Skip to main content

Posts

সন্তু চ্যাটার্জির অনুগল্প

ভুয়ো গ্রামের প্রবীণ মাস্টারমশাই প্রণববাবুর শিক্ষক দিবসের সকালটা একটু অন্য রকম ব্যস্ততার মধ্যেই কাটে। আর কাটবে নাই বা কেন ? এই ৩৫ বছরের শিক্ষকতা জীবনে তো তিনি কম ছাত্রছাত্রীর বৈতরণী পার করলেন না।আজ তারা নিজ নিজ জগতে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে।তাই আজকের দিনে তারা তাদের প্রিয় স্যার এর খোঁজ খবর নেবে, তার আশীর্বাদ ধন্য হতে চাইবে এতো খুব সহজ কথা।পূর্ণপরিতৃপ্ত প্রণব বাবুও পরমেশ্বর এর কাছে তার প্রাণাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান আত্মজ স্বরূপ ছাত্রছাত্রীদের সুভাশুভ কামনা করেন।মনে মনে ভাবেন, আর তো মাত্র কয়েকটা দিন তারপর তিনিও যে প্রাক্তন । সকালের ব্যস্ততা কাটিয়ে, কোনো রকমে স্নান- খাওয়া সেরে ,সাদা ধূতির উপর পাঞ্জাবীটা চাপিয়ে প্রণব বাবু যথাসময়ে স্কুল এ হাজির হন। সমবেত ছাত্রছাত্রীদের প্রণামের পালা চুকলে, দোতলায় হেডস্যার এর ঘরে এসে জানতে পারেন, D.I. অফিস থেকে এক কমবয়সী অফিসার এসেছেন, তার অবসর কালীন কাগজপত্র নিয়ে কথা বলতে।হেড স্যার পরিচয় করিয়ে দিতেই অফিসার বলে ওঠেন "প্রণব বাবু আপনার B.ED degree টা তো দেখছি বৈধ নয় , কারণ আপনি যে কলেজ হতে B.ED করেছিলেন তার তো NCTE এর অনুমোদন নেই ,আপনি যে কি ভ...

তপন কুমার মাজির গল্প

"শিক্ষাগুরু" সেপ্টেম্বরের তিন তারিখ। সোমবার। ঘড়িতে তখন সকাল ১০:৫৫। মৃণালবাবু মানে মৃণালকান্তি চৌধুরী মহাশয় দ্বাদশ শ্রেণীর বাংলা ক্লাসে ঢুকেছেন সবেমাত্র। চলছে রোলকল। এমন সময় একাদশ শ্রেণীর কিছু ছাত্র-ছাত্রী দরজার সামনে এসে ভিড় করে দাঁড়ালো। --তোমরা কিছু বলবে ? --স্যার, নাটকের সংলাপগুলো একটু দেখে নিলে ভালো হতো। আর অভিনয়টাও কেমন হচ্ছে... একাদশ শ্রেণীর ছাত্র রণিকের কথাটা শেষ হতে না হতেই মৃণালবাবু বললেন, --দেখছো না, এখন ক্লাস নিচ্ছি। তোমরা এখন ক্লাসে যাও। সেকেন্ড ক্লাসটা আমার অফ্ আছে। তখন না হয় দেখে নেব। রণিকরা মাস্টার মশায়ের কথার মান্যতা দিয়ে চলে গেল ক্লাসে। ঠিক একইরকমভাবে প্রতিটি ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীরা পরপর কেউ গান, কেউ বা আবৃত্তির জন্য মৃণালবাবুর কাছে এসে অনুরোধ করতে শুরু করলো। আর তাদের একই কথা বলে প্রত্যেককেই একের পর এক ক্লাসে ফিরে যেতে বললেন। ঘটনা হোল সামনেই শিক্ষক দিবস। প্রতি বছরের মতো এই বছরও বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে নাচ, গান, আবৃত্তি, নাটক ইত্যাদি। এগুলোর মধ্যে নাচ বাদে সবগুলোরই হত্তা কত্তা বিধাতা--"সবে ধন নীলমণি" মৃণালবাবু। নাচটা শেখান অব...

সৌরভ ঘোষের ছোটগল্প

 নিরাকার সকাল থেকেই হইচই শুরু করেছেন প্রভাত বাবু।পুরো নাম প্রভাত কুমার নস্কর,ছোটদাদু দিয়েছিলেন।প্রতিদিন ভোরবেলা উঠে পার্কে প্রায় এক ঘন্টা শরীরচর্চা করেন। বাড়ি ফিরে, বাড়ির সামনের কাঠা দুয়েক জমিতে নিজের সবজি বাগানে কিছুক্ষণ সময় দেন তারপর চা- মুড়ি টিফিন করে বাজারে।প্রতিদিনের একই রুটিন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরী করতেন প্রভাত বাবু।আগের বছর বসন্তে দখিনা হাওয়া গায়ে মেখে অশ্রু সজল চোখে বিদায় নিয়েছিলেন।সকলের প্রিয় আর মজার মানুষ।সাড়ে সাতাশ বছরের কর্মজীবনে কামাই কদিন গুনে বলা যাবে।সংসারের থেকেও বেশি স্কুলকে ভালোবাসতেন।স্কুল ছেড়ে চলে যাবার ভয়ে কর্ম জীবনের একমাত্র ইনক্রিমেন্ট, হেড মাস্টারের পদ পর্যন্ত অবলীলায় ত্যাগ করেছিলেন। প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী'রাও স্যর বলতে অজ্ঞান। রাস্তায় দেখা হলে দাঁড়িয়ে কথা বলে,বাজারের ব্যাগ ভারি হলে কেউ এগিয়ে দেয়,ইলেকট্রিক বিল জমা দিতে গেলেও তাই-লাইন দিতে হয় না।এক্ষেত্রে প্রভাত বাবুর আপত্তি থাকলেও,কে শোনে।কিছু কিছু ছাত্র বাইরে থাকে। বাড়িতে ফিরেই আগে স্যরের বাড়ি।বিয়ে হয়ে যাওয়া ছাত্রী'রাও বাপেরবাড়ি এলেই দেখা করতে আসে।কেমন যেন অদৃশ্য টান।প্রভাত বাবু মানু...

কবি আর্যতীর্থএর কবিতা

। বিলুপ্ত। পিটিয়ে পিঠের ছাল তুলে নিলেও অভিভাবকরা যাঁদের বলতেন বেশ করেছেন, পাশফেলের সাথে সাথে সেই মাস্টাররাও কেমন উধাও হয়ে গেলেন। যাঁদের ভয়াল চাউনি একক্লাস কোলাহলকে স্তব্ধ করে দিতো, পড়া না পারলে নিল ডাউন বা বেঞ্চে দাঁড় করাতেন যাঁরা নিয়মিত, যাঁরা ধুতি পাঞ্জাবী পরে স্বচ্ছন্দে পড়াতে পারতেন ওয়ার্ডসওয়ার্থ টেনিসন, শেলী, হেমিংওয়ে, যাঁদের শাসনের মধ্যে স্নেহ থাকতো, যাঁরা চাইতেন গাধাগুলো ঘোড়া হোক বড় হয়ে, সেই সব মাস্টারমশাই আর দিদিমণিরা ক্রমেই বিলুপ্ত হলেন ডায়নোসরের মতো। যদিও এই পাশফেলহীন মারধোর ব্যতিরেকে সন্তান মানুষ করার যুগে, তাদের না থাকাটাই বোধহয় যুক্তিসঙ্গত। শুধু কি ধমকই সব, আদরও কি পাইনি ? অনাবিল কিছু পিঠচাপড়ানি কঠিন অংক সমাধানে, দশে আট দিয়ে সেই হেসে বলা এর থেকে বেশি আর দিই নি জীবনে, তিনদিন না এলে কোনো বন্ধুকে দিয়ে ছিলো খোঁজ করা নিয়মমাফিক, সেন্ট আপ হয়ে গেলে জড়িয়ে ধরাও ছিলো, বয়স্ক দুই চোখ জল চিক চিক। গুগলের মতো হয়ে যাবতীয় নোটস আর তথ্যের ভাণ্ডার কাঁচিয়েকুঁচিয়ে যাঁরা আনতেন তুলে, ভালো নম্বরের আগে ভালো মানুষ হও ,সে আজব কথা যাঁরা শেখাতেন স্কুলে, কোথায় পাঠালে তাঁদের নির্বাসনে,...

তাপসী লাহার কবিতা

প্রিয় ছাত্রী ------------ নাহ তুমি চঞ্চল হলে না লক্ষীমন্ত ডগমগ লাবণ্য কি ভালো কি ভালো! নম্রবদনা এতো ঢালো ঢালো। কোনো প্রশ্ন নেই হরিণ দুটো চোখে, সিঁথি 'পরে শোভিত লাল, বয়স শুধু ষোলো। বাকক্ষম ঠোটে গায় স্বামী গুণগান, ক্লাস পড়া এসব এখন যে বড়ো ম্লান। আমার সাধের চারাগাছে তখন ধন্দের আকিবুকি, অসংযত অন্দরে আশংকা দ্রিমি দ্রিমি বাজে। প্রিয় ছাত্রী, আমার মন ভেঙে গেলো হ্রদয় বিষাদপুরে, সবার মতো কেনো হলে, নিজের মতো কেনো নয়! তাপসী লাহা

