Skip to main content

Posts

গল্প ।। কালোচিত্র ।। সৌর শাইন

কালোচিত্র সৌর শাইন     বৃদ্ধার উদাসীন দৃষ্টিতে মৃতাত্মাদের আনাগোনা, কতশত শেষ দাফনের স্মৃতি। নিশ্বাসে আগুনের হলকা এসে পুড়িয়ে দেয় সব গুন গুন সঙ্গীতকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে। রেললাইনের বস্তির অন্যসব ঘরের মতো এখানেও নিস্তব্ধতা ছোবল দিয়েছে, হাহাকারের যাঁতাকলে গলা টিপে ধরে সময়ের অভিশাপ। সুঁচের পেট ফুঁড়ে লাল সুঁতো বেরিয়েছে, এক একটা ফোঁড়ে ছোট্ট প্লাস্টিকের ব্যাগটা যতটা সম্ভব মেরামত চলে সেলাই চিন্তায়। ভিক্ষের চালগুলো এখানেই জমাতে অভ্যস্ত বৃদ্ধা।   মৃত ক্ষুধারা পেটের ভেতর হঠাৎ হঠাৎ চিৎকারে নাচে। শহরের মেইন রোডে উঠা যায় না, মুখোশ পরা পুলিশ বাঘের মতো তেড়ে আসে। বৃদ্ধার মগজ এখনো বুঝতে পারে না করোনা শব্দের পেছনে কী এমন দৈত্য দানব লুকিয়ে আছে। রাতে ছোট্ট নাতনিটি বৃদ্ধাকে বিদেশি রোগের ব্যাখ্যা শুনায়। বৃদ্ধা শুনতে শুনতে নিশ্বাস ফেলে। আট বছরের নাতনির উরুসন্ধিতে হাত ছুঁয়ে বলে, তুই এহনো বাড়ছ না ক্যান? হাতের আঙুল গভীরে যেতেই নাতনিটা আঁৎকে উঠে। আঃ ব্যথা পাই নানি। বৃদ্ধা ধমকে বলে, একটু-আধটু ব্যথা লাগবোই। বেডারা তো মাঙনা টেকা দিবো না। কষ্ট দুক্ষু সহন লাগবো। আমি...

ছোটগল্প ।। শেষ উপহার ।। অরূপ কুমার গোপ মন্ডল

      শীতের সকালে শিশুর মত মিষ্টি রোদটা এসে লুটোপুটি খাচ্ছে সুজয়দের দালান বাড়িতে ।  পূবদুয়ারী  একতলা বাড়ি । কাছেই কোন একটা ফুল ফুটেছে । তার সুগন্ধ ভেসে আসছে বাতাসে । তবু সুজয়ের মনটা ভালো নেই । শিশু হীন  বাড়িটা  যেন বিগ্রহ ছাড়া মন্দির ।  সকালবেলায় বরাবর  ব্যস্ত থাকে সুজয় ।  ভোরে পড়ার অভ্যাসটা ছাত্রজীবন থেকেই  বাঁচিয়ে রেখেছে আজও । কবিতা  গল্প পড়ে কয়েক ঘন্টা কাটায় ।  কিছু লেখালেখির চেষ্টাও করে । আগে গল্প লিখত । এখন কবিতা ।  তারপর,  স্ত্রীর মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টার ত্রুটি রাখে না । বিয়ের পর দিনে দিনেই কমে এসেছে সেটা । মৌসুমীর পটলচেরা চোখগুলো মার্বেলের মতো গোল গোল মনে হয় এখন । কদিন আগেই  বাপের বাড়ি গেছে । কবে আসবে ঠিক নেই । তাই ব্যস্ততাটা বহুগুণে বেড়ে গেছে । রান্না বান্না । হালে পানি পায় না সুজয় । বেড়েছে একাকীত্ব। মনটাও ভালো নেই সকাল থেকেই। হঠাৎ মোবাইলটা বেজে ওঠে । হয়তো মেয়ের ঘুম ভেঙ্গে গেছে । সকালেই বাবাকে আবদার জানাবে । মৌসুমিও হতে পারে । বিছানায় শুয়ে মায়ের দেওয়া বেড টি পেয...

অণুগল্প ।। ক্রন্দসী ।। বিজয়া দেব

  আমাকে মনে পড়ে ক্রন্দসী?  পন্ডিচেরির সমুদ্র সৈকতে আপনার সাথে দেখা হয়েছিল ।আপনি খানিকটা দূরে একা বসেছিলেন। আপনার শীর্ণ করুণ মুখশ্রীতে গোধূলিবেলার করুণ আলো এসে পড়েছিল। আমিও খানিকটা দূরে বসে উচ্ছ্বল ঢেউয়ের ভেতর উচ্ছ্বাসে মেতে থাকা নারীপুরুষদের দেখছিলাম। খুব গরম ছিল সেদিন। আপনার পুরুষসঙ্গীটি স্নান করছিলেন তার পাশে আরও দুজন নারী পুরুষের জুটি সমুদ্রস্নানে মেতে উঠেছিল। একটি উত্তুঙ্গ ঢেউ এলো। স্নানরত নারী পুরুষদের টেনে নিল তার ভেতর। ঢেউ সরে গেলে পর দেখা গেল আপনার পুরুষ সঙ্গীটি আলিঙ্গনে বাঁধা পড়েছেন এক মহিলার সাথে, প্রায় মিনিটখানেক এই আলিঙ্গনাবদ্ধ নারীপুরুষ এক স্থিরচিত্রের মত বাঁধা রইলেন। গোধূলিবেলার আলোয় তখন আমি আপনার মুখ দেখছিলাম। আপনি আমার চোখ চোখ রেখে দেখলেন, যেন বিষম লজ্জায় অতঃপর চোখ নামিয়ে নিলেন। আমরা তো একই হোটেলে উঠেছিলাম। আপনারা তিনটি জুটি নারীপুরুষের। অথচ আপনার সঙ্গীটি পাশের ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিতেন আর আপনি সামনের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে হোটেলের আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে থাকা অজানা বৃক্ষের আন্দোলন দেখতেন, আর উল্টোদিকের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আমি দেখতাম আপনাকে। আপনার বিশীর্ণ চে...

কবিতা ।। ক্ষমা করুন শঙ্খ ঘোষ ।। জীবনকুমার সরকার

  ক্ষমা করুন শঙ্খ ঘোষ  জীবনকুমার সরকার    ক্ষমা করুন শঙ্খ ঘোষ  আমরা আর বেঁধে বেঁধে  থাকতে পারছি কই?  যেদিকে তাকাই সেদিকেই জীবন্ত  লাশেদের চরম ভীড়  তাদেরই বাতাসে মেরুদণ্ডহীন  গাছেরা করছে হই  শেয়াল আর শকুনের ফাঁদে  এত এত মানুষেরা সব  সুবিধার খোঁজে ব্যস্ত  ক্ষমা করুন শঙ্খ ঘোষ  নষ্টরাই এখন ভুবন চালাবে  শিশুরা আরও আরও বেশি লাশ হবে  ধরিত্রী হবে বিধ্বস্ত  একে একে সবাই লাশেদের দেশে  নষ্টদের উল্লাসে বাজাবে নূপুর  এ সমাজ নষ্ট হতেই ত্রস্ত।    =============== জীবনকুমার সরকার  পরশপাথর অ্যাপার্টমেন্ট ৩ নং গভঃ কলোনী মালদা ৭৩২১০১

লিমেরিকগুচ্ছ ।। কান্তিলাল দাস

১| কাপড় শুকানো মাতাল ঝাঁঝায় বউকে ভীষণ তুইও দিবি ফাঁকি ? সুয্যিটা রোজ নয় ওঠে না, চাঁদ তো আছে নাকি !         চাঁদের আলোয় কাপড় ভিজে         শুকোতে তোর কষ্ট কি যে তোর জ্বালাতে লুঙ্গি ছেঁড়ায় লজ্জা আমি ঢাকি ! ২| রাতপাহারা ভাদর মাসে কোকিল কেন ডাকছে এমন ওরে বলল খুড়ো, এমন হলে ধন নিয়ে যায় চোরে            বউ ছাড়া আর নেই কোনও ধন            সাবধানে রয় অষ্টুচরণ রাতপাহারা দিয়ে সজাগ ঘুমোয় অতি ভোরে! ৩| ঘাটের মড়া খুড়োর গলায় কুটকুটানি, ঢোল হয়েছে ফুলে ভাবল খুড়ি কমবে খাওয়ায় জলে তেঁতুল গুলে            পাড়ার লোকে জুটল ত্বরা            ভাবলো টাঁসবে ঘাটের মড়া গাঁদাল ভেবে বিছুটি যে খেলো মনের ভুলে! ৪। বুদ্ধি বটে হাঁটুন ঘাসে পা ডুবিয়ে ভোরে শিশির-জলে চোখের রোগে ওষুধ সাথে ডাক্তারে যেই বলে         পায়ে ঢেলে দশ শিশি জল...

