Skip to main content

Posts

নববর্ষের কামনা ।। সুশীল বন্দ্যোপাধ্যায়

   নববর্ষের কামনা    সুশীল বন্দ্যোপাধ্যায়                      সুরসিক শিবরাম চক্রবর্তী বলেছিলেন 'নতুন বছর নতুন বছর বলে খুব হইচই করার কিস্যু নেই।যখনই কোন নতুন বছর এসেছে এক বছরের বেশী টেকেনি।' কথাটা হয়তো তিনি অভিমান থেকে বলেছিলেন।নতুন বছরের আনন্দ উদ্দিপনা ভালোভাবে উপভোগ করার আগেই আরেকটা নতুন বছর এসে হাজির হয়,অন্তরে অতৃপ্তি রয়েই যায়।অভিমান হওয়াটাই স্বাভাবিক, কারণ একটা গোটা নতুন বছরে মানুষ কতরকম আশা আকাঙ্খা মনে মনে পোষন করে থাকে আর বছরটা  সেই আশা আকাঙ্খার কোনটির অর্ধেক, কোনটির সিকি ভাগ পূরণ করে পালিয়ে যায়,অনেক স্বপ্ন,অনেক আকাঙ্খা অপূর্ণই থেকে যায়,একবছর সময়টা তাই নেহাতই স্বল্পপরিসর ।নতুন বছর তাই তার হয়তো সাধ জাগায় কিন্তু সাধ পূরণ করতে পারে না। আসলে সময়টা হয়তো ঠিকই থাকে,একটা নতুন বছরে আমরা যা যা আশা করি বা স্বপ্ন দেখি তার তালিকা এতো বড় এবং ক্রমশ এতো বড় হয় যে সময় তার সাথে তাল দিতে পারে না।সাধারণ   সংসারজীবী মানুষ হিসেবে আমাদের স্বপ্নগুলো  আকাঙ্ক্ষার যতোটা অংশ অধিকার করে থাকে তার চেয়ে বেশী জায়গা ...

বাঙালির নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস ।। পুষ্প সাঁতরা

নব বরষে নব হরষে পুষ্প সাঁতরা নব আনন্দে জাগো আজি নব রবি কিরণে শুভ্র সুন্দর প্রীতি উজ্জ্বল নির্মল জীবনে উৎসারিত নব জীবননির্ঝর উচ্ছাসিত আশা গীতি অমৃত পুষ্প গন্ধ বহে আজি এই শান্তিপবনে'। ----- রবীন্দ্রনাথ   বাংলা পঞ্জিকা ধরে আসে বাঙালির 'নববর্ষ ', নববর্ষের সাজ ঘরে লাগে নব হিল্লোল,প্রকৃতিও সেজে ওঠে আপন খেয়ালে।বাংলা নববর্ষ বা পয়লা বৈশাখ হল বাঙালির প্রাণের উৎসব।যেহেতু নববর্ষ তাই এই অনুষ্ঠানে কিছু মাঙ্গলিক কর্ম  অনুষ্ঠিত হয়।কেননা বছরের প্রথম দিনটিকে সাদরে বরণ করাই হল মূখ্য উদ্দেশ্য-- মূখ্যত গৃহ, দোকান, মন্দিরের চারপাশ ফুল মালায় সাজানো হয়।সারা বছরই যেন আনন্দে মন ভরপুর থাকে।যেখানে সুন্দর সেখানেই আনন্দ ধাম।পূজার্চনা খাওয়া দাওয়ার মধ্যে নববর্ষ কে বরণ করা।এ আমাদের বাঙালি  সংস্কৃতি এবং  ঐতিহ্যের রূপরেখা চিহ্নিত করে।নববর্ষের প্রথম দিন,এই  পয়লা বৈশাখের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে কত আবেগতাড়িত স্মৃতিমালা।চৈত্র সংক্রান্তিও  চড়কের পরেই বছরের প্রথম দিনের আনন্দ উপভোগ করা; বাঙালির নববর্ষের ইতিহাস লিখতে গিয়ে,বিংশ শতাব্দীর কথা এসে পড়ে,বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে জমিদারি প্রথা যখন কা...

স্মৃতিকথা ।। ১লা বৈশাখে খুবই একলা যে আমি ।। বিশ্বনাথ পাল

১লা বৈশাখে খুবই একলা যে আমি  বিশ্বনাথ পাল নববর্ষ আর নবহর্ষ কেন জানি না লোমহর্ষ  ব্যাপার বলে আমার স্মৃতির ভাণ্ডারে সেই শিশুকাল থেকে চলে  আসছে।ছোটবেলায় সস্তা কাগজের বর্ণপরিচয়ের কভার পাতার সঙ্গে রঙ মিলিয়ে নতুন খাতার চিঠি দোকানদার বাড়িতে দিয়ে যেত। সকাল থেকে উঠে তক্কে তক্কে থাকতাম কখন বিকেল হবে। দাদুর সঙ্গে নোতুন খাতা করতে যাব। দুটাকা দিয়ে ও পাড়ায় নতুন খাতার করাটা বেশ সমীহের ছিল।দোকানদারের একজন বিশেষ বন্ধু চাকরিকরলেও এই বিশেষ দিনে এখানে নাম আর টাকার পরিমাণ লিখলে --দোকানীর নিজে পদ্মপাতায় এক হাতা পরিমাণ রসাল বোঁদে দিতেন। সেই বোঁদে নিয়ে দাদুর পিছনে পিছনে যাওয়া এই ছেলেটাই দাদুকে টপকে এক দৌড়ে ঘরে আসতাম। তারপর  নিজেদের প্রাপ্য পেতাম ভাই বোনেরা।নতুন বছরে নতুন জামা পড়ার রেওয়াজ তখন চেনা পরিচিত গণ্ডীর মধ্যে টের পাই নি তাই এ নিয়ে কোন মাথাব্যথা ছিল না আদৌ। গ্রামের ইস্কুল থেকে বড় ইস্কুলে গিয়ে দেখলাম।নতুন খাতা আসলে একটা উৎসব। দেদার আয়োজন।দোকান সাজানো,প্যান্ডেল,লাইট মাইক । বড় ভালো লাগত।তারপর কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার জন্য বর্ধমান ও কোলকাতায় থাকার সুবাদে পয়লা বৈশাখ ...

বর্তমানে বাঙালি জাতি ।। দুর্গাদাস মিদ্যা

বর্তমানে বাঙালি জাতি!  দুর্গাদাস মিদ্যা বাঙালি জাতির জাতীয়তা বোধ যে নেই   তা সবিশেষ প্রকাশিত বাংলাভাষার প্রতি বাঙালির অবহেলা । বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে চোখ আর কান খোলা রাখলেই এই ছবিটা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে যাবে। একটি জাতির জাতিসত্ত্বার প্রকাশ ঘটে তাদের দৈনন্দিন জীবন যাপনের মধ্যে। তাদের আচার আচরণে। সময়ের প্রেক্ষিতে ধ্যান ধারণা বদল হওয়া স্বাভাবিক। হচ্ছে ও তাই হয়েছে ও তাই। আমাদের বদলটা যেন খুব বেশি।যেমন ধরুন পোশাক আশাকের কথা।এখন কি আমরা ধুতি পাঞ্জাবি পরিহিত হয়ে দিনাতিপাত করি? অথচ বাঙালির ঐতিহ্যবাহী স্বীকৃত পোশাক তো তাই ছিল। আমরা গতিময় জীবনের যাপনের দোহাই দিয়ে তা অবলীলায় ত্যাগ করেছি। কোনোরকম দ্বিধাবোধ আমাদের এই সিদ্ধান্ত নিতে পীড়িত করছে না । মা মাসীদের শাড়ি সায়া ব্লাউজ পরতে দেখে আমরা অভ্যস্ত। এবং শাড়ির আঁচল বাঁ কাঁধে ফেলে রাখা ছিল বাঙালিয়ানার লক্ষণ। এখন তা কী আর ততটা থাকছে। ওখানে ও কাজের দোহাই দিয়ে আস্তে আস্তে সরিয়ে দিচ্ছি।এখন তো খুব বড় প্রশ্ন কোনটা আমাদের জাতীয় পোশাক?  আসলে পরানুকরণপ্রিয়তায় আমরা অপ্রতিদ্বন্দ্বী।এই ব্যাপারে আমাদের কোন লজ্জা বোধ নেই। এত...