বটুকৃষ্ণ হালদারের কবিতা

বরুণ বিশ্বাস স্মরণে রোজ কার মত স্কুলের শেষে ট্রেন ধরে ঘরে ফেরা স্টেশনে নামতেই, হঠাৎ সজোরে একটা বুলেটের শব্দে সব শেষ স্টেশনের এক কোণে লুকিয়ে ছিল কাপুরুষ, স্বার্থlন্বেষী হায়নার দল.......... তুমি ছিলে সবার প্রিয় সুটিয়ার মাস্টার মশাই আছে বাজারের ব্যস্ততা, রাস্তা ঘাট, জন কোলা হল, আছে দূষিত বায়ু, নেকড়ে হায় নার দল নেই প্রতিবাদ, সাহসী, নির্ভীকদের অদম্য উচ্ছ্বাস সু সভ্য সমাজের অর্জুনরা আজ নির্বাক, দুর্বল মনোবল আজ শুধু তুমি নেই মাস্টার মশাই কি ছিল তোমার অপরাধ জিজ্ঞাসিছে বিদ্য জনে? দুঃস্থ, অসহায় দীন, দিশাহীন দের আশার আলো কত শত অসহায় কুমারী, নারী নির্ভয়ে, নীরবে কাটিয়েছে কতিপয় রাত...... নির্ভীক, দৃঢ়, স্বাধীন চেতা মনোবলে ভয় পেয়েছিল, কাপুরুষ, কসাইয়ের দল তুমি আজ নেই লেখনী তে,কবিতা কিংবা গানে তোমায় নিয়ে হয় নি আলোচনা, সম্প্রচার চুলচেরা বিশ্লেষণ দূরদর্শনে তুমি রয়ে গেছো কতিপয় হৃদয়ের আত্ম সংঙ্গপনে অসহায়, সম্বলহীন পিতা, মাতার আজও অশ্রুধারায় ভিজে যায় সুটিয়ার মাটি দুয়ারে দাঁড়িয়ে আজও গভীর নিঃসঙ্গতায় হাঁতড়ে বেড়ায় স্মৃতি তোমার শহীদ বেদীতে নিভূ নিভূ দীপ জ্বলে বিষন্নতার সাঁঝে তুমি আজ...

পবিত্র দাসের কবিতা

প্রহসন আদর্শহীন ছাত্রসকল অনাদর্শী শিক্ষাগুরু, শিক্ষার নামে নীতি বেচে দিচ্ছে ক'রে ব্যবসা শুরু। শিক্ষক সবে ব্যাপারী আজ শিক্ষা তাদের পণ্য হ'ল, বিদ্যালয়ে দিব্যি ফাঁকি বিদ্যা বেচে লক্ষ্মী তোলো। লক্ষ্মী পিঠে সওয়ার হ'য়ে সরস্বতীর অন্বেষণে, শিক্ষাক্ষেত্রে এই অনাচার চলছে হেথা অনুক্ষণে। সর্বপল্লী, বিদ্যাসাগর, ফেলছে তারা লুকিয়ে মুখ, মেরুদণ্ড ভাঙা জাতির লোভানলে সন্ধানে সুখ। যোগ্যতা সব থাক বা না থাক পকেট সবার উঠুক ভ'রে, আমার ছেলে পড়বে রে ভাই বঙ্গ থেকে অনেক দূরে। তাই তো ব'লি এই বাঙলাতে যোগ্য বেছে লাভ কি কাজে, কবিরা সব বেকার বকে লেখে সবই আজেবাজে। শিক্ষক আজি বন্দি থাকে দীর্ঘ সময় অফিস ঘরে, প্রভাববলে নানা ছুতোয় শিক্ষকদেরকে ঘেরাও করে। কটূভাষ্যে শিক্ষকদেরই করে সদা মুণ্ড ছেদন, শিক্ষকদিবস পালন ক'রে ওড়াতে চাও বিজয় কেতন! --------------- ঠিকানা:-পবিত্র দাস গ্রাম: চালতিয়াপোষ্ট: চালতিয়াথানা: বহরমপুর জেলা: মুর্শিদাবাদ পিন: ৭৪২৪০৭ফোন: ৮৯১৮৭২৫২৬৪

সোমনাথ বেনিয়ার কবিতা

স‍্যার কী লিখি? কী-বা বলি! তিনি সময়। বরং সময়ের থেকে অনেকটা এগিয়ে। আমি সময়চক্রের ক্ষুদ্র শব্দ মাত্র ... তিনি গাছ। অজস্র ডালপালা। তিনি ছায়া। শীতল আশ্রয়। আমার পরম বিশ্রাম ... তিনি অনন্ত। জিজ্ঞাস‍্য পরিধি! আমি কেন্দ্র। অস্ফুট ডট! তিনি পূর্ণ। ১০০! আমি আপাতত শেষ শূন‍্য ... ঠিকানা - ১৪৮, সারদা পল্লী বাই লেন ডাক + থানা - নিমতা জেলা - উত্তর ২৪ - পরগনা কলকাতা - ৭০০ ০৪৯. ফোন - 8697668875.

শুভাশিস দাশের কবিতা

শিক্ষক দিবসে জ্ঞানের আলো জ্বালান যিনি আসল গুরু তিনি এই সমাজে শিক্ষক নামে আমরা তাঁকে চিনি ! অক্ষর জ্ঞান দিয়ে চোখে দেন যে দিশা পথের তাঁদের বিনে সমাজ অচল বিশ্ব মতামতের ! কিন্তু মশায় দেখছি কী সব কাণ্ড যাতা ভাই শিক্ষকদের কোন রকম মর্যাদা আর নাই ! শিষ্য -গুরুর সম্পর্ক যে হচ্ছে ক্রমেই ফিকে আসুন সবাই বিরুদ্ধে এর গর্জি চতুর্দিকে ! -------------------------------- শুভাশিস দাশ দিনহাটা কোচবিহার মো :9932966949 subhashis.dinhata@gmail.com

সমীর কুমার বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের কবিতা

বাঁকাকথায় জবানবন্দী মূল‍্যবোধ চুলোয় যাক নীতিটা মাথায় থাক বাড়ী চাই গাড়ী চাই শুধু বেতনে কি ভরসা পাই তাই উপরি খুঁজছি ভাই এ ছাড়া যে উপায় নাই অনেক খসিয়েছি বাপের টাকা উসুল করতে পথটা বাঁকা ফুটো ছাতা ছেঁড়া জুতো পুরাণকথা ওসব এখন রঙ্গকথা তাড়াবোনা বনের মোষ সেটা কি আমার দোষ গন্ডায় গন্ডায় বেরোক যন্তর মানুষ না হোক ফুসমন্তর সমাজটা মোর পৈত্রিক নয় আপনি বাঁচলে নামটা রয়।। সমীর কুমার বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় ৩৪ সৌদামিনী নগর, মোড়পুকুর রিষড়া, হুগলী ৭১২ ২৫০ মো ৯৯০৩৬৭৬১৮৩

নৃপেন্দ্রনাথ মহন্তর কবিতা

শিক্ষক এক আকাশের নাম *************** আমাদের আকাশের ভেতরে থাকে আর এক আকাশ নিঃসীম শূন্যের মতো বিশাল, উদার; দিনরাত্রির আবর্তনহীন সে আকাশে আলো ফোটে বিরামবিহীন। সে আকাশ প্রাণের স্পন্দন দেয় রক্তমাংসের শরীরে সে আকাশ হৃদয়ে,মগজে,রক্তের ভেতরে চেতনার বীজ পুঁতে দেয় ক্রমশ তা উপ্ত হয়,কিশলয় মহীরুহ হয়। সে আকাশ শিক্ষাদাতা এক মানুষের নাম যার হৃদয় অলিন্দে থাকে অর্ধেক মাখন আর বাকিটা ইস্পাত! সে মানুষ সর্বক্ষণ আমাদের মাথায় রাখে আন্তরিক শুভেচ্ছার হাত। তার পায়ের পাতা পাতা থাক আমাদের বুকে যেখানে যখন খুশি সারবো প্রণাম। ************************************** কবিতা -২ শিক্ষক-শিক্ষার্থী সংবাদ ************** শিক্ষালয়ে কাটিয়েছি আশৈশব-যৌবনের অনেকটা সময়। প্রথম প্রহরে পেয়েছিলাম একটি মহামূল্যবান চাবি যা দিয়ে খোলা যায় বর্ণ-শব্দ-বাক্যের অবাক মন্দির। তারপর প্রতিবছর একাধিক দরজার চাবি-- কোনোটা অংকের বা সাহিত্যের কোনোটা ইতিহাস-ভূগোল বা বিজ্ঞানের কোনোটা যুক্তির, কোনোটা প্রযুক্তির,কিংবা দর্শনের। সর্বোপরি শিক্ষাগুরু দিয়েছিলেন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র একগোছা চাবি।বলেছিলেন,দেখো, এসব চাবিতে কেমন ম...

প্রশান্ত সেনের কবিতা

শিক্ষাগুরু... বলতে পারো, কে-ই বা আমার প্রথম দিদিমণি? তিনি আমার বিশ্বভুবন আমারই জননী| মায়ের কাছেই হাতে খড়ি বাংলা ভাষা শেখা শ্লেট পেন্সিল দিয়ে প্রথম অ-আ-ক-খ লেখা প্রথম কর গুনতে শেখা প্রথম ধারাপাত প্রথম সেই হাঁটতে শেখা ধরেই মায়ের হাত... মা-ই প্রথম দিদিমণি আমার প্রথম গুরু মায়ের কোলে বসেই আমার প্রথম শেখার শুরু তাই তো শিক্ষক দিবসে ছড়া এবং পদ্যে সাজিয়ে দিলাম প্রণাম আমার মায়ের পাদপদ্মে | @প্রশান্ত সেন ফ্ল্যাট-ই/৩, ফোর্থ ফ্লোর, ঝিলিক এপার্টমেন্ট, সি.সি.৫৭/৪, নজরুল পার্ক, পূর্ব নারায়ণতলা, পোঃ অশ্বিনীনগর, থানা - বাগুইআটি কলকাতা - ৭০০১৫৯, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত চলভাষ : +৯১-৯৮৩০৯২৫৩৭২/+৯১-৯৮৩০৪০৫৩৭২ হোয়াটসঅ্যাপ : +৯১-৯৮৩০৯২৫৩৭২ ই-মেইল : psen.1981@gmail.com / prasanta.satyaki.sen@gmail.com

অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতা

শিক্ষকের প্রার্থনা মাত্র একটি দিনের জন্য আমি ফুল মালা আর সংবর্ধনায় ঈশ্বর হতে চাই না । কালই তো বলবে আমাকে , "মাস্টারমশাই আপনি কিছুই দেখেননি ।" কালই চোখের সামনে অন্ধকার সাজিয়ে বলবে , এটাই আধুনিক আলো । কালই একটা বৃত্তে আমাকে পুরে রেখে বলবে , এখানেই আপনি নিরাপদে থাকবেন. . . . মাত্র একটা দিনের জন্য আমি তোমাদের সাজানো ঈশ্ব র হতে চাই না । যেকোন উপায়ে হোক তোমরা অন্ধকারকে ঘৃণা করাটা অভ্যাস করো , যেকোন উপায়ে হোক তোমরা আলোকে সর্বগ্রাসী থাবা থেকে বাঁচাও । অনন্য বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পাদক, কবিতার রঙবেরঙ সাহিত্য পত্রিকা লাভপুর, গুরুপল্লী , বীরভূম, পশ্চিমবঙ্গ দূরভাষ --7908600710 তাং --05/09/2018

কৃষ্ণা দেবনাথের কবিতা

|| প্রিয় প্রেরণা || শুরুর প্রথম স্পন্দন থেকে আমার যাত্রার রঙিন পাঠশালায় মাগো তুমি বাড়িয়েছিলে হাত... এগিয়ে চলার লক্ষ প্রেরণায় । তোমার আলিঙ্গনে, খেলার ছলে কাটানো শৈশব... প্রথম হাতেখড়ি । আজও প্রিয় শিক্ষিকার ভিড়ে দৃশ্যতঃ তোমারই ছবি । এই রুদ্ধ জীবন যুদ্ধে যখনই হোচট্, খুইয়েছি ছন্দ... মিথ্যে ভরসা আবছা করে সন্ধান দিয়েছ পথ, পাশে থেকেছ । নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় তুমি ঋণী করেছ হররোজ । মা, প্রিয় মাধুরী... এই শিরায়-সংশ্লেষে জেগে থেকো । ......................... কৃষ্ণা দেবনাথ ঠিকানা: উদয়পুর, রায়গঞ্জ উত্তর দিনাজপুর পিন নং: 733134

মৌসুমী ভৌমিকের কবিতা

শিক্ষক তুমি **************** শিক্ষক তুমি আলোর সেতু সাম্য বাণীতে গীতা - কোরান অন্ধকারে দর্শাও দিশা, সর্বকালের মহৎপ্রাণ। আলো হবার মন্ত্র তুমি, শিক্ষার শিখা অনির্বাণ নরম মাটির সুপ্তমনে রোপন করো জীবনগান। দিশাহারা ছাত্রসমাজে জ্বালাও আজ দীপ্তিশিখা নবযুগের আহ্বানে শিষ্যরে দেখাও আলোকবর্তিকা। নরম মনের পেলবতায় এঁকে দাও সুর্যস্বপ্ন আলোপাখি হয়ে উঠুক সকলে, হোক নির্ভীক রত্ন। শিক্ষক তুমি আলোর মানুষ, থেকো কারিগর দক্ষ শাসন মেশানো ভালবাসা ও স্নেহে ভরিয়ে রাখো বক্ষ। পথহারাদের দেখাও আলোর পথ, হে জ্যোতিস্মান মুক্ত কণ্ঠে যেন গেয়ে যেতে পারি তোমার জয়গান।

চৌধুরী নাজির হোসেনের কবিতা

বর্ণমালা লম্বা ঘর, আয়তকার যেনবা দরজা জানলা,অসময়ে একা পশ্চিমা রোদ্দুর, হা হা করছে। 'রেনবো' কবিতাটি পড়ানো হয়েছে? শ্রেণিকক্ষ নিশ্চুপ, বাকহীন। টুপটাপ বৃষ্টিফোঁটা কিয়ৎ আগে, রেশ তার এখনো দু'কানে যেন অযথা খুনসুটি, তাদের। উৎসুক চোখ, দূরের থেকে রং সযত্ন, বর্ণমালা এঁকে যায় মাটি থেকে আকাশ,ঝুলন্ত সেতু,পারাপার,পারাপার... বললাম― 'রেনবো' কবিতাটি পড়ানো হয়েছে। ――― ঠিকানা: চৌধুরী নাজির হোসেন। রয়‍্যাল এনক্লেভ(সাউথ), সেকেন্ড ফ্লোর, ফ্ল্যাট নং–২০৩. ২১ড:এ.এন.পাল লেন, বালি:হাওড়া। পিন–৭১১২০১. মোবাইল নং ―৯৬৭৪৬৭২১৭৭.

দীপঙ্কর বেরার দুটি কবিতা

শিক্ষক দিবসের আর্জি শিশুকে শিক্ষা দেয় তার বিদ্যালয়ের শিক্ষক বোধ বুদ্ধিকে করে তোলে সভ্যতা সংস্কারক অক্ষর জ্ঞান আর শিষ্টাচারের সুষ্ঠু সাধনা বিদ্যালয়ে শিশু পায় তার সঠিক নিশানা। মা বাপ ও তার পরিবেশ খারাপ হতেও পারে মনুষ্যত্ব ভরা থাকে স্কুলের শৃঙ্খলা ভাণ্ডারে যেখানে শিশু শুধু ভাল শেখে শিক্ষকের পাশে তাকে বিমুখ করো না হে টিউশনের অভ্যাসে। শিক্ষক যা বলেন শিক্ষার্থীর কাছে তা বেদবাক্য সারাজীবন মনে রাখে সেইসব জীবনের লক্ষ্য শ্রেণিকক্ষ বেঞ্চে বসে তাই পেতে চায় কিছু শিক্ষা শিক্ষক দিবসের মর্যাদা দিক তেমন কোন দীক্ষা। শিক্ষক দিবস ছাত্ররা আজ আসবে স্কুলে তোমার জন্য গাইবে গান আবৃত্তি আর বক্তৃতা দিয়ে তোমাকে জানাবে সম্মান ; দেবেই দেবে উপহার ওরা নেবেই নেবে আশীর্বাদ তোমার শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে হবে নির্মল নিখাদ । তোমাকে দেখেই ওদের চলা স্বপ্ন ভবিষ্যতে মানুষ গড়ার কারিগর তুমি আগামীর পৃথিবীতে; সদা হাস্যে দেখি তোমায় শিক্ষা করছো দান , চির উজ্জ্বল 'শিক্ষক' তুমি তোমারে করি প্রণাম ।

কান্তিলাল দাসের কবিতা

 প্রিয় শিক্ষক বাবা প্রিয় শিক্ষক বাবা, বড় করে কত গাছ চলে গেছ কোন দূর দেশে দেখা হবে কিছুকাল পরে আজীবন গরীবির সঙ্গে যুদ্ধ করে করে টেনে গেছ সংসারের ঘানি সে বড় কঠিন কাল গেছে বাবা, প্রিয় শিক্ষক লণ্ঠন হাতে হেঁটে এ বাড়ি সে বাড়ি পাঠদানে ছুটে গেছ দিনে রাতে বর্ষা শীত যাই হোক, যোদ্ধা যেন এক ! না ভালো জুতো একটা, না ভালো পিরান মাইল মাইল গেছো অন্নতারণায় অভিভাবকেরা নিশ্চিন্দি ছিল কম দামে ভালো মাস্টারে ! এখন তো গার্জেনেরা স্যার স্যার করে শিক্ষক দিবস হয় বেশ ঘটা করে প্রাপ্তি হয় শিক্ষকের এটা ওটা সেটা ! তোমার আমলে এসব তো দূরস্থান, লোকে ডাকত কখনো ম্যাস্টর ! ইস্কুলের বেতন হিসেবে দৈনিক ছিল দশ টাকা বা নীচে! আর ঐ বাড়িতে পড়িয়ে ? সে বলার নয় তবু তবু তবু না পড়ালে অভাবের হাঁ মুখ বড় হবে জেনে ছুটে যেতে সামান্য দক্ষিণায় রফা গরীব মাস্টার। বড়লোকের বাড়িতে পড়িয়ে বৃষ্টিরাতে ছাতা না থাকা মাস্টার তুমি ফিরেছিলে এক রাতে তুমি বাবা, মনে আছে ? তাদের বাচ্ছার ছেঁড়া পলিথিনে মাথা ঢেকে ? আমরা অবাক ! তুমি ও কি অবাক হওনি বাবা, শিক্ষককে কী সম্মান দিলো ওরা ভেবে ! এভাবেই বাবা ...