কবিতা।। সুকন্যা ভট্টাচার্য্য

  পরিণতি  ................. দু-একটি স্বপ্ন একটি মোরগের গলায় ঝুলিয়ে ঘুম থেকে উঠলাম। নীল খয়েরী পালক ঝরে ঝরে পড়ল।  ওড়ার চেষ্টা পৃথিবীর টানের কাছে  তুচ্ছ। সূর্যের লাল চোখের দিকে গলা তুলে কথা বলার সাহস আর মাঝে মাঝে নেচে ওঠার আনন্দ। একসবের পরেও নসাৎ হয়েছে গুরুজনদের আশীর্বাদ। বিদায়ের আগে সূর্য মাঝ গগনে থেকেও অসহায় হত্যালীলার সাক্ষী থেকেছে। ....................................   সুকন্যা ভট্টাচার্য্য কাশী ঘোষ লেন,কলকাতা।

কবিতা ।। ব্রতপালন ।। ভারতী বন্দ্যোপাধ্যায়

ব্রতপালন  ভারতী বন্দ্যোপাধ্যায় এই কথাটা ঠিক বলেছে গোঁসাই তোমার আমার কন্ঠীবদল হলে পৃথিবীর সব ঈর্ষায় গাছের গোড়ায় দু -এক  ফোঁটা বৃষ্টি পড়বে ঝরে, আমিও আমার  তরুণ অঙ্গ মেজে তোমার সঙ্গে গানের মাধুকরী, গাঁ  শহরের সবার ঘরে ঘরে বৌ-ঝিয়েরা মারবে উঁকি -ঝুঁকি, পথে যেতে কৃষ্ণচূড়ার তলে চুড়োর  মধ্যে সাজিয়ে নেবো ফুল আমরা শুধু হাঁটবো মাধুকরী ভালোবাসায় আর হবে না ভুল। ------------------------ Dr bharati Banerjee AC. 71 profullakanan east Kestopur, kol, 700101

দুটি কবিতা ।। আবদুস সালাম

  শূন্যতার গা ঘেঁষে বিশ্বাসের দরজায় বিড়ম্বনা তুলছে মাথা  আটপৌরে জীবন নেমে আসে দ্বিধা দ্বন্দের নিত্যসমাস শূন্যতার ভিতর লেপ্টে  যায় নিষ্ঠুরতার সন্যাসী অভিযান প্রাত্যহিক জীবনে দল বেঁধে অভাবেদের  যাওয়া আসা মন্দ লাগে না  মৃত্যু এখন সহজ লভ্য অহংকার ঘরে ঘরে জ্বলে  দুঃখের উনুন আবর্তনের গা ঘেঁষে  পুড়ে যায় চিতা ভর্তি শ্বাসকষ্ট অগ্নিস্রাব হয় বিশ্বাসী রমণীদের  অপরিণত বোকা কাহিনীর মতো প্রেম  গর্ভবতী হয় আটপৌরে সংসারে নাড়ীর যোগ বলে কিছু হয়না শূন্যতার আগমনে আক্রান্ত হয় ভালোবাসা ধূলোর আস্তরণ জুড়ে  বিচ্ছেদের বিস্তীর্ণ মাঠ অসফল ধূসর স্বপ্নেরা  চৈত্রের ঝড়ে ঠুংরী গায় এভাবেই বিশ্বাসের দরজায় হানা দেয় অপরিচয় আমরা আধুনিক হই প্রেমের রাস্তায় খেলা করে  খোলাম কুচির নিষ্ঠুর আহ্বান    ওরা বাড়ি ফেরে না আর্তনাদের বাতাস ধেয়ে আসছে পাড়ায় রাস্তারা কেঁপে উঠছে থর থর করে বিকেলের মাঠ, আলো কমে এলে ওরা সবুজ ঘাসে রক্তের আলপনা আঁকে অন্ধকার  পাড়ায় নেমে এলে হাসপাতালের বেডে শুয়ে থাকে সন্ত্রাস ধর্মের কাছে প্রশ্ন করি বারবার " ভাত দেওয়ার...

কবিতা ।। অভ্যন্তরীন প্রেম ।। জহির খান

অভ্যন্তরীন প্রেম জহির খান খুব দূরে খুব করে বসে থাকে পোষা কুকুর মাছের কাঁটায় তখন বিড়ালের ঠোঁটে চোট কোলাহলে মেতে পাতিহাঁসের ছানা- পোনা সদর উঠোন জুড়ে হাসে সোনালী রোদেরা ভাব করে হেঁটে যায় কোমল ভেষজ শরীর টেরাচোখ ফেরানোটা বড় দায় হয়ে পড়ছে আর বারান্দায় বসে এক কোকিল বসন্তের ভোর কামভাব ছলাকলায় পিনিক উঠায় জিহ্বায় অথচ উষ্ণ বৌ এর গায়ের গন্ধে মাতোয়ারা দুপুর এই-সব প্রেমে পোয়াতি হয় বিকেলের গান সুসন্ধ্যা লজ্জায় মুখ লুকায় প্রতিবেশী ডেরায় এখন নির্বোধ রাত সুরা পান করে পাহাড়ে উঠে    ========০০০=======     জহির খান  বাংলাদেশ

কবিতা ।। প্রতিধ্বনি ।। অরূপ পান্তি

 প্রতিধ্বনি                          অরূপ পান্তি পর্বতের কোলে চিৎকার করলে ফিরে আসে প্রতিধ্বনি  ।  ফিরে আসে । পাহাড় শোনে না, গুহার ভেতরে চিৎকার করলে গুহা শোনে না । হলঘর কিংবা করিডোরে চিৎকার-- শব্দ ফিরে আসে প্রতিধ্বনি হয়ে ।                 # # বেকার         কর্মহীন          বেকার ক্ষুধার্ত         অন্নহীন           ক্ষুধার্ত নিরাশ্রয়       গৃহহীন            নিরাশ্রয়                    #  # কেবলই প্রতিধ্বনি' আর প্রতিশব্দ ...

কবিতা ।। আলপিন ।। সোমনাথ বেনিয়া

                             গানের ভিতর মন বিভোর দৃষ্টির ব‍্যভিচার খেয়ে নিচ্ছে প্রকৃতির ঠোঁট  অসহায় ডাকনাম পদবির কাছে নতজানু যে চিনছে তার অভিধান হবে হৃদয় স্বপ্নের ভিতর নগর পরিক্রমা বৃন্দাবন ক্রমশ বাতাসার অবতার তবুও প্রতিটি অবাকের পাশে অর্বাচীন মাটি থাকে হঠাৎ করে বিস্ফোরিত উচ্চারণে গতিময় এক লহমায় লিফলেটের বিশেষ দ্রষ্টব্য হতে চায় আদৌ জানে কি পরিক্রমা শেষে সব বেলুন আলপিন মুখ বার করছে গ্রে ম‍্যাটার সরিয়ে ...   ---------------- Somnath Benia 148, Sarada Pally By Lane (Near Sarada Bhavan) P.O. + P.S. - Nimta Dist. - North 24 - Parganas Kolkata - 700 049. Mob. 8697668875 (Call & Whatsapp)

ভ্রমণকাহিনি ।। আনলকপর্বে গরুমারার জঙ্গলে ।। শংকর লাল সরকার

  আনলকপর্বে গরুমারার জঙ্গলে শংকর লাল সরকার ২০২০ সালের মার্চ থেকে প্রায় গোটা বছরটাই ঘরবন্দী থাকতে থাকতে হাঁফিয়ে উঠেছিলাম । ভ্রমণপিয়াসী মন মাঝেমধ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করছিল । ডিসেম্বর মাস থেকে যখন সবকিছু আস্তে আস্তে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছিল তখনই পরিকল্পনা করলাম , এই সুযোগ কাছাকাছি কোথাও ঘুরে আসা যেতে পারে । নিউ নর্মালের যুগে বেশিদূর গেলে বিপদে পড়তে হতে পারে তাই পশ্চিমবঙ্গের মধ্যেই কয়েকদিনের পরিকল্পনা । ঘন জঙ্গল , চা বাগান , নদী আর দূর দিগন্তে নীল পাহাড়ের উদ্ভাস - ডুয়ার্সের সবুজ প্রকৃতি , নাম না জানা অসংখ্য পাখি আর বন্যজন্তুদের সাহচর্য কটা দিন কাটানোর জন্য ফেব্রুয়ারীর শেষে দার্জিলিং মেলে চেপে বসলাম । মালবাজার থেকে মূর্তিনদী পার হয়ে ঘন জঙ্গলের মধ্য দিয়ে চলেছি। মাঝেমাঝে পথের দুপাশে বুক সমান ঢেউ তুলে চা বাগান কখনওবা ঘন জঙ্গল। চালসা পার হয়ে যেতে যেতে একজায়গায় ড্রাইভার বলল ডানদিকে খুনিয়ার জঙ্গল , বাঁদিকে চাপড়ামারি। এসব নামকরন মানুষের , মানুষের করা ভাগাভাগি। বন্যজন্তুরা অতশত বোঝে না , তাই রাস্তা পার হতে গিয়ে কখনওবা ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারায়। ড্রাইভার চঞ্চল , একটা জায়গা দেখিয়ে বলল ,...

দু'টি কবিতা ।। জয়ীতা চ্যাটার্জী

          এ কথাও যথেষ্ট নয় সৃষ্টির অলোক থেকে আজ অন্ধকার নেমে আসে ধীর পায়ে তুমি এসে দাঁড়ালে অকস্মাৎ আমার পাশে কোথাও তুমি নেই তোমার চুলের মতো রাত্রি ঝড়ে পড়ে তোমার গায়ের গন্ধ আমাকে জড়িয়ে জাপটে ধরে তোমার মুখে হঠাৎই বৃষ্টি জ্বলে ওঠে রোমাঞ্চ লাগে আজও আমার উতপ্ত ঠোঁটে তোমার চোখেই এখনও প্রেমের ক্ষমতা আছে তোমার ঠোঁটে এসে দাঁড়িয়েছে কৃপা বাক্য পায়ে পায়ে এসে দাঁড়িয়েছে তোমার কাছে ধীরে ধীরে কথা উঠে যাচ্ছে একাকী দুজনকে রেখে দুজন দুদিকে সিন্ধুর দুপারে এক অঙ্গ কাঁদে দূরের অঙ্গকে ভালোবেসে।।     ওলটপালট ঢেউ আমার হাতের থেকে শাবল খসে যায় তুমুল বৃষ্টিতে তিল তিল করে গড়ে তোলা দূর্গ ধুয়ে যেতে চায় ওই বিশাল পাথুরে অবরোধ আড়াল করে রাখে কতরাত হার্মাদের মতো ক্ষেপা নদী লুকিয়েছে কতো দস্তানা পড়া হাত অনর্গলহীন সজলে জাহাজ চলে ভাসিয়ে নেয় আমায় কোথাও বন্দর আছে কি? অবরণহীন ভাসতে ভাসতে যা আমাকে থামায় সমুদ্রের নাভি থেকে উঠে আসছে শব্দ উঠে আসছে কত কত গান তার জোয়ারে জোয়ারে ধুয়ে যাচ্ছে আমার গার্হস্থ্য সন্ন্যাস আমার নীরবতাই আমার কথা দেরি হয়ে যাচ্ছে আমাকে করে নিতে হবে স্নান।।   ==...