বাঙালির নববর্ষ ।। নন্দা রায় পোড়েল

বাঙালির নববর্ষ নন্দা রায় পোড়েল স্বাধীনতা পূর্ব নববর্ষ:-আমাদের এই বাঙলায় প্রথম যে নববর্ষ পালিত হয়েছিল তা কবি  ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের হাত ধরে।সেটা ছিল ঊনবিংশ শতকের (1850 সালের)বাংলার1257 1লা বৈশাখ।অনেকেই হয়ত জানেননা যে কবি ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত ছিলেন একজন সাংবাদিক।এমনকী তাঁর বাড়িতে 'সংবাদ প্রভাকর' নামে একটা  ছাপাখানা ছিল।কবি গুপ্ত ওই ছাপাখানা ঘরেই প্রথম নববর্ষের বৈঠক করেন। সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কবি ঈশ্বরচন্দ্রকে বলতেন 'খাঁটি বাঙালি কবি'; বঙ্কিমচন্দ্রের লেখা থেকে জানা যায়--- সেই সভায় নগর,উপনগর এবং মফস্বলের প্রায় সমস্ত সম্ভ্রান্ত লোক এবং সে সময়ের বিদ্বান ও ব্রাহ্মণ পন্ডিতরা আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত থাকতেন। কলকাতার ঠাকুরবংশ,মল্লিকবংশ,দত্তবংশ,শোভাবাজারের দেববংশ প্রভৃতি সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকতেন।মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর সভাপতির পদ অলঙ্কৃত করতেন।ঈশ্বরচন্দ্র মনোরম প্রবন্ধ ও কবিতা পাঠ করে সকলের হৃদয় হরণ করতেন।ঈশ্বরচন্দ্রের ছাত্ররাও যে যার লেখা পাঠ করতেন।যার লেখা সবার মন জয় করতে পারত সেই ছাত্র নগদ টাকা পুরস্কার হিসাবে পেতেন।এছাড়াও বহু গণ্যমান্য কব...

পয়লা বৈশাখ বাংলার রূপ এবং বাংলার মুখ ।। সুবল সরদার

পয়লা বৈশাখ বাংলার রূপ এবং বাংলার মুখ  সুবল সরদার  'If winter comes,can spring be far behind?' যদি শীত আসে, বসন্ত আসবেই ।  বাংলায় বৈশাখকে আসতে হয়,তাই তো সে রূপসী বাংলা হয়ে ওঠে । যখন ব্যথিত হৃদয় নিয়ে চৈত্র বিদায় নেয়, তখন বৈশাখ আশা -আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন নিয়ে হংসের মতো সৌন্দর্য্যের ডানা মেলে সরোবরে রূপসী বাংলার বুকে। । কী রূপে, কী সোহাগে বৈশাখ ফেরে বাংলার টানে। বাংলার রূপ এবং মুখ হলো পয়লা বৈশাখ। রূপে- রসে- গন্ধে ভরে, সুজলা -সুফলা- সবুজ রূপে,ফুলে -ফলে -সজলে বৈশাখ আসে শতরূপা হয়ে । মাধবীলতার মাধুরীর প্রাণে ! বট - অশ্বত্থ সুবজ পাতা মেলে দক্ষিণা হাওয়ায় ,তখন তরুছায়া থেকে নির্জনতা ভঙ্গ করে মধুর সুরে ডেকে ওঠে কোকিলের কুহু কুহু ডাক। কত ছবি ,কত মুখ ভেসে আসে বাতাসে! মনে হয় কত সুখের বাতাস বহন করে আনে !  বৈশাখ শুধু নতুনের ডাক দেয় না। পুরাতনের হাতে ধরে এসে নতুনের স্বপ্ন গড়ে।  সৌন্দর্য আর ভালোবাসার মুহূর্ত নিয়ে মনে হয় পয়লা বৈশাখ ।  বাংলা- বাঙালি -পয়লা বৈশাখ সব যেন নক্সী কাঁথার মতো কাব্য গাঁথা। পুরানো আর নতুনের দ্বন্দ্ব নিয়ে পয়লা বৈশাখ আসে না। পুরানোর অবসান...

প্রবন্ধ ।। হালখাতা - বাঙালিয়ানা ।। শ্যামল হুদাতী

হালখাতা - বাঙালিয়ানা  শ্যামল হুদাতী  -------------------------------  ‌‌ সম্রাট আকবরের বাংলা সন প্রবর্তনের পর তৎকালীন ভারতবর্ষে হালখাতার প্রচলন শুরু হয়।মূলত হালখাতা উৎসব উদযাপন করা হতো রাজাদের খাজনা প্রদানের 'পুণ্যাহ' অনুষ্ঠানের রীতি ধরে।'পুণ্যাহ' উৎসব হারিয়ে গেলেও হালখাতা চলছে এখনও পর্যন্ত। নববর্ষের সাথে  'হালখাতা' শব্দটি অঙ্গাভঙ্গি ভাবে জড়িত। হাল শব্দের অর্থ লাঙ্গল। আবার কৃষকের জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে নববর্ষ। মোঘল সম্রাটরা কৃষি পণ্যের খাজনা নিতেন হিজরি পঞ্জিকা অনুসারে ।অসময়ে খাজনা দেওয়ার যন্ত্রনা থেকে কৃষককে মুক্তি দিতে সম্রাট আকবর ফসলি সন চালু করেন। এই ফসলি সনই বঙ্গাব্দ হল কালক্রমে। জমিদারের ঘরে খাজনা পৌঁছে দিতেন  কৃষকরা। সেই সময় ঋণের ভার লাঘব করার রীতিও ছিল। অনেক সময় কৃষকদের ঝড় জলে তাদের ফসল নষ্ট হতো ।সেই ক্ষেত্রে কৃষকদের ঋণ মুকুব হতো।  আবার সঠিক সময় কর জমা দিলে জমিদাররা নজরানা পেতেন। সেই সময় জমিদার বাড়িগুলোতে সাজো সাজো রব দেখা যেত। আবার  এটাও শোনা যায় যে হিজরি সন থেকে বঙ্গাব্দের প্রচলন ।সেই হিজরিসন আবার হযরত মোহাম্মদের মক্কা ত্যাগের স...

শৈশবের বাংলা নববর্ষ উৎযাপন ।। মিনতি ঘোষ

নববর্ষ  মিনতি ঘোষ  আমাদের নববর্ষ সূচনা হয় বৈশাখ মাস দিয়ে। তখন প্রচন্ড দাবদাহপূর্ণ আবহাওয়া। তারপরে ঘুরে ঘুরে আসে সব ঋতু। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত। এই রিতু পরিবর্তন আমাদের ,পশ্চিম বাংলার এক বিচিত্র বৈশিষ্ট। বৎসরের প্রথম দিনটি হলো ১লা বৈশাখ। আমরা মনে করি এটি একটি শুভ সূচনা। আশা রাখি পুরো বছর সকলের ভালো কাটুক।  যখন ছোট ছিলাম, তখুন ১লা বৈশাখের একটা মাধুর্য্য ছিল আমাদের কাছে। নতুন জামা হবে, ভালো ভালো খাওয়া দাওয়া হবে। হালখাতা হবে। বাঁধা দোকান গুলিতে যেতাম। হালখাতার উপলক্ষে মিষ্টি খাওয়াতো। সব মিলিয়ে ভারী মজার দিন ছিল এই ১লা বৈশাখ। আমাদের ছিল একান্নবর্তী  সংসার। সব ভাইবোনেরা মিলে নতুন জামা কাপড় পরে বেড়াতে যেতাম। তার আগে বাড়িতে সব বয়সজ্যেষ্ঠদের প্রণাম করে আশীর্বাদ নিতে হোতো।   এমন আর সে সব হয়না। দিন বদলে গেছে। এখন সবাই ব্যস্ত যে যার নিজের ক্ষেত্রে। তবে দেখুন কিন্তু দুটো ব্যাপার চালু আছে অধিকাংশ বাঙালীর ঘরে। এক হচ্ছে ওই দিন বাড়িতে ভালো ভালো রান্না করে খাওয়া। আর দুই হচ্ছে চৈত্র সংক্রান্তি সেলের বাজারে যাওয়া। বাড়িতে যতই বস্ত্র থাকেনা কেন, চৈত্র সেলের বাজা...