তরুনার্ক লাহার ছড়াক্কা

ছড়াক্কা ১ শিক্ষা গুরু ---------------- মা বাবা যে প্রথম শিক্ষা গুরু মা যে শেখায় কথা কওয়া নামতা শেখায়,শেখায় অ আ মানুষ হওয়ার মন্ত্রটা যে বাবা শেখায় সকাল সাঁঝে তাদের পথেই পথ চলা যে শুরু । *** ছড়াক্কা ২ প্রকৃতি শিক্ষক ---------------- এই প্রকৃতি শেখায় আমায় অনেক কিছু আকাশ ,বাতাস,পাহাড়,নদী শেখায় আমায় নিরবধি ঐ পাখিরা,ঐ গাছেরা জলের নীচে ঐ মাছেরা তাদের শিক্ষা মন করেছে অনেক উঁচু । *** তরুনার্ক লাহা বেলিয়াতোড়,বাঁকুড়া Sent from Yahoo Email App for Android

অমিত পালের কবিতা

৫ই সেপ্টেম্বর অঙ্ক হল আমার বিষয়, চক ডাস্টার তুলে ব্ল্যাকবোর্ডে করছি সরল জিতপুর ইস্কুলে। ছাত্ররা সব বেঞ্চে বসা, এই ক্লাসে অঙ্ক কষা, একটা পোকা আটকে আছে মাকড়সারই ঝুলে। পরের ঘন্টা ক্লাস নাইন, সেখানে সুদকষা, এসব নিয়েই দিন কেটে যায়, হয়না খানিক বসা। ছাত্রদেরকে কড়া শাষন, মনের ভেতর স্নেহের আসন, জানতে কেউ চায়নি আজও আমাদের দূর্দশা। সারা জীবন কিইবা পেলাম, হিসেব যখন করি, হাতখানা সেই শুন্য দেখি, পাইনি আহামরি। জীবনভর এমনি করে গেলাম শুধু মানুষ গড়ে তরতরিয়ে চলে না তো জীবন ঘাটের তরী। মেয়ের বিয়ে বাকি আচে, বাকি আছে ঘর, ঘুরতে যাওয়ার হয়নি সুযোগ পাহাড় বা বন্দর। আবার যদি জন্ম নিই শিক্ষক হব ইস্কুলেই আকাশ বাতাস স্বাক্ষী থেকো, ৫ই সেপ্টেম্বর। ____________________________________________________ পরিচিতিঃ নামঃ অমিত পাল পেশাঃ শিক্ষকতা ঠিকানাঃ AMIT PAL C/O ANIL KUMAR PAL (NEAR G.R.U.VIDYAPITH BOYS) P.O: DEBINAGAR, RAIGANJ, DIST: UTTAR DINAJPUR WEST BENGAL, INDIA PIN: 733123

অসীম মালিকের গল্প-কবিতা

অঙ্কস্যার শ্যামবাবুকে আমরা সবাই , অঙ্কস্যার বলে ডাকতাম । দোহারা চেহারা ,টিকালো নাক ,দুধে আলতায় গোলা রং মানুষটি যখন তিন কিলোমিটার মেঠোপথ পায়ে হেঁটে ইস্কুলে আসতেন দূর থেকে দেখলে মনে হত -- আনন্দ নিকেতনের একটি ছাতা হেঁটে যায় । মাথার তেলতেলে টাক থেকে গড়িয়ে পড়ত শিশির বিন্দুর মত ঘাম । শীত কি বর্ষা সব ঋতুতেই পরনে থাকত সাদা ধুতি আর পাঞ্জাবি । মানুষটি যখন ইস্কুলে পা রাখতেন , আমরা সবাই কঁকিয়ে বলে উঠতাম --- ওই দ্যাখ ,অঙ্কস্যার আসছে । সেদিন ছিল তুমুল বৃষ্টির দিন , আমরা কয়েকজন বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে যখন ইস্কুল চত্বরে উপস্থিত হলাম । চাঁদ যেমন অবনীকে সোহাগ করে স্যারও আমাদের সোহাগ করতে করতে অঙ্কুরকে জিজ্ঞাসা করল --- বলোতো বৃষ্টির জন্ম কোথায় ? অঙ্কুরের ভিজে ডাব শরীর , যেন মুহূর্তেই শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেল সে উত্তরে জানাল ---মেঘের গর্ভে । স্যার বললেন ,আমি তোমাদের আকাশ , আমার বুকে ভেসে বেড়ায় কতশত মেঘ । তোমরা নদীর কাছে যাও , নদী তোমাদের অঙ্ক শেখাবে । তোমরা মাটির কাছে যাও , মাটি তোমাদের অঙ্ক শেখাবে । তোমরা পাহাড়ের কাছে যাও , পাহাড় তোমাদের অঙ্ক শেখাবে । সর্বোপরি ,তোমরা মান...

প্রবীর রায়ের কবিতা

শিক্ষা আজ,স্বাধীন দেশে- স্বাধীন শিক্ষা, সকল মানব শিক্ষিত দেশ-কালো মুছে-আলো জ্বলে,শিক্ষা মন্ত্রে দীক্ষিত ছিল সে যুগ-পরাধীন সব,আজো মোরা পরাজিত ভ্রষ্টনীতি- পিষলো সবই,ভ্রষ্টাচারীর ভয়ে ভীত শিশুরা আজ পড়ছে বাইরে ছোটতেই জ্ঞান অর্জিতে সরকারিলয়-শূন্য সেথায়,শিক্ষক চলে মর্জিতে কোথাও আবার পড়ুয়া অনেক,শিক্ষা গুরুর দেখা নেই সব ছোটে যে টাকা কামাতে,বেসরকারি কুঠিতেই অঙ্গনারি মিছে চলে,একটি শিশুও যায়না সেথায় শিশুর খাবার ভোগে তারা,চাকরি দেয় মূর্খ নেতাই যারা কাবিল বেকার তারা,মরছে সে যে কষ্ট করে সুপারিশ আর ঘুষ দিয়ে- ব্যর্থশক্তি লেভেল গড়ে মা কাঁদছে শিশুর হালে,আর কতদিন বাঁচবে সে যে শেষ, তবে কি -সবই শেষ,ধ্বংস ডঙ্কা উঠলো বেজে।।

অরিন্দম দাসএর কবিতা

" শিক্ষা গুরু " মায়ের কোলে যখন আমি একটু হলাম বড় মা হলেন প্রথম,আমার শিক্ষাগুরু । সংসারেতে বাবা,দাদা,দিদি এদের কাছেও পাই কোথাও না কোথাও কিছু না কিছু শিক্ষা । বড় হয়ে যখন আমি ইস্কুলেটে গেলাম সেখানেতে পেলাম আমি অনেক গুরু মশাই। গুরু মশাই যখন আমায় একটু বকা দিতেন ঠোঁট ফুলিয়ে কেঁদে আমি নালিশ করিতাম। শিক্ষা গুরু দিয়েছিলেন বড় হওয়ার মন্ত্রনা বড় হয়ে হলাম আমি শিক্ষকের অনুপ্রেরণা। শিক্ষা গুরু দিতেন আমায় জীবন গড়ার বাণী যেগুলি আছে *আজ* আমার চলার পথের সাথী। শিক্ষা গুরু হলেন আমার বন্ধুসম কারণ আমি যেন শিখতে পারি যত । শিক্ষা গুরু দিলেন আমায় সঠিক পথে দিশা আমার যেন সঠিক পথে চলার থাকে নেশা। শিক্ষা আনে চেতনা,চেতনা এনে বিকাশ সেই বিকাশের কারিগর হলেন আমার শিক্ষক। মনে মনে এখন আমি ভাবিলাম শিক্ষক এর প্রতিটি তিরস্কার হয়েছে আমায় জীবনের এক একটি আশীর্বাদ । ধন্য হয়েছি আজ ছিল শিক্ষকের প্রাণভরা আশীর্বাদ সকল শিক্ষক কে গুরুজ্ঞানে জানাই প্রনাম। ---------------------------------------------------------------- তকিপুর,রেজিনগর,মুর্শিদাবাদ

Dr. Ramala Mukherjeeর লেখা

A Teachers' Day Song  Teachers' day is 5th September We have to celebrate and remember. Radhakrishnan was born onthis very day Let us all observe it and obey. He was a great philosopher, Ideal, noble and great teacher. All the students with all the teachers Must have celebrate and remember. He was our second President Also our first vice President. He loves his students as his sons, Today we sing his worship song.🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵🏵

রবিউল ইসলাম মন্ডলের কবিতা

আর্দশ শিক্ষক ----------:--------- শিক্ষক সে মহামানব মানুষ গড়ার কারিগর স্বাস্থ‍্য শিক্ষায় নব সৃষ্টিতে সে তো আজব জাদুকর । সহস্র বছর পরেও কমবে না শিক্ষার দাম যতই পড়িবে তুমি বাড়বে তো ক্রমেই জ্ঞান। হানাহানি, রাহাজানি রাজনীতি হোক না যত আর্দশ শিক্ষক থাকবে সর্বক্ষণ নিরেপেক্ষ। শিক্ষক শুধু তো মানুষ নয় কারো কারো কাছে ভগবান- সমাজের চোখে আছে তাদের পৃথিবীর সেরা সম্মান। অত‍্যাচারীর মিথ‍্যাচারে সমাজ ব্যবস্থা অতিষ্ট শিক্ষক যদি হয় আক্রান্ত সেটি হবে খুবই নিকৃষ্ট। শিক্ষকতা শুধু পেশায় নয় গড়বে যে স্বচ্ছ সমাজ প্রতিটাই মা এক জন সন্তানের প্রধান শিক্ষক । সমাপ্ত-------

-সোহিনী সামন্তর কবিতা

শিক্ষা মুক্ত বিহঙ্গে শিক্ষার দুয়ার খুলে যাক, বন্ধ দরজা এড়িয়ে দিগন্ত রেখার দেশ এ ... শিশু শ্রম ক্ষান্ত হয়ে যাক ...রোদেলা আলোর ঝিলিক লাগুক সব শিশুর হৃদয়ের অন্তিমে ...।। শিক্ষকের অফুরন্ত জ্ঞান মিশে যাক শিক্ষাথীর মন মোহনায়, আর যুক্ত হোক গুরুদক্ষিণা স্নেহের অব্যক্ত দিশায় ...।। -----সোহিনী সামন্ত শ্যামনগর ২৪ পরগণা উত্তর west ghosh para road , noapara, shyamnagar 24 porgona north

দীপশংকর সাঁতরার কবিতা

শিক্ষা ও শিক্ষক মা প্রথমে বাবার সাথে করিয়েছে পরিচয় মা শেখালো অ আ ক খ বাবা বিদ্যালয়। মায়ের হাত ধরে টলো পায়ে হাঁটতে শিখেছি বাবার সাথে ঘুরে ঘুরে জগৎ চিনেছি। বইগুলো সব নিত্য নতুন দেখায় কত মত শিক্ষকরা সব দিলেন শিক্ষা কর্মই বিজয় রথ। মায়ের অকৃপণ স্নেহের হাসি বাবা সদা পাশে মমতা মাখা আদর ঠাসা চোখের কাছে ভাসে। প্রকৃতি মা'র কোলে আছে সর্ব শিক্ষার প্রাণ বপন করে মনন খুঁজে রাখব শিক্ষার মান। -----------------------------------ঠিকানা- দীপশংকর সাঁতরা। গ্রাম + পোষ্ট - জুজারসাহা, থানা - পাঁচলা, জেলা - হাওড়া, সূচক - ৭১১৩০২, পশ্চিমবঙ্গ। মোবাইল - 9748663767

শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছড়া

সহজপাঠ শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় বাস ভাড়াতেও ছাড়খানা চাই ইস্কুলেতে পড়ি বড়লোকের বাহন তখন ট্যাক্সি কখন চড়ি? স্কুলটা সেরেই বিকেল জুড়ে খেলার পরে খেলা একটুখানি দেরি মানেই বাড়িতে কানমোলা। মচ্‌কে গেলে পায়ের পাতা মায়ের হলুদ চূন নিজের দোষের সঙ্গে শোনা পাশের ছেলের গুণ। ঘরে বাইরে সবার বকায় সায় থাকত বাবার বাড়িতে ঠিক খবর যেত সিনেমা হলে যাবার। কারোর বাড়ি ষষ্ঠী পুজো কারোর নারায়ণ প্রসাদ পেতে সদাই হাজির কীসের নিমন্ত্রণ? পড়ার ফাঁকে আনন্দলোক এক চড়ে গাল লাল কলকাতা ক'য় খবর পড়েন নীলিমা সান্যাল। পুরো পাড়ায় একটা বাড়ি রাখত টেলিফোন দূরের খবর আনত বয়ে অন্তু ডাকপিওন। অ্যান্টেনাদের মিলত দেখা গুটি কয়েক ছাদে খেলার দিনে ফাটল কেবল উচ্ছ্বাসেরই বাঁধে। একটুখানি হাওয়ার দোলায় পর্দাতে ঝিরঝির ছাদে উঠে ডান্ডাখানা রাখতে হোত স্থির। তখন একা দূরদর্শন – দর্শকে ঘর ভরা। এখন একা শত চ্যানেল বোতাম টিপে ঘোরা Sriparna Bandyopadhyay, Flat 3, Jagadish Apartment, 26 J. K. Chatterjee Road, Sodepur, Kolkata 700110

ত‍‌‌‍‌‌‌রুণ কুমার মাঝির কবিতা

শিক্ষা ও শিক্ষক শিক্ষক মানে জ্ঞানের আলো,আদর্শ একনাম। বাসবে ভালো আপন করে-সন্তান সমান।। শিক্ষা দানে ব্রতী হবে, পাবে সম্মান।। মানুষ গড়ার কারিগর, মানুষ কর তুমি, সেই মানুষ আগামী দিনের ভবিষ্যতের সুনাগরিক।। তোমার শিক্ষা, তোমার আদর্শ হোক প্রবাহিত।। তোমার শিক্ষা, আচার, আচরণ, চলা ,বলা ,শিষ্টাচার বিচ্ছুরিত হোক................. তোমার ছাত্রকূলে।। অঞ্জানতার অন্ধকার দূর করে -জ্বালাও জ্ঞানের আলো।। সমাজেরঅন্যায়ের ,অবিচারের বিরুদ্ধে তুমি তো- প্রতিবাদী মুখ।। তোমাকে অনুসরন করে আসবে-অসংখ‍্য মুখ। তাই সমস্ত শিক্ষক কুল কে জানাই- আমার প্রনাম, শ্রদ্ধা, ভক্তিও ভালোবাসা। ত‍‌‌‍‌‌‌রুণ কুমার মাঝি। মগরাহাট, দক্ষিণ ২৪ পরগনা।

উজ্জ্বল সামন্তর কবিতা

"শিক্ষক" উজ্জ্বল সামন্ত মানুষ গড়ার কারিগর তুমি মা বাবার পরেই তোমার স্থান উজার করে জ্ঞানের আলোয় আলোকিত না জানি কত কচি কাচার প্রাণ স্কুল কে যদি বলি মন্দির বা মসজিদ তার দেবতা তুমি তোমার আশীষ বারী ছাত্র ছাত্রীরা অঞ্জলী দেয় অন্তরের শ্রদ্ধা ও ভক্তির যখন তুমি থাকবে না, থাকবে তোমার হাতের ছোঁয়া ব্লাক র্বোডে ,চকে ,বইয়ের পাতায় হয়ত পদধবনি শোনা যাবে কানপাতলে ক্লাস রুমের ওই ঘর ,স্টাফ রুম বারান্দায় সময়ের সাথে ঘড়ির কঁাটায় জীবন সাগর দেয় পাড়ি সময় তো কারো জন্য থেমে থাকে না যেমন বহমান নদী বা ঝর্নার স্রোত পড়ে থাকে শুধু স্মৃতি,অবসরে...

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র

=: সম্পাদকীয় :=  স্বাধীনতার ৭১ বছর পর হাসিম শেখ,  রমা কৈবর্ত আর তাদের প্রতিপার্শ্বের মানুষ-মানুষী-শিশুরা কেমন আছে সে কথাই এই সংখ্যায় প্রধানভাবে প্রকাশিত হয়েছে ভাবের বিচিত্রে আর ভাষার ভিন্নতায়। কেমন লাগলো আপনাদের জানার আগ্রহে রইলাম। অকপট মতামত ও পরামর্শ চাই।  সকলকে শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা। নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত =: সূচিপত্র := প্রবন্ধ / মুক্তগদ্য : প্রণব কুমার চক্রবর্তী শেফালি সর অ-নিরুদ্ধ সুব্রত   সম্পা পাল রণেশ রায় স্বরূপা রায় রাণা চ্যাটার্জী শান্তা কর রায়   শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশান্ত কুমার ঘোষ সুদীপ্ত বিশ্বাস   রাজশ্রী ব্যানার্জী   মোনালিসা পাহাড়ী  রীনা তালুকদার অণুগল্প পারিজাত মৌমিতা ঘোষাল চন্দ্রাবলী ব্যানার্জী সন্তু চ্যাটার্জী বিজয়ন্ত সরকার   কবিতা : দেবাশিস মোহন মুখোপাধ্যায়  মনোতোষ আচার্য   আর্যতীর্থ   পবিত্র রায়চৌধুরী মৌ দাশগুপ্তা সবর্না চট্টোপাধ্যায়   অনামিকা দত্ত   সুজান মিঠি কৌশিক সিনহা   তাপসকিরণ রায়   অমিত পাল দুলাল সুর  ...

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...

শিক্ষার সেকাল ও একাল ।। অমৃতা সাহা

শিক্ষার সেকাল ও একাল অমৃতা সাহা  শিক্ষক শব্দটির ব্যুৎপত্তি √শিক্ষ+ অক অর্থাৎ যিনি শিক্ষা দান করেন। শিক্ষক শব্দটি সংস্কৃত শিক্ষ ধাতু থেকে উদ্ভুত যার অর্থ বিদ্যা গ্রহণ করা, শেখা বা বিদ্যা দান করা। শিক্ষ ধাতুর সঙ্গে ক প্রত্যয় যোগে উৎপন্ন শিক্ষক যার অর্থ শিক্ষা সম্পর্কিত।          শিক্ষককে বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে প্রায় ছয় মাস বা আট মাস সে সহজাত প্রবৃত্তি অনুযায়ী শিক্ষা লাভ করে থাকে। তারপর থেকে মা বাবাই তাকে জীবনের প্রথম পাঠ দেন। কী কী করতে হয় আর কী কী করতে নেই তাই দিয়েই শিশুর প্রথম শিক্ষা শুরু হয়। অনুকরণই হলো তখন তার একমাত্র শিক্ষার মাধ্যম। তারপর কথা বলতে শেখা, আশেপাশের সামগ্রী চিনে নিয়ে তাদের নাম বলতে শেখা এভাবে ক্রমান্বয়ে শিক্ষা প্রক্রিয়া চলতেই থাকে।         প্রাচীন কালে পঞ্চম বর্ষে উপনয়ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শিশুর শিক্ষা জীবন শুরু হতো। গুরুগৃহে বসবাস করে, ব্রহ্মচর্য পালনের মাধ্যমে বাল্য ও কৈশোর কাল অতিবাহিত হতো। পুঁথিগত অধ্যয়ন, শ্রুত্বয়ন এর পাশাপাশি জীবনের অন্যান্য বিষয়েও শিক্ষা গ্রহণ করতে হ...

Five poems ।। Prasenjit Das

  Five poems of Prasenjit Das THE FLAME IS ON Life may not be a green leaf, the dews are tears in grief. Life for many maybe cruel, give me the guts for the duel. The good times passed by me, like a humming bird in destiny. If not in life then maybe after, let life be a pleasant chapter. No, I will never give up,...never, be an example for all, forever... THE OPTIMIST Never be drowned in sorrow, as if there is no tomorrow. Tomorrow is a day uncrowned, tomorrow is a time unbound. Many things are left to be done, the path of glory has already begun. The darkness shows the light, life is nothing, nothing but a fight. You will be a winner, sooner or later, the spirit of good will fight for better. The light of honesty burns bright, even in the darkest dark of the night. A LONELY FATHER'S CALL O lonely man! O lonely man! Where is thy rugged winter coat? Bore the ravages of eighty seasons, that still makes thee soul to float. O lonely man! O lonely man! Where is thy loveth destiny? Fough...

শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান ।। কৃশানু ব্যানার্জী

প্রবন্ধ শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান কৃশানু ব্যানার্জী  মানবসভ্যতার ইতিহাসে শিক্ষার স্থান যে সর্বাপেক্ষা কেন্দ্রীয় ও নির্ণায়ক — এ বিষয়ে দ্বিধার অবকাশ নেই। কারণ শিক্ষা কেবল জ্ঞানের বাহনমাত্র নয় , বরং মানুষের আত্মস্বরূপের এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ , যা সমাজ ও সংস্কৃতির গতিপথকে নির্ধারণ করে। কিন্তু শিক্ষা কেমন ছিল অতীতে এবং কেমন হয়েছে বর্তমানকালে — এই অনুসন্ধান শুধু ঐতিহাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যালোচনার সীমায় আবদ্ধ নয় ; বরং এর ভেতরে নিহিত আছে এক গভীর দার্শনিক তাৎপর্য। "সেকাল" ও "একাল" — এই দুই কালের শিক্ষা পরস্পরকে নিরন্তর প্রশ্ন করে , কখনও বিরোধিতা করে , কখনও বা পরস্পরের ওপর দাঁড়িয়েই নিজের রূপ নির্মাণ করে। অতএব , শিক্ষার সেকাল-একাল তুলনায় আমাদের কেবল তথ্যের বিবরণ নয় , মানবজীবন ও সমাজচিন্তার প্রকৃত ভিত্তি উপলব্ধি করতে হবে। মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় শিক্ষা যে একটি অনিবার্য ও মৌল প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তথাপি 'শিক্ষা' শব্দটির নিতান্ত ভৌত বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাখ্যা একে পূর্ণাঙ্গ উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়। সংস্কৃত ...

শিক্ষক ।। জীবন সরখেল

শিক্ষক  জীবন সরখেল   শিক্ষা চেতনা প্রসারে যাঁরা নিবেদিতপ্রাণ  প্রকৃতি পরিবেশ প্রাণীর   ধারক বাহক ও মান... যাঁদের স্মরণ উপস্থিতিই  কমে মিথ্যা গ্লানি  সেবায় দ্রোহেও নিরপেক্ষ  ঠেলেন সব হয়রানি। কর্ম আচরণ চিন্তন ত্যাগ  সত্য সপ্রেম নিষ্ঠায় গড়েন চিরন্তন সমাজ ভিত নীতি উদারতায়....  নিঃস্বার্থ ভাব ঠিক ভুল গুণেই  অভিজ্ঞতা দীক্ষক  বাবা মা পরিবেশ গুরুই সবার আপন শিক্ষক। __________________       জীবন সরখেল গ্রাম -বাড়াভগলদিঘী, পোস্ট -ভগলদিঘী, থানা-জয়পুর, জেলা-বাঁকুড়া। পিন-৭২২১৫৪  

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

সূচিপত্র  প্রবন্ধ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নবদ্বীপের রাস : মহাপ্রভু চৈতন্যদেব থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ।। বারিদ বরন গুপ্ত  প্রবন্ধ।। কবিতায় সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন ।। রণেশ রায় প্রবন্ধ ।। সুকান্ত ভট্টাচার্য: বিপ্লবী চেতনার কবি ।। বিচিত্র কুমার কবিতা ।। পরিযায়ী বৃষ্টি ।। সন্দীপ ভান্ডারী দুটি কবিতা : চয়ন দত্ত কবিতা ।। সমঝোতা ।। বিশ্বজিৎ বাউনা কবিতা।। ভালোবাসা।। অরুণ কুমার দাঁ কবিতা।। সময়ের গতিপথে ।। কেতকী বসু গ্রন্থ   আলোচনা।। অরবিন্দ পুরকাইত ।।  গ্রন্থ : বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের  "বাংলা সাহিত্যে মনুষ্যেতর প্রাণীকেন্দ্রিক ছোটগল্পের ধারা" ছোটগল্প।। হ্যাপি বার্থডে।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা।। অন্ধকার রাত জাগে।। অঞ্জন বল অনুবাদ কবিতা।। তুমি আসার আগে।। সুস্মিতা পাল দুটি কবিতা ।। রবীন বসু কবিতা ।। নতুন শাসন ।। মানস মণ্ডল কবিতা ।। শীত ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। সাঁঝবাতি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। চুপ কথা হৃদয়ে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য ছড়া ।। ভোর ।। বদ্রীনাথ ছোটগল্প ।। ফিরে পাওয়া ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। রূপ বদলায় ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। এভা...

স্মৃতিকথা ।। ৺বিজয়ার চিঠি ।। ভাস্কর চৌধুরী

উৎসব শেষের শূন্যতা এখন গ্রাস করে আছে আদিগন্ত। হঠাৎ ভেসে আসা ছাতিম ফুলের গন্ধ যেমন মাতাল করে দেয় ঠিক তেমনই মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে এক না ছুঁতে পাওয়া আলোর পিপাসায়। উৎসব শেষের নিভে যাওয়া সন্ধ্যেবেলার আলোয় ম্লান হয়ে আসে জীবনের টুকরো টুকরো খুশির আমেজ।  বিসর্জনের শেষে ছেলেবেলায় গোটা গোটা অক্ষরে হলদে রঙা পোস্টকার্ড আর নীলচে-সবুজ ইনল্যান্ড লেটারে দূরের সব্বাইকে পাঠাতে হতো ৺বিজয়ার চিঠি! বয়ান মোটামুটি ওই একই ― বড়দের শুভ ৺বিজয়ার প্রনাম আর যেহেতু আমরা তখন ছোট তাই আশীর্বাদ জানানোর কেউ থাকতো না। তবুও কুঁচোকাঁচা ছোট ভাইবোনদের মনের আদর কলমের ডগায় উগড়ে দিতুম সে চিঠিতে!  ৺বিজয়ার চিঠি আসলে পুজোর ছুটির শেষে হাতের লেখা করিয়ে নেবার এক অলৌকিক ষড়যন্ত্র! ইচ্ছে নেই তবুও জোর করে ওই হাতের লেখা শুধু নয়, বানান, বাক্যগঠন সব কিছু সুকৌশলে করিয়ে নেওয়ার ফন্দি। এটা বুঝেছি অনেক পরে। আর যখন বুঝতে পেরেছি তখন কিন্তু সেই চিঠি পাঠানোর মানুষগুলো মনের মধ্যে গেঁথে গেছে। তখন যেন সত্যি সত্যি মন বলতো হোক না ওই পোস্টকার্ড বা ইনল্যান্ড লেটারের একচিলতে জমি, আমার খাস দখল তো থাকবে তাতে! জানেন, এখন আর কেউ ৺বিজয়ার চিঠি পাঠায় না! পুজো ...

অসবর্ণ ।। দেবাংশু সরকার

অসবর্ণ দেবাংশু সরকার       ইন্টারভিউ দেওয়ার পর অরূপের মনে হয়েছিল চাকরিটা হয়তো সে পেয়ে যাবে। বেশ ভালোভাবেই সে ইন্টারভিউতে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছিল। সেইসঙ্গে ক্যাশ হ্যান্ডেলের তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও বলেছিল। অরূপের মনে হয়েছিল ইন্টারভিউ বোর্ডে যারা ছিলেন তাদের হয়তো অরূপের কথাবার্তা বেশ ভালো লেগেছে। বারে বারে তাদের মাথা নাড়া, মুখের হাসি দেখে অরূপের মনে হয়েছিল তারা হয়তো অরূপের প্রতি কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট। বেসরকারি চাকরি হলেও এই অফিসটা সব রকম সরকারি নিয়মকানুন মেনে চলে। প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, বোনাস সব রকম সুবিধা কর্মচারীরা পায়। চাকরির শেষে পেনশনের ব্যবস্থাও আছে। হয়তো সরকারি চাকরির মত বড় অঙ্কের  পেনশন এই কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা পায় না। কিন্তু পেনশন বাবদ প্রতি মাসে কিছু টাকা তাদের হাতে আসে। মাহিনাও খুব একটা খারাপ নয়। অর্থাৎ সরকারি চাকরির মত অত সুবিধা না থাকলেও, তুলনামূলকভাবে খুব একটা খারাপও নয়। কিন্তু একটাই অসুবিধা তাকে বাড়ি ছেড়ে থাকতে হবে। কারণ এই অফিসটা অরূপের বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে। বাড়ি থেকে প্রত্যেক দিন অফিসে যাতায়াত করা সম্ভ...

ডাকবাক্সের আত্মকথা ।। হারান চন্দ্র মিস্ত্রী

ডাকবাক্সের আত্মকথা হারান চন্দ্র মিস্ত্রী পোস্ট অফিসে কিংবা পথের পাশে, আমরা ছিলাম চিঠিগুলোর আশে। সুখ ও দুঃখের কথা থাকত লেখা ভালোবাসার আতর যেত দেখা। মুঠোফোনের দাপট গেছে বেড়ে স্বপ্ন যত সব নিয়েছে কেড়ে। পত্র লিখে পাঠায় না কেউ মোরে ব্রাত্য জীবন কাটাই কেমন করে? ধীরে ধীরে যাচ্ছি উধাও হয়ে ভারাক্রান্ত স্মৃতি আঁকড়ে ধরে। কোন মানুষ কয় না আমায় ধরে - আবার তোকে নেব আপন করে। আমরা এখন বুঝে গেছি সহে প্রয়োজনের বড় কিছু নহে। সমকালের প্রয়োজনে থেকে বিদায় নিতে হবে ভূবন থেকে। ________   হারান চন্দ্র মিস্ত্রী গ্রাম ও পো: - আমতলা, থানা - ক্যানিং, জেলা - দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পিন - ৭৪৩৩৩৭

শিক্ষক ।। রাফেল ইসলাম

শিক্ষক মানে রাফেল ইসলাম   শিক্ষক মানে বুকে টেনে  দুর্দিনে দুঃখ ভোলান,  শিক্ষক মানে আন্তরিকতায় শিক্ষা করেন দান।  শিক্ষক মানে বিদ্যা দিয়ে  আঁধার দূর করে,  শিক্ষক মানে স্নেহের পরশে ছাত্র জীবন ভরে।  শিক্ষক মানে আদর্শের উৎসাহে  মেলে ভবিষ্যতের দিশা,  শিক্ষক মানে দরদ দিয়ে  বাঁচিয়ে রাখে আশা।  শিক্ষক মানে গ্রীষ্মের দিনে  মস্ত বটের ছায়া,  শিক্ষক মানে নিবিড় ভালবাসার  শান্ত ঊষার মায়া।  শিক্ষক মানে জ্ঞানের আলোয়  সমাজ গড়ে তোলে,  শিক্ষক মানে সঠিক পথের  মূল দুয়ার খোলে।।    =============           নাম-রাফেল ইসলাম।  গ্রাম-বাগান বেড়িয়া (বিড়লাপুর)। পোস্ট-চককাশিপুর।  থানা-নোদাখালি।  জেলা-দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।  পিন নম্বর-৭৪৩৩১৮.

