কালোচিত্র সৌর শাইন বৃদ্ধার উদাসীন দৃষ্টিতে মৃতাত্মাদের আনাগোনা, কতশত শেষ দাফনের স্মৃতি। নিশ্বাসে আগুনের হলকা এসে পুড়িয়ে দেয় সব গুন গুন সঙ্গীতকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে। রেললাইনের বস্তির অন্যসব ঘরের মতো এখানেও নিস্তব্ধতা ছোবল দিয়েছে, হাহাকারের যাঁতাকলে গলা টিপে ধরে সময়ের অভিশাপ। সুঁচের পেট ফুঁড়ে লাল সুঁতো বেরিয়েছে, এক একটা ফোঁড়ে ছোট্ট প্লাস্টিকের ব্যাগটা যতটা সম্ভব মেরামত চলে সেলাই চিন্তায়। ভিক্ষের চালগুলো এখানেই জমাতে অভ্যস্ত বৃদ্ধা। মৃত ক্ষুধারা পেটের ভেতর হঠাৎ হঠাৎ চিৎকারে নাচে। শহরের মেইন রোডে উঠা যায় না, মুখোশ পরা পুলিশ বাঘের মতো তেড়ে আসে। বৃদ্ধার মগজ এখনো বুঝতে পারে না করোনা শব্দের পেছনে কী এমন দৈত্য দানব লুকিয়ে আছে। রাতে ছোট্ট নাতনিটি বৃদ্ধাকে বিদেশি রোগের ব্যাখ্যা শুনায়। বৃদ্ধা শুনতে শুনতে নিশ্বাস ফেলে। আট বছরের নাতনির উরুসন্ধিতে হাত ছুঁয়ে বলে, তুই এহনো বাড়ছ না ক্যান? হাতের আঙুল গভীরে যেতেই নাতনিটা আঁৎকে উঠে। আঃ ব্যথা পাই নানি। বৃদ্ধা ধমকে বলে, একটু-আধটু ব্যথা লাগবোই। বেডারা তো মাঙনা টেকা দিবো না। কষ্ট দুক্ষু সহন লাগবো। আমি...
সূচিপত্র বস্তু, চেতনা এবং কবি ।। সজল চক্রবর্তী দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ আলোচনায় নব দিগন্ত ।। রণেশ রায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট ও সন্নিহিত অঞ্চলের কথ্য শব্দ ।। অরবিন্দ পুরকাইত চাঁদে জীবন ।। শমীক সমাদ্দার অসমাপ্তি ।। মহুয়া হুই গ্যালাক্সির শব্দে ।। জাসমিনা খাতুন তিনটি কবিতা ।। দিবাকর সেন অপূর্ণতার শেষ অধ্যায় ।। সুপ্রিয় সাহা হাফ ডজন ছড়া ।। স্বপনকুমার পাহাড়ী স্বাপ্নিক অমলের ঘুৃম ।। সঞ্জয় দেওয়ান দুটি কবিতা ।। সৌমিত্র উপাধ্যায় পথ চলতি ✍️পার্থ প্রতিম দাস হেমন্তের বিষাদ ছুঁয়ে ।। শক্তিপদ পাঠক রাই আর বাবা ।। অদিতি চ্যাটার্জি স্থিতিশীল ।। রঞ্জিত মুখোপাধ্যায় হৃদয়ের শূন্য কোড ।। লিপিকা পিঙ্কি দে অমানিশা ।। সৌভিক মুখার্জী দৃষ্টিগত ।। শামীম নওরোজ জ্যান্ত ভূতের গপ্পো ।। পার্থ সারথি চট্টোপাধ্যায় ধুতরা ফুলের ঘ্রাণ ।। মজনু মিয়া তারা খসার আলোয় ।। তীর্থঙ্কর সুমিত উত্তরণে অন্তরায় ।। সমীর কুমার দত্ত প্রেম মুদ্রা ।। বিবেকানন্দ নস্কর ধারা ।। লালন চাঁদ অন্যের ব্যথায় ব্যথি ।। জগদীশ মণ্ডল গর্ভ ।। শাশ্বত বোস ভ্রমণ বিষয়ক স্মৃতিকথা ।। মানস কুমার সেনগুপ্ত শাপে বর ।। সাইফুল ইসলাম রবিবার ।। সঙ্ঘমিত্রা দাস দুটি ...