দুটি কবিতা ।। কনকজ্যোতি রায়

 (  ১) ' কম্পাস' দিগভ্রান্ত নাবিকের হঠাত্‍ আবিষ্কার করা কম্পাসের মতো  খুঁজে পেলাম একদিন তোমাকে। সেদিন  বুঝিনি মরচে ধরা কম্পাসটি ছিল অচল । তাই পথ ভুলেছি বারবার । উচ্ছ্বল আশা দুচোখে নিয়ে পাড়ি দিয়েছি উদ্বেলিত পারাবার। প্রাণচঞ্চলতার কল্পনায় নোঙর ফেলেছি যে দ্বীপের তীরে বুঝিনি তা ছিল শুষ্ক নির্জীব।  মেঘাচ্ছন্ন আকাশের দিকে চেয়ে গেয়েছি বসন্তের গান । বিশুদ্ধ বাতাসের কামনায় ছুটেছি যে ডাঙার পানে ,  বুঝিনি তা ছিল ক্ষণস্থায়ী মরীচিকা। অনেক ডুবজল সাঁতরে পাড়ে উঠে বিস্ময়ে দেখি,  ভিজে বালুচরে  পড়ে আছে ভাঙা কম্পাসটির এক তীক্ষ্ম  শলাকা।         ( ২)     " ফ্রেম " মন জুড়ে তারাহীন আকাশ   হৃদয়ে অলীক কল্পনার অনুরনন চোখের পাতায় ভেসে যাওয়া টুকরো টুকরো মেঘ। অনেকদিন বৃষ্টি হয় নি, সিঞ্চনের আশায় পাতাগুলি হলুদ শুষ্ক ধানের শিষে ফলে না মমতার ফসল, ক্ষয়িষ্ণু শিকড় উৎপাটনের অপেক্ষায়, ধুমকেতুর মতো হঠাৎ এসেই মিলিয়ে যায় লাল নীল আর সবুজ স্বপ্নগুলো, ভালবাসার মোড়কে নকল সোনা বাজারদর তারই সবচেয়ে বেশী অলিতে গলিতে হীরের টুকরোর ছড়াছড়ি। প্র...

নিবন্ধ ।। ধর্ষণের সংস্কৃতি ।। শেফালি সর

আধুনিক  প্রযুক্তির এই উন্নত  বিশ্বেও ধর্ষণ  হ'ল একটি  শব্দ। আমাদের  সভ‍্য সমাজে ধর্ষণ  এবং ধর্ষণকারীকে নিয়ে  কিছু  বিশ্বাস  প্রচলিত আছে।কিছু পৌরাণিক  কাহিনীকে বিশ্বাস করলে ধর্ষণ প্রবৃত্তির মধ‍্যে কোনো অস্বাভাবিকতা নেই।কারণ পুরুষের মধ্যে  এই  প্রবৃত্তির বিকাশ ঘটেছে  প্রাকৃতিক  ভাবেই।সেই যে,সভ‍্যতা শুরুর আগ থেকেই। অবাধ‍্য বুনো স্বভাবের মেয়েদের বশে আনতে,তাদের গৃহপালিত  করে নিজেদের  সম্পত্তি হিসাবে  চিহ্নিত করে  রাখতে পুরুষালি  বল প্রয়োগ  করতেই  হ'ত।ধর্ষণ হ'ল সেই প্রয়োগ বিদ‍্যার একটি  স্তম্ভ বলা যেতে পারে। এই পৌরাণিক তত্ত্বের সঙ্গে  কিছু  জনপ্রিয় বিশ্বাসও রয়েছে।যেমন-নারীরা নাকি  আসলে  এই  ধরনের বলপ্রয়োগকারী পুরুষদের প্রকৃত  পুরুষ হিসাবে  মান‍্য করে এবং তাদের  কাছে  নিজেদের  সমর্পন করেই গোপন আনন্দ  অনুভব  করে।তাই তাদের  মুখে বলা 'না' কথাটা  অত‍্যন্ত মূল‍্যহীন। আসলে তা 'হঁ‍‍্যা' বলার ই নামান্তর।যখন থেকে   ...

কবিতা ।। মোয়াল্লেম নাইয়া

বিবর্তণ  মোয়াল্লেম নাইয়া       আমরা যখন ছোট্ট ছিলাম, মা ছিল বুনোফুল স্নেহের পাপড়ি পড়তো ঝ'রে আনন্দে মশগুল ৷ আমরা যখন ছোট্ট ছিলাম, মা ছিল ধানক্ষেত আঁচল দিয়ে রাখত ঢেকে তাড়াতো ভুত-প্রেত ৷ আমরা যখন ছোট্ট ছিলাম, মা ছিল দুধ ভাত ঘন হয়ে পড়তো পাতে সকাল বিকাল রাত ৷ আমরা যখন ছোট্ট ছিলাম,মা ছিল এক পুকুর সবাই সেথায় ডুবসাঁতারে পার করেছি দুপুর৷ আমরা ক্রমে হলাম বড় মা হয়েছে ছোট মা যেন এই সংসারেরই বামন গ্রহ প্লুটো ৷ আজও মায়ের শুকনো চোখে ঝরে অশ্রুবিন্দু হৃদয় তাহার জল টলমল অপার স্নেহের সিন্ধু ৷ মা এখন আর ধানক্ষেত নয় বিছায় না আঁচল পুকুর গেছে ভরাট হয়ে প্রোমোটারি দখল ৷ বিবর্তিত মায়ের এরূপ বড্ড অবহেলা মা যেন এক স্বপ্নপুরী শুধুই ছোট্টবেলা ৷   ------------------০০--------------------       নাম- মোয়াল্লেম নাইয়া গ্রাম+পোষ্ট- ইমামদ্দীপুর থানা-ঢোলাহাট জেলা- দক্ষিণ২৫ পরগণা পিন-৭৪৩৩৯৯ ফোন নং-৯৯৩৩১৯৫৭৫২       

নিবন্ধ ।। চিরসখা হে... ।। অমিতাভ

  চিরসখা হে....   অমিতাভ         একটা খাদের দিকে ঢলে পড়েছি সব্বাই। শুধু একটা টোকার অপেক্ষা, তারপরই তলিয়ে যাব এক অতলান্ত গভীরতায়। হয়তো এতটাই গভীরে তলিয়ে যাব যে হাজার চেষ্টা করেও একচিলতে আলোরও দেখা পাওয়া যাবে না। তবুও একটা টান, একটা গান এখনো তিল তিল করে গড়ে তোলা সভ্যতার মধ্যে আটকে রেখেছে আমাদের। প্রাগৈতিহাসিক যুগের দিকে যদি আমরা চোখ রাখি তাহলে দেখবো মানুষ ভাষা শেখার আগে শিখে গেছিল সুর। সভ্যতার বিবর্তনের সাথে সাথে যখন আমরা অর্থাৎ মানুষেরা নিজেদের বিভিন্ন জনগোষ্ঠীতে ভাগ করে নিয়েছি তখন সেই সুরও ভাগ হয়ে গিয়েছে আপন আপন বৈশিষ্ট্যে। তবুও ভেতরের একটা চোরাস্রোত সমস্ত সুরকেই ছুঁয়ে  ছুঁয়ে বেঁধে ফেলছে একসূত্রে। ভারতীয় সভ্যতাও এক বহুবর্ণের সমাহার কিন্তু ঐ যে চোরাস্রোত যা সমগ্র ভারতবাসীকে একসূত্রে বেঁধে ফেলেছে তা হল "জনগনমন অধিনায়ক"। আহ!কি প্রচন্ড আবেগ ঐ সুরে আর কি প্রচন্ড আবেগ সুরস্রষ্টাকে ঘিরে। সেই সুরস্রষ্টারই আরেকটি সৃষ্টি "আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে। তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে।।" মৃত্যুকে বন্ধু করে নেওয়া এক মহান প্রাণই লিখতে পারেন এমন কথা। প্র...

কবিতা ।। ধারাপাত ।। মাথুর দাস

ধারাপাত মাথুর দাস ধারাপাত ভুলে যাও, সারা রাত জেগে যেমন মেলে না অঙ্ক, কাটাকুটি সার ; দিন কাটে আতঙ্ক আর অশান্তির মেঘে, ভোগবাদে ভোগ দিলে বাদ, শান্তি অপার । ধারাপাত ভুলিয়ে দিয়ে তোমাকে আমাকে গুণের নামতা গোনে অগণন তস্করের দল, গুণী বা গুণিন তারা, বুঝে নেয় অগ্রিম ডাকে কোন্ অঙ্কে কখন শিখর ছোঁবে সম্পদ সকল । বৃথাই হাতে ধরো গণিতের প্রাথমিক পাঠ, সুচারু শোণিত-ফলা ছিন্ন করে মগজের স্নায়ু ; দুঃখকষ্ট যোগ হলে শুধু বিয়োগেরই মাঠ, ভাগশেষে শূণ্যফল পূর্ণ করে অবশিষ্ট আয়ু । **********   মাথুর দাস দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান ফোন/হোয়াট্স্-অ্যাপ : ৯৭৭৫৬৭৯৭৮৩ ***********************************  

বিধিবদ্ধ স্বীকার্য :

লেখার বক্তব্যের দায়িত্ব লেখকের, পত্রিকার নয়। আমরা বহু মতের প্রকাশক মাত্র।

মতামত/লেখা এখানে জমা দিন

Name

Email *

Message *

সাম্প্রতিক বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...