শৈশবের স্মৃতির পহেলা বৈশাখ ।। শিউলী ব্যানার্জী (মুখার্জী)

শৈশবের স্মৃতি পটে পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষ  শিউলী ব্যানার্জী (মুখার্জী)     বাংলা নববর্ষ আপামর বাঙালির কাছে একটা বিশেষ দিন । নিজেদের বাঙালি আর বাঙালিয়ানায় হয়তো সাজিয়ে তুলতে এই বাংলা নববর্ষের জুড়ি নেই। একটা নতুন আঙ্গিকে ধরা দেয় এই বাংলা নববর্ষ । আজ যখন চারিদিকে এত আধুনিকতার প্রসার , চাকচিক্য ঝলমলে আবরন , আভরন যাই বলি না বাঙালি যেন সব কিছু নিয়েই এক অন্য রূপে নিজেকে সাজিয়ে গুছিয়ে নিয়েছে। কিন্তু যতই দিন বদল হোক আধুনিকতার পরশ লাগুক মনে গ্রাম কি শহর সব যখন ইন্টারনেট পরিষেবায় বিশ্বায়নের আবহে  নিজেদের পরিবর্তিত ও পরিবর্ধিত করে নিচ্ছে তখন আজও শৈশবের ফেলে আসা দিন গুলিতে বৈশাখের আগমনে নববর্ষের সেই আনন্দ সেই আপামর বাঙালির একটা প্রানের ছোঁয়া খুঁজে পাই । তখন স্কুলে পড়ি প্রতিবছর আমাদের সময় স্কুলের পরীক্ষা বছরে দুবার করে হোত হাফইয়ার্লি আর অ্যানুয়ালি। যাই হোক ঠিক চৈত্র মাসে আমাদের হাফইয়ার্লি পরীক্ষা হোত আর পরীক্ষা শেষে একদিন কি দুদিন পর শুরু হোত চৈত্র শেষের গাজন উৎসব ও শেষ দিন পহেলা বৈশাখ নববর্ষ । তাই পরীক্ষা শেষে মনের মধ্যে খুব আনন্দ থাকতো গাজন আর নববর্ষ তথা পহেলা বৈশাখ কে ঘিরে।...

নববর্ষ–আমার পিতৃতর্পণ ।। গৌতম ঘোষ-দস্তিদার

  নববর্ষ–আমার পিতৃতর্পণ  গৌতম ঘোষ-দস্তিদার জ্ঞানত নববর্ষ বলতে আমরা তখন বাংলা মাধ্যমে পড়া ছেলেমেয়েরা বাংলা নববর্ষকেই জানতাম। ইংরেজিতে যেটা কেবলই একটা নিউ ইয়ার ছিল, নতুন বছর হয়ে ঠিক যেন উঠতে পারেনি। আমাদের সময় কিন্ডারগার্টেন বলে কিছুর অস্তিত্ব ছিল না। আমরা ডিরেক্ট ফ্লাইট ধরে চলে যেতাম ক্লাস ওয়ানের বন্দরে। পড়াশোনার যে আধুনিক চাপ-উত্তাপ সেটা আদ্যিকালের এই বদ্যি বুড়োর দল আমরা তেমন ভাবে টেরই পাইনি। তার উপর পরীক্ষা বছরে মাত্র দুটো – বছরের শেষে আর গরমের ছুটির পর আধা বছরের। আর শিক্ষা-বছরও তখন শেষ হত গ্রেগরিয় বছরের শেষে মানে খ্রিষ্টজন্মের আগের সপ্তাহে। কাজেই বাংলা নববর্ষ আমাদের কাছে মনের ভিতর জেগে ওঠা একটা সত্যিকারের গোটা উৎসব ছিল। মোমো খেয়ে আর অ্যাকশন মুভি দেখে নষ্ট হত না। আমার তো নয়ই। আমার পিতৃদেব প্রয়াত শঙ্কু মহারাজ সপ্তাহের প্রতি সোমবার বিকেলে বইপাড়া যেতেন প্রকাশকদের সঙ্গে আর্থিক ও পারমার্থিক আলোচনার কাজে। কিন্তু পয়লা বৈশাখ যে বারই পড়ুক না কেন, সকাল না হতেই আমায় আক্ষরিক পাঁজাকোলা করে কলেজ স্ট্রিট ছুটতেন। কলকাতা বিমানবন্দর থেকে তখন পৃথিবীর বহু আন্তর্জাতিক ...

বাংলা ভাষা ও নববর্ষ উৎসব ।।  দীপক পাল

                  বাংলা ভাষা ও নববর্ষ উৎসব   দীপক পাল               বাংলা ক্যলেনডারের প্রতি বছর পয়লা বৈশাখে বাংলায় এবং বাংলার বাইরে নববর্ষ  উৎসব পালিত হয়। এই বাংলা নববর্ষ সন্মন্ধে বলতে গেলে বাংলা ভাষার উৎপত্তি ও প্রসার  সন্মন্ধে কিছু জানা দরকার। আজ থেকে দেড় হাজার বছরের আগে গুপ্ত যুগে ভারতবর্ষের  দক্ষিণ পূর্বাংশে বঙ্গ রাজ্য ও উত্তরাঞ্চলে গৌড় রাজ্যে বাংলা ভাষা দৃঢ় ভাবে প্রতিষ্ঠিত ছিল।  এরপর রাজা শশাঙ্কের আমলে বাঙালী ও বাংলা ভাষা বিশেষ ভাবে মর্যাদার আসনে স্থান  করে নেয় যা পাল যুগে তা আরও প্রসারিত হয়। তাদের আমল থেকেই বাংলা সংস্কৃতির এক  নিজস্ব ধারা পরিলক্ষিত হয় সাহিত্য, সঙ্গীত, নৃত্য, গীত বাদ্য, ললিত কলায় বিশেষ ব্যুৎপত্তি  লাভ করে। আগে বাংলা সন শুরু হতো চৈত্র মাস থেকে। দিল্লীর সম্রাট আকবর বঙ্গদেশে  খাজনা আদায়ের কিছু অসুবিধার জন্য বাংলা সন শুরু করান বঙ্গে বৈশাখ মাস থেকে।  আর তখন থেকেই বঙ্গের ক্যালেন্ডারে বছর শুরু হয় বৈশাখ মাস থেকে এবং নববর্ষ পাল...

বাংলা বর্ষবরণ বরণ ।। তপন মাইতি

বাংলা বর্ষবরণ বরণ             তপন মাইতি বাংলা নববর্ষ আমার কাছে আবার নতুন করে শুরু করা বলে মনে হয়।'আসছে বছর আবার হবে বছর বছর এগিয়ে যাবে'র মত।জীবনের অন্ধকার ঘুঁচিয়ে ভোরের আলো দেখার মত সফলতা। জীবনের সব নেগেটিভকে পজিটিভ করবার প্রবল আকাঙ্খা কামনা বাসনা শপথ গ্রহণ করবার দিন।অতীত দিনে যত ভুলভ্রান্তি ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন উদ্যমে নিজেকে তৈরি করবার বুক বেঁধে ফেলবার দিন।ধূসর উসর মরুভূমির বুকে একটি মরুদ্যান খুঁজে পাওয়ার আনন্দের দিন।নববর্ষ আমার কাছে একটি ঋতুকালীন বিশেষ এক দিন। 'নববর্ষ'একটি নতুন বছরের সূচনার শুভলগ্নের দিন।যা নবায়নের সুযোগের প্রতীক।বৃক্ষের জীর্ণ পাতা ঝরিয়ে কিশলয়ের স্বপ্নে চোখ মেলে দেখবার ইঙ্গিত।শুভ মঙ্গলময় স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে সাদা শাড়িতে দেবী লক্ষ্মী ও দেবতা গণেশের পুজো দিয়ে শুরু হয় বাঙালির ঐতিহ্য বর্ষবরণ পয়লা বৈশাখ,বৈসাবি বা বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব।রামধনু রঙে মঙ্গল শোভাযাত্রা,হালখাতা,মেলা বা উৎসবের মাধ্যমে বাংলাদেশে ১৪ই এপ্রিল এবং ভারতে ১৫ই এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। ৫৭ অব্দে রাজা বিক্রমাদিত্যর সময়কাল থেকে প্রচলিত হয়ে আসছে তবে এই মন্তব্যটি...