বছরের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন: ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

সূচিপত্র  প্রবন্ধ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নবদ্বীপের রাস : মহাপ্রভু চৈতন্যদেব থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ।। বারিদ বরন গুপ্ত  প্রবন্ধ।। কবিতায় সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন ।। রণেশ রায় প্রবন্ধ ।। সুকান্ত ভট্টাচার্য: বিপ্লবী চেতনার কবি ।। বিচিত্র কুমার কবিতা ।। পরিযায়ী বৃষ্টি ।। সন্দীপ ভান্ডারী দুটি কবিতা : চয়ন দত্ত কবিতা ।। সমঝোতা ।। বিশ্বজিৎ বাউনা কবিতা।। ভালোবাসা।। অরুণ কুমার দাঁ কবিতা।। সময়ের গতিপথে ।। কেতকী বসু গ্রন্থ   আলোচনা।। অরবিন্দ পুরকাইত ।।  গ্রন্থ : বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের  "বাংলা সাহিত্যে মনুষ্যেতর প্রাণীকেন্দ্রিক ছোটগল্পের ধারা" ছোটগল্প।। হ্যাপি বার্থডে।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা।। অন্ধকার রাত জাগে।। অঞ্জন বল অনুবাদ কবিতা।। তুমি আসার আগে।। সুস্মিতা পাল দুটি কবিতা ।। রবীন বসু কবিতা ।। নতুন শাসন ।। মানস মণ্ডল কবিতা ।। শীত ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। সাঁঝবাতি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। চুপ কথা হৃদয়ে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য ছড়া ।। ভোর ।। বদ্রীনাথ ছোটগল্প ।। ফিরে পাওয়া ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। রূপ বদলায় ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। এভা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯০তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩২ আগস্ট ২০২৫

সূচিপত্র ------------- স্বদেশ-স্বাধীনতা বিষয়ক লেখা  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার কবিতা ।। অনিন্দ্য পাল স্বাধীনতা আন্দোলনে রাসবিহারী বসু অবদান ।। শ্যামল হুদাতী উড়ান কথা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্বপ্নের ভারত ।। সৌমিত্র মজুমদার আজ আর কদর নেই ।। সতুচট্টোরাম স্বাধীনতার কবিতাগুচ্ছ ।। অভিজিৎ হালদার শহিদ ব্রত ও অন্য দুটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর স্বাধীন হবো কবে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত দুটি কবিতা ।। তুষার স্বাধীনতা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ স্বাধীনতা মানে ।। পাভেল আমান বাংলা ভাষা : বাঙালি ।। অশোক দাশ বড়দি অপরূপা দেবীর জবানীতে ক্ষুদিরাম বসু ।। সমীর কুমার দত্ত স্বাধীনতা ।। কার্ত্তিক মণ্ডল আমার দেশ ।। বিপ্লব নসিপুরী ভারতমাতার বীর সন্তান ।। আশীষ কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার আলো ।। অঞ্জনা মজুমদার আমরা স্বাধীন ।। রাফেল ইসলাম নতুন ভারত । কল্যাণ কুমার শাণ্ডিল্য রণ স্বাধীনতার রঙ ।। সফিউল মল্লিক স্বদেশ ।। জীবন সরখেল ভারতবর্ষ ।। নিশান বর্মা শতবর্ষে সুকান্ত ভট্টাচার্য স্মরণে লেখা সুকান্ত ভট্টাচার...

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস

First row (left to right): Prafulla Nalini Brahma, Shanti Ghosh, Suniti Chowdhuri and Bina Das . Second row (left to right): Kamala Dasgupta, Suhasini Ganguly, Pritilata Waddedar and Sarojini Naidu.   Third row (left to right): Abha Maity, Sucheta Kripalini, Lila Nag and Abha Gandhi. Fourth row (left to right): Indusudha Ghosh, Kalpana Dutta, Aruna Asaf Ali and Matangini Hazra. Fifth row (left to right): Basanti Devi, Renuka Ray, Phulorenu Guha and Manikuntala Sen. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে  চেনা-অচেনা বরণীয় নারী হিমাদ্রি  শেখর দাস ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষের সাথে মহিলারাও কখনও অন্তরালে থেকে কখনও প্রকাশ্যে এসে লড়াই করেছেন।  মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে লাঠিখেলা, পিস্তল চালানো, রাত্রে ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে বেরানো, পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা, জেলে যাওয়া ছিল অত্যন্ত দুঃসাহসিক কাজ। তবু তৎকালীন সমজে কোনঠাসা হয়ে থাকা মেয়েরাও  নিজ নিজ জায়গায় থেকে দেশের সেবা করেছেন তা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতই দুরুহ কাজ। তাঁদের মধ্যে দু একজন রাজ পরিবারের হলেও বেশির ভাগই ছিল সাধারণ ঘরের অতি স...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ওপর গদ্য || শিশির আজম

'ছাড়পত্র'ই আজ আমাদের ছাড়পত্র (তারুণ্যের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের শততম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য) শিশির আজম ~~~~~~~~~~~~~~~~~~ সুকান্ত জন্মেছিলেন অগ্নিগর্ভ এক সময়ে। যখন মাতৃভূমি পরাধীন। পার্টি, মার্কসবাদ, সাহিত্য — কোন কিছুই তার কাছে আলাদা ছিল না। কবিতা একটি আর্ট ফর্ম। হ্যাঁ, সত্যি। এটা আরও সত্যি হয় যদি তা মানুষকে তাড়িত করে, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে, মানুষকে ভালোবাসায় প্ররোচণা দেয়। এই পথটাই বেছে নিয়েছিলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। এর ছাপ-তাপ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ছাড়পত্রে'র পাতায় পাতায় পাওয়া যায়। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। মনে রাখা দরকার, এর পূর্বে ১৯৪০-এ প্রকাশিত হয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'পদাতিক'। আর তারও পূর্বে ১৯৩৭-এ আমরা পেলাম দিনেশ দাসের 'কাস্তে'। নিশ্চয় এসবের উত্তাপ সুকান্তের চেতনায় ছাপ ফেলেছিল। কবিতা কখনো কখনো শ্লোগান হয়ে উঠতে পারে। হোক। এই শক্তি কবিরই আছে। নজরুলকে কি আমরা অগ্রাহ্য করতে পারবো? সুভাষ মুখোপাধ্যায় বা শামসুর রাহমানকে? পিকাসোর 'গুয়ের্নিকা' অথবা জয়নুলের 'দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা' কি 'আর্ট' নয়? হ্যা আপনি প্রশ্ন করতেই পা...

মাসের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...

শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান ।। কৃশানু ব্যানার্জী

প্রবন্ধ শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান কৃশানু ব্যানার্জী  মানবসভ্যতার ইতিহাসে শিক্ষার স্থান যে সর্বাপেক্ষা কেন্দ্রীয় ও নির্ণায়ক — এ বিষয়ে দ্বিধার অবকাশ নেই। কারণ শিক্ষা কেবল জ্ঞানের বাহনমাত্র নয় , বরং মানুষের আত্মস্বরূপের এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ , যা সমাজ ও সংস্কৃতির গতিপথকে নির্ধারণ করে। কিন্তু শিক্ষা কেমন ছিল অতীতে এবং কেমন হয়েছে বর্তমানকালে — এই অনুসন্ধান শুধু ঐতিহাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যালোচনার সীমায় আবদ্ধ নয় ; বরং এর ভেতরে নিহিত আছে এক গভীর দার্শনিক তাৎপর্য। "সেকাল" ও "একাল" — এই দুই কালের শিক্ষা পরস্পরকে নিরন্তর প্রশ্ন করে , কখনও বিরোধিতা করে , কখনও বা পরস্পরের ওপর দাঁড়িয়েই নিজের রূপ নির্মাণ করে। অতএব , শিক্ষার সেকাল-একাল তুলনায় আমাদের কেবল তথ্যের বিবরণ নয় , মানবজীবন ও সমাজচিন্তার প্রকৃত ভিত্তি উপলব্ধি করতে হবে। মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় শিক্ষা যে একটি অনিবার্য ও মৌল প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তথাপি 'শিক্ষা' শব্দটির নিতান্ত ভৌত বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাখ্যা একে পূর্ণাঙ্গ উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়। সংস্কৃত ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯০তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩২ আগস্ট ২০২৫

সূচিপত্র ------------- স্বদেশ-স্বাধীনতা বিষয়ক লেখা  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার কবিতা ।। অনিন্দ্য পাল স্বাধীনতা আন্দোলনে রাসবিহারী বসু অবদান ।। শ্যামল হুদাতী উড়ান কথা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্বপ্নের ভারত ।। সৌমিত্র মজুমদার আজ আর কদর নেই ।। সতুচট্টোরাম স্বাধীনতার কবিতাগুচ্ছ ।। অভিজিৎ হালদার শহিদ ব্রত ও অন্য দুটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর স্বাধীন হবো কবে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত দুটি কবিতা ।। তুষার স্বাধীনতা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ স্বাধীনতা মানে ।। পাভেল আমান বাংলা ভাষা : বাঙালি ।। অশোক দাশ বড়দি অপরূপা দেবীর জবানীতে ক্ষুদিরাম বসু ।। সমীর কুমার দত্ত স্বাধীনতা ।। কার্ত্তিক মণ্ডল আমার দেশ ।। বিপ্লব নসিপুরী ভারতমাতার বীর সন্তান ।। আশীষ কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার আলো ।। অঞ্জনা মজুমদার আমরা স্বাধীন ।। রাফেল ইসলাম নতুন ভারত । কল্যাণ কুমার শাণ্ডিল্য রণ স্বাধীনতার রঙ ।। সফিউল মল্লিক স্বদেশ ।। জীবন সরখেল ভারতবর্ষ ।। নিশান বর্মা শতবর্ষে সুকান্ত ভট্টাচার্য স্মরণে লেখা সুকান্ত ভট্টাচার...