শিক্ষার সেকাল ও একাল ।। অমৃতা সাহা

শিক্ষার সেকাল ও একাল অমৃতা সাহা  শিক্ষক শব্দটির ব্যুৎপত্তি √শিক্ষ+ অক অর্থাৎ যিনি শিক্ষা দান করেন। শিক্ষক শব্দটি সংস্কৃত শিক্ষ ধাতু থেকে উদ্ভুত যার অর্থ বিদ্যা গ্রহণ করা, শেখা বা বিদ্যা দান করা। শিক্ষ ধাতুর সঙ্গে ক প্রত্যয় যোগে উৎপন্ন শিক্ষক যার অর্থ শিক্ষা সম্পর্কিত।          শিক্ষককে বলা হয় মানুষ গড়ার কারিগর। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে প্রায় ছয় মাস বা আট মাস সে সহজাত প্রবৃত্তি অনুযায়ী শিক্ষা লাভ করে থাকে। তারপর থেকে মা বাবাই তাকে জীবনের প্রথম পাঠ দেন। কী কী করতে হয় আর কী কী করতে নেই তাই দিয়েই শিশুর প্রথম শিক্ষা শুরু হয়। অনুকরণই হলো তখন তার একমাত্র শিক্ষার মাধ্যম। তারপর কথা বলতে শেখা, আশেপাশের সামগ্রী চিনে নিয়ে তাদের নাম বলতে শেখা এভাবে ক্রমান্বয়ে শিক্ষা প্রক্রিয়া চলতেই থাকে।         প্রাচীন কালে পঞ্চম বর্ষে উপনয়ন অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শিশুর শিক্ষা জীবন শুরু হতো। গুরুগৃহে বসবাস করে, ব্রহ্মচর্য পালনের মাধ্যমে বাল্য ও কৈশোর কাল অতিবাহিত হতো। পুঁথিগত অধ্যয়ন, শ্রুত্বয়ন এর পাশাপাশি জীবনের অন্যান্য বিষয়েও শিক্ষা গ্রহণ করতে হ...

Five poems ।। Prasenjit Das

  Five poems of Prasenjit Das THE FLAME IS ON Life may not be a green leaf, the dews are tears in grief. Life for many maybe cruel, give me the guts for the duel. The good times passed by me, like a humming bird in destiny. If not in life then maybe after, let life be a pleasant chapter. No, I will never give up,...never, be an example for all, forever... THE OPTIMIST Never be drowned in sorrow, as if there is no tomorrow. Tomorrow is a day uncrowned, tomorrow is a time unbound. Many things are left to be done, the path of glory has already begun. The darkness shows the light, life is nothing, nothing but a fight. You will be a winner, sooner or later, the spirit of good will fight for better. The light of honesty burns bright, even in the darkest dark of the night. A LONELY FATHER'S CALL O lonely man! O lonely man! Where is thy rugged winter coat? Bore the ravages of eighty seasons, that still makes thee soul to float. O lonely man! O lonely man! Where is thy loveth destiny? Fough...

শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান ।। কৃশানু ব্যানার্জী

প্রবন্ধ শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান কৃশানু ব্যানার্জী  মানবসভ্যতার ইতিহাসে শিক্ষার স্থান যে সর্বাপেক্ষা কেন্দ্রীয় ও নির্ণায়ক — এ বিষয়ে দ্বিধার অবকাশ নেই। কারণ শিক্ষা কেবল জ্ঞানের বাহনমাত্র নয় , বরং মানুষের আত্মস্বরূপের এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ , যা সমাজ ও সংস্কৃতির গতিপথকে নির্ধারণ করে। কিন্তু শিক্ষা কেমন ছিল অতীতে এবং কেমন হয়েছে বর্তমানকালে — এই অনুসন্ধান শুধু ঐতিহাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যালোচনার সীমায় আবদ্ধ নয় ; বরং এর ভেতরে নিহিত আছে এক গভীর দার্শনিক তাৎপর্য। "সেকাল" ও "একাল" — এই দুই কালের শিক্ষা পরস্পরকে নিরন্তর প্রশ্ন করে , কখনও বিরোধিতা করে , কখনও বা পরস্পরের ওপর দাঁড়িয়েই নিজের রূপ নির্মাণ করে। অতএব , শিক্ষার সেকাল-একাল তুলনায় আমাদের কেবল তথ্যের বিবরণ নয় , মানবজীবন ও সমাজচিন্তার প্রকৃত ভিত্তি উপলব্ধি করতে হবে। মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় শিক্ষা যে একটি অনিবার্য ও মৌল প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তথাপি 'শিক্ষা' শব্দটির নিতান্ত ভৌত বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাখ্যা একে পূর্ণাঙ্গ উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়। সংস্কৃত ...

শিক্ষক ।। জীবন সরখেল

শিক্ষক  জীবন সরখেল   শিক্ষা চেতনা প্রসারে যাঁরা নিবেদিতপ্রাণ  প্রকৃতি পরিবেশ প্রাণীর   ধারক বাহক ও মান... যাঁদের স্মরণ উপস্থিতিই  কমে মিথ্যা গ্লানি  সেবায় দ্রোহেও নিরপেক্ষ  ঠেলেন সব হয়রানি। কর্ম আচরণ চিন্তন ত্যাগ  সত্য সপ্রেম নিষ্ঠায় গড়েন চিরন্তন সমাজ ভিত নীতি উদারতায়....  নিঃস্বার্থ ভাব ঠিক ভুল গুণেই  অভিজ্ঞতা দীক্ষক  বাবা মা পরিবেশ গুরুই সবার আপন শিক্ষক। __________________       জীবন সরখেল গ্রাম -বাড়াভগলদিঘী, পোস্ট -ভগলদিঘী, থানা-জয়পুর, জেলা-বাঁকুড়া। পিন-৭২২১৫৪  

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

সূচিপত্র  প্রবন্ধ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নবদ্বীপের রাস : মহাপ্রভু চৈতন্যদেব থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ।। বারিদ বরন গুপ্ত  প্রবন্ধ।। কবিতায় সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন ।। রণেশ রায় প্রবন্ধ ।। সুকান্ত ভট্টাচার্য: বিপ্লবী চেতনার কবি ।। বিচিত্র কুমার কবিতা ।। পরিযায়ী বৃষ্টি ।। সন্দীপ ভান্ডারী দুটি কবিতা : চয়ন দত্ত কবিতা ।। সমঝোতা ।। বিশ্বজিৎ বাউনা কবিতা।। ভালোবাসা।। অরুণ কুমার দাঁ কবিতা।। সময়ের গতিপথে ।। কেতকী বসু গ্রন্থ   আলোচনা।। অরবিন্দ পুরকাইত ।।  গ্রন্থ : বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের  "বাংলা সাহিত্যে মনুষ্যেতর প্রাণীকেন্দ্রিক ছোটগল্পের ধারা" ছোটগল্প।। হ্যাপি বার্থডে।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা।। অন্ধকার রাত জাগে।। অঞ্জন বল অনুবাদ কবিতা।। তুমি আসার আগে।। সুস্মিতা পাল দুটি কবিতা ।। রবীন বসু কবিতা ।। নতুন শাসন ।। মানস মণ্ডল কবিতা ।। শীত ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। সাঁঝবাতি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। চুপ কথা হৃদয়ে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য ছড়া ।। ভোর ।। বদ্রীনাথ ছোটগল্প ।। ফিরে পাওয়া ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। রূপ বদলায় ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। এভা...

স্মৃতিকথা ।। ৺বিজয়ার চিঠি ।। ভাস্কর চৌধুরী

উৎসব শেষের শূন্যতা এখন গ্রাস করে আছে আদিগন্ত। হঠাৎ ভেসে আসা ছাতিম ফুলের গন্ধ যেমন মাতাল করে দেয় ঠিক তেমনই মন আচ্ছন্ন হয়ে থাকে এক না ছুঁতে পাওয়া আলোর পিপাসায়। উৎসব শেষের নিভে যাওয়া সন্ধ্যেবেলার আলোয় ম্লান হয়ে আসে জীবনের টুকরো টুকরো খুশির আমেজ।  বিসর্জনের শেষে ছেলেবেলায় গোটা গোটা অক্ষরে হলদে রঙা পোস্টকার্ড আর নীলচে-সবুজ ইনল্যান্ড লেটারে দূরের সব্বাইকে পাঠাতে হতো ৺বিজয়ার চিঠি! বয়ান মোটামুটি ওই একই ― বড়দের শুভ ৺বিজয়ার প্রনাম আর যেহেতু আমরা তখন ছোট তাই আশীর্বাদ জানানোর কেউ থাকতো না। তবুও কুঁচোকাঁচা ছোট ভাইবোনদের মনের আদর কলমের ডগায় উগড়ে দিতুম সে চিঠিতে!  ৺বিজয়ার চিঠি আসলে পুজোর ছুটির শেষে হাতের লেখা করিয়ে নেবার এক অলৌকিক ষড়যন্ত্র! ইচ্ছে নেই তবুও জোর করে ওই হাতের লেখা শুধু নয়, বানান, বাক্যগঠন সব কিছু সুকৌশলে করিয়ে নেওয়ার ফন্দি। এটা বুঝেছি অনেক পরে। আর যখন বুঝতে পেরেছি তখন কিন্তু সেই চিঠি পাঠানোর মানুষগুলো মনের মধ্যে গেঁথে গেছে। তখন যেন সত্যি সত্যি মন বলতো হোক না ওই পোস্টকার্ড বা ইনল্যান্ড লেটারের একচিলতে জমি, আমার খাস দখল তো থাকবে তাতে! জানেন, এখন আর কেউ ৺বিজয়ার চিঠি পাঠায় না! পুজো ...

