন্ত তৈরি, রকেটের উপর ভর করে চন্দ্রযান চাঁদে অবতরণ করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পেরিয়ে মহাকাশযান চাঁদের কক্ষপথে  স্থাপন করা হয়েছে। চন্দ্রাযান চাঁদের মাটিতে পা রাখবে সময়ের কাউন্ট ডাউন চলছে। সমস্ত নিয়ন্ত্রণ স্পেসস্কাই গাবেষণা কেন্দ্র কতৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রযুক্তি বিজ্ঞান অতল গভীরতায় বাসা বাঁধে। পরিচয়টা দিয়ে দিলাম এই স্পেসসিপে রয়েছে তিনজন নভোচর, একজনের নাম সাইমন আর এক জনের নাম রেমন্ড, আর এদের সঙ্গে একজন মহিলা আছে তার নাম মেরিনা। চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করেছে। চন্দযান দুরন্ত চাঁদের পূর্ব -পশ্চিম অক্ষরেখা বরাবর অবতরণ করেছে। আলো আঁধারের গভীরতায় বড় বড় পাথরের পিণ্ড, চাঁদের সার্ফেসের উপরে পাথর জল দেখা যায়। জমাট বাঁধা অক্সিজেন আর কার্বনডাই অক্সাইড। ওরা এখানে এসেছে এক রহস্য উদ্ঘাটন করতে। যে স্থানে ওরা অবতরণ করেছে সেখানে ১০ বছর আগে ওরা এসেছিলো। রুশ সরকার ওদের দেশের ছাত্র ছাত্রী কে মহাকাশে চাঁদে পাঠাতে চায়। ওরা কেন এসেছে সেটা এখনো অধরা। সাইমনের বর্...

বছরের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ৮৬তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পাদকীয় এই সংখ্যাটি বাংলা নববর্ষ বিষয়ক সংখ্যা। নৱৰ্ষকেন্দ্রিক বহু তথ্যপূর্ণ লেখা এই সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস, রীতিনীতি, উৎসব, পার্বন, লোকাচার, রূপান্তর বহুবিধ বিষয় প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যার লেখাগুলিতে। এই সংখ্যার বাছাই কিছু লেখার সঙ্গে আগামীতে আরও কিছু লেখা সংযুক্ত করে বাংলা নববর্ষ বিষয়ক একটি মুদ্রিত সংখ্যা প্রকাশ করার ইচ্ছে রইল।  সকলকে নববর্ষের আন্তরিক শুভকামনা জানাই। উৎসবে আনন্দে থাকুন, হানাহানিতে নয়। ধর্ম-ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে সহনাগরিকের পাশে থাকুন। মনে রাখুন, ধর্মকে মানুষই সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বর আল্লা গড ইত্যাদির জন্মদাতা মানুষই। মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষের পাশে থাকুন।  নিরাশাহরণ নস্কর  সম্পাদক, নবপ্রভাত।  সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা পয়লা বৈশাখ ।। সিদ্ধার্থ সিংহ নববর্ষকেন্দ্রিক মেলা, পার্বন, উত্সব, লোকাচার ।। সবিতা রায় বিশ্বাস নববর্ষ আবাহন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে ।। তুষার ভট্টাচার্য নববর্ষের সেকাল ও একাল ।। হিমাদ্রি শেখর দাস নববর্ষের হাল-হকিকৎ ।। শংকর ব্রহ্ম বোশেখি বাঙালি নাকি পোশাকি বাঙালি? ।। দিব্যেন্দু...

প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান

বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় মাখনলাল প্রধান বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির জগতে যাত্রা শিল্প তথা নাট‍্যশিল্পে মড়ক নেমে এসেছে । যাত্রা শিল্পের মড়কে শুধু কোভিড নয় তার বহুপূর্ব থেকেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় , শিক্ষাক্ষেত্রে বন্ধ‍্যাত্ব এবং গ্ৰাম বাংলার পটপরিবর্তন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। যাত্রা-শিল্পের লীলাভূমি ছিল গ্ৰাম বাংলা। গ্ৰামে প্রচুর যাত্রাপালা হত নানা উৎসবকে কেন্দ্র করে । জমিদারি ব‍্যবস্থা লুপ্ত হওয়ার পর গ্ৰামীণ মানুষের উদ‍্যোগে শীতলা পূজা,  কালীপূজা, দুর্গাপূজা, কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, চড়ক ইত‍্যাদিকে উপলক্ষ‍্য করে যাত্রাপালার আয়োজন না হলে কেমন যেন ম‍্যাড়ম‍্যাড়ে লাগতো। সেই সঙ্গে কলকাতার বড়বড় কোম্পানির যাত্রাপালা ঘটা করে, টিকিট সেল করে হত মাঠে। খুব বড় মাপের খেলার মাঠ যেখানে ছিল না সেখানে ধানের মাঠ নেওয়া হত ‌। ত্রিশ-চল্লিশ হাজার মানুষ দেখতে আসত। স্পেশাল বাস পাঠাত  আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বিনা ভাড়ায় বাসে যাতায়াত করত যাত্রার দর্শকেরা। কিন্তু বিকল্প ধানচাষ শুরু হলে জমিগুলো সময় মতো ফাঁকা পাওয়া গেল না । প্রথম দিকে ব‍্যাপকহারে ধান শুরু না হওয়ায় খুব একটা অসুবিধা হত না। বহুক্ষেত্রে  ধান কা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী