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস

First row (left to right): Prafulla Nalini Brahma, Shanti Ghosh, Suniti Chowdhuri and Bina Das . Second row (left to right): Kamala Dasgupta, Suhasini Ganguly, Pritilata Waddedar and Sarojini Naidu.   Third row (left to right): Abha Maity, Sucheta Kripalini, Lila Nag and Abha Gandhi. Fourth row (left to right): Indusudha Ghosh, Kalpana Dutta, Aruna Asaf Ali and Matangini Hazra. Fifth row (left to right): Basanti Devi, Renuka Ray, Phulorenu Guha and Manikuntala Sen. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে  চেনা-অচেনা বরণীয় নারী হিমাদ্রি  শেখর দাস ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষের সাথে মহিলারাও কখনও অন্তরালে থেকে কখনও প্রকাশ্যে এসে লড়াই করেছেন।  মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে লাঠিখেলা, পিস্তল চালানো, রাত্রে ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে বেরানো, পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা, জেলে যাওয়া ছিল অত্যন্ত দুঃসাহসিক কাজ। তবু তৎকালীন সমজে কোনঠাসা হয়ে থাকা মেয়েরাও  নিজ নিজ জায়গায় থেকে দেশের সেবা করেছেন তা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতই দুরুহ কাজ। তাঁদের মধ্যে দু একজন রাজ পরিবারের হলেও বেশির ভাগই ছিল সাধারণ ঘরের অতি স...

বাংলা ভাষা সাহিত্যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার ।। শুভ জিত দত্ত

বাংলা ভাষা-সাহিত্যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার শুভ জিত দত্ত   বাংলা ভাষাসাহিত্যে পরোক্ষভাবে যাঁর অবদান অতুলনীয়, সেই প্রজ্ঞাবান পণ্ডিত জয়গোপাল তর্কালঙ্কার। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮২৪ সালে কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে জয়গোপাল সেখানে সাহিত্যে কাব্যের অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত হন এবং সুদীর্ঘ বাইশ বছর অধ্যাপনা করেন। সেখানে তাঁর ছাত্রদের মধ্যে পরবর্তীকালে যাঁরা বিখ্যাত হন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,মদনমোহন তর্কালঙ্কার। জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের জন্ম রেলপথের শিবনিবাস স্টেশন থেকে আট ক্রোশ পূর্বে, নদীয়া বর্তমানে , বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলাতে বজরাপুর গ্রামে এক প্রাচীন বারেন্দ্র বংশের আবাসস্থল ছিল। এই বংশ শুদ্ধাচার ও সিদ্ধশ্রোত্রীয় ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ ছিল এবং পরবর্তী সময়ে বাসস্থান, নামকরণ ও কর্মসূত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটলেও তাদের গৌরবময় পরিচয় অক্ষুণ্ণ থেকেছে। এই বংশে বহু দেশপ্রসিদ্ধ মহামহোপাধ্যায় ও পণ্ডিত জন্মগ্রহণ করেছেন, যাঁদের কীর্তি বাংলার জ্ঞান-সাধনার আঙিনাকে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নাটোর মহারাজের দ্বার পণ্ডিত কেবলরাম তর্কপঞ্চানন এবং তাঁর...

স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী

রানী গাইডিনলিউ স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি  প্রণব কুমার চক্রবর্তী           ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু কিছু পরিচিত মুখ আর ঘটনার সমষ্টি নয় । এর গভীরে লুকিয়ে আছে অজস্র গল্প, অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ, এবং ছোট বড় অসংখ্য বিদ্রোহের কাহিনী । সংক্ষেপে এই বিশাল সংগ্রামকে তুলে ধরা কঠিন । তবে, চেষ্টা করে কিছু দিক নিয়ে আজ আলোচনা করা যাক ।           আমরা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এবং ব্যক্তিত্ব বলতে সাধারণত মঙ্গল পান্ডে, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো ব্যক্তিদের কথা এবং তাদের লড়াইয়ের কথা বলে থাকি । কিন্তু, এই সংগ্রামের পটভূমি রচিত হয়েছিল আরো বহু বহু আগে - যেখানে স্থানীয় কৃষক উপজাতি এবং সাধারণ মানুষের বিদ্রোহ ছিল এর প্রথম বীজ । ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ আন্দোলনকে প্রায়সই আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রথম লড়াই হিসাবে বলা হয়ে থাকে । তবে এর আগেও আমাদের দেশে  ফরাসি এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল । সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৫ - ৫৬ সাল),  সন্ন্যাসী বিদ্রোহ (১৭৭০ - ১৮...

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ওপর গদ্য || শিশির আজম

'ছাড়পত্র'ই আজ আমাদের ছাড়পত্র (তারুণ্যের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের শততম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য) শিশির আজম ~~~~~~~~~~~~~~~~~~ সুকান্ত জন্মেছিলেন অগ্নিগর্ভ এক সময়ে। যখন মাতৃভূমি পরাধীন। পার্টি, মার্কসবাদ, সাহিত্য — কোন কিছুই তার কাছে আলাদা ছিল না। কবিতা একটি আর্ট ফর্ম। হ্যাঁ, সত্যি। এটা আরও সত্যি হয় যদি তা মানুষকে তাড়িত করে, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে, মানুষকে ভালোবাসায় প্ররোচণা দেয়। এই পথটাই বেছে নিয়েছিলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। এর ছাপ-তাপ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ছাড়পত্রে'র পাতায় পাতায় পাওয়া যায়। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। মনে রাখা দরকার, এর পূর্বে ১৯৪০-এ প্রকাশিত হয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'পদাতিক'। আর তারও পূর্বে ১৯৩৭-এ আমরা পেলাম দিনেশ দাসের 'কাস্তে'। নিশ্চয় এসবের উত্তাপ সুকান্তের চেতনায় ছাপ ফেলেছিল। কবিতা কখনো কখনো শ্লোগান হয়ে উঠতে পারে। হোক। এই শক্তি কবিরই আছে। নজরুলকে কি আমরা অগ্রাহ্য করতে পারবো? সুভাষ মুখোপাধ্যায় বা শামসুর রাহমানকে? পিকাসোর 'গুয়ের্নিকা' অথবা জয়নুলের 'দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা' কি 'আর্ট' নয়? হ্যা আপনি প্রশ্ন করতেই পা...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন: ...

স্মৃতির আলোয় শিলিগুড়ি স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট ।। চন্দন দাশগুপ্ত

স্মৃতির আলোয় শিলিগুড়ি স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট    চন্দন দাশগুপ্ত            সালটা ছিল ২০০৫। বদলীর অর্ডারটা পেতেই মন ভাল হয়ে গেল। গত তিনবছর আমি জলপাইগুড়ি জেলার শ্রমদপ্তরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলাম। এবার আমাকে বদলী করা হয়েছে শিলিগুড়ির স্টেট লেবার ইন্সটিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টরের পদে। আমার বাড়িও শিলিগুড়িতে। সুতরাং আরো ভাল করে কাজ করা যাবে।         এই স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট ( সংক্ষেপে এস.এল.আই ) ১৯৫৪ সালে কলকাতায় কাঁকুরগাছিতে স্থাপিত হয়। ১৯৯৫ সালে এর একটি শাখা খোলা হয় শিলিগুড়িতে। প্রথমে কলেজ পাড়ার ভাড়া বাড়িতে থাকলেও ১৯৯৮ সালে এটি চলে আসে শিলিগুড়ির উপকন্ঠে দাগাপুর চা বাগানের পাশে, পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের গাছপালা ঘেরা অনবদ্য প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত নিজস্ব বাড়িতে। এটি মূলতঃ একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে বছরের বিভিন্ন সময়ে শ্রম দপ্তরের আধিকারিক, পরিদর্শক এবং অন্যান্য কর্মীদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাছাড়া এখানে অত্যন্ত সুলভে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড লেবার ওয়েলফেয়ারের একটি এক বছরের পোস্ট...

শব্দ ।। সনৎকুমার নস্কর

শব্দ সনৎকুমার নস্কর  কিছু কিছু শব্দ থাকে সুইচের মতো।   হাত দিলেই দপ্ করে জ্বলে ওঠে ব্যঞ্জনার আলো।  তখন দেখে নিই অন্তর-বাহির                  গহন আঁধারে ঢাকা পথ   শব্দ সে পথের সঙ্গী হয়৷     উপনিষদের কবি শব্দকে বলেন 'শব্দব্রহ্ম',  যখন সে দিগন্তবিস্তারী ---                    কথাটার মানে খুঁজে পাই সেসময়   গর্ভের গভীরে উচ্চারিত ধ্বনি জাগিয়ে তোলে                            আমূল  আর্তনাদ৷   শব্দেই কি শব্দের শেষ?   তারও কি নেই আত্মার মতো                       জীবনের অন্তহীন পথ?   এক হৃদয় থেকে আর এক হৃদয়ে                     সে তো করে ক্লান্তিহীন পরিক্রমা  আমাদের বাসনা-বিশ্বে সে তোলে ঝড়  আবেগমায়া দেয় ছড়িয়ে বাক্ স্পন্দের পর  অবশ্য...