জলছবির রঙ সোমা চক্রবর্তী রাণী পল্লীর তিন নম্বর গলির ঊনিশ নম্বর ঝুপড়ি থেকে একটা বাচ্চার কান্নার শব্দ ভেসে আসছে। চারমাস হলো প্রায়ই শোনা যাচ্ছে শব্দটা। ওই ঝুপড়িতে ললিতা থাকে। ললিতা একটা বাচ্চাকে চুপ করানোর চেষ্টা করছে। বাচ্চাটা মাঝে মাঝে চুপ করে যাচ্ছে, পরক্ষণেই আবার কেঁদে উঠছে। এইসব পাড়ায়, এই ধরনের ঝুপড়িতে সাধারণত বাচ্চাদের কান্না শোনা যায় না। অথচ এখানে যারা থাকে, সবাই মহিলা। অঞ্চলটা তাই রাণী পল্লী নামে বিখ্যাত হয়ে গেছে। ওরা নিজেরাই নিজেদের বিদ্রুপ করে বলে, "এক রাতের রাণী!" বাসিন্দারা সবাই মহিলা হলেও তাদের ঘরে ঘরে শিশুর কলরব এখানে কখনো ওঠে না। তার বদলে রাত ঘন হয়ে এলে ওঠে অন্য এক ধরনের কলরব। কখনো দরদস্তুর নিয়ে, কখনো পছন্দ অপছন্দ নিয়ে। কখনো ফুলের মালা নিয়ে ফেরিওয়ালা হেঁকে যায়। কখনো আবার মুখোশের আড়ালে থাকা ভদ্রলোকদের নেশাগ্রস্ত গলার আওয়াজে মুখরিত হয়ে ওঠে এখানকার গলি। এসব ছাড়াও, রাণী পল্লীতে বাসিন্দাদের মধ্যে দিনেমানে চাঁছাছোলা গলায় খিস্তিখেউড় আর ঝগড়াও শোনা যায়। কিন্তু শিশুর কান্না বা হাসি! কিম্বা তার অবুঝ এলোমেলো কথা- একেবারেই বিরল। তবু কচিৎ কদাচিৎ এমন ঘটনাও ...
সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...