এসো হে বৈশাখ ।। অনিতা মুখার্জি

এসো হে বৈশাখ অনিতা মুখার্জি নববর্ষ মানে নতুনের আবাহন । পুরনো বছরের সমস্ত গ্লানি সমস্ত আবর্জনা কে দূরে সরিয়ে নতুনের মাঝে বেঁচে ওঠা । নব কিশলয়ের স্নিগ্ধতা মাখা নববর্ষ মানুষের মনে বয়ে আনে নতুন করে বাঁচার আহ্বান । কিন্তু সত্যিই কি নতুন বছরের ঝাঁপিতে সুখ আনন্দ আর হাসির প্লাবন থাকে ,তা কিন্তু নয়। সবাই জানি বিদায়ী বর্ষের মতোই নববর্ষ ও আমাদের শুধু আনন্দ আর খুশি দিতে আসবে না । তবু নব আনন্দে জেগে ওঠা, সেই আনন্দ প্রাণ ভরে উপভোগ করার মধ্যেই মানুষের খুশি । তাই সে দুহাত বাড়িয়ে তাকে আহ্বান করে এসো হে এসো। চৈতালি হাওয়ার সানাই শুনেই নববর্ষের আবাহনে তৈরি হতে থাকে মন । এ নববর্ষের আনন্দ ,এর স্বাদ গন্ধ একটু আলাদা। চৈত্রসংক্রান্তি থেকেই শুরু হয়ে যায় উৎসব । গাজনের অনুষ্ঠান উপলক্ষ চরক পূজা দেবাদিদেব মহাদেবের উপাসনা। এরপর হয় বর্ষবরণ। সমস্ত কিছুরই  শুরু দিক থাকে । নববর্ষ কবে থেকে পালিত হচ্ছে তা জানার একটা কৌতূহল থেকেই যায় । মনে করা হয় নববর্ষ শুরু হয়েছিল সম্রাট আকবরের সিংহাসনে বসার ২৫ দিন পর থেকে।  এই দিনটি ছিল পারসিক বছরের 'নওরোজ ।সৌরবর্ষের চেয়ে চন্দ্র বর্ষ ১০-১২ দিন কম হয়। কৃষকদের কৃষি...

নববর্ষ ও প্রত্যাশা ।। সমীর কুমার দত্ত

নববর্ষ ও প্রত্যাশা  সমীর কুমার দত্ত  নববর্ষ আসে যায়। শুরুতে অর্থাৎ ১লা বৈশাখে মানুষের উন্মাদনা দেখার মতো। ১লা নববর্ষ পালিত হয় বিশেষতঃ ব্যবসায়ীদের দ্বারা। পক্ষান্তরে ১ লা জানুয়ারি পালিত হয় সারা দেশ তথা বিশ্ব জুড়ে বিশেষভাবে উচ্চবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষদের দ্বারা। নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের কাছে এর কোন গুরুত্ব কিংবা মাহাত্ম্য নেই। তাদের জীবন তো গতানুগতিক ভাবে অর্থাৎ জীবন্মৃত অবস্থায় এগিয়ে চলেছে। হালে পানি না পেয়ে কত সংসার নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। বাংলা নববর্ষ বাঙালির কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে ব্যবসায়ীদের কাছে। দোকান পূজো, হালখাতা পূজো দিয়ে পালিত হয় আবার একটা বছরের  ব্যবসায়ীক উন্নতির আশা নিয়ে ক্রেতাদের মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে  মিষ্টি বিতরণ করে সঙ্গে ক্যালেন্ডার যা বিঞ্জাপনের একটা মাধ্যম। বিনিময়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে পাওয়া যায় অর্থ যা নতুন বছরের হালখাতায় জমা থাকে। সাধারণ মানুষ নতুন বস্ত্র পরিধান করে নতুন বছরকে সাদর অভ্যর্থনা জানায়। কিন্তু নতুন বছর সবাইকে কি সন্তুষ্ট করতে পারে? বোধ হয় না। সারা বছর জুড়ে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকে না। কথায় আছে যে স...

নববর্ষ ।। অর্পিতা মল্লিক

নববর্ষ অর্পিতা মল্লিক  নববর্ষের সাথে বাঙালির এক আবেগঘন অনুভূতি মিলে মিশে আছে। এটা শুধু একটা তারিখ পরিবর্তনের দিন নয় , এটি এক গভীর সাংস্কৃতিক আবেগ, ঐতিহ্য আর নতুন আশার প্রতীক । চৈত্রের শেষে বৈশাখের সাথে নুতন একটি বছর শুরু হয়। নুতন সুর্য , নুতন আলোর কিরনে চারিদিক উদ্ভাসিত করে। নুতন প্রত্যাশার উদয় হয় । এই বর্ষবরণের একটা প্রাচীন ইতিহাস আছে ,যা সময়ের পরিক্রমায় নুতন মাত্রা পেয়েছে ।বাংলা সনের উৎপত্তি ঘটে মোগল সম্রাট আকবরের  সময়ে, মুলতঃ কৃষি ও খাজনা আদায়ের সুবিধার্থে। তখনকার "ফসলি সন' বা "তারিখ ই ইলাহি' হিসাবে একটা নতুন ক্যালেন্ডার চালু করা হয়। যা পরে বাংলা  "সন'নামে পরিচিতি পায়। সময়ের সাথে সাথে বর্ষবরণ শুধুমাত্র অর্থনৈতিক আচার থেকে রূপ নেয় এক বিশাল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উৎসবে । আজকের আমরা ইংরেজী তেই দিন যাপন করলেও  বাংলা নুতন বছরের  প্রভাব অটুট আছে –ভবিষ্যতেও থাকবে । ইংরেজি বর্ষবরণের উদ্দাম ডিজে ড্যান্স মদ্যের ফোয়ারা আমাদের বাঙালি বর্ষবরণে থাকে না । প্রভাতফেরীর মাধ্যমে সূচনা হয় বাঙালির বর্ষবরণ ।বৈশাখ মাস  মানে তো আমাদের প্রাণের কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ...

নববর্ষের আনন্দ ।। মিঠুন মুখার্জী

            নববর্ষের আনন্দ মিঠুন মুখার্জী নববর্ষ বাঙালির কাছে খুব আনন্দের। বিশ্বের সকল জাতির আনন্দের দিন যেমন ইংরেজি নববর্ষ, তেমনি বাঙালির কাছে বাংলা নববর্ষ। পুরনো বছরকে বিদায় দিয়ে নতুনকে বরন করার আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমি নবীন যাদব। আমি বাঙালি নই ,কিন্তু বাঙালিদের মধ্যে থাকতে থাকতে আমি মনে প্রানে বাঙালি হয়ে উঠেছি। আমার বাড়ি বিহারের পাটনায়। কর্মসূত্রে আমি কলকাতার বেহালায় থাকি। আমি একজন স্টেশন মাস্টার। বারাসাতে আমার পোস্টিং।                 বাঙালি মানেই বারো মাসে তেরো পার্বণ।তারা আনন্দ করতে খুব ভালোবাসেন। তাই প্রত্যেক মাসেই কোনো না কোনো উৎসবে মেতে থাকে। এখানে কুড়িবছর থাকার ফলে আমি মাঝে মাঝে ভুলে যাই আমি বিহারী না বাঙালি। দীর্ঘ দিন এখানে থাকার ফলে আমি ও আমার পরিবার ভালোই বাংলা শিখে গেছি।প্রত্যেক নববর্ষে আমার বাঙালি কলিগরা ও বাঙালি বন্ধুরা আমাকে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। আমাকে কেউ মিস্টির প্যাকেট আবার কেউ লাড্ডু ও ক্যালেন্ডার দেন। আমার খুব ভালো লাগে।এমন কি কোলাকুলিও করেন। বেশিরভাগই পাঞ্জাবি ও ...