অসবর্ণ ।। দেবাংশু সরকার

অসবর্ণ দেবাংশু সরকার       ইন্টারভিউ দেওয়ার পর অরূপের মনে হয়েছিল চাকরিটা হয়তো সে পেয়ে যাবে। বেশ ভালোভাবেই সে ইন্টারভিউতে করা প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছিল। সেইসঙ্গে ক্যাশ হ্যান্ডেলের তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাও বলেছিল। অরূপের মনে হয়েছিল ইন্টারভিউ বোর্ডে যারা ছিলেন তাদের হয়তো অরূপের কথাবার্তা বেশ ভালো লেগেছে। বারে বারে তাদের মাথা নাড়া, মুখের হাসি দেখে অরূপের মনে হয়েছিল তারা হয়তো অরূপের প্রতি কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট। বেসরকারি চাকরি হলেও এই অফিসটা সব রকম সরকারি নিয়মকানুন মেনে চলে। প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি, বোনাস সব রকম সুবিধা কর্মচারীরা পায়। চাকরির শেষে পেনশনের ব্যবস্থাও আছে। হয়তো সরকারি চাকরির মত বড় অঙ্কের  পেনশন এই কোম্পানির অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীরা পায় না। কিন্তু পেনশন বাবদ প্রতি মাসে কিছু টাকা তাদের হাতে আসে। মাহিনাও খুব একটা খারাপ নয়। অর্থাৎ সরকারি চাকরির মত অত সুবিধা না থাকলেও, তুলনামূলকভাবে খুব একটা খারাপও নয়। কিন্তু একটাই অসুবিধা তাকে বাড়ি ছেড়ে থাকতে হবে। কারণ এই অফিসটা অরূপের বাড়ি থেকে অনেকটা দূরে। বাড়ি থেকে প্রত্যেক দিন অফিসে যাতায়াত করা সম্ভ...

ডাকবাক্সের আত্মকথা ।। হারান চন্দ্র মিস্ত্রী

ডাকবাক্সের আত্মকথা হারান চন্দ্র মিস্ত্রী পোস্ট অফিসে কিংবা পথের পাশে, আমরা ছিলাম চিঠিগুলোর আশে। সুখ ও দুঃখের কথা থাকত লেখা ভালোবাসার আতর যেত দেখা। মুঠোফোনের দাপট গেছে বেড়ে স্বপ্ন যত সব নিয়েছে কেড়ে। পত্র লিখে পাঠায় না কেউ মোরে ব্রাত্য জীবন কাটাই কেমন করে? ধীরে ধীরে যাচ্ছি উধাও হয়ে ভারাক্রান্ত স্মৃতি আঁকড়ে ধরে। কোন মানুষ কয় না আমায় ধরে - আবার তোকে নেব আপন করে। আমরা এখন বুঝে গেছি সহে প্রয়োজনের বড় কিছু নহে। সমকালের প্রয়োজনে থেকে বিদায় নিতে হবে ভূবন থেকে। ________   হারান চন্দ্র মিস্ত্রী গ্রাম ও পো: - আমতলা, থানা - ক্যানিং, জেলা - দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পিন - ৭৪৩৩৩৭

শিক্ষক ।। রাফেল ইসলাম

শিক্ষক মানে রাফেল ইসলাম   শিক্ষক মানে বুকে টেনে  দুর্দিনে দুঃখ ভোলান,  শিক্ষক মানে আন্তরিকতায় শিক্ষা করেন দান।  শিক্ষক মানে বিদ্যা দিয়ে  আঁধার দূর করে,  শিক্ষক মানে স্নেহের পরশে ছাত্র জীবন ভরে।  শিক্ষক মানে আদর্শের উৎসাহে  মেলে ভবিষ্যতের দিশা,  শিক্ষক মানে দরদ দিয়ে  বাঁচিয়ে রাখে আশা।  শিক্ষক মানে গ্রীষ্মের দিনে  মস্ত বটের ছায়া,  শিক্ষক মানে নিবিড় ভালবাসার  শান্ত ঊষার মায়া।  শিক্ষক মানে জ্ঞানের আলোয়  সমাজ গড়ে তোলে,  শিক্ষক মানে সঠিক পথের  মূল দুয়ার খোলে।।    =============           নাম-রাফেল ইসলাম।  গ্রাম-বাগান বেড়িয়া (বিড়লাপুর)। পোস্ট-চককাশিপুর।  থানা-নোদাখালি।  জেলা-দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা।  পিন নম্বর-৭৪৩৩১৮.

বছরের বাছাই

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন: ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৪তম সংখ্যা ।। ফাল্গুন ১৪৩১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

  এই সংখ্যায় একটি গ্রন্থ আলোচনা ও একটি ধারাবাহিক রচনা ছাড়া সব লেখাই ভাষা দিবস, মাতৃভাষা, ভাষাচেতনা ও ভাষা সমস্যা বিষয়ক রচনা। লেখাগুলি এই সংখ্যাকে অনেকটাই সমৃদ্ধ করেছে। পড়ুন। শেয়ার করুন। মতামত জানান। লেখকগণ নিজের নিজের লেখার লিঙ্ক শেয়ার করুন যতখুশি, যে মাধ্যমে খুশি। কিন্তু স্ক্রিনশট শেয়ার নৈব নৈব চ!  অন্য বিষয়ের লেখাগুলি আগামী সংখ্যার জন্য রইল।  সকলকে ধন্যবাদ, অভিনন্দন। ভালো থাকুন।   --সম্পাদক, নবপ্রভাত। ==  সূ  চি  প  ত্র  == প্রবন্ধ-নিবন্ধ অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি বাঙ্গালীর বাংলা ভাষা দুর্জয় দিবস।। বটু কৃষ্ণ হালদার ভাষা শহীদদের পঁচাত্তর বছর।। অনিন্দ্য পাল একুশে ফেব্রুয়ারি : বাঙালির শ্রেষ্ঠ অশ্রুবিন্দু।। জীবনকুমার সরকার কবিগানের সাহিত্যিক ও সমাজতাত্ত্বিক মূল্য।। বারিদ বরন গুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও সংস্কৃতি।। শ্যামল হুদাতী মায়ের দুধ আর মাতৃভাষা।। প্রদীপ কুমার দে একুশে ফেব্রুয়ারি : কিছু কথা।। বনশ্রী গোপ বাংলায় কথা বাংলায় কাজ।। চন্দন দাশগুপ্ত বিপন্ন মাতৃভাষা ও তার মুক্তির পথ।। মিঠুন মুখার্জী. হে অমর একুশে, তোমায় ভুলিনি, ভুলব না।। মহম্মদ মফিজুল ইসলা...

প্রচ্ছদ।। ৮৩তম সংখ্যা ।। মাঘ ১৪৩১ জানুয়ারি ২০২৫ ।। প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র

  বিঃ দ্রঃ আগামী ফেব্রুয়ারি সংখ্যার জন্য ভাষা দিবসের কথা মাথায় রেখে লেখা পাঠান। email: nabapravatblog@gmail.com  সূচিপত্র ফিচার।। গোপাল ভাঁড়ের অজানা সত্য ।। লোকনাথ পাল প্রবন্ধ ।। মসুয়ার রায় পরিবার এবং বঙ্গসংস্কৃতি ।... প্রবন্ধ ।। সুধীন্দ্রনাথ দত্ত: কাব্যের দার্শনিক ও ন... কবিতায় সেতুবন্ধন (তৃতীয় অংশ) শিল্পবিপ্লবোত্তর কাল... রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর বিদ্রোহী প্রেমের কবিতা: ... কবিতা ।। এই মন ভালো নেই দিনে ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। জোছনা আলোর স্বপ্ন ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য কবিতা ।। নিঃস্ব হবো ।। লালন চাঁদ কবিতা ।। ভালোলাগা  ।। আজিজ উন নেসা  গল্প ।। স্বীকারোক্তি ।। চন্দন দাশগুপ্ত কবিতা ।। শীতের দিন ।। প্রশান্ত কুমার মন্ডল কবিতা ।। শীতকাল ।। অঙ্কিতা পাল নাসির ওয়াদেনের দুটি কবিতা ভূতের লেখা ছড়া ।। বদরুল বোরহান কবিতা ।। ব্যস্ত ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছোটগল্প ।। লম্বুর স্বপ্নপূরণ ।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা ।। সৎকার ।। সুমিত মোদক কবিতা।। শীত বৈচিত্র্য ।। সুমিতা চৌধুরী পুস্তক-আলোচনা ।। নিউটনের আপেল ও প্রেমিকা ।। অরবিন্... গল্প।। শান্তির পথে …...।। বন্দনা সেনগুপ্ত কবিতা ।। মা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮১তম সংখ্যা ।। অগ্রহায়ণ ১৪৩১ নভেম্বর ২০২৪

সূচিপত্র  প্রবন্ধ।। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গবেষণা ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নবদ্বীপের রাস : মহাপ্রভু চৈতন্যদেব থেকে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ।। বারিদ বরন গুপ্ত  প্রবন্ধ।। কবিতায় সাংস্কৃতিক সেতুবন্ধন ।। রণেশ রায় প্রবন্ধ ।। সুকান্ত ভট্টাচার্য: বিপ্লবী চেতনার কবি ।। বিচিত্র কুমার কবিতা ।। পরিযায়ী বৃষ্টি ।। সন্দীপ ভান্ডারী দুটি কবিতা : চয়ন দত্ত কবিতা ।। সমঝোতা ।। বিশ্বজিৎ বাউনা কবিতা।। ভালোবাসা।। অরুণ কুমার দাঁ কবিতা।। সময়ের গতিপথে ।। কেতকী বসু গ্রন্থ   আলোচনা।। অরবিন্দ পুরকাইত ।।  গ্রন্থ : বিক্রমজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের  "বাংলা সাহিত্যে মনুষ্যেতর প্রাণীকেন্দ্রিক ছোটগল্পের ধারা" ছোটগল্প।। হ্যাপি বার্থডে।। পরেশ চন্দ্র মাহাত কবিতা।। অন্ধকার রাত জাগে।। অঞ্জন বল অনুবাদ কবিতা।। তুমি আসার আগে।। সুস্মিতা পাল দুটি কবিতা ।। রবীন বসু কবিতা ।। নতুন শাসন ।। মানস মণ্ডল কবিতা ।। শীত ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। সাঁঝবাতি ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। চুপ কথা হৃদয়ে ।। তুষার ভট্টাচাৰ্য ছড়া ।। ভোর ।। বদ্রীনাথ ছোটগল্প ।। ফিরে পাওয়া ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। রূপ বদলায় ।। সুমিত মোদক কবিতা ।। এভা...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮৭তম সংখ্যা ।। জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ মে ২০২৫