ভিনগ্রহীদের সন্ধানে  শ্যামল হুদাতী  ইতিহাসের শুরু থেকে বারবার মানুষকে একটা প্রশ্ন কুঁড়ে কুঁড়ে খায় – এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? পৃথিবীর মতো আরও গ্রহ রয়েছে, যেখানে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীরা বাস করে – এই সম্ভাবনা বরাবর মানুষকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের কখনও না কখনও এই ভাবনা এসেছে। দীর্ঘ কয়েক দশকের গবেষণার পরও, এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপ, বহু দূরের এমন কিছু গ্রহের সন্ধান দিয়েছে, যেগুলিতে প্রাণ থাকতেই পারে। তবে, নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বহু দূরে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। তারা এই পৃথিবীতেই মানুষের ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যেই বসবাস করতে পারে। আমরা ভিনগ্রহীদের যেমন কল্পনা করি, এরা তার থেকে আলাদা। এরা অনেকটাই, দেবদূতদের মতো। মানব জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রযুক্তিগত নয়, বরং জাদুকরি। মহাকাশে সৌরজগতের গ্রহ পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথায় প্রাণ রয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। একই সঙ্গে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাস ক...

মাসের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

দিদৃক্ষা ।। রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী

  দিদৃক্ষা রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী 'কাল একবার দেখা হতে পারে?' দশমীর দুপুরে খাটে আধশোয়া হয়ে নিজের ফোনটা ঘাঁটছিল দেবমাল্য; হোয়াট্‌সঅ্যাপের সার্চ বক্সে  র‍্যান্ডম সিক্যুয়েন্সে ক'খানা ডিজিট ইনপুট করতেই বিস্মৃতির অতল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে নামটা স্ক্রিনের সারফেসে ভেসে উঠল, এককালে দেবমাল্যের প্রায়োরিটি লিস্টে সবথেকে ওপরে পিন্‌ করা থাকতো এই অ্যাকাউন্টটা। 'অহনা দাশগুপ্ত'—গ্রেয়েড-আউট ডিপিটার ডানদিকে, নামটার তলায় নিস্প্রভ হরফে ভেসে থাকা ওর এই লাস্ট মেসেজটা বেশ ক'বছরের পুরনো, কিন্তু দেবমাল্যর স্মৃতির প্যান্ডোরা বাক্সটি উলটে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। আরেকবার আপাদমস্তক শিহরিত হয় সে। প্রোফাইলটা খুলে ওপরে-নীচে স্ক্রল্‌ করে দেখে, ওদের পুরনো চ্যাটগুলো তেমনি আড়ষ্ট হয়ে পড়ে আছে, ওর মেসেজগুলোর পাশে ডাবল টিকগুলো এখনও জাজ্বল্যমান সবুজে ছোপানো, যেন এইমাত্র 'সিন্‌' করে রেখেছে অহনা! যেন এখুনি আবার হাত বোলালেই অহনা এসে খানিকটা রাগত ভঙ্গিতে চ্যাট করতে লেগে যাবে। দেবমাল্যের বুক ছাপিয়ে একটা নীরব দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে! ছুটির এই আমেজটা লক্ষ্মীপুজো অব্দি গড়াবে—অফিস খুললেই তো আবার দমফাটা ব্য...

গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম

  গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম হুইসেল (মুরাকামি থেকে অনুপ্রাণিত) ♦ 'গভীর রাতে একটা হুইসেল কতটা গভীর হতে পারে তুমি কল্পনাও করতে পারো না,' ছেলেটা বললো, 'আশ্চর্য ঐ হুইসেলের মতো আমি ভালবাসি তোমাকে।' কিন্তু গভীর রাতে অন্ধকারে কখনও তো ঘুম ভেঙে যায়নি মেয়েটার, কখনও ও বিচ্ছিন্ন আর একা হয়ে যায়নি। ও কীভাবে অনুভব করবে গভীর রাতে ট্রেনের হুইসেল কতটা গভীর! নিউজ এজেন্সি ♦ একসময় আমরা খবর শুনতাম এখন দেখি স্বীকার করতে হবে খবর শোনার চেয়ে দেখার আনন্দ বেশি আলাদা উত্তেজনা নিউজ এজেন্সিগুলো এব্যাপারে তৎপর আর প্রতিযোগিতাপূর্ণ কোনটা নিউজ সেটা ওরাই ঠিক করে যেটা ওদের দরকার আর সেটাই আমাদের দেখানো হয় ধারাবাহিকভাবে সুচারু জ্যামিতিকতায় বিভিন্ন পদ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নতুন বাস্তবতা নির্মাণে যে বাস্তবতায় জায়গা নেই আমাদের ইতিহাস অন্বেষা স্বাধীনতার সমৃদ্ধি আর স্বাধীনতার কথা বলেই ওরা আমার ক্ষেতখামার পাহাড় আর নদীর দখল নিয়েছে তাহলে টিভিতে যে হাসিখুশি প্রাণবন্ত আমাদেরকে দেখানো হয় ওরা কারা এই প্রশ্ন করো নিজের কাছে আগুন নিয়ে খেলা ♦ আজও পুকুরে ছিপ ফেলে বসবো আমি ধীরে চুপ সূর্য আমার ঘাড়ে শ্বাস ফেলবে সারারাত ঘরের ভেতর ল্যাং...

বিদায়ের স্রোত ।। চয়ন মন্ডল

  বিদায়ের স্রোত চয়ন মন্ডল "বিজয়া দশমী—আনন্দের দিন, কারও কাছে যা হয়ে উঠল চিরন্তন বিদায়।" আজ বিজয়া দশমী। শিউলি ফুলের গন্ধে ভোরটা অন্যরকম। পাড়ার প্যান্ডেলে অদ্ভুত এক কোলাহল—মায়ের বিদায় যে আজ। শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাজনা আর উলুধ্বনিতে গমগম করছে চারদিক। একদিকে মা দুর্গার বিদায়ের বেদনা, অন্যদিকে আনন্দ ও মিলনমেলা। সারা বছরের অপেক্ষা শেষে এই দিনটিতে প্যান্ডেল ভরে উঠেছে মানুষের ভিড়ে। সকালের পূজার্চনা শেষ হতেই শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। মহিলারা মায়ের প্রতিমাকে সিঁদুর পরিয়ে একে অপরের কপালে, গালে রাঙিয়ে দিচ্ছেন। ঢাকের তালে আর শাঁখ বাজনার আবেশে ভেসে যাচ্ছে পাড়া। শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। কিন্তু এসবের মধ্যে নেই অনুরাধা। কেউ তার বা মিনির খোঁজ রাখেনি। মুখার্জিদের দোতলা বাড়ির কোণের ঘরে বসে সে চোখের জল ফেলছে। সবার বাড়িতে আলোর রোশনাই, ভোগের গন্ধ, হাসি—শুধু তাদের ঘরটিতে নিস্তব্ধতা। গতবছর এই দিনেই তো অন্যরকম ছিল সবকিছু। অনুরাধা, সুজয় আর তাদের তিন বছরের মেয়ে মিনি পাড়ার প্যান্ডেলে ঢাকের তালে নেচেছিল, সিঁদুর খেলায় রঙে ভেসেছিল। বিকেলের দিকে প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে শামিল ...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

শেষ বিকেলের আলো ।। সৈকত প্রসাদ রায়

  শেষ বিকেলের আলো সৈকত প্রসাদ রায় রানাঘাট শহরের প্রান্তে ছোট্ট এক পাড়া বিশ্বাসপাড়া। সেই পাড়ার পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়িটায় থাকেন পুষ্পরাণী ভট্টাচার্য— বয়স পঁয়ষট্টির কোঠায়। সবাই তাকে "পুষ্পদি" বলেই চেনে। একসময় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেলে পুষ্পদি বারান্দায় বসে চা খান। ছোট একটা টেবিল, কয়েকটা পুরোনো বই, আর একখানা নীল কাঁচের ফুলদানি — তার নিত্যসঙ্গী। বারান্দার সামনেই একটা গলি, যেখান দিয়ে প্রতিদিনই স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা হইচই করে ছুটে যায়। পুষ্পদির একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ — কলকাতায় চাকরি করে। ছেলেটা আধুনিক, নিজের সংসার আছে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত। বছরে হয়তো একবার আসে, তাও কিছুক্ষণ বসে আবার চলে যায়। পুষ্পদি মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু বুকের ভেতরে একটা কষ্ট জমে থাকে। সেই বিকেলটা অন্যরকম ছিল। আকাশে ধুলো, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। হঠাৎ পুষ্পদির চোখে পড়ে — রাস্তায় এক কিশোর বসে আছে। বয়স বারো-তেরোর বেশি নয়। মলিন জামা, পায়ে ছেঁড়া চটি। ছেলেটা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে পুষ্পদির বাড়ির গেটে ঝুলে থাকা পুরোনো নোটিশবোর্ডটার দিকে, যেখানে একসময় লেখা ছিল — "পুষ্পরাণী ভ...