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

রেজাল্ট ।। সৈকত মাজী

রেজাল্ট সৈকত মাজী শুভ্রাংশু বিছানতে শুয়ে শুয়ে বিরক্ত হয়ে উঠল। মনে মনে নিজের শরীরটাকে আচ্ছা করে শুনিয়ে দিলো দু- চারটে কথা, দেবে নাই বা কেন, কয়দিন ধরে এতো কাঠ খড় পুড়িয়ে সব বন্ধুরা মিলে রথটা বানালো, কত কি প্ল্যান করলো, আর এই শরীরটার জন্যই তো সব ভেস্তে গেলো। মনে মনে ভাবলো একটা যা হোক শরীর হয়েছে ওর প্রতি মাসে তিন - চার বার করে জ্বর হচ্ছেই। হবি তো হ আর একটা দিন পরে হলে কি এমন ক্ষতি হতো, এই রথের দিনেই হতে হলো। ওর বিরক্তিটা বেড়ে গেলো আরো কয়েক ঘর।    " মা ও মা...মাআআআআ...." জোরে হাঁক  দিলো শুভ্রাংশু।    " কি হয়েছে বাবু? আবার জ্বরটা বেড়েছে? মাথা ব্যথা করছে?" ব্যস্ত হয়ে উঠলেন মালতিদেবী।     " ওসব কিছু নয়, ও মা বলছি এখন তো খুব কম জ্বর আছে যাই না মা একবার বাইরে, সবাই কতো ফুর্তি করছে বলো"  কাতর ভাবে বলল শুভ্রাংশু।      " না বাবু, এখনই আমরা ডাক্তারের কাছে যাব, বাবা তৈরী হয়ে গেছেন, আমরা বিকেলে তখন মেলা দেখতে যাব কেমন, এখন উঠে জামা কাপড় পরে নাও"  মালতিদেবী জামা কাপড় গুলো এগিয়ে দিলেন।      শুভ্রাংশু...

রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি

রাই আর বাবা অদিতি চ্যাটার্জি রাই-র জীবনে বেশ কিছু ভালো লাগা আছে তার মধ্যে একটা হলো সন্ধ্যার সময় তিন তলার বারান্দায় দাঁড়িয়ে রাস্তা দেখতে দেখতে কফি কাপে চুমুক দেওয়া ।" আজ যশোদা মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে বেশ ভিড়,নির্ঘাত 'তেলে ভাজা ' প্রেমীরা।" আপন মনেই ভাবে ও, কিন্তু বসার ঘরে সুমন আর আঁখি এতো জোরে 'হল্লা গোল্লা ' করছে তালতলার জমজমাট রাস্তার দিকে আর মন দিতে পারছে না রাই।  পায়ে পায়ে ঘরে এসে দাঁড়ায় রাই, দেখে ক্লাস ফোরের মেয়ে এতোটা ঝগড়া করছে সুমনের সাথে , "বাপ রে, কবে এতোটা কথা শিখলো মেয়ে! কিভাবে কথা বলছে?? কোঁকড়া চুল ঝাঁঝিয়ে,গোলগাল হাত নেড়ে " ...মেয়ে কে দেখে থতমত খেয়ে যায় রাই। এদিকে আঁখি বলছে, "ধুত্ বাপী তুমি কিচ্ছু পারো না, তুতাই-র বাবা, পিসাই, মামু সবাই কত ভালো করে খেলতে পারে , না আমি তোমার সাথে খেলবো না।" কাতর চোখে মেয়ের দিকে একবার তাকিয়ে সুমন বলে ,"আচ্ছা তুই আমাকে শেখা, দ্যাখ আমি কার জন্য আলিপুরদুয়ার থেকে পনেরো দিন পর পর কলকাতায় আসি বল!"  ঐ টুকু মেয়ে কথা প্রায় না শুনেই ঘরে চলে গেল রাই-র চোখের সামনে, সুমন একবার হেসে বাথরুমের দিকে এগো...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী

বস্তু, চেতনা এবং  কবি সজল চক্রবর্তী  "যেখানে পৌঁছায় না রবি,, সেখানে পৌঁছে যান কবি।" এই ছোট্ট কবিতা টি অনেক পুরনো  এবং বহু পরিচিত, তথাপি এর তাৎপর্য এখনো হারায় নি। তবে, কথা হ'চ্ছে -আমরা তো  রবি-কবিকে একত্রেই পেয়ে যাই আমাদের ঋষি-প্রতিম কবি রবীন্দ্রনাথের মধ্যে। আর তখনই জেনে যাই উপরোক্ত ছোট কবিতার প্রণিধানযোগ্যতা ।  ... এবার শুনে নেয়া যাক, ঋষি-প্রতিম কবির মুখ নিঃসৃত বাণী:- "তোমার অসীমে প্রাণমন লয়ে যত দূরে আমি যাই ...." অর্থাৎ আমাদের প্রিয়তম কবি অনায়াসে পৌঁছে যান সৃষ্টির অসীমে , যা আমাদের পক্ষে আদৌ সম্ভব নয়। এখানে কবির চেতনা সুদূর প্রসারী! ... প্রকৃত প্রস্তাবে কবি অতিন্দ্রীয় জগতের এক নাগরিক। তাঁর কাছে তাই চেতনা বা চৈতন্যেরই প্রাধান্য। ...এখন আসছি, বস্তু এবং চেতনার মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে।  ... আমি একজন অতি সাধারন মানুষ, তাই এই ব্যাপারটাকে কবিদের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার চেষ্টা ক'রছি। তবে আমার সামান্য জ্ঞান থেকে একটা সাধারণ কথা সেরে নি'। আমরা সাধারণত ব'লে থাকি-- সূর্য পূর্বদিকে ওঠে। প্রকৃত অর্থে কি তাই ? আসলে সূর্য যেদিকে ওঠে ,আমরা  সেই দিকটাকে নামাঙ্কিত ক...

দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদি ।। অরবিন্দ পুরকাইত

স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগধারা ইত্যাদি  (পর্ব—সাত) অরবিন্দ পুরকাইত স্থানীয় কিছু কথ্যশব্দ, উচ্চারণ, বাগ্্ধারা ইত্যাদির সংগ্রহ প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল রামচন্দ্র নস্কর সম্পাদিত 'চর্যা' পত্রিকায়, ২০১৬ সালে। সে সংগ্রহ যায় নিজের 'গাঁ-ঘরের কথা' পুস্তকে, ১৪২৩ সনে। পরে এই ব্লগজিনেও কিছু সংগ্রহ প্রকাশিত হয় ১৪২৮ সনের আশ্বিন মাসে, পৌষ ১৪২৯-এ, আষাঢ় ১৪৩০, নববর্ষ ১৪৩১ ও কার্তিক ১৪৩১ সংখ্যায়। তার পরেও ধীরে ধীরে আরও কিছু সংগৃহীত হয়েছে, সেগুলিই এখানে রাখা হল। নিজের আগের সংগ্রহে এসে-যাওয়া শব্দ যদি এখানে এসে থাকে, তা বাড়তি বা ভিন্ন কিছু বলার প্রয়োজনেই। নিজের আগের সংগ্রহ খুব ভাল করে যে মিলিয়েছি তা নয়, পুরো সংগ্রহ একত্র করার সময় তা করা যাবে যতটা সম্ভব নিখুঁত করে। আগে আগে সংগ্রহ প্রসঙ্গে কিছু কথা বলা হয়েছে, বিশেষত প্রথম প্রকাশের সময় একটু বিশদভাবে। এখানে আর কিছু বলা নয়, কেবল সংগ্রহটাই তুলে ধরা গেল। অখেজো/অখেজে — অকেজো থেকে। আদরের তিরস্কার হিসাবেই মূলত প্রয়োগ করা হয়ে থাকে। পাজি। অচিমিতি — (উচ্চারণ ওচিমিতি) আচমকা, হঠাৎ। অদীয় — প্রচুর, অজস্র। অদ্বিতীয় থেকে ক...