  প্রচ্ছদ চিত্র: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সূচিপত্র রবীন্দ্রনাথ এবং কয়েকজন নারী ।। অনিন্দ্য পাল পরাবাস্তববাদ ও বাংলায় জীবনানন্দের কাব্যচর্চা ।। রণেশ রায় প্রতীক্ষা ।। চন্দন দাশগুপ্ত আশ্রয় ।। সায়নী সাহা বয়স্ক শিক্ষাকেন্দ্র ।। দেবাংশু সরকার প্রণামের প্রভু ।। সুপ্রভাত মেট্যা দুর্ভাগ্যের সম্মুখ সমরে ।। সমীর কুমার দত্ত আচমকা শরৎ ।। অর্ণব সামন্ত প্রতিধ্বনি ✍️ সুবীর কুমার ঘোষ জীবন যেখানে যেমন ।। আরজু মুন জারিন বছর সীমান্তে হিসেব নিকেশ ।। রানা জামান চারটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর আমরা আছি ।। লালন চাঁদ চাওয়া ।। মাথুর দাস কাগজ ফুলে ।। সফিউল মল্লিক সময়ের স্রোত ।। দুর্গাদাস মিদ্যা তুমি মানুষ ।। বদরুল বোরহান দিঘার সমুদ্র ।। মাখনলাল প্রধান পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত সংযম ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত  চেনা প্রতিবেশী (প্রথম পর্ব) ।। দীপক পাল খেলার মাঠ ।। তূয়া নূর বন্ধু শ্যামলকান্তি ।। শংকর ব্রহ্ম তুমি তোমার মতো থাকলে ।। সত্যেন্দ্রনাথ বেরা গ্রীষ্মে খুবই হিংস্র রবি ।। জগবন্ধু হালদার স্বপ্ন দর্শন ✍️ পার্থ প্রতিম দাস মৌন মুখরতা ।। মুসা মন্ডল রুদ্র বৈশাখ ।। দীনেশ সরকার চিহ্নিত পদযুগ পদাঘাত ।। দেবাশীষ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯০তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩২ আগস্ট ২০২৫

সূচিপত্র ------------- স্বদেশ-স্বাধীনতা বিষয়ক লেখা  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার কবিতা ।। অনিন্দ্য পাল স্বাধীনতা আন্দোলনে রাসবিহারী বসু অবদান ।। শ্যামল হুদাতী উড়ান কথা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্বপ্নের ভারত ।। সৌমিত্র মজুমদার আজ আর কদর নেই ।। সতুচট্টোরাম স্বাধীনতার কবিতাগুচ্ছ ।। অভিজিৎ হালদার শহিদ ব্রত ও অন্য দুটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর স্বাধীন হবো কবে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত দুটি কবিতা ।। তুষার স্বাধীনতা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ স্বাধীনতা মানে ।। পাভেল আমান বাংলা ভাষা : বাঙালি ।। অশোক দাশ বড়দি অপরূপা দেবীর জবানীতে ক্ষুদিরাম বসু ।। সমীর কুমার দত্ত স্বাধীনতা ।। কার্ত্তিক মণ্ডল আমার দেশ ।। বিপ্লব নসিপুরী ভারতমাতার বীর সন্তান ।। আশীষ কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার আলো ।। অঞ্জনা মজুমদার আমরা স্বাধীন ।। রাফেল ইসলাম নতুন ভারত । কল্যাণ কুমার শাণ্ডিল্য রণ স্বাধীনতার রঙ ।। সফিউল মল্লিক স্বদেশ ।। জীবন সরখেল ভারতবর্ষ ।। নিশান বর্মা শতবর্ষে সুকান্ত ভট্টাচার্য স্মরণে লেখা সুকান্ত ভট্টাচার...

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস

First row (left to right): Prafulla Nalini Brahma, Shanti Ghosh, Suniti Chowdhuri and Bina Das . Second row (left to right): Kamala Dasgupta, Suhasini Ganguly, Pritilata Waddedar and Sarojini Naidu.   Third row (left to right): Abha Maity, Sucheta Kripalini, Lila Nag and Abha Gandhi. Fourth row (left to right): Indusudha Ghosh, Kalpana Dutta, Aruna Asaf Ali and Matangini Hazra. Fifth row (left to right): Basanti Devi, Renuka Ray, Phulorenu Guha and Manikuntala Sen. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে  চেনা-অচেনা বরণীয় নারী হিমাদ্রি  শেখর দাস ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষের সাথে মহিলারাও কখনও অন্তরালে থেকে কখনও প্রকাশ্যে এসে লড়াই করেছেন।  মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে লাঠিখেলা, পিস্তল চালানো, রাত্রে ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে বেরানো, পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা, জেলে যাওয়া ছিল অত্যন্ত দুঃসাহসিক কাজ। তবু তৎকালীন সমজে কোনঠাসা হয়ে থাকা মেয়েরাও  নিজ নিজ জায়গায় থেকে দেশের সেবা করেছেন তা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতই দুরুহ কাজ। তাঁদের মধ্যে দু একজন রাজ পরিবারের হলেও বেশির ভাগই ছিল সাধারণ ঘরের অতি স...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৮২তম সংখ্যা ।। পৌষ ১৪৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

  সূচিপত্র অন্নদাশঙ্কর রায়ের সাহিত্য: সমাজের আয়না ।। বিচিত্র কুমার প্রবন্ধ ।। বই হাতিয়ার ।। শ্যামল হুদাতী কবিতায় সংস্কৃতায়ন (দ্বিতীয় ভাগ ) ।। রণেশ রায় পুস্তক-আলোচনা ।। অরবিন্দ পুরকাইত কবিতা ।। লেগে থাকা রোদ্দুরের ঘ্রাণের মতো ।। জয়শ্রী ব্যানার্জি কবিতা ।। ভুল ।। সুপ্রভাত মেট্যা কবিতা ।। উন্মেষ ।। বিশ্বজিৎ সেনগুপ্ত কবিতা ।। গার্হস্থ্য ।। বিবেকানন্দ নস্কর একগুচ্ছ বিজয়ের কবিতা ।। বিচিত্র কুমার গল্প ।। পোষ্য ভূত ।। সমীর কুমার দত্ত কবিতা ।। আশপাশ ।। প্রতীক মিত্র কবিতা ।। মেঘ ।। তীর্থঙ্কর সুমিত অণুগল্প ।। বংশীবদনের সুখদুঃখ ।। দীনেশ সরকার কবিতা ।। গভীর রাত ।। সুনন্দ মন্ডল তিনটি কবিতা ।। সুশান্ত সেন ভালোবাসার বাসা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত অণুগল্প ।। শিক্ষকের সম্মান ।। মিঠুন মুখার্জী কবিতা।। প্রশ্ন ।। জীবন সরখেল কবিতা ।।ক্ষরিত সে পথ ।। রহিত ঘোষাল কবিতা ।। রক্ত দিয়ে কেনা ।। মুহাম্মদ মুকুল মিয়া কবিতা ।। কংক্রিট ।। আলাপন রায় চৌধুরী ছড়া ।। শীত নেমেছে ।। রঞ্জন কুমার মণ্ডল কবিতা ।। কিছু শব্দ ।। সমীর কুমার বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতা ।। শীতের নগ্নতা ।। রানা জামান কবিতা ।। পথ চলা ।। পাভেল আমান বেদ পু...

সূচিপত্র ।। ৮৯তম সংখ্যা ।। শ্রাবণ ১৪৩২ জুলাই ২০২৫

সূচিপত্র   প্রবন্ধ ।। বাংলা যাত্রা ও নাট‍্যশিল্পে অবক্ষয় ।। মাখনলাল প্রধান প্রবন্ধ ।। শ্রমিকের অধিকার ।। চন্দন দাশগুপ্ত প্রবন্ধ ।। ভিনগ্রহীদের সন্ধানে ।। শ্যামল হুদাতী প্রবন্ধ ।। নারীমর্যাদা ও অধিকার ।। হিমাদ্রি শেখর দাস কবিতা ।। মশালের রং তুলি ।। তূণীর আচার্য কবিতা ।। জললিপি ।। রূপক চট্টোপাধ্যায় গুচ্ছকবিতা || শিশির আজম নিবন্ধ ।। পূনর্জন্ম ।। শংকর ব্রহ্ম মুক্তভাবনা ।। কোলাহল তো বারণ হলো ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত গল্প ।। গানের হাড় ।। শুভজিৎ দত্তগুপ্ত গল্প ।। শিকড়ের খোঁজে ।। সমীর কুমার দত্ত সুপ্রভাত মেট্যার পাঁচটি কবিতা গ্রন্থ-আলোচনা ।। আবদুস সালামের কাব্যগ্রন্থ 'অলীক রঙের বিশ্বাস'।। তৈমুর খান অণুগল্প ।। হরিবোল বুড়ো ।। সুমিত মোদক রম্যরচনা ।। গোয়েন্দা গোলাপচন্দ আর প্রেমের ভুল ঠিকানা ।। রাজদীপ মজুমদার দুটি গল্প ।। মুহাম্মদ ফজলুল হক দুটি কবিতা ।। তীর্থঙ্কর সুমিত কবিতা ।। মেঘমুক্তি ।। বন্দনা পাত্র কবিতা ।। ব্যবচ্ছিন্ন শরীর ।। কৌশিক চক্রবর্ত্তী কবিতা ।। শমনচিহ্ন ।। দীপঙ্কর সরকার কবিতা ।। ভালোবাসার দাগ ।। জয়শ্রী ব্যানার্জী কবিতা ।। ফণীমনসা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ছড়া ।। আজও যদি ।। বদ্রীন...