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায়

দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত রণেশ রায় ভূমিকা দর্শনের ইতিহাসে বস্তু ও চেতনার সম্পর্ক মানবচিন্তার গভীরতম প্রশ্ন। অধিবিদ্যা ভাবকে মুখ্য ধরে, বস্তুকে গৌণ বলে মনে করে। বিপরীতে মার্কস ও এঙ্গেলস বলেছেন—বস্তুই মুখ্য এবং চেতনা তার প্রতিবিম্ব। মানুষ যখন প্রথম আলোর মুখ দেখেছিল, তখনই সে বিস্ময়ে প্রশ্ন করেছিল—আমি কে, কোথা থেকে এলাম, আর এই দৃশ্যমান জগতের বাইরে কিছু আছে কি? এই প্রশ্ন থেকেই জন্ম নিয়েছিল দর্শনের দুই বিপরীত স্রোত—ভাববাদ আর বস্তুবাদ। ভাববাদ বলেছিল—"ভাবই প্রথম," আর মার্কস বললেন—"না, বস্তুই প্রথম।" এই দুই প্রান্তের মাঝখানে আমি দেখি এক সেতুবন্ধন, যেখানে বস্তু, স্নায়ু ও চেতনা একে অপরকে গড়ে তোলে, আর তাদের এই ত্রিত্বের নৃত্যেই সৃষ্টি হয় জীবন ও কল্পনার জগৎ। ভাবববাদ এক সর্বশক্তিমান শক্তির কল্পনা করে যা এই বস্তুজগতের স্রষ্টা। আর এখান থেকে ধর্ম ও ধর্মীয় ভাবধারার সৃষ্টি। আমার এই প্রবন্ধে আমি মার্কসীয় দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদকে আধুনিক বৈজ্ঞানিক আলোকে বোঝার চেষ্টা করেছি। আমি দেখাবার চেষ্টা করবো কিভাবে ইন্দ্রিয় এবং স্নায়ুজগৎ বস্তু ও চেতনাকে সংযুক্ত করে এবং কল্পলোকের জন্ম দেয়...

চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার

চাঁদে জীবন  শমীক সমাদ্দার                           চন্দ্রযান দুরন্ত তৈরি, রকেটের উপর ভর করে চন্দ্রযান চাঁদে অবতরণ করবে। মাধ্যাকর্ষণ শক্তি পেরিয়ে মহাকাশযান চাঁদের কক্ষপথে  স্থাপন করা হয়েছে। চন্দ্রাযান চাঁদের মাটিতে পা রাখবে সময়ের কাউন্ট ডাউন চলছে। সমস্ত নিয়ন্ত্রণ স্পেসস্কাই গাবেষণা কেন্দ্র কতৃক নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে প্রযুক্তি বিজ্ঞান অতল গভীরতায় বাসা বাঁধে। পরিচয়টা দিয়ে দিলাম এই স্পেসসিপে রয়েছে তিনজন নভোচর, একজনের নাম সাইমন আর এক জনের নাম রেমন্ড, আর এদের সঙ্গে একজন মহিলা আছে তার নাম মেরিনা। চন্দ্রযান চন্দ্রপৃষ্ঠে সফলভাবে অবতরণ করেছে। চন্দযান দুরন্ত চাঁদের পূর্ব -পশ্চিম অক্ষরেখা বরাবর অবতরণ করেছে। আলো আঁধারের গভীরতায় বড় বড় পাথরের পিণ্ড, চাঁদের সার্ফেসের উপরে পাথর জল দেখা যায়। জমাট বাঁধা অক্সিজেন আর কার্বনডাই অক্সাইড। ওরা এখানে এসেছে এক রহস্য উদ্ঘাটন করতে। যে স্থানে ওরা অবতরণ করেছে সেখানে ১০ বছর আগে ওরা এসেছিলো। রুশ সরকার ওদের দেশের ছাত্র ছাত্রী কে মহাকাশে চাঁদে পাঠাতে চায়। ওরা কেন এসেছে সেটা এখনো অধরা। সাইমনের বর্...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

বছরের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

প্রচ্ছদ, সম্পাদকীয় ও সূচিপত্র ।। ৮৬তম সংখ্যা ।। বৈশাখ ১৪৩২ এপ্রিল ২০২৫

সম্পাদকীয় এই সংখ্যাটি বাংলা নববর্ষ বিষয়ক সংখ্যা। নৱৰ্ষকেন্দ্রিক বহু তথ্যপূর্ণ লেখা এই সংখ্যাটিকে সমৃদ্ধ করেছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপনের ইতিহাস, রীতিনীতি, উৎসব, পার্বন, লোকাচার, রূপান্তর বহুবিধ বিষয় প্রকাশিত হয়েছে এই সংখ্যার লেখাগুলিতে। এই সংখ্যার বাছাই কিছু লেখার সঙ্গে আগামীতে আরও কিছু লেখা সংযুক্ত করে বাংলা নববর্ষ বিষয়ক একটি মুদ্রিত সংখ্যা প্রকাশ করার ইচ্ছে রইল।  সকলকে নববর্ষের আন্তরিক শুভকামনা জানাই। উৎসবে আনন্দে থাকুন, হানাহানিতে নয়। ধর্ম-ব্যবসায়ীদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে সহনাগরিকের পাশে থাকুন। মনে রাখুন, ধর্মকে মানুষই সৃষ্টি করেছে। ঈশ্বর আল্লা গড ইত্যাদির জন্মদাতা মানুষই। মানুষকে ভালোবাসুন। মানুষের পাশে থাকুন।  নিরাশাহরণ নস্কর  সম্পাদক, নবপ্রভাত।  সূচিপত্র প্রবন্ধ-নিবন্ধ-স্মৃতিকথা পয়লা বৈশাখ ।। সিদ্ধার্থ সিংহ নববর্ষকেন্দ্রিক মেলা, পার্বন, উত্সব, লোকাচার ।। সবিতা রায় বিশ্বাস নববর্ষ আবাহন ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং বিভিন্ন দেশে ।। তুষার ভট্টাচার্য নববর্ষের সেকাল ও একাল ।। হিমাদ্রি শেখর দাস নববর্ষের হাল-হকিকৎ ।। শংকর ব্রহ্ম বোশেখি বাঙালি নাকি পোশাকি বাঙালি? ।। দিব্যেন্দু...

প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান

বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় মাখনলাল প্রধান বাংলার শিল্প-সংস্কৃতির জগতে যাত্রা শিল্প তথা নাট‍্যশিল্পে মড়ক নেমে এসেছে । যাত্রা শিল্পের মড়কে শুধু কোভিড নয় তার বহুপূর্ব থেকেই অর্থনৈতিক বিপর্যয় , শিক্ষাক্ষেত্রে বন্ধ‍্যাত্ব এবং গ্ৰাম বাংলার পটপরিবর্তন শেষ পেরেক ঠুকে দিয়েছে। যাত্রা-শিল্পের লীলাভূমি ছিল গ্ৰাম বাংলা। গ্ৰামে প্রচুর যাত্রাপালা হত নানা উৎসবকে কেন্দ্র করে । জমিদারি ব‍্যবস্থা লুপ্ত হওয়ার পর গ্ৰামীণ মানুষের উদ‍্যোগে শীতলা পূজা,  কালীপূজা, দুর্গাপূজা, কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা, চড়ক ইত‍্যাদিকে উপলক্ষ‍্য করে যাত্রাপালার আয়োজন না হলে কেমন যেন ম‍্যাড়ম‍্যাড়ে লাগতো। সেই সঙ্গে কলকাতার বড়বড় কোম্পানির যাত্রাপালা ঘটা করে, টিকিট সেল করে হত মাঠে। খুব বড় মাপের খেলার মাঠ যেখানে ছিল না সেখানে ধানের মাঠ নেওয়া হত ‌। ত্রিশ-চল্লিশ হাজার মানুষ দেখতে আসত। স্পেশাল বাস পাঠাত  আয়োজক কর্তৃপক্ষ। বিনা ভাড়ায় বাসে যাতায়াত করত যাত্রার দর্শকেরা। কিন্তু বিকল্প ধানচাষ শুরু হলে জমিগুলো সময় মতো ফাঁকা পাওয়া গেল না । প্রথম দিকে ব‍্যাপকহারে ধান শুরু না হওয়ায় খুব একটা অসুবিধা হত না। বহুক্ষেত্রে  ধান কা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। নবপ্রভাত ৮৫ ।। চৈত্র ১৪৩১ মার্চ ২০২৫

  সূচিপত্র নিবন্ধ ।। মরিয়ম মির্জাখানি: এক অনন্য গণিতসূর্য ।। ... নিবন্ধ ।। নারী দিবসে যা ভাবা উচিত ।। বিশ্বনাথ পাল প্রবন্ধ ।। প্রাচীনকাল থেকে নারীরা অবহেলিত, বঞ্চিত,... নিবন্ধ ।। আমার চোখে আদর্শ নারী ।। জয়শ্রী বন্দ্... ফিচার।। এই মুহূর্তে বাংলা সাহিত্যে নারীদের লেখালেখ... আফ্রিকার লোককথা ।। করোটিকে বিয়ে করা অবাধ্য মেয়েটি ... ছোটগল্প ।। মানবী ।। ভুবনেশ্বর মন্ডল নিবন্ধ ।। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অন্যতম নারী মু... নিবন্ধ ।। প্রিয় মহিলা সাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী ।। ... গল্প ।। উই ওয়ান্ট জাস্টিস ।। রবীন বসু প্রবন্ধ ।। নিপীড়িতা ।। শ্যামল হুদাতী ফিচার ।। রমণী রতন ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত প্রবন্ধ ।। নারী সমাজ : তখন-এখন ।। তপন মাইতি নিবন্ধ ।। বহমান কালের ধারায় নারী ।। দীপক পাল গল্প ।। আমার দুর্গা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া (সাউ) গল্প ।। যোগ্য জবাব ।। সমীর কুমার দত্ত ছোটগল্প ।। আমি দুর্গাকে দেখেছি।। চন্দন দাশগুপ্ত গল্প ।। সম্পর্ক ।। গৌতম সমাজদার কবিতা।। নারী মানে ।। গোবিন্দ মোদক কবিতা।। নারী ।। সমর আচার্য্য ছড়া ।। নারী অসামান্যা ।। সৌমিত্র মজুমদার কবিতা ।। নারী দিবসে ।। বিবেকানন্দ নস্কর কবিতা ।। না...

প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী

ভিনগ্রহীদের সন্ধানে  শ্যামল হুদাতী  ইতিহাসের শুরু থেকে বারবার মানুষকে একটা প্রশ্ন কুঁড়ে কুঁড়ে খায় – এই মহাবিশ্বে আমরা কি একা? পৃথিবীর মতো আরও গ্রহ রয়েছে, যেখানে মানুষের মতো বুদ্ধিমান প্রাণীরা বাস করে – এই সম্ভাবনা বরাবর মানুষকে মুগ্ধ করেছে। আমাদের প্রত্যেকের জীবনের কখনও না কখনও এই ভাবনা এসেছে। দীর্ঘ কয়েক দশকের গবেষণার পরও, এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েব মহাকাশ টেলিস্কোপ, বহু দূরের এমন কিছু গ্রহের সন্ধান দিয়েছে, যেগুলিতে প্রাণ থাকতেই পারে। তবে, নিশ্চিত কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, আমেরিকার হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভিনগ্রহীদের খুঁজতে বহু দূরে যাওয়ার কোনও দরকার নেই। তারা এই পৃথিবীতেই মানুষের ছদ্মবেশে মানুষের মধ্যেই বসবাস করতে পারে। আমরা ভিনগ্রহীদের যেমন কল্পনা করি, এরা তার থেকে আলাদা। এরা অনেকটাই, দেবদূতদের মতো। মানব জগতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক প্রযুক্তিগত নয়, বরং জাদুকরি। মহাকাশে সৌরজগতের গ্রহ পৃথিবী ছাড়া অন্য কোথায় প্রাণ রয়েছে কি না তা নিয়ে চলছে বিস্তর গবেষণা। একই সঙ্গে পৃথিবী ছাড়া অন্য কোনো গ্রহে মানুষ বসবাস ক...

মাসের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬

  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠালে  অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে হলে ভালো। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯২তম সংখ্যা ।। কার্তিক ১৪৩২ অক্টোবর ২০২৫

—: সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে :— এই সংখ্যার জন্য লেখা এসেছিল প্রায় ১৮০টা। কিন্তু গুণগত মানে দুর্বল লেখার সংখ্যা বহু। আমরা নবপ্রভাতে নতুনদের কথা ভেবে বেশ কিছু দুর্বল লেখাও রাখি। কিন্তু সবসময় একই লোকের দুর্বল লেখা প্রকাশ করা অনুচিত বলে মনে করি। শেষ পর্যন্ত ৯৯ জনের লেখা রাখা গেল। যাদের লেখা প্রকাশিত হল না, তারা লেখাগুলি অন্য যেখানে খুশি পাঠাতে পারেন। বিশেষ কারণে এই সংখ্যার মুদ্রিত সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে না। আমরা দুঃখিত। তবে মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৬ সংখ্যার জন্য লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি শীঘ্রই আসছে। সঙ্গে থাকুন। সকলকে উৎসবমুখর বর্ণময় শুভেচ্ছাসহ— —নিরাশাহরণ নস্কর, সম্পাদক, নবপ্রভাত। অনুরোধ : প্রকাশিত লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন, ছবি/স্ক্রীনশট নয়।  == সূচিপত্র == পড়া-লেখার ইতিহাস অনুসন্ধান।। তপন তরফদার উৎসব : মানুষের চিরন্তন আত্মপ্রকাশ।। কৃশানু ব্যানার্জি বাংলা : সভ্যতা ও সংস্কৃতির জন্মভূমি।। শ্যামল হুদাতী সমুদ্র আর অস্তিত্ব ।। সুব্রত চৌধুরী রাজা ছিলেন জুবিন গর্গ ।। গঙ্গা 'অনু'   আদ্যাশক্তি মহামায়ার বাংলা বারো মাসের বারো রূপ ।। অর্হণ জানা মেধাদাদুর আসর ।। রণেশ রায় বৈজ্ঞানিক মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯৩তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩২ নভেম্বর ২০২৫

সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...

দিদৃক্ষা ।। রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী

  দিদৃক্ষা রাজেশ কে. চক্রবর্ত্তী 'কাল একবার দেখা হতে পারে?' দশমীর দুপুরে খাটে আধশোয়া হয়ে নিজের ফোনটা ঘাঁটছিল দেবমাল্য; হোয়াট্‌সঅ্যাপের সার্চ বক্সে  র‍্যান্ডম সিক্যুয়েন্সে ক'খানা ডিজিট ইনপুট করতেই বিস্মৃতির অতল থেকে অপ্রত্যাশিতভাবে যে নামটা স্ক্রিনের সারফেসে ভেসে উঠল, এককালে দেবমাল্যের প্রায়োরিটি লিস্টে সবথেকে ওপরে পিন্‌ করা থাকতো এই অ্যাকাউন্টটা। 'অহনা দাশগুপ্ত'—গ্রেয়েড-আউট ডিপিটার ডানদিকে, নামটার তলায় নিস্প্রভ হরফে ভেসে থাকা ওর এই লাস্ট মেসেজটা বেশ ক'বছরের পুরনো, কিন্তু দেবমাল্যর স্মৃতির প্যান্ডোরা বাক্সটি উলটে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। আরেকবার আপাদমস্তক শিহরিত হয় সে। প্রোফাইলটা খুলে ওপরে-নীচে স্ক্রল্‌ করে দেখে, ওদের পুরনো চ্যাটগুলো তেমনি আড়ষ্ট হয়ে পড়ে আছে, ওর মেসেজগুলোর পাশে ডাবল টিকগুলো এখনও জাজ্বল্যমান সবুজে ছোপানো, যেন এইমাত্র 'সিন্‌' করে রেখেছে অহনা! যেন এখুনি আবার হাত বোলালেই অহনা এসে খানিকটা রাগত ভঙ্গিতে চ্যাট করতে লেগে যাবে। দেবমাল্যের বুক ছাপিয়ে একটা নীরব দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে! ছুটির এই আমেজটা লক্ষ্মীপুজো অব্দি গড়াবে—অফিস খুললেই তো আবার দমফাটা ব্য...

গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম

  গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম হুইসেল (মুরাকামি থেকে অনুপ্রাণিত) ♦ 'গভীর রাতে একটা হুইসেল কতটা গভীর হতে পারে তুমি কল্পনাও করতে পারো না,' ছেলেটা বললো, 'আশ্চর্য ঐ হুইসেলের মতো আমি ভালবাসি তোমাকে।' কিন্তু গভীর রাতে অন্ধকারে কখনও তো ঘুম ভেঙে যায়নি মেয়েটার, কখনও ও বিচ্ছিন্ন আর একা হয়ে যায়নি। ও কীভাবে অনুভব করবে গভীর রাতে ট্রেনের হুইসেল কতটা গভীর! নিউজ এজেন্সি ♦ একসময় আমরা খবর শুনতাম এখন দেখি স্বীকার করতে হবে খবর শোনার চেয়ে দেখার আনন্দ বেশি আলাদা উত্তেজনা নিউজ এজেন্সিগুলো এব্যাপারে তৎপর আর প্রতিযোগিতাপূর্ণ কোনটা নিউজ সেটা ওরাই ঠিক করে যেটা ওদের দরকার আর সেটাই আমাদের দেখানো হয় ধারাবাহিকভাবে সুচারু জ্যামিতিকতায় বিভিন্ন পদ মিশিয়ে খাওয়ানো হয় নতুন বাস্তবতা নির্মাণে যে বাস্তবতায় জায়গা নেই আমাদের ইতিহাস অন্বেষা স্বাধীনতার সমৃদ্ধি আর স্বাধীনতার কথা বলেই ওরা আমার ক্ষেতখামার পাহাড় আর নদীর দখল নিয়েছে তাহলে টিভিতে যে হাসিখুশি প্রাণবন্ত আমাদেরকে দেখানো হয় ওরা কারা এই প্রশ্ন করো নিজের কাছে আগুন নিয়ে খেলা ♦ আজও পুকুরে ছিপ ফেলে বসবো আমি ধীরে চুপ সূর্য আমার ঘাড়ে শ্বাস ফেলবে সারারাত ঘরের ভেতর ল্যাং...

বিদায়ের স্রোত ।। চয়ন মন্ডল

  বিদায়ের স্রোত চয়ন মন্ডল "বিজয়া দশমী—আনন্দের দিন, কারও কাছে যা হয়ে উঠল চিরন্তন বিদায়।" আজ বিজয়া দশমী। শিউলি ফুলের গন্ধে ভোরটা অন্যরকম। পাড়ার প্যান্ডেলে অদ্ভুত এক কোলাহল—মায়ের বিদায় যে আজ। শঙ্খধ্বনি, ঢাকের বাজনা আর উলুধ্বনিতে গমগম করছে চারদিক। একদিকে মা দুর্গার বিদায়ের বেদনা, অন্যদিকে আনন্দ ও মিলনমেলা। সারা বছরের অপেক্ষা শেষে এই দিনটিতে প্যান্ডেল ভরে উঠেছে মানুষের ভিড়ে। সকালের পূজার্চনা শেষ হতেই শুরু হয়েছে সিঁদুর খেলা। মহিলারা মায়ের প্রতিমাকে সিঁদুর পরিয়ে একে অপরের কপালে, গালে রাঙিয়ে দিচ্ছেন। ঢাকের তালে আর শাঁখ বাজনার আবেশে ভেসে যাচ্ছে পাড়া। শুরু হয়েছে প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। কিন্তু এসবের মধ্যে নেই অনুরাধা। কেউ তার বা মিনির খোঁজ রাখেনি। মুখার্জিদের দোতলা বাড়ির কোণের ঘরে বসে সে চোখের জল ফেলছে। সবার বাড়িতে আলোর রোশনাই, ভোগের গন্ধ, হাসি—শুধু তাদের ঘরটিতে নিস্তব্ধতা। গতবছর এই দিনেই তো অন্যরকম ছিল সবকিছু। অনুরাধা, সুজয় আর তাদের তিন বছরের মেয়ে মিনি পাড়ার প্যান্ডেলে ঢাকের তালে নেচেছিল, সিঁদুর খেলায় রঙে ভেসেছিল। বিকেলের দিকে প্রতিমা বিসর্জনের মিছিলে শামিল ...

কবিতা ।। অরণ্যকন্যা ।। অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়

  অরণ্যকন্যা অরিন্দম চট্টোপাধ্যায় অরণ্যকন্যার দৃষ্টির ভেতর বিষাদ বিন্দু ফোঁটা ফোঁটা জলের মতো গড়িয়ে যায়, হয়ে যায় কোন নদীপথ দৃষ্টি ভেঙে ভেঙে চলে যায় কোন এক শূন্য পথে অরণ্যকন্যার হৃদয়ের ভেতর ভাঙে যতো বৃক্ষপত্র নতুন পত্র পুষ্পের খোঁজ নেই ঠোঁট জুড়ে সমুদ্রকাঁপন বুদবুদের মতো অস্ফুট হয়ে উচ্চারিত হয় কোন অক্ষর শব্দ আর তাঁর শরীর থেকে ছড়িয়ে যায় হয়ে যায় একটা অদৃশ্য কবিতা...    ================== @ অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়,  বেহালা, কলকাতা -৭০০০৬০,  

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কড়াকড়ি বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো,  তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়।  যেমন, কবিতা/ছড়া ১২-১৬ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প/মুক্তগদ্য কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে, গল্প/রম্যরচনা ৮০০-৯০০ শব্দে, প্রবন্ধ/নিবন্ধ ১৫০০-১৬০০ শব্দে। তবে এ বাঁধন 'অবশ্যমান্য' নয়।  সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৬-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) য...

শেষ বিকেলের আলো ।। সৈকত প্রসাদ রায়

  শেষ বিকেলের আলো সৈকত প্রসাদ রায় রানাঘাট শহরের প্রান্তে ছোট্ট এক পাড়া বিশ্বাসপাড়া। সেই পাড়ার পুরোনো ভাঙাচোরা বাড়িটায় থাকেন পুষ্পরাণী ভট্টাচার্য— বয়স পঁয়ষট্টির কোঠায়। সবাই তাকে "পুষ্পদি" বলেই চেনে। একসময় প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতা করতেন, এখন অবসর নিয়েছেন। প্রতিদিন বিকেলে পুষ্পদি বারান্দায় বসে চা খান। ছোট একটা টেবিল, কয়েকটা পুরোনো বই, আর একখানা নীল কাঁচের ফুলদানি — তার নিত্যসঙ্গী। বারান্দার সামনেই একটা গলি, যেখান দিয়ে প্রতিদিনই স্কুল ছুটির পরে বাচ্চারা হইচই করে ছুটে যায়। পুষ্পদির একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ — কলকাতায় চাকরি করে। ছেলেটা আধুনিক, নিজের সংসার আছে, স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ব্যস্ত। বছরে হয়তো একবার আসে, তাও কিছুক্ষণ বসে আবার চলে যায়। পুষ্পদি মুখে কিছু বলেন না, কিন্তু বুকের ভেতরে একটা কষ্ট জমে থাকে। সেই বিকেলটা অন্যরকম ছিল। আকাশে ধুলো, গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। হঠাৎ পুষ্পদির চোখে পড়ে — রাস্তায় এক কিশোর বসে আছে। বয়স বারো-তেরোর বেশি নয়। মলিন জামা, পায়ে ছেঁড়া চটি। ছেলেটা একদৃষ্টে তাকিয়ে আছে পুষ্পদির বাড়ির গেটে ঝুলে থাকা পুরোনো নোটিশবোর্ডটার দিকে, যেখানে একসময় লেখা ছিল — "পুষ্পরাণী ভ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...