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ওপর গদ্য || শিশির আজম

'ছাড়পত্র'ই আজ আমাদের ছাড়পত্র (তারুণ্যের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের শততম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য) শিশির আজম ~~~~~~~~~~~~~~~~~~ সুকান্ত জন্মেছিলেন অগ্নিগর্ভ এক সময়ে। যখন মাতৃভূমি পরাধীন। পার্টি, মার্কসবাদ, সাহিত্য — কোন কিছুই তার কাছে আলাদা ছিল না। কবিতা একটি আর্ট ফর্ম। হ্যাঁ, সত্যি। এটা আরও সত্যি হয় যদি তা মানুষকে তাড়িত করে, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে, মানুষকে ভালোবাসায় প্ররোচণা দেয়। এই পথটাই বেছে নিয়েছিলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। এর ছাপ-তাপ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ছাড়পত্রে'র পাতায় পাতায় পাওয়া যায়। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। মনে রাখা দরকার, এর পূর্বে ১৯৪০-এ প্রকাশিত হয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'পদাতিক'। আর তারও পূর্বে ১৯৩৭-এ আমরা পেলাম দিনেশ দাসের 'কাস্তে'। নিশ্চয় এসবের উত্তাপ সুকান্তের চেতনায় ছাপ ফেলেছিল। কবিতা কখনো কখনো শ্লোগান হয়ে উঠতে পারে। হোক। এই শক্তি কবিরই আছে। নজরুলকে কি আমরা অগ্রাহ্য করতে পারবো? সুভাষ মুখোপাধ্যায় বা শামসুর রাহমানকে? পিকাসোর 'গুয়ের্নিকা' অথবা জয়নুলের 'দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা' কি 'আর্ট' নয়? হ্যা আপনি প্রশ্ন করতেই পা...

মাসের বাছাই

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯১তম সংখ্যা ।। আশ্বিন ১৪৩২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সম্পাদকীয় দপ্তর থেকে এই সংখ্যায়  'শিক্ষা ও শিক্ষক' বিষয়ক বেশ কিছু লেখার পাশাপাশি রয়েছে বিচিত্র বিষয়ের আরও কিছু লেখা। সব মিলিয়ে সংখ্যাটি আপনাদের সমৃদ্ধ করবে, আপ্লুত করবে — এ বিষয়ে আমরা আশাবাদী। আপনাদের মতামত অবশ্যই জানাবেন। আমরা প্রতীক্ষিত।            আগামী অক্টোবর ২০২৫ সংখ্যা 'উৎসব সংখ্যা' হিসাবে প্রকাশিত হবে। ওয়েব সংখ্যার পাশাপাশি নির্বাচিত লেখাগুলি নিয়ে একটি pdf এবং তার মুদ্রিত সংস্করণও প্রকাশিত হবে। তাই অপ্রকাশিত ভালো লেখা পাঠান। বিশেষ কোনও বিষয় নেই। প্রবন্ধ-নিবন্ধ-ফিচার ২০০০ শব্দ, গল্প ১২০০ শব্দ, অণুগল্প ৫০০ শব্দ, কবিতা-ছড়া ২৪ লাইনের মধ্যে হলে ভালো। ইমেলঃ nabapravatblog@gmail.com           বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তি আসবে। সামাজিক মাধ্যমে আমদের সঙ্গে যুক্ত থাকুন। সময় মতো সব সংবাদ পেয়ে যাবেন।  শারদ উৎসবের দিনগুলি সকলের আনন্দে কাটুক এই কামনা করি। —নিরাশাহরণ নস্কর সম্পাদক: নবপ্রভাত মোঃ ৯৪৩৩৩৯৩৫৫৬ Whatsapp Group:  https://chat.whatsapp.com/ AIpj98JKbloFSpeqMcpr6j Facebook Page:  https://www.facebook.com/ share...

শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান ।। কৃশানু ব্যানার্জী

প্রবন্ধ শিক্ষার সেকাল-একাল : এক দার্শনিক অনুসন্ধান কৃশানু ব্যানার্জী  মানবসভ্যতার ইতিহাসে শিক্ষার স্থান যে সর্বাপেক্ষা কেন্দ্রীয় ও নির্ণায়ক — এ বিষয়ে দ্বিধার অবকাশ নেই। কারণ শিক্ষা কেবল জ্ঞানের বাহনমাত্র নয় , বরং মানুষের আত্মস্বরূপের এক অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ , যা সমাজ ও সংস্কৃতির গতিপথকে নির্ধারণ করে। কিন্তু শিক্ষা কেমন ছিল অতীতে এবং কেমন হয়েছে বর্তমানকালে — এই অনুসন্ধান শুধু ঐতিহাসিক বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যালোচনার সীমায় আবদ্ধ নয় ; বরং এর ভেতরে নিহিত আছে এক গভীর দার্শনিক তাৎপর্য। "সেকাল" ও "একাল" — এই দুই কালের শিক্ষা পরস্পরকে নিরন্তর প্রশ্ন করে , কখনও বিরোধিতা করে , কখনও বা পরস্পরের ওপর দাঁড়িয়েই নিজের রূপ নির্মাণ করে। অতএব , শিক্ষার সেকাল-একাল তুলনায় আমাদের কেবল তথ্যের বিবরণ নয় , মানবজীবন ও সমাজচিন্তার প্রকৃত ভিত্তি উপলব্ধি করতে হবে। মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রায় শিক্ষা যে একটি অনিবার্য ও মৌল প্রয়োজনে পরিণত হয়েছে, সে বিষয়ে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। তথাপি 'শিক্ষা' শব্দটির নিতান্ত ভৌত বা প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাখ্যা একে পূর্ণাঙ্গ উপলব্ধি করতে সক্ষম নয়। সংস্কৃত ...

প্রচ্ছদ ও সূচিপত্র ।। ৯০তম সংখ্যা ।। ভাদ্র ১৪৩২ আগস্ট ২০২৫

সূচিপত্র ------------- স্বদেশ-স্বাধীনতা বিষয়ক লেখা  ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার কবিতা ।। অনিন্দ্য পাল স্বাধীনতা আন্দোলনে রাসবিহারী বসু অবদান ।। শ্যামল হুদাতী উড়ান কথা ।। সুদীপ কুমার চক্রবর্তী স্বপ্নের ভারত ।। সৌমিত্র মজুমদার আজ আর কদর নেই ।। সতুচট্টোরাম স্বাধীনতার কবিতাগুচ্ছ ।। অভিজিৎ হালদার শহিদ ব্রত ও অন্য দুটি কবিতা ।। বিবেকানন্দ নস্কর স্বাধীন হবো কবে ।। তীর্থঙ্কর সুমিত দুটি কবিতা ।। তুষার স্বাধীনতা ।। অঞ্জনা গোড়িয়া সাউ স্বাধীনতা মানে ।। পাভেল আমান বাংলা ভাষা : বাঙালি ।। অশোক দাশ বড়দি অপরূপা দেবীর জবানীতে ক্ষুদিরাম বসু ।। সমীর কুমার দত্ত স্বাধীনতা ।। কার্ত্তিক মণ্ডল আমার দেশ ।। বিপ্লব নসিপুরী ভারতমাতার বীর সন্তান ।। আশীষ কুমার চক্রবর্তী স্বাধীনতার আলো ।। অঞ্জনা মজুমদার আমরা স্বাধীন ।। রাফেল ইসলাম নতুন ভারত । কল্যাণ কুমার শাণ্ডিল্য রণ স্বাধীনতার রঙ ।। সফিউল মল্লিক স্বদেশ ।। জীবন সরখেল ভারতবর্ষ ।। নিশান বর্মা শতবর্ষে সুকান্ত ভট্টাচার্য স্মরণে লেখা সুকান্ত ভট্টাচার...

ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে চেনা-অচেনা বরণীয় নারী ।। হিমাদ্রি শেখর দাস

First row (left to right): Prafulla Nalini Brahma, Shanti Ghosh, Suniti Chowdhuri and Bina Das . Second row (left to right): Kamala Dasgupta, Suhasini Ganguly, Pritilata Waddedar and Sarojini Naidu.   Third row (left to right): Abha Maity, Sucheta Kripalini, Lila Nag and Abha Gandhi. Fourth row (left to right): Indusudha Ghosh, Kalpana Dutta, Aruna Asaf Ali and Matangini Hazra. Fifth row (left to right): Basanti Devi, Renuka Ray, Phulorenu Guha and Manikuntala Sen. ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে  চেনা-অচেনা বরণীয় নারী হিমাদ্রি  শেখর দাস ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে পুরুষের সাথে মহিলারাও কখনও অন্তরালে থেকে কখনও প্রকাশ্যে এসে লড়াই করেছেন।  মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে লাঠিখেলা, পিস্তল চালানো, রাত্রে ছেলেদের সঙ্গে ঘুরে বেরানো, পুলিশের সঙ্গে লুকোচুরি খেলা, জেলে যাওয়া ছিল অত্যন্ত দুঃসাহসিক কাজ। তবু তৎকালীন সমজে কোনঠাসা হয়ে থাকা মেয়েরাও  নিজ নিজ জায়গায় থেকে দেশের সেবা করেছেন তা অসম্ভবকে সম্ভব করার মতই দুরুহ কাজ। তাঁদের মধ্যে দু একজন রাজ পরিবারের হলেও বেশির ভাগই ছিল সাধারণ ঘরের অতি স...

বাংলা ভাষা সাহিত্যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার ।। শুভ জিত দত্ত

বাংলা ভাষা-সাহিত্যে জয়গোপাল তর্কালঙ্কার শুভ জিত দত্ত   বাংলা ভাষাসাহিত্যে পরোক্ষভাবে যাঁর অবদান অতুলনীয়, সেই প্রজ্ঞাবান পণ্ডিত জয়গোপাল তর্কালঙ্কার। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮২৪ সালে কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে জয়গোপাল সেখানে সাহিত্যে কাব্যের অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত হন এবং সুদীর্ঘ বাইশ বছর অধ্যাপনা করেন। সেখানে তাঁর ছাত্রদের মধ্যে পরবর্তীকালে যাঁরা বিখ্যাত হন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর,মদনমোহন তর্কালঙ্কার। জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের জন্ম রেলপথের শিবনিবাস স্টেশন থেকে আট ক্রোশ পূর্বে, নদীয়া বর্তমানে , বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলাতে বজরাপুর গ্রামে এক প্রাচীন বারেন্দ্র বংশের আবাসস্থল ছিল। এই বংশ শুদ্ধাচার ও সিদ্ধশ্রোত্রীয় ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ ছিল এবং পরবর্তী সময়ে বাসস্থান, নামকরণ ও কর্মসূত্রে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটলেও তাদের গৌরবময় পরিচয় অক্ষুণ্ণ থেকেছে। এই বংশে বহু দেশপ্রসিদ্ধ মহামহোপাধ্যায় ও পণ্ডিত জন্মগ্রহণ করেছেন, যাঁদের কীর্তি বাংলার জ্ঞান-সাধনার আঙিনাকে সমৃদ্ধ করেছে। তাঁদের মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য নাটোর মহারাজের দ্বার পণ্ডিত কেবলরাম তর্কপঞ্চানন এবং তাঁর...

স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি ।। প্রণব কুমার চক্রবর্তী

রানী গাইডিনলিউ স্বাধীনতা সংগ্রামের কিছু অচর্চিত কাহিনি  প্রণব কুমার চক্রবর্তী           ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম শুধু কিছু পরিচিত মুখ আর ঘটনার সমষ্টি নয় । এর গভীরে লুকিয়ে আছে অজস্র গল্প, অগণিত মানুষের আত্মত্যাগ, এবং ছোট বড় অসংখ্য বিদ্রোহের কাহিনী । সংক্ষেপে এই বিশাল সংগ্রামকে তুলে ধরা কঠিন । তবে, চেষ্টা করে কিছু দিক নিয়ে আজ আলোচনা করা যাক ।           আমরা আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস এবং ব্যক্তিত্ব বলতে সাধারণত মঙ্গল পান্ডে, মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মতো ব্যক্তিদের কথা এবং তাদের লড়াইয়ের কথা বলে থাকি । কিন্তু, এই সংগ্রামের পটভূমি রচিত হয়েছিল আরো বহু বহু আগে - যেখানে স্থানীয় কৃষক উপজাতি এবং সাধারণ মানুষের বিদ্রোহ ছিল এর প্রথম বীজ । ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহ আন্দোলনকে প্রায়সই আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামের প্রথম লড়াই হিসাবে বলা হয়ে থাকে । তবে এর আগেও আমাদের দেশে  ফরাসি এবং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিরোধ আন্দোলন গড়ে উঠেছিল । সাঁওতাল বিদ্রোহ (১৮৫৫ - ৫৬ সাল),  সন্ন্যাসী বিদ্রোহ (১৭৭০ - ১৮...

সুকান্ত ভট্টাচার্যের ওপর গদ্য || শিশির আজম

'ছাড়পত্র'ই আজ আমাদের ছাড়পত্র (তারুণ্যের কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের শততম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য) শিশির আজম ~~~~~~~~~~~~~~~~~~ সুকান্ত জন্মেছিলেন অগ্নিগর্ভ এক সময়ে। যখন মাতৃভূমি পরাধীন। পার্টি, মার্কসবাদ, সাহিত্য — কোন কিছুই তার কাছে আলাদা ছিল না। কবিতা একটি আর্ট ফর্ম। হ্যাঁ, সত্যি। এটা আরও সত্যি হয় যদি তা মানুষকে তাড়িত করে, মানুষকে উদ্বুদ্ধ করে, মানুষকে ভালোবাসায় প্ররোচণা দেয়। এই পথটাই বেছে নিয়েছিলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। এর ছাপ-তাপ তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ছাড়পত্রে'র পাতায় পাতায় পাওয়া যায়। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ সালে। মনে রাখা দরকার, এর পূর্বে ১৯৪০-এ প্রকাশিত হয়েছে সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের 'পদাতিক'। আর তারও পূর্বে ১৯৩৭-এ আমরা পেলাম দিনেশ দাসের 'কাস্তে'। নিশ্চয় এসবের উত্তাপ সুকান্তের চেতনায় ছাপ ফেলেছিল। কবিতা কখনো কখনো শ্লোগান হয়ে উঠতে পারে। হোক। এই শক্তি কবিরই আছে। নজরুলকে কি আমরা অগ্রাহ্য করতে পারবো? সুভাষ মুখোপাধ্যায় বা শামসুর রাহমানকে? পিকাসোর 'গুয়ের্নিকা' অথবা জয়নুলের 'দুর্ভিক্ষের চিত্রমালা' কি 'আর্ট' নয়? হ্যা আপনি প্রশ্ন করতেই পা...

লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি : মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা ২০২৫

   মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  লেখা-আহ্বান-বিজ্ঞপ্তি মুদ্রিত  নবপ্রভাত  বইমেলা ২০২৫ সংখ্যার জন্য  প্রবন্ধ-নিবন্ধ, মুক্তগদ্য, রম্যরচনা, ছোটগল্প, অণুগল্প, কবিতা ও ছড়া পাঠান।  যে-কোন বিষয়েই লেখা যাবে।  শব্দ বা লাইন সংখ্যার কোন বাঁধন  নেই। তবে ছোট লেখা পাঠানো ভালো (যেমন, কবিতা ১২-১৪ লাইনের মধ্যে, অণুগল্প কমবেশি ৩০০/৩৫০শব্দে)। তাতে অনেককেই সুযোগ দেওয়া যায়। সম্পূর্ণ অপ্রকাশিত লেখা পাঠাতে হবে। মনোনয়নের সুবিধার্থে একাধিক লেখা পাঠানো ভালো। তবে একই মেলেই দেবেন। একজন ব্যক্তি একান্ত প্রয়োজন ছাড়া একাধিক মেল করবেন না।  লেখা  মেলবডিতে টাইপ বা পেস্ট করে পাঠাবেন। word ফাইলে পাঠানো যেতে পারে। লেখার সঙ্গে দেবেন  নিজের নাম, ঠিকানা এবং ফোন ও whatsapp নম্বর। (ছবি দেওয়ার দরকার নেই।) ১) মেলের সাবজেক্ট লাইনে লিখবেন 'মুদ্রিত নবপ্রভাত বইমেলা সংখ্যা ২০২৫-এর জন্য'।  ২) বানানের দিকে বিশেষ নজর দেবেন। ৩) যতিচিহ্নের আগে স্পেস না দিয়ে পরে দেবেন। ৪) বিশেষ কোন চিহ্ন (যেমন @ # *) ব্যবহার করবেন না। ৫) লেখার নীচে একটি ঘোষণা দিন: ...

স্মৃতির আলোয় শিলিগুড়ি স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট ।। চন্দন দাশগুপ্ত

স্মৃতির আলোয় শিলিগুড়ি স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট    চন্দন দাশগুপ্ত            সালটা ছিল ২০০৫। বদলীর অর্ডারটা পেতেই মন ভাল হয়ে গেল। গত তিনবছর আমি জলপাইগুড়ি জেলার শ্রমদপ্তরের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলাম। এবার আমাকে বদলী করা হয়েছে শিলিগুড়ির স্টেট লেবার ইন্সটিটিউটের ডেপুটি ডিরেক্টরের পদে। আমার বাড়িও শিলিগুড়িতে। সুতরাং আরো ভাল করে কাজ করা যাবে।         এই স্টেট লেবার ইন্সটিটিউট ( সংক্ষেপে এস.এল.আই ) ১৯৫৪ সালে কলকাতায় কাঁকুরগাছিতে স্থাপিত হয়। ১৯৯৫ সালে এর একটি শাখা খোলা হয় শিলিগুড়িতে। প্রথমে কলেজ পাড়ার ভাড়া বাড়িতে থাকলেও ১৯৯৮ সালে এটি চলে আসে শিলিগুড়ির উপকন্ঠে দাগাপুর চা বাগানের পাশে, পশ্চিমবঙ্গ শ্রমিক কল্যাণ পর্ষদের গাছপালা ঘেরা অনবদ্য প্রাকৃতিক পরিবেশে অবস্থিত নিজস্ব বাড়িতে। এটি মূলতঃ একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে বছরের বিভিন্ন সময়ে শ্রম দপ্তরের আধিকারিক, পরিদর্শক এবং অন্যান্য কর্মীদের বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তাছাড়া এখানে অত্যন্ত সুলভে হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড লেবার ওয়েলফেয়ারের একটি এক বছরের পোস্ট...

শব্দ ।। সনৎকুমার নস্কর

শব্দ সনৎকুমার নস্কর  কিছু কিছু শব্দ থাকে সুইচের মতো।   হাত দিলেই দপ্ করে জ্বলে ওঠে ব্যঞ্জনার আলো।  তখন দেখে নিই অন্তর-বাহির                  গহন আঁধারে ঢাকা পথ   শব্দ সে পথের সঙ্গী হয়৷     উপনিষদের কবি শব্দকে বলেন 'শব্দব্রহ্ম',  যখন সে দিগন্তবিস্তারী ---                    কথাটার মানে খুঁজে পাই সেসময়   গর্ভের গভীরে উচ্চারিত ধ্বনি জাগিয়ে তোলে                            আমূল  আর্তনাদ৷   শব্দেই কি শব্দের শেষ?   তারও কি নেই আত্মার মতো                       জীবনের অন্তহীন পথ?   এক হৃদয় থেকে আর এক হৃদয়ে                     সে তো করে ক্লান্তিহীন পরিক্রমা  আমাদের বাসনা-বিশ্বে সে তোলে ঝড়  আবেগমায়া দেয় ছড়িয়ে বাক্ স্পন্দের পর  অবশ্য...